বর্ষণের সেই রাতে পর্ব ৬

#বর্ষণের সেই রাতে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব: ৬
.
আমি বুঝতে পারলাম উনি কী চাইছেন আমি একটু অবাক হলেও আমার কার্ডটা নিয়ে ওনাকে দিলাম। উনি সেটা নিয়ে মুচকি হেসে গাড়িতে উঠলেন। গাড়ি স্টার্ট করতেই উনি হাত নাড়লেন আর আমিও হাত নেড়ে বিদায় দিলাম ওনাকে।
যতোক্ষণ গাড়িটা দেখা গেছে তাকিয়ে ছিলাম আমি। জানিনা আর দেখা হবে কী না। আকষ্মিক ভাবেই একটা গোটা একরাত একসাথে ছিলাম বর্ষণের সেই রাতে। যেই রাতটা আমার কাছে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। নিজের একা জীবণে একরাতের জন্যে হলেও একজন সঙ্গী পেয়েছিলাম। কিন্তু উনি কী মনে রাখবেন আমাকে? হয়তো হ্যা আবার হয়তো না। হয়তো অনেক মানুষের ভীরে আমি পরে থাকবো ওনার স্মৃতির কোনো এক তুচ্ছ কোণে। গাড়িটা চোখের আড়াল হতেই নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ভেতর থেকে। আমার মতো কারো জীবণে কেউ চিরস্হায়ীভাবে আসবে এটা ভাবাও বোকামী। একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে স্কুটিতে উঠে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলাম অফিসে।

অফিসে গিয়ে গলায় আইডি কার্ড পরতে পরতে তাকিয়ে দেখি বান্দর আর বান্দরনী বসে আছে। মানে আমার দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড অরুমিতা আর তীব্র। নিজের বলতে এরা দুজনই আছে আমার। ওরা না থাকলে হয়তো আমি বেচেই থাকতে পারতাম না। তবে সবসময় বিভিন্ন কথা বলে আমাকে ইরিটেড করার জন্যে উঠে পরে লাগে। আমি গিয়ে বসতেই ডান পাশের ডেস্ক অরু বলল
— কী ব্যাপার ম্যাডাম? আজ একটু লেট করলেন যে?
আমি কম্পিউটার অন করতে করতে মুচকি হাসি দিলাম কিন্তু কিছু বললাম না। সেটা দেখে পেছনের ডেস্ট থেকে চেয়ার ঘুরিয়ে তীব্র বলল
— মৌসম বহোত সুহানি সি লাগ রাহি হ্যা? ব্যাপার কী?
আমি এবারেও কিছু না তীব্রর দিকে তাকিয়ে হাসির রেখাটা বড় করে আবারও কম্পিউটারে চোখ দিলাম। সেটা দেখে দুজনেই ভ্রু কুচকে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। দুজনেই আহাম্মকের মতো বসে আছে। আর আমি মিটমিটিয়ে হাসছি। আমি ইচ্ছ করেই ওদের কনফিউসড করছি। কারণ আমার মতে বন্ধুদেরকে কনফিউসড করে ইরিটেড করায় যে মজা আছে সেটা অন্য কিছুতে নেই। বন্ধুদের জ্বালানোর পর তাদের ওই কাচুমাচু মুখটা দেখলে কেমন যেনো শান্তি শান্তি লাগে। ওরা দুজনেই ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর আমি একমনে কম্পিউটারে কাজ করছি। অরু এবার বিরক্ত হয়ে বলল
— ওই তুই কিছু বলবি? এভাবে হাসছিস কেনো?
তীব্রও এবার বিরক্ত হয়ে বললেন
— আরেহ ইয়ার কিছুতো বল? এভাবে হাসছিস কেনো? হয়েছেটা কী।
আমি কম্পিউটারে চোখ রেখেই মিটমিটিয়ে হাসতে হাসতে বললাম
— হয়েছেতো অনেক কিছুই।
অরু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
— অনেক কিছু মানে? কী কী হয়েছে?
আমি এবারেও চুপ করে মিটমিটিয়ে হাসতে হাসতে কম্পিউটারে কাজ করতে লাগলাম। হঠাৎ তীব্র কিছু একটা ভেবে ঝট করে চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার কপালে গলায় হাত দিয়ে বলল
— ওই কাল রাতেও তো বাজ পরেছিলো তুই ঠিক আছিস তো?
এটা শুনে অরু তাড়তাড়ি উঠে দাড়িয়ে বলল
— ওহ সিট আমিতো ভুলেই গেছিলাম।
আমি এবার মুখটা সিরিয়াস করে একবার অরুর দিকে আরেকবার তীব্রর দিকে তাকালাম তারপর ভ্রু কুচকে বললাম
— তোরা জানিসনা আমি কাজের সময় কোনো কথা বলিনা। যা বলার লাঞ্চ টাইমে বলবো এখন চুপচাপ কাজ কর।
অরু উত্তেজিত কন্ঠে বলল
— প্লিজ ইয়ার এখন বলনা নইলে মনের ভেতর কেমন ধুকপুক ধুকপুক করবে।
আমি ওর দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বললাম
— তুই আর তোর ওই ধুকপুক। ইরিটেটিং ইয়ার।
তীব্র অরুর দিকে হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
— ওকে তেল দিয়ে তেল খরচ করার চেয়ে কারখানায় দান করে দিয়ে আসা ভালো। ও যখন একবার বলেছে যে লাঞ্চ চাইমে বলবে তখন তখনি বলবে।
এরপর দুজনেই ছোট্ট করে একটা নিশ্বাস নিয়ে ডেস্কে বসে কাজে লেগে পরলো। আমি মুচকি মুচকি হাসছি আর আড়চোখে ওদেরকে দেখছি। আমি চাইলেই ওদের এখনি বলতে পারতাম কিন্তু ওদেরকে টেনশনে রাখতে কেনো জানিনা ভীষণ মজা লাগে। দুজনেই যে এখন কী হয়েছে সেটা শোনার জন্যে ছটফট ছটফট করছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি। আর ওদের এই ছটফটানিতে আমি এক অসাধরণ তৃপ্তি পাচ্ছি। অরু বাকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
— হাসছে দেখ যেনো এভারেস্ট জয় করেছে।
তীব্র পেছন ঘুরে বলল
— হাসতে দে হাসতে দে আমাদেরও দিন আসবে।
আমি মনিটরে চোখ রেখেই মুচকি হাসতে হাসতে বললাম
— হ্যা সেই তোর দিন তো আসবেই। হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছে না? “হার কুত্তেকা দিন আতা হ্যা”।
তীব্র ভ্রু কুচকে বলল
— ওই কী বললি আমি কুকুর?
আমি অবাক হওয়ার ভান করে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
— আমি কখন বললাম? তুই তো নিজেই বললি তুই কুকুর।
— তোকে আমি…
আমি এবার বিরক্ত হয়ে বললাম
— এই তোরা দুজনে চুপচাপ কাজ করতো, বললাম তো লান্চ টাইমে বলব। বসের ঝাড়ি খাওয়ার আগে কাজে মন দে।
ওরা দুজনেই একসাথে ‘হুহ’ বলে নিজেদের ডেস্কে কাজ করতে বসে গেলো। আমিও একটা মুচকি হাসি দিলাম। কিন্তু কাজে কিছুতেই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারছিনা বারবার শুধু কালকে রাতের কথাগুলো মনে পরছে। আদ্রিয়ানের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত। সব কেনো জানিনা চোখের সামনে ভাসছে। এতোদিন শুধু যাকে টিভিতে দেখেছি আর কন্ঠ শুনেছি, আমার সেই ফার্স্ট এন্ড এভার ক্রাশের সাথে এতোটা সময় কাটাবো সেটা কখনো সপ্নেও ভাবিনি। সত্যিই আমাদের মানুষদের জীবণটা খুব অদ্ভুত আচমকাই আমাদের জীবণে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনা।

ক্যান্টিনে বসে বসে আমি মনের সুখে খেয়ে চলেছি আর ওরা দুজন ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। দুজনেই ভীষণ বিরক্ত আমার ওপর কারণ ওরা অনেক্ষণ ধরেই জানতে চাইছে কী হয়েছে কিন্তু আমি এটা ওটা বলে কথা ঘুরিয়ে ওদের এরিয়ে যাচ্ছি। তীব্র দাত কটমট করে বলল
— তুই কী বলবি?
আমি মুখের খাবার চিবোতে চিবোতে ভ্রু কুচকে বললাম
— দেখছিস না খাচ্ছি? বলতে বলতে যদি লান্চ টাইম ওভার হয়ে যায় তখন? আগে খেতে দে তো শান্তিতে।
অরু এবার বিরক্ত হয়ে বলল
– থাক মেরি মা। তোকে কিচ্ছু বলতে হবেনা তুই খা। জন্মের খাওয়া খা।
আমি এবার শব্দ করে হেসে দিলাম ওদের কথা শুনে। ওরা ভ্রু কুচকে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আমার এবার একটু মায়া হলো ওদের চেহারা দেখে, ভাবলাম নাহ বেচারাদের আর জালানো ঠিক হবেনা তাই কোনো রকমে হাসি থামিয়ে বললাম
— আচ্ছা বলছি বলছি রাগছিস কেনো?
দুজনে একসাথেই বিরক্ত হয়ে বলল
— প্লিজ বলেন?
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে চামচ দিয়ে খাবার নারতে নারতে বললাম
— কাল রাতে আমার ফ্লাটে আদ্রিয়ান এসছিলো।
তীব্র ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
— কোন আদ্রিয়ান? তোর কোনো রিলেটিভ?
আমি মাথা তুলে ওদের দিকে তাকিয়ে বললাম
— সিংগার আদ্রিয়ান আবরার জুহায়ের।
ওরা দুজনেই একসাথে বলল
— ওহ আচ্ছা।
পরক্ষণেই দুজনে চমকে গিয়ে চেচিয়ে বলল
— কীহ?
আমি চামচ রেখে কানে হাত দিয়ে বললাম
— আরে আস্তে আস্তে কানের পর্দা ছিড়ে যাবেতো আমার।
অরু অবাক হয়ে বলল
— এ.ডি তোর ফ্লাটে এসেছিলো?
তীব্র ভ্রু কুচকে বলল
— তুই মজা করছিস তাইনা?
আমি চামচ থেকে খাবার টা খেতে খেতে বললাম
— তোদের অামাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি মজা করছি?
ওরা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে আমার দিকে কারণ ওরা জানে আমি মিথ্যে বলবোনা আর এই ব্যাপারে মজাও করবোনা। তাই ওরা বুঝতে পারছে আদ্রিয়ান সত্যিই এসছিলো। ওদের দুজনকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমি ভ্রু কুচকে ওদের দিকে তাকিয়ে বললাম
— মুখ বন্ধ কর মশা ঢুকবে।
ওরা দুজনেই সাথে সাথে মুখ বন্ধ করে ফেলল। তীব্র অবাক হয়ে বলল
— কিন্তু কেমনে কী?
অরুও তীব্রর সাথে তাল মিলিয়ে বলল
— সেইতো এটা কীভাবে সম্ভব।
এরপর ওদের কালকে রাতে ঘটনা ফাস্ট টু লাস্ট সব খুলে বললাম। সবটা শুনে ওরা কিছুক্ষণ থম মেরে বসে রইলো। তারপর দুজনেই শব্দ করে হেসে দিলো। যেনো এই মুহুর্তে ওদের সামনে বিশাল মজার কোনো ঘটনা ঘটে গেছে। আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি। তীব্র কোনোমতে হাসি থামিয়ে বলল
— দা গ্রেট রকস্টার আদ্রিয়ান আবরার জুহায়েরের ও এরকম?
অরুও তীব্রর কথায় সায় দিয়ে বলল
— হ্যা ইয়ার ভাবা যায়?
— কেনো? সেলিব্রেটি বলে কী মানুষ না নাকি?
তীব্র এবার আমাকে একটু পিঞ্চ করে বললো
— হুমমম। কালকে তোমার মনে লাড্ডু ফুটেছিলো নিশ্চই?
আমি একটা ভেংচি কাটলাম। অরু ঢং করে বলল
— ইসস ইয়ার কী ভাগ্য তোর। রকস্টার এ.ডি তোকে কফি করে খাইয়েছে! কোলে নিয়েছে আর জরিয়েও ধরেছে ওয়াও?
— থামবি তুই?
— কেনো থামবো? আচ্ছা তুই নিজেকে কীকরে সামলেছিলি বলতো? আমি হলেতো অজ্ঞানই হয়ে যেতাম ইয়ার। হাউ ড্যাসিং হি ইজ।
আমি কিছু না বলে ওকে কুনুই দিয়ে খোচা মারলাম আর তীব্র হেসে দিলো। তিনজনে গল্প করতে করতে লাঞ্চ করে ডেস্কে বসে আছি হঠাৎ বসের পি এ সানন্দা দি এসে বলল
— অনিমা তোমাকে স্যার ডাকছে।
— ওকে আপনি যান আমি অাসছি।
তীব্র ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল
— আবার কার কাছে পাঠাবে তোকে?
অরুও বিরক্ত হয়ে বলল
— লোকটা শান্তি দেয়না তোকে একটু।
আমি একটা ছোট্ট নিশ্বাস নিয়ে বললাম
— দেখি কী বলে।

বসের ডেস্কে গিয়ে বললাম
— মে আই কাম ইন স্যার?
— কাম ইন।
— স্যার ডেকেছিলেন?
— হ্যা কাল তোমাকে একজনের ইন্টারভিউ নিতে যেতে হবে।
— ওকে স্যার বাট কার?
— মিনিস্টার রঞ্জিত চৌধুরীর একমাত্র ছেলে রিক চৌধুরীর। এবার ইলেকশনে করছেন উনি তাই একটা ইন্টারভিউ নেবো।
নামটা শোনার সাথে সাথেই আমার হাত পা কাপতে শুরু করেছে, ঘাম বেড়োনো শুরু হয়েছে অলরেডি। সেটা দেখে বস বললেন
— এনি প্রবলেম অনিমা।
আমি কাপাকাপা গলায় বললাম
— স্যার অ্ আমি ওখানে য্ যেতে পারবোনা।
বস রেগে গিয়ে বললন
— তোমার কী মনে হয় আমি তোমাকে ওফার করছি? ওর্ডার করছি তোমাকে।
আমি কাদোকাদো গলায় বললাম
— স্যার প্লিজ আপনি আমাকে যেখানে খুশি পাঠান আমি যাবো কিন্তু ওখানে না। প্লিজ স্যার।
বস এবার নরম গলায় বললেন
— কী হয়েছে অনিমা? তুমিতো কোনোদিন না করোনা? ইনফ্যাক্ট অনেক রিস্ক নিয়েও কাজ করেছো তুমি। এবার কী হলো?
— আই নো স্যার বাট আমি ওখানে যেতে পারবোনা, আমি হাত জোর করছি…
— আরে আরে কী করছো? তুমি আমার মেয়ের মতো, আর এতো হাইপার হবার কী আছে। আচ্ছা তোমাকে যেতে হবেনা তুমি ডেস্কে যাও।
আমি চোখ মুছে ডেস্কে গিয়ে ধপ করে চেয়ারে বসে পরলাম। আমাকে কাদতে দেখে অরু আর তীব্র উঠে দাড়িয়ে বলল
— কী হয়েছে কাদছিস কেনো?
আমি কিছু না বলে কেদেই যাচ্ছি। সেটা দেখে তীব্র উত্তেজিত হয়ে বলল
— আরেহ বলবিতো কী হয়েছে বস কিছু বলেছে?
আমি ওদের সবটা বলতেই অরু জরিয়ে ধরলো আমাকে। তীব্র চেয়ারে বসে বলল
— এটাতো সেই ছেলেটাই না? যে তোকে…
আমি অরুকে জরিয়ে ধরেই কাদতে কাদতে বললাম
— এভাবে আর কতোদিন পালাবো আমি? মামুর কাছ থেকে পালিয়ে বাচতে পারলেও ওর কাছ থেকে পালাতে পারবোনা। আমি জানি ও আমাকে পাগলের মতো খুজছে আর ওর ক্ষমতা দিয়ে ঠিক পেয়ে যাবে আমাকে। আর ও যদি সত্যিই আমাকে খুজে পায় তো ওর হাতে পরার আগেই শেষ করে ফেলব আমি নিজেকে।
অরু রেগে বলল
— এক থাপ্পড় মারব তোকে স্টুপিড। কী সব বলছিস?
— আমি পারবোনা ওভাবে বাচতে। তুই জানিসনা ও কতোটা…
তীব্র এসে আমার সামনে বসে বলল
— আচ্ছা হয়েছে বাদ দে এসব আজকে অফিস শেষে তিনজন মিলে ফুচকা পার্টি করবো ওকেহ?
এভাবেই ওরা দুজন বিভিন্ন কথা বলে আমাকে শান্ত করল। ওদের সামনে স্বাভাবিক থাকলেও ভয়টা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

রাতে শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি কখনো নিজের সেই ভয়ংকর অতীত মনে পরছে কখনো আদ্রিয়ানকে। ওর পাশে বসে গল্প করা ওকে জরিয়ে ধরা, ওর হটাৎ করেই কাছে এসে যাওয়া সব। কিন্তু ও হয়তো এতোক্ষণে ভূলেও গেছে আমাকে, ভূলে যাওয়াই স্বাভাবিক। মনে রাখার বিশেষ কোনো কারণ নেই। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলাম। মাঝরাতে হটাৎ ফোন বাজার আওয়াজে ঘুম ভাঙলো। তাকিয়ে দেখি আননোন নাম্বার। এতো রাতে কার মনে পরলো? চোখ ডলতে রিসিভ করে কিছু বলবো তার আগেই ওপর পাশের ব্যক্তির গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে গেলাম আমি। মনে শুধু একটা কথাই এলো এটাও সম্ভব?
#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here