বেস্টু পর্ব ৬+৭

#বেস্টু
#পর্ব_০৬
#Ariyana_Nur

ফুপিমার বাসায় সেই কখন থেকে ফুপিমার পিছে পিছে ঘুরঘুর করছি কিন্তু মনে হচ্ছে ফুপিমা আমাকে দেখছেই না।আচ্ছা আমি কি ভেনিস হয়ে গেছি🤔যে ফুপিমা আমায় দেখছে না।অনেকক্ষন ঘুরার পর যখন কাজ হলোনা তখন আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম….

এভাবে কাজ হবে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে হবে। আমি ধপ করে ফ্লোরে বসে পরে হাত পা ছরিয়ে কাদতে লাগলাম।
ফুপিমা আমার কাছে এসে অস্থির হয়ে আমাকে জিগ্গেস করলেন…..

—কি হয়েছে মা??এভাবে কান্না করছিস কেন??

আমি ফুপিমাকে অভিমান করে বললাম….

—এখন আদর দেখাতে হবে না সেই কখন থেকে পিছে পিছে ঘুর ঘুর করছি।তুমি তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছ না।

—আর তুই যে এতোদিন আমার সাথে রাগ করে কথা বলিসনি তখন???

—তোমরা কাজই করেছিলে রাগ করার তাই করেছি।আচ্ছা বাদ দাও এখন বলো তোমার শরীর কেমন???ভাইয়া বলল তুমি নাকি ঔষধ ঠিক মত খাওনা??হুম…

এবার ফুপিমা অভিমান করে বলল…

—আমার মা তো এতোদিন আমার খবর নেয়নি অভিমান করেছিল তাই।এখন আমার মার অভিমান শেষ আমার টাও শেষ।

আমি ফুপিমার কথা শুনে মুচকি হেসে তাকে জরিয়ে ধরলাম।

_____________________________

আহাদ ওর রুমের এক কোনায় মনমরা হয়ে বসে আছে।কোন কিছুই তার ভালো লাগছে না।একটু আগে ওর সৎ মা ফোন করে জানিয়েছে ওর বোনের সে এক বয়ষ্ক লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করেছেন।

আহাদ এর মা মারা যাবার পর থেকেই ও শহরে ওদের এক আত্মীয়র বাসায় থাকে।গ্রামে ওর বড় বোন ওর সৎ মার সাথে থাকে।আর ওর বাবা বাহিরে থাকে।প্রতি মাসে মাসে খরচের টাকা ওর বাবা পাঠিয়ে দেয়।সৎ মা সব সময় ওর বোনের উপর অত‍্যচার করে।আর ওর বোন সব মুখ বুজে সয‍্য করে।বাবাকে জানালে বাড়িতে আরো অশান্তি হবে যা ও চায় না।আর ওর বাবাও সব জেনেও না জানার অভিনয় করে।আহাদ প্রতিবাদ করতে চাইলে ওর বোন ওকে বাধা দেয়।কেননা তাতে অরো অশান্তি বাড়বে কমবে না।

কিন্তু এখন নিজের চোখের সামনে বড় বোনের জীবন ধংস হয়ে যাবে তা ও সয‍্য করতে পারবে না।আহাদ আনমনে বলতে লাগলো….
—আমিই একমাএ ভাই যে নিজের বোনের জন‍্য কিছু করতে পারছি না।আমার মত এমন অপদার্থ ভাই থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

________________________

মাঠের এক কোনে বসে আছি আমরা তিন জন।কিন্তু কারো মুখেই কোন কথা নেই।নিরবতা ভেংগে আহাদ বলল….

—সব তো তোদের বললাম।এখন আমার হাতে কিছু করার নেই।আমি আজ বাড়ি যাচ্ছি ।যদি কিছু করতে পারি।

আমি আহাদকে বললাম….
—ঐ আপুর বিয়ে আপু আমাকে দাওয়াত দিল না কেন???

আমার কথা শুনে ওরা দুজন চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।আমি আবার বলতে লাগলাম…
—মনু তোর ফোনটা দে তো আমি আপুর সাথে কথা বলব।এই বলে ওর থেকে ফোন নিয়ে আপুর নাম্বার খুজতে লাগলাম।

তাহিয়া রাগি গলায় বলল…
—ঐ তাড়ছিরা ছেরি!!!তুই কি পাগল ছাগল হইছস??তোর জম্বের বিয়া আমি খাওয়াইয়া দিমু।

আমি ওর কথায় পাত্তা না দিয়ে আপুর নাম্বারে কল দিলাম। ১ম বার রিং হওয়ার পর কেটে গেল।২য় বার দুবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ হলো।ওপাস থেকে আওয়াজ এলো….

— আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছিস ভাই???

আমি সালামের জবাব দিয়ে বললাম…
—আপু আমি তোমার গাধা ভাই না।

আমার কথা শুনে আপু মিষ্টি শুরে বলল…
—তা আমার এই বোনের আমার কথা কিভাবে মনে পরলো??

আমি কাদো কাদো হয়ে বললাম….
—নিধি আপু তুমি আমাকে এভাবে বলতে পারলে???আর আমি তোমার সাথে রাগ করেছি তুমি আমাকে দাওয়াত দেওনি তাই।

আপু আমার কথা শুনে চুপ করে রইলেন কিছু বললেন না।

আমি আপুর সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রেখে দিলাম।

ওরা দুজন আমার দিকে চোখ বড় বড় করে করে হা করে তাকিয়ে আছে।আমি ওদের এক চোখ টিপ দিয়ে বললাম…
—ওলে জানু মনু তোমরা মুখ বন্ধ কর।তা না হলে মশা ঢুকে যাবে।

_______________________________

নিধি বউ সেজে মেহমানদের সামনে বসে আছে।বিয়েটা ঘরোয়া ভাবেই হচ্ছে।একটু পরেই বিয়ে পরানো হবে।হঠাৎ একজন মহিলা এসে বলতে লাগলো….

—রহিমা (নিধির সৎ মা)এসব কি???তুমি আমার বউ মা কে এভাবে সাজিয়ে এখানে বসিয়ে রেখেছ কেন???

রহিমা মহিলাটাকে ভালো ভাবে দেখে নিল।তারপর বলল…
—কে আপনি???আমার নাম জানলেন কেমনে??আর কে আপনের বউ মা??

মহিলাটি এবার রাগি গলায় বলল….
—মানলাম তোমারদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।তুমি তোমার মেয়ের জামাই এর কাছে একটা বড় এল এ ডি টিভি চেয়েছ তা দেই নি বলে তুমি সব সম্পর্ক শেষ করে দিবে??ওর আরেক জায়গায় বিয়ে দিবে??

মহিলার কথা শুনে সবাই কানা কানি করছে।আর রহিমা এবার রাগে চিৎকার করে বলল….
—কি যা তা শুরু করছেন আপনি???ওর কবে বিয়ে হলো??আর আমিতো আপনাকে চিনিই না??

মহিলাটি এবার কাদো কাদো হয়ে বলল….
—দেখ তুমি মিথ্যে কথা কেন বলছ??কেন তুমি এমন করছো??তুমিই তো ওদের বিয়ে দিলে??

আর বউমা তুমি মা কে ভালোবাসো ভালো কথা তাই বলে এমন একটা সিধান্তে তুমি রাজি হয়ে গেলে।আমাদের কথা ভাবলেনা।আরে আমাদের কথা না হয় বাদি দিলাম আমার ছেলেটার কথা তো ভাববে।আরে তার কথাও না হয় বাদ দিমাম কিন্তু তোমার ঐ পাগল মেয়েটার কথা তো একবার ভাববে।

নিধি হা করে তাকিয়ে রইলো বলছে কি এই মহিলা??নিধি একা একাই ভাবতে লাগলো আমার আবার বিয়ে হলো কখন??আবার নাকি একটা মেয়েও আছে??আমি সপ্ন দেখছি না তো??নিধি নিজেকে নিজেই চিমটি কাটলো।নিজের হাতে ব‍্যথা অনুভব করে বুঝতে পারলো সপ্ন দেখছে না।নিধি যে কিছু বলবে তা ও বলতে পারছে না।ভয়ে ওর হাত পা কাপছে।

একজন লোক এগিয়ে এসে বলল….
—আপনি যে বলছেন ও আপনার পূত্র বধু তার কি প্রমান আছে??আমরা কেন আপনার কথা বিশ্বাস করব??

মহিলাটি মুচকি হেসে বলল….
—আপনার মাথায় তো অনেক বুদ্ধি।এবার একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, এতো সুন্দর একটা মেয়েকে এমন আংকেল টাইপ মানুষের সাথে কেন বিয়ে দিচ্ছে??মেয়ের মধ্যে যদি কোন খুতই না থাকতো তাহলে কি এমন একজনের সাথে এতো সুন্দর একটা মেয়ের বিয়ে দেয়??

মহিলার কথা শুনে সবাই আবার কানাকানি করতে লাগলো।

হঠাৎ করেই একজন ছেলে এসে নিধিকে জরিয়ে ধরে বলল…

—প্লিজ নিধু আমার সাথে আর অভিমান করে থেকো না।আমি তোমাকে ছাড়া বচতে পারবো না।আমি আজই আমার শাশুড়ি মা কে টিভি কিনে দিব।দরকার পরলে টিভির শোরুম কিনে দিব।তার পরেও অন‍্য জায়গায় বিয়ে করো না।প্লিজ আর রাগ করে থেকো না।

নিধি এদিকে পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছে।লোকটাকে যে সরাবে সেই শক্তিটুকুও পাচ্ছেনা।নিধি মনে মনে ভাবছে এই পাগলগুলো কোন পাগলা গারদ থেকে পালিয়ে এল??
#বেস্টু
#পর্ব_০৭
#Ariyana_Nur

এতক্ষন দারজার বাহির থেকে ভিতরের কাহিনী আমরা দেখছিলাম।নিধি আপু সেই কখন থেকে সবাইকে বলছে সে তাদের চেনে না।আর বিয়ে তো দুরের কথা।আমি দোয়া দুরুদ পরে আস্তে আস্তে করে হেটে এসে নিধি আপুর সামনে দাড়ালাম।আমার দিকে সবাই কেমন ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে। আরে তাকাবেই না কেন আমি তো নিজেই কার্টুন সেজে এসেছি।আমি একটা স্কার্ট পরেছি সাথে একটা ওরনা। মাথার মধ্যে দুই ঝুটি সাথে ছোট ছোট পুতুল ক্লিপ তো আছেই।মাথায় হাতে ব‍্যান্ডেজ।নিধি আপু কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আমার কাছে এসে উত্তেজিত হয়ে জিগ্গেস করল….

—কি হয়েছে তোমার???শরীরে এতো ব‍্যান্ডেজ কেন???কি ভাবে ব‍্যথা পেলে???

আমি নিধি আপুর কথা শুনে কান্না করতে লাগলাম যাকে বলে মরা কান্না।আমার এমন কাজে সবাই হা করে তাকিয়ে রইল।নিধি আপু আমাকে আলতো করে জরিয়ে ধরে বলল…

—আরে বোকা মেয়ে কি হয়েছে বলবে তো??এভাবে কান্না করছো কেন???

মিসেস রহিমা এবার নিধি আপুকে ধমক দিয়ে বলল…
—নিধি কে এই মেয়ে??কি হয় তোর??

নিধি আপু কিছু বলবে তার আগেই ঐ মহিলাটি বলল…

—কি ব‍্যপার বউ মা এতক্ষন তো বলছিলে তুমি আমাদের চিনো না??আর এখন এই মেয়েকে দেখে নিজেকে আটকে রাখতে পারলে না।

আপুর মনে হয় তার কথা হজম হলো না।আপু তার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল।আপু কিছু বলবে তার আগেই
এবারো আপুকে কিছু বলতে না দিয়ে আমি কাদো কাদো হয়ে ঠোঁট উল্টে বললাম….

—দেখ ফুপিমা আমার ভাবী মা কে কিছু বলবে না।তাহলে কিন্তু আমি আরো কান্না করবো।আমি আপুকে জরিয়ে ধরে বাচ্চাদের মত করে বললাম…
—ভাবী মা আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিব না।তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা প্লিজ…..

আপু আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল…
—মানহা কেন এমন করছো???আর এভাবেই কান্না করছো কেন??প্লিজ বোন তোমার পাগলামো বন্ধ কর??দেখ সবাই…

আপুকে আর কিছু বলতে না দিয়ে মিসেস রহিমা এবার আমার সামনে এসে আমাকে আপুর থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল….

—এই পাগল মেয়ে কোথার থেকে এসেছো??জানিনা এই পাগল গুলো যে কোথার থেকে আসলো???

আমি আপুকে আরো টাইট করে জরিয়ে ধরে বললাম…
—ভাবী মা আমার এই পাগল নানু আন্টিকে ভয় লাগছে প্লিজ তাকে সরাও।অনেক চেষ্টা করেও তাকে সরাতে পারলাম না।আমি এবার মনে মনে বলতে লাগলাম সোজা আংগুলে ঘৃ না উঠলে পুরো ডিব্বাই উল্টো করে দিতে হয় তেমন এখন আমাকে উল্টো পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।আমি তাকে অনেক কষ্ট করে সরিয়ে এক লাফ দিয়ে চেয়ারে উপর দাড়িয়ে গেলাম।আর কোমরে দু হাত দিয়ে চিৎকার করে বললাম…

—কেউ অসবেনা আমার সামনে।আমি আমার ভাবী মাকে কাউকে নিতে দিবো না।এই বলে এক লাফ দিয়ে চেয়ার থেকে নেমে আরো পাগলামি করতে লাগলাম।একেক জনের সামনে গিয়ে একেক কথা বলতে লাগলাম।আর উল্টোপাল্টা কাজ করতে লাগলাম। কারো শাড়ির আচলে গিট্টু দিচ্ছি কাউকে ধরে নাচছি কাজির টুপি নিয়ে সেটা দিয়ে খেলছি। আবার দুলামিয়ার টুপি খুলে নিয়ে নিজের মাথায় পরছি তো আবার তা দিয়ে খেলছি।আমাকে কেউ থামাতে পারছে না।আমার এবার নিজেরি বিরক্ত লাগছে আরে ভাই এতো কিছু করছি কেউ একজনও বলছে না যে, এই মেয়ের সাথে আমাদের ছেলের বিয়ে দেব না।আরে সিনেমায় তো দেখি একটু কিছু হলেই বিয়ে ভেংগে চলে যায়।কি আর করবো বিয়ে তো আমাদের ভাংতেই হবে।আমি আমার পাগলামি আরো করতে লাগলাম।

মিসেস রহিমা ফুপিমার সামনে গিয়ে বললেন…

—এই পাগল মেয়ে কোথার থেকে নিয়ে এসেছেন??আমাদের জামাই বাবাজি ভালো দেখে আমার মেয়ের বিয়েটা ভেংগে চলে যায় নি।তা না হলে এই অপয়া মেয়েকে কে বিয়ে করতো??

এতক্ষন পর আমাদের দুলামিয়া বলল…
—অনেক করেছেন তামাশা আর করা লাগবে না।মেয়ের এক জায়গায় বিয়ে দিয়ে আবার আরেক জায়গায় বিয়ে দিতে যাচ্ছেন।আপনি তো মা নামের কলংক। এই তোমরা সবাই চলো।

আমি মনে মনে বললাম…

—শালা বুইড়া জামাই, আরো আগে মুখ খুলতে পারলিনা।তাহলে তো আমাকে এতো কস্ট করে পাগলের অভিনয় করতে হতো না।

আরো কিছুক্ষন মেলো ড্রামার পর তারা চলে গেল।তারা সবাইকে নিয়ে চলে যেতেই আমি হাফ ছেরে বাচলাম।

______________________

ফুপিমার বাসায় বসে আছি সবাই।কারো মুখে কোন কথা নেই।নিধি আপু নিরবে কান্না করেই যাচ্ছে।নিধি আপুর সৎ মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।আমরা তাকে আমাদের সাথে অনেক জোর করে নিয়ে এসেছি।আমি আস্তে করে নিধি আপুর পায়ের সামনে হাটু গেড়ে বসে দু কান ধরে কাপা কাপা গলায় বললাম….

—সরি…আপু আমার জন‍্য আজ তোমার সাথে এমন হলো।প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।দেখ তোমার যদি সেখানে বিয়ে হতো তাহলে মনু কোনদিন নিজেকে মাফ করতে পারতো না।ও নিজে সারা জীবন ধুকে ধুকে মরতো।তাই আমি আর জানু মিলে এই বুদ্ধি করি।দেখ তুমি মনে করতে পারো আমি তোমায় সবার সামনে অসম্মান করেছি।
প্লিজ…আমাকে ভুল বুঝো না।এই বলে আমি কাদতে লাগলাম।

আপু আমাকে উঠিয়ে তার পাশে বসালো এবং আমার চোখের জল মুছে দিয়ে বলল…

—কাদছো কেন তুমি!!তোমার মুখে কান্না মানায় না।আর আমি তোমার উপর রাগ করি নি।হয়তো আল্লাহ্ আমার ভাগ‍্যে এমনই লিখেছেন।তাই এমন হয়েছে।প্লিজ তুমি নিজেকে দোষ দিও না।

আমি নাক টেনে বললাম…
—তুমি আমাকে মাফ করে দিয়েছো তো??

আপু মিস্টি হেসে বলল….
—রাগই তো করি নি তোমার উপর মাফ কি করবো।

আমি আদুরে গলায় বললাম….

—এতে কাজ হবে না।আমার একটা শর্ত আছে যদি তুমি রাজি হও তাহলে ভাববো তুমি আমায় মাফ করে দিয়েছ।

আপু আমার দিকে সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল…
—পাজি মেয়ে আবার মাথায় কি ঘুরপাক খাচ্ছে।

আমি একটা মিস্টি হাসি দিয়ে বললাম….
—এই পাজি মেয়ের জালা সারাবছর সজ‍্য করতে হবে।

—মানে????

—মানে যা বলে তোমার বিয়ে ভেংগেছি সেটা পূর্ণ করতে হবে।

আপু আমার দিকে প্রশ্ন বোধক চাহনিতে তাকিয়ে আছে।আমি মিস্টি হেসে বললাম….

—ভাবী আমার ভাইয়া কিন্তু দেখতে হিরোর মত।কিন্তু একটু…বদ রাগি।কোন ব‍্যপার না তুমি আর আমি মিলে তাকে সোজা করে ফেলবো।

_____________________

এদিকে যে এতো কিছু হয়ে গেলো তার কিছুই আহাদ জানেনা।কাল রাতে সে রাগ করে বাসা থেকে ঢাকায় চলে এসেছে।তাহিয়া আহাদের বাসায় গিয়ে আহাদ কে সব জানিয়েছে।সব শুনে আহাদ থ’মেরে বসে আছে।আহাদ কি বলবে কিছুই ওর মাথায় আসছে না।শুধু একটা কথাই মাথায় আসছে যে,আজ তাহিয়া আর মানহার জন‍্য ওর বোনের বিয়েটা ওমন একটা ছেলের সাথে হয় নি।

#চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here