#প্রেম_সায়রের_ছন্দপাত
#সাদিয়া_নওরিন
পর্ব—-৩
কর্মময় জিবনের সময়, এ যেন কপূরে মত! ঠিক কোন সময়ে উবে গেল তা,তার হদিসই যেন পাওয়া যায় না। জিবনের ব্যাস্ততা মানব মনকে তখন এতোটাই গ্রাস করে রাখে। যে তার সপ্তাহ, মাস এইসবের পরিবর্তন ঠিক তেমনটা চোখে পড়ে না।
ইরশাদরাও নিজ নিজ কাজেই কাটিয়ে দেয় তাদের বাকি একমাস সময়। ফোনে, গ্রুপ চ্যাটে কথা হলেও তা কেবল কয়েকঘন্টারই। সবার মন যেন একমাস পরের অবসরের অপেক্ষা প্রহর গুনছে। ব্যাস্তময় জিবনে আসা একপরশা সুখ যেন সেই দশদিন। আর তার প্রহর গোনার আনন্দও নেহাত কম নয়।
__________
অবশেষে সেই দিনটি উপস্থিত আজ। সবাই নিজ নিজ ব্যাকপ্যাক নিয়ে তৈরি। রেডি হয়ে মানিব্যাগে খরচের টাকার সাথে আরো কিছু টাকা নিয়ে নিল ইরশাদ। ভ্রমনে টাকা একটি মূল ফ্যাক্ট।আর কোথাও ভ্রমনে গিয়ে টাকার হিসেব করলে মজাটায় নষ্ট হয়, এমটাই ধারনা তার।
নিজের বাবা থেকে টাকা নেওয়াটা,মোটেও পছন্দ করে না সে। এমনকি তিনি জানেন ও না ইরশাদ এতো দূরে ভ্রমনে বেরুচ্ছে! স্বভাবতই প্লেনে করে যাওয়ার পরামর্শ দিবেন তিনি শুনলেই। আর সাথে অতিরিক্ত খরচ তো আছেই।তবে ইরশাদ মনে করে সে নিজের বেতনে যতটুকু এফোর্ট করে ঠিক ততটুকুই খরচ করবে সে। এতে প্রশান্তি যেন বেশী। কথায় আছে, পিতার কোটি টাকার সমান হয় পূত্রের নিজের কষ্টের কামাই করা সেই একলাখ টাকা!
ইরশাদের বাবা ইসফাক মেহতাব, পেশায় ব্যবসায়ী। ছেলের জন্য পুরো জীবন কষ্ট করে, ঐশ্বর্যের সঞ্চয় করেছেন তিনি৷ মেয়েদুটি বিয়ে দেওয়ার পর ছেলেটাই মধ্যমনি এখন তার কাছে। ইরশাদের ব্যাংকের জবটা খুব বেশী পছন্দ করেন না তিনি। তার ধারনা, তার অধিনে হাজার হাজার মানুষ কাজ করে, তাহলে তার ছেলেই কেন অন্যের অধিনে কাজ করবে। সে ব্যাবসা করুক। কিন্তু ইরশাদ একদমই সেই মতের বিপক্ষে।
ইরশাদের ভাষায়,
—— আজিবন পড়ার জন্য জ্বালাইলেন। পড়া জিবন, পড়া মরন বলতে বলতে বকাবকি করলেন। আর এখন বলেন আমি ব্যাবসা করবো। আব্বু, আপনার মনে আছে ভার্সিটিতে না টিকায়, দুদিন আমার ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন আপনি? আর তারপর কোন প্রাইভেট কলেজে ভর্তি করলেন না আমায়৷ শেষে মহসিন কলেজে ” একাউন্টটিং” এ ভর্তি হয়ে গেলাম। একদিন ক্লাস না করলে ধরে বকতেন। খেলতে বের হতে দিতেন না। তাই ছাদের ওপর থেকে অতিকষ্টে সুপারি গাছে লাফ দিয়ে তারপর বের হতে হতো আমার।
—— তো জীবনে কষ্ট করতে হয়। কষ্ট না করলে জিবনের মিষ্টতা কিভাবে অনুভব করবে তুমি। ভাত মাখিয়ে নলাটা মুখের ভেতর পুরে যদি আমিই চিবিয়ে দি তখন কি মজা পাবে খেতে? আর পড়ালেখার ও তো দরকার আছে জীবনে।
—– হুম বাবা, তাই তো বললাম।এতো কষ্ট করে পড়লাম, ফাস্ট ক্লাস পেলাম। এখন কি জব না করতাম আমি? তো ঘোড়ার ডিমের পড়াশোনা করানোর মানে টা কি। নরমাল পাশ করলেই তো আপনার চেয়ারটা আমার হতো।
হতাশ হয়েই মাথা ঝাকায় ইসফাক সাহেব। সবসময় একইভাবে উত্তর দেয় ইরশাদ তাকে। মাঝে মাঝে তার মনে হয় ছেলেটা লয়ার হলে হয়তো খুব ভালো করতো। সবকিছুতেই যুক্তি রেডি থাকে তার।
____________
গরিব উল্লাহ শাহ্ র মাজারের কাছে এসিবাসের কাউন্টার। আর তারা সবাই এখান থেকেই রওনা দিবে। বন্যা সবার আগেই বাস কাউন্টারে এসে উপস্থিত। ছেলেদের কাউকে আশেপাশে না দেখে প্রবল হতাশ হলো সে। সে মেয়ে হয়ে এতো তাড়াতাড়ি এলো আর ছেলেগুলো!
বিরবিরিয়ে তাদের বকতে বকতে, গ্রুপে ভয়েস রেকর্ড পাঠালো সে,
—- শালা, মেইকআপ করস তোরা। এতোসময় লাগে! বিয়া করতে যাবি?
তারপর ধুপ করেই ওখানের একপাশে বসে পড়ে সে। বন্যা লং কামিজ পড়েছে, ব্যাগটি ঝুলিয়েছে দু’কাধে। ওকে এই অবস্হায় দেখলে হয়তো কেউ বলবে না একটি স্কুলের টিচার সে! কিছুসময় পর তিশা-তানিমের দেখা মিলল তার।কিন্তু তাদের দেখা মেলা বা না মেলা যেন একসমানই! টুনা-টুনি বাস কাউন্টারের ডুকেই একপাশে চলে গেল! তারপর সেখানে বসেই গুটুর গুটুর করায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো! এমন একটা ভাব তাদের যেন বন্যাকে দেখেই নি তারা! ফর্মালিটি সরুপ কয়েকবার ডাকলেও সেদিকে পা বাড়ালোনা বন্যা।
তারপরই সেখানে এলো সাগর। কাউন্টারে ডুকেই হা হয়ে তাকিয়ে রইলো সে বন্যার দিকে!যেন বহুদিনের তৃষ্ণার্ত পথিক সে! আর বন্যা, সে যেন তার সেই চাতক জিবনের নির্মল বাতাস! বন্যার তার দিকে চোখ পড়তেই নাক ফুলিয়ে সামনে হেঁটে এলো সে।তারপর বুকের ওপর আড়াঁআড়িভাবে হাত রেখে বলল
—– কিরে, ইনভাইটেশন লাগবে? তুই কি ভেবেছিস এইটা তোর শশুড়বাড়ি। আর কেউ তোকে বরণ ডালা নিয়ে বরণ করে জামাই আদর দিয়ে প্রবেশ করাবে এখানে?
—– ইশ, হলে ক্ষতি কি? চলনা বিয়ে করে ফেলি!
পুলকিত ভাবে ক্ষ্মীণস্বরে বলে উঠলো সাগর।
ব্রু কুঁচকে সাগরের দিকে তাকালো বন্যা। কি বলেছে বোঝার চেষ্টা করে, আরেকবার জিঙ্গেস করতে গিয়ে থমকে গেল সে! দরজার কাছে দাঁড়ালো কাঁপলটিকে দেখেই খুশিতে গদগদ করে উঠলো যেন!
দরজায় দাড়িয়ে থাকা মেয়েটি একদৌড় এসে জড়িয়ে ধরলো বন্যাকে! উপস্থিত কয়েকজন আঁড়চোখে তাকালো তাদের দিকে।কিন্তু তাদের মাঝে যেন এর কোন ভাবাবেগই হলো না।তারা তাদের ভালাোবাসা বিনিময়ে মগ্ন।
—— আরশ, মাই কিউটিপাই, লিটল ডল! কেমন আছিস মেরি জান!
—– ভালো ছিলাম, কিন্তু তোমাকে দেখে আরো ভালো হয়ে গেলাম!
এই বলে বন্যাকে আরো শক্তভাবে জড়িয়ে ধরলো আরশী।
সবার সাথে আরশীর পরিচয় করিয়ে দিল বন্যা। আরশী এবার চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পরিসংখ্যানে পড়ছে। তৃতীয় বর্ষ বলতেই গাল ফোলাল আরশী।তারপর অভিমানী কন্ঠে বলল,
—– চতুর্থ বর্ষের শেষে আমি।
—- তোর না ইয়ার ড্রপ হলো! প্রথম বার ঠিকেছিলি?
—– নাহ্, তোমার মামার বকাগুলোর কথা মনে নেই তোমার? তুমি সহ তো ছিলে, কিভাবে বকছিল আমাকে আর আম্মিকে সেদিন.
মুখ ছোট করে বলল আরশী। বন্যা তাকে স্বাভাবিক করতে, একদম বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
—- থাক বাদ দে।
—– হুম। আচ্ছা ভালো কথা বিয়ে কবে করবে তুমি? আমরা বিয়ে খাব কখন? ইশ নাচবো তোমার বিয়েতে আমি
ফোঁস করে নিশ্বাস ছাড়লো বন্যা! এ যেন মনের কোণে চেপে রাখা কষ্টের ছবি! তারপর মুখে মেকি হাসি ঝুলিয়ে বলল সে,
—- জানিস তো, মায়ের মতো ছাঁদ আর একটিও হয় না। বাবারা সব করতে পারলেও হয়তো মেয়ের বিয়ে সম্পর্কেই বেশী উদাসীন থাকে তারা। দেখনা, মা টা মারা গেল আমার ইন্টারের সময়। ভাইয়া বিয়ে করে নিল একাই।আর বাবা, তিনি তো নতুন মা কে নিয়ে ব্যাস্ত!
আরশী তাড়াতাড়ি বোনের মন স্বাভাবিক করতে নেমে গেল।আর অন্যদিকে সাগর করুণ চোখে তাকালো বন্যার হাসির আড়ালে লুকানো কষ্টে ভারাক্রান্ত চেহারাটির দিকে! মুহুর্তেই একরাশ কষ্ট যেন তাকেও গ্রাস করে নিল! মনে মনে কেবল এই পণ করলো সে,
” বন্যা কেবল তার প্রতি খানিকটা সদয় হোক! দুনিয়ার সকল খুশি বন্যার পায়ের তলায় বিছিয়ে দিবে সে!”
হঠাৎ তাদের মাঝখান থেকে বলে উঠলো ইরহাম,
—– কিরে তোমাদের লেইট লতিফ কোথাও। দ্যা গ্রেট ইরশাদ মেহবুব!
ধক করে উঠলো আরশীর বুকের ভেতর। হাতের আঙ্গুল গুলোও মুহূর্তেই কেঁপে উঠলো যেন! নামটি শুনেই কেন যেন পুরোনো কিছু স্মৃতি নাড়া দিয়ে উঠলো তার মনে! পুরাতন কিছু লাইন,
” পৃথিবীটা গোল, এর কোন শেষ ভাগ নেই। হয়তো কারো জন্য যা শেষ, অন্যের জন্য তা শুরু।আর সেই পৃথিবীর ছোট একটি দেশের, ছোট এক শহরে থাকি আমরা। কখনো মুখোমুখি হবো না, এ তো অসত্য! ”
ডানহাত দিয়ে নাকের ঘাম মুছে স্বাভাবিক ভাবে হাসতেই পেছন থেকে কারো স্বরে চমকে উঠলো আরশী! এই স্বর ভূলবার নয়! সে চায়লেও যেন পারবে না ভূলতে! কম বয়সী আবেগ ভোলাটা কতোটা কঠিন তা হয়তো সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আশা কন্যারঐ বোঝা সম্ভব!
—- এতো বড় হয়েছো, বিসিএস ক্যাডার হয়েছো।কিন্তু বাচ্চাকালের খোঁচানোর স্বভাবটা বন্ধ করো নি এখনো। তাইনা, ইরহাম ভাই!
ইরহাম ব্রু উঁচিয়ে পেছনে তাকালো। মুখে হাসি টেনে বলল,
—– তুমিও তো পাল্টাও নি! সেই এটিটিউট! তবে মনে হচ্ছে হালকা গম্ভীর হয়েছো আগের ছেয়ে। ওমা, বডিও বানিয়েছো দেখি!
মুচকি হাসলো ইরশাদ। তারপর এগিয়ে এসে কোলাকুলি করলো ইরহামের সাথে।
ইরহাম মুচকি হেসে আরশীর দিকে তাকালো। মেয়েটা পেছন ফিরে মাথা নুইয়ে আছে দেখে বড্ড অবাক হলো সে।ইরশাদের প্রশ্নসূচক দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি টেনে বলল,
—- আসলে আমার বৌটা বড্ড লাজুক।
তারপর একটানে আরশীকে ইরশাদের দিকে ফিরিয়ে দিল সে! তারপর আরশীর দুবাহুতে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলল,
—– এই যে আমার হবু বউ। আরশী মেহবুব।
চমকে বিস্ফোরিত চোখে সামনে তাকিয়ে আছে ইরশাদ! এতো বছর পর, বহু বার দেখতে চাওয়া চেহারাটি তারই চোখের সামনে উপস্থিত ! চেহারা হালকা পরিবর্তন হয়েছে হয়তো। কিন্তু অপরিচিত হয়ে উঠবে এতোটাও তো পরিবর্তন হয় নি! সেই ঘনপাপড়ি যুক্ত চোখ, সেই মিষ্টি চেহারা! আজ সেই নেমপ্লেটটা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে তার চোখের সামনে যা এতোদিন কল্পনা করেও পারে নি।
“হুম, আরশী ছিল নাম টি”
সব কিছু ভেবে দু’পা কেঁপে উঠলো ইরশাদের। যার কাছ থেকে কেবল হারিয়ে যাওয়ার কারণ জিঙ্গেস করার প্রতিক্ষায় ছিল সে, তাকে এই রুপে দেখার আশাটি যেন স্বপ্নেও ভাবে নি সে! আজ কেবল একটি প্রশ্নই যেন খুঁচিয়ে চলছে তাকে!
” কেন সামনে এলে!”
আরশী চোখ তুলে সামনের মানুষটির দিকে তাকালো। বুকের ভেতরটা মোচর দিয়ে উঠলো যেন সাথে সাথে তার। তার চোখে যে আরশীর জন্য হাজার অজুহাত!তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিল আরশী! অপরাধবোধ যে তাকে কুঁড়ে খাচ্ছে এখন! অতিতের স্মৃতি ও যেন তার মনের কোটরে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ!
সকাল ৯ টা, গ্রীনলাইন ট্রাভাইল্সে মাঝখানের সিটজুড়ে উঠে বসেছে সবাই। ইরশাদ যেন এখনো ঘোরের মাঝেই আছে! নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে, সামনের সিটের দিকে!
জানালার পাশের সিটে আরশীর বসার আগেই, ইরহাম বসে পড়লো! তার নাকি জানালার পাশে না বসলে ভালো লাগে না। আরশী আলতো মাথা ঝাঁকিয়ে তার পাশেই বসে পড়লো। তারপর আঁড়চোখে পেছনে তাকালো সে! ইরশাদের রাগী দৃষ্টি যেন ভষ্ম করছে তাকে!
সিটে আলতো মাথা এলিয়ে চোখ বুজলো আরশী। নিজের সেই শৈশবের ঘটনাগুলো যেন নাড়া দিচ্ছে এখন তার মনে!
🍁
সিরিয়াল পাগলী ছিল আরশী। তার প্রথম দেখা সিরিয়াল, জি বাংলার “কে তুমি নন্দিনী”৷ নন্দিনীর দুষ্টু মিস্টি মজাগুলো তার কাছে অতিমাত্রায় ভালো লাগতো তখন। খুব করে ইচ্ছে হতো তার, সেও নন্দিনীর মতো পালিয়ে যাবে একদিন। আর তারপর লুকিয়ে থাকবে কারো ঘরে, যে ঘরের সবাই অনেক আদর করবে তাকে! নন্দিনীর জিবনটা যেন নিজের সাথে কল্পনা করে পূলকিত হতো সে তখন!
ডিস ছিল না তখন আরশীদের বাসায়। পাশের বাড়ির জানালার কাছে দাঁড়িয়ে দেখতে হতো তাকে এই সিরিয়াল! পরে একদিন বাবা দেখে নেই তার এই কাজটি! আর খুব মার জুটে সেদিন আরশীর কপালে, সাথে ভিখারীর তখমাও!
আরশীর খুব করে মনে আছে, তার বাবা সেদিন তার বইগুলোও বেঁধে, পড়ায় বন্ধ করে দিয়েছিল তার! আর তার পর থেকেই আরশীর বেশীক্ষণ বাইরে বের হওয়া বন্ধ!
সিরিয়ালের নেশাটা হয়তো ড্রাগের মতো! আর কিশোরীদের জন্য তো আরো বেশী। আরশীও থাকতে পারে নি সেদিন। খুব কষ্ট হতো তার, পরের কাহিনী শোনার জন্য! স্কুলে গেলেই বান্ধবীদের থেকে শুনে নিত সে কাহিনী।আর সেখানেই আরো একটি সিরিয়ালের গল্প খুব করে চলতো, আর তার নাম ছিল ” পিয়ার কি এক কাহানী”। স্টার ওয়ানের এই নাটকটি টিফিন পিরিয়ডে বান্দবীর বাসায় বসে দেখতো সে! কিন্তু এতে ও যেন তার মন ভরতো না। পরবর্তিতে অনেক কষ্টে রেলিং এ ঝুলে, ডিসের তারের সাথেই এন্টেনা লাগিয়ে টিভি দেখতো সে! ঝিরিঝিরি করা, সাউনছাড়া সেই টিভি দেখার মাঝেও ছিল যেন কতো সুখ!
আনমনে হেঁসে দেয় আরশী।গাড়ি মিরসরাই ক্রস করছে আর আরশী ভাবছে তার সেই ক্লাস এইটে পড়া জিবনের কথা।,হয়তো এতো সিরিয়াল দেখতে দেখতে কল্পনার জগতে থাকতো সে। আর হয়তো তাই প্রেমটাও খুব তাড়াতাড়ি এসেছিল আরশীর জিবনে! সে এক কঠিন প্রেম! হাড় কাঁপানো শিহরণ জাগানো প্রবল অনুভূতি সম্পন্ন প্রেম!
তার সেই ক্লাস নাইনের প্রেম!
চলবে