সীমাহীন পর্ব ১৭

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১৭
আপনি?
কে আপনি?
বলল আরাধ্যা।
আমি মাহিনের বন্ধু।
তুমি তো বেশ ভালোই আছো,
তোমার বিয়ে মনে হচ্ছে?
সত্যি টা জানলেও কি আরিয়ান চৌধুরীকে বিয়ে করবে?
আরাধ্যাঃ কোন সত্যি? কিসের সত্যি? প্লিজ আমাকে বলবেন?
রাফিঃ শুন তাহলে,
আমি মাহিনের সব থেকে কাছের বন্ধু। আমার নাম রাফি।
মাহিনের তোমাকে প্রথম দেখা থেকে ভালোবাসা সবই আমি জানি।
আমিই ওকে বলেছিলাম ওই বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে। মাহিনও ওই বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেল।
কিন্তু আরিয়ান চৌধুরী ওকে অপমান করে বের করে দিয়েছে। তারপরও সে তোমার সাথে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। আরিয়ান চৌধুরীর জন্য পারেনি। আর কালকে থেকে ওকে ফোনে ও পাওয়া যাচ্ছে না।
এটা নিশ্চই আরিয়ান চৌধুরীরই কাজ।
ওই আরিয়ান চৌধুরী একটা….
কি আমি? পিছন থেকে বলে উঠলো আরিয়ান।
আরিয়ানঃ আরে তুমি রাফি নাকি? কেমন আছো? মাহিনের কি খবর? ওর বিয়ের দাওয়াত দিতে এসেছো নাকি? আসলে আজকে আমরা একটু বিজি আছি। তোমার সাথে অন্য দিন কথা হবে বাই।
.
রাফি আরাধ্যাকে একটা কাগজ দিয়ে বলল,
আরু এটা আমার নাম্বার।
প্রয়োজন হলে কল করতে পারো।
.
আরিয়ানঃ কি বলতে চাইছিল রাফি?
আরাধ্যাঃ না, এমনি।
আরিয়ানঃ রাফি একটা কাগজ দিল না তোমাকে দেখি তো?
আরাধ্যা আরিয়ানকে কাগজ টা দিলে,
আরিয়ান টুকরো টুকরো করে ফেলে দিল৷
আরিয়ানঃ রাফির সাথে কথা বলার,
কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
.
আরে তোরা সবাই নিজের জন্য শপিং করতেই বিজি?
আরাধ্যার জন্য কিছু দেখেছিস?
বোনদের উদ্দেশ্যে বলল আরিয়ান।
রিধিঃবাহহ ভাইয়া,
এখন থেকেই বউ পগলা হয়ে গেছিস? পরে কি হবে।
দেখছিস তো আপু?
রাজঃ ঠিকই তো বলেছে আরিয়ান,
নিজেদের জন্য এতোওও শপিং করছো, যেন তোমাদেরই বিয়ে।
আমার বোনের জন্য ও কিছু দেখো৷
রিধিঃ তুমি তো চুপই থাকো। নিজের বউয়ের খবর নিতে পারে না, আসছে বোনের খবর নিতে।
আরিয়ানঃ কার বউ? কিসের বউ?
ইসস ভাইয়া যে এখানে ছিল, আমি তো খেয়ালই করেনি। এখন কি যে হবে,
মনে মনে বলল রিধি।
রেশমিঃ বাদ দাও না ওসব।
দেখো আরুর জন্য একটা লেহেঙ্গা দেখছি। সুন্দর না?
উদয়ঃ হুম,
এটা আরুকে খুব মানাবে।
রাজঃ রাইট,
আমাদের বোনকে সব কিছুতেই মানায়।
রাজ আর উদয় আরাধ্যাকে বোনের মতো ভালোবাসে। ছোট থেকেই ওকে বোন বলে ডাকে।
রিধিঃ কিরে আরু তুই কিছু বল।
আরাধ্যা তো রাফির ওই কথা গুলোই ভাবছে।
আরাধ্যাঃ হুম,
তোরা যা পছন্দ করে নিবি,
আমি পরবো।
আরিয়ান আরাধ্যার ব্যাপার টা বুঝতে পেরেছে।
আরিয়ানঃ বউ টা!
তুমি কি কিছু নিয়ে টেনশনে আছো?
আরাধ্যাঃ না।
.
.
.
সন্ধ্যায় সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে।
কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলে দিল রিধি।
উনি এসে গেছে।
.
আরিয়ান জুয়েলারি দোকানের মালিককে কল করে বলছে সবচেয়ে এক্সক্লুসিভ গোল্ড আর ডায়মন্ড সেট যেন বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
এখন সেগুলো নিয়ে এসেছে।
সবাই যে যার পছন্দ মতো জুয়েলারি নিয়েছে।
ফাতেমা বেগম নিজে পছন্দ করে নিল আরাধ্যা জন্য।
ফাতেমা বেগমঃ যতো গয়নাই নাও না কেন,
বিয়ের দিন আমাদের খান্দানী গয়না পরেই বিয়ে হবে। এটা আমাদের বংশের ঐতিহ্য।
আরাধ্যাঃ ঠিক আছে আম্মু।
রিধিঃ এনগেজমেন্টর জন্য রিং দেখতে হবে না?
ভাইয়া কোথায়?
আরিয়ানঃ আমি এখানে,
উদয়ঃ শালা তোরে রিং দেখতে ডাকতেছে।
আরিয়ানঃ এখন থেকে তোরাও আমার শালা।
.
ওক্কে প্লিজ রিং চয়েজ করবি ভাইয়া? বলল রেশমি।
রিধিঃ আরু আয় রিং দেখ,
আরাধ্যা অন্য মনস্ক হয়ে আছে।
রেশমিঃ কি ভাবছো,
আরু?
তুমি আজকে এতো মন খারাপ করে আছো কেন?
.
আরিয়ান তো এবার রাগে ফেটে যাচ্ছে।
আরিয়ানঃ আমি যাচ্ছি কেউ আসবে নাকি রিং দেখতে? ( রেগে গিয়ে)
আরাধ্যা আর আরিয়ান মিলে দুটো রিং চয়েজ করলো।
.
.
.
আর ৪ দিন পর এনগেজমেন্ট।
কি বলেতে চেয়েছিল রাফি?
কিছু করেনি তো স্যার মাহিনের সাথে?
কিন্তু আমি কি করবো?
বিয়ের জন্য তো না করা যাবে না,
ভাবছে আরাধ্যা।
.
সকাল হয়ে গেছে।
কালকে এনগেজমেন্ট
সব ঠিকঠাক চলছে, কিন্তু আরাধ্যার চিন্তার শেষ নেই।
ব্যাপার টা আরিয়ান খুব ভালো করেই খেয়াল করেছে।
.
আরো একটা রাত কেটে গেছে। আজ সন্ধ্যায় এনগেজমেন্ট।
দুপুরে হঠাৎ আরাধ্যার ফোন বেজে উঠল,
একটা অচেনা নাম্বার থেকে।
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here