বড্ড ভালোবাসি পর্ব ১৯+২০

গল্প :- বড্ড ভালোবাসি
পর্ব :- ১৯ এবং ২০
Writer :- Labiba Islam Roja
:
:
:
আশ্চর্য হাসছেন কেন?
.
আসলে তিশার অবস্থা দেখে।এই রোদে দাঁড়িয়ে মেয়েটার কি অবস্থা হয়েছে কিন্তু আশ্চর্য তোমার কিছুই হয়নি এতেই বোঝা যাচ্ছে তুমি আসলেই পেত্নী হা হা।
.
এতে প্রমাণ হয় আমি পেত্নী না।আমি ফিজিক্যালি স্ট্রং একটু তে আমার কিছু হয় না।ও অনেক অনেক দুর্বল তাই এই টুকুতেই হাঁপিয়ে গেছে।
.
তুমি স্ট্রং সিরিয়াসলি (অবাক হয়ে)
.
অভিয়াসলি!কেন আপনার কি এতে ডাউট আছে….(ভ্রু কুঁচকে)
.
হুমম!এতই হতে স্ট্রং তাহলে সেদিন সামান্য একটা অন্ধকার রুমে ওভাবে ভয়ে কাঁপতে না আর জ্ঞানও হারাতে না।
.
ওই ভয়ংকর দিনের কথা মনে হতেই ভয়ে চুপসে গেলাম।ও.ওটা ত.তো খুখুব ভয়ংকর রুম ছিল তার উপর অন্ধকার আমি কেন যে কেউ দেখে ভয় পাবে।(ঢোক গিলতে গিলতে)
.
ওকে রোজ এই নাও পানি খাও(বোতল এগিয়ে দিয়ে)আর ওই দিনের কথা আর মনেও এন না।খারাপ সময় যত তারাতারি সম্ভব ভুলে যাওয়া উচিৎ।
.
কি করে বুঝলো আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এটা আমার প্রয়োজন!আপনিই তো মনে করালেন….গাল ফুলিয়ে
.
হুম সরি।
.
.
.
কিছুক্ষন হল বাড়িতে এসেছি। রাক্ষস নামিয়ে দিয়ে গেছে।আজ অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।উনার উপরের সব রাগ নিমিষেই হাওয়া।কি করে হলো এটা আচ্ছা লোকটা কি ম্যাজিক জানে।কান ধরা সিনটা দারুন ছিল।এই প্রথম ভাইয়া ছাড়া আমাকে খুশি দেখার জন্য কেউ কান ধরলো।
.
অপর পাশে রিহান আজ খুব খুশি তার মায়াবিনী অবশেষে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে।এ কদিন নিজের অপরাধ বোধে ঘুমাতে পারে নি তাই সে আজ নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।মায়াবিনী কে নিয়ে স্বপ্নে ভেসে বেড়াবে।।মায়াবিনীর কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পরল রিহান।
.
দেখতে দেখতে কয়েকদিন কেটে গেল….তবে এবার রিহান আর রোজের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই।তবে ডেইলি কোনো না কোনো কারনে দুজনের ঝগড়া আর খুনসুটি চলছে।রোজ শাওনের সাথেও অনেকটা ফ্রী হয়ে গেছে যেটা রিহানের মোটেও পছন্দ হচ্ছে না কিন্তু এ নিয়ে কিছু বলতেও পারছে না। এরমধ্যে রাহাতের বাবা রাহার বাবার কাছে একটা প্রস্তাব রাখলেন….. যেহেতু এটা এরেঞ্জ ম্যারেজ সেহেতু রাহার সাথে রাহাতের একটু সময় কাটানো উচিৎ। এতে দুজন দুজনকে ভালোভাবে জানতে পারবে।তিনিও আপওি করলেন না।
.
পার্কে বসে আমি আর ভাইয়া ভাবির জন্য অপেক্ষা করছি।কিছুক্ষণ ঘুরে ডিনার করে বাসায় ফিরব।রাহা ভাবি আনকমফোর্টেবল ফিল করতে পারে তাই ভেবে মা আমাকে ভাইয়ার সাথে পাঠিয়েছেন।আমি অবশ্য আসতে চাইনি কারন কাবাব মে হাড্ডি হতে কে চায় কিন্তু আমার মা সেটা বুঝলেন না তার জেদের সামনে হার মেনে আসতেই হলো।
.
.
কিছুদূরে দেখলাম ভাবি আসছেন তার ডেবিল ভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলতে।পরনে জিন্স হোয়াইট টি শার্ট, দুটো বোতাম খোলা,হাত ফোল্ড করা চোঁখে সানগ্লাস সিল্কি চুলগুলো কপালে এসে পরছে মুখে হাসি সব মিলিয়ে অসাধারন লাগছে।আরেক দফায় ক্রাশ খেলাম।ভাবি আমাকে এসে ধরলে হুশ ফিরে।ছিঃকি লজ্জা! এতক্ষণ ধরে উনাকে দেখছিলাম বুঝতে পারে নি তো কে জানে(লজ্জা পেয়ে)।রাক্ষস ভাইয়ার সাথে খোলাখুলি করছে আর কথা বলছে।
.
.
কেমন আছো ভাবি?
.
হুম আলহামদুলিল্লাহ (লজ্জা রাঙা মুখ করে)।তুমি কেমন আছো।
.
আলহামদুলিল্লাহ্‌!এমা তুমি এত লজ্জা পাচ্ছ কেন? আমার এত লজ্জাবতী লতা ভাবি ভালো লাগবে না।একটু স্বাভাবিক হও।
.
পাশ থেকে রাক্ষস বলে উঠলো ও তুমি ভেব না রোজ আপু ওতটাও লজ্জা পায় না এখন আমরা সামনে আছি তো তাই একটু লজ্জা পাচ্ছে।ওদের একলা ছেড়ে দিলে দেখবে সব লজ্জা উদাও বলে ভাইয়া আর রাক্ষস হেসে উঠলেন।
.
কি বজ্জাত ছেলে রে বাবা নিজের বোনকেও এরকম অস্বস্তিতে ফেলে দিল।কথাটা শুনে ভাবি রাক্ষসের দিকে রাগী চোঁখে তাকালো।আর লজ্জায় পারছেনা মাটিতে মিশে যেতে যদি পারতো তাহলে তাই করত।।এর কথা শুনে তো আমারই লজ্জা লাগছে।মুখে কিছু আটকায় না।
.
আমিও বুঝলাম ভাইয়াও ইজি হতে পারছে না।তাই ভাইয়াকে বললাম
.
ভাইয়া আইসক্রিম খাব!
.
ঠিক আছে তোমরা গল্প কর আমি নিয়ে আসছি।
.
না ভাইয়া আমি গিয়ে আইসক্রিম আনব তুমি থাক। চিন্তা কর না আমি যেতে পারব।
.
না পরী তুই পারবি না।আমিও আসছি তোর সাথে এক মিনিট।
.
উফফ ভাইয়া যে কি কে জানে!উডবি ওয়াইফকে নিয়ে কোথায় ঘুরে বেড়াবে টাইম স্পেন্ড করবে তা না এখনও বোন নিয়ে পরে আছে!ওপাশ থেকে রাক্ষস বলল ভাইয়া আমি যাচ্ছি তোমরা থাক চারপাশ একটু ঘুরে দেখ।ভাইয়াও আর আপওি করলো না।।আমি রাক্ষস পাশাপাশি হাঁটছি।
.
আইসক্রিমটা একটা বাহানা তাইনা! ইচ্ছে করে উনাদের একা রেখে এলে।
.
জ্বি!যাক এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছন।দেখলাম দুজনেরই আনইজি লাগছে একলা ছাড়লে হয়তো স্বাভাবিক হতে পারবে তাই।
.
হুম বিরবির করে সবাইকেই বুঝ বাট আমার বেলা কিছুই বুঝ না অবুঝ।
.
কিছু বললেন
.
না!আচ্ছা এত চকলেট আর আইসক্রিম খাও কেন?(আইসক্রিম নিতে নিতে)
.
মানুষ খায় কেন?(মুচকি হেসে)ভালো লাগে তাই।আই লাভ চকলেট এন্ড আইসক্রিম এগুলো পেলে আমার আর কিচ্ছু চাই না।(আইসক্রিম খেতে খেতে)
.
এই মেয়ে এত আইসক্রিম কি করে খায় কে জানে।কেমন বাচ্চাদের মত খাচ্ছে দেখ।
.
আমি আইসক্রিম খাচ্ছি!রাক্ষস সবার জন্য আইসক্রিম নিল কিন্তু নিজের জন্য নিল না।আপনি আইসক্রিম খান না?
.
না তেমন খাই না তবে আজকে খাব।
.
তাহলে আপনার টা কোথায়?
.
এইতো বলেই আমার হাফ খাওয়া আইসক্রিমটা একবারে গপ করে খেয়ে নিলো।দেখলে আমার আইসক্রিম।
.
এটা কি হলো! এটা তো আমার আইসক্রিম ছিল আপনি খেলেন কেন?(ঠোঁট উল্টে)।আস্ত রাক্ষস আপনি!নাহলে এভাবে কেউ একবারে সাবার করতে পারে।
.
হুম তুমিও আস্ত পেত্নী।আমার খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু তোমাকে ওভাবে খেতে দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না।
.
তো আর ছিল না।আমারটাই নিতে হলো।(করুন কন্ঠে)
.
হুম ছিলো বাট তোমার খাওয়া দেখে বুঝলাম ওটা বেশি টেস্টি হবে অন্যটা হবে না তাই নিয়ে নিলাম। নাও আরেকটা দিচ্ছি খেয়ে নাও।আর চল ওদের দিতে হবে না হলে গলে যাবে।তুমি একটু এগুও আমি টাকাটা দিয়ে আসছি।
.
আইসক্রিম খেতে খেতে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালাম।
.
আইসক্রিমের দাম মিটিয়ে পেছনে তাকিয়েই আমার নিঃশ্বাস আটকে আসার মত অবস্থা….রোজ আইসক্রিম খেতে খেতে একদম রাস্তার মাঝামাঝি চলে গেছে।ওর পেছনে একটা গাড়ি খুব দ্রুত আসছে।এবার কি হবে রোজজজজ!কিন্তু শুনছে না।
.
হঠাৎ কেউ আমার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।আচমকা এমন ঘটনায় আমি নির্বাক। মুহূর্তেই আমার কাছ দিয়ে একটা গাড়ি হুশ করে চলে গেল।বুঝতে দেরি হয়নি এখন ইনি যদি আমাকে না সরাতেন তাহলে হয়তো এখানেই জিবনের ইতি টানতে হতো।মাথা তুলে তাকাতেই দেখি উনি আর কেউ নন রিহান ভাইয়া……
.
এই তুমি এত কেয়ারলেস কেন। আইসক্রিম খাচ্ছ তো খাচ্ছই আশেপাশে কি ঘটছে তার কোনো হুশই নেই।কেন তোমার আইসক্রিম কি কেউ কেড়ে নিচ্ছে এত তাড়াহুরো করে খাচ্ছ।সবসময় বাচ্চামো কেন বুঝনা আজ যদি তোমার কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি কি ……(চিৎকার করে)
.
আমার কিছু হলে আপনার কি?আমি খেয়াল করিনি আর আামার তো কিছু হয়নি দেখুন আমি একদম ঠিক আছি।তাহলে এত হাইপার হচ্ছেন কেন?
.
তুমি কি করে বুঝবে তোমার কিছু হলে আমার কি!তোমায় দেখে রাখার দায়িত্ব ভাইয়া আমাকে দিয়েছেন এখন যদি তোমার কিছু হয়ে যেত তাহলে আমাকে হাজতে থাকতে হতো ডেম ইট।বুঝতে পারছো আমার লাইফটাই হেল হয়ে যেত।হ্যাঁ এখন কিছু হয়নি কিন্তু আমি সময়মত না আসলে কি হতে পারতো তোমার কোনো আইডিয়া আছে।
.
(অবাক হয়ে শুধু এই কারনে আমি আরও ভাবলাম)ওহহ!(মুখ গোমরা করে)ঠিক আছে শান্ত হন আমার কিছু হয়নি তাই টেনশন করবেন না আপনােও হাজতে যেতে হবে না।চলুন আর প্লিজ ভাইয়াকে এ ব্যাপারে কিছু বলবেন না।
.
হুম চলো আবার আইসক্রিম কিনতে হবে…..!!
:
:
#Part_20
:
:
আইসক্রিম নিয়ে আসার সময় রাক্ষস কাকে দেখে থেমে গেল।দুজনে ৩২ দাঁত বের করে হাসছে আর আজাইরা কথা বলছে।কথাবার্তায় বুঝতে পারছি বন্ধু হবে নাহলে এভাবে কেউ কথা বলবে না।
.
অপরিচিত লোকটা জিজ্ঞেস করলো কি রে মেয়েটা কে?গার্লফ্রেন্ড নাকি(ভ্রু নাচিয়ে)
.
ননা (আমতা আমতা করে)আপুর ননদ।
.
মিথ্যা বল না দোস্ত বুঝতে পারছি।কি ভাবি ভালো আছেন?
.
উনার কথা শুনে আমার চোঁখ বড় বড় হয়ে গেল।একেবারে ভাবি এখানে দাঁড়ালে আরো কতকিছু শুনতে হবে কে জানে এর থেকে কেটে পরাই উওম।
.
রোজ তুমি ওর কথায় কিছু মনে করনা আসলে ও এমনই।আর রোজ ও হলো আহান আমার স্কুল ফ্রেন্ড।
.
আমি জোরপূর্বক একটা হাসি দিলাম।তখন তিনি বললেন ভাই আর বলিস না মামা গার্লফ্রেন্ডের জ্বালায় আর বাঁচি না।তুই তো সি….না তো। আচ্ছা এবার বল ওই মেয়েটার খবর কি!
.
অবাক হয়ে কোন মেয়েটা?(চোঁখ মুখ দিয়ে না ইশারা করে)আমার ইশারা পেয়ে আহানও চুপ মেরে গেল।আর কথাবার্তা বলে বিদায় নিলাম।
.
উনার কথায় কিছুটা সন্দেহ হলো সত্যি রাক্ষস আবার প্রেম টেম করে নাকি।মনের অশান্তি দূর করাই উওম জিজ্ঞেস করেই দেখি!আচ্ছা আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?
.
হুম সিওর!
.
আপনি কি কাউকে ভালোবাসেন?
.
হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন?
.
না এমনি জানতে চাইছিলাম ঠিক আছে বলতে হবে না।
.
হুম একজনকে বড্ড ভালোবাসি ।কিন্তু সমস্যা হলো সে আমাকে কখনও বুঝে না।আমি তার জন্য যাই করি না কেন হিতে বিপরীত হয়।আর সে সবাইকে বুঝে বাট আমার বেলা তার যত বাচ্চামো,অবুঝ।আমার বেলায় কিচ্ছু বুঝে না।
.
খিল খিল করে হেসে আপনি কিনা একটা বাচ্চার প্রেমে পরলেন যে কিনা আপনাকে বুঝেই না হোয়াট এ্যা জোকস
.
হুম! দারুন না জোকসটা
.
মানে আপনি আমার সাথে মজা করছিলেন।উনি আর কিছু বললেন না তবে এটা বুঝলাম উনি আমার সাথে মজাই করেছেন ভেবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।
.
.
কলেজ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে গল্প করছি।গল্পের টপিক প্রেম আর শাওন তার লাইফের প্রেম কাহিনী শুনাচ্ছে।বেচারা সব জায়গাই ছ্যাঁকা খেয়েছে এবার নতুন করে আবারও কাউকে লাভ করতে শুরু করেছে।তবে এবার নাকি সত্যি সত্যি প্রেমে পরেছে।কে জিজ্ঞেস করায় জবাবে সে একটা মুচকি হাসি উপহার দিয়েছে।
.
.
তিশাকে গুতা দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তোর খবর কি!কয়টা প্রেম করলি এ পর্যন্ত?আমার কথা শুনে তিশা অগ্নিমূর্তি ধারন করল।বুঝতে পারছি ক্ষেপেছে।তাই ওকে আরেকটু ক্ষেপানোর জন্য বললাম জানো শাওন তিশা কাকে লাভ করে?
.
শাওনঃতিশা যে রিলেশনে আছে সেটাই জানি না আর তুমি বলছো কাকে?কাকে লাভ করে ও?
.
কাকে আবার রিহান ভাইয়াকে আর উনিও তিশাকে খুব ভালোবাসেন করেন!সেদিন দেখলাম দুজনে….
.
ওই ছেমরি তুই চুপ করবি সারাক্ষণ খালি ফাইল কথা কস।যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পরশির ঘুম নাই। রিহান ভাইয়া আমাকে না অন্য একটা মেয়েটাকে লাভ করে নিজের জিবনের থেকেও বেশি। সেটা এই কলেজের কেউ না জানলেও আমি জানি।এক নাগারে কথাগুলো বলে দিলাম।এবার মনে পরলো কি বললাম…..
.
.
তিশার কথা শুনে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল।নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।উনি অন্য কাউকে ভালোবাসেন।ভিতরটা দুমরে মোচড়ে যাচ্ছে। বড্ড ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।উনি বলেছিলেন কাউকে ভালোবাসেন কিন্তু তখন বিশ্বাস হয়নি তাহলে সেদিন উনি সত্যি বলেছিলেন। যখনই উনাকে নিয়ে স্বপ্ন সাজাতে শুরু করি সেই সময়ই একটা ঝড় এসে সবকিছু উলট পালট করে দেয়।
.
শাওনঃতিশা সত্যি বলছিস। কাকে? মেয়েটা কি আমাদের কলেজের?
.
তিশাঃএই তুই চুপ করবি।এত জেনে তোর কি!যাকে ইচ্ছা তাকে লাভ করুক এতে আমাদের কি।যখন সময় আসবে তখন জানতে পারবি।
.
উনার রিলেশনেরর কথা শুনার পর থেকে উনাকে এবোড করে চলেছি।কেন যে উনাকে সহ্য হয় না।উনি বার বার কথা বলতে চান কিন্তু আমি চাই না এড়িয়ে চলি।আজকে ভাইয়ার বিয়ের শপিং করতে যাব।ভাবিরাও আসবে কিন্তু মন ভালো নেই কি করে যাব।গেলেই তো উনাকে ফেস করতে হবে কিন্তু না গিয়েও উপায় নেই।কেনাকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে আমাকে কিছু কিনতে বললে আমি এটা ওটা দেখছি কিন্তু পছন্দ হচ্ছে না।
.
।আজকে রাক্ষসের দিকে একবারও তাকাইনি অন্যের জিনিসে কেন নজর দিব।এতদিন জানতাম না একরকম ছিল কিন্তু এখন তো জানি তাহলে আর শুধু শুধু কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে হয় না।একটু সাইডে গিয়ে শাড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করছি তখন রাক্ষস এসে আমার পাশে দাঁড়াল।
.
এটা তোমাকে মানাবে না।(নাক ছিটকে)ওই যে ওইটা দেখ তোমাকে মানাবে।
.
কথাগুলো শুনেও না শুনার ভান করে দোকানীকে বললাম এটাই প্যাক করে দিতে আর এখান থেকে চলে আসছিলাম তখন খুব শক্ত করে আমার হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরালেন।
.
হাত ছাড়ুন!
.
যতক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রশ্নের উওর পাচ্ছি না ততক্ষণ ছাড়ব না।(দাঁতে দাঁত চেপে)আমার সাথে কথা বলছো না কেন?কি করেছি আমি।
.
আপনার উওর দিতে আমি বাধ্য নই।এটা কোন ধরনের অসভ্যতা হাত ছাড়ুন বলছি।
.
আমার উওর এখনও পাইনি….
.
মেয়েদের হাত দেখলেই ধরতে ইচ্ছে করে(প্রচন্ড রেগে) কিসের উওর আমি আপনার এসব ফালতু কথার উওর দিব না।ছাড়ুন ছাড়ুন বলছি!(হাত ঝাকিঁয়ে)
.
বললাম তো উওর না দেওয়া পর্যন্ত ছাড়ব না।তোমার কাছে এসব ফালতু হতে পারে বাট আমার কাছে না।।দেখি কতক্ষণ চুপ করে….
.
ঠাসস!অনেক সহ্য করেছি আপনার লুচ্চামি কিন্তু আর না।আপনাকে ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলছি না বলে কি ভাবছেন আমি আপনাকে ভয় পাই।এটা ভেবে থাকলে ভুল ভাবছেন। আর কোনো দিন আমার হাত ধরার চেষ্টাও করবেন না!মাইন্ড ইট।আপনি একটা নির্লজ্জ বেহায়া লোক।এই থাপ্পড়টা আরও আগে দেওয়া উচিৎ ছিল।আশা করি নেক্সট টাইম কারও হাত ধরার আগে এই থাপ্পড় টা মনে পরবে।
.
.
.
.
আজকের পর হয়তো রেগুলার গল্প দিতে পারবো না।তবে চেষ্টা করবো।একদিন পর পর দেব….এই জন্য আমাকে কেউ বকবেন না বকলে মাটিতে পইরা কানমু…..
.
.
চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here