সীমাহীন পর্ব ১৬

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১৬
আরিয়ান আরাধ্যার কাছে আসছে,
আরাধ্যা পিছাচ্ছে।
পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে মিশে গেল আরাধ্যা।
আরিয়ান ওর একদম কাছে চলে এসেছে।
আরাধ্যা ভয়ে কাঁপছে,
আরিয়ানঃ তুমি নাকি আমাকে বিয়ে করতে চাও না?
আরাধ্যাঃ আ..আমি,
আ…আসলে। (তুতলিয়ে)
আরিয়ানঃ তুমি আসলে কি?
আমার গার্লফ্রেন্ড আছে তাই?
সেদিন রাতে আমি আমার গার্লফ্রেন্ডের কাছে ছিলাম তাই? ( একটু সরে গিয়ে)
আরাধ্যাঃ হুম তাই।
আরিয়ানঃওকে,
তাহলে দেখে নাও আমার গফকে। কতো টা হট সে।
আমি কি করবো বলো? সে ই তো আমাকে….(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
আরাধ্যাঃআমি জানতে চাই না,আপনি কার সাথে কি করেছেন। (রেগে গিয়ে)
আরিয়ানঃ না তোমাকে তো জানতেই হবে। বউ হবা তুমি আমার। তোমার এসব জানার পুরো অধিকার রয়েছে। আরে দেখো না,
আমার ঘাড়ে কিন্তু এখনও ওর নখের আঁচড়ের দাগগুলো আছে। ইসসস কেমন লাল হয়ে আছে দেখো। আচ্ছা তোমার নখ দেখি।
আরিয়ান আরাধ্যার হাত ধরে বলল,
ও মাই আল্লাহহহহহ
তোমার নখগুলোর মতই ওর নখ। এতো বড় বড় আর ধারালো। এই তুমি শাকচুন্নি নয়তো?
আরাধ্যাঃমানে কি? কি বলতে চান আপনি? ওই দিন আমি আপনার ঘাড়ে আঁচড় কাটছি?
আরিয়ানঃ তুমি তো দেখি অনেক ইন্টেলিজেন্ট।
হতে ও তো পারে যে তুমি ওইদিন……..
আরাধ্যাঃ কি করে ভাবলেন,
আমাকে নিয়ে এসব বাজে কথা? 👹👹👹👹👹👹
আরিয়ানঃ এটা যদি সত্যি হয়? তাহলে কি করবে তুমি?
আরাধ্যাঃ এটা কখনো সত্যিই হবার নয়।
আরিয়ানঃ ওহ রিয়েলি?
দেখো তাহলে,
বলেই ভিডিও টা অন করে দিল।
নিজের কথা গুলো কানে আসতেই, আরিয়ানের হাত থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে ভিডিও টা দেখতে থাকলো আরাধ্যা।
সে তো একদম নির্বাক,
কি বলবে বুঝতেই পারছে না।
আরিয়ানঃ হেই বেবি,
চুপ কেন বউ সোনা? শক লাগছে? আসলে আমি নিজেও ভাবতে পারিনি,
আমার পিচ্ছি বউ টা এত্তোওওওও রোমান্টিক + হট। তাই তো বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে গেছি।
আরাধ্যাঃদেখুন স্যার,
আমি বিয়ে টা করতে চাই না। সেদিন যা করছি নেশার ঘোরে।
আরিয়ানঃ তোমাকে আমি ভালোবাসি আরাধ্যা।
সীমাহীন ভালোবাসি।
(আরাধ্যার হাত দুটো ধরে)
দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা গলতে নেই,
আমি এই লোকটার কথা গলবো না। বিয়ের পর যে আমার উপর কি অত্যাচার করবে, তা আমি হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছি।
মনে মনে বলল আরাধ্যা।
আরিয়ানঃ কি ভাবছো?
আরাধ্যাঃ আমি বিয়ে করবো না।
আরিয়ানঃ তুই চাস আর না চাস এই বিয়ে তো হবেই।
মনে রাখিস তুই শুধু আমার।
আর যদি তুই এই বিয়েতে অমত করিস তাহলে এই ভিডিও টা……(রেগে গিয়ে)
বুঝতেই পারছো ।
দেখো আমি তোমার সাথে রাগ করতে চাই না আরু,
কিন্তু তুমি যদি বাড়াবাড়ি করো,
তাহলে আমি কিন্তু খুব খারাপ হব।
গুড নাইট,
কাল কথা হবে বলে আরিয়ান চলে গেল।
.
আরাধ্যা ভাবছে কি জন্য বিয়ে করতে চায় স্যার আমাকে? ভালোবাসলে দিন রাত আমার সাথে এমন করতো না।
কিন্তু কি করবো? এখন বিয়ের জন্য না করলেও আমার বিপদ। না জানি ওই ভিডিও টা দিয়ে কি কি করবে। কি যে ভুল করেছিলাম সেদিন।
.
.
.
আরু কেন এমন করছে? সে তো আমাকে ভালোবাসতো, তাহলে কি হয়েছে ওর এখন? নাকি ওই মাহিনের জন্য এরকম করছে। যাই করুক,
এখন তো আর বিয়ের জন্য না করতে পারবে না।
আর একবার বিয়ে টা হয়ে গেলেই, সব ঠিক হয়ে যাবে।
উফফফ ১ টা বেজে গেছে
এবার একটু ঘুমাতে হবে।
ভাবছে আরিয়ান।
.
সকালে সবাই নাস্তার টেবিলে নাস্তা করছিল।
আর ১৪ দিন আছে,
সব ব্যবস্থা করতে হবে তো।
কারো কোনো প্রব্লেম নেই তো আর?
বলল আরিয়ান।
রিধিঃ আমি তো একদম রেডি। আমি কিন্তু অনেক শপিং করবো ভাইয়া।
আমি মনে হয় যে করবো না। রিধির উদ্দেশ্যে বলল রেশমি।
রিধিঃ তুই উদয় ভাইয়াকে
বল,
রেশমীঃ হুম উদয় তো অস্ট্রেলিয়া গেছে একটা কাজে।
রিধিঃ মানে?
উদয় ভাইয়া বিয়েতে থাকবে না?
আরিয়ানঃথাকবে না মানে আলবাত থাকবে।
আমি উদয়ের সাথে কথা বলেছি ও ৫ দিনের মধ্যেই দেশে আসছে।
উদয় আমার ভাই + বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড, রাজের ভাই,
রেশমীর হাসবেন্ড। কতো গভীর সম্পর্ক ওদের ফ্যামিলির সাথে আমাদের ভাবতে পারিস? আর যা শপিং করবে সবাই আমার টাকা দিয়ে হবে।
রেশমীঃ হুম ভাইয়া।
রিধিঃ উফফফ কি যে মজা হবে বিয়েতে,
আমার তো নাচতে ইচ্ছে করছে।
আরিয়ানঃ হুম নেচে নে ভালো করে,
আমার বিয়ের পরই তোকে এ বাসা থেকে বিদায় করবো। ছেলে ঠিক করে রেখেছি,
খুব ভালো। দেখতে শুনতে,
পড়াশোনা সব দিকে বেস্ট।
রিধিঃ মানে? কিন্তু আমাকে তো কেউ কিছু বলেনি।
(মন খারাপ করে)
আরিয়ানঃ তোকে জিজ্ঞেস করে তোর বিয়ে দিব নাকি?
রিধিঃ কিন্তু আপুর সময় তো।
রেশমীঃ ছাড় না ওসব,
আমাদের ভাবী তো দেখি একদম চুপ হয়ে আছে?
কি ভাবী? এখন থেকে ভাইয়াকে নিয়ে ভাবতে শুরু করছেন নাকি?
থাক মেয়েটা কে আর লজ্জা দিস না। বললেন ফাতেমা বেগম।
.
৭ দিন পর….
শপিং করতে বেরিয়েছে,
আরাধ্যা, রিধি, রেশমি,
বড় মলে ঢুকেছে সবাই,
রাজ রিধির সাথে,উদয় এসেছে দুদিন আগে।
সে আর রেশমি এক সাথে ড্রেস দেখছে।
কিছুক্ষণ পর আরিয়ানও আসবে,অফিসের জরুরী মিটিং আছে বলে একসাথে আসতে পারেনি।
আরাধ্যার একটা লেহেঙ্গা খুব পছন্দ হয়েছে গোল্ডেন আর রেড কালারের ও লেহেঙ্গার ওড়না টা মাথায় দিয়ে আয়নায় দেখছে।
পিছন থেকে কেউ বলে উঠলো তোমাকে দারুন মানাবে এটাতে।
পিছন ফিরে আরাধ্যা চমকে গেল,
আপনি এখানে?
বলে উঠে আরাধ্যা।
চলবে……..
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here