বেস্টু পর্ব ২+৩

#বেস্টু
#পর্ব_০২
#Ariyana_Nur

সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে আছি ১ঘন্টা ধরে।তার পরেও মাথা ঠান্ডা হচ্ছে না।বাড়িতে এসে ছোটখাট তান্ডব করে ফেলেছি।
কিন্তু অবাক করা বিষয় কেউ আমাকে কিচ্ছু বলেনি।আমার মাদার বাংলাদেশ যে নাকি একটা গ্লাস ভাংলেই এতো এতো কথা শুনায় সেও আজ চুপ।বুঝতেছিনা সবাই কি মিউট হয়ে গেল নাকি???

দীর্ঘ ২ঘন্টা সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখি আমার ভাইয়া আমার খাটে বসে আছে।ভাইয়াকে দেখে আমি ভুত দেখার মত তাকিয়ে রইলাম।কেননা আজকে ভাইয়ার একটা ইম্পট‍েন্ট ডিল সাইন করার জন‍্য সিটির বাইরে যাওয়ার কথা।

ধুর.. আমিতো আপনাদের কে বলতেই ভুলে গেছি আমরা ২ভাই বোন।ভাইয়া বাবার সাথে বিজনেস দেখাশুনা করে।দেখতে পুরো চকলেট বয়। আপনারা কিন্তু আবার আমার ভাইয়ার উপর ক্রাস খাইয়েন না।থাক খেলেও সমস‍্যা নাই আমার ভাইয়া ব‍‍্যাচালার।আমি ভাইয়াকে কিছু না বলে খাটের ওপর পাশে শুয়ে রইলাম।

—বুড়ি তুই এতোক্ষন কেন সাওয়ার নিলি।তোর না বেশি সময় ভিজলে মাথায় পেইন হয়।

আমি ভাইয়ার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে বললাম…
—তুমি আমার মাথার পেইনের কথা চিন্তা করছো??কিন্তু আমি মনে যে ব‍্যথা পেয়েছি সেটা দেখলে না??

ভাইয়া একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল….
—দেখ বুড়ি….আমরা যা করেছি তা অনেক ভেবে চিন্তে করেছি।

আমি কাদতে কাদতে বললাম….
— আমি তো বেশি হয়ে গেছি তোমাদের কাছে।আমি অনেক জ্বালাই।তাই আমাকে এতো তারাতারি পর করে দিচ্ছ।আমি মরে গেলেই ভালো হবে।

ভাইয়া রাগি গলায় বলল…
—কানের নিচে দিব একটা।ফালতু কথা বন্ধ কর।তুই কেন বেশি হবি।দেখ বোন আরহাম অনেক ভালো ছেলে।তোর কি মনে হয় আমি আমার বুড়িকে যার তার হাতে তুলে দিব???

আমি কিছু না বলে শুধু কান্না করছি।ভাইয়া আবার বলতে লাগলো…..
— আমার কথা ভালো করে শোন। এখনতো শুধু আংটি পরিয়ে দিয়ে গেছে।আর ২বছরের আগেতো আমরা কিছু করবো না।তোর হাতে এখনো ২বছর সময় আছে।এই ২বছরে যদি তোর ওকে পছন্দ না হয় তাহলে আমি তোর পছন্দের জায়গায় তোকে বিয়ে দিব।

আমি কান্না থামিয়ে বললাম…. সত্যি…..

—হুম..এটা এই মাহাব খানের ওয়াদা।কিন্তু আমার বিশ্বাস তার আর দরকার হবে না।

আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম।

—অনেক রাত হয়ে গেছে শুয়ে পর।এই বলে ভাইয়া আমায় মাথায় হাত বুলিয়ে রুম থেকে চলে গেল।

কি ভাবছেন???যা ভাবছেন তাই ঠিক আমাকে আজকে ঐ টারহাম না আরহাম আংটি পরিয়ে দিয়ে গেছে।তারা সবাই আগের থেকেই সব প্লান করে রেখেছিল।শুধু আমি জানতাম না।😭
ভাবতেও অবাক লাগছে কিছু সময়ের ব‍্যবধানে কি থেকে কি হয়ে গেল।আমি একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে শুয়ে রইলাম।

___________________

.

কলেজের মাঠের এক কোনে বসে আছে আহাদ।একটু পরে একজন এসে ওর পিঠে ধুমধাম তাল ফালালো।আহাদ তার হাতের মার থেকে বাচতে বাচতে বলল…..

—-কিরে তোর সমস্যা কি??এভাবে কেলাইতাছোস কেন??

—ও..মা…তুমি জানো না!!!কালকে আমার লগে কেমনে কথা কইছিলি মনে পরছে???

—তার জন‍্য এইভাবে মারবি???

—এটাতো কম ছিল বেবিরে আসতে দে মনু তোর খবর আছে।হুহ…(ভাব নিয়ে)

আহাদ কিছু বলবে তার আগে একজন মেয়ে ওদের সামনে এসে বলল….
—তাহিয়া….মানহা আসে নি??

—না ওতো আসে নি।কেন কিছু বলবে??

—না ও আসুক তারপরে ওকেই বলল।বাই

আমি কলেজে পৌছে আহাদ আর তাহিয়াকে খুজতে লাগলাম। ওরা হচ্ছে আমার জানের জিগার কলিজার আদঘান দোস্ত। কিছুক্ষন খোজার পরেই দেখতে পেলাম তারা মাঠের এক কোনায় বসে আছে।আরে শুধু কি বসে আছে সাথে যুদ্ধও করছে।আমি ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম। আমাকে দেখে ওরা দাঁড়িয়ে গেল।আহাদ কাপাকাপা গলায় বলল….
—বেবি তোর হাতে ওটা কি???

আমি একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললাম….
— ও..এম..জি…তুমি দেখি মনু চোখে কম দেখ!! আমার হাতের স্কেল টা দেখতে পারছো না??

—তুই ঐটা বের কইরা রাখছস কেন??

— ও তাই তো কেন এটা বের করছি???ওহ…মনে পরেছে…
এই বলে আমি স্কেল দিয়ে ওরে উরকিধুরকি মারতে লাগলাম।তাহিয়া চিৎকার করে বলছে….
—মার বেবি মার আমার তরফ থেকে আরো কয়টা মার।

আমি ওকে মেরে হাপিয়ে এক কোনায় ধপ করে বসে পড়লাম। ও আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল….
—দেখ আমি কত স্টং। আমার কিছুই হয়নি।আর তুই আমারে কেলাইয়াই চিৎ হইয়া গেলি।

আমি ওর দিকে কটমট করে তাকালাম।তা দেখে ও একটা শুকনো ঢোক গিললো।তাহিয়া আমাকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল….
—এটা ধর আর বল কি হয়েছে???কি করছে এই বদমাশে??

আহাদও আমার দিকে ঘুরে বলল….
—আরে বলবি তো কি করছি???নাকি অন‍্য কারোর ঝাল আমার উপর উঠালি??

আমি ওর পিঠে আরেকটা তাল ফালিয়ে বললাম….
—-শয়তান,বান্দর,কুত্তা তোরে তো আমার কাটা চামচ দিয়া কেইচ্ছা লবন মরিচ লাগাইয়া রোদে শুকাইতে মন চাইতাছে।

—আরে কবিতো কি করছি??থাক বাদদে.. কাল কই মরতে গেছিলি সেটা বল???

—তুই আবার কথা কস??তোর লিগা আজ আমার এই দশা।

তাহিয়া এবার ধমক দিয়ে বলল…
—ঐ ছেরি তোর ঢং শেষ হইলে এখন বল কি হইছে??

আমি ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে রইলাম।কিছু বলবো তখন ও আমার হাত ধরে বলল….
— ওহ বেবি তোর আংটিটাতো অনেক সুন্দর।কে দিল হুম….

আমি দাতে দাত চেপে বললাম…..
—তোর নানায় পরাইয়া দিয়া গেছে।তোর নানিরে নাকি তার পছন্দ না তাই আমারে পরাইয়া দিয়া গেছে।এই বলে আমি উঠে চলে যেতে নিলেই আহাদ আমার হাত ধরে বসিয়ে দিল।তারপর সিরিয়াস হয়ে বলল….
—তোর চেহারা এমন দেখা যাচ্ছে কেন??কি হয়েছে বল আমাদের??তুই যদি চুপ করে থাকিস তাহলে বুঝবো কিভাবে??

আমি এবার কালকের ঘটনা সব ওদের বললাম।সব শুনে ওরা মাথায় হাত দিয়ে বসে রইল। কিছুক্ষণ পর তাহিয়া বলল…
—-সবিতো বুঝলাম। কিন্তু তুই ঐ বেটারে চিনোস কেমনে???এটাইতো আমার মাথায় ঢুকতাছে না।

আমি কাদো কাদো হয়ে বললাম…
—জানু…..তুইতো কয়দিন ধরে তোর ডাইরিয়ার জন‍্য ও আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাতেই বললাম থুক্কু তোর জ্বরের কারনে এতোদিন আসতে পারিস নি।
সেদিন…….

চলবে,

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন‍্যবাদ)

#rmalink/2967418703486862/
বেস্টু
#পর্ব_০৩
#Ariyana_Nur

সেদিন আমি আর আহাদ ক্লাস শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় ওকে আমার জন‍্য চকলেট আনতে পাঠাই।ও চকলেট নিয়ে আসলে আমি ওকে বলি….
—কিরে তোর এতক্ষন লাগে চকলেট কিনতে??আমি কতক্ষন ধইরা দাড়াইয়া রইছি।একটা কাজও ঠিক মত করতে পারিস না।

আহাদ আমার হাতে চকলেট দিয়ে বলল…..
—আমি তোদের আর কোন কাজই করুম না।একে তো কষ্ট কইরা চকলেট আনলাম তার উপরে আবার কথা শুনাইতাছোস।এবার এটা খাইয়া আমায় উদ্ধার কর।

আমি একটি চকলেট রেখে বাকি চকলেটগুলো আহাদের হাতে দিতে নিয়ে দেখি ওর হাতের এক যায়গায় কেমন যেন লালচে হয়ে আছে।মনে হচ্ছে কোন আগুন জাতীয় জিনিস দিয়ে ছেকা লেগেছে।আমি ওর হাত ধরে ভালো মত দেখে ওকে জিগ্গেস করলাম…..
—তোর হাতে কি হয়েছে???

ও হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলল…
–আরে ছাড়তো কিছুই হয়নি।

—ঐ তুই কইবি কি হইছে???

—কিছুনা চলতো।

আমি ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে বললাম….
—তুই যদি সত্যি কথা না বলিস তাহলে আমি এখান থেকে একপাও লরুম না।

আমার জিদের কাছে ও হার মেনে বলতে লগলো….
—চকলেট নিয়ে আসার সময় রাস্তায় থামানো একটা গাড়ির ভিতর থেকে একজন সিগারেট ছুরে মারে।আর তা আমার হাতে লাগে।

—তুই কিছু বলস নাই???

—আরে ছাড়তো এই সামান্য বিষয় নিয়ে….

আমি এবার দাতে দাত চেপে বললাম….
—তোরে কি আমি শুধু শুধুই গরু কই।আন্টিরে বলা লাগবো তোরে যেন বেশি কইরা খাওয়ায় যাতে সামনের কোরবানির ঈদে তোরে বেচতে পারি।

ও অবাক হয়ে বলল…
—আমি আবার কি করলাম???

—তুমি কিচ্ছু করো নাই আর তোমারে কিচ্ছু করতেও হইবোনা।আমার সাথে চল আর কোন গাড়ির থিকা সিগারেট ফালাইছে দেখ সেই গাড়িটা আছে কি না।

আহাদের তো এক কথা আমাকে ওখানে নিয়ে যাবে না।আর উলটা পালটা মিথ্যে বলতে গিয়ে বারবার আমার কাছে ধরা পরছে।পরে আমার জোড়া জোড়িতে ও আমাকে সেখানে নিয়ে গেল।গিয়ে দেখি গাড়িটা এখনো দাড় করানো।এমন ভাবে গাড়িটা রেখেছে মনে হচ্ছে ওর বাপের রাস্তা।আমি ব‍্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে রাস্তার পাশে যে বালু মাটি ছিলো সেখানে ঢেলে দিলাম।তারপর দু হাতে ঐ মাটি নিয়ে গাড়ির সামনে গিয়ে তা গাড়িতে ছুরে মারলাম। আমার এমন কাজে আহাদ চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।ও আমাকে বলল…
—বেবি তুই এটা কি করলি??এটা না করলে কি হতো না???

আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম…
–আরে দেখতে থাক কি হয়….

আমাদের কথার মাঝেই একজন ছেলে গাড়ির থেকে নেমে চিৎকার করে বলল…..
— এই ইস্টুপিট মেয়ে তোর সাহস তো কম না।চোখে দেখতে পাস না।দেখতো আমার গাড়িটা কি করেছিস??

আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম…
—এতে আমার কোন দোষ নেই।আমিতো মাটি দিয়ে খেলতে খেলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনার গাড়িটাই তো সামনে আসলো তাতে আমার কি দোষ। আমি তো ইস্টুপিট রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাচ্ছি তা আপনি কোন সভ‍্য মানুষ যে রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাড় করিয়ে রেখেছে চা..চা…

ছেলেটি আমাকে ধমক দিয়ে বলল…
—এই মেয়ে তুই কার সাথে কথা বলছিস ভেবে বলছিস??তুই জানিস আমি কে??আমাকে চাচা বলছিস কেন??কোন দিক দিয়ে তোকে আমার চাচা মনে হয়??আর রাস্তাটা কি তোর বাপের যে তোর কথা মত আমি গাড়ি থামাবো??

আমি এবার লোকটাকে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম।দেখেই মনে হচ্ছে বড় লোকের বিগড়ে যাওয়া সন্তান।আমি একটা ডেভিল স্মাই দিয়ে বললাম…..
—এই যে আমি ছোট বলে আপনি বড়দের মত করে আমার সাথে কথা বলছেন।আর রাস্তাটা কি আপনার দাদা যে আপনি এভাবে গাড়ি রেখেছেন??

আমার কথা শুনে লোকটি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। চিৎকার করে বলতে লাগলো….
—তোর সাহস তো কম না আমার সাথে এভাবে কথা বলছিস??

আমি এবার একটু নরম শুরে বললাম….
—ওমা…আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন??
এজন‍্যই লোকে বলে ভালো কথার দাম নাই।আমি আপনার সাথে ভালো করে কথা বলছি আর আপনি তুই তোকারি করছেন।এটা কি ঠিক…

ছেলেটি রেগে বলল…
—ঐ তুই আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিস।তোকে তো আমি…
এই বলে আমাকে থাপ্পড় মারতে নিলেই আমি তার হাত ধরে ফেলি।আমি তার হাত মোচর দিয়ে বলি….
—এতক্ষন ভালো মত কথা বলেছি দেখে কি মনে করেছিলি আমার সাথে বাজে ব‍্যবহার করলেও আমি চুপ করে থাকবো??কিছুক্ষন আগে তুই আমাকে বললিনা আমি তোকে চিনি কি না??আমার দাদার ঠেকা পরছে তোরে আমার চিন্তে হইবো??আর তোদের মত মানুষদের আমার চিনার কোন দরকারো নেই।তোর এই হাত দিয়ে আমাদের মনুর গায়ে তুই সিগারেট ফেলেছিস না।তোর হাত আমি আজকে ভেংগে দিব।

আহাদ আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর বলছে….
—বেবি ছাড় ওকে।কেন তুই এই সামান‍্য বিষয় নিয়ে এমন করছিস???

আমি ঝাড়া দিয়ে ওর হাত ছাড়িয়ে রাগি গলায় বললাম…
—তোর কাছে বিষয় টা সামান্য হলেও আমার জন‍্য সামান‍্য না।আমি ঐ ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললাম….
কি মনে করিস নিজেকে হ‍্যা কি মনে করিস??মানুষকে মানুষ বলে মনে হয় না।একটু আগে তুই না দেখে একজনের গায়ে সিগারেট ফেলেছিস আর সেটা ওর গায়ে লেগেছে।ওকে সরি বল তোকে ছেড়ে দিব।

—তুই ভুল করলি আমার সাথে লাগতে এসে।আর আমি ওকে সরি বলবোনা কখনও।

আমি ওর হাত আরো জোরে মোচর দিয়ে বললাম….
—তুই সরি বলবি না তোর দাদায় বলবো সরি।আমিও দেখি তুই কিভাবে সরি না বলে এখান থেকে যেতে পারিস।
এই বলে আমি ওর হাত আরো জোরে মোচর দিলাম।

ছেলেটি এবার দাতে দাত চেপে বলল….
—স…রি….

আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে বললাম….
—এই তো গুড বয়।এতক্ষন লাগে একটা সরি বলতে।
আর যদি তোকে আমি আমার সামনে পাই তখন দেখিস তোকে আমি কি করি।যা ভাগ সামনের থেকে।

ছেলেটি আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলল…
—তোকে আমি দেখে নিব।
এই বলে গাড়ি নিয়ে চলে গেল।

আমিও চিৎকার করে বললাম…
—আরে যা যা…তোদের মত কত দেখলাম।

এতক্ষন পরে আমার হুস হলো যে রাস্তায় কয়েকজন লোক আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আহাদকে বললাম….
—সারা জীবন তো গরুই রলি।আমার থেকে শেখ কিভাবে মানুষকে সোজা করতে হয়।

আহাদ আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে বলতে লাগলো…
—তুই জানিস ও কে??কেন তুই ওর সাথে লাগতে গেলি??আর তুই ওকে সোজা করিসনি ঐ যে দেখ ওদিকে কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও করছে তোদের কাহিনী।তাই ও চুপ করে ছিল।

আমি তাকিয়ে দেখি তারা এখনো ভিডিও করছে।আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বললাম….
–শো শেষ আপনারা এবার আসতে পারেন।আর হ‍্যা নেক্সট যখন শো করব তখন আপনারা ভিডিও করতে চলে আসবেন কেমন।তাহলে আর কষ্ট করে আমার ভিডিও ম‍্যান আনতে হবে না।টা..টা..বাই.. বাই….

আমার কথা শুনে একে একে সবাই চলে গেল।আমি একটা বড় করে নিশ্বাস নিলাম।

এমন সময় একজন এসে বলল….
—সামান‍্য একটা বিষয় নিয়ে ওর সাথে না লাগলে হতো না??

আমি লোকটিকে বললাম…
—এটা কোন সামান‍্য বিষয় না।ও আর কেউ না আমাদের মনুর গায়ে সিগারেট ফেলেছে।আমি কি এমনিই ওকে ছেড়ে দিতাম নাকি।কিছুইতো বললাম না ওকে।আমার তো মন চাচ্ছিল ওকে লবন মরিচ দিয়ে আচার বানাতে।

লোকটা গম্ভীর গলায় বললো….
—এতো কিছু বলেও বলছো কিছু বলনি???আর এই যে গাধা… তুমি এমন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেন??তুমি ওকে আটকালেনা কেন??

আমি আহাদের দিকে তাকিয়ে দেখি আহাদ কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে আছে।আমি এবার লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বললাম….

#চলবে

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here