ফিলোফোবিয়া পর্ব -০২

ফিলোফোবিয়া

ঊর্মি প্রেমা ( সাজিয়ানা মুনির)

২.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

গত শনিবার ব্যস্ততার ফাঁকে মেয়েকে একবার চোখের দেখা দেখতে জাফর সাহেব ইমান্দিপুর এসেছিলেন। অনেকদিন পর বাবাকে দেখে প্রিয়’র মন ভালো হলেও তা স্থায়ী রইল না বেশিক্ষণ। যেই শুনলো, মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা। বুকের ভেতর এক অ*স্বস্তি অ*স্থিরতার ঘুরপাক শুরু হলো। সেই থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বায়না ধরল। মেয়ের বায়না কানে তুললেন না জাফর সাহেব। বড় মেয়ের সুই*সাইড নিয়ে এখানো পুলিশ কেস চলছে, সেই সাথে স্ত্রীর দিনরাত কান্নাকাটি! সেখানে এসবকিছু্র মাঝে ভালো থাকবে না প্রিয়। সর্বক্ষণ মেন্টালি ডি*স্টার্ব হবে। তার নরম মনে চাপ পড়বে। মানসিক ভাবে আরো ভেঙ্গে পড়বে। মেয়ের মন খারাপের তো*য়াক্কা করে ভবিষ্যৎ ন*ষ্ট করার মানে হয় না কোন। এখানকার স্কুলে ভর্তি হয়েছে, দুদিন পর ক্লাস। এসময় বাড়ি নিয়ে যাওয়া উচিত হবেনা একদম। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে মেয়েকে রেখে গেলেন তিনি।
জাফর সাহেব ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পর থেকে প্রিয়’র মন ভার। সারা বিকাল বারান্দায় কা*টিয়ে, সন্ধ্যা নামাল আজ। বছরের শেষ দিন। এইদিনটা বাবা মা বোনদের সাথে কা*টিয়েছে এতবছর। এই প্রথম সবার থেকে এতো দূর, ভীষণ ক*ষ্ট হচ্ছে তার। মন খারাপের ভারী নিশ্বাস ফেলে দূর আকাশে চেয়ে রইল। নি*কষ কালো আঁধারে লাল নীল আলোর মেল।
সামনে চেয়ারম্যান বাড়িতে থার্টি-ফাস্টের বিশাল আয়োজন। ছাদ থেকে আতসবাজি ফোটানো হচ্ছে। সেই সাথে গানবাজনার উচ্চ আওয়াজ। বাড়ির সামনে বড় পাতিলে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে। এলাকার সব বখাটে ছেলেপেলেদের ভীড় সেখানে। কি লোভাতুর তাদের চাহনী!
সাধারণত শহরের পাশের গ্রামগুলো ছোট আকারের হয়। খুব অল্প সময়ই কথা ছড়ায়। গ্রামে নতুন কারো আগমনে সবাই জেনে যায়। প্রিয় ইমান্দিপুর এসেছে একমাস হতে এখনো বাকি ছয়দিন। এই অল্প সময়েই কথাটা পুরা গ্রামে ছড়িয়ে গেছে। কখনো গভীর রাতে জানালায় ডি*ল। কখনো আবার বাড়ির সামনে পুরানো জং ধরা ডাকবাক্সে মিলে প্রেমপত্র। এভাবেই চলছে দিন। এইতো গতকালই ঘটলো, চিঠির বাক্সে অজানা কারো প্রেমপত্র মিলল। খালা দেখে প্রচণ্ড রেগে গেল। পুরো এক ঘন্টা বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চিঠির ভুলগুলো সার্কেল করল। সবশেষে চিঠি মুড়িয়ে তার ঝাঁ*ঝালো কন্ঠে বিরক্তি ঠেলে বলল,
‘ দেখেছিস প্রিয় আজকালকার ছেলেপুলেদের লেখাপড়ার কি হাল? লিখেছে তুমি আমার প্রেমীকা হবে? প্রেমিকা বানানে কবে থেকে ই- কারের জায়গায় ঈ- কার হলো। কই আমরা তো কোন জীবনে পড়িনি। প্রেমপত্র লিখেছে সেখানেও শ’খানেক ভুল! এদের ভবিষ্যৎ কি ভয়ঙ্কররকম খারাপ চিন্তা কর একবার!’
তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে গম্ভীর হয়ে বলল আবার, ‘তোর কিন্তু এমন লেখাপড়া করলে চলবে না প্রিয়! মন দিয়ে পড়তে হবে প্রেমপত্রে যেন ভুল না পায় কেউ।’
খালার আচরণে প্রচণ্ড অবাক হয়েছিল। কোথায় ভেবেছিল কলেজের সবচেয়ে স্ট্রেইট প্রফেসরের বাড়িতে তার নামের প্রেমপত্র এসেছে। খুব করে শাসাবে, রাগ ঝাড়বে, তাকে বকবে । এই সুযোগে অভিমানের বাহানা করে প্রিয় ঢাকায় চলে যাবে। কিন্তু হলো কি? হলো উল্টো। মাঝেমধ্যে খালাকে দুনিয়ার অষ্টম আশ্চর্য মনে হয় প্রিয়’র। বুঝা বড্ড দায়। মাথায় কখন কি চলে কে জানে! এই ভালো এই মন্দ।
ভাবনার মাঝে আচমকা সামনের পেন্ডেলে শতাব্দ নামক সেই লোকটাকে দেখলো। কালো পাঞ্জাবিতে তদারকি করতে ব্যস্ত। তাকে ঘিরে রয়েছে বহু লোকজন। থাকাটাই স্বাভাবিক। বারান্দার বাতিটা খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও অনেকটাই স্পষ্ট। শতাব্দের সাথে প্রিয়’র একবার চোখাচোখি হলো। খুব অল্প সময়ের জন্য। সাথেসাথেই অস্বস্তিতে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো প্রিয় । মুখ ফিরিয়ে গেটের দিক তাকালো। ঘুটঘুটে অন্ধকার। বিনা বাতাসে দুলছে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাগানবিলাস গাছ। শব্দ হচ্ছে খচখচ। গেটের পাশে চিঠির বাক্সে কারো ছায়া। পুরুষালি কালো ছায়া! অন্ধকারে স্পষ্ট না হলেও চিনতে খুব একটা অসুবিধা হলো না প্রিয়’র। মোরের মাথায় কালো করে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রোগা পাতলা সেই বখাটে ছেলেটা। প্রিয়’র উপর কুনজর তার। দুইতিন দিন যাবত জ্বালাচ্ছে ভীষণ। বাড়ির সামনে সকাল বিকাল রাউন্ড দেয় কয়েকবার। এসবে প্রিয় অতিষ্ঠ ভীষণ।
রাগে বারান্দা ছেড়ে, ভারী মুখ করে ঘরে চলে এলো প্রিয়। ইমান্দিপুর তার একটুও ভালো লাগেনা। চারদিকে সব অচেনা মুখ। কেমন অদ্ভুত তাদের নজর! ঢাকায় থেকেছে বলে তাকে নিয়ে কানাঘু*ষো কম হয়না পাড়ায়। কাজের খালা এসে প্রায়ই বলে সেসব। হেয়ার কা*ট থেকে কাপড় অবধি এখানকার মানুষের তার সবকিছুতেই জাজমেন্ট। কই ঢাকায় তো এমন ছিলনা। কি ভালো ছিল তাদের সেই প্রতিবেশীরা।

টিভি ছেড়ে বেখেয়ালি চ্যানেল পাল্টাচ্ছে প্রিয়। আচমকা কনিং বেল বাজল। বির*ক্তির মুখ করে দেয়াল ঘড়ির দিক তাকালো । রাত এগারোটা। এত রাতে কে এলো? ডিনার করে খালা স্টাডি রুমে ঢুকেছে। কলেজের কিছু কাজ বাকি, সেগুলো শেষ করছে। কাজের মাঝে বি*রক্ত করা উচিত হবেনা। রেগে যাবে নিশ্চয়ই। ঘাড় ঘুড়িয়ে স্টাডি রুমের দিক তাকাল একবার। বেলের শব্দ খালা শুনেনি হয়তো। পরপর আরো কয়েকবার কনিং বেল বাজলো। সেই সাথে দরজা ধাক্কানোর ধুপধাপ আওয়াজ। বিরক্তির ভ*ঙ্গিতে সোফা ছেড়ে উঠলো প্রিয়। দরজা খুলে, বারো, তের বছরের এক ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। এর আগেও ছেলেটাকে দেখেছে। এই পাড়াতেই থাকে। ভীষণ দুষ্টু। কপাল কুঁচকে এলো প্রিয়’র। রাশভারী আওয়াজে জিজ্ঞেস করল,
‘ এত রাতে কি চাই?’
ফোকলা দাঁত দেখিয়ে ছেলেটা হাসল। হাতে থাকা তারাবাতির প্যাকেট দুইটা এগিয়ে দিলো। প্রিয়’র কপালে গভীর ভাঁজ পড়ল। বিব্রত হয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘ কি এইগুলো?’
‘ তারাবাতি।’
‘ কি করবো?’
‘ ভাই পাঠিয়েছে। ফো*টাবেন।’
হতাশ শ্বাস ফেলল প্রিয়। ছেলেটাকে নিশ্চয়ই ওই বাইকয়ালা ব*খাটে লোকটা পাঠিয়েছে। প্রচন্ড রকম মেজাজ খারাপ হলো। কিছুটা চেঁচিয়েই বলল,
‘ তোমার ভাই থেকে চেয়েছি আমি? যতসব ফালতু লোক। তোমার ভাইকে বলে দিও, এরপর আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করতে দেখলে তার মাথা ফা*টাবো।’
‘ মাথা ফা*টাবে বললেই হলো? তুলে আ*ছাড় মারবে। আমার ভাইকে তুমি চিনো? ‘
ছেলেটার কথায় হতবাক প্রিয়। এতটুকু ছেলে কি পাঁকা পাঁকা কথা তার। আরো রেগে গেল,
‘ যেমন গুরু তেমন তার শিষ্য! ব*দ! তাকে বলো পারলে আমার সামনে এসে দাঁড়াক।’
চেঁচামেচি শুনে আয়েশা বেগম স্টাডি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ততক্ষণে। দরজার কাছে প্রিয়কে দেখে ঝাঁ*ঝালো কন্ঠে আওড়াল সে,
‘ এখানে কি হচ্ছে!’
ছেলেটার দিক চোখ পড়তেই রাশভারি আওয়াজে জিজ্ঞেস করল,
‘ এই রাতে এখানে কি করছ শাদ?’
মুহুর্তে ছেলেটার চোখমুখ পাল্টে গেল। অ*সহায় কাচুমাচু ভাব করে বলল,
‘ বাড়ির আশেপাশে সব বিল্ডিংয়ে ভাইয়া তারাবাতি পাঠিয়েছে। আপাকে দিতে এলাম। আপা রেগে গিয়ে বলল আমার মাথা ফা*টাবে সাথে ভাইয়ারও।’
ছেলের কথা শুনে প্রিয় যেন আকাশ থেকে পড়ল। চট করে কি ভ*য়ঙ্কর মিথ্যা বানিয়ে বলল। সে এই ছেলের মাথা ফাটাবে কখন বলল? প্রিয় কিছু বলবে তার আগেই খালা ধমকে থামিয়ে দিলো। ছেলেটা যাওয়ার পর দরজা বন্ধ করে খালা প্রিয়’র উদ্দেশ্যে বলল,
‘ এসব কেমন আচরণ? তোর তারাবাতি ফো*টানো পছন্দ না তা সুন্দর করে বললেই হতো। শুধু শুধু এসব..’
মুখ মলিন করে নিলো প্রিয়। তার কাচুমাচু মুখ দেখে বড় খালা ছোট নিশ্বাস ফেলল। বোঝানোর সুরে বলল,
‘শুন প্রিয়, আমি জানি তোর এখানে থাকতে ভালো লাগছেনা। এখানকার পরিবেশ পছন্দ হচ্ছেনা। কিন্তু আগামী দুবছর তোকে এখানে থাকতে হবে। এখানে থেকেই স্কুল শেষ করতে হবে। তোর বাবা মা আমি আমরা কেউ তোর খারাপ চাইনা। তোর ভালোর জন্যই এখানে আনা। জানি এখানে এডজাস্ট হতে স*মস্যা হবে। তাই বলে তুই চেষ্টা করবিনা? তুই একবার মন থেকে চেষ্টা কর আমি জানি তুই পারবি। ঢাকার মত স্বাভাবিক হবে সব।’

প্রিয়’র নানা বাড়িটা বেশ পুরানো। কাঠের সিড়ি, তারে টানা টেলিফোন, বাড়ির সামনে ডাকবাক্স, জায়গা জায়গায় ঘুনে ধরা কাঠের দরজা। ছাদ জুড়ে ছোট বড় ফুলের টব। দরজা জানালায় আশি দশকের কারুকাজ। ট্রেডিশনাল ফার্নিচারে সাজানো অপূর্ব ঘর। যেন পুরানো নিদর্শন। নানা যৌবন কালে কাজের সুবাদে বেশ কিছুকাল কলকাতায় ছিলেন, তাই শখ করে সেখানকার বাড়ির নকশার মত বাড়ি গড়িয়ে ছিলেন। ভেবেছিলেন পরবর্তীতে ছেলে সন্তান হলে যুগের সাথে মিলিয়ে নতুন নকশায় বাড়ি তৈরি করে দিবে। ছেলে সন্তান না হওয়ায় তা হলো না। নানা বাড়িটাও আর সংস্করণ করলো না। বছর তিনেক আগে খালা সামান্য মেরামত করালেও পুরোনো কিছু বদলায়নি। সবটা আগের মতই আছে, নতুনত্বের মৃদু ছোঁয়া লাগিয়েছে শুধু।
দুপুরের শেষ ভাগ। হেলে পড়া সূর্যের কোমল আলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চারিদিক। বেতে্র চেয়ারে বসে প্রিয়’র চুলে তেল লাগিয়ে দিচ্ছে খালা। চোখমুখ আঁধার করে বসে আছে প্রিয়। চুলে তেল লাগানো মোটেও পছন্দ না তার। টিভিতে ক্রমাগত গান চলছে। মধুর গান গুলোও যেন বি*ষাক্ত লাগছে। বিলি কেটে তালুতে তেল লাগাতে লাগাতে খালা বিরক্তির কন্ঠে বলল,
‘ তোদের আজকালকার মেয়েদের লজিক আমার মাথায় ডুকেনা। চুলে তেল না দেওয়া এটা আবার কেমন ফ্যাশন?আমাদের সময় মাথায় তেল লাগানোর জন্য মা চাচিদের পিছুপিছু ঘুরতাম। আর তোদেরকে তুলুতুলু করেও দেওয়া যায় না!’
ঝিমিয়েঝিমিয়ে খালার কথা শুনছিল প্রিয়। ঘুমে চোখ লেগে আসছে বারবার। খালার কথার হু, হা জবাব দিচ্ছে মাঝেমধ্যে। আবার ছাড়া পাবার অপেক্ষায় ঘড়ির দিকেও তাকাচ্ছে।
এমন সময় কনিং বেল বাজল। প্রিয়’র মন ফুর ফুরিয়ে উঠল। চোখের ঘুম উধাও মুহূর্তেই। ছাড়া পাবে বুঝি এইবার। ঝটপটে বলল,
‘ কে এসেছে দেখে আসি?’
খালা সরু দৃষ্টিতে তাকাল। গম্ভীর আওয়াজে বলল,
‘ লাগবে না। আমি যাচ্ছি।’
খালা উঠে যেতেই, ধপ করে সোফায় উঠল প্রিয়। দু’পা তুলে আরাম করে বসল। টিভির ভলিউম বাড়িয়ে গুনগুন করে গান গাইতে লাগল।
আচমকা পুরুষালি আওয়াজে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে চাইল। শতাব্দ এসেছে। শতাব্দকে দেখে খুব বেশি অবাক হলো না প্রিয়। খালা একা থাকে বলে, প্রায় বিকালেই খালার ছাত্রছাত্রীরা চায়ের আড্ডায় আসেন। ছাদে বারান্দায় জমিয়ে চায়ের আড্ডা গল্প গুজব হয়। শতাব্দকে বসতে বলে খালা চা বানাতে চলে গেলেন। প্রিয় পা নামিয়ে, জামাকাপড় গুছিয়ে ভদ্র হয়ে বসল। আড়চোখে সামনের লোকটার দিক একবার চাইল। সোফায় গা এলিয়ে পায়ের উপর পা উঠিয়ে আরাম করে বই পড়ছে। যেন এই বাড়ি তার।
বিরক্তির মুখ করে টিভি দেখায় মন দিলো প্রিয়। কিছু সময় যেতেই আচমকা এক গম্ভীর কর্কশ আওয়াজ কানে এলো,
‘ শুনলাম তুমি নাকি মাথা ফা*টাতে খুঁজছ আমায়? তাই মাথাটা ফা*টাতে আসলাম।’
প্রিয় স্তব্ধ হতভম্ব। গোল বড় বড় চোখে বিমুঢ় চেয়ে। লোকটা অস্বাভাবিক শান্ত। গভীর চোখজোড়া বইয়ের পাতায় তখনো নিবন্ধ। যন্ত্রের মত আটকে আটকে জিজ্ঞেস করলো প্রিয়,
‘ সেদিন তারাবাতি আপনি পাঠিয়েছিলেন?’
বই হতে দৃষ্টি উঠিয়ে গম্ভীর হয়ে চাইল শতাব্দ। উত্তর বুঝতে পেরে ভয়ে ঢোক গিলল প্রিয়। মাথা ঘুরছে। পেট মো*চড়াচ্ছে। সেদিন রাগের মাথায় কত কি না বলল। বি*চ্ছু ছেলেটা সব বলে দিয়েছে নিশ্চয়ই! হয়তো সাথে বাড়িয়ে বলেছে আরো। এখন যদি রেগে গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়? প্রিয় উঠে দাঁড়ালো। চোখ বুজে ভীতু গলায় মিনমিনিয়ে কিছু বলল। তারপর এক দৌড়ে রুমে চলে গেল। খালা চা হাতে পিছন থেকে কয়েকবার ডাকলো। দুয়ার খুলল না প্রিয়। না উত্তর দিলো। সারা বিকাল দুয়ার বন্ধ করে ঘরে বসে রইল।

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here