#মনের_গভীরে_তুমি❤
#পর্ব_০৩
#M_Marufa_Yasmin
আরাভ অনেক বার টিপ কে কল করে কিন্ত টিপ ফোন তুলছে না।আরাভ প্রচন্ড রেগে যায়।
সকাল থেকে না খেয়ে টিপ কে খুঁজছে।কিন্ত কোথাও পাচ্ছে না।এদিকে লোকজন আসা শুরু হয়ে গেছে।আরাভ আর দেরী না করে টিপের বাড়ি যায়।সেখানে গিয়ে দেখে ।অন্ধকার এক রুমে জানালা দিয়ে অল্প সূর্যের আলো ঘরের ভেতর প্রবেশ করেছে।খুব বেশি আলো নেয় ঘরটাই।দেখে এক কোনে ছোট্ট একটা বিছানায় টিপ বসে আছে আর কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।আরাভের মাথা এমনই গরম ছিলো টিপ কে এখানে পেয়ে আরো রেগে আরাভ।ঘরের ভেতরে গিয়ে টিপের হাত ধরে টেনে ঘরের বাইরে আনে।আর খুব জোরে একটা চর দেয়।টিপ হতাশ হয়ে যায়।গালে হাত দিয়ে আরাভের দিকে তাকিয়ে আছে ।আরাভের চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে । চোখটা আগ্নেয়গিরির লাল লাভার মতো হয়ে গেছে টিপ খুব ভয় পেয়ে গেলো! আরাভের এরকম রুপ কোনো দিন দেখেনি।টিপ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
—“স্যার আসলে, ,,,,,,,
আরাভ টিপ কে কিছু না বলতে দিয়ে আবার একটা জোরে চর দিলো ……
আর প্রচন্ড জোরে হুংকার দিয়ে বলল
—“কাল বারবার বলার পর ও তুমি চলে এলে।তোমাকে বলেছিলাম না যে আজ বাড়ি থেকে বেরোবে না।তাও শুনলে না।মানে আমার মান সম্মান সবটা ধুলোর সাথে না মিশেলে তোমার শান্তি নেয় তাই তো rabies জাস্ট কয়টা মাস তারপর আমি নিজেই তোমাকে মুক্তি দিতাম।কি এমন দরকার যে না আসলে হতো না, ,,,,বলো!
এর মাঝে টিপের ভাই আবির এসে বলল ….
—” আমার দিদির কোনো দোষ নেয় আসলে আমার খুব শরীর খারাপ তাই দিদি কে আমি ফোন করে ডেকেছিলাম।আমি তো মনে হয় আর বাঁচবো না তাই যতটা সময় আছি দিদি কে মন ভরে দেখতে চাই।
টিপ ওর ভাইকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলল…
—“চুপ একদম ওসব বলবি না তোর কিছু হতে দেবো না আমি সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।তোর দিদি তোর কিছু হতে দেবে না।
আরাভের চোখে জল এসে গেছে।আরাভ হঠাত নিজের চোখে হাত দিয়ে দেখে জল।নিজের চোখে জল দেখে নিজেই বেশ অবাক হলো।চোখের জলটা মুছে আরাভ বলল ……
—“টিপ সরি আমার ভুল হয়েছে ।আসলে তোমাকে সকাল থেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না তাই ।প্লিজ ক্ষমা করে দাও ।আমি জানতাম না তোমার ভাই আছে।
—“না না ঠিক আছে স্যার আমারই ভুল আপনাদের বলে আশা উচিত ছিল।খুব টেনশনে ছিলাম তাই বলে আসতে ভুলে গেছি চলুন।
আরাভ আবিরের দুই গাল ধরে বলল ….
—“সরি ।তোমার নাম কি?
—“আবির! সরি বলতে হবে, না দাদা ।
—“আমরা আসি তাহলে ।
—“হুম আসুন ।
আরাভ টিপ কে গাড়িতে বসায়।টিপ একদিকে মুখ করে আছে।আরাভ ড্রাইভ করছে।
আরাভ অনেকক্ষন থেকে টিপ কে কিছু জিজ্ঞেস করবে ভাবছে কিন্তু করে উঠতে পারছে না।গাড়িতে দুজন একে অপরের সাথে আর কোনো কথা বলেনি ।কিছুক্ষন পর বাড়ি চলে এলো আরাভ টিপকে নিয়ে ভেতরে ঢুকতেই ইশরাত চৌধুরী হুংকার দিয়ে বললেন ……..
—“বাহ বাহ কত ভালো কপাল আমার।এত সুন্দর বউমা পেয়েছি।তা ভালো বউমা কোথায় ছিলে এতক্ষন তুমি? বাড়ির কাওকে না জানিয়ে ড্যাং ড্যাং করে চলে গেলে।তাছাড়া তোমাদের মতো মেয়েদের কাছে আর কি বা আশা করা যায়।
রাস্তার মেয়ে একটা ।
আরাভ প্রচন্ড রেগে যায়।আরাভ রেগে গিয়ে ওর মা কে আলাদা রুমে নিয়ে গিয়ে বলে, ,,
—“মা প্লিজ! !থামো এবার বাড়িতে এত লোকজন তাও তুমি এই রকম করছো ।আর বারবার তুমি টিপ কে রাস্তার মেয়ে রাস্তার মেয়ে করছো কেনো বলতো ?মা তুমিই আমাকে শিখিয়েছো মেয়েদের কে অসম্মান না করতে আমি কিন্তু কোনোদিন কোনো মেয়েকে অসম্মান করিনি কিন্তু তুমি তো একটা মেয়ে কেনো এতো লোকের সামনে আর একটা মেয়েকে অপমান করছো।
ইশরাত নেকা কান্না করে বলল ..
—“মেয়েটা বাড়িতে আসতে না আসতেই তোর ওপর জাদু করে দিলো।এখন তুই আমাকে ভুল বুঝছিস ।
আরাভ তার মায়ের গালে হাত দিয়ে শান্ত ভাবে আদুরে ভঙ্গিতে বলল ….
—” মা এমন কিছু না গো দেখো তুমি ওকে অপমান করলে তো আমাদের বাড়ির মান সম্মান যাবে তার থেকে ভালো চুপ থাকা তাই না বলো? তুমি তো আমার লক্ষী মা ।তাই না ।
—“হুম কিন্তু তুই একদম ওই মেয়ের সাথে মিশবি না হু ।
—“ওকে চলো ।
আরাভ তার মাকে মানিয়ে বাইরে নিয়ে এসে দেখলো টিপ এখনো দাঁড়িয়ে আছে।আরাভ তার বড়ো বন কেয়া ও ছোট্ট বন ইশারা কে উদ্দেশ্য করে বলল ….
—” দি তুই আর ইশরা গিয়ে প্লিজ টিপ কে সাজিয়ে দে।
কেয়া অহংকার নিয়ে বলল …
—“আমি পারবো না তোর বউ কে সাজাতে।আমাকে সাজতে হবে।তাছাড়া ওকে সাজালে তো ও রাস্তার মেয়ে থেকে রাজরানী হতে পারবে না।রাস্তার মেয়ে রাস্তাই থাকবে ।
আরাভ হুংকার দিয়ে বলল …
—“just shut up di তুই বারবার কেনো টিপ কে রাস্তার মেয়ে রাস্তার মেয়ে বলছিস?
টিপ আমাকে জোর করে বিয়ে করেনি আমি ওকে জোর করে বিয়ে করেছি তাই ও আমার দায়িত্ব।ওর ভালো মন্দ দেখা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।তুই ওকে এভাবে অপমান করতে পারিস না ।
কেয়া তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে রাগে ফুসফুস করতে করতে বলল….
—“আরাভ তুই কি ভুলে যাচ্ছিস আমি কে? আমি তোর বড়ো দিদি আরাভ আর তুই আমার সাথে এভাবে কথা বলতে পারিস না ।
বড়ো দিদির সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় সেটা মনে হয় তুই ভুলে যাচ্ছিস ।
আরাভ তাচ্ছিল্য হেসে বলল …..
—“দি তুই আমাকে হাসালি জানিস ।
দি আমি যদি তোকে ঠিক এই কথাটাই বলি যে তুই একটা মেয়ে হয়ে আরক টা মেয়ের সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় সেটা তুই ভুলে যাচ্ছিস।
আর ও এখন এই বাড়ির বউ তুই যেমন এই বাড়ির মেয়ে ঠিক তেমনই ও এ বাড়ির বউ ।
কেয়া রাগে হাত মুঠো করে নেয়।
আর চেঁচিয়ে বলে …..
—” তুই এই মেয়েটার জন্য আমাকে অপমান করলি ।ঠিক আছে আমি ও এর শেষ দেখে ছাড়বো।আর তুমি (টিপ কে উদ্দেশ্য করে)তোমার জন্য আমার ভাই আমার সাথে এভাবে কথা বলেছে আমি এর শোধ তুলবো।
বলে চলে গেলো কেয়া ।
টিপের চোখে পানি চলে আসে ।আরাভ শান্ত হয়ে বলল
—“ইশরা টিপ কে ওপরে নিয়ে যা ।
—“ঠিক আছে দা।
ইশরা টিপ কে নিয়ে গিয়ে রুমে বসালো।তারপর আলমারি থেকে ড্রেস বের করতে করতে বলল
—“ভাবি তুমি দি এর কথায় কিছু মনে করো না ।
ও এমনই গো মন খারাপ করো না ।আমার এত সুন্দর ভাবিটা মন খারাপ করলে একদম মানায় না।
টিপ ইশারার কথায় হেসে দিলো।সেটা দেখে ইশরা আবার বলল ….
—” হুম এবার আমার ভাবি কে খুব সুন্দর লাগছে ।
ইশারা আলমারি থেকে একটা ভারি লেহেঙ্গা ব্লু কালার এর বের করে টিপ কে দেখিয়ে বলল
—“ভাবি দেখতো লেহেঙ্গাটা কেমন।আমি পছন্দ করে কিনেছিলাম।কালকে গিয়ে ।
—“খুব সুন্দর ।
ইশরা লেহেঙ্গাটা টিপের হাতে দিয়ে বলল
—“এটা পড়ে এসে ।
টিপ কিছুক্ষন পর ড্রেসটা পরে এলো।ইশরা হা করে তাকিয়ে আছে ।সেটা দেখে টিপ লজ্জা পেয়ে বলল
—” ও ভাবে কি দেখছো?
ইশরা নেকামি করে বলল
—“এখন তো সাজায় হয়নি তাতেই এত সুন্দর লাগছে শুধু লেহেঙ্গাটা পরে যদি এত সুন্দর লাগে তাহলে সাজলে তো সবাই পাগল হয়ে যাবে ।
হে আল্লাহ আমার ভাবিটা কে সবার নজর থেকে রক্ষা করো ।
টিপ ভেঙচি দিয়ে বলল …
—“খুব বদমাশ হয়েছো ।চলো এবার তাড়াতাড়ি সাজিয়ে দাও না হলে তোমার দাদা রেগে যাবে ।
ইশরা টিপকে সাজাতে লাগে।ইশরা দেখে টিপের ঘুম ঘুম লাগছে ।ইশরা মুচকি হেসে টিপকে বলল
—“ভাবি দা তোমাকে রাতে ঘুমাতে দেয়নি নাকি বলতো? তোমার ঘুম পাচ্ছে?
—“সারারাত ঘুমাতে দেয়নি পা মালিশ করিয়েছে।
ইশরা অবাক হয়ে বলল
—“কিহহহহহ সারারাত তুমি মালিশ করেছো।romance করোনি?
—“ছি এসব বলতে নেয় ।
টিপ কথাটা ঘুরিয়ে দিয়ে বলল
—“সাজানো হয়েছে আর কিছু?
—“হয়েছে ।
টিপের পরনে ব্লু লেহেঙ্গা ঠোট লাল টকটকে লিপস্টিক ।চোখে গাঢ় কাজল।ব্লু বড়ো কানের গলার সেট। চুল টা খোলা।
উফফ মনে হচ্ছে কোনো রাজ্যের রাজকন্যা।নীল আকাশের পরি।
অন্য দিকে আরাভ।সেজেছে ।একটা সাদা টি সার্ট তার ওপর ব্লু কোট ব্লু প্যান্ট ।তারপর ঠোঁট টা গোলাপি গালে চাপ দাড়ি । যে কেও দেখে ফিদা হয়ে যাবে।
ইশারা নিজে রেডি হয়ে তারপর টিপ কে নিচে নিয়ে যায়।টিপ সিঁড়ি দিয়ে নামছে আর ভিডিও ক্যামেরা করছে চারিদিকে কেও কেও হা করে তাকিয়ে আছে ।ইশারা টিপ নিয়ে একটা বড়ো ফুল সাজানো চেয়ারে বসালো।ও মা আমাদের আরাভ এর কথা তো বললাম, না ।আরাভ ও হা করে তাকিয়ে আছে।এটা নিয়ে আরাভের বন্ধুরা ওকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে দিল ।
কিছুক্ষন পর আরাভ এসে টিপের পাশে বসলো।লোকজন নানারকম প্রশ্ন করছে।কিন্তু আরাভ কোনো উত্তর দিচ্ছে না ।লোকজন এসে টিপ কে গিফট দিয়ে যাচ্ছে।হঠাত রনি নামে একজন বন্ধু আরাভ কে বলল ….
—“আরাভ একটা গান কর প্লিজ তোর গান অনেকদিন শুনিনি প্লিজ ।
আরাভ বন্ধুর কথা রাখার জন্য গান শুরু করল ..
🎶হতে পারি রোদ্দুর,🎶
🎶হতে পারি বৃষ্টি,🎶
🎶হতে পারি রাস্তা, তোমারই জন্যে।🎶
🎶হতে পারি বদনাম,🎶
🎶হতে পারি ডাকনাম,🎶
🎶হতে পারি সত্যি, তোমারই জন্যে।🎶
একজন টিপ কে নিয়ে গিয়ে আরাভের পাশে দাঁড়করিযে দিলো ।
🎶হতে পারি গল্প,🎶
🎶তুমি কাছে টানলে,🎶
🎶হতে পারি জানলা,🎶
🎶এ হাওয়া ও তোমার কারনে।🎶
টিপের দিকে তাকিয়ে গানটা গায়ছে
🎶শুধু তুমি চাও যদি🎶
🎶সাজাবো আবার নদী,🎶
🎶শুধু তুমি চাও যদি🎶
🎶সাজাবো আবার নদী,🎶
🎶এসেছি হাজার বারণে ..🎶
ইশরা এসে টিপের হাতটা আরাভের হাতে দিয়ে ডান্স করতে বলল ইশারাই
🎶শুধু তোমারই জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারই জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারি জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারি জন্যে।🎶
আরাভ টিপ এর হাত ধরে হালকা করে ঘোরাচ্ছে
টিপের এইসব একদম সহ্য হচ্ছে না ।কিন্তু কিছু করার নেয় ।
🎶কথা দিলো রোদ্দুর,🎶
🎶কথা দিলো বৃষ্টি,🎶
🎶কথা দিলো রাস্তা, তোমারি জন্যে🎶,
🎶খেলা ধুলো সংসার,🎶
🎶আসা যাওয়া বার বার,🎶
🎶রাজি হলো ইচ্ছে তোমারি জন্যে।🎶
টিপের হাতটা ছেড়ে দিয়ে টিপের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে গান গাইতে লাগল
🎶হতে পারি গল্প,🎶
🎶তুমি কাছে টানলে,🎶
🎶হতে পারি জানলা,🎶
🎶এ হাওয়া ও তোমার কারনে।🎶
🎶শুধু তুমি চাও যদি🎶
🎶সাজাবো আবার নদী,🎶
🎶শুধু তুমি চাও যদি🎶
🎶সাজাবো আবার নদী,🎶
🎶এসেছি হাজার বারণে..🎶
🎶শুধু তোমারই জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারই জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারি জন্যে,🎶
🎶শুধু তোমারি জন্যে।🎶
গান শেষ হতে সবাই হাত তালি দিতে লাগল।টিপ গিয়ে আবার নিজের জায়গায় বসলো ।তখন একটা মেয়ে এসে টিপ কে জিজ্ঞেস করলো ।
—“আরাভের তো নাফিসার সাথে বিয়ে হয়েছিল কিন্তু তুমি তো নাফিসা না ।ও কোথায়?
—“আসলে আমি ওকে ……
তার আগেই আরাভ এসে বলল
—“আন্টি আসলে ওর সাথে আমার কিছু কথা আছে শো ………
মহিলা চলে গেলো ।আরাভ অগ্নিও দৃষ্টিতে টিপের দিকে তাকিয়ে আছে ।কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
—” একা পাই তোমাকে একবার তখন দেখাবো ।
বলে চলে গেল ।
টিপ মনে মনে বলল
—“আল্লাহ গো এবার আমার কি হবে স্যার তো আমাকে আস্ত গিলে খাবে ।টিপ তোর এবার কি হবে ।তোর মাথায় কি কিছু নাই? যেখানে সেখানে মুখ খুলে দিস এবার স্যার আমার অবস্থা খারাপ করবে।আমি কি করবো।আল্লাহ এবার তুমিই বাঁচাও ।
অনুষ্ঠান চলাকালীন একবার ও টিপ আরাভের সামনে আসেনি।লোকজন চলে যাওয়ার পর টিপ রুমে চলে যায়।
রাত আটটা নাগাদ আরাভ নিজের রুমে যায়।হঠাত খেয়াল করে টিপ রুমে নেয়।আরাভ ভাবে হয়তো অন্য কোথাও আছে।তাই ফ্রেশ হওয়ার টি সার্ট বের করতে যায় আলমারি থেকে ।আলমারি খুলে আরাভ চেঁচিয়ে উঠলো ……
—“তুমি এখানে কি করছো বেরিয়ে এসো ।আলমারি তে ঢুকে তুমি কী করছো ?
টিপ হাঁপাতে হাঁপাতে বলল …
—“আপনার ভয়ে ।
—“what nonsense আমার ভয়ে মানে? তুমি তা বলে আলমারি এর ভেতরে লুকুবে।এবার তো আমি তোমাকে আমি বেশি শান্তি দেবো ।
টিপ এর কি হবে এবার ?টিপ তো ভয়ে কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে ।তবে আরাভের সামনে দুর্বল হলে চলবে না ।ওর সাথে লড়াই করতে হবে এটাই ভাবছে টিপ ।
*
*
*
*
বাকি
(