মেঘের আড়ালে বৃষ্টি পর্ব -০৯

#মেঘের_আড়ালে_বৃষ্টি
#নয়
#প্রজ্ঞা_জামান_দৃঢ়তা

প্রয়াস রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। দপ করে খাটের উপর বসে পড়ে নিজের মাথার চুল নিজে টানে। কিছুতেই মনকে শান্ত করতে পারছে না।

সে যে রোদেলাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলেছে। ভাবছে
কেন এমন হচ্ছে আমার। এই মেয়েকে দেখলে কেন আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।

আমি দ্যা গ্রেট প্রয়াস। যার কি না কোনো মেয়ের কাছাকাছি আসলেই অসহ্য লাগত। যে মেয়েদের এত প্রস্তাব পেয়েছে জীবনে তবু কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। সেই আমি কি-না একটা মেয়ের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এতটা উদগ্রীব হয়ে আছি। তার কাছে গেলে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না।

সকাল কখন থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছে প্রয়াস খুলছে না।অনেক অনুরোধের পর খুলে।

“এই তোর কী হইছে রে?”

সকাল খেয়াল করলো প্রয়াসের চোখ রক্তবর্ণ। তাই বুঝতে দেরি হলো না কী হয়েছে প্রয়াসের।

কারণ সকাল একজন ছেলে হয়ে বুঝতে পারে এমন কখন হয় একজন ছেলের। তাই সে কথা না বাড়িয়ে সরাসরি বলে,
“তুই বলে দিচ্ছিস না কেন তুই রোদেলাকে ভালবাসিস?”

“আমি এখনো সিউর নই। আমি সত্যি ভালবাসি কী- না?”

“আরে শালা বলে কী! যার একটু কাছে যেয়ে চোখে রক্ত এসে গেছে। যার জন্য এমন পাগল হয়ে আছিস।আর তাকে ভালবাসিস কী – না বুঝতেছিস না! তুই পারিস ও বটে! তুই কী মানুষ? শালা পাগল। ছোট থেকে দেখে আসছি তুই সবসময় মেয়েদের সঙ্গ থেকে দূরে। আমরা জীবনে ক্রাশ খাচ্ছি। আবার দুষ্টুমি করছি। কিন্তু তুই সব কিছুর থেকে বাইরে ছিলি। আর সেই তুই যখন কোনো মেয়ের কাছাকাছি আসতেই এমন রক্তচক্ষু হয়ে যাচ্ছিস। আর এমনটা কখন হয়।একজন ছেলে হয়ে সেটা তোকে আমাকে বুঝাতে হবে না। এটা কারোই বোঝার বাকি নেই যে, তুই এই মেয়েকে ভালবাসিস। আর তুই বলছিস তুই সিউর না!”

“রোদেলা আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট। আমি একবছর পর মাস্টার্স শেষ করে বের হব। আর সে মাত্র ইন্টারে ভর্তি হলো।”

“আরে তুই তো দেখছি বয়সের হিসাবের খাতা খুলে বসেছিস। সত্যি তোর দ্বারাই এসব চিন্তা করা সম্ভব!এখনকার ছেলে মেয়ে এত কিছু বুঝে না। তারা শুধু মনের মিল খুঁজে। আর কম বয়সী মেয়েদের গড়ে নেয়া যায় নিজের মত করে। আরো অনেক সুবিধা আছে।”

“ঠিক আছে। এখান থেকে ফিরে বলব।” প্রয়াস মাথায় হাত ঠেকিয়ে বলল।

“এখানে বলে দেয় যদি পরে সময় না পাস?”

“আচ্ছা দেখি।” বলে প্রয়াস মাথার উপর হাত দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল

সকাল আর কথা বাড়াল না। ওই – দিকে মেয়েরা সবাই তাদের রুমে ফিরে গেছে। রোদের মাথায় একটা কথাই ঘুরছে প্রয়াস এমন কেন করল?
আজ দুইবার প্রয়াসের চোখ রক্তবর্ন দেখল। তাও তার কাছাকাছি আসার পর। সব বুঝেও বুঝতে পারছে না। তবে সে নিজেও একটা বিষয় খেয়াল করল, প্রয়াসের কাছে গেলে সে নিজেও কেমন যেন হয়ে যায়। তার শ্বাস – প্রশ্বাস ভারী হয়ে আসে। এমন কেন হয়? এখানে এসেছে পর্যন্ত প্রয়াসের কাছাকাছি থাকতে তার ভালো লাগছে। তার এত দিনের বন্ধুদের কাছ থেকে প্রয়াসের কাছে থাকতে মন চাইছে। বিষয়টা অবাক করার মত!

__________________________

রহিম চুপচাপ বসে আছে রিসোর্টের বাইরে। রোদের মন ভালো না তাই একটু বের হলো। রহিমকে দেখে ঠিক লাগছে না। সিগারেট খাচ্ছে সে এই পর্যন্ত কখনো তাকে সিগারেট খেতে দেখেনি রোদ। তাই অবাক হলো।

রোদকে দেখে সিগারেট লুকানোর বৃথা চেষ্টা করল।

“কি হয়েছে তোর? এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে? ঝগড়া করেছিস সনির সাথে?”

“না,আমার কী আর কোনো কাজ নাই নাকি! যে তার সাথে ঝগড়া করব?”

“এবার আমি নিশ্চিত তোরা আবার ঝগড়া করেছিস।এখন বল কী নিয়ে ঝগড়া করেছিস?”

“তোরা কে নাকি ওকে বলছিস আমরা প্রেম করছি। তাই বলতেছে আমার সাথে আর কথা বলবে না। সবাই খারাপ ভাবছে। বল তো কেমন লাগে? এখানে আমার দোষ কোথায়? ”

“আরে চিন্তা করিস না। সনি তোর সাথে কথা না বলে থাকতে পারবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে।”

আমি আর পারছি না রোদ। আমি ওকে অনেক ভালবাসি। তার বিনিময়ে বন্ধুত্ব হলেও চলবে।ভালবাসা লাগবে না। এখন যদি কথা না বলে আমি থাকতে পারব নারে।” কথাটা বলেই গলা আটকে আসে তার।

“দোস্ত একদম মেয়েদের মত কানবি না। শোন আমি আর সুচি জানি, সনিও তোকে ভালবাসে। কিন্তু তোরা একসাথে থাকায় সে তা বুঝতে পারছে না। তাই আমাদের তাকে অনুভব করাতে হবে যে তুই তাকে ভালবাসিস।”

“কিন্তু কীভাবে?”

“তুই এখন রুমে যা আমি ভেবে জানাচ্ছি তোকে।”

আচ্ছা বলে, দুজন রুমে চলে যায়।

★★★

সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। একমাত্র দুই রুমে দুজন মানুষ জেগে আছে। একই কারণে, অথচ দুজনের কেউই জানে না। একে অপরের জেগে থাকার কারন।

রোদের খুব ইচ্ছে করছে রিসোর্টের সামনে যে নেটের দোলনাগুলো আছে সেগুলোতে শুয়ে রাতের সমুদ্র দেখতে। যেই ভাবা সেই কাজ।

নিঃশব্দে বের হয় রুম থেকে।

এগিয়ে যেতেই দেখে কেউ একজন শুয়ে আছে দোলনায়। তার পাশে আরও দুটি দোলনা আছে।

আর একটু এগিয়ে যেতেই বুঝতে পারে প্রয়াস এটা
একটু আগে যে ভয়টা করছিল তা মুহুর্তে উধাও
হয়ে গেল।

আরে আপনি এখানে আমিতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।।

প্রয়াস এই কন্ঠের সুর চেনা ।মুহুর্তেই তার অন্ধকার মনে একটুকরো চাঁদের আলো দেখা দিল। বিশ্বাস করতে পারছে না। রোদ তার সামনে।

এটা তার কল্পনা নয়তো? এটা ভেবে,নিশ্চিত হতে বলে, “এই তুমি আমাকে একটা চিমটি দাও তো?”

রোদ বলল, “কেন, চিমটি দিতে হবে?” ভ্

“এই মেয়ে বেশী কথা বলবে না, যা বলছি করো?”
ধমকের সুরে বলে।

রোদ ভয় পেয়ে খুব জোরেই চিমটি কাটে প্রয়াসের হাতে।

আহহহ! এভাবে কেউ চিমটি কাটে। একদম মাংস তুলে নিল আমার। রাক্ষস মেয়ে একটা।

“আপনিই তো বললেন চিমটি কাটতে।”

“আচ্ছা,ঠিক আছে। তুমি এত রাতে এখানে কেন?”

“আমার ঘুম আসছিল না। ইচ্ছে করছিল রাতের সমুদ্র দেখি।”

“ঘুমাবে না?”

” না।”

“আচ্ছা তাহলে আমার সাথে বসে গল্প করতে অসুবিধে নেই তো?”

“আরে না, আমি একটু ভয়ে ছিলাম অচেনা জায়গায় একা বলে। এখন আপনাকে দেখে সব ভয় উধাও হয়ে গেছে। সাহস লাগছে।”

প্রয়াস মনে মনে ভাবে, এত বিশ্বাস করো তুমি আমায় রোদেলা। আমিও তো ছেলে, অথচ তোমার আমাকে ভয় করছে না।

হঠাৎ রোদের প্রশ্নে চিন্তায় ছেদ পড়ে প্রয়াসের

“আচ্ছা আপনার কাছে ভালবাসা মানে কী?”

এমন প্রশ্নে চমকে যায় প্রয়াস। কী সহজভাবে প্রশ্নটা করল মেয়েটা।

প্রয়াস তার থেকে ৭বছরের বড় হবে। এর এই মেয়ে তাকে এমন প্রশ্ন করবে সে ভাবেনি।

“হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন?”

“আরে বলুন না, প্লিজ? আমার জানা খুব দরকার। আমার মনে হয় আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।”

“আমার উত্তর ভুল ও তো হতে পারে?”

“না, আমার মনে হয় আপনি ঠিক উত্তর দিতে পারবেন। ”

প্রয়াস শুধু অবাক হচ্ছে। এই মেয়ে কী বলেছে এসব?

“আমার কাছে ভালবাসা মানে, বিশ্বাস, ভরসা, সম্মান করা, অপেক্ষা করা। ভালবাসার বিনিময়ে কিছু আশা না করা। সে কিসে ভালো থাকবে এটা ভাবা। তার কাছাকাছি থাকলে মনে শান্তি অনুভব করা। হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও সেই মানুষটির কথা মনে হয়ে হাসি কান্না। ভালবাসা মানে, আমি তার সামনে বসে আছি। কিন্তু সে কিছুই করছেনা। অর্থাৎ স্পর্শ করছেনা। কিন্তু আমি নিজেকে সুখী মনে করছি। এটাই ভালবাসা। ভালবাসা মানে সবসময় সুখ দুঃখে পাশে থাকা। ভালবাসা অনুভুতির ব্যাপার। ভালবাসা মানে কমিটমেন্ট। ভালবাসা মানে আজীবন মনে রাখা। যেমন আমরা বাবা মাকে মনে রাখি।
ভালবাসা হতে পারে মানুষে মানুষে,হতে পারে জীবে,জড় পদার্থে। হতে পারে মানুষের সাথে সৃষ্টিকর্তার।”

রোদ কী যেন ভেবে বলে, “আচ্ছা ধরুন কেউ একজনকে ভালোবাসে। কিন্তু সে তার কাছাকাছি থাকায় সেটা বুঝতে পারছেনা। তাহলে তাকে কীভাবে বুঝানো যায়, যে সে উল্টো দিকের মানুষটাকে ভালবাসে?”

“যেহেতু কাছাকাছি থাকার জন্য বুঝতে পারছেনা। সেহেতু দূরে গিয়ে দেখতে পারে সে আসলেই ভালবাসে কী – না। যেমন আমরা আমাদের কাছের মানুষদের কিছু হয়েছে শুনলে কষ্ট পাই। আর সেই কষ্ট থেকে বুঝতে পারি সে আমাদের কাছে কতটা জরুরি।
আরও অনেক উপায় আছে। তবে আমার মনে হয় এটাই বেস্ট উপায়। ”

রোদ বলে,
” ধন্যবাদ আপনাকে। এত সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। আপনার প্রেমিকা অনেক ভাগ্যবতী যে আপনার ভালবাসা পেয়েছে।”

প্রয়াস হেসে বলে,
“তাই?”

“হুম এই যে আপনি যা বললেন এতোক্ষণ নিশ্চয়ই তাকে ভেবেই বলেছেন।”

“তোমাকে যতটা ছোট ভেবেছি। অতটা তুমি না, বুঝতে পারছি।”

রোদ লজ্জা পেয়ে গেলো।

“আরে লজ্জা পেতে হবে না। আমি এমনই বলেছি। ”

“রোদের একটু মন খারাপ হলো। তার মানে উনার কেউ আছে। কিন্তু এটা শুনে তার কেন মন খারাপ হচ্ছে?তার মন খারাপ করা কি উচিত। ”

প্রয়াস এই চাঁদনি রাতে, এভাবে রোদের সাথে সময় কাটাতে পারবে ভাবতেই পারেনি।
মন থেকে খুব চাইছিল যদি এখানে রোদ থাকত। একটুপর রোদ এলো। আসলে মন থেকে চাইলে সব পাওয়া যায়। এটা সে বিশ্বাস করে। চাঁদের আলোয় রোদের মুখটা স্নিগ্ধ লাগছে খুব। কেমন যেন মায়ায় চেয়ে আছে তার মুখে।

প্রয়াস ভাবছে। রোদ তার এতো কাছে এই নির্জন দ্বীপে একা। কিন্তু একজন পুরুষ হিসেবে তার ভয় পাওয়ার কথা। কিন্তু সে তা পাচ্ছেনা। বরং বলছে তার ভয় চলে গেছে। তার মানে এই মেয়েটা কতটা ভরসা করে তাকে। রোদের কাছাকাছি আসলেই তার যে কী হয়ে যায়,যদি আবার এমন হয়? না নিজেকে সামলে রাখবে সে। তার মনের এই অবাধ্য চাওয়ার জন্য সে পারেনা। এই সুন্দর রাতটা রোদের সাথে উপভোগ করার সুযোগ ছাড়তে।

“আসলে ভালবাসা নিয়ে আমি কখনো ভাবিনি তাই জানিনা। জানার দরকার ছিল খুব তাই আজ জেনে নিলাম। তবে আপনার চিন্তা শক্তির প্রশংসা করতে হয়। এতো সুন্দর করে আজকাল কেউ ভাবে না।

সবাই এখন প্রতি মুহুর্তে ক্রাশ খায় একটার পর একটার উপর। এতো সুন্দর করে ভাবার তাদের সময় কোথায়। আজকালকার দিনে সত্যি ভালবাসা খুব একটা পাওয়া যায় না। ”

“সেই জন্যই কি তুমি এসব নিয়ে ভাবো না?”

“না, তা না। আসলে আমার কখনো এসব নিয়ে ভাবার দরকার হয়নি, তাই ভাবিনি।”

“তো আজ কেন দরকার হলো?”

“আমার এক বন্ধুর জন্য।”

প্রয়াস ভয় পেয়ে যায়। “বন্ধু মানে। বন্ধুকে ভালবাসো?”

“আরে না,সনি রহিমকে ভালবাসে। কিন্তু বুঝে না, এদিকে বেচেরা রহিম খুব কষ্ট পাচ্ছে। ভালবাসলে যদি কষ্ট পেতে হয়! এমন ভালবাসার কি দরকার বলুন তো?”

“ভালবাসায় সুখ দুঃখ হচ্ছে। একটি মুদ্রার এপিট- ওপিট। এখানে সুখ ও থাকবে,দুঃখ ও থাকবে।
তাই দুঃখ পাবে বলে কী ভালবাসার সুখ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবো? দুঃখ আছে বলে সুখের এতো কদর। তাই ভালবাসাই হয় সুখ আর দুঃখ মিলে।”

রোদ উত্তরে কিছু বলেনি, কারণ তার চোখে এতক্ষণে নিদ্রাদেবী ভর করেছে।

দোলনায় হেলান দেয়া অবস্থায় তার ঘুম চলে এসেছে।প্রয়াস কাছে গিয়ে দেখে একটা হাতের উপর ঘুমিয়ে আছে সে।

কি অপূর্ব লাগছে তাকে দেখতে। যেন সারাজীবন দেখলেও দেখার সাধ মিটবে না।

মনে হচ্ছে সময়টা এখানে থেমে যাক। এই রাত যেন শেষ না হয়। এই চাঁদের আলো যেন শেষ না হয়। এই নির্জন দ্বীপে এভাবে যদি সারাজীবন কাটিয়ে দেয়া যেত। আচ্ছা এটাই কী ভালবাসা? যদি এটাই ভালবাসা হয়। এই চাঁদনী রাতে এই দ্বীপে সবকিছু সাক্ষী থাকুক। আমি রোদলাকে ভালবাসি,খুব ভালোবাসি,যদি এটাই ভালোবাসা হয়। তবে আমি আমার থেকে বেশী ভালোবাসি অনেক বেশী ভালোবাসি। যদি এটাই ভালবাসা হয়। তবে এমন হাজারো রজনী আমি তাকে দেখে নির্ঘুম কাটিয়ে দিতে পারি। যদি এটাই ভালবাসা হয়, তাকে একটু ছোঁয়ার প্রবল ইচ্ছে মনে নিয়ে আমি এমনও কোটি রজনী কাটিয়ে দিতে পারি। শুধু একদিন তাকে একটু ছুঁয়ে দেখার আশায়। তাহলে এটাই ভালোবাসা! অবশেষে আমিও কাউকে ভালোবাসলাম। ভালোবাসলাম, ভালোবাসলাম!

রোদের খুব কাছে গিয়ে প্রয়াস বলে,
“এই মেয়ে আমার ভালবাসার মানুষ কে তা না জেনেই ঘুমিয়ে গেলে। আমি কাউকে ভালবাসি জেনে তুমি কেন মন খারাপ করেছিলে?”
এই রাতের আবছা আলোয় আর আবছা অন্ধকারে আমর চোখ এড়ায়নি তোমার মনের এই বিষন্নতা।

রুম থেকে কম্বল আর বালিশ এনে রোদের গায়ে দিয়ে। পাশের দোলনায় বসে একদৃষ্টিতে দেখছে রোদকে। যেন জনম জনমের দেখার সাধ মেটাচ্ছে প্রয়াস।
ইশ, ভালবাসা! আহা! ভালোবাসা!

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here