ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ২৯

#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন

পর্ব— ২৯

হাসনাতের ঘুম যেন রোদেলার সাথেই হাওয়া হয়ে গেছে..নিজের ঠোটের ওপর এখনো রোদেলার মিষ্টি ঠোটের সেই অনুভূতি অনুভব হচ্ছে তার.. রোদেলার মিষ্টি চেহারাটা বারবার মনে পড়ছে … রোদেলাকে যে বড্ড কাছে চায় সে…
রোদেলার অবস্হা আরো খারাপ.. বড্ড অস্হির লাগছে তার। বিছানায়,শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে সে!! লজ্জামাদকতা মিশ্রিত এক অন্যরকম অনুভূতি বারবার ছোয়ে দিচ্ছে তাকে.. আর এতে বারবার শিহরিত হচ্ছে সে….
হাসনাতের খুব করে ইচ্ছে হচ্ছে সে রোদেলাকে কল দিক. আর রোদেলাও চায় হাসনাত তাকে কল দেয়.. কিন্তু দুইজনকে যেন জড়তায় গ্রাস করে নিয়েছে.. হাসনাত বারবার ফোনটি হাতে নিয়েও কল দিতে পারলো না তার মায়াবতীকে.. আর এভাবে দুইদিকে দুইটি মানুষ চাতকের ন্যায় সম্পূর্ণ নির্ঘুম একটি রাত কাটালো যে রাত ছিল পূর্ণ আবেশমিক্সিত!!

সকালের কারো জোরে ধাক্কায় ঘুম ভাঙ্গলো রোদেলার.. এভাবে কে তাকে ডাকছে তা ভাবতেই অনেকটা সময় লাগলো তার.. তার কাছে মনে হচ্ছে মাত্র ঘুমিয়েছে সে…
হঠাৎ কারো জোরে ডাকতেই ধরফরিয়ে ওঠলো সে.. মেঘলা আপু!!! তার মন খুশিতে ভরে ওঠলো যে জড়িয়ে ধরতে যাবে হঠাৎ কি মনে করে মুহুর্তেই মনটা অভিমানে ছেয়ে গেল তার.. কালকে কেন এলোনা সে.। সে আসলেই তো আজকে হাসনাত নামক প্যারাটাকে ইচ্ছামতো টাইট দিতে পারতো সে…
তাই মুখ ফুলিয়ে রোদেলা বলল– — কি এমন রাজকার্য ছিল যে নিজের বোনের বিয়েতে আসো নাই তুৃমি. আর আজকেই বা কে বলেছিল যে আসতে তোমাকে…. না আসলে কি তোমাকে বিয়ের খাবার দিবে না বলেছে কেউ??যে চলে এসেছো..যাও কথা,বলি না আমি তোমার সাথে…
মেঘলা রোদেলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মুখে মেকি রাগ ঝুলিয়ে বলল– কই আমি এতোদিন পরে এসেছি একটু খাতির যত্ন করবি.. তা না খাওয়ার খোটা দিচ্ছিস.. চলে যাব গা আমি এখনই..
রোদেলা মুহুর্তেই মেঘলাকে জড়িয়ে ধরলো আর মুখ ফুলিয়ে বলল– কি কপাল আমার!! শান্তিতে কারো সাথে অভিমান ও করতে পারি না.. সবাই শুধু ভোলেভালা আমারই ফাইদা ওঠায়…
মেঘলা হেসে রোদেলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আর বলল– আসলেই অনেক বেশি কাজ ছিল.. আর হঠাৎ ছুটি পাই নি…
রোদেলা মাথা নিচু করে মাথা নাড়লো… হঠাৎ মেঘলা মুখে হাসি টেনে বলল– তা এতো বেলা অবধি ঘুমোচ্ছিস.. আমি তো শুনেছিলাম বিয়ের পর নাকি মেয়েদের ঘুম বেড়ে যায়.. তারপর হালকা কেশে বলল– কিরে,, তোর ও কি সেই কেস???
রোদেলা চোখ বড় বড় করে পরপর কয়েকটা ঢুক গিলল.. তারপর আমাতাআমাতা করে বলল– কই ওনিতো আমার সাথে তেমন কিছুই করে নি…
মেঘলা ব্রু নাচিয়ে বলল– আমি কখন বললাম তোমার ওনি তোমার সাথে কিছু করেছে..
রোদেলা এবার যেন বড়সড় ঝটকা খেল.. এ মেয়েটা টিচার না হয়ে সিআইডি হলে হয়তো বিষয়টা আরো বেশি মজাদার হতো… তারপর এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে হঠাৎ বলল– আসলে আপু,,, আমার কিছু কাজ আছে.. আমি গোসল করে আসি.. এই বলে সে তাড়াতাড়ি কেটে পড়লো.. আর মেঘলা ঐখানে দাড়িয়ে হেসে দিল…

রাতের খুব সুন্দর স্বপ্ন শেষে আড়মোড় ভেঙ্গে ওঠে বসলো হাসনাত… কাল রাতের রেশটা তাকে এখনো এতোটাই নাড়া দিচ্ছে উঠার সাথে সাথেই সে ঠিক করে নিয়েছে সে তার কলিজার বৌকে দেখে আসবে.. আসলেই তার কলিজা সে.. না দেখলেই কলিজার ভিতরটাই মোচড় দেয় তার. আহা এইটা আবার কোন রোগ!! নির্ঘাত লাভেরিয়া!!! এইসব ভাবতে ভাবতে গোসল করতে চলে গেল সে…

ইফতি অনেকখন যাবত ইফ্ফাতের দৃষ্টি আকষর্নের চেষ্টা করছে. কিন্তু ইফ্ফাত যে ব্যাক্তিকানা হয়েছে.. সব কিছু দেখছে শুধু ইফতিকেই দেখছে না সে.. এই তো কিছুখন আগে ইফতি দরজার মাঝখানে চেয়ারটা রেখে তার পাশে দাড়িয়ে ছিল.. ইফ্ফাত চেয়ারটা এমন ভাবে সরিয়ে রাখলো যেন চেয়ারটার পাশের ব্যাক্তিটা একটা দেয়াল!! ইফতির বুকের ভিতর মোচড় দিচ্ছে.. সত্যি কি ইফ্ফাত বিয়েটা ভেঙ্গে দিবে?? তার শশুর তো বোধহয় দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি খুশি হবে এতে!!!! আহা জিবনটা বড়ই বেদনাময়…এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার মাথা অন্যরকম বু্দ্ধি খেলে গেল..

ইফ্ফাত আপনমনে ছাদের কাপড়গুলো ভাজ করে রুমের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল . হঠাৎ ইফতি এসে আচমকা তার হাত ধরে টেনে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলল.তাকে…. ইফ্ফাত ভয়ে তার চোখ বুঝে ফেলল!!
ইফতি আনমনে তার বৌয়ের সেই ভিতু ভিতু চেহারাটা দেখতে লাগলো!! পাপড়িগুলো কেপেঁ কেপেঁ ওঠছে ইফ্ফাতের!! ইফতি আলতো করে দুচোখে চুমু একে দিল তার!! ইফ্ফাত হঠাৎ কারো ঠোটের স্পর্শ পেয়ে চোখ বড় বড় করে তাকালো!! আর চোখে সামনে ইফতিকে দেখে রেগে বলল– কি সমস্যা.. মেয়ে দেখলেই বেয়াদবি করার শখ জাগে মনে?? আল্লাহকে ভয় কর.. একদিন নিজেও মেয়ের বাবা হবে…
ইফতি মুচকি হেসে বলল– তোমার দোয়াটা যেন সত্যি হয়.. আমি যেই মেয়ের বাবার হবো সেই মেয়ের মা টা যেন শুধু তুৃমি হও…
মুহুর্তেই ইফ্ফাতের রাগটা পড়ে গেল… সে মুখ ভেঙ্চিয়ে মৃদু হেসে ওখান থেকে চলে গেল.. আর ইফতি সেখানে দাড়িয়ে বুকে হাত রেখে বলল– হায়!!! হাছি তো ফাছি!!!!
মাহিয়া সানিয়ার সাথে কিছু গল্প করতে এসেছিল… আর এসেই সে অনেকখন যাবত ইফতি আর ইফ্ফাতের এসকল কাজগুলো দেখছে.. হঠাৎ তার মনে হলো সে চায়লেই এদের হেল্প করতেই পারে… তার কাছে ভালোবাসা শব্দটা অনেক বেশি সুন্দর শব্দ!! আর সে নিজের লাইফে একজন ভালো লাইফপাটনার চায় সবসময়ের জন্য .. আর তাই সে সবসময় কাপলদের ক্যাচআপ করতে হেল্প করে. মনে অদ্ভূত শান্তি পায় সে এতে… আর তাইতো হাসনাত আর রোদেলার ক্যাচআপের জন্য রোদেলার কাছেই খারাপ হয়ে গিয়েছিল সে… এইসব ভাবতে ভাবতে মৃদু হেসে ইফতির কাছে গিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলল —- ভাইয়া আপনার চুলগুলোতো এলোমেলো হয়ে গেছে।। এদিকে আসুন ঠিক করে দি.. এই বলে সে ইফতির চুলগুলো ঠিক করে দিল… তারপর মুচকি হেসে ঐখান থেকে চলে গেল…

ইফ্ফাত বিষয়টা খেয়াল করে একবোতল পানি নিয়ে গিয়ে ইফতির ঘাড়টা কাত করে চুলগুলো ধোয়ে দিল… তারপর তীব্র ঝাঝের সাথে বলল– ঐ নাক কাটা পেত্নী তোমার চুলের সাথে কি করে… তুমি শুধু আমার।। তোমার সবকিছুতে শুধু আমার অধিকার.. আর কারো হস্তাক্ষেপ সহ্য করবো না আমি. ইফতি মুচকি হেসে মাথা নিচু করে মাথা ধোলাল.. আর ইফ্ফাত তার ওড়নার এক প্রান্ত নিয়ে পরম যত্নে মাথাটা মোছে দিতে লাগলো…
ইফতির মন যেন সীমাহীন তৃপ্তিতে ভরে গেল..মাহিয়াকে মনে মনে থেংক্স দিয়ে দিল সে কয়েকটা.. তারপর বিরবিরিয়ে বলল –যদি মাথায় পানি ঢালাতে দারুন কিছু হয় তাহলে এমন আজিবন ভিজতে রাজি আমি!!

মাহিয়া মুচকি হেসে সামনে যেতেই সানিয়ার সামনে পড়লো সে.. সানিয়া বুকের ওপর হাত গুঁজে বলল– সব কাপলদের এতো হেল্প করে কি মজাটা পাস তুই?? ঠিক ই তো সবার কাছে খারাপ হোস…
মাহিয়া মুচকি হেসে বলল– আরে,, দেখ ওনারা এখন কতোটা খুশি!! আর দেখবি একদিন আমার লাইফেও এমন রিয়েল লাভ আসবে…
সানিয়া মাহিয়ার মাথায় হালকা টোকা দিয়ে হেসে বলল– পাগলি একটা… চল…

এসবকিছু দূর থেকে একজন খুব ভালোকরে পর্যবেক্ষণ করছে.. আর সে হলো মেহেদী.. আজই ঢাকা থেকে ফিরেছে সে.. রোদেলার বিয়ে উপলক্ষে.. ঢাকা ভার্সিটিতে ইকোনোমিকস এ পড়ে সে.. সব কিছু দেখে তার কেন যেন মনে হচ্ছে আজকেই ফিরে ভালোই করেছে সে… আজ না আসলে হয়তো জানতোই না ভালোবাসার কদর করে এমন মেয়েও দুনিয়ায় আছে..মেয়েটা ঠিক তার মনমতো!! নিজের বন্ধুদের ভালোবাসার কাহিনী দেখতে দেখতে ভালোবাসার ওপরই বিরক্তি চলে এসেছে তার… কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তার ধারনা ভূল প্রমান করার মতোনও মেয়ে আছে!!
আসলে সব ছেলে বা সব মেয়ে খারাপ নয়.. গুটিকয়েকের জন্য মানুষের চিন্তাচেতনা সার্বজনীন হয়ে ওঠে….

কাজগুলো সব শেষ করে সানিয়া মাহিয়াকে গেইট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যেই ভিতরে ডুকবে হঠাৎ পাশের চায়ের দোকানে একটা ছেলের ওপর চোখ আটকে যায় তার!! এই যে সেই রাঙ্গামাটির ছেলেটা!!! সানিয়া ভেবেছিল ছেলেটার সাথে তার আর দেখাই হবে না..যেহেতু হয়েছে.. তারমানে ভাগ্য তার সাথে ছেলেটার কানেকশন হয়তো জোড়া লাগাতে চাইছে..এইসব আকাশপাতাল ভাবতে ভাবতে ছেলেটার সামনে গিয়ে দাড়ালো সে..
ইশান রোদেলাদের বাসায় এসেছে.. তামান্না বলল রোদেলার বিয়ে তাই ওকে কংগ্রেস করতে এসেছে সে।।। রোদেলার বিয়ে কথাটা শুনে ইশানের কোন ফিল ই হয় নি.. আর এতেই সে বুঝে যায় এটা ভালোবাসা ছিলই না.. শুধু ক্রাশ ছিল.. তাইতো সে মাইন্ড ফ্রেস করে রোদেলার সাথে দেখা করতে এসেছে.. সে আপাতত তামান্নার জন্যই ওয়েট করছে একা একা যেতে তার কাছে কেন যেন খারাপ লাগছে তাই…
চায়ের দোকানে চায়ের কাপে মুখ দিতেই সামনের মেয়েটিকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে গেল তার.. তাড়াতাড়ি গরম চার এক ঢুকটি গিলে বলল– আপনি!
সানিয়া মুচকি হেসে ব্রু নাচিয়ে বলল– ইশানবাবু.. কি খবর?? বাসার সামনে কি করেন??
ইসানের গলাটা জ্বলছে!! হাসফাস গলায় বলল — আমার বান্ধবী রোদেলার বাসায় এসেছি আমি…
সানিয়া ইসানের অবস্হা বোঝতে পেরে তার দিকে পানিটা এগিয়ে দিল.. তারপর মিষ্টি হেসে বলল– এভাবে হুটহাট রিয়েক্ট করা কি ভালো? নিজের যত্ন নিবেন.. এইবলে চলে গেল সে.. আর ইশান তার যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে রইলো আর মনে মনে বলল– রহস্যময়ী!!!

হাসনাত আজ তিনঘণ্টা ধরে সেজেছে!! ড্রেস সবগুলোই বের করে করে শেষে লেমন কালারের ফুলহাতা গেন্জি আর জিন্স পড়ে বেরিয়ে এসেছে সে!!
মেঘলা আর রোদেলা রুমে বসে বসে গল্প করছিল হঠাৎ হাসনাত তাদের রুমে প্রবেশ করতেই চোখ বড় বড় করে তাকালো রোদেলা সেদিকে!!! মেঘলা আড়চোখে তাকিয়ে সবটা বুঝে নিয়ে গলা খাকিয়ে বলল– কি সমস্যা হাসনাত ভাই?? হুট করে চলে এলেন??
হাসনাত ধুপ করে বিছানায় বসে মুচকি হেসে বলল– আপনাকে দেখতে এলাম আপু… বৌ এর বড় বোন তো…
রোদেলার কান মুহুর্তেই লাল হয়ে ওঠলো সাথে গালদুইটি ও.. হাসনাতের কন্ঠের বৌ শব্দটা যেন মনের মাঝে মধুর ঝংকার তুলছে… এ কেমন অনুভূতি!!!
রোদেলা নিজেকে স্বাভাবিক করতে টিভিটা বড় করে ছেড়ে আপন মনে সেদিকে তাকিয়ে রইলো…
হাসনাত আড়চোখ রোদেলার দিকে তাকিয়ে মেঘলার সাথে নানা কথায় মগ্ন হয়ে ওঠলো…
রোদেলা আচমকা টিভির দিকে তাকিয়ে হিরোকে ফ্লায়িং কিস দিয়ে দিল…মুহুর্তেই হাসনাতের সারা শরীরে রাগ ভর করতে আরম্ভ করলো… সে নিজের হাত মুটো করে ফেলল.. মেঘলা সবটা দেখে মৃদু হাসলো!!
ওদের ভালোবাসাটা এমন কেন!!! কেন স্বাভাবিকদের মতো নয় তারা— আনমনে এইসব ভাবলো সে…
রোদেলা টিভির দিকে তাকিয়ে থেকেই পানি ভেবে হাসনাতের জন্য রাখা গরম চা টার এক ঢুকঈ মুহুর্তেই গলার মধ্যে ঢেলে দিল…
পুরো মুখটা জ্বলে ওঠলো তার.. কাপটা ছোড়ে ফেলে দিয়ে জোরে জোরে লাফাতে লাগলো সে… মেঘলা তাড়াতাড়ি ঠান্ডাপানি দিল তাকে.. ঢকঢক করে গলায় তা ঢেলে দিতেই জ্বলা অনেকটা কমে গেল…. হাসনাত আইস্ক্রিমের জন্য বাইরে ছোটলো… তার রোদেলার জন্য ভয়ে গলা কাপতে লাগলো.. তাড়াতাড়ি আইস্ক্রিমের কোটাটা হাতে নিয়ে টাকা দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় লাগালো সে… দোকানি অবশিষ্ট টাকার জন্য চিৎকার করে ডাকতে লাগলো তাকে!!! হাসনাতের কান দিয়ে যেন কোন শব্দই পৌছালো না..সে দৌড়ে এসে রোদেলাকে আইস্ক্রিম টা এগিয়ে দিল…

রোদেলার জ্বলাটা অনেকটা কমে এসেছে.. সে আইস্ক্রিমের এক বাইট নিয়ে টিভির দিকে তাকাতেই হাসনাতের সব রাগ টিভির ওপর গিয়ে পড়লো… সে আচমকা টিভিটা তোলে আছাড় দিল.. এরপর টিভিটার ওপর ইচ্ছামতো লাফাতে লাগলো… টিভির পুরো স্কিনটা ফেটে টুকরোটুকরো হয়ে গেল.. রোদেলা ফ্যালফ্যালিয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলো।। আর হাসনাত কটমটিয়ে বেরিয়ে গিয়ে বলল– ফুফি আমি আর একটা কিনে দিব.. নিজের রুমে রাখবে.. এই মেয়ে যাতে আর টিভি না দেখে এইটা ওর স্বামীর আদেশ!!!
রোদেলা যেন বোকা বনে গেল.. মুহুর্তেই সে নিজের জ্বালার কথা ভূলে গেল.. তার নিজের চেয়ে বেশি টিভির জন্য কষ্ট হচ্ছে.এখন তার.. এখন সে “” কসম “” কিভাবে দেখবে… সে আমার রিশি
.বলে কেদে দিল!!!!!!

আর মেঘলা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো দুই পাগলের দিকে…

চলবে

()

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here