প্রেমারায় মত্ত পর্ব -০২ও শেষ

#প্রেমারায়_মত্ত (শেষ পর্ব)
#জান্নাতুল_নাঈমা
[ এলার্ট প্রাপ্তবয়স্ক এবং মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত ]
|২|
লম্বা দেহের চওড়া বুকের হীরক ছাত্রাবস্থা থেকেই বেশ সুদর্শন। গায়ের বর্ণ শ্যামলা হলেও প্রথম পলকেই যে কোনো নারী আকর্ষিত হয় তার প্রতি। প্রমাণ সরূপ অগণিত মেয়ের প্রেমের প্রস্তাবকেই ধরা যায়। সেই অগণিত মেয়েদের মধ্যে সীমাও একজন৷ যে মেয়েটি বর্তমানে তার বড়ো ভাইয়ের বউ। হীরক তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান। আর বড়ো ভাই হিমেল প্রথম পক্ষের। হিমেলের মা রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। এরপর শিশু হিমেলের জন্য বাবা হীরকের মাকে বিয়ে করে। বছর দুয়েক পর জন্ম হয় হীরকের। হিমেলের বয়স তখন নয় বছর। ওটুকুনি ছেলের মনে ভীষণ ঈর্ষা জাগে সদ্য নবজাতককে দেখে। যে ঈর্ষা বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রকট হয়৷ হিমেলের একটা অভিযোগ যা পরিবারের সকলকে লজ্জায় ফেলে, বিব্রত করে। বাবা তার দেখভালের জন্য বিয়ে করেছিল। তাহলে কেন হীরকের জন্ম হলো? সবার ধারণা ছিল হিমেল যখন বড়ো হবে তখন বাস্তবতা বুঝবে, সহজ, স্বাভাবিক বিষয়টাকে জটিল করে আর কাউকে অসম্মান করবে না, লজ্জায় ফেলবে না৷ কিন্তু সবাইকে হতাশ করে দিয়ে হিমেল আরো বেঁকে গেল। বড়ো হতে হতে তার আচরণ আরো বেশি উদ্ধত হলো। আগে হীরকের মাকে সে যাও মা বলে ডাকত ধীরেধীরে সে ডাক ভুলে বাবার বউ বা হীরকের মা বলে সম্বোধন করতে শুরু করল। যারা বুঝে না তাদের বোঝানো যায় হিমেল যখন ছোটো ছিল সবাই বোঝানোর চেষ্টা করত৷ কিন্তু বড়ো হবার পর আর কেউ কিছু বোঝাতে আসেনি। কারণ হিমেল এখন যথেষ্ট বুঝদার। যেচে পড়ে কেউ অসম্মানিত হতে চায় না আর৷ সম্পর্ক গুলো তাই ভীষণ তিক্ত হয়ে ওঠেছে। বড়ো ভাই পছন্দ করে না বলে হীরক সবসময় তার থেকে নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব মেপে চলে। হিমেল যখন প্রতিষ্ঠিত হীরক তখন ভার্সিটির স্টুডেন্ট। সীমা নামের সাধারণ পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গে গভীর প্রণয়ে আসক্ত সে। প্রেমের শুরুটা হয়েছিল সীমার আহ্বানেই। প্রথম বর্ষে অগণিত মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাবের ভীড়ে সীমাও একজন ছিল। হীরকের দৃষ্টি আঁটকেছিল সীমার ধূসর বর্ণের চোখ দুটিতে। তবু সরাসরি গ্রহণ করেনি। প্রথম দফায় স্রেফ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মাত্র৷ পরিকল্পনা ছিল বন্ধু হয়ে যাচাই বাছাই করে দেখবে মেয়েটাকে৷ এরপর সিদ্ধান্ত নেবে জীবনে জড়াবে কিনা। তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা গাঢ় হতে হতেই ঘটে যায় এক দূর্ঘটনা। ভার্সিটি থেকে বন্ধু, বান্ধবী নিয়ে ট্যুরে যায় ওরা৷ সেখানে সীমা সহ আরো ছেলেমেয়ে থাকে৷ সময়টা শীতকাল। রাতের খাবার খেয়ে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। ওদের মধ্যে কাপল ছিল দু’জন। যারা আলাদা রুম বুক করে সেখানেই রাত্রি যাপনের জন্য চলে যায়৷ অন্যান্য বন্ধুরা বিয়ারের আড্ডা জমায়৷ নিস্তব্ধ রাতে তারা ভর্তি আকাশের নিচে জলন্ত কাষ্ঠের পাশে একাকী বসে রয় শুধু হীরক আর সীমা। রাত গভীর হয় চলতে থাকে ওদের গল্প। গল্পের ফাকে হঠাৎ সীমা ওঠে যায়৷ ফিরে আসে হাতে দু’টো জুসের বোতল নিয়ে৷ যে জুস পান করেই জীবনের চরম ভুলটা করে বসে হীরক। মিষ্টি ভাষী নারীর দুষ্টুমির স্বীকার হয়৷ দুষ্টুমি নাকি ষড়যন্ত্র তখন টের পায়না হীরক। শারীরিক উত্তেজনা দমাতে না পেরে সীমাকে কাছে টেনে নেয়। ভালোবাসার স্বীকারক্তি দিয়ে উন্মাদের মতো নিজের বাসনা জানায়। মুচকি হেসে সায় দেয় সীমা। সারারাত ভিন্ন এক জগতে মত্ত রয় দু’জন। প্রথম কোনো নারী দেহের স্পর্শ, যে নারী তাকে মন, প্রাণ উজার করে ভালোবাসে। যে ভালোবাসা নিজের সবটা কোনো পুরুষকে বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা সৃষ্টি করে না৷ সে ভালোবাসায় মত্ত থেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয় হীরকের। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে হীরক। ত্রুটিহীন চরিত্র। সেই একরাতের ব্যবধানে চরিত্রে দাগ লাগে। সেই দাগ গাঢ় হয় সক্কালবেলা সীমার হাউমাউ করে কান্না দেখে। নিজের করা ভুলে স্তব্ধ হয়ে যায় হীরক। কী করে সম্ভব হলো এটা বুঝে ওঠতে পারে না। এক মুহুর্তে কী করে হৃদয়ের লেনাদেনা হয়ে দেহের মিলন ঘটতে পারে তার দ্বারা? কোনোকিছুরই উত্তর মেলেনা। এক অসহায় মেয়ের সর্বস্ব হারানোর ব্যথা বুকে লাগে খুব। সিদ্ধান্ত নেয় ট্যুর থেকে ফিরেই বিয়ে করবে সীমাকে। সীমাও তখন রাজি হয়। কিন্তু ফিরে আসার পর আচরণ বদলে যায় সীমার। অথচ একরাতের ক্ষণিকের আবেগ আর সকালবেলা অনুভব করা পাপবোধ সীমার প্রতি গভীর আসক্ত করে ফেলে তাকে। হৃদয় গহীন থেকে তৈরি হয় প্রগাড় মায়া, সীমাহীন ভালোবাসা, অগাধ সম্মান। বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে হীরক। সীমা বলে, বিয়ে করলে এভাবে একাকী করবে না৷ পারিবারিক ভাবে করবে। আপাতত তারা সম্পর্কে থাকুক পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করবে। তার কথাকে সম্মান জানিয়ে দীর্ঘদিন সম্পর্কে রয়। সীমার তরফে এই সম্পর্কের মূল্য কতটুকু ছিল জানে না৷ কিন্তু হীরকের মনে সীমা ছিল খুবই মূল্যবান৷ কারণ সীমা সেই নারী যে তাকে প্রথম নারী শরীরের ভাষা চিনিয়েছে, সুখ দিয়েছে। তাই সীমাকেই প্রথম, একমাত্র এবং শেষ নারী হিসেবে জীবনে চায় সে। কিন্তু তার সে চাওয়া পূর্ণ হয় না । কারণ চরিত্রহীনারা সততা পছন্দ করেনা।
ছলনায় ভরা নারীরা পুরুষের খাঁটি ভালোবাসা হৃদয় দিয়ে অনুভব করে না। তাই তো সেদিন কঠিন এক সত্যির মুখোমুখি হয় হীরক। জানতে পারে, সীমা তাকে কোনোদিনও একবিন্দু ভালোবাসেনি৷ ভার্সিটির এক বড়ো ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড ছিল সীমা। যে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাজি ধরেছিল হীরককে প্রেমের প্রস্তাব দেয়৷ কারণ তার বয়ফ্রেন্ড কথার ছলে একদিন বলেছিল ভার্সিটির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েরও ক্ষমতা নেই হীরক মাহমুদকে পটানোর৷ এই কথাটাই ইগোতে লেগেছিল সীমার৷ সে যথেষ্ট সুন্দরী। ভার্সিটির প্রথম সারির সুন্দরীদের মধ্যে একজন৷ তাই বাজি ধরে ফেলে৷ এরপর বাজিতে সেও হেরে যায়৷ কারণ হীরক তার রূপে মুগ্ধ হলেও প্রেমিক নয় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়৷ এ নিয়ে সীমার বয়ফ্রেন্ড সেদিন হো হো হেসেছিল। তাচ্ছিল্য করেছিল তার রূপ নিয়েও৷ যা সীমার জেদ আরো বাড়িয়ে দেয়৷ নারীর জেদ কতটা ভয়ংকর হয় প্রমাণ করে দেয় সীমা। ট্যুরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে জুসের সঙ্গে উত্তেজক ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে দেয় হীরককে৷ এরপর যা ঘটতে পারে তাই ঘটে যায়। তার ফাঁদে পা দেয় হীরক৷ আর নিজে থেকেই সম্পর্কে জড়ানোর আকুতি করে৷ গুটিকয়েক জন ছাড়া ভেতরের কাহিনি কেউ জানত না৷ সবাই শুধু অবাক হয়েছিল আকস্মিক হীরক মাহমুদের সীমার প্রতি আসক্ত হওয়া দেখে। প্রতিটা ক্ষণে সীমার জন্য পাগলামি করার জন্য৷ মুগ্ধ হয়েছিল সীমার প্রতি হীরক মাহমুদের ভালোবাসা দেখে। এরপর দীর্ঘ একটা সময় কেটে যায়। পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক হয় সীমার৷ যা হীরক জানতে পারে সীমার সেই বয়ফ্রেন্ডের কাছে। যার জন্য হীরক ঘৃণ্য এক ষড়যন্ত্রের শিকার। সীমার বিয়ে ঠিক, সীমা তার সঙ্গে যা করেছে সব ছিল বাজি ধরে। এসব জানার পর হীরক হিংস্র হয়ে ওঠে খুব৷ প্রেম ভেবে এতকাল সে প্রেমারায় মত্ত ছিল! বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যায় যেন। সিদ্ধান্ত নেয় সীমার বিয়ে ভাঙবে, উপযুক্ত শাস্তি দিবে ঐ ছলনাময়ীকে। এরই মধ্যে বাড়ি থেকে খবর আসে তার বড়ো ভাইয়ের বিয়ে এক সপ্তাহ পর৷ প্রথমে হীরক সিদ্ধান্ত নেয় বড়ো ভাইয়ের বিয়েতে যাবে না৷ কিন্তু হবু ভাবিকে দেখে না গিয়ে পারে না। সীমা! তার বড়ো ভাইয়ের বউ হচ্ছে সীমা! বিষয়টা মেনে নিতে মৃত্যু যন্ত্রণা হচ্ছিল। সীমাকে শাস্তি দিতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে সিদ্ধান্তে অটুট থাকতে পারল না মায়ের অনুরোধে। বড়ো ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত নয় তাই মাকে জানিয়েছিল সীমাকে তাদের বাড়ির বউ না করতে৷ সে ভালো মেয়ে নয়। একাধিক ছেলের সাথে তার সম্পর্ক। নিজের সঙ্গে কী ঘটেছে এসব এড়িয়ে গেল যদিও। মা এসব শুনে তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলল৷ কারণ হিমেল তাদেরকে পছন্দ করে না। তারা এসব বললে ভুল বুঝবে পারিবারিক অশান্তি বাড়বে৷ বড়ো ভাইকে চেনে হীরক তাই চেষ্টা করে সীমার সাথে যোগাযোগ করার। সফলও হয়৷ সমস্ত রাগ, ব্যর্থতা গোপন রেখে অনুরোধ করে সে যেন তার বড়ো ভাইকে বিয়ে না করে৷ অন্তত যার ছোটো ভাইয়ের একরাতের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছে তার বউ হয়ে নিজেকে যেন নরকের কীট প্রমাণ না করে। সীমা তার কথা রাখেনি৷ অর্থ, সম্পদের লোভ। একজন সফল ব্যবসায়ী বরের লোভ সামলাতে পারেনি। মানুষ প্রেমে পুড়ে, হীরক পুড়েছিল প্রেমারায়। প্রেমারা কী জানেন? বাজি রেখে তাসখেলা। সীমা হীরককে তাসের ন্যায় খেলেছে। যে যন্ত্রণা আজন্মকাল পুড়াবে হীরক মাহমুদকে।
***
বাসর রাতে বউয়ের সঙ্গে প্রেমের গল্পে না মজে প্রেমারার গল্পে বিভোর ছিল হীরক। স্বামীর প্রেমারার গল্প শুনে মাম্পি তার কাছাকাছি এসে বসল। প্রশ্ন করল,

‘ সবই বুঝলাম, বুঝলাম না শুধু আমাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য৷ ‘

হীরক তাকাল মাম্পির চোখে। নির্নিমেষে তাকিয়ে দৃঢ়স্বরে উত্তর দিল,

‘ সীমাকে সেদিন আমি প্রচণ্ড গালাগাল করেছিলাম। বেশ্যা বলতেও ছাড়িনি। তীব্র ক্রোধে, জেদের বশে বলেছিলাম তোর চেয়ে প তিতারাই শ্রেষ্ঠ। ওদের মনে অন্তত ছলনা থাকে না। ওরা তোর মতো ষড়যন্ত্রকারী না৷ এরপর সীমা ফোন কেটে দিয়েছিল৷ বুঝেছিলাম কথাগুলো গায়ে লেগেছে খুব৷ তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওর মুখোমুখি আমি সেদিন হবো যেদিন আমি প্রমাণ করে দিব ও প তিতাদের চেয়েও নিকৃষ্ট। আজ এত বছর হয়ে এলো, আমি আজো বাড়ি ফিরিনি। শুধুমাত্র নিজের একটা জবানে সত্যতা দেয়ার জন্য৷ আজ বিকেলেই আপনাকে নিয়ে বাড়ি ফিরব৷ সীমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিব ও ঠিক কতটা নিচু৷ ‘

মাম্পির কপালে ভাঁজ পড়ে। আশ্চর্য কণ্ঠে বলে,

‘ পাগল আপনি! শুধুমাত্র এজন্য এতবড়ো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন? ‘

‘ নাহ, শুধুমাত্র এজন্য নয়। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে।’

‘ কোন পাপ? ‘

‘ হুঁশে না হলেও সেদিন রাতে বেহুঁশে আমার দ্বারা একটি পাপ ঘটে গেছে। যে পাপবোধেই সীমাকে ভালোবেসেছিলাম আমি৷ বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। হোক ষড়যন্ত্র, পাপটা তো আমি করেছি? তাই আপনাকে বিয়ে করে পূণ্যবান হওয়ার চেষ্টা করছি৷ এটা পূণ্য কিনা এক উপরওয়ালা জানেন৷ কিন্তু আমি জানি, আপনি জানেন আমার এই কাজ দ্বারা আপনার কত বড়ো উপকার হলো। পতিতাবৃত্তি একটি ঘৃণ্য পেশা। যা থেকে সারাজীবনের জন্য মুক্তি দিলাম আপনাকে। নিজের ঘরের বউ করে সম্মান দিলাম, অধিকার দিলাম আমার বউয়ের। ‘

হতবিহ্বল মুখে বসে রইল মাম্পি। চারিদিকে ফজরের আজান দিচ্ছে। হীরক বলল,

‘ চলুন ওজু করে একসঙ্গে নামাজ আদায় করব। ‘

মাম্পি আকস্মিক হীরকের হাত চেপে ধরল। করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধাল,

‘ কাকতালীয় ভাবে আমিও আপনার প্রেমারা হয়ে গেলাম তাই না? সীমাকে নিচে নামাতে আমাকে জড়ালেন আপনার সঙ্গে। আমি বউ না তাস? ‘

স্মিত হাসল হীরক৷ মাম্পির ধরে রাখা হাতটির আঙুলের ফাঁকে আঙুল গুঁজে দিয়ে চোখে চোখ রেখে শীতল কণ্ঠে বলল,

‘ আপনি আমার তাসরূপে বউ। ‘

মাম্পির দৃষ্টি ছলছল হলো। হীরক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,

‘ কখনো কখনো স্বামীর প্রেম না হয়ে প্রেমারা হওয়াতেও স্বার্থকতা থাকে মাম্পি। ‘

কথাটা বলেই দৃষ্টি সরিয়ে নিল হীরক৷ হাত ছেড়ে বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুম যেতে উদ্যত হলো। মাম্পি তখন ত্বরিত ডাকল তাকে। বলল,

‘ মশাই, একটু শুনবেন ? ‘

ঘুরে দাঁড়াল হীরক৷ চোখের ইশারায় শুধাল,

‘ বলুন? ‘

দু কদম এগিয়ে আলগোছে হীরককে জড়িয়ে ধরল মাম্পি। বুকের বা’পাশে মাথা রেখে মৃদুস্বরে বলল,

‘ প্রেম যখন নয় প্রেমারাতেই মত্ত করব আপনাকে। প্রতিজ্ঞা করছি প্রেমারাকে প্রেমে পরিণত করব প্রেমকে প্রেমারা নয়। ‘

~ সমাপ্ত ~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here