সুখপাখি পর্ব ৫

সুখপাখি

৫.
মুখের উপর কারো গরম নিঃশ্বাস পড়তেই নিভু নিভু চোখ মেলে তাকালো শিমু। তার উপর ঝুকে থাকা মানুষটাকে দেখে প্রথমেই একটা ধাক্কার মতো খেলো। প্রথমে মাথায় যা এলো, “আবির তাকে মাহিনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।” মাহিন শিমুর উপর ঝুকে বিছরি ভাবে হাসছে। যা দেখে শিমুর ঘিন ঘিন লাগছে। হাত উঠিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চাইলে হাতের পিঠে চিনচিন করে উঠে। মাহিন বললো,
— “প্রথম ডোজেই একেবারে হসপিটালে চলে এলি।”

মাহিন হাসতে হাসতে শিমুর কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
— “তুই জানিস তোর আবির একটা সাইকো? সাইকো না। আসলে বেচারার ছোটবেলায় মা চলে যাওয়ার ধাক্কাটা এখনো সামলাতে পারেনি।”

শিমুর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
— “শুন কাল আবির তোর সাথে এতো জঘন্য কাজ কিভাবে করেছে। আসলে আমিই ওকে উসকে দিয়েছিলাম। হা হা হা। বলেছিলাম না, আমাকে থাপ্পড় মারার শাস্তি তুই পাবি। তোকে আমি ভালো থাকতে দিবো না কখনো মনে রাখিস।”

মাহিন শিমুর উপর থেকে সরে যায়। শিমু আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সে একটা স্পেশাল কেবিনে রয়েছে। হাতে ক্যানেলা ফিট করা। তাই তখন হাত উপরে তুলায় চিনচিন করে উঠেছে। মাহিন আবার বললো,
— “তুই এমন কি যাদু করলি আবিরকে যার কারণে সে এতো ডেসপারেট হয়ে গেছিলো তোর প্রতি? জানিস এই আবির চৌধুরি বারে বসেও কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতো না। কত হট আইটেম রিজেক্ট করেছে। কত সুন্দরি মেয়েকে অপমান করেছে। সেই আবির চৌধুরি কিনা তোর মাঝেই আটকে গেছে? অদ্ভুত!”

শিমুর পাশে বেডে বসলো। বললো,
— “তুই হয়তো বুঝতে পারছিস না আবির হুটহাট কেনো এভাবে হিংস্র হয়ে উঠে রাইট?”

শিমু মাহিনের দিকে তাকিয়ে আছে। মাহিন বললো,
— “এটা হচ্ছে সিক্রেট। দুনিয়ার এমন কোনো ড্রাগ নেই যেটা তোর আবিরের শরীরে প্রবেশ করেনি। এমন কোনো ড্রিংকস বাদ পড়েনি যেটা আবিরের পেটে যায়নি। সেখানের একটা খাতারনাক ড্রাগ ওকে দিয়েছি। যেটার ইফেক্ট হয় ড্রাগস নেয়ার দুই ঘন্টা পরে। তাই আবির হুটহাট এমন হিংস্র হয়ে উঠে।”

মাহিন হাসছে। শিমুর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। একটা মানুষ এতো খারাপ হয় কি করে? মাহিন বললো,
— “আবির তোর প্রতি এতো ডেসপারেট যে, আমাকেই তার বাসায় যেতে নিষেধ করে দিয়েছিলো। কোনো বন্ধুকেই তোর ছবি দেখাতে চায়নি। তাই আমিও তার কান ভরে দিয়েছি। বলেছি, তুই ওকে টাকার জন্য বিয়ে করেছিস। সম্পত্তি তোর নামে আসলেই তুই বেঈমানী করবি। ব্যাস এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো। হা হা হা। আবির “বেঈমানী” শব্দটা শুনলে নিজের মধ্যে থাকে না।”

মাহিন হেসে বললো,
— “কেমন দিলাম? তোর রক্ষককেই তোর ভক্ষক বানিয়ে দিলাম।”

মাহিন শিমুর উপর ঝুকে শিমুর চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়। শিমুর শরীরে হাত দিবে তার আগেই খট করে দরজা খুলে যায়। দ্রুত সরে যায় মাহিন। সেদিনের লেডি ডাক্তার এসেছে কেবিনে। শিমুর জ্ঞান ফিরতে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
— “এখন কেমন লাগছে?”

শিমু ইশারায় বুঝালো কিছুটা ভালো। ডাক্তার আরেকটু দেখে নিলো। বেরিয়ে আসার সময় মাহিনকে বললো,
— “পেসেন্টকে রেস্ট নিতে দিন। আপনি বাহিরে বসুন।”

মাহিন একনজর শিমুর দিকে তাকিয়ে গটগট করে চলে যায়।

—————————————-
একটা চেয়ারে বসে আছে আবির। চুলগুলো উসকোখুসকো। চেহারার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। সে এখনো ঘোরের মধ্যে আছে। কিভাবে এমন একটা কাজ করে ফেললো এটা এখনো মাথায় আসছে না। ডাক্তার এসে তার নির্দিষ্ট জায়গায় বসলো। আবিরকে বললো,
— “আপনার ওয়াইফের জ্ঞান ফিরেছে। আগের থেকে কিছুটা ভালো আছে।”

আবির মুখ তুলে তাকালো ডাক্তারের দিকে। ডাক্তার বললো,
— “আপনাকে আমি সেদিনই বলে এসেছি উনাকে সময় দিন। আপনার পার্টনার হিসেবে উনি দুর্বল। উনি এখনো আঠারো বছরও পার করেনি। উনি শারীরিক এবং মানসিক দুইভাবেই দুর্বল। কিন্তু আপনি তাকে যথেষ্ট টর্চার করে চলেছেন। দেখুন মি. চৌধুরি এরকম হলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আবারো বলছি বি কেয়ারফুল।”

আবির মেঝের দিকে তাকিয়ে শুধু মাথা নাড়লো। ডাক্তারের কেবিন থেকে বেরিয়ে এলে দেখলো তার বন্ধু আরফান দাঁড়িয়ে আছে। আবির তার দিকে এগিয়ে গেলো। আরফান বললো,
— “এখন কেমন আছে ভাবি?”

আবির মিনমিনে স্বরে বললো,
— “মাচ বেটার।”

— “কেন করলি এমন? তুই জানিস কাল কি হয়েছিলো? কেনো ভাবি ওই ফাউলটাকে থাপ্পড় মেরেছে? কারণ তোর অগোচরে সে ভাবিকে বাজে ভাবে স্পর্শ করতে চেয়েছিলো তাই। আমার তো মনে হয়নি ভুল করেছে। ওর সাথে তোকেও একটা মারার দরকার ছিলো।”

আবির অবাক চোখে আরফানের দিকে তাকালো। সে ভাবতেই পারেনি এমন কিছু হয়েছে কাল। আরফান বললো,
— “খুব তো হ্যাপিই ছিলি তাহলে কেনো কষ্ট দেস মেয়েটাকে? প্রথমদিন তোর ঠোঁটে যেই প্রশান্তির হাসি আমি দেখেছি সেটা এর আগে কখনোই দেখিনি। একটা মূল্যবান উপহার পেলে মানুষ যতটা খুশি হয় তুই সেদিন এর থেকেও বেশি খুশি ছিলি। ভুল বুঝাবুঝি হলে দুইজনে মিটমাট করে নে। বাহিরের মানুষকে দুইজনের মাঝে আসতে দিস না।”

আরফান আবিরের কাধে চাপড় মেরে ওকে আশ্বস্ত করে আসে। আবির কেবিনের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। শিমু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আবির চেয়ার টেনে পাশে বসে। শিমু চোখ মেলে আবিরের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে নেয়। আবির অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বসে আছে।

—————————————-
হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করে দিয়েছে শিমুকে। শিমুকে গাড়িতে বসিয়ে আবির ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়। শিমু মনে মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়। শিমুকে কেবিন থেকে বের করার আগে মাহিন এসে শিমুকে বললো,
— “আবিরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দিবো না আর তোকে কোনোদিন শান্তিতে থাকতে দিবো না মনে রাখিস।”

শিমু ভেবে পায়না মাহিনের কিসের এতো ক্ষোভ আবির এবং তার উপর। তাই সে ঠিক করেছে, আবিরকে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবে। মাহিনের থেকে দূরে রাখবে আবিরকে। মাহিনই আবিরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তবে এর আগে আবিরকে একটু শাস্তি দিবে।

শিমুকে কোলে করে এনে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছে। আবির ওয়াশরুমে গিয়ে লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে আসে। চুল থেকে পানি গড়িয়ে পরছে। আবির রান্নাঘরে গিয়ে স্যুপ রান্না করে এনে শিমুর সামনে বসে। শিমুকে ডাক দেয়। শিমু চোখ মেলে তাকালে ওকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস করিয়ে আনে। কাপড় বদলে দেয়। স্যুপ খাইয়ে দিয়ে শুইয়ে দেয় শিমুকে। শিমু একেবারেই চুপ করে ছিলো। কোনো কথা বলেনি।

—————————————-
তিনদিন ধরে টানা সেবা করে সুস্থ করে তুলেছে শিমুকে। এখন একেবারে সুস্থ শিমু। তবে এই তিনদিনে সে প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলেনি আবিরের সাথে। আজ সকালে নাস্তা খাওয়ানো শেষে শিমু আবিরকে বললো,
— “আবার মারধর করার জন্য এতো সুস্থ করে তুলছেন আমাকে?”

আবির কিছু বলতে পারলো না। শুধু তাকিয়ে ছিলো শিমুর দিকে। কিছু না বলেই সেখান থেকে সরে গেলো। বিকেলে আবির ঘরে এলে শিমু আবিরের কাছে এসে বললো,
— “আমি কিছু বলতে চাই।”

আবিরের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। আবির ভাবছে শিমু হয়তো তাকে ছেড়ে চলে যেতে চায় সে কথা বলবে। আবির অন্যদিকে তাকিয়ে বললো,
— “কি বলবে?”

— “আমি কাল থেকে কলেজে যেতে চাই। আমি পড়ালেখা করতে চাই।”

আবির কিছুক্ষণ শিমুর দিকে তাকিয়ে থেকে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। শিমু হতাশ হয়ে জানালার কাছে এসে দাঁড়ায়। মনে মনে ভাবছে,
— “উনি কি আমাকে কলেজে যেতে দিবে না? আমি আরো পড়তে চাই। মাত্রই তো স্কুল থেকে পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছি।”

শিমুর খারাপ লাগতে শুরু করলো। চোখে পানি চিকচিক করছে৷ তাড়াতাড়ি করে অজু করে এসে আবার জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো। শিমুর মন খারাপ হলে অজু করে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। মন খারাপের সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা রাসূলের একটি সুন্নাহ।

দুইদিন পর আবির শিমুর একটা ড্রেস এবং সেলোয়ার ব্যাগে করে নিয়ে যায়। শিমু শুধু আবিরের কান্ড দেখলো। বিকেলের দিকে আবিরের সেই বন্ধুগুলো আবার আসলো। এসে বারে বসে হাই ভলিউমে গান ছেড়ে দেয়। আবির রুমে এসে দেখলো শিমু নিজেকে পরিপাটি করে তুলছে। আবিরের দিকে তাকিয়ে বললো,
— “আমি রেডি। চলুন।”

আবির কিছু বুঝলো না। তাকিয়ে আছে শিমুর দিকে। আবিরের চাহনি দেখে শিমু বললো,
— “নিজ থেকে না গেলে তো আপনি জোর করে নিয়ে যাবেন। পরে আবার মারধর করবেন। নির্যাতন করবেন। আমাকে আবার হসপিটালে পাঠাবেন। তাই আজ নিজ থেকে তৈরি হয়ে নিয়েছি। এখন থেকে আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো। আমিতো আপনার সম্পত্তি তাই না। আর এতো এতো মার খেতে আমি আর পারছি না। কষ্ট হয় খুব। চলুন।”

শিমু আগে আগে নেমে গেলো। আবিরের চোখে পানি চলে এসেছে। সে এসেছিলো শিমুকে এটা বলতে, “আজ যেনো রুম থেকে বের না হয়।” কিন্তু শিমু তাকে ভুল বুঝলো। আবির মনে মনে ভাবছে,
— “আমি আসলেই খারাপ একটা স্বামী। ওকে সবার সামনে নিয়ে গিয়ে হ্যারেস করার সুযোগ আমি নিজেই করে দিচ্ছি।”

—————————————-
সেদিনের ছেলেটা আজকেও শিমুকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছে। আবির শিমুর দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে শিমুর মধ্যে কোনো হেলদোল নেই। আবির রাগের বশে একের পর এক পেগ গিলেই যাচ্ছে। সবার সামনে আবিরের সেই বন্ধু শিমুর হাত ধরে টান দেয়। আবিরের মাথা গরম হয়ে যায়। শিমু বারবার ছাড়াতে চাইছে কিন্তু পারছে না। আবির মিউজিক বক্সে লাথি মারলে গান অফ হয়ে যায়। শিমুকে টেনে নিজের পেছনে নিয়ে গিয়ে ওর বন্ধুর নাকে ঘুষি মারে। শিমু ভয় পেয়ে যায়। আবিরের বন্ধু বললো,
— “শালা আমাকে মারলি ক্যান?”

— “শিমুর দিকে হাত বাড়িয়েছিস কোন সাহসে?”

— “আমি হাত বাড়াইনি। তুই নিজেই এনে দিয়েছিস এখন আমাকে মারছিস।”

শিমুর দিকে তাকিয়ে বললো,
— “হটি তুমি কি জানো ওর একসাথে দশ বারোটা গার্লফ্রেন্ড আছে। শুধু তাই নয় অনেক মেয়ের সাথে রাত কাটিয়েছে।”

আবির কলার ধরে বললো,
— “মিথ্যে বলছিস কেনো?”

— “মিথ্যে কই? সত্যিই তো বলছি।”

শিমু আবিরের দিকে ঘৃণা ভরা চোখে তাকিয়ে দৌড়ে রুমে চলে আসে। আবির সেদিকে তাকিয়ে থাকে। বন্ধুরা সবাই চলে যায়। আবির বারের সব জিনিস ভেঙে ফেলে। রুমে এসে দেখলো শিমু রুমে নেই। আবির ভয়ে পেয়ে যায়। সে ভাবছে, “শিমু আমাকে ছেড়ে চলে যায়নি তো?” হন্তদন্ত হয়ে বাহিরের দিকে যাবে তার আগেই শিমু ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে। আবির দাঁড়িয়ে যায়। শিমুর দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শিমুর হাতে দাগ দেখে রেগে যায়। শিমুর কাছে এসে দুই বাহু ধরে বললো,
— “কেনো গেছিলে সেখানে?”

শিমু নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,
— “আমি যেতে চাইনি। আপনিই আমাকে বাধ্য করেন সেখানে যেতে। আমিতো কোনো পরপুরুষের সামনেই যেতে চাই না। আপনিই বাধ্য করেন।”

শিমুকে ছেড়ে দিয়ে রুমের মধ্যেই পায়চারি করে আবির। কিছু একটা ভাবছে। শিমু বললো,
— “আমিতো চাইনা তারা বাসায় আসুক। আপনিই তাদের বাসায় নিয়ে আসেন। ফূর্তি করার জন্য। টাইম স্পেন্ড করার জন্য।”

আবির এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। শিমুর দিকে তাকিয়ে রাগি রাগি স্বরে বললো,
— “আর কাউকে আনবো না বাসায়। শিক্ষা হয়েছে আমার। আমার জিনিসেই হাত বাড়ালো। আর না। আর কাউকে আনবো না।”

শিমুকে টেনে নিয়ে যায় ওয়াশরুমে। শিমুর হাতটা বেসিনের পানির নিচে ধরে রেখেছে। তাতেও আবিরের ভালো লাগছে না। দুইজনে একসাথে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে যায়। অনেকক্ষণ এভাবে ভিজার পর আবির বললো,
— “তোমাকে ধুয়ে দিয়েছি। ওই হারামির স্পর্শ আর নেই।”

আবির আগে আগে বের হয়ে যায়। শিমু বের হয়ে দেখলো আবির কোথাও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবির শিমুর দিকে একবার তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বের হয়ে যায়।

অনেক রাত হয়েছে এখনো আবির আসেনি। শিমু ড্রয়িং রুমে বসেই অপেক্ষা করছে। এরমধ্যেই কলিংবেল বেজে উঠে। শিমু তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দেখলো অপরিচিত একটা ছেলে। শিমু ভয় পেয়ে যায়। অপরিচিত ছেলেটি বললো,
— “ভাবি ভয় পাবেন না। আমি আবিরের বন্ধু শাকিল। আবির এক্সিডেন্ট করেছে এটাই বলতে এসেছি।”

শাকিল আর না দাঁড়িয়ে ছুটে চলে গেলো। শিমুর মাথায় যেনো বাজ পরলো এই কথা শুনে। দরজার সামনেই বসে পরলো। বারবার আবিরের বেরিয়ে যাওয়ার সময় দেয়া হাসিটা চোখের সামনে ভাসছে। শিমু মনে মনে বললো,
— “এটা কি আমার দেখা শেষ হাসি ছিলো?”

চলবে,,,
® নাহার।

(আবিরকে মেরে দেই? শিমুর উচিত আবিরকে ছেড়ে যাওয়া? নাকি আরেকবার সুযোগ দিয়ে ওকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা? ছেড়েই যাওয়াই কি সমাধান? আবিরের পাশে থেকে নিজের জন্য যোগ্য করে তুলবে নাকি আবিরকে ছেড়ে দিয়ে শিমুর উচিত যোগ্য কারো কাছে চলে যাওয়া?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here