ভালোবাসবো যে তোকে পর্ব ১৬

#ভালোবাসব_যে_তোকে🍁
পার্ট ১৬
লেখিকাঃসারা মেহেক

🍀🍁

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য সকাল থেকেই ৩বাড়ীতে সেইরকম তোড়জোড় চলছে।একজন এই কাজ করছে আরেকজন সেই কাজ করছে।

১১টার দিকেই অহনা আর মৌ কে পার্লারে নেওয়া হলো। দুজনে একই পার্লার থেকে সাজবে।দুজনের শাড়ীর রংও একই। শুধু সাজটা ভিন্ন হবে।

১টার দিকে সাজানো শেষ হলে তারা কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পুরো রাস্তা অহনা বেয়শ টেনশনে ছিলো। সে নিজেও জানে না তার এতো টেনশন কেনো হচ্ছে।আজকেই যদি এতো টেনশন হয়,বিয়ের দিন কি যে হবে….
আর মৌ তে বেশ টেনশন ফ্রি ই ছিলো।কমিউনিটি সেন্টারে আসার পর পরই তারা নেমে যায় গাড়ী থেকে। তাদের কে নিয়ে সোজা স্টেজে বসিয়ে দেয় মৌ এর মামি।
আয়ান আর মৌ এর হলুদের স্টেজ একদম সামনাসামনি দিয়েছে।ফাহাদ আর অহনারও তেমনই।এতে ৪ জন লাভ বার্ডস এর বেশ সুবিধাই হলো।পুরোটা সময় তারা একে অপরকে দেখতে পারবে।

অহনা আর মৌ কে দেখতে আজ অনেক সুন্দর লাগছে। বাঙালি স্টাইলে শাড়ী পরানো হয়েছে তাদের। আর আর্টিফিশিয়াল ফুলের গহনা পরানো হয়েছে।
আর আয়ান ঘিয়া রংয়ের একটা পান্ঞ্জাবী পরেছে।সাথে হলদেটে রংয়ের একটা কটি পরেছে পান্ঞ্জাবীর উপরে।(আমার জানামতে হয়তো এটাকে কটি ই বলে। নট শিওর😑😑)আর ফাহাদ কাঁচা হলুদ রংয়ের পান্ঞ্জাবী পরেছে।দুজনকে দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম লাগছে।

সামনাসামনি বসে আসে আয়ান, মৌ আর ফাহাদ অহনা। একে একে সবাই এসে বর আর কনের মুখে হালকা হলুদ ছোঁয়া দিচ্ছে আর মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে।আয়ান এর বেশ ভালো লাগছে এসব। কিন্তু তার ভালো লাগার মূল কারন হলো, সে মৌ কে দেখতে পাচ্ছে।আয়ান আজকে একটু সুযোগ পেলেই মৌ এর দিকে তাকাচ্ছে।।আয়ান তো আজকে মৌ কে দেখে ক্রাশ খেয়েছে।অবশ্য এমন হওয়ারই কথা।কারন মৌ কে আজ দেখাই যাচ্ছে এতো সুন্দর।

আয়ানের এমন চাহনি মৌ কে বেশ লজ্জায় ফেলে দিচ্ছে। কারন তার কয়েকজন কাজিন এসে তার কানে কানে আয়ানের এমন করে চেয়ে থাকা নিয়ে মজা করে অনেক কথা বলছে।

এদিকে একটা ছেলে মৌ এর দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলো।যদিও মৌ সেটা খেয়াল করেনি। কিন্তু আয়ান খেয়াল এটা করেছিলো। এতে তার প্রচন্ড রাগ উঠে যায়।কিন্তু সে কষ্টে রাগটা দমিয়ে রেখেছে। কারন একে তো অনুষ্টান চলছে। তার উপর সেই ছেলেটা আয়ানের ফ্রেন্ড ও।ছেলেটার নাম ইমন।আমেরিকায় থাকে সে। আয়ানের বিয়ে উপলক্ষে সে দেশে এসেছে। এখন সে আয়ানদের বাসাতেই রয়েছে।

ইমন কেমন নজরে মৌ কে দেখছে তা আয়ান ভালোভাবেই বুঝতে পারছে। আয়ান যে কিভাবে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করছে তা নিজেই জানে। তার এখন মনে হচ্ছে মৌ কে কোথাও লুকিয়ে ফেললে ভালো হতো।

হলুদের অনুষ্টান প্রায় শেষের দিকে।পুরো অনুষ্টানটাই বেশ ভালোভাবে কাটলো।মৌ আর অহনা আজকে অনেক হ্যাপি ছিলো তা তাদের চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
সবাই এখন যে যার মতো গল্প করছে। মৌ অহনার সাথে গল্প করছিলো।হঠাৎ করে তার হাতটা একটু আঠা টাইপের লাগছিলো। প্রথমে এর কারন মনে না করতে পারলেও পরে ঠিকই কারনটা মনে আসলো। তার ছোটো একটা কাজিন তাকে মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে ভুলে তার হাতে ফেলে দিয়েছিলো।তখন টিস্যু দিয়ে হাত মুছেছিলো।কিন্তু এতে যে কোনো কাজ হয়নি তা এখন বুঝছে সে।তাই হাত ধোয়ার জন্য ওয়াশরুমের দিকে গেলো মৌ।

বেসিনে হাত ধুচ্ছে মৌ। কিন্তু হঠাৎ করেই ওয়াশরুমের লাইট অফ হয়ে গেলো। সে ভাবলো যে হয়তো জেনারেটরে কোনো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এটা যে কেউ ইচ্ছা করে করেছে তা তো আর সে জানে না।কিছুক্ষণ সে দাঁড়ীয়ে রইলো ইলেক্ট্রিসিটি আসার অপেক্ষায়।হঠাৎ মৌ এর মনে হলো কে যেনো তার পিছে দাঁড়ীয়ে আছে।মূহুর্তে সেই ব্যক্তিটা মৌ এর কাছে এসে তাকে পিছনের থেকে জড়িয়ে ধরলো। মৌ তো এতে খুব ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু পরে ভাবে যে এটা আয়ান।তাই মৌ ঐভাবেই ঠায় দাঁড়ীয়ে রইলো।কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেই ব্যক্তিটি মৌ ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু দিলো।এতে মৌ এর প্রচন্ড অস্বস্তি লাগছে।সে ভাবতে লাগলো যে আয়ানের ছোঁয়া তো কোনোদিনও এমন অস্বস্তি লাগেনি, তাহলে আজকে এমন কেনো লাগছে।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সেই ব্যক্তিটি মৌ কে ছেড়ে ওয়াশরুম থেকে চলে গেলো। ব্যক্তিটি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওয়াশরুমের লাইট জ্বলে উঠলো।মৌ যেনো স্বস্তি ফিরে পেলো। কিন্তু মাথার মধ্য তার একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, এই মানুষটা আয়ানই তো নাকি অন্যকেউ। এসব ভাবতে ভাবতে সে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে অহনার কাছে গেলো। অহনার সাথে কথা বলতে বলতে তার নজর আয়ানের উপর পরলো। কিন্তু আয়ানের উপর চোখ পরতেই তার মন ভয়ে কেঁপে উঠলো।কারন সে ওয়াশরুমে যাওয়ার আগে আয়ানকে যেভাবে দাঁড়ীয়ে থাকতে দেখে গিয়েছে এখনও সেই একইভাবে দাঁড়ীয়ে আছে সে।এ দেখে মৌ এর মনে এখন একটাই প্রশ্ন আসছে,

“তাহলে কি আয়ান আসেনি সেখানে??অন্যকেউ এসেছিলো!!!

নাহ নাহ অন্য কে আসবে। আয়ানই এসেছিলো।মানুষ তো একইভাবে আবার দাঁড়ীয়ে থাকতেই পারে।।আমিও না…অযথা উল্টাপাল্টা চিন্তা করছি।”

সন্ধার মধ্যেই সবাই সবার বাসায় চলে গেলো।
মৌ এর মাথায় এখনো সেই কথাই ঘুরছে।রাতে আয়ানের সাথে ফোনে কথা বলার সময় মৌ ভেবেছিলো যে তার এই সন্দেহটা সে দূর করবে।কিন্তু আয়ান তার আগেই ফোন রেখে দেয় এই বলে যে আজকে ভালোভাবে না ঘুমালে চোখের নিচে কালি পরে যাবে।তখন আবার সাজ ভালো হবে না।

পরেরদিন অহনার আর মৌ সকাল সকাল পার্লারে চলে গেলো। কারন ব্রাইডাল মেইকআপে অনেক সময় লাগে।তাদের সাথে মৌ এর চাচি গেলো।

দুপুর ১২টার দিকে পার্লার থেকে সোজা কমিউনিটি হলে চলে আসলো তারা। বরপক্ষ দু পরিবার আগে থেকেই চলে এসেছিলো।
মৌ কে বধু বেশে দেখে আয়ানের তো পুরাই ঘায়েল হয়ে গেলো। মৌ কে আজ অসম্ভব সুন্দর দেখা যাচ্ছে। মেরুন কালারের লেহেঙ্গায় তাকে কোনো অপ্সরীর থেকে কম লাগছে না।অহনাও লেহেঙ্গা পরেছে। তার লেহেঙ্গার কালার হলো লাল। দুই বান্ধবির খুব ইচ্ছা ছিলো যে বিয়েতে তারা লেহেঙ্গা পরবে।তাদের সে ইচ্ছা পূরন ও হলো।
অহনাকে দেখে ফাহাদ আরেক দফা ক্রাশ খেলো। তার নজর যেনো সরছেই না অহনার উপর থেকে।

ফাহাদ আর আয়ানকেও আজকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।দুজনেই গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানি পরেছে। মৌ আর অহনা যে যার বরকে এক নজর দেখে নিলো। কারন তারা তো আর এখন সবার সামনে এভাবে তাকিয়ে থাকতে পারবে না।।

সময়মতো বিয়ে পরানো হয়ে গেলো তাদের। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিলো।কিন্তু বিপত্তি বাধলো অহনার শ্বশুর বাড়ী রওনা হওয়ার সময়।কিছুতেই তার কান্না থামানো যাচ্ছে না।সে একাধারে কেঁদেই চলছে।মৌ আর আয়ান তাকে হাজার লথা বুঝাচ্ছে , কিন্তু এতেও লাভ হচ্ছে না। দাদি আর আম্মুও অহনার কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারাও বিফল হলো। শেষে আর কোনো উপায় না পেয়ে আয়ান আর আব্বু মিলে অহনাকে কান্নারত অবস্থাতেই গাড়ীতে বসালো।

অহনার কান্না দেখে দাদি আর আম্মুও কান্না করে দিলো পরে।তারা এতোক্ষন কান্না করছিলো না কারন অহনা দেখলে আরো খারাপ লাগতো তার।

এদিক দিয়ে মৌ এর ভালো হয়েছে।সে কোনো প্রকার কান্নাই করে নি। কারন সে তো আর নতুন করে শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছে না।অবশ্য আব্বু, আম্মু আর ভাইয়াকে ছেড়ে আসার সময় তার একটু কষ্ট লেগেছিলো।

বাসর ঘরে একহাত ঘোমটা টেনে বসে আছে অহনা। গাড়ীতে উঠার কিছুক্ষণ পরই তার কান্নার গতি কমতে থাকে। গাড়ীতে থাকার সময়টুকু সে ফাহাদের সাথে একটুও কথা বলেনি।ফাহাদও কথা বলার ট্রাই করেনি। তখন কথা বলা সমীচীন মনে করেনি সে।

অহনার মনে হাজারো চিন্তা উঁকি দিচ্ছে।খুব ভয় লাগছে তার।যদিও সে জানে ফাহাদ অনেক ভালো মানুষ,তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ছুঁইবে না।তারপরও ভয় করছে।সে ভাবছে যে ফাহাদ যদি তার এমন না হয়?? সে যদি তার ইচ্ছা বিরুদ্ধে তাকে টাচ করে তখন!!!

এসব ভাবনাতেই বিভোর ছিলো অহনা।হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজে অহনা ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে।ফাহাদ রুমে ঢুকে দরকা আটকিয়ে অহনার দিকে আগাতে থাকে। এ দেখে অহনার প্রাণপাখী যেনো উড়ে গেলো।ফাহাদের আগানো দেখে সে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো আর বললো,

“প্লিজ আমাকে টাচ করবেন না প্লিজ। দেখুন আজকে বিয়ে হয়েছে তার মানে এই না যে আজকে আমার উপর অধিকার দেখাবেন। প্লিজ প্লিজ আমাকে কিছু সময় দিন।”
অহনা এ বলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করেই চুপ করে থাকে। কিছু সময় যাওয়ার পর সে অনুভব করে ফাহাদ তার হাত ধরেছে। এতে সে চোখ খুলে রেগে জোরে চিল্লানি দিতে যাবে,তার আগেই ফাহাদ তার মুখ চেপে ধরে।

ফাহাদ হাসতে হাসতে বলে,

“আরে আরে আমি এমনিই তোমার হাত ধরছিলাম।তাই বলে এভাবে চিল্লাবা তুমি!!!সবাই তো অন্য কিছু মনে করবে, এটুকুও বুঝো না??আমি হাত সরিয়ে দিচ্ছি,কিন্তু আর চিল্লানির ট্রাই করবা না ওকে??”

অহনা চোখের ইশারায় বলে ওকে।

এরপর ফাহাদ অহনার মুখ থেকে হাত সরায়।

“এভাবে ভয় পাওয়ার কি আছে??আমাকে কি তোমার অনেক খারাপ মানুষ মনে হয়??”

“না আসলে তেমন কিছু না।”

“আমার কথা মন দিয়ে শুনো।
আমি তোমাকে তোমার মতের বিরুদ্ধে কখনোই স্পর্শ করবো না।এটার গ্যারান্টি আমি দিচ্ছি।তুমি যেদিন চাইবে সেইদিনই আমাদের সম্পর্ককে আগাবো।”

অহনা জবাবে শুধু হুম বলে।মনের মধ্য এখন বড়ই শান্তি লাগছে তার।

“তুমি ড্রেস চেন্জ করো নাও।”

“আচ্ছা।”

এদিকে মৌ রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে ছিলো। কিন্তু আয়ান আসলো না দেখে সে বারান্দায় গিয়ে দাড়াঁলো। এই চিন্তা সেই চিন্তা ঘুরছে তার মাথায়। সবচেয়ে বেশি চিন্তা হচ্ছে অহনার জন্য।
“না জানি কি করছে এখন।যে কান্না করছিলো!!কখন চুপ হয়েছে আল্লাহ জানে।”

এ বলে মৌ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাঁদের দিকে চেয়ে রইলো।কিছুক্ষণ পর সে খেয়াল করলো কেউ শাড়ীর নিচ দিয়ে তার পেটে হালকা করে হাত বুলাচ্ছে।সে বেশ বুঝতে পারলো এটা আয়ানের কাজ।
আয়ান মৌ কে পিছে থেকে জড়িয়ে ধরে মৌ এর কাঁধে থুতনি রেখে দাড়াঁলো।

“কি এতো চিন্তা করছিলি তুই??”

“কি আর চিন্তা করবো….অহনার খুব চিন্তা হচ্ছিলো।”

“হুম আমারো ওর চিন্তা হচ্ছে অনেক।”

“আমার চিন্তা হচ্ছে যে ঐ বাড়ীতে মানিয়ে তো নিতে পারবে ও??আর ফাহাদ ভাইয়া কি বুঝবে ওকে??”

“চিন্তা করিস না এতো।ফাহাদ অনেক ভালো ছেলে। ও অহনাকে বুঝবে।”

“হুম ঠিক বলেছো তুমি। কিন্তু অহনাকে কান্না করতে দেখে আমার তখন খুবই খারাপ লাগছিলো।কারন সবই ওর কাছে নতুন।”

আয়ান হাসির ছলে বললো,

“তুই কান্না করছিলি না কেনো??”

“আমি কান্না করবো কেনো??আমার কি নতুন বিয়ে হয়েছে??আমার জন্য কি সব নতুন নাকি??”

“হুম। সেটা অবশ্য ঠিক।সবই নতুন। শুধু একটা জিনিস বাদে??”

মৌ অবাক হয়ে বললো,

“নতুন আবার কি??”

“কেনো আমাদের বাসর রাত।।”

এ কথা শুনে মৌ বেশ লজ্জা পেলো।আয়ান আবারো বললো,

“গতবার তো আমার ভুলের জন্য সব কিছু তছনছ হয়ে গিয়েছিলো।সেদিনকার কথা মনে পরলেই আমার অনেক গিল্টি ফিল হয়। আমি কি করে পারলাম তোকে মারতে!!…..”

“ওসব পুরোনো কথা বাদ দাও প্লিজ।”

আয়ান মৌ কে তার দিকে ঘুরিয়ে বলে,

“আচ্ছা আমাকে কি আমার ভুলের মাশুল দিতে দিবি??
তোকে পুরোপরি আমার করে পেতে চাই। দিবি আমাকে সেই অধিকার??”

জবাবে মৌ কিছু বলেনি। সে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে।এতে আয়ান তার জবাব পেয়ে যায়।সে মৌ কে কোলে তুলে রুমে চলে আসে।
আজকের রাত হয়ে যায় মৌ আর আয়ানের ভালোবাসার রাত।

আর ফাহাদ আর অহনা রাত কাটায় গল্প করতে করতে। তারা সময় পার করে একে অপরকে জানতে।…

চলবে…
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here