প্রেমের উষ্ণ ধোঁয়াতে পর্ব -১৯

#প্রেমের_উষ্ণ_ধোঁয়াতে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব_____১৯

বকুল ফুল, বকুল ফুল
সোনা দিয়া হাত কানও বান্ধাইলি
বকুল ফুল, বকুল ফুল
সোনা দিয়া হাত কানও বান্ধাইলি

শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফোটে লো
রাইতে শালুক ফোটে

যার সনে যার ভালোবাসা
যার সনে যার ভালোবাসা
সেই তো মজা লুটে লো……………..

বাজারের এক দোকানে উচ্চ আওয়াজে মুখরিত হচ্ছে গানের ছন্দ। থমকে গেল শিমুলের পা জোড়া। নিশাত বিস্ময়কর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বিনা বিলম্বে।

‘ কি হইলো?’
‘ সৌরভ ভাই আছেন দোকানে? ‘
নিশাতের বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ল নিমেষে। দু অধর নড়ল ক্ষীণ, ‘ আছে। ‘
শিমুল উল্টো ঘুরে দাঁড়ায়। ফের তার পানে তাকিয়ে বলে,
‘ তুই এখানে দাঁড়া নিশু। আমি সৌরভ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা কইরা আসি। ‘
‘ ভাইয়ের সাথে দেখা! কেন?’— অবাকমিশ্রিত কণ্ঠস্বর ওর। তৎপরে খেয়াল করে শিমুলের কপোলদ্বয় লালাভ। লাজুকতার ঠ্যালায় ফুলে উঠেছে গালের মাংস অল্প একটু। নিচু গলায় বলে উঠল,

‘ সৌরভ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে কারণ লাগবে? তোর থেকে অনুমতি নিতে হবে? সবসময় তোর সাথে কথা বলি,তাঁর সাথে হয় না। মামাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলতে মন চাইব না?’
‘ এত বছরে এসে বলতে মন চাইল?’
কথাটা অত্যন্ত মৃদু কণ্ঠে বলে সে। শিমুল কিঞ্চিৎ চোখ পাকায়। বলল,
‘ প্রায়ই বলি আমি। তোকে দেখিয়ে বলি না আরকি! তোদের বাড়ির কারো সাথে কথা বলতে আবার স্পেশাল টিকেট লাগে। তোরার কাপড়ের ব্যবসা। সৌরভ ভাইরে বলমু আমাকে একটা ফকফকা সাদা দেইখা ওড়না আইনা দিতে। ‘
‘ ফুপিরে বললেই উপজেলা থেকে এনে দেয়। ‘
শিমুল মুখ লেটকিয়ে ফেলল। জানতে চায়,
‘ তুই কি চাইছিস তোদের দোকানের কাপড় না পড়ি?’
‘ না,এমনটা না। ভুল ভাবছিস৷ আসলে,,
‘ আসলে?’
নিশাত খুঁৎ খুঁৎ স্বরে উত্তর দিল,
‘ তোর সাথে ভাইয়া ঠিকঠাক কথা বলে না,রাগ দেখাবে। পরে মন খারাপ হবে তোর। এসব ভেবে বললাম। ‘
‘ ওহ! এই কথা! সৌরভ ভাইয়ের মেজাজ আমার জানা। চিল মাই লাভ। শুধু শুধু কথা বলে পাঁচ মিনিট নষ্ট করে ফেললি। স্কুলের সময় হয়ে যাচ্ছে, এক দৌড়ে যাব আরেক দৌড়ে আসব। তুই ঠিক এখানটায় দাঁড়িয়ে থাক। ‘
‘ আমিও যাই?’
‘ না। তুই গেলে দেরি হবে। দৌড়াতে পারিস না তুই। দেখা যাবে আছাড় খেয়ে থুতুনি, গাল-টাল কেটে বসে আছিস। গত কয়েকদিন ধরে আবার আমার বড় ভাইয়ের জন্য বমি করতে করতে বড্ড নাজুক হয়ে গেছিস। কি এমন বমি করছিস যেই বমিতে আমি ফুপু হচ্ছি না? ‘

লজ্জার প্রভাবে শিরা-উপশিরায় প্রবাহিত রক্ত হিম হয়ে এলো নিশাতের। জমে গেল কায়ার আংশিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। অপ্রস্তুত হলো বেশ। বলল,
‘ এসব কি বলছিস?’
শিমুল মজা পেল। তড়তড় করে বলে ওঠে,
‘ বমির কারণ অন্যরকম হলে মানতাম আমি। তুই বড় ভাইয়ার চিন্তায় কেন বমি করবি? বলছিস প্রেমে পড়িস নি। তাহলে কিসে পড়েছিস নিশু?’
নিশাত কোনোরকম ভনিতা ছাড়াই প্রতুত্তর করে,
‘ প্রহর ভাইয়ের মধ্যে ফেঁ–সে গিয়েছি। ‘
‘ ভাইয়াকে বলব তোকে মুক্তি দিতে?’
নিশাত বিভোর হয়ে পড়েছিল। শিমুলের প্রশ্ন শ্রবণ হতেই হৃদয়স্থল ধ্বক করে উঠল তীব্র গতিতে। কম্পনরত কণ্ঠস্বর তার,
‘ মুক্তি চাই না আমি। ‘
অক্ষিকাঁচে ভেজা ভেজা ভাবের উপস্থিতি, নিস্তেজ গলা। শিমুল কথা কাটানোর নিমিত্তে বলল,
‘ যাব আর আসব। ‘

বাজারের পশ্চাৎ পথে নিশাতকে দাঁড় করিয়ে আসল ও। ঢিমেতালে হেঁটে দোকানের নিকটস্থে এসে মনে পড়ল দোকানে মামা আছে কিনা জেনে নেওয়াই হলো না। পরমুহূর্তে মনে হলো থাকলে নিশাত বাঁধা দিত। পায়ের ধূলি ফেলে অতি সাবধানতা অবলম্বন করে হাজির হলো দোকানের অভিমুখে। মুখে মাস্ক থাকায় তেমন একটা নজর ফেলে নি ওর মুখের ওপর লোকজন। ওই তো! সৌরভকে দেখা যাচ্ছে হিসাবের খাতা নিয়ে বসেছে সবে। মলিন চেহারা। চোখের নিম্নত্বকে অমানিশার বসবাস। বিষন্ন আদলে কৃষ্ণবর্ণ হাসছে যেন খিলখিল করে। অকস্মাৎ এমতাবস্থার কারণ জানা নেই তার। আগে কখনো এমন রূপে দেখতে পায় নি মানুষটাকে। সাদা রঙা চেহারাটার বি*শ্রী হাল। বিষাদের মেলা সমগ্র জুড়ে। আশ্চর্য ব্যাপার এসব অনুধাবন করতে এক রত্তিও কষ্টের সাথে সাক্ষাৎ করতে হচ্ছে না ওর। বুঝল,প্রেম গাঢ় হয়েছে। কিশোরী আত্মায় প্রেমের ছোঁয়া লেগেছে গভীরভাবে। রক্তবর্ণ বৃষ্টির ফোঁটা দেখেছে কেউ কভু? দেখবে কেমন করে! এই বৃষ্টি ফোঁটা কেবল বক্ষপিঞ্জিরায় নেমে আসে। যেমনটা ঝরছে তার বুকের ভেতর। সৌরভ ভাইয়ের মন খারাপ, দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি মানে তার মন খারাপ, দুঃখ, কষ্ট, অশান্তি সব। কাছে গিয়ে দাঁড়াল। তখনও চায়ের দোকানে গানটা বাজছে। সৌরভ খেয়াল করল না। হিসেব কষতে মগ্ন তার চোখ, মন সব। ও আশেপাশে চক্ষু ফেলে চট করে দোকানের ভিতর ঢুকে গেল৷ গলা খাকারি দিল একটুখানি। লাভের চেয়ে বৈকি ক্ষতিই হলো। সৌরভ আরো নিমজ্জিত হলো খাতার পৃষ্ঠায়।

শিমুলের মনোক্ষুণ্ন হলো। সৌরভ ওর আসার আভাস পেয়েই মূলত এমন করছে। আজকে নতুন নয়। এটা নিত্যকার কান্ড। শুরুতে রা-গারাগি করত দেখলেই, গত মাস দু এক ধরে নিশ্চুপ থাকে,মুখ দিয়ে ভুল করেও শব্দ বের করে না। সৌরভের প্রতি প্রেমের কাঁচা অনুভূতি জন্মেছিল ওর বছর দুয়েক আগে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে সেই সময়টায়। বুঝে উঠতে পারে নি ঠিকঠাক, প্রেম জেগে যায় অন্তরিন্দ্রিয়ে। সেই থেকে মানস্পটে বারংবার স্রেফ সৌরভের অবয়ব ভাসে। ক্ষুদ্র প্রাণে সাহসের দুস্থিতি ছিল খুব। যার ফলে অনুভূতি প্রকাশে অসফল হয়েছে বার কতক। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে হেরে গিয়ে,ক্লান্ত হয়ে একদিন সৌরভকে ভালোবাসি শব্দটা বলতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেই ক্ষণেই সৌরভ চাপা গর্জন করে ওর উপর, অবহেলিত করে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ওর তৃষ্ণার্ত অনুভূতিগুলোকে। যা এখনও চলমান।

‘ সৌরভ ভাই?’
সৌরভ মাথা তুলল না। নিরব সে, ভাবে উদাসীন। শিমুল স্বভাবতই নরম মনের। সৌরভের প্রতি ভালোবাসা তাকে প্রতিদিন একটু একটু করে বে*হায়া,শক্ত করে তুলছে উপলব্ধি করতে পারছে সে। ডাকল পুনরায়,
‘ সৌরভ ভাই? কি সুন্দর গান বাজছে! শুনছেন? আপনি কবে বলবেন, শিমুল ফুল,শিমুল ফুল
হৃদয় কেন কাড়িলি,,,,,’

‘ তোকে আমি অগ্রাহ্য করছি,সেটা এখন মুখেও বলে দিতে হলো। এর থেকে বড় অপ*মান আর কি হয় শিমুল?’

কটুক্তি মেশানো বাক্য সুড়সুড় করে শিমুলের শ্রবণপথে এলো। চোখ দু’টো পরিপূর্ণ হলো অশ্রুতে। গলায় দলা পাকানো কান্নাটুকু ঢোক গিলে বলল,

‘ অবহেলার পরিমাণ হিসেবে করে রাখছি,ভালোবাসাতে পরিণত করব বলে। যত অবহেলা করবেন, একদিন ততটুকুই ভালোবাসবেন আমাকে। সেকারণে আপনি বেশি বেশি অবহেলা করলে আমারই লাভ। বেশি বেশি ভালোবাসা পাব। ‘

সৌরভ ভারী শব্দে হিসেবের খাতাটা বন্ধ করে। বাজারে বহু লোকের সমাগম। চেয়ারম্যান বাড়ির মেয়ে শিমুল। দু বাড়ির শত্রু*তার খবর এ গ্রামের কাকপক্ষী অব্দি পৌঁছানো। ভরা আসরে সামান্য রাগও বড় ধরনের সিন ক্রিয়েট করবে। সুতরাং শান্ত কণ্ঠে বলতে লাগল,

‘ তুই ছোট শিমুল। আমার বোন হোস তুই। আমার বয়স দেখেছিস? তোর আর আমার বয়সের পার্থক্য অনেক। আর দুই বাড়ির খবর তোর অজানা নয়। আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না। একটা সম্পর্কে ভালোবাসা দরকার। মেইন বিষয় হলো আমি তোকে ভালোবেসে পুরোনো ক্ষ*ত তাজা করতে পারব না। তোর আমার সম্পর্ক দু বাড়ির মানুষের হৃদয়ে ক্ষ*ত করবে। প্রেম অপছন্দ বাবার। প্রেম যেখানে আছে,পুরো দুনিয়া তার বিপক্ষে চলে গেলেও সে প্রেম মানবে না। তার জ্বলন্ত উদাহরণ নিরু ফুপ্পি,রবিন কাকা। ‘

এটুকু বলতেই সৌরভের নাসারন্ধ্র হতে গরম গরম নিঃশ্বাস উন্মুক্ত হয় বাহিরে। তার মাথায় হুট করে উড়ে এসে জুড়ে বসল নিজের অসমাপ্ত সম্পর্ক, প্রেমের কথা। চোখ বুঁজে ফেলল তৎক্ষনাৎ। শিমুল স্পষ্টত দেখল। তার কথার তোয়াক্কা না করে একের পর এক প্রশ্ন করে অনর্গল,

‘ কতটুকু বড় হলে আমায় ভালোবাসবেন? মামুকে রাজি করাতে পারলে আমাকে আপনার মনে জায়গা দিবেন? ভালোবাসবেন আমাকে? আচ্ছা ভালোবাসতে হবে না,হৃদয়ে জায়গা দিয়েন। আপনি শুধু জায়গা দিবেন,সেখানে বাগান করে ফুল ফোঁটানোর দায়িত্ব আমার।’

সৌরভ হাসল। হাসির মধ্যে শিমুলের জন্য অপ*মান যোগ করা। তীরের ন্যায় বিঁধছে হাসিটা ওর অন্তস্তলে।

‘ এসব প্রেম বাক্য কোথায় শিখলি? স্কুলে? ইউটিউবে? নাকি প্রেমের কোচিংয়ে?’

শিমুলের সাদামাটা জবাব,’ আপনার কাছ থেকে। ‘

সৌরভ ভুরু কুঁচকালো। বিদ্রুপের কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
‘ আমার থেকে?’
ঠোঁটদ্বয় আলগা হয় শিমুলের। অধরকোল জুড়ে স্থান পায় ম্লান হাসি। আয়েশি ভঙ্গিতে বলে,
‘ জি। আপনাকে ভালোবেসেছি বলেই আমার মধ্যে কবি কবি ভাব আসছে সৌরভ ভাই। প্রেম মানুষকে কবি,কাব্যিক, ঔপন্যাসিক বানায়। আমি কি হয়েছি জানেন? আপনার প্রেমে পড়ে আমি হয়েছি “বিরহিণী”। ‘

সৌরভ তব্দা খেয়ে গেল। রক্ত টগবগ করে উঠল। কথাগুলো কান দিয়ে এসে সোজা গাঁথল হৃদয়ে। আজ প্রথম শিমুলের কথা এমনভাবে ছুঁয়ে দিল তার তনুমন,হিয়া। বয়স কত মেয়েটার! নিশাতের সমান না? পাগ**লকরা শব্দাংশ শিখল কোথায়? প্রেম কি সব বয়সের মানুষকে এতটা শক্ত করে তুলে? পরিস্থিতি সামলাতে কর্কশ গলায় বলে উঠল,

‘ এখান থেকে যাবি তুই? কতবার বলব দোকানে আসবি না শিমুল? বিরক্ত হোস না তুই?’

গুটি গুটি পায়ে খানিক দূরত্ব মিটিয়ে নেয় শিমুল। টেবিলের উপর থাকা সৌরভের হাত টা নিয়ে নিজের করপুটে বেঁধে নেওয়ার প্রয়াস চালায়। সৌরভ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। কিন্তু মেয়েটার আকুতিভরা কণ্ঠ সরিয়ে আনতে দেয় না হাতটা। চেপে ধরে ক্রন্দনমিশ্রিত স্বরে অনুরোধ করতে থাকে নরম কণ্ঠস্বরের অধিকারীণি,

‘ আমার কল কাটবেন না সৌরভ ভাই। আমার কতটা কষ্ট হয় আমি হয়ত আপনাকে বুঝাতে,বলতে পারি না। আপনার গলাটা শুনলে মনে হয় আমার মতো শান্তি কারো জীবনে নেই। একটু কথা বললে কী হয়? কল ধরলে কখনো দোকানে আসব না। ‘

সৌরভ ফ্যাসাদে পড়ে গিয়ে সম্মতি দিল,’ ধরব। ‘

নিশাতের পা ধরে এসেছে। উঁকি দিয়ে দেখল শিমুল আসছে। বড় বড় পা চালাচ্ছে। দূর হতে মেয়েটার ফুলো ফুলো আঁখি জোড়া অত্যন্ত চিন্তায় ফেলল ওকে। কেন যেন লাগছে শিমুল কিছু লুকাচ্ছে তার কাছ থেকে। বিরাট কিছু।
_______________________________

দিনের প্রাতঃকালে মজুমদার বাড়ির দুয়ারে ২০ প্যাকেট মিষ্টি দেখে পিংকির বাবা আনোয়ার চমকে উঠলেন। ভয়ে অন্তরআত্মা ছোট্ট হয়ে গেল তাঁর। ভূতে চরম বিশ্বাসী তিনি। ছোটবেলায় একবার ভরদুপুরে আম পাড়তে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে টানা তিন দিন ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতালে কাটিয়েছেন। গ্রামবাসী বললেন,জ্বী-নে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল। সেই থেকে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হলেই ভাবেন জ্বী-নে করেছে। মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে উল্টো ঘুরে দৌড় লাগালেন বাড়ির ভিতরে। একে একে সবাইকে ডেকে তুললেন। তার একটাই বাক্য-‘ জ্বী-নে মিষ্টি রাইখ্যা গেছে। ‘ পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল এ কথা। মজুমদার বাড়ির মানুষের সাথে গ্রামের অর্ধেক মানুষও হাজির। সকলে তারস্বরে অনবরত বলতে লাগে–‘ জ্বীন আইছে,মজুমদার বাড়িতে জ্বীন আইছে মিষ্টি লইয়া। ‘

টুনির আম্মা মিষ্টির প্যাকেটের উপর সাদা স্কচটেপ দিয়ে লাগানো কাগজটা দেখে বলল,’ এইডা কি রোকেয়া বু?’

সবাই হামলে পড়ল কাগজটা দেখতে। আনোয়ার ভ*য়ের দাপটে গেইটের কোণায় চিপকে বসে আছেন। ধারে কাছে আসছেন না। পিংকির হাসবেন্ড কারিম কাগজের লেখাগুলো পড়ল কিছুটা উচ্চস্বরে, ‘ মিষ্টিগুলো আমার নিশুর জন্য। তোকে কবে আমার রাণী বানিয়ে নিয়ে যাব নিশু? মিষ্টি খেয়ে তোর বুদ্ধি হলে, আমায় একটু ধার দিস তো। ‘

পড়া শেষ না হতেই পাশ থেকে এক অর্ধবয়স্ক মহিলা চিল্লালেন,’ ও নিশুর আম্মা। জ্বী-নের রাজা আইছে গো তোমাগো দুয়ারে। তোমার নিশুরে নিতে আইছে। নজর দিছে হেতাইনের ওপর। ‘

নিশাত বাকরুদ্ধ। জ্বী””ন নিতে এসেছে ওকে?নাকি মানুষের কারসাজি?

#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here