সমাধি পর্ব-২৩

#সমাধি 💔
#পর্ব —২৩
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা
_______________________________
“–তপুর ফোন পেয়ে রাসেদ এক সেকেন্ট সময় অপচয় করেনি। ছুটে চলে গেছে অনুর সন্ধান পেতে।

—– ফোনটা কার জন্য কাল বয়ে আনলো! শেফার জন্য? নাকি রাসেদের জন্য? নাকি রাসেদের পুচকি অনুটার জন্য??
প্রশ্নটা সবার মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছে।রাসেদের মা শাড়ির আঁচল পেচাতে পেচাতে বার বার শেফার রুমে আসছে যাচ্ছে।

মেয়েটা ঠিক আছে কিনা দেখে রাখতে হবে।
ছেলেটা আমায় কথা দিয়েছে,আমাদের কথা সে রাখবে তো বলেছে।তবে এখন অনুর খুজ পাওয়া মানে সব ধুয়ায় হারিয়ে যাওয়া। শেফার মনে একটু আশা যা জেগেছে তা মাটি দেয়া।

জানিনা ছেলেটার জীবন কি করে কাটবে।এই রঙ তামাশা আর ভালো লাগছে না।

“————★

” অনুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে এতে রাসেদের খুশি হওয়ার কথা নয় কি! তবে ওর চোখে পানি কেন? ওর মুখটা এত শুঁকনো কেন।
অনুর খুজ মিলেছে বলে রাসেদ কি অসুখী??
এক দম নরমাল ভাবে রাসেদ অনুর ঠিকানায়।
তপু জানিয়েছে এখানেই ওরা রয়েছে।

“- এটা একটা সরকারি হাসপাতাল। তবে তপু হাসপাতালে ডাকলো কেন তা চিন্তা করতে করতে ওর সব গুলিয়ে উঠছে।
আন্টি!! আন্টির হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে। আর ওরা এই শহরেই ছিলো।আর আমি জানতেই পারলাম না।
আর অন্য শহরে খুজছিলাম।

“- তপু বারান্দায় রাসেদের আশায় দাড়িয়ে। রাইমাকে কোলে নিয়ে এদিক সেদিক হাটছে। আজ কয়েকদিন ধরেই তপু রাইমাকে কোলে নিতে দ্বিধা করছে না।
কি করবে এখন ওর মামাই সব।

“— হাসপাতালে একটু চোখ বুলাতেই তপুর দেখা মিলছে।
হন হন করে তপুর পাশে দাড়িয়ে রাসেদের প্রথম প্রশ্ন।
কি হয়েছে?? তোমরা হাসপাতালে কেন?
অনু ও কোথায়???

— রাইমা রাসেদকে দেখে কি মিষ্টি হাসিটাই না উপহার দিলো।
বাহ হাসিটা কত সুন্দর।

” তপুর ইশারা একটা কক্ষের দিকে।সেখানেই চলেছে রাসেদ।

বেডে একটা খাঁচা পরে আছে মনে হচ্ছে।
শুকনো মানুষের হাড্ডি তো, সমতল খাঁচার মতই। তবে এটা আন্টি তো নয়। আন্টি তো এখানে বসে।তাহলে ঐ বেডে কে? অনু?? না না অনু এমন নাকি!!
যত কাছে যাচ্ছে ততোটাই হার্টবির্ট বাড়ছে।কে এভাবে লাশ হয়ে!!

“— একদম কাছে এসে মুখটা ভালো করে দেখে নিলো।
চোখ জেনো বেরিয়ে এসেছে।গাল দুটো চুপসে গেছে। হাত পা যেনো দুই বছরের বাচ্চাদের মত সাইজ।এত শুকনো মানুষ জীবনে দেখিনি।

শ্বাস চলছে।তবে লাশের চাইতে বেহাল অবস্থা???
চোখের আটকে রাখা পানিটা বাধন হারা হয়ে গাল বেয়ে মুখেই চলে আসছে।
কান্নারতো গলায় একটি নাম বের হয়েছে রাসেদের গলা দিয়ে….

“- অনু!!!

—– অনুর অবস্থা দেখে রাসেদ আবার পিছ পা হয়ে এসেছে।
এটা কে কাকে এখানে রেখে ওরা কাঁদছে?

” তপু! অনু কোথায়? আর এটা কে? কিছুটা অনুর চেহারায় মিল খাচ্ছে। কে এটা??
— রাসেদ ভাই!!
” বেডে পরে থাকা নিথর দেহটা থেকে বহু কষ্টে একটা শব্দ বার হল। সেই শব্দের উচ্চার রাসেদ ভাই।
আকলিমা বেগম মেয়ের মাথার কাছে এসে মাথায় হাত বুলাচ্ছে।

– রাসেদ কাছে এসো বাবা অনু তোমায় শেষ বার মন ভরে দেখতে চেয়েছে, ইচ্ছে ছিলো তোমায় কিছু না জানাই। না জানিয়েই সব ছেরে জেতে চেয়েছিলো অনু। ।তবে রাইমার একটা শক্ত হাত চাই বলে তোমায় ডেকেছে। আর বার বার তোমায় দেখার আবদারও করছিলো।
” দেখতে চেয়েছে বুঝলাম! শেষ বার মানে? এ অনু নয় আন্টি কার পাশে বসে কাদঁছেন এ অনু নয় তো….
——————- রাসেদ ভাই!!
আবারও অনুর কন্ঠে ডাক। রাসেদ অনুর পাশে জেতেই চিৎকার টা এবার শব্দ ধারন করেছে। হায় আল্লাহ অনু। তর কি হয়েছে হ্যা, বল আমায় বল না। কি হাল করেছিস?? কোন অসুখ বাধিয়ে এখন আরাম করছিস??
আমায় কষ্ট দিতে তর অনেক ভালো লাগে তাই না?? আমি তো তর শত্রু তাই বার বার কষ্ট দিয়ে নিজে আনন্দ নিস তাই না।

আশে পাশে আরো রুগি রয়েছে নার্স শব্দ করতে মানা করছে।তবে তা শুনলো না কেউই।
এখন ভদ্রতা দেখানোর সময় নেই।

– তপু রাসেদের কাঁধে হাত দিয়ে কান্না করতে বারন করলো।
আপুর কড়া আদেশ রাসেদ ভাই। ওর জন্যে যেনো কেউ না কাঁদে। কাদঁলে নাকি ওকে চোখের পানিতে ভাসিয়ে দিবো। সে চায় সে সবার মনে থাকুক চোখের জলে নয়।

শ্বাস নিতে কতটা কষ্ট হচ্ছে তা ওর শ্বাস নেয়া দেখেই বুঝা যাচ্ছে। লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে দির্ঘ সময় পর আমার একটু শ্বাস নিচ্ছে। অক্সিজেন মাক্সটা খুলে অনু রাসেদের পানে ডেব ডেব করে তাকিয়ে।

“- ওর কি হয়েছে কেউ বলবে আমায়!!
– তপু চোখের জলটা মুছে রাসেদের কাধটায় মুষ্টি করে ধরে বেশ কষ্টের সহিত জানালো – অনুর ফুসফুসে ক্যানসার……
নাক দিয়ে মুখ দিয়ে প্রাই পঁচা রক্ত বমি তে ভাসায়।
অবস্থ্যা বেশ খারাপ ছিলো তাই তোমাদের ওখান থেকে আসার পর থেকে আমাদের আশ্রয় স্থল এই হাসপাতাল। যাবার কোন ঠিকানাও ছিলোনা তেমন।
— রাসেদ অনুর মাথার কাছে এসে একটু সময় বিলম্ব করতে চায়না।
এই হাসপাতালে ওর চিকিৎসা হবে না।ওকে বড় হাসপাতালে নিবো আমি, টাকার বন্যা বইয়ে দিবো তবুও অনুকে সুস্থ করবই।

” রাসেদ বাহিরে জেতে নিলে আকলিমা বেগম রাসেদের হাতটা চেপে ধরল। ওর চিকিৎসায় কোন ফয়দা নেই রাসেদ। সেই সময় আর নেই। সময় ফুরিয়ে গেছে।

— ফয়দা নেই মানে? আপনি কি বিধাতা! আপনি জানেন? আর এত বড় অসুখ তো হুট করে হবার কথা নয়। কবে থেকে এসব??

অনুর এই অবস্থা বহু দিন ধরেই তবে তোমায় জানাতে দেয়নি। না নিজে জানাতে চেয়েছে।
বহু বার অনুরুধ করেছি তোমায় সব বলে।আর ওর চিকিৎসা শুরু করে। তবে জানোই তো জেদ কতটা ওর। বলে এ ভূবনে ওর কেউ নেই পরপারে নাকি কেউ ওর অপেক্ষায়।

প্রথম প্রথম আমরাও জানতাম না। ভেবেছিলাম ঔষধেই সেরে যাবে তবে রিপোর্ট গুলো হাতে পেয়ে পায়ের মাটি সরে এসেছে।
তোমাদের বাড়ি থেকে আসার পর থেকেই আমরা এই হাসপাতালে।
কখন ওর শ্বাস বন্ধ হবে,তার পর আমরা বের হব সেই আশায়।
আর এর চাইতে ভালো আশা রাখা যায় নাকি!!

—–

” অনুর শুকনো আঙুল গুলো রাসেদের হাতটা আকরে ধরেছে।
পাশে বসার জন্য ইশারা করছে।

– কি করে পারলি অনু! তর এত শরিল খারাপ আর আমায় বলতে পারলিনা!
” রাসেদ ভাই বিধাতা আমার আয়ানের কাছে যাবার জন্য ডেকেছে আর আমি না করি কি করে বলো!
তোমার সাথে আমার কোন জুরি নেই।আর হল না তোমার সাথে ছাদে বসে আড্ডা দেয়া। আর হল না তোমার কেনা ঐ নীল শাড়ি পড়ে তোমার সাথে ঘুরা। তোমার আরেকটা ইচ্ছা অপূর্ন রইলো মাফ করে দিও..
-কি??
তুমি আমার মুখ থেকে একটি বার রাসেদ ডাক শুনতে চাও। সেই ডাকে বাধন হবে একটা মজবুদ সম্পর্কের জেরে তোমায় ভালোবেসে রাসেদ বলে ডাকবো।
” তুই এসব??
– জানলাম কি করে তাই তো??
বালিশের নিচ থেকে রাসেদের ডায়রিটা বার করে আবার ওর হাতে ধরিয়ে দিলো।sry না বলেই নিয়েছি, তোমার ডায়রির প্রতিটা অক্ষর আমার পড়া শেষ।
জলদি জলদি শেষ করেছি যদি পরে পড়া অপূর্ন রয়।

“চুপ চপু কর.. এসব বলবি না কিছু হবেনা তর বুঝলি!
তুই আমায় না বলে চলে এলিই বা কেন?? মায়ের কথা শুনলি আমার কষ্ট হবে তা বুঝলিনা!!

— রাসেদ ভাই। শান্ত হও।
অনুর নরম গলা একদম ধিরো স্বরে রাসেদকে শান্ত হতে বলছে।কারন অনুর চেয়ে রাসেদ মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আন্টির কথায় আমার কোন দূঃখ নেই। আমি অনেক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
– আমায় নিয়ে মিছে আশায় তুমি তোমার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করছো। হয়তো আমি যাবার পর তুমি শেফা আপুকে… নিয়ে ঘর বেধে সুখি হবে।

” চুপ…
এতটাই উচ্চ স্বরে রাসেদের ধমক, এই কেবিনের সকলে প্রায় ভয়ে থর থরিয়ে গেছে।
– শেফা না শেফা? তোকে কে বলেছে এসব? এখন তুই অসুস্থ না হলে বুঝতে পারতি আমার হাতের থাপ্পরে কতটা দম।
আর এক বার যদি তর মুখে এসব বেহুদা কথা শুনছি তো….।

— অনু শোন হাতটা চেপে ধরে রাসেদের বিনিত গলার আওয়াজ, আমার জীবনে শুধু একজন ছিলো আছে আর থাকবে। আর সেটা তুই। তুইতো এখন ও না বুঝার ভান ধরে অনু।
” মরা হাসি অনুর মুখে, যখন আমি বুঝাতে চেয়েছি বুঝলে না। এখন তুমিও বুঝাচ্ছো আমি বুঝলেও বলবো বুঝিনা হিসাবটা বরাবর করতে হবে না।

— প্রতিশোধ!
” হ্যা তাই।
– রাসেদ ভাই আমার জীবন টা একটু উল্টো। আমার জীবনে একজন ছিলো, তবে সে নিজেই নিজেকে দূর করে দিয়েছে।
তার পর আরেকজন এলো। সে সব দূঃখ দূর করে একটু হাসি মুখটা আনতেই সেও মিলিয়ে গেলো।
তবে আমার জীবনে এখন শুধু দ্বিতিয় জন আছে আর রবে।
— অনুর কথায় রাসেদের একটু হিংসারত ভাব।
” সাত পাঁচ ভাবার সময় নেই। তোকে আজ সোজা প্রশ্ন করছি।
সব ভুলে আমার হাতটা ধরবি!!অনেক শক্ত করে ধরতে হবে।
রোজ ছাদে বসে আড্ডা দিবি!! শাড়ি পরে আমার বাইকের পিছনে বসে রাতে শহর ঘুরবি?
আমার সাথে সারাক্ষণ এটা ওটা নিয়ে ঝগরা করবি কি অনু!!!!

—- হু হু করে কেঁদে উঠেছে অনু। সব চাওয়া কখনো পূণ্য হয়না রাসেদ ভাই।আর না তোমার এই চাওয়াও পূর্ণ্য হবে।

” তার কারন কি অনু!!
— যদি বলি কারন আয়ান, তা মানবে??
” রাসেদের শক্ত জবাব না মোটেই না। তর আমার থেকে দূরে সরার কারন আয়ান হতে পারেনা।
—যদি বলি সময় ফুরিয়ে গেছে।হাতে সময় কম তোমার অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো আবারও মাটি চাপা হবে…..

দুই হাত পকেটে গুজে রাসেদের পুক্ত উওর সময়টাই বেধে নেবো। সময়টাই ফুরোতে দেবোনা।

— হন হন করে বাহিরে বের হয়ে কার সাথে ফোনে কথা বলে আবার ভিতরে চলে এলো রাসেদ।
– তপুর হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়েছে রাসেদ।
তপু জলদি যাও আর কাজী ডাকো। আর আমি বাড়িতে ফোন দিয়েছি অনুর জন্যে কেনা ঐ নীল শাড়িটা আনতে, ওটা পরেই আজ বিয়ে হবে…..আজ এখানে এই মূহুর্তে আমি অনুকে আমার সহধর্মিণীর রূপে স্বীকার করব।
” আর হ্যা একটা এম্বুলেন্স ঠিক করো। ওকে এখান থেকে অন্য হাসপাতালে সিফ্ট করব।আজ তো জমের সাথেও যুদ্ধ করব যাতে তোকে এই সময় টুকু দেয় আমার সাথে দুকদম চলার।

—- মনে হয় না রাসেদ মজা করছে। সে বড় সিরিয়াস।
অনু রাসেদকে আবারও বাধা দিয়ে বলে উঠলো।
খনিকের জন্য আমার মত কাউকে জীবনে জরিয়ে জীবনটা শেষ করোনা রাসেদ ভাই। এটা আমার শেষ অনুরুধ।

— তোকে জীবনে জরিয়ে যদি আগুনে ঝাপ দিতে হয় তাই দেবো। আর এই শেষ শেষ শব্দ টা ব্যাবহার বন্ধ কর। আমি যত জীবন বাচঁবো আমায় অনুরুধ না হুকুম করবি বুঝলি।
আর আজ তো তোকে কবুল বলতেই হবে। হয়তো সুন্দর করে বলবি নয়তে জোর করে বলাবো।।

— কিসের জোর খাটাবে??
” সেটা না বলে দেখিস তখনই বুঝতে পারবি।

– রাসেদ ভাই একটু বুঝার চেষ্টা করো..
“কি বুঝাবি তুই??? সারা জীবন আমি বুঝালাম তোকে আর আজ আমায় তুই বুঝাবি?
কোন বাধা কোন আবদার অনুরুধ আজ আমায় ঠেকাতে পারবে না। তর স্বামী আর রাইমার বাবা হওয়া থেকে।

কাগজে কলমে তর আর রাইমার ভার আমার কাধে চাই রে অনু মানা করিস না।
এতই কষ্ট দিয়েছি একটু সুখ কি তাই পাবোনা??

— তোমার এই সুখ স্থায়ী নয় রাসেদ ভাই।
” মানুষই কোথায় স্থায়ি হয় রে অনু কে কখন মারা যাবে তা কেউ জানেনা। না তুই না আমি।
এমন ও তো হতে পারে তর আগেই আমি……….

কথাটা শেষ হবার আগেই অনুর হাত জোর করা বিনতি নাহহ রাসেদ নাহহ।ঐ অলুক্ষনে শব্দ মুখ থেকে বার করো না।
তোমার কিছু হলে আমার রাইমার কি হবে??? আমিও নেই আর তুমি তখন আমাদের মেয়েটা এতিম হয়ে যাবে রাসেদ।তোমার কাছে রাইমাকে গচ্ছিত রেখেই তো পরপার হব।
— হা হা করে রাসেদ হেসে উঠেছে,আজ একদিনে বহু বছরের ইচ্ছে সব পূরন হচ্ছে, তুই আমায় রাসেদ বলে ডেকেছিস অনু রাসেদ বলে ডেকেছি।
তর এই ডাক আমি আজীবন স্মরণ রাখবো। তুই রস বা না রস।

— আর হ্যা তর এসব হেয়ালি কথা. চলবে না. চুপ থাকবি একদম।
ধমক শেষ হতে হতেই কাজি চলে এসেছে।পাশেই কাজি অফিস ছিলো তাই দেরি হল না। তবে নীল শাড়িটা এখনও এলোনা।

এর মধ্যে অনু বাচ্চাদের মত কান্ড শুরু।
চুপ থাকলে কবুল কবলো কি করে???
—- নিজের কানই আজ অবিশ্বাস লাগছে।অনু রাজি হয়েছে কি খুশির দিন আমার জন্যে।
এই খুশিতে যদি সবাই থাকতো। মা বাবা আসবেতো??
জলদি এসো শেফা, অনুর পরনে নীল শাড়িটা আমায় দেখতে দাও।।দেখতে দাও।
মা বাবা কে জোর করে হলেও সাথে নিয়ে এসো।

চলবে★★

পরবর্তী পর্বে গল্পের সমাধী দেবার চেষ্টা করব।
কেমন হল জানাবেন।💔💔💔💔

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here