❝মোহ মেঘের আলাপন ❞
লেখিকা: “নূরজাহান আক্তার আলো”
[০৮]
তখন বিকাল সাড়ে ছয়টা। সূর্য ডুবে ঘন আঁধারে ডুবে যাচ্ছে চারিপাশ। মুক্ত পাখিগুলো ফিরে গেছে আপন নীড়ে। দিনের
আলোর অনুপস্থিততে কৃত্রিম আলোয় সেজে উঠেছে রাস্তা- ঘাট। কিন্তু মেধা এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে। গভীর ঘুমে মগ্ন সে। তবে প্রচন্ড ক্ষুধা অনুভব করাতে নড়ে চড়ে পেটে কয়েক বার হাত বুলিয়ে আবার ঘুমিয়ে গেল। কিন্তু এতে কাজ হলো না। অনেকক্ষণ যাবৎ একই কাজ করাতে পেটও শুনছে না। তার খাদ্য চায়, পানি চায়। অথচ অলস ঘুমকাতুরে মেধা যে
উঠছে না। সে আরো ঘুমাতে চায়। নেত্রজোড়াও খোলা বড্ড মুশকিল হয়ে যাচ্ছে তার। বেশ কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে
পেটের জ্বালাতে মেধার ঘুমটা অবশেষে হালকা হতে আরম্ভ করল। শরীর জুড়ে একরাশ অলসতায় নড়ে চড়ে কাটিয়েও দিলো আরো কয়েক মিনিট। তারপর হঠাৎই তার মনে হলো বাইরে যাওয়ার কথা ছিলো।মামনিকে কল দেওয়ার কথাও।
সে শোয়া অবস্থাতেই দেওয়াল ঘড়িতে নজর বুলিয়ে ঝটপট উঠে ফোন চেক করে দেখে সত্যিই কল এসেছে, ষোলোবার। আটবার দিয়েছেন তার বাবা, বাকিসব মামা আর মামনির।
বকা খাওয়ার ভয়ে সে আগ বাড়িয়ে কাউকে কল দিলো না।
আগে ওই হতচ্ছাড়া, ঘাড় ত্যাড়া আদিত্যকে খুঁজতে হবে। সে
কী ফিরেছে? ফিরলে ওকে ডাকল না কেন? নাকি সে তাকে রেখেই চলে গেছে? ওই লোকের বিশ্বাস নেই, সে সব করতে পারে। একথা ভেবে মেধা দৌড়ে গেল আদিত্য এসেছে কী না দেখতে। হ্যাঁ, মহারাজা রুমের বসে রাজকীয় ভঙ্গিমায় বসে
কফি খাচ্ছে আর ফাইল দেখছে। দিন দুনিয়া ভুলে ফাইলেই তার দৃষ্টি। মাঝে মাঝে দ্রুত গতিতে হাত চালাচ্ছে কী-বোর্ডে।
তাকে রুমে বসে কাজ করতে দেখে মেধার প্রচন্ড রাগ হলো। এদিকে কখন যে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়েছে তাকে খাওয়ার
জন্য একবারো ডাকল তো নাই। বরং তাদের যাওয়াও হলো না। সব আনন্দ ফিকে হয়ে গেল এই অসভ্য লোকটার জন্য।
ইস্, ওখানে না জানি সবাই কত্ত মজা করছে। কতশত ছবি তুলে গ্যালারি ভর্তি করছে। অথচ সে সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করলো। সুখপূর্ন কিছু মিষ্টি মুহূর্ত থেকে নিজেকে বঞ্চিত হতে হলো। সব হয়েছে ওই লোকটার জন্য। মোদ্দাকথা, সে নাহয় ঘুমিয়ে ছিলো কিন্তু আদিত্য তো জেগে ছিলো। তাহলে ওকে ডাকলে কী হতো? বাসায় তাকে না দেখে নিশ্চিত খুঁজেছেও, আর ঘুমাতে দেখে সে নিশ্চিন্ত মনে বসে ফাইল দেখছে। তার
মানে এই বদ লোক ইচ্ছে করেই ওকে ডাকে নি। এমনও হতে পারে, আদিত্য যাবে না ভেবে তাকেও যেতে না দেওয়ার পূর্ব
পরিকল্পনা এঁটেছে। কিন্তু তার এই পরিকল্পনা সে সফল হতে দিবে না, কিছুতেই না। মনে মনে এসব ভেবে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রইল মেধা। তখন আদিত্য বলল,
-”দাঁড়িয়ে না থেকে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও, যাও।”
-“আপনি ডাকলেন না কেন আমায়?”
-” গিয়েছিলাম, গিয়েই দেখি বালিশকে জড়িয়ে ধরে চুমুচাট্টি খাচ্ছো তাই কাছে গিয়ে রিস্ক নেই নি।”
-”অহেতুক ফা’ ল’ তু কথা বলবেন না আদিত্য ভাই।”
-“যেতে বলেছি।”
-”পারব না যেতে।”
-”কি আশ্চর্য ঝগড়া করছো কেন?”
-”বেশ করছি।
-”আমাকে উড়তে হলে খবর আছে কিন্তু।”
-”যাচ্ছি যাচ্ছি আপনার রুমে থাকার ইচ্ছে আমার নেই,হহু!”
একথা বলে মেধা হনহন করে বেরিয়ে গেল। তারপর ফ্রেশ হয়ে পেটপুরে খেয়ে ড্রয়িংরুমে টিভি দেখতে বসলো। কিন্তু টিভি দেখাতে মন না থাকায় রুমে এসে ওর বাবার সঙ্গে কথা বললো। কি আনতে হবে তার লম্বা লিস্ট মুখে বলে শুনালো।
রেজাউল হক হাসলেন মেয়ের বকবকানি শুনে। এরপর সে
সীমা বেগমকে কল করে আদিত্যের নামে অভিযোগ দিলো।
যেতে না পারার আফসোস প্রকাশ করল। এসব নিয়েই কথা বলে কল কেটে ঘুরেই দেখে আদিত্য ফিটফাট হয়ে বিছানায়
বসে আছে। সে ভ্রুঁ কুঁচকে কিছু বলার আগেই আদিত্য রেডি হতে বলল, বাইরে যাবে হাঁটতে। মুখের উপর না করতে গিয়ে সে ভাবল ফাঁকা বাসায় বসে বোর না হাঁটতে যাওয়াই উত্তম।
তাই কথা না বাড়িয়ে ভদ্র মেয়ের মতো রেডি হয়ে আদিত্যের সঙ্গে বের হলো। ওরা গেট দিয়ে বের হতেই তখন আদিত্যের বাবার সঙ্গে দেখা হলো। আদিত্য বাবাকে চাবিটা দিয়ে খেয়ে বিশ্রাম নিতে বলে সামনে এগোলো। পাশাপাশি হাঁটছে তারা। কারো মুখেই কথা নেই। মেধা শুধু ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক-ওদিক
তাকিয়ে দেখছে। নিরিবিলি রাস্তায় লোকসমাগম নেই। মাঝে মাঝে দু’এক পথচারী হেঁটে যাচ্ছে। আর আদিত্য ফোনে কথা বলতে বলতে ধীর পায়ে হাঁটছে। ব্যস্ত মানুষদের নিয়ে হাঁটতে বের হওয়াও এই এক জ্বালা, এদের হ্যালো হ্যালোই শেষ হয় না। কোথায় পরিবেশটা উপভোগ করবে তা না, বিরক্তিকর।
মেধাকে বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে আদিত্য কলটা কেটে বলল,
-”কি, তাকিয়ে আছো কেন?”
-”আপনি বিয়ে করলেও সংসার করতে পারবেন না মিলিয়ে নিয়েন।”
-”আমি কোন দিক থেকে আনফিট?”
-”সব দিক থেকে মাশাল্লাহ। তবে আপনার ব্যস্ততা আপনাকে
অনেক কিছু হারাতে বাধ্য করবে। বউ নেই, বাচ্চা নেই, এখন এত কিসের ব্যস্ততা, এখনই এমন হলে পরেই বা কী হবে?”
-” তারা আসলে তখন নাহয় ব্যস্ততা কমিয়ে দিবো।”
-”তাদের জন্য এত টাকা রোজগার করছেন? শুধু কী ভালো রাখতে? আচ্ছা এতএত টাকা দিয়ে সুখ কিনে দিতে পারবেন তো?”
-”মেয়ে তুমি বেশি কথা বলো।”
-”উত্তরটা দেন।”
-”বিয়েতে সম্মতি দাও, তারপর স্বচক্ষে নাহয় দেখো কী পারি
আর কী না পারি। ঠিক কতটুকু সুখ ও ভালোবাসায় আগতে রাখতে পারি আমার বউকে। আমি তোমার মতো কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তাই বড় বড় কথা বাদ দিয়ে দ্রুত পা চালাও।
-”আমি আপনাকে বিয়ে করবো না আদিত্য ভাই।”
-”কেন, এই উত্তরটা আজ অন্তত ঠিকঠাক দাও।”
-”কারণ আপনি প্রেমিক পুরুষ হিসেবে…!”
-”ওহ আচ্ছা। আমি প্রেমিক পুরুষ হিসেবে পার্ফেক্ট নই তাই তো?”
একথা বলতে বলতেই চিপা গলির দেওয়ালের সঙ্গে আদিত্য মেধাকে চেপে ধরল।নিজেদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াল। অতঃপর মেধার ঠোঁট বৃদ্ধাঙ্গুল বুলিয়ে অদ্ভুত স্বরে বলল,
-”এবার প্রেমিক পুরুষের মতো কাজ হচ্ছে তো? ইনারের রং ও সাইজ জেনে সুযোগ বুঝে অযাচিত স্পর্শ করা যোগ্য এক প্রেমিকের কাজ তাই না? তাহলে যোগ্যতা প্রমাণ করতে কী আমিও তাই করবো? যেমন লিপকিসের আবদার, রুমডেট।
সেই সঙ্গে প্রতিরাতে অবৈধভাবে শারীরিক চাহিদা মিটানোর সুযোগটাও বুঝি নিতে হবে আমার? তাহলে যোগ্য প্রেমিকের খেতাব পাবো আমি?”
ওর এই কথা শুনে মেধা নেত্রজোড়া বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। বিষ্মিত তার চাহনি। ততক্ষণে আদিত্য তার কাঁধের কামিজ সরিয়ে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে কামড়ও বসিয়েছে। মেধা ছটফট করে কিছু বলতে গেলে আদিত্য ওর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে না বোধক মাথা নাড়াল। অর্থাৎ কিছু বলাও বারণ। আদিত্যের
এমন আচরণে মেধা তেজ দেখাতে গেলে আদিত্য তার হাত ধরে বাসার দিকে নিয়ে গেল। মেধা হাত ছাড়াতে গেলে ব্যর্থ হয়ে, কামড় সহ খামচি দিতে থাকল। কিন্তু তাতেও আদিত্য ওকে ছাড়ল না বরং হাতের বাঁধন আরো শক্ত করে ধরলো।
তারপর বাসায় গিয়ে ড্রয়িংরুমে কাউকে দেখতে না পেয়ে সে রুমের দরজাটা আঁটকে মেধাকে ছুঁড়ে মারলো তার বিছানা বরাবর। মেধা প্রচন্ড ব্যথা পেয়ে কুঁকিয়ে উঠতেই তাৎক্ষণিক
আদিত্যকে আবিষ্কার করলো তার খুব কাছে। এতটাই কাছে যে তাদের একে অপরের ঠোঁট প্রায় ছুইছুই। সেই সঙ্গে বারি খাচ্ছি একে অন্যের শ্বাস-প্রশ্বাস। কৌশলে আদিত্য আঁটকে
দিয়েছে মেধার দু’টো হাত। তার পুরুষালি এক হাতেই বন্দি
মেধার দুইহাত, শরীরের ভরে নড়ার ক্ষমতাটুকুও তার নেই।
মেধা এবার নিজের পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য। তবে সে কিছু
বলার আগেই আদিত্য তার ওষ্ঠে ওষ্ঠ ছোঁয়াতেই সে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিলো। বার বার ওর মাথা নাড়িয়ে বারণ করল এমন না করার। তার চোখভর্তি পানি চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে অঝরে। তখন আদিত্য তার গালে চুমু এঁকে বলল,
-”কাঁদলে হবে? বাকিটুকু সম্পূর্ণ করতে দাও। আজই নাহয়
যোগ্যতার হিসাবে সমাপ্তি আসুক।”
-” আমি সেটা বলি নি। আমি বলতে…! ”
-”বৈধভাবে কাছে আনতে চাচ্ছি তোমার ভালো লাগছে না। তাই আজই হেস্তনেস্ত হয়ে যাক। তারপর আমিও দেখি বিয়ে না করে কই যাও।”
-”আদিত্য ভাই প্লিজ এমন করবেন না।”
-”কেন করবো না? এই তোর না প্রেমিক পুরুষ চাই? আমি তো রোমান্টিক প্রেমিকেরর প্রমাণও দিচ্ছি তাহলে সমস্যাটা কোথায়?”
-”আপনি সত্যিই খুব খারাপ আদিত্য ভাই, খুব খারাপ।”
-”একদম ঠিক।তাই এই মুহূর্তে আরেকটা খারাপ রুপের সঙ্গে পরিচিত হয়ে নে। আমার ভালোবাসার পবিত্র ফুল তুই। তাই কখনো খারাপ নজরে দেখি নি, খারাপভাবে স্পর্শও কর নি।
তোকে দিতে চেয়েছি অপুরন্ত ভালোবাসা।কিন্তু না, তোর তো
ভালো কিছু সহ্য হচ্ছে না। তোর চাই নোং’ রা’ মি। সেই সঙ্গে
বখাটের মতো মুখে ভালোবাসি ভালোবাসি করে ফ্যানা তুলে ফেলার মতো লোক দেখানো ভালোবাসা। যারা চিপায় গিয়ে শরীর হাতানো ছাড়া প্রেম বোঝে না।”
-”লাগছে আমার, আপনার ভর সহ্য করতে পারছি না আমি। উঠুন প্লিজ, ছাড়ুন আমায়।”
-”হুম, অবশ্যই, কেন নয় জানপাখি। তবে আমাকে রাগানোর শাস্তি তোমাকেই পেতে হবে। পদে পদে সামান্য কারণে আমি এবং আমার ভালোবাসাকে অপমান করা তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই অভ্যাসের পতন যে আজকেই ঘটাবো আমি, এই মুহূর্তেই। সেই সঙ্গে নতুন করে হিসাবের খাতাটাও খুলে ফেলবো এই মুহূর্ত থেকেই। আর বিয়ের আগেই বেহায়া পুরুষ হতে চায় নি আমি, তবে বাধ্য করলো, তুমি ও তোমার খোঁচা কথাবার্তা।”
এইটুকু বলেই আদিত্য নিজের ওষ্ঠ ডুবালো মেধার কম্পিত ওষ্ঠ জোড়ায়। ধীরে ধীরে ঘোরের মধ্যে চলে গেল সে। সময়, স্থান, কাল, ভুলে ডুবে গেল নিষিদ্ধ এক চাওয়া মতে। মেধাও
তাকে থামাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে অবশেষে না পেরে বুদ্ধি খাঁটিয়ে শক্ত করে কামড়ে ধরল আদিত্যের নিচের ঠোঁট।সেই সঙ্গে তার চোখের চাহনিতে স্পষ্টতর হলো ছাড়ার আঁকুতি। ওর এমন প্রচেষ্টা দেখে আদিত্য সেই অবস্থাতেই হেসে ছেড়ে দিলো। অতঃপর মেধার ঠোঁট ছেড়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে মৃদুস্বরে বলল,
-”কী সহ্য হচ্ছে না আদরের ভার? সামান্য এইটুকুতে কাহিল হলে চলবে জানপাখি? তোমার না রোমান্টিক প্রেমিক পুরুষ চায়, হুম?”
আদিত্যের একথার জবাবে মেধা অতি দ্রত না বোধক মাথা নাড়াল। অর্থাৎ তার আর চায় না রোমান্টিক প্রেমিক পুরুষ।
তার এই ভীত অবস্থা দেখে আদিত্য তাকে ছেড়ে উঠে বসল। সুযোগ বুঝে মেধা দৌড়ে পালানোর আগে পুনরায় ওড়নাতে টান পড়ল। সে পিছু ফিরে তাকাতেই বন্দি হলো আদিত্যের বাহুডোরে। আদিত্য তাকে কোলে বসিয়ে কাঁধে থুতনি রেখে
বলল,
-”ছাড় দিয়েছি, ছেড়ে তো দেই নি বেইব। ক্লাস কেবল শুরু পালাচ্ছো কোথায়?”
-“বলছিই তো আর অপমান করবো না, প্রমিস। এবার ছাড়ুন প্লিজ।”
একরাশ ভয়, সংকোচ এবং অস্বস্ত্বিতে জর্জরিত হয়ে মেধার কেঁদে কেটে একাকার অবস্থা। কান্নার চোটে শ্বাস নেওয়াটাও
দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে তার।একদিনেই এত ডোজ নিতে পারছে না সে। পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। হৃদপিন্ডের ধুকপুকানি
ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। অনেকক্ষষ থেকে গলা শুকিয়ে কাঠ।
আর আদিত্য এমনকিছু করবে তার ভাবনার বাইরে। যদিও আদিত্য তাকে লিপকিস আর কাঁধের কামড় ছাড়া শরীরের কোনোভাঁজেই স্পর্শ করে নি। তবুও এটা জন্য অপ্রত্যাশিত শক। তখনো মেধাকে কাঁদতে দেখে আদিত্য তাকে ফের তার ঘুরিয়ে চোখ মুছে দিয়ে বললো,
-”আম্মু গ্রাম থেকে ফিরলে আবার বিয়ের কথা উঠবে। তখন গাঁইগুই না সুন্দর করে সম্মতি দিয়ে দিবে আর যেনো বলা না লাগে। আগামীকাল বাবার সঙ্গে গ্রামে যাবে তুমি। ততদিনে ত্যাড়া মনকে বোঝাও, প্রস্তুত করো, আমাকে চিরসখা রুপে গ্রহন করতে। আমি কয়েকদিনের জন্য সিলেটে যাচ্ছি ফিরে এসে কোনো রকমের তালবাহানা শুনব না, প্রয়োজনে জোর পূর্বক বউ ঘরে তুলবো মনে থাকে যেনো।”
To be continue…….!!