#রোদ_বৃষ্টির_প্রেম
#Nishi_khatun
#part_20
সকাল থেকে খান বাড়িতে বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েগেছে।
এদিকে সবাই সকালের নাস্তা কমপ্লিট করে নিজেদের নানারকম কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। রিনি কে পার্লার থেকে লোক এসেছে সাজাতে। তাই সেখানে রিয়ানা আর বৃষ্টি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করে নাই।
একটুপর রিয়ানা আর বৃষ্টি একদম রেডি হয়ে সারা বাড়িতে ঘুরাঘুরি করতে থাকে।
রোদ হঠাৎ বৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে বলে,”
আকাশে তো মেঘের দেখা নেই!
তাহলে এই রোদের আকাশে হঠাৎ করে রোদের- বৃষ্টি হয়ে কেনো আগমণ করলে সুন্দরি? ”
বৃষ্টি ভাব নিয়ে বলে,”বিনা মেঘে রোদ্দুরের মাঝে হঠাৎ করে বৃষ্টির আগমণ কে তো রোদ বৃষ্টির প্রেম বলে। এটাই না হয় রোদের আকাশে বৃষ্টির মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া। ”
রোদ বুকের বাম পাশে হাত রেখে বলে,”ওরে আল্লাহ এই মেয়ে দেখি ডেঞ্জারাস টাইপের কথা বলতে জানে। আমাকে মেরে দিতে প্লানিং করছে।”
বৃষ্টি- হায়রে ডাক্তার রোগীর মনের কথা বোঝে না। ডাক্তার যদি মরে যায় তাহলে এই নামের প্রেয়সীর কি হবে?
রোদ- ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগি মারা গেছে?
বৃষ্টি ভ্রু কুঁচকে বলে,”আমি জীবিত! আমাকে মারার এতো শখ কেনো? আমি খুন করতে এসেছি খুন হতে নয ডাক্তার। তাই বলে রোদের বুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যা।
এদিকে সাংবাদিকেরা খুব সুন্দর করে একটা নিউজ কভার করছে যা ঝড় তুলবে এবাড়িতে।
এদিকে রিনিকে বিয়ের আসরে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিছু সময় পর সাদিকের আগমণ হবে বর বেশে। সাদিকের বর বেশে আগমন দেখবার জন্য রিনি আগেই বিয়ের আসরে চলে আসে।
শিকদার মির্জা তার বউয়ের সাথে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। মিডিয়া তাকে ঘিরে ধরলে সে তাদের জানিয়ে দেয় এ বিয়ের শেষে সে তাদের সাথে কথা বলবে। বিয়েে কাজ সম্পন্ন হবার আগে কেউ যেনো তার কাছে কোনো রকমের ইন্টার্ভিউ আশা না করে।
শিকদার মির্জা এবং তার বউয়ের সাথে খান বাড়ির সবাই কুশল বিনিময় করে নেয়। রোদ এসে তাদের সাথে দেখা করে। রোদ বলে,”আঙ্কল ডোন্ট মাইন্ড! বুঝতেই পারছেন বোনের বিয়ে তাই আপনাদের দাওয়াত দিয়েও সময় দিতে পারছি না।”
শিকদার মির্জা -ডোন্ট ওয়ারি! আমি মাইন্ড করি নাই! আমি বুঝি তো বোনের বিয়েতে ভাইয়ের অনেক দায়িত্ব থাকে।
রোদ নিজের কাজে চলে যায়।
বৃষ্টি রিয়ানার সাথে শিকদার মির্জা এবং তার বউ ডায়না মির্জার পরিচয় করিয়ে দেয়।
এদিকে বউয়ের আসনে বসে থেকে বার বার সদর দরজার দিকে তাকিয়ে দেখছে তার জোখ জুড়ানো মনের মানুষটা কখন আসবে।
হঠাৎ করে রিনির দৃষ্টি স্থীর হয়ে যায়। রিনি ভয়ে কাঁপাকাপা শুরু করে দেয়। সদর দরজাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুসটা কে দেখে রিনির এই বেহালদশা।
রিনি খুব ভয় পেতে শুরু করে দেয়। আল্লাহ এই লোকটা কি এখানে কোনো সিনক্রেট করবে না কি? যদি উনি সবটাই বলে দেয় তাহলে আমার মান-সম্মান সব বানের পানিতে ভেসে যাবে। সাদিক- ভাই আমাকে অপমানিত করতে পারে। সে যদি বিয়েতে না করে দেয় সবটা জানার পর? আরে ধুর সাদিক ভাই কিছুই করবে না। নিজের চাচাতো বোনের সম্মান নষ্ট কখনো করবে না। চাচার সম্মানের সাথে তার পরিবারের সম্মান জড়িয়ে আছে তো। ধুর এই লোকটা আসুক তাতে আমার কী?
এদিকে মিস্টার খান রিনির ভার্সিটির প্রিন্সিপ্যাল স্যার কে দেখে এগিয়ে জান। তার সাথে কুশল বিনিময় করতে থাকে। স্যার মিস্টার খান কে কিছু বলবেন তার আগেই দরজার সামনে বর যাত্রী এসে হাজির হয়। তা দেখে মিস্টার খান স্যার কে এক্সকিউজ মি বলে স্থান ত্যাগ করে।
জামায় বরণ করে বর আসরে বসিয়ে বিয়ের কাজ শুরু হবে তার জন্য সব লেখালেখি করছে।
এদিকে বৃষ্টির হিজাবের পিন খুলে যাওয়াতে সে দ্রূত
সামনে যে রুম পায় সেখানে প্রবেশ করে। সে রুমে গিয়ে হিজাব ঠিকঠাক করে বাহিরে আসবে তার আগে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে পড়ে যায়।
বৃষ্টি বেচারি খুব জোড়ে পড়ে যাবার কারণে ব্যাথায় আহহহ বলে আত্মনাদ করে ওঠে। নিজের ব্যাথা ভুলে তার গায়ের উপরে আশিমণ ওজনের ভাড়ী পাহাড় কে দেখার জন্য তাকে দেখে রোদ।
বৃষ্টি ভ্রু কুঁচকে বলে,”আমাকে কি আপনার বিছানা মনে হয়? যে আরামে শুয়ে আছেন?উঠুন তাড়াতাড়ি!”
রোদ দ্রুত বৃষ্টির উপর থেকে উঠে তাকে হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দুঃখীত বলে।
রোদ বলে,”আমি তো জানতাম না আপনি আমার রুমে থাকবেন। আগে জানলে সাবধান প্রবেশ করতাম। যেহেতু এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে আর কিছু করার নেই।”
নিজের রুমের ফার্স্ট এইড বক্স থেকে একটা ব্যাথার মেডিসিন বাহির করে বৃষ্টির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,”এটা খেয়ে নিন নয়তো পরে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। তখন আমাকে কথা শোনানো যাবে না।”
বৃষ্টি আর কোনো কথা না বাড়িয়ে মেডিসিন টা খেয়ে নেয়। এরপর দুজনে একসাথে রুম থেকে বেড়িয়ে আসে। রোদ বৃষ্টির এই পুরো কাহিনীটা টিভিতে লাইভে টেলিকাস্ট হয়েছে তা তারা জানে না।
বিয়ের আসরে বিয়ে শুরু হবে ঠিক তখুনি সেখানে কিছু পুলিশের আগমন হয়।
হঠাৎ করে বিয়ে বাড়িতে পুলিশের আগমণ সেখান উপস্থিত সবার ঠিক হজম হয় না।
মিস্টার খান ভাবেন শিকদার মির্জার মতো বড় রাজনীতিবিদের প্রোটেকশনের জন্য হয়তো পুলিশের আগমণ হয়েছে। কিছুদিন পর নির্বাচন তার এভাবে প্রোটেকশন ছাড়া এতো মানুষের মাঝে আশাটা উচিৎ হয় নি। তাছাড়া এখানে যদি কোনো ঝামেলা হয় তখন তার দায় পুরোপরিবারের উপরে চলে আসবে। মেয়ের বিয়েতে এমন কোনো তামাশা চাই-ছে না।
মিস্টার খান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,” আপনাদের চিন্তার কোনো কিছুই নেই। এখানে যে পুলিশের আগমণ হয়েছে তা শিকদার মির্জার জন্য। এটার বিয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।”
সবাই নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা করা বন্ধ করে দেয়।
এরপর আবারো সব কিছু নরমাল হয়ে যায়।
রোদ বৃষ্টি রিয়ানা একা সাথে রিনির পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।
#part_21
বিয়ের পড়ানোর জন্য কাজী সাহেব কাগজের লেখা পড়তে শুরু করে ঠিক তখন পেছন থেকে রিনির প্রিন্সিপ্যাল স্যার বলেন,’মিস্টার খান রিনির বিয়ে আজ সম্ভব নয়।”
স্যারের মুখে এমন কথা শুনে উপস্থিত সবাই অবাক।
তখন পুলিশের পেছন থেকে মিস্টার বিহান বেড়িয়ে আসে। তাকে দেখে রিনি ভয়ে গুটিয়ে নেয় নিজেকে।
একজন পুলিশ বলেন,”আপনার মেয়ের নামে মিস্টার বিহান মানহানির মামলা করেছে। তাই এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপনার মেয়ের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে না।”
সাদিক বর আসন ছেড়ে উঠে এসে বলে,”এসবের মানে কী? জানেন-না আজ খান বাড়িতে বিয়ে তাই শহরের বড় বড় কতো গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এখানে উপস্থিত। তাদের সবার সামনে আমাদের মান-সম্মান এভাবে নষ্ট করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।”
তখন বিহান গলা শক্ত করে বলে,”আপনার বোন যখন আমার সম্মানে কাদাজল ছিঁটে দিতে ব্যস্ত ছিলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? মেয়েদের সম্মান, সম্মান? আর আমার সম্মান কিছুই না?”
সাদিক- মানে? কী বলতে চাইছেন?
তখন প্রিন্সিপ্যাল স্যার বলে,” কিছুদিন আগে রিনি খুব খারাপ কাজ করেছে। বিহানের সম্মানের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলো। ”
মিস্টার খান বলে,” ক্লিয়ার করে বলেন কি হয়েছিল। ”
বিহান বলে,”আমি বলছি আপনার মেয়ের গুণের কাহিনী। কিছুদিন আগের কথা।ভার্সিটি ক্লাসের শেষে আমি নিরব লাইব্রেরি তে বসে নিজের কিছু কাজ করছিলাম। লাইব্রেরি তে স্টুডেন্ট ছিলো না আমি একাই ছিলাম। তখন হুট করে আপনার মেয়ে সেখানে এসে লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে চিৎকার করতে শুরু করে নিজের জামাকাপড় নিজেই ছিঁড়ে। আমি তার কাছে আসতেই সে আমার গায়ের শার্ট ধরে টানাটানি করে বেহালদশা করে। তারপর বাহিরে কিছু মানুষ জড়ো হলে সে দরজা খুঁলে তাদের সামনে গিয়ে মরা কান্না জুড়ে দেয়।তারপর আর কি বাকিটা ইতিহাস।”
রোদ এসে বলে,’আমি বিশ্বাস করি না আমার বোন এমন কাজ করতে পারে।”
সাদিক- আমিও বিশ্বাস করি না।
তখন বিহান বলে,” জানতাম কেউ বিশ্বাস করবেন না।তাই তো প্রমাণ সাথে করে আনছি।”
তখন দুইটা মেয়ে আর একটা ছেলে বেড়িয়ে এসে বলে,” সেদিন স্যার একাই রুমে ছিলো না আমরাও ছিলাম। তবে স্যার জানতো না। আমরা অনেক দূরে আড়ালে বসে নিজেদের নোটিস তৈরি করছিলাম। যখন।দেখি স্যারের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল তখন আমরা একটু এগিয়ে গিয়ে সবটা নিজের চোখে দেখেছি। রিনি নিজেই সবটা করেছে শুধু মাএ স্যারের সম্মান নষ্ট করার জন্য। জানেন ওর হীন কাজের জন্য স্যারের কতোটা সম্মানহানি হয়েছে? তাও তো স্যার ওরে কিছুই বলে নাই। এসব করেও শান্তিতে বসে থাকি নি আপনার মেয়ে। সে স্যারের নামে উপরমহলে নালিশ করেছে। তারা স্যার কে সাসপেন্ড করে দিয়েছে। স্যারে চাকুরী নিয়ে যেখানে টানাটানি সেখানে আমরা কি করে আপনার মেয়েকে সুখে সংসার করতে দেয় বলেন?”
বিহান এবার ভাব নিয়ে দাঁড়ায় থাকে। তার কাজ শেষ এবার সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিনোদন উপভোগ করবে।
মিস্টার খান মেয়ের এহেন কাজে পাথরের মতো জমে গেছে। তিনি নির্বাক পিতার ভূমিকা পালন করছে।
তখন রিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলে ওঠে,”বাবা আমি সত্যি কিছু করি নাই! প্লিজ বিশ্বাস করো।”
মিস্টার খান- নির্বাক মেয়েকে মোটেই বিশ্বাস করতে পারছে না। নিজেদের সব সম্মান আজ মেয়ের জন্য বিলীন হয়ে গেলো।
তখন সাদিক এসে বলে,”তাহলে এতো গুলে মানুষ অযথা তোমার নামে মিথ্যা কথা বানিয়ে বানিয়ে বলবে? তাদের কি তোমার সাথে শত্রুতা আছে? ”
রিনি – সাদিক ভাই আপনি তো আমার কথা বিশ্বাস করেন।
সাদিক- তোমাকে বিশ্বাস করার মতো কোনো যুক্তি অথবা কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
মেয়ের এমন জঘন্যতম কাজের জন্য আজ খান বাড়ির মান-সম্মান সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সাদিকের বাবা এবং তার আত্মীয়-রা এসব কথা শোনার পর তাদের মাথায় পাহাড় ভেঙ্গে পরে। কোনে ভাবেই এই মেয়েকে আজ তার বাড়ির বউ করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। বাবার কথায় সমর্থন করে সাদিক।
তখন সাদিক তার বড় চাচার সামনে গিয়ে বলে,”চাচাজি আমার পক্ষে রিনিকে আজ বিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই বলে সে তার বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।”
রিনি জোড়ে জোড়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
রিয়ানা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে থাকে। রিনির এমন কাজের জন্য তার কোনো কিছুই করার নেই।
‘
”
‘
এদিকে ঝড় কম ছিলো? তখন হঠাৎ করে প্রেস-মিডিয়া শিকদার মির্জার সামনে এসে জড়ো হয়।
শিকদার মির্জা কিছু বলার আগে তারা রোদ বৃষ্টির সেই ক্লোজ হওয়া ফুটেজ তার সামনে ধরে বলে,”তা শিকদার সাহবে আপনার বাড়ির সম্মান যে এভাবে অন্যের বিছানাতে দেখা যাবে তা ভাবতেই কেমন লাগছে। আপনার ছেলের বিধবা বউয়ের চরিত্র সম্পর্কে আপনি কি আগে ঠেকে অবগত ছিলেন? ”
শিকদার মির্জা জানে এখানে বেফাঁস কিছু বললেই তার সরাসরি প্রভাব সামনে ইলেকশনের উপর পরবে।
এদিকে রোদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে? মিডিয়ার লোকজন এসব কি বলছে? বৃষ্টি শিকদার মির্জার মেয়ে না? তার ছেলের বউ? কই তাদের সম্পর্ক দেখে তো কখনো এমনটা মনে হয়নি? বৃষ্টিও তাকে এই বিষয়ে কখনো কিছুই বলে নাই। রোদের মাথায় কাজ করছে না। একদিকে বোনের কুকীর্তির জন্য তারা লজ্জিত আর এদিকে মিডিয়ার লোকজন রোদ বৃষ্টির সম্মান নষ্ট করতে ব্যস্ত। নাহ এসব কিছুই আর সে নিতে পারছে না।
কেউ কেউ তো বলতেই শুরু করে দিয়েছে, এতোদিন জানতাম খান বাড়ির ছেলেমেয়েরা খুব ভালো আজ তো দেখছি তাদের নামেরি শুধু বড়াই। তাদের চরিত্র একটু ভালো না। আল্লাহ আজ যদি এখানে না আসতাম তাহলে ফ্রী তে বিনোদন পেতাম না।
এদিকে রিনির কাহিনী শুনে বৃষ্টি মনে মনে খুশি হলেও নিজের আর রোদের কাহিনী শুনে মোটেই খুশি হতে পারছে না সে। রোদের সাথে তার নাম জুড়ানোটা মোটেই পছন্দ হচ্ছে না। এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হলে বৃষ্টির কপালে খুব খারাপ কিছু জুটবে আজ।
বৃষ্টি নিজের জন্য কোনো ভাবেই শিকদার মির্জার সম্মান নষ্ট হতে দিতে পারে না। আজ।যদি তার সম্মানে একটু আঁচ লাগে তাহলে তার ফল খুব খারাপ হবে।
বৃষ্টি সিদ্ধান্ত নেয় সে প্রেস-মিডিয়ার সাথে কথা বলবে!
”
”
”
চলবে…..