রোদ্দুরে মেঘের বর্ষন পর্ব -০৪

#রোদ্দুরে_মেঘের_বর্ষন❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ০৪

“থরথর করে শীতে কাঁপছি আমি!’কি যে হলো কিছুক্ষন আগে ভাবতেই ভয়ের সাথে সাথে শরীর কাঁপছে আমার!’গায়ে মোটা কম্বল জড়িয়ে বিছানায় শুয়ে আছি আমি,,কিছুক্ষন আগেই রুমে এসে সোজা ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় কম্বল মুড়ি দিয়ে রয়েছে আমি!’ধীরে ধীরে ঠান্ডা শরীর গরম হতে লাগলো!’শীতে যেন এতক্ষণ জমে যাচ্ছিলাম আমি!’এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো আমার!’উপরে আপুর নাম্বার দেখে কম্বলের নিচে বসেই ফোনটা তুলে বলে উঠলাম আমিঃ

—“হ্যালো…

“হ্যালো শুনতেই অপরপাশে খুশি মনে বলে উঠল তাসলিমাঃ (তানজুর বড় বোন)

—“কি রে কেমন আছিস?’

—“এই তো আপু ভালো তুমি!’

—“ভালো, কবে আসছিস তুই!…

—“এই তো আপু আর অল্প কিছুদিন পর….

—“অল্পদিন করতে করতে পুরো দু’বছর হয়ে গেল বোন…(মন খারাপ করে)

—“কি করবো বলো আপি সময় তো হয়ে উঠছে না,তবে এইবার পাক্কা তোমার বিয়ে বলে কথা আর আমি আসবো না….

—“হুম তুই না আসলে আমি বিয়েই করবো না…

—“তাহলে তো দুলাভাই ছ্যাকা খাবে একটা!’

“তানজুর কথা শুনে হেঁসে উঠলো তাসলিমা!”

—“মা কই?’

—“হুম আছে পাশেই,

—“দেও…

“তাসলিমা ফোনটা তুলে দিলো তার মায়ের কাছে!’উনিও ফোনটা পেয়ে খুশি মনে বলে উঠলোঃ

—“হ্যালো…

—“কেমন আছো মা…

—“তোকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকি (কেঁদে কেঁদে)

—“তুমি কাঁদছো, এই কারনে আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই না, যতবারই কথা বলি ততবারই কাঁদো…

—“কই কাঁদছি না তো…

—“মিথ্যে বলছো..

—“কবে আসবি তুই কতদিন হয়ে গেল তোকে দেখি না…

—“চিন্তা করো না আর কয়েকদিন পরই যাবো আমি,আপুর বিয়ের কাজ তো সব আমাকেই করতে হবে…

—“হুম!’

—“তারপর ওখানের কি অবস্থা বাবা ভালো আছে তো…

—“হুম সবাই ঠিক আছে!’

“তারপর কিছুক্ষন তানজু আর তানজুর মা কথা বললো!’কতক্ষন পর ফোন কেটে তানজু একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে কম্বল জড়িয়েই ঘুম!’

____

“সকাল_১০ঃ০০টা….

“বিছানা লেপ্টে ঘুমিয়ে আছে রিয়াদ!’এমন সময় তার রুমে ঢুকলো তানজু!’পরনে তার এস কালার টপস আর জিন্স,,ডুবলিকেট চাবি দিয়ে ঢুকেছে সে!’কারন রিয়াদ একদিন বলেছিল তাকে সকাল বেলা যেন তাকে কলিং বেল বাজিয়ে রুমে না আসতে,কারন আচমকা ঘুমে বেঘাত ঘটা রিয়াদের একদম পছন্দ নয়!’তানজু একবার রিয়াদের দিকে তাকিয়ে চারপাশে চোখ বুলালো পুরো রুমটা হাল্কা কিছুটা অগোছালো,,তানজু শুরুতে চলে যায় রিয়াদের বেডের কাছ থেকে কিছুটা দূরে থাকা জানালার কাছে,আস্তে আস্তে থাইগ্লাস মুড়িয়ে থাকা সাদা পর্দাটা সরিয়ে দিল সে সাথে সাথে সকালের ফুড়ফুড়ে আলো এসে সোজা পরলো রিয়াদের মুখে!’

.

“সূর্যের আলো মুখে পরতেই ঘুম ভাঙল রিয়াদের!’সে জানে তানজু জানালার পর্দা সরিয়েছে কারন এটা নতুন কিছু নয়!’রিয়াদ আস্তে আস্তে চোখ খুলে বললোঃ

—“গুড মর্নিং তানজু!’

“তানজুও মুচকি হেঁসে উওর দিলঃ

—“মর্নিং স্যার…

“তারপর একে একে পুরো রুমের পর্দা সরিয়ে ফেললো সে!’পর্দা সরাতেই পুরো রুম আলোতে ভরে গেছে!’পুরো রুম সূর্যের আলোতে চকচক করছে…

“তানজু একে একে রিয়াদের রুম গোছাতে লাগলো!’

“এদিকে….

“রিয়াদ আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো!’তারপর কিছুক্ষন বসে চলে যায় সোজা ওয়াশরুমে!’লম্বা সাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসে সে!’

.

“রিয়াদ যতক্ষণে সাওয়ার নিয়েছে ততক্ষণে তানজু তার একটা ওয়াইট শার্ট আর ব্লাক জিন্স আয়রন করে বিছানার উপর রেখে দিয়েছে!’রিয়াদ হাল্কা হেঁসে ড্রেসগুলো পড়ে নিলো!’আয়নার সামনে দাড়িয়ে ভেজা চুলগুলো মুছে আঁচড়াতে ছিল রিয়াদ এমন সময় হাতে খাবারের ট্রে নিয়ে হাজির তানজু!’খাবারগুলো বিছানার উপর রেখে বললো তানজুঃ

—“স্যার আপনার ব্রেকফাস্ট!’

“রিয়াদ চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বলে উঠলঃ

—“হুম!’

“উওরে তানজু আর কিছু বললো না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো সে!’রিয়াদ তার চুল ঠিক করে এসে বসলো বিছানার উপর তারপর ব্রেকফাস্ট করতে শুরু করল!’রিয়াদ সেন্ডউইচের এক কামড় মুখে দিতে দিতে বলে উঠলঃ

—“তুমি খেয়েছো…

—“না স্যার আপনি খান তারপর আমি করে নিবো…

—“ঠিক আছে!’…

—-“তাহলে আপনি খান আমি সোফায় উপর আছি আপনার খাওয়া হলে আমায় ডেকে দিয়েন…

—“হুম…

“রিয়াদের উওর পেয়ে তানজু দু’পা এগোতে নিলেই রিয়াদ আবার বলে উঠলঃ

—“আচ্ছা শোনো…

“রিয়াদের ডাক শুনে তানজু আবার নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলে উঠলঃ

—“হুম বলুন স্যার…

—“কাল রাতে সুইমিংপুলের ভিতর পরলে কি করে?’

“রিয়াদের কথা শুনতেই কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল তানজুর!’সাথে সাথে একটু সংকোচ ফিল হচ্ছে তাঁর,কাল সুইমিংপুলে, ভাবতেই কেমন লাগছে তানজুর!’তানজুকে চুপ থাকতে দেখে আবারো বলে উঠল রিয়াদঃ

—“কি হলো…

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু তার ভাবনার শহর থেকে বেরিয়ে আসলো!’তারপর কিছুটা সংকোচতা নিয়েই বলে উঠল সেঃ

—“সত্যি বলতে স্যার কাল রাতে কি হলো আমি নিজেও জানি না,আপনি যাওয়ার কিছুক্ষন পর আমিও যেতে নিয়েছিলাম হঠাৎ পায়ে কিছু বাজতেই পিছলে গিয়ে সুইমিংপুলে পড়ে গিয়েছিলাম, এতটুকু বলে মাথা নিচু করে আবারো বললো তানজুঃ

—“কাল রাতের জন্য আই এক্সট্রিমলি সরি স্যার,আমার জন্য ওতো রাতে ভিজতে হলো আপনাকে…

—“ইট’স ওকে!’আর এমনিতেও তোমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও আমি এমনটা করতাম…

—“আই নো স্যার,তাহলে আমি যাই…

—“হুম,আর শোনো তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে নেও তারপর আমরা ছাঁদে যাবো…

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু কিছুটা অবাক হয়ে বললোঃ

—“ছাঁদে কেনো…

—“সেটা গেলেই দেখতে কারন আর যাইহোক দেখতে হবে না তুমি কি করে সুইমিংপুলের ভিতর পরলে…

—“এখানে দেখার কি আছে…

—“এত প্রশ্ন কেন করো বলো তো…

—“সরি স্যার….

“এতটুকু বলে চলে যায় তানজু!’তানজু যেতেই রিয়াদ তার খাওয়ায় মনোযোগ দিল!’কেনো যেন তার বার বার মনে হচ্ছে কাল রাতে তানজু এমনি এমনি সুইমিংপুলের ভিতর পরে যায় নি….

____

“ব্রেকফাস্ট সেরে….

“সুইমিংপুলের কালকের সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ আর তানজু!’হঠাৎই রিয়াদ বলে উঠলঃ

—“এবার বলো তো একজেকলি কিভাবে পরলে তুমি…?’

“রিয়াদের কথা শুনে তানজুও আর বেশিকিছু না ভেবে সে যেখান থেকে হেঁটে যাচ্ছিল কাল রাতে সেখানে গিয়ে বলে উঠলঃ

—“কাল রাতে আমি এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম,(একদম সুইমিংপুলের পাশেই)তারপর আপনি যাওয়ার পর আমিও এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ এখান থেকে(সুইমিংপুলের পাশের নিচে জায়গাটা দেখিয়ে)
পা পিছলে যায় তারপর আমি সোজা সুইমিংপুলের মাঝখানে পরলাম স্যার…

“রিয়াদ তানজুর কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়েই শুনলো তার সাথে আশেপাশের চারিদিকেও তাকালো হঠাৎই সুইমিং পুলের ভিতর একটা কলার খোসা দেখতে পেল রিয়াদ!’যেটা দেখে রিয়াদের আর বুঝতে বাকি রইলো না তানজু কিসের উপর পা রেখে পড়ে গেছে!’রিয়াদের ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল তানজুঃ

—“কি হলো স্যার কিছু বুঝতে পারলেন…

—“হুম!’

—“কি স্যার…

—“তোমার মাথা,

—“মানে…

—“হাঁটার সময় চোখ কোথায় থাকে তোমার..

—“ঠিক বুঝলাম না…

—“ওই দেখো..(সুইমিংপুলের কলার খোসাটাকে দেখিয়ে)

—“কলার খোসা…

—“হুম,ওটায় পা পিছলে পড়ে গেছো তুমি…

—“ওহ,কিন্তু কলার খোসা আসলো কোথা থেকে…

—“তুমি রাখছো তাই,এনিওয়েজ চলো এখন,,অকারণেই ভুলভাল ভাবছিলাম আমি…

—“কি ভাবছিলেন স্যার…

—“কিছু না চলো…

“বলেই চলে যায় রিয়াদ!’রিয়াদের কথা তেমন বুঝতে না পেরে তানজুও মাথা চুলকাতে চুলকাতে এগিয়ে যায় রিয়াদের পিছন পিছন!’

[“এবার কলার খোসা কিভাবে আসলো তার কারনটা বলা যাক!’কাল রাতে যখন ওয়েটার রিয়াদের সাথে কথা বলছিল তখনই সুযোগ বুঝে কলার খোসা রেখেছিল ওয়েটার!’আর তানজুর বেখেয়ালির কারনে সেও গিয়ে পা রাখলো সেই কলার খোসার উপর তারপর আর কি যা হওয়ার তাই হলো,তানজু পা পিছলে পরলো সোজা সুইমিংপুলের ভিতর….]

________________________________________

__________________

|| মাঝখানে কাটলো একদিন ||

“সন্ধ্যা_৬ঃ০০টা…..

“আজকে রিয়াদ আর তানজু যাবে একটা পার্টিতে,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তৈরি হচ্ছে রিয়াদ,সাদা শার্টের ওপর ব্লাক কোট,সাথে ব্লাক প্যান্ট,হাতে ব্লাক ওয়াচ,ব্লাক জুতো,একদম পারফেক্ট সেলিব্রেটি লুকিং এ আছে সে,ব্লাকে অত্যাধিক সুন্দর লাগছে তাকে,রিয়াদ আয়নার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো,,তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে সামনের চুলগুলো ঠিক করতে লাগলো সে এমন সময় একটা সাদা টিশার্ট ব্লাক জ্যাকেট আর জিন্স পড়ে এসে সামনে দাঁড়ালো তানজু খুশি মনে বললো সেঃ

—“আমি তৈরি স্যার তাহলে যাওয়া যাক!’

—“হুম…

“বলেই পিছন ঘুরে তানজুর দিকে তাকিয়েই বললো সেঃ

—“এসব কি পড়ে এসেছো তুমি…

“রিয়াদের কথা শুনে তানজু অবাক হয়ে বললোঃ

—“কেন স্যার,আমি তো এইভাবেই যাই…

—“হুম তা ঠিক আছে কিন্তু আজ এভাবে যাবে না তুমি…

—“কিন্তু কেন স্যার…

—“তুমি কি ভুলে গেছো এখন তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড আর তুমি এভাবে গেলে সকলে কি ভাববে বলো তো…

—“এভাবে যাওয়া যাবে না…

—“না যাবে না….

“এতটুকু বলে রিয়াদ ফোন করলো একটা!’কিছুক্ষনের মধ্যেই কলিং বেল বেজে উঠলো রিয়াদের রুমের!’রিয়াদও বেশি কিছু না ভেবে চলে যায় দরজার সামনে,দরজা খুলতেই একজন লেডি একটা পার্সেল রিয়াদের দিকে এগিয়ে বললোঃ

—“Your parcel sir…

—“okk Thanks…

—“most welcome sir…

—“Hm..

“বলেই দরজাটা আটকাতেই নিলেই আবার বলে উঠল লেডিটিঃ

—“I will say something, sir..(একটা কথা বলবো স্যার)

—“yes…

—“Please give me your autograph, sir(প্লিজ,আপনার একটা অটোগ্রাফ দিবেন স্যার,)

“রিয়াদ মেয়েটির কথা শুনে মুচকি হেঁসে বললোঃ

—“yay sure …

“রিয়াদের কথা শুনে লেডিটি খুশি হয়ে তার ব্যাগ থেকে একটা ছোট্ট ডাইরি বের করে দিলো,রিয়াদ ডাইরিটা হাতে নিয়ে বললোঃ

–“pen…

“লেডিটি এক্সাইটিং এ পেন দিতেই ভুলে গেছে রিয়াদের কথা শুনে তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে পেন বের করে দিলো!’রিয়াদও পেনটা হাতে নিয়ে ডাইরিতে নিজের অটোগ্রাফ দিতে লাগলো,আর লেডিটি হা হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদের দিকে!’

“রিয়াদ অটোগ্রাফ দিয়ে ডাইরিটা এগিয়ে দিলো মেয়েটা দিকে!’মেয়েটিও খুশি হয়ে বললোঃ

—“Thank you,One selfie sir, please sir?’

“সময় নেই রিয়াদের তারপরও মেয়েটির অনুরোধে না করতে পারলো না,মুচকি হেঁসে বললো সেঃ

—“ওকে!’

“রিয়াদের ওকে শুনে মেয়েটিও আর বেশি দেরি না তাড়াতাড়ি নিজের ফোন বের করে তাড়াতাড়ি দুটো ছবি তুলে নিলো!’তারপর খুশি হয়ে বললোঃ

—“Thank you so so much sir…

“উওরে মুচকি হাসলো রিয়াদ!’তারপর দরজা বন্ধ করে পার্সেলটা নিয়ে এগোতে লাগলো সে!’সে জানতো তানজু এমন কিছু করবে তাই আগে থেকেই তানজুর জন্য একটা সুন্দর ড্রেস অর্ডার করে রেখেছিল!’

___

“একরাশ বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি,বুঝলাম না রিয়াদ স্যারের এত সময় কেন লাগছে!’বলতে না বলতেই রিয়াদ স্যার হাজির তারপর আমার দিকে একটা পার্সেল এগিয়ে দিয়ে বললোঃ

—“এটা পড়ে নেও…

—“এটা কি স্যার…

—“খুলে দেখো…

“তানজুও তাড়াতাড়ি খুলে দেখল!’পার্সেলটা খুলতেই দেখলো তানজু,অসম্ভব সুন্দর একটা সাদা রঙের শর্ট গাউন না গাউন বললে ভুল হবে শর্ট লেডিস ফ্রক ,অবশ্য খুব শর্ট নয় হাঁটুর নিচ পর্যন্ত হবে তানজুর!’ড্রেসটা এতটাই সুন্দর হয়েছে তানজু এক্সাইটিং হয়ে গেছে,খুশি মনে বললো সেঃ

—“এটা আমার…

—“না আমার…

—“কি স্যার মজা নিচ্ছেন কেনো…

—“তুমি আহাম্মকের মতো কথা বলছো কেন?

—“না মানে…

—“হয়েছে আর কিছু বলতে হবে না ফটাফট ড্রেসটা পরে তৈরি হয়ে আসো!’

—“ওকে স্যার…

“বলেই তানজু দৌড়ে চলে যায় ওয়াশরুমে!’

.
.

“বাকিডা কালকে…🥱
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!”আর গল্প কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবে কিন্তু]

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here