সীমাহীন পর্ব ১৫

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১৫
আরিয়ান দেখলো দরজার সামনে মাহিন দাঁড়িয়ে।
হাতে একগুচ্ছ গোলাপ।
আরিয়ান রাগে লাল হয়ে আছে, আর ঘামছে।
আরিয়ানঃ কি চাই?
মাহিনের উদ্দেশ্যে।
মাহিনঃ আমি আরুর সাথে দেখা করতে এসেছি।
প্লিজ ওকে একটু ডেকে দিতে পারবে?
আরিয়ানঃকেন? কি দরকার ওর সাথে?
মাহিনঃ আসলে কালকে আমি ওকে কল করছিলাম,
ও রিসিভ করছিলো। আমার কথাগুলো ও শুনছিল হয়তো। তারপর কল টা কেটে দিল।
এরপর আমি এক হাজারের উপরে কল দিছি না রিসিভ করছে। আর এখন ফোন অফ।
আরিয়ানঃ আচ্ছা।
ওর হয়তো তোমার কথা ভালো লাগেনি।
মাহিনঃ ওকে একবার ডাকো। আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই প্লিজ।
আরিয়ানঃ ও আসবে না।
.
কি দরকার আমার সাথে?
পিছন থেকে বলে উঠলো আরাধ্যা।
আরাধ্যা উপরে যাও। তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে।
আরাধ্যার উদ্দেশ্যে বলল আরিয়ান।
মাহিনঃ আরু প্লিজ পাঁচ মিনিট শুধু,
একটু কথা বলবো৷
আরাধ্যা এগিয়ে গিয়ে বলল ভেতরে আসেন।
কি বলবেন বলেন।
(মাহিনের উদ্দেশ্যে)।
আরিয়ান তো রাগে জ্বলে
যাচ্ছে। যা করার করে নাও আরু বেবি,
কয়দিন পর তো তুমি শুধু আমারি। মনে মনে বলল আরিয়ান।
.
মাহিনঃ আরু তোমাকে কালকে আমি কল দিছিলাম তুমি রিসিভ করে কথা বললে না। কাল থেকে 1000+ কল দিলাম ধরলে না কেন? আমার কি কোনো ভুল হয়েছে?
আরাধ্যাঃ সরি,
আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। কে আপনি?
মাহিনঃ কালই তো সব বললাম।
আরাধ্যাঃ আবার যদি বুঝিয়ে বলতেন প্লিজ?
মাহিন কালকে থেকে আজ পর্যন্ত সব বলল আরাধ্যাকে।
আরাধ্যা এবার বুঝতে পারলো আরিয়ানের এমন করার আসোল কারণ।
আরিয়ানঃ ওর বিয়ে আলরেডি ঠিক হয়ে গেছে।
আশা করি,
এরপর তোমার আর কোনো কথা থাকতে পারে না।
মাহিনঃ মানে কি আরু?
এসব কি শুনছি আমি?
কার সাথে? কখন? আর কি ভাবে?
আরাধ্যা কিছু বলতে যাবে,
তখনই আরিয়ান বলে উঠলো,
আমার সাথে।
মাহিনঃ আমি আরুকে জিজ্ঞেস করছি। প্লিজ আরু তুমি বল আসলেই কি তোমার বিয়ে?
আরিয়ান রেগে চেচিয়ে উঠে বলল আরাধ্যা তোমাকে আমি রুমে যেতে বলছিল? এখন এখানে কেন? ওর সামনে থাকা দামি ফুলদানি টা ভেংগে ফেললো।
আরাধ্যা ভয়ে কাঁপতে লাগলো। রিধি এসে আরাধ্যাকে রুমে নিয়ে গেল৷
আরিয়ান আসা করি তোমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার আগেই তুমি চলে যাবে৷
(মাহিনের উদ্দেশ্যে)
মাহিনঃ আরিয়ান চৌধুরী আজ আমি ঠিকই চলে যাচ্ছি কিন্তু খুব জলদি আবার দেখা হবে,
আর তখন আরু আমার সাথে থাকবে।
গুড বাই।
মাহিন চলে গেল।
.
.
.
আরিয়ান নিজের রুমে বসে আছে। রাগে মাথা টা ফেটে যাচ্ছে ওর। কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না আরিয়ান৷
না এই সময় আরাধ্যার কাছে যাওয়া যাবে না,
রেগে কি করে ফেলে নিজেও বুঝতে পারবে না।
ভাবলো আরিয়ান।
.
.
.
আজ তো দেখলি ভাইয়া তোকে কতো টা ভালোবাসে আরু।
আরাধ্যার উদ্দেশ্যে বলল রিধি।
আরাধ্যাঃ জানি না।
কিন্তু ভালোবাসলে কেউ কারো সাথে এমন করতে পারে না। খুব বেশি অত্যাচার করে আমার উপর তা তো দেখিস নি।
রিধিঃ ওকে,
তুই যা বোঝার বুঝ। কিন্তু বাসা থেকে চলে যাবি না প্লিজ। সন্ধ্যা হয়ে গেছে এমনিতেই।
রিধি চলে গেল।
.
.
স্যার আমাকে ভালোবাসলে সেদিন রাতে কোথায় ছিল৷ অর্জুন স্যারদের বাসায়?
অসম্ভব,
এটা তো সম্পুর্ণ মিথ্যা কথা। তা আমি বুঝতে পেরেছি।
আর সত্যি হলেও স্যার কে বিয়ে করা মানে, নিজের যমকে ডেকে আনা। যে আমার উপর এখন এতো অত্যাচার করে, না জানি বিয়ের পর কি করবে।
.
দরজায় কেউ নক করলো।
আসবো আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে বলল আরিয়ান।
আরাধ্যা তখন মাত্র গোসল করে বেরিয়ে এলো। সারাদিন যা দকল গেছে তাই গোসল করে নিল আরাধ্যা। যাতে একটু শান্তিতে ঘুমানো যায়। সবাই শুয়ে পড়েছে।
জেগে আছে শুধু আরাধ্যা আর আরিয়ান৷ আরাধ্যা চুল থেকে টুপ টুপ করে পানি পরছে। কালো শট কামিজ আর পালাজ্জো পরেছে আরাধ্যা। অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে। আরিয়ান তাকিয়ে আছে আরাধ্যার দিকে।
আসেন ভয়ে ভয়ে বলল আরাধ্যা।
আরুর কথায় ঘোর কাটে আরিয়ানের।
আরিয়ান রুমে ডুকে দরজা টা লক করে দিল।
আরাধ্যার তো এবার ভয়ে কলিজায় পানি চলে এসেছে। দ দর দরজা কেন লক করলেন স্যার? বলল আরাধ্যা।
চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here