সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ৮
অচেনা নাম্বার টা কার?
ভাবতে থাকে আরু।
আকাশ নয় তো?
রিসিভ করার আগেই ফোন টা কেটে যায়।
দ্বিতীয় বার রিং হতেই কল রিসিভ করে আরাধ্যা।
কিরে? কি হয়েছে? কল ধরছিস না কেন? আমি মিতু। এটা আমার নিউ নাম্বার।ফোনের ওপাশ থেকে এক ঢোকে কথা গুলো বলে মিতু।
ও আমি তো ভাবছিলাম কে না কে। বলল আরাধ্যা।
.
.
.
কলিংবেলের শব্দ শুনে,
দরজা খুলে দেয় রিধি।
দেখে দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে আছে রাজ।
আর এক মিনিট না দাঁড়িয়ে নিজের রুমে চলে আসে রিধি। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। খুব অভিমান করে আছে রিধিতা আজ। একদম কথা বলবে না রাজের সাথে।
.
আরে রাজ নাকি?
ভেতরে আসো।
রাজের উদ্দেশ্যে কথা টা বলেন ফাতেমা বেগম।
সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকে রাজ।
ফাতেমা বেগমঃআরিয়ানাকে ডেকে দিব নাকি?
রাজঃ না তার দরকার নেই। আমিই যাচ্ছি ওর রুমে।
.
রাজ আর রিধির ভালোবাসার কথা বাসায় সবাই জানে। কিন্তু তা রিধি কে বুঝতে দিতে বারণ করেছে আরিয়ান।
রিধি জানে যে শুধু রেশমী আর আরাধ্যা জানে ওদের কথা।
.
আসবো?
আরে রাজ নাকি? আমার রুমে আসতে তোর আবার অনুমতি লাগে নাকি শালা।
বলল আরিয়ান।
রাজঃ কে শালা? আমি নাকি তুই? তোর বোন মনে হয় রাগ করছে। কি যে করি? এতোওওও বার কল দিলাম রিসিভই করে না।
আরিয়ানঃ আমার বোন রাগ করছে,
কি ভাবে রাগ ভাংগাবি তাও আমাকে বলে দিতে হবে? বোন দিছি যে হয় নি?
রাজঃ আরেহ তা নয়।
আরিয়ানঃ তাহলে আর কি?
যা রিধির সাথে কথা বলে আয়।
রাজঃ হুম, যাচ্ছি।
.
.
.
তখন যে কথা টা জোরেই বলে ফেললাম। স্যার শুনেনি তো।
আমার যে কি হয় মাঝে মাঝে। আসোলে স্যার কে কি আমার ভালো লাগে?
আমি কি স্যার ভালোবাসি…..?
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকে আরু।
.
সেদিন শাড়ি পরেছিল আরাধ্যা। কালো শাড়ি,
সাথে লাল লিপ্পি, লাল কাচের চুড়ি।
বাসায় কেউ নেই। কাকে জিজ্ঞেস করবো আমাকে কেমন লাগছে? মনে মনে বলল আরাধ্যা। আরিয়ান ভাইয়া তো আছেই।
ওনাকেই জিজ্ঞেস করি।
আরুঃ আমাকে কেমন লাগছে?
আরাধ্যার কথায় পিছনে ফিরে আরিয়ান। শাড়ি, চুড়ি, খোলা চুল।
উফফফফফ মেয়ে টা কি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না।
আরুঃ চুপ কেন?
আরাধ্যার কথায় ঘোর কাটে আরিয়ানের।
আরিয়ানঃ তোমাকে শেওড়া গাছের পেত্নীর মতো লাগছে।
আরাধ্যাঃ কিইইইইহহহহহ😡😡😡😡😡😡😡
এইতো দৌড়ানি দেয় আরিয়ানাকে। দৌড়াতে দৌড়াতে পা পসকে পড়ে যায় আরিয়ান আরাধ্যার উপর।
চলবে…….
(সরি। খুব প্রব্লেমে আছি তাই গল্প দিতে লেট হতে পারে। প্লিজ কিছু মনে করবেন না কেউ।)