শুধু তোমারই জন্য পর্ব ১০

##শুধু_তোমারই_জন্য পর্ব ১০
##সাবানা_খাতুন

অর্নবের প্রশ্নে কাঁকন ভাবলেশহীন ভাবে উওর দেয়। অনেক ভুল হয়ে গিয়েছে যদি প্রথম থেকে এখানে থাকতাম তো অনেক ভাল হতো।অর্নব বিরক্ত হয়ে বলল তুমি কি লেখিকা এত হেঁয়ালি করে কথা কেন বলছো? স্পষ্ট করে বলো। কাঁকন বলল কিছু না তোমাকে জানতে হবে না।নিজের ঘরে যাও,আমার কোনো অধিকার না আছে তোমার উপর না তোমার জীবনের উপর। আর তিনমাস আমি এখানে আছি,আর কোনো সমস্যা আমি সৃষ্টি করতে চাইনা।দয়া করে তুমি আমার সামনে আর এসোনা।অর্নব কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না, এই মেয়ে সে কাঁকন নয় যাকে কলেজে দেখেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে একবারে ভাবত না সামনে প্রতিপক্ষ বলবান কিনা।শুধু আত্মবিশ্বাস ছিল অফুরন্ত , স্পষ্ট কথা বলতে পিছপা হতো না,কিন্ত আজ এই কাঁকন কে অর্নব চেনে না এতো নিষ্প্রিহ,প্রত্যেকটি কথা কে পেঁচিয়ে বলছে।অর্নব বলল তাহলে তুমি প্রথমে কেন এলে না এখানে? তখন তো বেশ গরজ দেখিয়ে আমার রুমে ছিলে। কাঁকন বলল তুমি যাবে এখান থেকে? তোমার কোনো প্রশ্নের উওর দিতে আমি বাধ্য নই।আমার মনে যা আসবে আমি তাই করব। কয়েক মিনিট চুপ থাকে দুজনে, চারিদিকে শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার কর্কশ আওয়াজ ভেসে আসছে।আর শনশনে ফাল্গুনের বাতাস ,যা উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে কাঁকনের মাথার খোলা চুলকে, এবার অর্নব নিরবতা ভেংগে বলল ঠিক আছে যা ইচ্ছা তাই করো ,আমি কিছু বলতে চাইনা।কাঁকন গেস্ট রুমের দিকে চলে যায়। অর্নব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে কাঁকনের চলে যাওয়ার দৃশ্য টা।দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে অর্নব , অর্নবের এখন একটা সায়েরি মনে হয়ে উঠল কাঁকনের প্রতি, নিঃশব্দ চাঁদনি রাতের কসম তোর অনুভূতি এখনো আমার হৃদয়ে আছে😔😔😔 ।

অর্নবের রুমের জানালা থেকে গেস্ট রুম দেখা যায়।অর্নব জানালার কাছে এসে বসল কাঁকন কে দেখার জন্য ,কাঁকন ও দাঁড়িয়ে জানালার ধারে,একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে,মাঝখানে কয়েকটা কথার দূরত্ব কেউ পার করতে পারছে না যে দুজন দুজনকে কতটা ভালবাসে ।বলতে পারছে না ,যে আমি তোমাকে ভালবাসি আর তোমাকে চিরজীবন এই হৃদয়ের রুমে বন্দি রাখব।অসহায় হয়ে চাতকের মতো একে অপরের দিকে চেয়ে আছে।ঠিক তখনই গেট খোলার আওয়াজ আসে,গাড়ি নিয়ে নয়না এসেছে,গাড়ি থেকে নামল সে,তার আজকে অনেক খুশির দিন,😃 দেবের মতো পাগলু ড্যান্স দেওয়ার ইচ্ছা জাগল মনে😆। কাঁকন নামের আপদ সরেছে, তার জীবন থেকে,সোজা গিয়ে অর্নবের রুমে ঢুকেই অর্নবকে জড়িয়ে দুই গালে পটাপট চুমু দিলো।অর্নব একদম হতভম্ব 😫 হয়ে গেল নয়নার কর্মকাণ্ড দেখে।অর্নব ভ্যাবাচাকা খেয়ে বলল আরে আরে কি করছো।ছাড়ো আমাকে, নয়না আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে বলল না আজ আর ছাড়ব না,কতদিন পরে তোমাকে এভাবে কাছে পেয়েছি বেবী,ঐ কাঁকন শয়তানটা আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে তোমার কাছ থেকে ,আই এম সো সো হ্যাপি আই কান্ট টেল মাই ইমোশন টু ইউ।

অর্নব দেখল কাঁকন এখনো তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।এবার তাকে জ্বালানোর জন্য নয়নাকে জড়িয়ে ধরে,যদি এই সুবাদে কাঁকন তার কাছে ফিরে আসে, কাঁকনের মুখ কে যদি দেখত পেত অর্নব তো বুঝতে পারত। কাঁকনের চোখ থেকে জলের ধারা গড়িয়ে যাচ্ছে ।আর পারল না দাঁড়াতে কাঁকন, জানালার পাল্লা সশব্দে বন্ধ করে দেয়।অর্নব এইবার নয়নাকে ঝটকা মেরে সরিয়ে দিয়ে বলে তুমি কি করে জানলে এসব? আমাকে আন্টি বলেছে বলল নয়না,ছাড়ো না কি এসে যায়।নয়না অর্নবের ঠোঁটের 👄 কাছে ঠোঁট নিয়ে এল গরম নিঃশ্বাস পড়ছে নয়নার নাক থেকে।অর্নব গলা ঝেড়ে নয়নাকে সরিয়ে দিয়ে বলল ঠিক আছে এখন যাও আমি ঘুমাবো, নয়না কিস করতে না পেরে বিরক্ত,তারপর ভাবল আর কটা মাস,মন ভাল করে চলে যায়।

কাঁকনের বালিশ ভিজে যাচ্ছে চোখের জলে,অর্নবের মনে এই ছিল বিশ্বাস হচ্ছে না তার।উফ……নয়নার বাহুডোরে অর্নব এত কাছাকাছি না ভাবতে পারছেনা কাঁকন,ভালই হল অর্নবকে বলা হয়নি যে কাঁকন তাকে ভালবাসে ।ওদের দুজনের মাঝে এসে বড় ভুল করেছে ও,চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কাঁকনের ।সকালে কাঁকন অর্নবের সামনে পড়ে গেলো,অর্নব দেখল কাঁকনের চোখ ভয়ানক রকমের ফোলা ও টকটকে লাল।এর মানে কাঁকন সারারাত কেঁদেছে,অর্নব ভাবল আমিতো ওকে একটু জ্বালাতে চেয়েছিলাম,তার পরিনতি এইরকম হবে বুঝতে পারিনি।ইস কাঁকন কত কষ্ট পেয়েছে কেনো যে ঐরকম করতে গেলাম ।অফিসের কাজে মন বসছে না অর্নবের ,কেমন যেনো অস্থির লাগছে তার।সব কাজ ভুল ভাল হচ্ছে ,কোথাও কোনোদিকে স্বস্তি নেই যেনো।এমন সময় নয়নার ম্যাসেজ ঢুকল অর্নবের মোবাইলে।

অর্নব বসে আছে নয়নার সামনে,দুজনে এখন ক্যাফেতে,অর্নব বলল কি হল এত আর্জেন্ট ডাকলে ,কোনো দরকার আছে? বেবী তুমি কি খুব তাড়াহুড়োতে আছো? না তাড়া নেই বল কিসের জন্য ডেকেছো বলল অর্নব? আসলে এইসময় টা বেশ ভাল তুমি ডিভোর্স পেপারে কাঁকনের সিগনেচার টা করে নাও বলল নয়না।ডিভোর্স পেপারের কথায় অর্নবের চমক ভাঙে,আরে পেপারটা কোথায় তার নিজের ও খেয়াল নেই,যেদিন নয়না পেপারটা দিয়েছিল তারপর আর খোঁজ করেনি অর্নব ।নয়না বলল কি হল কি ভাবছো? অর্নব বলল থাক না আর তো তিনমাস মাএ ,তারপর এমনিতে ডিভোর্স হয়ে যাবে,আর ঝামেলা করে লাভ নেই।নয়না বলল আই ডোন্ট টেক এনি রিস্ক ,তুমি ইমিডিয়েট পেপারে সিগনেচার নেবে।অর্নবের এমনিতে মুড খারাপ তার উপর কাঁকনকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা শুনে,মেজাজ আরো বিগড়ে যায়, অর্নব বলল আমাকে তুমি এইটার জন্য এত আর্জেন্ট ডেকেছিলে।এমনিতে অফিসে অনেক কাজ,ডিল হচ্ছে না প্রোজেক্ট ফেল হয়ে যাচ্ছে,লোকশান হল কত তুমি জানো খালি নিজেরটা নিয়ে ভাবছো ।আর তোমার ফালতু কথা শোনার জন্য আমাকে এখানে ডেকে পাঠালে।নয়না কিছু বলতে যাচ্ছিল তখন তার ফোনে কল আসে, নয়না রিসিভ করল ফোন, hi david how r u,im ok, I know baby u miss me so much, i also miss u too,im busy now can call u later, ok bye love u, ফোন টা অফ হতেই অর্নব জিজ্ঞাসা করল এত মিস আর লাভ কাকে করছো, নয়না বলল ওহ ও আমার লিভ ইন পার্টনার ডেভিড,কানাডায় তিন বছর আমার লিভ ইন পার্টনার।আমাকে মিস করছে,খুব ভাল ও অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি ওর সঙ্গে।অর্নব হতবাক হয়ে যায় শুনে,তুমি কানাডায় লোকের সাথে বেড শেয়ার করেছো তিনবছর আর সেটা আমায় তারিয়ে তারিয়ে শোনাচ্ছো,তোমার লজ্জা করেনা ফালতু মেয়ে কোথাকার।

কাঁকনের মনে একটুও সুখ নেই, সকাল বেলা ঐভাবে অর্নবের সামনে পড়ে যাবে বুঝতে পারেনি।সারারাত কেঁদেছে ও,কেনো কার জন্য নিজেও বুঝতে পারেনি ।কাল এত পরিমানে ওর কষ্ট হচ্ছিল যে বলার মতো কিছুই নেই।অর্নব আর নয়না কে এতটা কাছে দেখবে কাঁকন ভাবতেও পারেনি,মানছি ওদের বিয়ে হবে ।আমি কেনো এত কষ্ট পাচ্ছি যেন মনে হচ্ছে আমার হৃদয়টা কেউ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে ।মনে মনে ভাবল কাঁকন ,বাড়িতে খুব অস্থির লাগছে একদন্ড মন বসছে না।কাঁকন তাই অর্নবদের বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে একটি পার্কে গিয়ে বসল,অনেক অনেক চিন্তা ঘুরছে মাথায়,এখান থেকে যাওয়ার পর সে কোথায় যাবে,তার তো আর কেউ নেই তাকে কে আশ্রয় দেবে।চোখে অন্ধকার দেখল,এই কি ছিল তার ভাগ্যে। এমন সময়, আরে কাঁকন তুই এখানে,কাঁকন মুখ তুলে দেখে তার কলেজ ফ্রেন্ড নিশা কাঁকন অবাক হয়ে বলে নিশা তুই এখানে?

অর্নবের কথা শুনে নয়না বলে উঠে রিল্যাক্স কি হয়েছে এভাবে কেন বলছো।আর তুমি তো গেঁয়ো ভুতের মতো বিহেব করছো। লো সোসাইটি প্রেমিকের ভাব দেখাচ্ছো কেনো? এগুলি এখন জলভাত বিদেশে,একটু আধটু সবাই করে,আরে এতে অনেক মজা বুঝলে।তো আমিও করেছি what’s the big deal? তাছাড়া আমি যার সাথেই ঘুমাই না কেনো। ভালবাসি শুধু তোমাকে ।অর্নবের ইচ্ছা হচ্ছিল নয়নার গালে ঠাঁটিয়ে চড় মারতে,নিজেকে সংবরন করে নিয়ে বলল,বিদেশে থেকে তোমার রুচি নিম্ন মানের হয়ে গিয়েছে।যেটা তুমি জলভাত ভাবছো সেটা এখানে অবৈধ,পরকীয়া সম্পর্ক যেটা এই সমাজে সবাই নিচু চোখে দেখে,হ্যাঁ আমি গেঁয়ো ভুত সেটাই ভালো।কারন এমন মর্ডান হয়ে লাভ নেই যে তার ফিউচার স্ত্রী ভার্জিন নয় আর সে তার সতিত্ব কে ইচ্ছে করে বিলিয়ে ফলাও করে বলে।তুমি এত নোংরা কবে দিয়ে হলে,ছিঃ ছিঃ আমি ভাবতেও পারছিনা যে তুমি এতটা নিচে নামতে পারো।আর ভালবাসা কি জিনিস তুমি যদি জানতে তাহলে নিজের শরীর দিয়ে আসতে না।নয়না বলল আচ্ছা এত জ্ঞান আমাকে দিচ্ছো কেনো? তুমি এত হ্যান্ডসাম এত রিচ কত মেয়েকে নিজের বিছানায় তুলেছো আমি কোনোদিন প্রতিবাদ করেছি বা কিছু বলেছি?তুমি কাঁকন বা অন্য কোনো মেয়ের সাথে কিছু করোনি?একরুমে তিনমাস যাবত আছো, তুমি ওর সাথে ঘুমাওনি সেটা আমি বিশ্বাস করি না। চল তুমি আমারটা ভুলে যাও আমি তোমার টা ভুলে যাচ্ছি।অর্নব এবার চরম রেগে উঠল রেগে গিয়ে গাল দেওয়া শুরু করল ইউ ব্লাডি হোর, স্লাট ,বিচ তুই কার তুলনা নিজের সাথে করিস,কাঁকনের সাথে আমি কিছুই করিনি, তোকে বিশ্বাস করতে কে বলেছে,ফালতু,থার্ড ক্লাস মেয়ে কোথাকার, আরে কাঁকন কেনো কোনো মেয়ের সাথে কিছুই করিনি।আসলে তোর মতো নোংরা মানসিকতা যুক্ত সস্তা মেয়েরা এর থেকে বেশি কি ভাববে,আর আমি যদি কাঁকনের সাথে কিছু করেও থাকি,সেখানে তুই বলার কে? ও আমার আইনত স্ত্রী বুঝলি।নয়না এবার ফোঁস করে বলল আমাকে তুমি তখন থেকে উল্টো পাল্টা বলছো কিন্তু,এর ফল ভাল হবে না,আমাকে ধমকি দিয়ে লাভ নেই ।তোর যা ইচ্ছা তাই কর,শালা তোমার জন্য আমার আসল ভালবাসাকে এত অবহেলা করেছি,অপমান করেছি,কষ্ট দিয়েছি, আর না আজ কাঁকনকে আমার মনের কথা বলবো,ওকে কোথাও যেতে দেবো না।আমি বুঝে গিয়েছি কাঁকন হল আমার আসল জীবন সঙ্গী ।বলে অর্নব ক্যাফে থেকে বেরিয়ে গেল ,আর নয়নার চোখ রাগে দুঃখে ভাঁটার মতো জ্বলতে লাগল।

নিশা এতক্ষন কাঁকনের সব কথা শুনে বলল,অর্নব কি কোনোদিন চেঞ্জ হবেনা।আগেও তোকে জ্বালাতো এখনো জ্বালাচ্ছে।কাঁকন কেঁদে বলল আর মাএ তিনমাস বাকি বাবাও নেই ডিভোর্স হয়ে গেলে কোথায় যাবো।নিশা বলল একবার অর্নবের সাথে কথা বলে দেখ না।তুই কি বলছিস, আমার সামনে, থরথর করে ঠোঁট কেঁপে উঠল কাঁকনের ,ওরা দুজনে জড়িয়ে একে অপরকে কিস করছে আর তুই বলছিস ,আমি কথা বলে ডিভোর্স থামাবো, কষ্টের হাসি দিয়ে কাঁকন বলল, আমি তো পরিযায়ী পাখিরে অর্নবের ডালে আমাকে মানায় না।সময় শেষ হলে চলে যেতে হবে।এই নে ধর একটা চিরকুট ধরায় নিশা কাঁকনের হাতে।বলল এতে আমার ফোন নং আছে,আমি একটা এনজিওর হয়ে কাজ করি,তোর কোনো সমস্যা হলে আমাকে কল করিস ,কাঁকন নিশাকে জড়িয়ে বলল তুই আমার আসল আপনজন।

এতক্ষন পরে অর্নবের মনে স্বস্তি কাজ করছে।মন অনেক হালকা লাগছে।না আজ কাঁকনকে সে প্রপোজ করবে, সারপ্রাইজ দেবে,গেস্ট রুম থেকে আসতে না চাইলে কোলে তুলে নিয়ে আসবে,একদম দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের শাহারুখের মতো করে।উফ….. এত আনন্দ মনে হচ্ছে ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।অফিসের কাজ না থাকলে হয়তো অর্নব এক্ষুনি বাড়ির দিকে দৌড় লাগাত।কি ভুল টাই না করতে যাচ্ছিল,কাঁকনের মতো হিরা ছেড়ে নয়নার মতো ছাইকে নিজের জীবনে আনতে চাইছিল,অর্নব রিয়া কে ফোন করে।ওপাশ থেকে রিয়া বলল হ্যাঁ দাদা বল।এই শোন না আমার রুমটা একটু ভাল করে সাজিয়ে দেতো,কেন রে দাদা? তোর বউদিকে সারপ্রাইজ দেবো, তো আমি করব তুই নয়নাদি কে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যা,আরে পাগলি আমি কাঁকনের কথা বলছি। সত্যি দাদা ওয়াও😍😍 ফোনের ওপার থেকে রিয়া চেঁচিয়ে উঠল,অর্নব বলল আরে চেঁচাবি না,আর শোন কাঁকনকে একদম চুকলি করবি না। যে আমি কি প্ল্যান করেছি।ওফ…. দাদা আজ আমি অনেক অনেক খুশি ফাইনালি ঐ পেত্নির কাছ থেকে তুই ছাড়া পেলিস।অর্নব বলল তুই ঠিক বলতিস আমার আসল ভালবাসা শুধুই কাঁকন।ওকে রাখছি এখন বলে অর্নব ফোন রাখে।

বাড়ি আসার পথে অর্নব কাঁকনের জন্য কিনল,লাল শাড়ি,টিপ,চুড়ি, আর এক কৌটা সিঁদুর এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল 🌹🌹🌹 ।অর্নব ভাবছে আজ এইগুলি পরে আমার কাঁকন কতই না সুন্দরী লাগবে।হ্যাঁ ও শুধু আমার আর কারোর নয়।লাল শাড়ি পরে চুল খোলা রেখে যখন আমার কাছে আসবে। আমি তখন বলব এই গাছ, পাখি,ফুল আর চাঁদের আলো সাক্ষী থাক আমাদের অভিসারের,অর্নব ভাবছে আর মুচকি হাসছে।আর কাঁকন তো পুরো.. থ…. হয়ে যাবে,অর্নব তার দিকে হাত বাড়িয়ে বলবে ,আমার হৃদয়ের মণি কোঠায় ছুঁয়েছে তোমার মন ,আর আমি সেই মনের কোনে তোমাকে লুকিয়ে রাখব আজীবন 😍😍😍।বাড়ি এসে অর্নব গাড়ি থেকে নেমে গেস্ট হাউসের দিকে পা বাড়ায়।টেনশনে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে তার।এত টেনশন কেনো হচ্ছে নিজের স্ত্রী কে তো প্রপোজ করবে। সাহস কর সাহস কর নিজের মনে বলতে থাকে অর্নব , হাতে ধরা গোলাপ ফুল নিয়ে এগিয়ে যায় ধীরে ধীরে ………।

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here