বৃষ্টির পড়ে পর্ব ৪

#বৃষ্টির_পড়ে
#নুসাইবা_ইসলাম
#পর্ব_৪

জেনিফার তোর আব্বুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কাল রাতে তোকে কলে না পেয়ে জন আমাকে কল করেছে আমি এইজন্য সব ব্যাবস্থা করে রেখেছি বিকেলে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসবো।

কি বলছিস এসব বাবা জেনির আব্বু এর কি হয়েছে, আর ওরা পুলিশকে ইনফর্ম করুক জেনি গিয়ে তো আর খুঁজে বের করতে পারবে না। (ফুপি)

আম্মু জেনির আব্বু লাগে আর ওর আব্বুর কাছে ও প্রচুর আদরের,এই সময়ে জেনির ওখানে থাকা অনেক প্রয়োজন। (আয়াত)

জেনি ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে সবার কথা চুপচাপ শুনে যাচ্ছে৷ ওর বাবার ঘটনা টা য়ে ও ভয় পেয়ে গেছে বুঝা যাচ্ছে এই কাজ কে করেছে তাও বুঝে গেছে জেনি।

আয়াত আমি ফিরে যাবো ড্যাড এর কিছু হবে না তো? (জেনিফার)

জেনি ফুপিয়ে কেদে উঠলো এটা দেখে মেহুল এর মন অনেক খারাপ হলো। মেয়েটা তার বাবাকে কতো ভালোবাসে নিশ্চিত ওর বাবাও ওকে প্রচন্ড ভালোবাসে। এদিকে ওর বাবা ওর সাথে কোনো কথাই বলে না। সবসময় ইগনর করে চলে মেহুল দুয়েকসময় মনে হয় লোকগুলা তার আপন কেউ নয় এখান থেকে দূড়ে চলে যাবে মেহুল।

জেনি টেনশন নিস না আংকেল এর কিছু হবে না উপরে যা সব গুছিয়ে রাখিস। আর আম্মু সবার বাবা মিস্টার সিকদার এর মতো হয় না মাথায় রেখো । আর মেহুল তাড়াতাড়ি আয় তোর না পরিক্ষা।
(আয়াত)

আয়াত এই বলে দু সেকেন্ড ও আর অপেক্ষা করলো বা বেরিয়ে গেলো আয়াতের পিছু পিছু মেহুল ও গেলো। মেহুলের লেট হয়ে যাচ্ছিলো তাই সে আর কথা বললো না। আয়াত গাড়িতে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো মেহুল পিছনের সিটের দরজা খুলে বসে পড়ে। আয়াত কথা বারায় না গাড়ি স্টার্ট করে।

জেনিফার রুমে গিয়ে বারবার তার ভাই জন কে কল দিয়ে যাচ্ছে । জন কল রিসিভ করতেই অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলো?

John Where is dad? (জন আব্বু কোথায়?) (জেনিফার)

Jenny can’t find Dad. I think my father has been kidnapped.(জেনি আব্বুকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না, আমার মনে হচ্ছে আব্বুকে কিডন্যাপ করা হইছে। ( জন)

What are you doing? You can’t take care of your father. All the games are getting out of hand..(তুই কি করছিলি আব্বুর খেয়াল রাখতে পারোস না।সব খেলা হাত থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।(জেনি)

I am sorry Jenny i will try to find dad.( আমি দুঃখিত জেনি আমি আব্বুকে খোজার চেষ্টা করবো।) (জন)

No, Don’t do anything today is my flight I am coming soon.

to me h know that who’s The kidnapper. ( না কিছু করা লাগবেনা ।আজ আমার ফ্লাইট আমি আসছি তাড়াতাড়ি। আমার কথা শুন আমি জানি কে কিডন্যাপ করছে।) (জেনি)

Okh Then, come soon bye. (ওকে তাড়াতাড়ি আয়, বায়।) ( জন)

জন ফোন কেটে দিতেই জেনি বসে ভাবে সে কিভাবে জানলো। আর কি জানতে পারছে যেহেতু তার বাবাকে উঠাই নিছে তারমানে অনেক কিছুই জানে। যদি সে সব কিছু সম্পর্কে জেনে যায় তাহলে জেনি কিছুতেই বা*চ*তে পারবেনা। জলদি ওখানে ফিরে বস এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এতোদিনেত এতো পরিশ্রম কিছুতেই ফেল হতে দেওয়া যাবে না।

লন্ডন এর এর বিলাশ বহুল কেবিন রুমে বসে আছে এক ষাটোর্ধ ব্যাক্তি আর তার পাশে বসা একজন যুবক। দুইজোন কিছু বিষয় নিয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন,তারা কি নিয়ে আলোচনা করছে তা অস্পষ্ট কিন্তু কিছু কথা শুনা যাচ্ছে।

তোমার বাংলাদেশ যাওয়ার সময় চলে এসেছে চ্যাম্প। (অজ্ঞাত ব্যাক্তি)

হ্যাঁ চাচ্চু আমি অলরেডি টিকিট বুক করে ফেলছি।(যুবক)

গুড মাই সান তাহলে কাল থেকে অনেক বড় দায়িত্ব তোমার। ( অজ্ঞাত ব্যাক্তি)

হ্যাঁ চাচ্চু আমি চেষ্টা করবো সব কিছুর সবার ষর‍যন্ত্রের শিকার আমি নিষ্পাপ মেয়েটা কে পেতে দিবো না। (যুবক)

আমার তোমার প্রতি বিশ্বাস আছে মাই সান, অল দি বেষ্ট। ( অজ্ঞাত ব্যাক্তি)

লোকটির কোথায় যুবকের মুখে কিঞ্চিৎ পরিমান হাসির রেখা দেখায় যায়। ছেলেটি চলে যেতেই লোকটি চশমা খুলে নিজের চোখের কোনের পানি মুছে ফেলে। আপন কিছু মানুষের বেইমানির জন্য আজ তার এই অবস্থা। কিভাবে মানুষ আপন মানুষের চেহা নিয়ে পিঠে ছু*ড়ি চালায়। কিন্তু না অনেক হয়েছে এবার খেলার নিয়ম পাল্টানোর সময় সব কিছুর হিসাব নেওয়ার সময়।

তোমরা যেভাবে আমার থেকে আমার সব কেড়ে নিয়েছো তেমনি তোমাদের আপন কেউ তোমাদের কাজের হিসাব নিবে। (অজ্ঞাত ব্যাক্তি)

—–বাংলাদেশ —–

পরিক্ষা শেষ করে বের হতে হতে মেহুলের ১২ টা বেজে যায়, যেই গরম ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। পরিক্ষা তার অনেক ভালো হয়েছে। তার পাশে কয়েকজন সিনিয়র আপু বলা বলি করছে একে অপরকে,

জানোস আজ কলেজে কে এসেছে আয়াত আয়াশ সিকদার বিখ্যাত বিজনেসম্যান। হায় আল্লাহ কি হ*ট ওরে পটাইতে পারলে লাইফ সেট। ( সিনিয়র আপু)

পটানোর ইচ্ছা বাদ দে রুনা সে এসছে প্রথম বর্ষের অউ ক্ষেত টাইপ মেয়েকে নিয়ে। আমি দেখছি ওর গাড়ি থেকে নামতে। ( আরেকজন সিনিয়র)

কি বলিস লিমা সত্যি এই ক্ষেত মাইয়া এতো বড় বিজনেসম্যান এর গাড়িতে? কিভাবে কি মানুষের রুচি এতো খারাপ কেন। ( রুনা)

রুনা আর লিমা আপু এবার মেহুলের দিকে আগিয়ে নানান বাজে ইংগিত এ কথা শুনাতে লাগলো। তাদের কথা মেহুলের অনেক খারাপ লাগছে ছিহ কি বাজে কথা ব লছে এরা।

থামুন আপু যাকে নিয়ে এসব বলছেন আদো জানেন সে আমার কি হয়? সে কাজিন হয় আমার ফুপাতো ভাই লাগে। আপনারা মানুষ কি পোশাক দিয়ে জাজ করেন? করতেও পারেন আপনাদের মতো কিছু সো কল্ড নোংরা মস্তিশকের মানুষ আছে যাদের চিন্তা ভাবনা ই থার্ড ক্লাস। আর যাদেত ক্ষেত বলেন তারা এখানে নিজের যোগ্যতায় এখানে আসে আপনাদের মতো বাপের টাকার গরন দেখাতে না আর না আসে নিজের রুপ দেখাতে। ( মেহুল)

মেহুলের অপমান এতোক্ষন শুনছিলো রুনা আর লিমা। এবার আর তাদের ধৈর্য কুলালো না। রুনা রেগে গিয়ে আকসমিক থা*প্প*র বসিয়ে দিলো মেহুলের গালে। মেহুল ভাবে নি যে ওরা গায়ে তুলতে পারে। সুন্দর ফর্সা গালে পাচ আঙ্গুলের ছাপ রিতীমত দাগ পড়ে গেছে। মেহুল হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শরীর দূর্বক হওয়ায় আর গরমে সে এই ধকল নিতে না পেরে নেতিয়ে পড়ছে। এতোক্ষণ দূর থেকে আয়াত লক্ষ করছিলো আয়াত যে মেহুল মেয়েগুলোর সাথে কথা বলছে ভাবছে ফ্রেন্ড। থা*প্প*র দেওয়া দেখে রাগে চোখ লাল হয়ে গেলো আয়াতের। দ্রুত পায়ে হেটে মেহুলের কাছে গিয়ে মেহুলকে ধরলো। আয়াত কে দেখে মেয়ে দুটো ঘাবরে গেছে আয়াত মেহুল কে কোলে তুলে নিয়ে সাইডে এক বেঞ্চে বসালো।

আয়াত মেহুল কে অই অবস্থায় বেঞ্চে রেখে রুনা আর লিমা এর সামনে গিয়ে দাড়ালো।

তোমরা ওকে মেরেছো কোন সাহসে? ( আয়াত)

শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,রুনার বাবা কমিশনার হওয়ায় রুনার অনেই অহংকার। পুরো কলেজ কাপিয়ে চলে সে। আয়াতের সামনে ভাব নিয়ে বলে,,

দুই টাকার ক্ষেত মার্কা মেয়ে হয়ে সে এই রুনার সাথে তর্ক করে, কতোবর সাহস ও জানেনা আমি কার মেয়ে। আমাকে কথা শুনানো। ( রুনা)

মুখের কথা শেষ করার আগেই আয়াতের এক থা*প্প*ড়ে মাটিতে সিটকে গিয়ে পড়ছে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে রুনাও কেদে দিছে। আয়াতের শক্ত হাতের থাপ্পড় খেয়েও ওর শিক্ষা হয় নাই।

আপনাকে দেখে নিবো আমার বাবা কে আপনি জানেন না। (রুনা)

আয়াত এবার ফ্লোরে বসে রুনার দিকে খানিকটা ঝুকে থুতনিতে হাত রেখে বলে,,

যা পারিস করে নিস,,(আয়াত)

…চলবে…?

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here