পর্ব ৬+৭
#ভালো তোকে বাসতেই হবে ❤️
#পরিধি রহমান বিথি🍁
#পর্ব-৬
,, তার মানে রাত ভাইয়াই সেই প্রফেসর?? হঠাৎ উনি আমাদের ভার্সিটিতে জয়েন করতে গেলেন কেন?
❤️
কি হচ্ছে এসব কিছুই তো বুঝতে পারছি না।রাত ভাইয়া তাও আবার আমাদের ভার্সিটির প্রফেসর ,, হোয়াইটস গোয়িং অন??পাশ থেকে জেরিন কোনুই দিয়ে গুতো দিচ্ছে আর বিরবিরিয়ে বলছে:
,, কিরে রাত ভাইয়া কোত থেকে প্রফেসর হয়ে টপকালো?? আমাকে তো কিছু বললি না??
লে ছক্কা ,, আমি নিজেই অবাক আর এই ইডিয়ট কিনা বলে আমি ওকে বলব।
,, দোস্ত আমি নিজেই এর আগা মাথা কিছু বুঝতে পারছি না। তোকে কি বলব??
,, তোর এত কাছের মানুষ আর তুই কিনা জানিস না?
একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে:
,,কাছের মানুষ না কচু,, আমাকে নাকের জলে চোখের জলে করার ধান্দায় থাকে। তার উপর তো আবার গার্লফ্রেন্ড ও আছে ওনার।(বলেই একটা ভ্যাঙচি কেটে নিলাম)।
আমার কথা শুনে জেরিনের মুখে বিস্ফোরন ঘটছে। এই মুহূর্তে মুখের ভঙ্গি ঠিক কেমন করা উচিত ও হয়তো তা যানে না। কোনো রকম নিজেকে সামলে বলতে লাগলো:
,, আমি তো জানতাম উনি তোকে ভালোবাসে?
হঠাৎ হালকা কাশির শব্দ এলো সাথে কিছু কথা ও কানে এলো:
,,উহুম উহুম,, তোমরা দুজন কি পুরো ক্লাস দাঁড়িয়ে করার চিন্তা করেছো?
আমারা থতমত খেয়ে ,, এতোক্ষণ যে আমারা দাঁড়িয়ে আছি সেটা তো ভুলেই গেছি,,ইশশশ,, আবার কি লজ্জা। দুজনে চোখাচোখি করে গলায় আটকে যাওয়া কথাগুলো বলছি :
,, না না স স্যার।(সাথে সাথে বসে পড়লাম। টানা ১ ঘন্টা চলল ক্লাস। ইন্ট্রোডাকশন ক্লাস বলে ওতোটা পড়ায়নি। কিন্তু যেটুকু পড়িয়েছেন আমার মতে তা গড়গড় করে সবার মাথায় ঢুকছে। শুধু যারা পড়া বাদ দিয়ে রাত ভাইয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল তারা বাদে। তবে আমার ধারণা তাদের মাথায় পড়া না ঢুকলেও ওদের অজান্তে মুখে ৫-৬টা মশা অনায়াসে ঢুকে গেছে।
কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা,, এই লোকটি সবার সামনে আমাকে আবার বেইজ্জত করল? নিজেকে যে কি মনে করে আল্লাহ মালুম। একটা মাথা ঝাড়া দিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে টানটান করে নিলাম। ক্লাস শেষ এখানে আর এক মিনিট ও না।রাত ভাইয়া হঠাৎ আমাদের ভার্সিটিতে জয়েন কেন করলেন তা আমাকে জানতেই হবে। না হলে প্রশ্নের তারনায় দম বন্ধ হয়ে মারা যাব। হুরমুরিয়ে ব্যাগটা কাধে তুলে নিলাম আর জেরিনের বাম হাতে কব্জি ধরে একটা হেচকা টান দিয়ে বললাম:
,,চল,,
ওর কোনো হেল দোল না দেখে পেছনে ফিরলাম:
,, কিরে কি হয়েছে চল?
ওর চোখে এখন প্রশ্নের পসড়া বসেছে।কিন্তু কোনটা দিয়ে শুরু করবে বুঝতে পারছে না।তাই আর কিছু না বলে আমার সাথে হাটা দিল। হয়তো ও বুঝেছে আমি ও অজানা উত্তরের খোঁজে যাচ্ছি। ক্লাস ছিল চার তলায় তাই করিডোর দিয়ে সিড়ি বেয়ে দোতলায় নামতেই আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। কারণ ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল চড়ম বিরক্তিকর একজন লোক।দেখে মনে হচ্ছে আমাদের জন্যই দাঁড়িয়ে আছেন। আপনারা কি মনে করছেন এখানে রাত ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে?
,,না ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন রিয়াদ ভাইয়া। আমাদের সিনিয়র। লেখাপড়ায় বেশ ভালো,,মানুষটাও ভালো,, কিন্তু আমার জন্য চড়ম বিরক্তিকর লোক। ইনি। যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমার উপর লাইন মারতে আসে সেটা আমি ভালোই বুঝি। যেমন এখন এসে হাজির হয়েছে। আমার মাথায় এখন এমনেই অনেক চিন্তা ভর করে আছে এখন আর এর বকবকানি শোনা সম্ভব না।তাই জেরিনের হাত ধরে আরো জোরে হাঁটা লাগালাম কিন্তু আমার পোড়া কপালে কি আর একবিন্দু শান্তি আছে?রিয়াদ ভাইয়ার আসছে পেছনে।আর বলছেন:
,, সোনালী ,,শোন,, আমার কিছু কথা ছিল,, প্লিজ একটু দাঁড়াও।
লোকটি এতো করে ডাকছে । তার উপর সবাই আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে।তাই সম্মান রক্ষার্থে দাঁড়িয়ে পরলাম মুখে স্পষ্ট বিরক্তির ছাপ সেগুলোকে গোপন করে হালকা গলায় বললাম:
জী ভাইয়া বলেন…
রিয়াদ ভাইয়ার মুখে আনন্দের ঝড় উঠেছে। কিন্তু আমি বিরক্ত তাই ভালো জিনিস ও এখন আমার কাছে বিষ স্বরুপ। আমার বিরক্তি বেরেই চলেছে। হঠাৎ উনি বললেন:
,, আসলে কি সোনালী,,আমি মানে,, আসলে হয়েছে কি,,(খুব সংকোচ নিয়ে কথাগুলো বলছেন । আমি তাকে থামিয়ে )
,, কি আমি ,,আসলে করছেন,, কি বলবেন প্লিজ একটু ভালো করে বলুন।(উনি হঠাৎ হাটু গেড়ে বসে পড়লেন)
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না এখানে ঠিক কি হতে চলেছে। ইনি কি আমাকে প্রোপোস ট্রোপোস করে বসবে নাকি??সবার সামনে এমন কিছু হলে আমি তখন কি করব।হে আল্লাহ রক্ষা কর এই মুসিবত থেকে।চোখ খিচে বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছি । হঠাৎ সেখানে আগমন ঘটল দ্বিতীয় মসিবতের।সে হলো রাত ভাইয়া। চোখগুলো রাগে লাল হয়ে আছে।পলক না ফেলে আমার দিকে চেয়ে আছেন। হাত দুটো মুস্টিবদ্ধ । মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে আমাকে গিলে খাবে। ওনার এই অগ্নিমূর্তি রুপ দেখে আমার মনে বিরক্তির ছাপ কেটে ভয়ে রুপান্তরিত হলো।এ যেন রসায়নের কোন বিক্রিয়া। হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন মিলিত হয়ে পানিতে রুপান্তরিত হয় ঠিক তেমনি। তবে ওনাকে দেখে আমি ভয় পাচ্ছি কেন তা আমার জানা নেই। হঠাৎ উনি আমার ডান হাতটা শক্ত করে ধরে হেচরাতে হেচরাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমার ভয়ে গলা থেকে কথা বের হচ্ছিল না কিন্তু তারপরও বলার চেষ্টা করলাম:
,,কককি হয়েছে ভাইয়া? এভাবে আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?সে তার নিজের মতো নিয়ে যাচ্ছে। আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিলেন না শুধু ফোন টিপে কিছু একটা করছে ।রিয়াদ ভাইয়ার কি আর হবে সে তো বোকার মতো সব চেয়ে চেয়ে দেখছেন। তার কোনো হেল দোল নেই। কিন্তু আমার সাথে কি হচ্ছে এসব??সবাই আমাদের দিকে চেয়ে অবাক দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে। কোথায় যাচ্ছি জানিনা,, শুধু করিডোর দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছি। আমাদের যাত্রা থামল কেন্টিনে গিয়ে। কেউ নেই কেন্টিনে। একদম খা খা মরুভূমি টাইপ। শুধু আমি ,,রাত ভাইয়া,, আর বাইরে দেখলাম দুজন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু আমার বান্ধবীটা কোথায় গেল? উহহ,, আর ভালো লাগছে না।কেন্টিনে ঢুকিয়ে একটা চেয়ার টেনে ঠাস করে বসিয়ে দিলেন আমাকে।নিজে আমার সামনাসামনি আর একটা চেয়ার টেনে নিজে আমার সামনে বসে পরলেন। আমি এবার বলে ফেললাম:
,, ভাইয়া আপনার কি কিছু হয়েছে?
,,উনি আমার দুই বাহু শক্ত করে ধরে আমার দিকে একটু ঝুঁকে:
,, কি হচ্ছিল ওখানে ? হ্যাঁ ,,কি হচ্ছিল?(চেঁচিয়ে,, সাথে সাথে পাশের টেবিলের উপর একটা ঘুষি দিয়ে) আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। কারণ ওখানে কি হতে চলেছিল সেটা আমি নিজেও জানি না। কোনো রকম ঢোক গিলতে গিলতে বললাম:
,,ভভ ভাইয়া আমি নিনিজেও জানিনা। হঠাৎ রিয়াদ ভাইয়া কোথা থেকে এসে কিছু বলবে বলে ফ্লোরে বসে পরলেন।
এবার উনি আরো রেগে গেলেন বোধ হয়।চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে :
ও মা করে করুক। তুই ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি চেহারা দেখাচ্ছিলিস?তুই চলে আসলি না কেন??
আমি মাথা নিচু করে ভাবছি:তাই তো আমি কেন চলে আসলাম না? উনি আবার বললেন:
,,চুপ করে আছিস কেন?(দাঁতে দাঁত চেপে,, রাগটা কোনো রকম কন্ট্রোল করে) এরপর যদি কোন ছেলের আশে পাশে তোকে দেখেছি শুনে রাখ তোর একদিন কি আমার একদিন। নিজের এই মোটা মাথায় কথাটা সেভ করে রাখিস।(বলেই বাইরের দিকে হাঁটা দিলেন.. কয়েক পা গিয়ে আবার থেমে পেছন ফিরে বলল) এখন সোজা বাসায় যাবি ,,এক সেকেন্ডের জন্য ও যেন তোকে ভার্সিটিতে না দেখি।আর দেরি না করে চলে গেলেন। আমি পাথরের মতো বসে রইলাম । তখন এসে হাজির জেরিন।কেন্টিনের ভেতরে আমাকে দেখে দৌড়ে এলো জেরিন।দেখেই মনে হচ্ছিল বেচারি আমার মতোই বেশ ভয় পেয়েছে। আমাকে কিছু বলতে যাবে তখনই আমি দাঁড়িয়ে ওকে বললাম:
চল বাসায় যাব,, জেরিন ও কোনো কথা না বলে সায় দিল আমার কথায়। আমারা রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
#পর্ব-৭
❤️
,,, আমরা রওনা দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
❤️
আজ আর রিকশা পেতে কোনো সমস্যা হলো না।কান যে রিকশায় আমরা এসেছি সেই রিকশাওয়ালা দাঁড়িয়ে আছে।এনাকে রাত ভাইয়া পাঠিয়েছে না নিজে থেকে দাঁড়িয়ে আছে সেটা আমার অর্জিত জ্ঞানের বাইরে।তাই দেরি না করে চেপে বসলাম রিকশায়। জেরিন ও উঠে পড়ল। রাস্তায় ওকে নামিয়ে আমি সামনে যাব। রিকশা এগোতে শুরু করল। জেরিন আমার গা ঘেষে বসে আমার কাধে হাত দিয়ে বলতে লাগল:
,, সোনালী তুই ঠিক আছিস তো? আমি একটা ম্লান হাসি দিয়ে চোখের পলক ফেলে জবাব দিলাম:
,, হ্যাঁ আমি ঠিক আছি। জেরিনকে দেখে মনে হচ্ছে রাত ভাইয়ার বিহেব দেখে বেশ বয় পেয়েছে।তাই আমি ওকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম:
তুই ঠিক আছিস তো?
ও তড়িঘড়ি করে উত্তর দিল:
,,হ্যা হ্যা ,, আমি ও ঠিক আছি।
ওর হাতটা আলতো করে আমার হাতের উপর রেখে করুন দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলাম
আমার একটা কথা রাখবি?(ও আমার আচরণে ঘাবড়ে গিয়ে কিছু বলতে পারে নি শুধু মাথা নেড়ে হ্যা বলল।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে:
,, ভাইয়াকে তুই কিছু আগ বাড়িয়ে বলিস না আমি পুরোটা বুঝিয়ে বলব ঠিক সময় মতো।নয়তো চিন্তা করবে আমাকে নিয়ে। ঠিক আছে?
ওকে দেখে মনে হলো আমার কথা শুনে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল আর বলল:
,,এই কথা?? আমি তো ভয়ই পেয়ে গেছি। কি না কি বলবি,,কেউ জানবে না।(একটা ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে),,তেরে লিয়ে জান ভি হাজির,,।
ওর হাসি দেখে আমি ও হেসে দিলাম।ওরকে নামিয়ে দিয়ে আমি ও বাসায় পৌঁছলাম। বাইরের সব প্যারা গেটের বাইরে ফেলে হাসি মুখে বাসায় এন্ট্রি মারলাম।তাই কোন কিছু কেউ বুঝতে পারেনি। ড্রয়িং রুম পেরিয়ে সিঁড়ি,, সিঁড়ি পেড়িয়ে রুমে ঢুকে পরলাম বিনা বাধায়।
রাতের খাবার শেষ করে বিছানায় বসে আছি। মুখের সামনে ভেসে আসছে রাত ভাইয়ার রাগী মুখটা। ফর্সা মুখটা রাগে একদম লাল হয়ে গেছিল। কি যে হচ্ছে আমার সাথে কিছুই বুঝতে পারছি না।রাত ভাইয়া নাকি কাকে ভালোবাসে তাহলে আমার আশেপাশে কোনো ছেলে থাকলে উনি এমন রিএক্ট করেন কেন? কোন উত্তর নেই। তার উপর আবার বড় প্রশ্ন কাল এতো কিছুর পর উনি ভার্সিটিতে কেন জয়েন করতে গেলেন।
,,ওহ,,, আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই লোকটার মাথায় কি চলছে আল্লাহ মালুম। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম জানিনা,,,,
গভীর রাতে মনে হচ্ছে ঘরে কেউ ঢুকেছে,, আমি তো তখন গভীর ঘুমে। পায়ের কাছে মনে হচ্ছে কেউ বসে আছে,, কারণ কোনো কিছুর স্পর্শে আমার পায়ে খুব সুরসুরি লাগছে। তাই আমি এক পা দিয়ে আর এক পায়ে ঘষা দিচ্ছি যাতে সুরসুরি একটু কমে। সাথে সাথে কেউ পা টা খপ করে ধরে নিল আর ঠান্ডা স্পর্শ পেলাম,, সাথে সাথে আমি ও এক লাফে উঠে বসলাম । ভয়ে নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে ,, বারবার ঢোক গিলে যাচ্ছি,, অন্ধকারেও জোৎস্নার আলোয় সবকিছু আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে,, রুমে কেউ নেই।সাইট টেবিল থেকে পানির বোতলটা নিয়ে কয়েক ঢোক পানি গিলে নিলাম টপাটপ। এখন একটু রিল্যাক্স লাগছে।
,, হয়তো আমি কোনো স্বপ্ন দেখেছি,,কুল সোনালী,,কুল। নিঃশব্দে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে যেই আবার শুতে যাবে ঠিক তখনই পায়ে কিছু একটার ছোঁয়া পাচ্ছি।বাম হাত দিয়ে বেড সুইচ টিপে লাইট অন করলাম। লাইটের আলো পড়তেই ঝকঝক করে উঠল রুপালি রঙের নূপুর গুলো। পাগুলো নিজের হাতের কাছে এনে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখছি। তার মানে এতোক্ষণ যা হচ্ছিল তার একটুও আমার স্বপ্ন নয়। পুরোটাই বাস্তবে ঘটেছে। এসব কি ঘটছে?? কেন ঘটছে??কে ঘটাচ্ছে??কিছুই বুঝতে পারছি না। জীবন টা যেন দিন দিন কালিদাসের ধাঁধায় পরিনত হচ্ছে।সাইট টেবিলের দিকে নজর পড়ল। আমার ফোনের নিচে চাপা পড়ে আছে সাদা একটা কাগজ। কাগজটা হাতে নিলাম। তাতে ঠিক এমনটা লেখা ছিল:
❤️ সোনালী ❤️
আমার সোনালী,, হ্যাঁ শুধুই আমার সোনালী। তোকে পেয়ে পেতে চাই পূর্ণতা,, শূন্যতা যে আমায় ঘিরে আছে। ভালোবাসার রংধনুতে ফুটিয়ে তুলতে চাই তোর মুখ।বসাতে চাই ভালোবাসার সিংহাসনে। অন্য পথে পা দেওয়ার আগেই এই ভালোবাসার ঝুনঝুন তালে মনে পড়বে আমার পথের।তাই ভালোবাসার শিকল পড়াতে এই ছোট প্রয়াস।
❤️ তোমার আমি❤️
,,কে করছে এসব? সামনাসামনি কিছু বলার সাহস নেই আসছে ডং করতে। কিন্তু নূপুর আমার বেশ ভালো লাগে ,, হয়তো এটা কারো ভালোবাসা কিন্তু আমার কাছে নিছকই একটা নূপুর ,,তাই পড়া নাপড়া একই কথা। অনেক রাত হলো এখন ঘুমাই বাকিটা কাল ভাববো।
,, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সাড়া বাড়ি হেঁটে বেরোলাম আর চারিদিকে ছড়িয়ে দিলাম নূপুরের ঝুনঝুন শব্দ।কে দিল না না দিল তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। দুদিন ধরে ভার্সিটিতে যে ড্রামা চলছে তাতে আর ভার্সিটির পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছে হলো না।যেই কথা সেই কাজ। জেরিন অনেকবার ফোন করেছিল ,, ওকে বলে দিয়েছি ,,
,,আজ ভার্সিটিতে যাব না।
বাড়ির সবাই প্রশ্ন করেছিল নূপুরের বেপারে বলেছি জেরিন গিফট করেছে।
আজ সবাই বাসায় ,,তাই প্লেন হলো ছোট খাট টাইপের একটা পিকনিক।সবাই ছাদে বিকেলের ফুরফুরে হাওয়া উপভোগ করব সাথে ছাদের এক কোনায় বেশ জম্পেশ কিছু পদ রান্না হবে। ঠিক ৫টার দিকে ছাদে বসে আছি মাদুর পেতে।বাবা আর রাত ভাইয়ার বাবা বসেছে চেয়ারে।মা আর আন্টি রান্নায় ব্যাস্ত। আমরা ছোটরা মাদুরে।রাত ভাই এখনও আসেনি।বাবা আর রাত ভাইয়ার বাবা ছোটবেলার বন্ধু তাই কোন কিছুই তাদের ছাড়া অসম্পূর্ণ। আমি ভাবছি অন্য কথা।
রাত ভাইয়া যখনই এই বাসায় আসে তখনই আমার জান্য নতুন ধামাকা নিয়ে আসে ,,আজ আবার কি অপেক্ষা করছে কে যানে,,,,??
,, চলবে??