#মন_পাড়ায়
#বিশেষ/অন্তিম
#শেষ_অংশ
#নিলুফার_ইয়াসমিন_ঊষা
দরজার টোকায় ঘোর ভাঙে দুইজনের। বাহির থেকে বিনুর কন্ঠে আসে,
“ছোট মা তুমি জলদি আসো, আম্মু ডাকে।”
ভাদ্র বলে, “সৈকত জলদি আয়, জলদি আয়, তোর বিয়ে হবে।”
সৈকত দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“এসে পড়সে আমার রোমেন্সের দুশমন। এতমাস পর রোমেন্স করতে আসলাম আর বাঁধা দিতে এসে পড়লো।”
ঝিনুক হেসে দিলো সৈকতের কথা শুনে।
ভাদ্র ও বাচ্চারা সৈকত ও ঝিনুককে ড্রইংরুমে নিয়ে গেল। তারা যেয়ে দেখে সেখানে অর্ক, প্রভা, খালু এবং সৈকতের মা উপস্থিত এবং টেবিলে নাস্তা সাজানো। দুইজনেই অবাক হয় এসব দেখে। প্রভা উঠে ঝিনুকের মাথায় এক ওড়না দিয়ে তাকে সোফায় বসিয়ে বলে,
“ছেলেপক্ষ প্রথমবার দেখতে এসেছে এভাবে কেউ আসে নাকি তাদের সামনে। আর একটু লজ্জা পেতে পারিস না?”
অর্কও সৈকতকে নিয়ে তার পাশে বসালো। সৈকতের মা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে একটু কেশে ভাব নিয়ে বলল,
“মেয়ে তো দেখতে মাশাল্লাহ খুব সুন্দর কিন্তু শুনেছি মেয়েটার রাগ বেশি। রাগ বেশি থাকলে সংসার তো চলে না ভাই।”
খালু বিনয়ী ভঙ্গিতে বললেন, “আরে আপা এতটুকু বয়সে রাগ একটু থাকেই আপা। বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।”
সৈকতের মা এবার ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “তো রান্না করতে পারো?”
ঝিনুক পুরোই থ। সে বিস্মিত দৃষ্টিতে একবার একেকজনের দিকে তাকাচ্ছে। এখানে ঠিক কি হচ্ছে তা এখনো সে ধরতে পারছে না। সে বলল,
“মা আপনিই তো আমাকে রান্না শেখালেন।”
“আরে মাত্র মেয়ে দেখতে এলাম আর এখনি দেখি মা বলতে শুরু করল।”
অর্ক মিটিমিটি হেসে বলল, “মা অনেক এডভান্স গৃহবধূ পাবে বুঝলে?”
মা আবারও জিজ্ঞেস করলেন, “শুনেছি তুমি পড়ায় বেশ ফাঁকিবাজ? বিয়ের পর ভালো হয়ে যাবে? এত ফাঁকিবাজ হলে কিন্তু বিয়ে করাব না।”
প্রভা বলল, “একদমই করাবেন না, মা।”
ঝিনুক প্রভার দিকে তাকিয়ে বলল, “আপু তুমিও!”
সবাই একত্রে হেসে দিলো।
এমন সময় রুমে প্রবেশ করল অর্কের বাবা। তাকে দেখে প্রায় সবার হাসি হাওয়ায় উড়ে গেল। বিশেষ করে সৈকতের। তার মনে হলো বাবা এসে বলবে, “এইখানে কী নাটক লাগিয়ে রেখেছে সবাই? ওদের জন্য এমন ঢঙ না করলেও চলে।”
কথাটা ভেবেও সৈকতের বিরক্তি লাগলো। তার থেকে ঝিনুকের কথাটা শুনে মন খারাপ হলে নিশ্চয়ই। তাই সে অর্ককে মৃদু কন্ঠে বলল,
“ভাইয়া তুমি বাবাকে বলো যেন এখানে কোনো তামাশা না করে। ঝিনুকের মন খারাপ হয়ে যাবে। আমি জানি উনার কাছে আমি তার কিছুই হই না কিন্তু প্লিজ ঝিনুকের সামনে কিছু বলতে মানা করো।”
“আর তোর কেন মনে হয় বাবা এমন কিছু বলবে? আর তোকে কে বলল যে উনার কাছে তুই আপন না?”
“বলা লাগে না ভাইয়া এইসব বুঝা যায়।”
অর্কের বাবা এসে বসে তার মায়ের পাশে। তাকে দেখে পরিস্থিতিটা বেশ থমথমে হয়ে যায়। সে গম্ভীর গলায় বলে,
“ছেলের বাবা না থাকলে বিয়ের কথা-বার্তা শুরু হয় কীভাবে?”
এমন কথা কেউ আশা করে নি। কথাটা শুনে সবাই চমকে উঠে। বিশেষ করে সৈকত।
বাবা এবার ঝিনুককে উদ্দেশ্য করে বলেন,
“শোনো, এক শর্তে তোমাকে আমার ছেলের বউ বানাব। আমার ছেলে আর তুমি যেন আমাদের সাথে স্বপ্নপুরীতে থাকে। আলাদা থাকলে চলবে না। ওর মা, ভাই….পরিবারের সবার ওকে অনেক মনে পড়ে। ও তো তা বুঝবে না। সেল্ফ রিসপেক্টের নামে ফাইজলামি করে। বাপ-মায়ের কাছে কিসের এত ভাব? ছেলে-মেয়ে ভুল করলে বাবা মা তাদের মাফ করতে পারে, বাবার কী ভুল হয় না? এইজন্য কী তার থেকে দূর হয়ে যাবে না’কি? ছোট থেকে কী বাবা মা এইজন্য ছেলে মেয়েদের লালন-পালন করে বড় করে যেন বুড়ো কাছে সে ছেলে-মেয়েরা বাবা মা’য়ের থেকে দূরে থেকে তাকে কষ্ট দেয়?”
সবাই অবাকের চরম সীমানায়। অর্কের বাবা কখনো এমন কথা বলবে কেউ স্বপ্নেও ভাবে নি। জীবনে প্রথম না চাইতেও সবার সামনে সৈকতে চোখ ভিজে গেল। তার ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে যেয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরুক। কিন্তু সে এমনটা করতে পারলো না। তাকে একরকম লজ্জা ঘিরে ধরলো। জিনিসটা তার কাছে বাচ্চামো লাগল। সে আড়ালে তার চোখের পানি মুছে সামনে তাকিয়ে দেখে ঝিনুক কান্না করে দিয়েছে অথচ তার ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি।
ঝিনুকের কিছু বান্ধবী এসেছে দুপুরে। ইতিমধ্যে তারা মেহেদী লাগিয়ে গান-বাজনা শুরু করে দিয়েছে। অর্ক এতটুকু সময়ে অনেক ব্যবস্থা করে নিয়েছে। সাথে ইকবালও এসেছে। প্রভা সন্ধ্যার হলুদের জন্য তার একটা হলুদ জামদানী শাড়ি পরায় ঝিনুককে। তাকে সাজানো হয় সম্পূর্ণ সাদা ফুলের গয়না দিয়ে। প্রভা তাকে দেখে বলে,
“মাশাল্লাহ একদম পরীর মতো লাগছে তোকে।”
“আপু, আজ মা বাবা থাকলে ভীষণ খুশি হতো তাই না?”
“খালা নেই তো কী? আমরা আছি না? বাবা ও মা কী তোর পর না’কি?”
কথাটা শুনতেই হাসি উড়ে গেল ঝিনুকের ঠোঁট থেকে। সে মাথা নিচু করে বলল,
“খালামণির হয়তো তাই মনে হয়। দেখো না আমরা এসেছি একবার দেখাও করলো না। রুমেও ঢুকতে দেয় নি। এতকিছু হচ্ছে সে উপস্থিতও হলো না।”
প্রভা কথাগুলো শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “জানিসই তো ভাইয়া যাওয়ার পর থেকেই মা নিজেকে রুমে আটকে রাখে। সারাদিনে বের হয়ে একটু রান্নাবান্না করে এইতো। মা বুঝে যে ভাইয়াকে তার নিজের ভালোর জন্যই রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে। আর ভাইয়া কত ভুল করেছে তাও বুঝে এবং তার প্রতি রাগও আছে মা’য়ের। কিন্তু ভাইয়াকে সে ছোট থেকে আগলে রেখেছে এবং তাকেই বেশি ভালোবেসেছে তাই চেয়েও এসব মানতে পারছে না। জীবন্ত লাশ লাগে মা’য়েকে। না হাসে আর কারও সাথে কথা বলে। শুধু তোর সাথে দেখা হয় নি এমন না। আমি আসা পর্যন্ত শুধু একবার দেখা করেছে মা। আমারও খুব কষ্ট হয় রে, কিন্তু কি করি বল?”
বাহিরে ডাক পরড়ে। মন উদাস নিয়েই ঝিনুক গেল ডাইনিংরুমে। রুমটাও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাদের সামনে টেবিলে রাখা হলুদ। সবাই উপস্থিত এখানে সৈকত ছাড়া। ঝিনুক তো মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো আজ সৈকতের ছাড় নেই। সৈকতেই উচিত ছিলো তার আগে এখানে এসে উপস্থিত হওয়া। অথচ সে ঘুরে বেড়াচ্ছে? এইটা মানাই যায় না। আজ নিশ্চিত তার খবর আছে।
ইকবাল বলায় সে তাকায় তার ডানপাশে। তাকাতেই সে উঠে দাঁড়ায়। সৈকত তার খালামণিকে নিয়ে আসছে। খালামণিকে দেখতেই সে দৌড়ে যেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। সাথে সাথে ছেড়ে আবার বলে,
“আমি ভেবেছিলাম তুমি আসবেই না।”
খালামণিকে ছাড়ার পর সে খেয়াল করে খালামণি শুকিয়ে গেছে অনেক, তার চোখের নিচে কালি পরেছে, মুখটা কেমন যেন হয়ে গেছে। মুহূর্তে তার বুকটা কেঁপে উঠে। মায়া লাগে তার অনেক খালামণির জন্য।
খালামণি শুধু হেসে ঝিনুকের গালে হাত রেখে বলল,
“তোর জন্য আজ এত খুশির দিন। আমি না উপস্থিত হয়ে থাকতে পারি? আয় আমি তোকে সবার প্রথমে হলুদ মাখবো।”
বলেই খালামণি তাকে নিয়ে সোফায় বসায় এবং সৈকতকে বসায় তার পাশে। সে দুইজনকে হলুদ মাখিয়ে দিয়ে বলে,
“আল্লাহ তোমাদের সকল সুখ প্রদান করুক।”
ঝিনুক তার পাশের সৈকতের দিকে তাকিয়ে?মৃদু স্বরে বলল,
“তুমি এই জাদু কীভাবে করলে?”
“আমি জাদুকর যে তাই।”
“উফফ বলো না।”
“কিস দেও তারপর।”
“মজা না সৈকত, বলো।”
“বিশেষ কিছু না, তোমাদের ছোট বেলার ছবি দেখিয়েছি এবং কিন্তু স্মৃতি মনে করিয়েছি এতটুকুই। আজ তোমার এই দিনটি খালামণিকে ছাড়া পূরণ হয় কীভাবে?”
ঝিনুক তার অশ্রুসিক্ত নয়ন নিয়ে বলল,
“সত্যিই জাদুকর তুমি।”
রাত ১১.৫০ বাজে। আংটি পরানো হয়েছে। বিয়ে আগে পড়ানো হওয়ায় সেটা নিয়ে বিশেষ কিছু করা হয় নি। সবার সারারাতের প্লান করল শুধু। নতুন বছরের উৎসবও পালন করবে সবাই আজ। বাসায় গান, বাজনা, বারবিকিউ সব হচ্ছে আর
অন্যদিকে,
বাতাস বইছিল তীব্র বেগে। শুকনো পাতাগুলো উড়ছে ভীষণভাবে। দুপাশে গাছের সারি। মাঝে ইটের রাস্তা। যেখান দিয়ে হাঁটছে এক সাদা পাঞ্জাবি পরা পুরুষ ও হাল্কা হলুদ রঙের সুতি শাড়ি পরা নারী। আকাশের সকল জ্যাৎস্না যেন তাদের উপরই পরছে। অর্ক তার এক হাত দিয়ে প্রভার কাঁধে জড়িয়ে হাঁটছে। আর উপভোগ করছে প্রকৃতির এই অদ্ভুত সৌন্দর্য। প্রভা জিজ্ঞেস করল,
“আমার ভীষণ ইচ্ছা ছিলো আপনার সাথে এই সময়ে একা থাকব কিন্তু সবার জোরাজোরিতে ভেবেছিলাম আসতেই পারব না। অথচ আপনি নিয়ে এলেন।”
“আমার সাথে থাকতে চেয়েছিলে?”
প্রভা মুচকি হেসে তাকায় অর্কের দিকে।
“শুধু আপনার সাথেই।”
অর্ক সন্তুষ্টির হাসি দিলো একটা।
দুইজনে দাঁড়ায় পুকুরের কাছে। আকাশে তারাবাজি দেখা যায় না তেমন। নীরব জায়গা হয়তো তাই।
রাত বারোটা বাজে। অর্ক প্রভার কানের কাছে ঠোঁট এনে বলল,
“শুভ জন্মদিন বসন্তিকা।”
প্রভার ঠোঁটের কোণে হাসি এঁকে এলো। সে বলল,
“আপনার কীভাবে মনে ছিলো এই জায়গাটার কথা?”
“এই জায়গার কথা কীভাবে ভুলি আমি? আবার তোমার মোহে জড়িয়েছিলাম এই জায়গাতেই।”
প্রভা মৃদু হেসে অর্কের কাঁধে মাথা রেখে বলল,
“এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমার পছন্দের জায়গায় আপনি আমার পাশে।”
প্রভার মনে পড়লো একবছর আগেও সে অর্কের জায়গায় তার পাশে চাইতো বিনয়কে অথচ আজ তার জীবন এই অর্ককে ঘিরেই। যেন অন্যকেউ মানানসই ছিলোই না। তবুও কেন এই মনটা বারবার চেয়েও মানুষটার প্রতি ভালোবাসার তুফান আনতে পারে না। কেন?
অর্ক বলল,
“তোমার উপহার বসন্তে পাবে, বসন্তিকা।”
প্রভা হেসে বলল,
“জানি।”
“আরেকটা কথা জানো?”
অর্ক প্রভার দিকে তাকিয়ে বলল। প্রভা জিজ্ঞেস করল,
“কী?”
“ভালোবাসি।”
মুহূর্তে প্রভার মন পাড়ায় উঠলো এক তুফান। ভালোবাসার তুফান। মায়ানগরীর সাথে ভালোবাসানগরীটাও লিখিত হয়ে গেল এই মানুষটার নামে।
প্রভা অর্কের বুকে মাথা রেখে বলল,
‘রোদের মতো হাসলে
বৃষ্টি হয়ে ছুঁতে পারব না যে তোমায়,
তোমার কাছে আসলে
ফিরে যেতে পারব না যে আবার,
দূরে গেলেও তো আমি তোমারই
কাছে থেকেও যে বলতে পারিনি মনের কাহিনী,
দূর থেকেই জানাব তোমায় হৃদয়ের আখ্যান
মেঘের খামে লিখে পাঠাবো ভালোবাসার উপাখ্যান।’
অর্ক বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয় প্রভার দিকে। এই কথাগুলোর কী অর্থ বের করবে সে?
আকাশে প্রথম ফানুসের দৃশ্য দেখা গেল। তারপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ…..
মুহূর্তে আকাশে তারাবাজি শুরু হলো।
কখনো হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও কেউ মন পাড়া দখল করতে পারে না। আবার কখনো না চাওয়া সত্ত্বেও মন পাড়াটা লিখিত হয়ে যায় কারও নামে।
.
.
.
বেখেয়ালি দিনগুলো আজ ফিরে পেতে চাই,
চাই না যে আর কিছু শুধু তোকে চাই,
আমার….. মনের ধারে শুধু তোকে তোকে চাই,
এই মন পাড়ায় আর জায়গা নাই,
শুধু তোকে চাই, শুধু তোকে চাই।
এই মন পাড়ায় আর জায়গা নাই,
শুধু তোকে চাই, শুধু তোকে যে চাই।
ও হো হো হো…..ও হো হো হো…
দিনের শেষ প্রহরে তোমাকে চাই,
আকাশ মেঘলা হয় যদি তোমায় যেন পাই,
ও আমার স্বপ্নবিলাসী আমায় ভালোবাসো না
আমার ছুঁয়ে দিতে কাছে আসো না,
কাছে আসো না…..
এই মনের ঠিকানায় শুধু যে
তোমায় চাই…..
এই মন পাড়ায় আর জায়গা নাই,
শুধু তোকে চাই, শুধু তোকে চাই।
এই মন পাড়ায় আর জায়গা নাই,
শুধু তোকে চাই, শুধু তোকে যে চাই।
মধ্যরাত তখন। সৈকত গিটার বাজাচ্ছিলো আর তাদের ভালোবাসার গান গাইছিলো। ঝিনুক বসেছিল সে পুকুরপাড়ে, পায়ে আলতা পরে। সে গালে হাত রেখে শুনছিলো সৈকতের গান। মুগ্ধ গলায় বলল,
“আজ কত বছর পর এই গান শুনছি। আর সত্যি বলছি আজও সে প্রথমদিনের অনুভূতি হচ্ছে।”
সৈকত গিটারটা পাশে শুয়ে পড়ে ঝিনুকের কোলে। ঝিনুক সৈকতের কপালের চুল সরিয়ে এক চুমু খেয়ে আবারও বলে,
“আমি আজ অনেক খুশি।”
“আমিও।”
“সত্যি বলো তো আমরা কী সত্যিই অতীত ভুলে সামনে এগোতে পারব? নতুন কিছু বললেই কি পুরাতন সব ভুলা যায়?”
“না শুধু নতুনভাবে সবকিছুর সূচনা করা যায়।”
“এই মন পড়াটা খুব জটিল জানো? যখন কষ্ট থাকে তখন সুখ চায় ভীষণ করে, যখন সুখ পায় তখনও কষ্টের আভাস ছেড়ে যায়।”
“সুখ, দুঃখ, বেদনা, রাগ, অভিমান, ভালোবাসা সবকিছুর জন্যই এই মন পাড়ায় শুধু তোমাকেই চাই।”
সমাপ্ত।