#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১২_পর্ব
.
তাই নাকি,, যাক ভাবলাম ফিরে এসে তোমাকে বিয়ে করবো, কিন্তু তা আর হলো না তুমি তো আর আমাকে ভালো বাসো না?? (মেঘ)
মেঘের কথা শুনে মেঘলা ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলো।
ওলে বাবা বেবি কাঁদে না, আমি আর কাউকে বিয়ে করবো না শুধু তোমাকেই বিয়ে করবো হয়েছে?? এবার কান্না অফ করো (মেঘ দুহাত দিয়ে আলতো করে মেঘলা কে জরিয়ে ধরে বলল)
ছাড়ুন আমায় আপনি খুব খারাপ প্রথমত আমাকে কষ্ট দিয়ে এখন আবার প্রেম দেখানো হচ্ছে পচা লোক একটা (মেঘের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নাক টেনে বলল মেঘলা)
না ছাড়বো না আমার তো শুধু মন চাই তোমায় সারাদিন এভাবেই জড়িয়ে রাখি আহ (দুষ্টমি করে বলল মেঘ)
ছি মুখের কি ভাষা ফাজিল লোক একটা,, (এই বলে মেঘলা চলে যেতে লাগল,,)
ওহে সুন্দরী এই অধম কে রেখে যেও না তাহলে যে সে তোমার বিরহে দেবদাশ হয়ে যাবে (মেঘলার পিছন পিছন যেতে যেতে বলল মেঘ)
মাহিকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছানোর পর মেহরাব আগে গাড়ি থেকে নেমে তারপর মাহিকে কোলে নিয়ে মাহির রুমে চলে গেলো।
মেহরাব তুই মাহিকে রুমে দিয়ে আয়, আমি তোর আব্বুকে ফোন করে জানিয়ে দিই নয়ত আবার চিন্তা করবে।(রুপালি)
ওকে মা,,, এই বলে মেহরাব মাহিকে নিয়ে চলে গেলো।রুমে গিয়ে মাহিকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে মেহরাব সটান হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
কত খাস তুই ইস বাবাগো আমার হাত বেথ্যা হয়ে গেছে কত ভারি তুই যেনো আস্ত একটা হাতি (মেহরাব)
মাহি কিছু বলছে না শুধু শুনছে আর রাগে ফুসছে,, কেননা ও কিছু বললেই মেহরাব ওকে নিয়ে মজা করবে তাই চুপচাপ বসে আছে।
আচ্ছা বাদদে আগে বলতো তুই এ্যাকসিডেন্ট করলি কীভাবে??
মাহি তাও চুপ করে আছে আর মনে মনে বলছে,,,ওরে গাধা আমি যদি স্পষ্টভাবে বলতেই পারতাম তাহলে কি এতোক্ষণ বসে বসে তোর গা জ্বালানো কথাশুলো শুনতাম??
ওহ আচ্ছা তুই তো আবার তোতলা হয়ে গেছিস ভালো করে কিছু বলতেও পারবি না,,, আহারে বাচ্চাটা। তবে তোর ঠোঁট গুলা কিন্তু সেই লাগছে, কেমন ফুলে ঢোপা ঢোপা হয়ে গেছে,, (হেসে বলল মেহরাব)
বলেন বলেন যদি খুশি বলেন, এ দিন দিননা আমারও দিন আসবে তখন দেখাবো মজা (মনে মনে বলল মাহি)
কিছুক্ষণ চুপ থেকে মাহি বলল।পালি(পানি) দেন তো, (আসোলে তখন চিপস খাইছি পানি খাওয়া হয়নি এখন গলা কেমন শুকিয়ে গেছে তাই বাধ্য হয়ে ওনার কাছে চাইলাম নয়ত কে ওনার কাছে পানি চাইবে)
কিহ?? পালি?? পালি আবার কি??(যদিও জানি যে ও পানি চাচ্ছে তবুও একটু ক্ষেপাতে দোষ কোথায় হিহিহি)
এই শুরু হয়ে গেলো ধুর,, আরে পালি দেন পা,,,,,,,লি (মাহি)
কি বলিস ভালো করে বল।
মন চাচ্ছে একটা হাতুড়ি দিয়ে ওনার মাথাটা ফাটিয়ে দিই কত্ত বড় ফাজিল লোক।
মালিমনি (মামিমণি) ও মালিমণি (মাকে ডাকলে মা নির্ঘাত এই ফাজিলটার পক্ষে কথা বলবে,, উল্টো আরো আমাকে বকা দিবে, এই জন্যই মামিমণিকে ডাকছি, কিন্তু ছাতার মাথা ভালো করে ডাকতেও পারছি না)
আরে আম্মু কে ডাকছিস কেনো?? আর যদিও ডাকছিস তবে আমার মাকে সোজা মালি বানাই দিলি কি অবস্থা।
পালি (জোরে বললাম)
কিহ বলিস বুঝি নাহ। (না বোঝার ভান করে বলল মেহরাব)
এবার আমার রাগ পুরা মাথা থেকে চুলে উঠে গেছে,,, ডান হাত দিয়ে ওনার চুল ধরে টান দিলাম।
আরে চুল ধরে টানাটানি করছিস কেনো??
ওহ বুঝেছি পানি খাবি আরে এটা আগে বলবি তো (এই বলে মেহরাব পানি এনে দিলো মাহিকে)
,,,,,,রাতে,,,,,
কিরে মাহি এসব কীভাবে হলো,, আমি তো কিছুই জানি না ভার্সিটী থেকে আসার পর আম্মুর কাছে শুনলাম তখনি আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু তখন আর আসা হলো না এখন ভাইয়া অফিস থেকে আসার সাথে সাথেই চলে আসলাম (মেঘলা মাহির কাছে বসে বলল)
রাস্তা দিয়ে ভালোভাবে হাঁটলে তো আর এ্যাকসিডেন্ট হয় না তিরিং বিরিং করলে তো এ্যাকসিডেন্ট হবেই (সোফায় বসতে বসতে বলল মেহরাব)
মাহি তো রেগে কটমট করে মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে আছে।
আহ ভাইয়া যেটা জানিস না সেটা নিয়ে বলবি না,,, আমাদের মাহি দুষ্ট হতে পারে তাই বলে ও রাস্তা দিয়ে তিরিং বিরিং করতে করতে যায় না, ভালো ভাবেই যায় (মেঘলা)
হুম জানি জানি কে কীভাবে যায়।
,,,,,,,,,৭ দিন পর,,,,,,,
এই কয়দিনে মেঘলা আর মেঘের প্রেম জমে মাখো মাখো হয়ে গেছে,, আর ওদিকে নেহাল আর মীরার ঝগড়াও থেমে নেই আগে যেমন ছিলো আরো প্রোমোশন হয়েছে।
মাহির ঠোঁট ফুলা অনেকটাই কমে গেছে এখন ভালো ভাবেই কথা বলতে পারে তবে হাত এখনো ভালো করে সাড়িনী এখনো হাত গলার সাথেই ঝুলানো আছে,, আরো কয়েকদিন এভাবে রাখতে হবে।
বিকেলে,,,মাহি নিজের রুমে বসে বসে ভাবছে কীভাবে মেহরাব কে জব্দ করা যায়,, তখনি হুরমুর করে মেঘলা মাহির রুমে ঢুকলো।
আরে মেঘলা আপু তুমি এসময় কিছু হয়েছে??(মাহি)
হুম হয়েছে তো অনেক কিছুই, তবে কি যে করবো বুঝতেছি না।
কেনো কি হয়েছে আমাকে বলো দেখি আমি কিছু করতে পারি কি না।
না করতে পারলেও তোকেই করতে হবে,, তুই এখন আমার শেষ আশার আলো।
মানে?? কি হয়েছে খুলে বলবে তো।
আসোলে আমি না,, ইয়ে মানে আমি একজনকে ভালোবেসে ফেলেছি (আমতা আমতা করে বলল মেঘলা)
কিহ?? সত্যি বলছো?? বাহ এটা তো ভালো কথা তা ছেলেটা কে মেঘ ভাইয়া বুঝি??
তুই বুঝলি কীভাবে??
আরে আমি আগেই বুঝে গিছিলাম,, তা তোমাদের মাঝে এখন আবার আমার কি দরকার??
তোকেই তো বেশি করে দরকার,, মেঘ যদি অন্য কেউ হতো তাহলে সম্যসা ছিলো না, কিন্তু।
কিন্তু কি আপু।
আরে গাধী মেঘ তো ভাইয়ার বন্ধু এটাই তো বড় সম্যসা, ভাইয়া যদি না মানে।
আরে কি বলো মেঘ ভাইয়া বেকার নাকি যে মেহরাব ভাই মানবে না, আর তাছাড়া ওনি তো দেখতেও ভালো তাহলে সম্যসা কোথায়??
তবুও আমার ভয় লাগছে যদি না মানে তখন কি হবে।
আরে মানবে মানবে এতো চিন্তা করো না,, এখন যে করেই হোক মেহরাব ভাই কে তোমাদের বিষয়টা বলো।
হুম বলবো তো, কিন্তু আমি না,, আমার আর মেঘের প্রেম + বিয়ের কথাটা বলবি তুই,, ভাইয়া একবার রাজি হয়ে গেলে আর কোনো সম্যসা থাকবে না। এখন তুই আমার সাথে যাবি আর ভাইয়া কে বলবি।
কিহ আমি???(চিৎকার করে বলল মাহি)
হুম তুই,, প্লিজ বোন ভালো না করিস না।
মেঘলা আপু তুমি কি চাও, যে আমার যে হাতটা ভালো আছে সে হাতও গলায় ঝুলুক??
মানে??
মানে বোঝো না, তোমার যে লম্বার উপর খাম্বা মার্কা ভাই,, আমি যদি এ কথা বলি তাহলে হয়ত মেরে আমার এ হাতও গলায় বুঝিয়ে দিবে (কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলল মাহি)
কেনো তুই তো বললি ভাইয়া মেঘকে মেনে নিবে কোনো সম্যসা নেই,, এখন তুই বলবি ভাইয়াকে চল আমার সাথে।
তুমি কেনো আমার মতো মাসুম একটা হাত ভাঙ্গা বাচ্চা কে এভাবে ফাঁসাচ্ছো আপু??
চলবে,,,,,??#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#১৩_পর্ব
.
সেই রাতেই মেঘলা আপু আমাকে নিয়ে এসেছে,, আম্মুর কাছে বলে যদিও আব্বু বলেছিলো সকালে যেতে কিন্তু আপু শোনেনি আমার ভাঙ্গা হাত গলায় ঝুলিয়েই আপুর সাথে ড্যাং ড্যাং করে চলে এসেছি,,আব্বু অবশ্য আগায় দিছিলো নয়ত রাতের বেলা দুটো মেয়েকে এভাবে ছাড়া ঠিক না, তার উপর আবার আমার হাত ভাঙ্গা 😜😜।
বর্তমানে আমি এখন মেহরাব ভাই এর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ভিতরে উঁকি দিচ্ছি মূলত দেখার চেষ্টা করছি ভাইয়া কি করছে আর এখন ওনার মুড কেমন, আর আমার ঘাড়ের উপর মেঘলা আপু।
কি করো আপু ঘাড়ে চড়ে বসবা নাকি??
ওহ সরি,, এই শোননা আমার না খুব টেনশন হচ্ছে (হাত কামড়ে বলল মেঘলা)
আরে টেনশন করো না, মেহরাব ভাই মেঘ ভাইয়ার কিছুই করবে না।
আরে আমি থুরি মেঘের জন্য টেনশন করছি। আমার তো তোর জন্য টেনশন হচ্ছে।
কেনো শুধু শুধু ভয় দেখাচ্ছো আপু(ঢোক গিলে বলল মাহি)
কিন্তু ভাইয়া কোথায়?? রুমে তো মনে হয় নেই আর আসার সময় নিচেও দেখলাম না তাহলে গেলো কই??(মেঘলা)
আরে বাথরুমে হবে হয়ত,, অপেক্ষা করো।
এই বলে মাহি আরো একটু ঝুঁকে মেহরাব এর রুমের ভিতর দেখতে লাগল,,, তখনি মেঘলা পিছনে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব নিচে থেকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিজের রুমেই আসছে, তা দেখে মেঘলা মাহির ঘাড়ে হাত দিয়ে বলল।
এই মাহি এই চল চলে যায়। (ভয়ে ভয়ে বলল মেঘলা)
ধুত আপু বিরক্ত করো না তো কাজ করতে দাও (মেহরাব এর রুমের ভিতরে তাকিয়ে বলল)
আরে একবার পিছে তো দ্যাখ।
সময় নেই গো, তোমার দেখার তুমিই দ্যাখো।
এই মেয়ে নির্ঘাত বকা খাবে আজকে আমি পালাই বাবা,, এই বলে মেঘলা দৌড়ে মেহরাব এর রুমের পাশের রুমে চলে গেলো।
বাড়ি ফিরে আবারো একটা কাজে বাইরে যেতে হলো ধূর ভালো লাগে না, বড্ড ক্লান্ত লাগছে,,, তখনি মেহরাব সামনে মাহিকে দেখলো।
আরে ওটা মাহি না?? কিন্তু ও এতো রাতে এখানে কি করছে,, আর এই অবস্থায় এবাড়ি আসলো কখন?? দেখি তো।
এই বলে মেহরাব মাহির পিছনে গিয়ে মাহির ঘাড়ে হাত দিয়ে ডাকতে লাগল।
আরে মেঘলা আপু বিরক্ত করো না তো (পিছনে না তাকিয়ে বলল মাহি)
আরে গাধী পিছনে একবার তাকা ওটা আমি না ওটা তোর জোম (দূরে দাঁড়িয়ে বলল মেঘলা)
মাহির কথা শোনে মেহরাব ভ্রু কুঁচকে,, আবারও মাহির মাথায় টুকা মেরে ডাকলো।
আজকে তো আমি এই মেঘলা আপু কে মেরেই ছাড়বো,, বিয়ের আগেই মেঘ ভাইয়া কে বউ হারা করবো,, কাজের সময় খালি বিরক্ত করা,,, এই বলে মাহি পিছনে ফিরে যেই কিছু বলবে তখনি।
মেঘলা আ,,,আআআআআআআআআআ(চিৎকার করে)
ওদিকে মাহির চিৎকার শুনে মেঘলা ওরে বাবাগো বলে এক দৌড়ে নিচে।
আ,,আ,,,আপনি??(ভয় পেয়ে)
ওমন চিৎকার করলি কেনো?? আর এতো রাতে তুই এবাড়ি?? আর এখানে কি করছিস একা একা?? (ভ্রুঁ কুচকে বলল মেহরাব)
ইয়ে না মানে (সালার মেঘলার বাচ্চা আমাকে এখানে ফাঁসিয়ে দিয়ে চলে গেলো)
কি ইয়ে মানে যা বলার সরাসরি বল।
ক,,,কিছু নাহ ভাইয়া আমি যাই (এই বলে যেই মাহি চলে যেতে লাগল তখনি মেহরাব)
এই কোথাও যাবি না,, এখানে কেনো দাঁড়িয়ে আমার রুমে উঁকি ঝুকি মারছিস বল??
কীভাবে যে বলি ওহ আল্লাহ ভয়ে তো আমার সব শুকিয়ে যাচ্ছে,, ইয়ে মানে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এই আর কি।
আচ্ছা শোন আমি বড্ড বেশি ক্লান্ত তুই আমার রুমে গিয়ে বিছানায় বস আমি ফ্রেশ হয়ে এসে শুনবো কেনো তুই এখানে দাঁড়িয়ে ছিলি ওকে। আর হ্যাঁ পালানোর কথা মাথায় ও আনবি না ঠিক আছে??
ঠিক আছে (হয়ে গেলো,, মনে মনে বলল মাহি)
তারপর মেহরাব রুমে গিয়ে বাথরুমে চলে গেলো ফ্রেস হতে,, আর মাহি কোনো উপায় না পেয়ে শেষ মেষ বিছানায় গিয়ে বসে পড়ল।বেশ কিছুক্ষণ পর মেহরাব মাথা মুছতে মুছতে বাইরে এলো।
এখন বল কাহিনীটা কি??
ক,,,কিসের কাহিনী কোনো কাহিনী টাহিনী নেই আমি গেলাম।
না কোথাও যাবি না,, আগে বল এতো রাতে তুই আমার রুমের সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে ছিলি কেনো?? কারণ তো একটা আছেই নয়ত তুই তো শুধু শুধু আর দাঁড়িয়ে থাকবি না, এখন বল কি বেপার।
আরে মাহি এতো ভয় পাওয়ার কি আছে চোখ বন্ধ করে বলে দিলেই তো হয়,,, এই বলে মাহি বলল।
আসোলে ইয়ে মানে বলছিলাম কি।
কি কখন থেকে ইয়ে মানে না মানে করছিস বল যলদি আমার কাজ আছে।
ব,,বলছিলাম কি আমি মেঘ ভাইয়া কে ভালোবাসি(মাহি)
কিহ??(মেহরাব)
এই না না,, মেঘ ভাইয়া আমায় ভালোবাসে।
এ্যা??
ধূত কি যে বলি,,, আসোলে মেঘলা আপু আর মেঘ ভাইয়া একে অপরকে ভালোবাসে। (চোখ বন্ধ করে বলল মাহি)
উপার থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আস্তে করে চোখ খুলে দেখল মেহরাব ল্যাপটপ নিয়ে বসে আছে।
এটা কি হলো আমি কি ভুল করে অন্য কারো নাম বললাম,, কোনো রিআ্যাকশন নেই।
বলছিলাম কি (মাহি)
অনেক রাত হয়েছে তুই এখন এই ঘর থেকে যা।
আমার কথাটা,
আমি যেতে বলেছি তো,।আচ্ছা শোন (এই বলে মেহরাব বসা থেকে উঠে আলমারির কাছে গিয়ে এক ডজন লাল কাঁচের চুড়ি এনে মাহিকে দিয়ে বলল)
রাস্তায় আসতে আসতে এটা দেখে পছন্দ হয়নি তাই নিয়ে এলাম ধর। (মাহির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে)
এ্যা?? পছন্দ হয়নি তাহলে কিনেছেন কেনো??
আমার ইচ্ছে এখন এটা নে আর সামনে থেকে সর।
মাহি কিছু বলতে গিয়েও না বলে,, মেহরাব এর কথামত চলে গেলো চুড়ি গুলো নিয়ে
,,,,,সকালে,,,,
মেঘ পেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,, কেননা মেহরাব ওর পেটে একটা পাঞ্চ মেরেছে।
সকাল সকাল ফোন দিয়ে মেঘকে দেখা করতে বলে মেহরাব ও ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে।
আর সেই তখন থেকে মাহি আর মেঘলা টেনশনে নিজের নখ কামড়ে আঙুল টাই খেয়ে ফেলার জোগাড়।
তোর কি মনে হয়,, ভাইয়া মানবে???
কি জানি,, তবে আমার মনে হয় না মেহরাব ভাই মেঘ ভাইয়া কে কিছু করবে,, তবুও দেখি কি হয়।
চলবে,,,,??