#হঠাৎ_ভালোবেসে_ফেলেছি💕
The_Unexpected_Love
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
Part-15
রাত ৯ টা।চারিদিকে ঘন কুয়াশা। আবছা প্রকৃতি। শীতের কালে রাত ৯ টাই অনেক।কিন্তু ঢাকা শহরে তা বুঝা বড়ো দায়।এই কুয়াশার মাঝেও নীলাভের আজ হঠাৎ করেই ইচ্ছে হলো একটু বাইরে বের হতে। ঘুরতে।
তাই বাইক দিয়ে ঘুরছিলো শীতের রাতের ঢাকা শহর।নীলাভ যে রাস্তা দিয়ে বাইক চালাচ্ছে সেই রাস্তাটা অনেক সুন্দর। চারিপাশে গাছ মাঝখান দিয়ে রাস্তা।একপাশে পুকুর।আরেক পাশে ঝোপঝাড়।।কুয়াশায় রাস্তা টা ভিজা ভিজা লাগছে।পুকুরের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে পানি থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
এতো সুন্দর জায়গা দেখে নীলাভ আর বাইকে বসে থাকতে পারলো না।নেমে পড়লো।পায়ে হেটে ও আজ কনকনে শীতের পরিবেশ দেখতে চায়।।কিছুদূর বাইকটাকে রেখেই সে হাটতে হাটতে প্রকৃতির সেই ষড়ঋতু নিয়ে ভাবছিলো।
কালো জ্যাকেট পরনে কালো পেন্ট চুলগুলো স্পাইক করে জ্যাকেটের পকেটে দু হাত গুজে দিয়ে নীলাভ হেটে চলেছে।মাঝে মাঝে সামনে ইটের টুকরো আসলে সেগুলো লাথি দিয়ে সরাচ্ছে।রাস্তাটা একটু নিরিবিলি। বলতে গেলে এখন পুরো রাস্তায় শুধু ও একা আর কেউ নেই।নিজেকে কেমন রাজা রাজা ফিল হচ্ছে।হাটতে হাটতেই নীলাভের চোখ এক জায়গায় আটকে গেলো।সে নিজের চোখটাকে ভালো করে কচলালো একবার।এবার সেইদিকেই আবার বড় বড় চোখ করে তাকালো।নাহ…সে ঠিক ই দেখছে।দেড় মাসে এই মেয়েকে সে প্রায় ভুলতে বসেছিলো।কিন্তু আজ আবার এসে নীলাভকে মনে করিয়ে দিলো তার সেই ঝামেলাময় অতীত।
,
,
শীতের রাত একটু বাইরে না বেরোলে হয় না কি?ঠান্ডা ঠান্ডা প্রকৃতি উফফ…দারুন লাগছে।
নিজের সাথে একা একাই বকবক করে প্রীতি তিরিং বিরিং ভাবে হাটে চলেছে।পরনে লেডিস পিং জ্যাকেট আর জিন্স। চুল গুলো উচু করে বাধা তার উপরে মাথায় জ্যাকেটের টুপি দিয়েছে। পায়ে সাদা সু।ব্যস…এতেই ওকে কিউটের পুরো ডিব্বা লাগছে।
,
প্রীতি হাটতে হাটতে হঠাৎ কারোর বুকের সাথে দুম করে বারি খেলো।কপাল টাকে হাত দিয়ে ঘসে উপরের দিকে তাকাতেই ও চমকে উঠলো।আঙ্গুল উচিয়ে হালকা জোরে আওয়াজে বলল,
-আপনি?
নীলাভ ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,
-হ্যা আমি।তো কি হইছে?
প্রীতি থতমত খেয়ে একদমে বলল,
-আপনি এখানে কেনো?
নীলাভ এবার প্রীতির দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে উঠে,
-আমি এখানে কেনো মানে?আমার মন চাইছে তাই আমি এখানে। তুমি এখানে কেনো?
প্রীতি দাতে দাত চেপে বলল,
-আমি এখানে কেনো তাই না?আমার বাসার কাছে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করছেন আমি এখানে কেনো?
নীলাভ চোখটাক ঘুরিয়ে একবার আশেপাশে দেখে নিলো।আসলেই তো….সে ঘুরতে ঘুরতে কখন মিরপুর এসে পড়েছে খেয়াল ই নেই।এটা তার স্বভাব।সে মাঝে মাঝে এভাবে বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়ে রাতের ঢাকা শহর দেখতে কই ঘুরে সেদিকে তার খেয়াল নেই।ঘুরলেই হলো।
প্রীতি নীলাভের সামনে তুরি বাজালে নীলাভ নিজের ভাবনা থেকে ফিরলো।কীভাবে কথা কাটাবে এটাই ভেবে যাচ্ছে সে এখন ।অনেক ঝল্পনা কল্পনার পরে কিছুক্ষণ তুতলিয়ে এবার নীলাভ ঝটপট উত্তর দিলো,
-হ্যা আমি আসলে….. আমার এখানে কাজ ছিলো তাই এসেছি।তোমার বাসায় সামনে কোন দুঃখে আসতে যাবো আমি ?আর তার চেয়েও বড় কথা তোমার বাসা আমি চিনি না কি?
প্রীতি -তাহলে এখানে কেনো আসছেন?মানে আমাকে জ্বালাতে আবার এসে পড়ছেন?একটু শান্তি দিবেন না?
নীলাভ ধমকে বলে উঠলো,
-এই মেয়ে চুপ।আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাবো।রাস্তা কি তোমার জামাইয়ের? নিজে রাস্তা বানাইছো।সরকারি রাস্তা এটা।সব জনগণের অধিকার আছে।বেশি কথা বলবা না।
প্রীতিও আঙ্গুল তুলে শাসানো গলায় বলে,
-ওই মিয়া।ধমকান কেন এইভাবে হ্যা?নিজেকে কি রাজা মনে হয়।আর আমি সেই রাজ্যের কি মেথরের বউ যে আমার উপর নিজের রাগ দেখান?
নীলাভ আয়েশ করে বলল,
-হমম তাই তো মনে হয় দেখো না পুরো রাস্তা ফাকা, শুধু আমি একা।পুরোই নিজেকে রাজা রাজা ফিল হচ্ছিলো।কিন্তু তুমি এসে সব বিগড়ায় দিলা।ঝামেলা একটা।
প্রীতি মুখ তেরি করে একটু হেসে বলল,
-হ্যা, আপনি তো রাস্তার রাজা।না না না..ঠিক ই আছে আপনার সাথে এটাই যায়।দ্যা গ্রেট রাস্তার রাজা😁কতজন আর এই এতো বড় পদবি টা পেতে পারে বলুন।সে হিসেবে আপনি তো বহুত লাকি।
নীলাভ প্রীতির দিকে তেড়ে গিয়ে বলল,
-ইউ……..
প্রীতিও দাত কেলিয়ে বলল,
-আই প্রীতি…..
নীলাভ বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে নিয়ে বলল,
-ধ্যাত,কত ভালো একটা মুড নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে ঘুরতাছিলাম।পুরো মুডটাই নষ্ট করে দিলা।
প্রীতি -সেম টু ইউ😒
নীলাভ -এই তুমি যাও তো যাও…তোমার বাসা না কি এখানে?চলে যাও।আর আমাকে একটু শান্তি মতো ঘুরতে দেও।
প্রীতি চোখ ঘুরিয়ে বলল,
-আমার বাসা এখানে আপনি জানেন?আমার বাসা আরো দূরে।হেটে যেতে মিনিমাম ৩০ মিনিট লাগবো।
নীলাভ যেনো আকাশ থেকে পড়লো।এই মেয়ে কি চিজ?এতোক্ষণ থেকে ঝগড়া করছে যে, আমি তার বাসার সামনে কেনো আসছি? আর এখন সে বলে তার বাসা না কি এখান থেকে আরো ৩০ মিনিট পথের দূরে।
নীলাভ মাথায় হাত দিয়ে বলল,
-তুমি মেয়ে না কি আরো কিছু।এই দেড় মাসে যা কথা বলি নাই তোমার সাথে দেখা হয়ে এই ১০ মিনিটেই আমি সেটা পূর্ণ করে ফেলছি। আমি কি বলবো তোমাকে আর।উফফ…আমার মাথা ঘুরাচ্ছে।তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাবো।
প্রীতি দাত কেলিয়ে নীলাভের দিকে হাত টা বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-কংগ্রাচুলেশন😁
নীলাভ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,
-মানে?
প্রীতি -মানে আপনি বাবা হতে চলেছেন।আপনার পেটে আপনার সন্তান আসতে চলেছে😂।
নীলাভ প্রীতির কথায় হা হয়ে গেলো।ও কি বলবে এবার বুঝতে পারছে না।ও একবার প্রীতির দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার নিজের পেটের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে।এবার ও প্রীতির দিকে তাকিয়ে রেগে বলল,
-আর ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড?পাগল তুমি?ডাক্তার কেনো দেখাও না তুমি হ্যা?যত্তসব… পাগল ছাগল।
প্রীতি চোখ বড় বড় করে বলল,
-আপনি আবার এসব ফালতু কথা বলছেন?এই দেড় মাসেও এগুলা ভুলেন নি?
নীলাভ চোখ উল্টে বলল,
-তুমি কি এমন মহারানী হয়ে আসছো, যে তোমাকে মনে রাখার লাগবে?আমি তো তোমাকে টোটালি ভুলে গেছিলাম তুমি তো আজ আমার সামনে পড়ে মনে করায় দিলা,যে তুমি আসলেই একটা পাগল।দেড় মাসেও একটু ও চেঞ্জ হও নাই।
প্রীতি -এতো চেঞ্জ হইতে পারবো না।আপনি নিজে চেঞ্জ হন।
নীলাভ -তুমি…..তুমি একটা নিমোখারাম, প্রতারক,স্বার্থপর।
প্রীতি চোখ বড় বড় করে চিল্লিয়ে বলল,
-হোয়াট? কি বললেন আপনি?
নীলাভ-যা বলছি ভালো বলছি।আমি তোমাকে এতোটা সেফটি নিয়ে ঘুরায় নিয়ে আসলাম বান্দরবান দিয়ে।আর তুমি আমার সাথে ঝগড়াই করে যাচ্ছো সেই প্রথম দিন থেকে।
প্রীতি এবার একটু নিভলো।তাও ভাব দেখিয়ে এক ভ্রু উচু করে বলল,
-তো?এটা আপনার দায়িত্ব ছিলো। একা একটা মেয়ে দেখছেন আর আপনি হেল্প করবেন না?
নীলাভ কিছু না বলে শুধু একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।এ মেয়েকে তার আর কিছু বলার নাই।সে উল্টো ঘুরে চলে যেতে লাগলো।
কিছুদূর যেতে না যেতেই প্রীতি ডেকে উঠলো। নীলাভ পিছনে ফিরে তাকালো।ও অনেকটা পথ এগিয়ে এসে গেছে।
প্রীতি দৌড়ে নীলাভের কাছে আসলো।
নীলাভ ভ্রু কুচকে প্রীতির দিকে তাকালো।প্রীতি নীলাভের এমন চাহনি দেখে আঙ্গুল দিয়ে সামনে দেখিয়ে দিলো।প্রীতির আঙ্গুল অনুসরন করে সামনে তাকাতেই নীলাভ হা হয়ে গেলো।
ওর এ মুহুর্তে অনেক হাসি বের হচ্ছে। কিন্তু ও হাসবে না।অনেক কষ্টে হাসি আটকে রেখে গম্ভীর মুখে বলল,
-কি হইছে হ্যা?গমগম ফুস….
প্রীতি ঠোঁট উল্টে বলল,
-কুকুর…আমি কুকুর ভয় পাই।তার উপর রাত আরো অন্ধকার। প্লিজ আমাকে একা রেখে যাবেন না।
নীলাভ – তোমাকে খালি আমি উপকার করবো আর তুমি শধু আমার সাথে ঝগড়া করবা তাই না?একটুও থাকবো না আমি।এখনি চলে যাবো।কে বলেছিলো মাতাব্বরি করে এতো রাতে বাইরে বের হতে?
প্রীতি -আমি আগে মাঝে মাঝেই বের হতাম রাতে ঘুরতে।কিন্তু অনেকদিন থেকে আম্মু বের হতে দেয় না।আজ সুযোগ পেয়ে চুপিচুপি এসেছি।
নীলাভ -ভালো করছো এখন কুকুরের সাথে নাগিন ডান্স দেও…যাও।ও না স্যরি… কুত্তা ডান্স দেও।নাগিন তো সাপের সাথে দেয়।
নীলাভ আবার উল্টো ঘুরতেই প্রীতি নীলাভের জ্যাকেট পিছন থেকে টেনে ধরলো। নীলাভ ভ্রু কুচকে ফিরে তাকালো প্রীতির দিকে।
প্রীতি করুন দৃষ্টিতে তাকালো নীলাভের দিকে।নীলাভ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলো,
-বাইকে উঠো।
প্রীতি -কেনো?
নীলাভ দাতে দাত চেপে বলল,
-তো তোমার কি মনে হয় আমি তোমাকে নিয়ে সারারাত এখানে এভাবে খাম্বার মতো দাড়িয়ে থাকবো? মশার কামড় আর তোমার বকবক শুনবো?
প্রীতি মুখ ঘুরিয়ে বলল,
-বাসায় পৌছে দিবেন?
নীলাভ-আরে ভাই..এর জন্যই তো বলছি বাইকে উঠ।
প্রীতি নীলাভের ‘তুই’ কথা শুনে বড় বড় চোখ করে তাকালো।নীলাভ তখনি বলে উঠলো,
-তুমি কি সেকেন্ড বার আমার হাতে থাপ্পড় খেতে চাইতাছো?
এ কথা শুনে প্রীতি তরিঘরি করে বাইকে চেপে বসলো।
নীলাভও প্রীতি কে নিয়ে প্রীতির কথা অনুযায়ী ওকে বাসায় পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রৌনা দিলো।
,
,
প্রীতিকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে কোনো কথা না বলেই শা…করে নীলাভ বাইক নিয়ে চলে গেলো।প্রীতি হ্যাবলার মতো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বিরবির করে ঘরে ঢুকে পড়লো।
প্রীতি পা টিপেটিপে ঘরে ঢুকছে। এ সময়ে ডাইনিং রুমে কেউ নেই।প্রীতি নিজের রুমে গিয়ে দেখলো লাইট অফ।অন্ধকার সব।তেতে উঠে প্রীতি বলল,
-আমার রুমে লাইট কে অফ করে? অসহ্য।
এই বলে লাইট দিলো প্রীতি।খাটের উপর চোখ পড়তেই চমকে উঠলো সে। ঢোক গিলে খানিকটা তুতুলিয়ে বলল,
-মা….স্নেহা….তো তো তোমরা এ এখানে এই সসসময়ে কি করছো?
রাফিয়া আহসান গরম চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
-কেনো ডিস্টার্ব করলাম খুব তাই না?
প্রীতি -না ডিস্টার্ব কেনো হবে?
স্নেহা-কোথায় গিয়েছিলি হ্যা?
প্রীতি মিনমিনিয়ে বলল,
-একটু বাইরে গিয়েছিলাম।
রাফিয়া আহসান রেগে বলে উঠলেন,
-তোকে আমি এভাবে হুটহাট না বলে বাইরে যেতে মানা করেছিলাম প্রীতি।
প্রীতি মাথা নিচু করে বলল,
-স্যরি মা…আর হবে না।আসলে আমার ঘরে কিছুই ভালো লাগছিলো না তাই গিয়েছি।
রাফিয়া আহসান আর কিছু বললেন না।প্রীতি মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল।রাফিয়া আহসান মেয়ের দিকে এক গুচ্ছ রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলে যেতে লাগলেন।যেতে যেতে বলে উঠলেন,
-খেতে আয় তাড়াতাড়ি।আর কাল তনয় আসবে।
প্রীতিকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রাফিয়া আহসান মিলিয়ে গেলেন।প্রীতি মায়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবার স্নেহার দিকে রাগী চোখে তাকালো।
স্নেহা চোখ ঘুরিয়ে বলল,
-কি?এমনে কইরে তাকাস কেন?
প্রীতি রেগে বলে উঠলো,
-এই তনয়ের বাচ্চা কেন আসবো?
স্নেহা-তুই জানিস না কেনো আসে ও এই বাড়িতে?
প্রীতি -দেখ আমার প্রচুর রাগ উঠতাছে।ওই হ্যাবলাকান্ত রে আমি সহ্য করতে পারি না।ও যদি আসে আমি কিন্তু..আমি কিন্তু..আমি কিন্তু…
স্নেহা – কিছুই করতে পারবি না।তাই এতো বড় বড় কথা বলা অফ দে।কাল আসছে… দেখ কি হয়।
প্রীতি -স্নেহার বাচ্চা।কাল ওই তইন্যা আসার পর আমি কি করবো? ও আসার আগে আমার কিছু করার লাগবো।
স্নেহা-তুই যে তনয়কে দেখতে পারোস না তাহলে সারাজীবন থাকবি কেমনে?
প্রীতি -ওর সাথে থাকবো কেরা?
স্নেহা -দেখ প্রীতি আই এম সিরিয়াস।তুই তো সব ই জানিস।তাও এমন কেনো করিস বল তো।না ও করিস না আবার হ্যা ও বলিস না।সমস্যা কি তোর? ওকে যেহেতু তোর পছন্দ না সেহেতু না করে দে।
প্রীতি -আরে আমি তো ওকে পছন্দ করি ই না।কিন্তু না করতে পারি না বাবা মার জন্য।আর হ্যা করতে পারি না কারন আমি ওকে দু চোখে দেখতে পারি না।ওই ব্যাটা তো পুরাই হ্যাবলাকান্ত ফালতু ব্যাটা।🥺
স্নেহা-দেখ তুই কি করবি।
এই বলে স্নেহা চলে গেলো। প্রীতি গিয়ে বিছানার উপর ঠাস করে বসে পড়লো। রাগে শরীর ফেটে যাচ্ছে ওর।
#হঠাৎ_ভালোবেসে_ফেলেছি💕
The_unexpected_love
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
Part-16
জানালা খুলা।বারান্দা আর জানালার পর্দাগুলো বিরামহীন ভাবে উড়ছে।চারিদিকে ঠান্ডা ফুরফুরে বাতাস।এই বাতাসে গা টা এলিয়ে দিলেই মনে হয় আহা!কত সুখ।কিন্তু এতো সুন্দর একটা মন ভালো করা পরিবেশে প্রীতির গায় জ্বালা ধরছে।বিছানায় বসে রাগে ফুসতে ফুসতে নখ কামড়াচ্ছে প্রীতি।আর বিরবির করে বারবার বলছে,
-তইন্যার বাচ্চা কেন আসবো?ওরে আমি খুন করমু।ওরে আমার দেখতে ইচ্ছা করে না।ও দুইদিন পর পর কেন আসে আমার বাড়িতে ?
প্রীতি এবার বিছানায় ঠাস করে হাত দিয়ে বারি মেরে উঠে দাড়ালো।সারারুম পাইচারি করতে করতে ভাবতে লাগলো।এবারের তনয়ের আসার কারন।কিন্তু হাজার ভেবেও কিছু খুজে পাচ্ছে না প্রীতি। প্রীতির এমন ভাবনার মাঝেই বিরক্তিকর ডাকে বার বার ডেকে উঠলেন রাফিয়া আহসান।প্রীতি তাড়াতাড়ি সেদিকে পা বাড়ানোর উদ্দেশ্য করলো আর বলল,
– মিশন তইন্যা ভাগানো।আসুক একবার বাসায়।
_______________________________
প্রণয় আহসান হাক ছেড়ে বললেন,
-রাফিয়া,রাফিয়া।কি গো তোমাদের হলো?আর কতক্ষণ লাগবে।তনয় তো এসে পড়েছে।তাড়াতাড়ি রান্নাবান্না শেষ করো আর প্রীতি কি রেডি হয়েছে।
রাফিয়া আহসান রান্নাঘর থেকেই ব্যাস্তসুরে জবাব দিলেন,
-এইতো রান্না প্রায় শেষ। আর প্রীতি রেডি হয়েছে কি না তা তো জানি না।দাড়াও ডাকি।
প্রনয় আহসান- না থাক।ডেকো না।
,
,
গাড়ি থেকে নামলো তনয় রহমান।রোদের ঝিলিক চোখে লাগতেই সে চোখ মুখ কুচকে নিলো।তার কাছে দিন মানেই অসহ্যকর এক যন্ত্রণা।
প্রনয় আহসান আর রাফিয়া আহসান সাদরে গ্রহণ করে ঘরে ঢুকালেন তনয়কে।তাকে সোফায় নিয়ে বসালেন প্রনয় আহসান।আর টুকটাক আলাপ চলছে তাদের মাঝে।কথা বলার মাঝেই তনয় এদিক ওদিক তাকাচ্ছে বার বার।
স্নেহা তা দেখে মিটমিটিয়ে হেসে তনয়ের পাশে গিয়ে গলা ঝেড়ে ফিসফিস করে বলল,
-কাউকে খুজছেন ভাইয়া?
তনয় চমকে তাকালো স্নেহার দিকে।বেশ ঘাবড়ে গিয়েছে ও।স্নেহা আবারো মুচকি হেসে বলল,
-যাই আমি,যাকে খুজছেন তাকে গিয়ে নিয়ে আসি।
স্নেহা সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে নিজেই নিজের মনে আওড়াতে থাকলো,
-বলে তো এলাম প্রীতিকে নিয়ে আসবো কিন্তু আদৌ কি ওই ডাইনি আসবে।খোদা জানে এখন আমার কপালে আবার কি আছে।
স্নেহা বুকে একটা ফু দিয়ে প্রীতির ঘরে ঢুকলো।ঢুকে স্নেহা বিস্ময়ে বিস্মিত হয়ে গেলো।আকাশ থেকে পড়েছে এমন একটা ভাব নিয়ে বলল,
-তুই…. তুই শাড়ি পড়ছিস?
প্রীতি শাড়ির আচল টা নিজের উপরে দিয়ে বলল,
-হমম।কিন্তু আমি তো পড়তেই পারি না।দেখিস না শুধু পেচাইছি।তুই পরায় দে তো একটু।আফটার অল আমার হবু জামাই আসছে শাড়ি না পড়লে কি হয় না কি?
স্নেহা বড় বড় চোখ করে প্রীতির কাছে গিয়ে প্রীতির গালে হাত রেখে বলল,
-তুই কি সত্যি প্রীতি??? খোদা আমার মাথা ঘুরায়তাছে।
প্রীতি স্নেহার দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,
-তোরা সবাই কি মায়ার কাছে আসলেই গর্ভবতী হয়ে যাস।
স্নেহা কথাটা শুনে নি।তাই আবার বলল,
-কি?
প্রীতি এবার বিরক্তির সুরে বলে,
-ন্যাকামো না করে শাড়ি পড়িয়ে দে।
,
,
বিশাল ডাইনিং টেবিলে সবাই বসেছে।শুধু প্রীতি আর স্নেহা বাদে।তনয় বেশ কিছুক্ষণ থেকে উশখুশ করছে।রাফান তা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে দেখছে।কেনো জানি তার এই ছেলেকে একটু ও ভালো লাগে না।
তনয় একবার রাফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাফান চোখ টা রসগোল্লার মতো করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ও আবার ব্যস্ত চোখে এদিক ওদিক তাকাতেই চোখ টা সিড়ি তে আটকে গেলো।মুখটা অটোমেটিকলি হা হয়ে গেলো ওর।
তনয়ের এমন মুখ দেখে প্রীতি বিরবির করলো কিছুক্ষন এরপরের তনয়ের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক একটা হাসি দিয়ে তনয়ের পাশে এসে বসলো।
প্রনয় আহসান গম্ভীর মুখে বলে উঠলেন,
-খাওয়া শুরু করো সবাই।
সবাই খাচ্ছে।প্রীতির খুব অস্বস্থি হচ্ছে।কেউ যদি বার বার তার দিকে তাকায় তাহলে তো যে কারোর অস্বস্থি হবেই।
তনয় বারবার খাওয়ার মাঝেই আড়চোখে প্রীতির দিকে তাকাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে।প্রীতি মাথা নিচু করে রাগে বারবার বিরবির করছে আবার মাথা তুলে তনয়ের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক দাত কেলিয়ে দিচ্ছে।
প্রীতি অর্ধেক খাবার খেয়ে উঠে পড়লো।তনয়ের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
-খাওয়া শেষ হলে ছাদে আসবেন।
_____________________________
প্রীতির শাড়ির আচল উড়ছে।বাতাসে চুলগুলোও উড়ছে।খুব মায়াবতী লাগছে ওকে।কিন্তু তনয় যেনো এসব কিছু খুজে পাচ্ছে না প্রীতির মধ্যে। ওর মনে হচ্ছে এই শাড়ির আচল বিরক্তির জিনিস কারন প্রীতি বারবার তা ঠিক করছে।আর চুল তো আরেক বিরক্তির জিনিস বার বার মুখে এসে পড়ে।আর প্রীতি ভাবছে অন্য কথা।দুজনের মাঝেই পিনপিন নিরবতা।এমন নিরবতা কাটিয়ে প্রীতি চুলগুলো পিছনে ঠেলে দিয়ে বলে উঠলো,
-আপনি আমাকে সত্যি বিয়ে করবেন?
তনয় এ কথা শুনে ভ্রু কুচকে তাকাতেই প্রীতি গলা ঝেড়ে বলে উঠলো,
-না মানে আপনার এই বিয়েতে মত আছে তাহলে?
তনয় মুচকি হেসে বলে উঠে,
-অবশ্যই।কিন্তু আমার তো মনে হয় বিয়েতে তোমার মত নেই।
প্রীতি কিছু বলতে ধরলেই ওকে বলার কোনো সুযোগ না দিয়ে তনয় আবার বলে উঠে,
-আর মত না থাকলেও কোনো যায় আসে না।কারন আমাদের বিয়ে ছোটোবেলা থেকেই ঠিক। এখানে তোমার মত থাকুক আর না থাকুক।আর আমার মতে বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি হওয়াই ভালো।তুমিও নিজেকে প্রিপেয়ার করো বিয়ের জন্য।
প্রীতি একটা সিম্পল প্রশ্ন করার সাথে সাথে যে এতোগুলো আন্সার পাবে ভাবতেই পারে নি।ও একটা গোপনে জোরে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। ওর হাতে কিছুই নেই।এখন যদি ও বলে বিয়েটা করবে না তাহলে তনয় এখনি নিচে গিয়ে বলবে যে, সে সাতদিনের মধ্যেই বিয়ে করতে চায়।
এই তনয় যতটা নিজেকে সবার সামনে সহজ সরল অবুঝ দেখায়,উপস্থাপন করে আসলে সে তা না।এর মধ্যে অনেক ঘাপলা আছে।
প্রীতি আর কিছু না বলে আকাশের দিকে চেয়ে কাদো কাদো মুখ করে বিরবির করে বলল,
-মিশন আমার ফেইল।
______________________________
বিছানায় আধশোয়া হয়ে দুই মেয়ের চুলে হাতিয়ে দিচ্ছে রাফিয়া আহসান।তার এক পায়ের উপর প্রীতি শুয়ে আছে চুপচাপ একদম নিরব নিস্তব্ধ। আর আরেক পায়ের উপর শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছে স্নেহা।এমন গম্ভীর পরিবেশে রাফিয়া আহসানের উদ্দেশ্যে স্নেহা বলে উঠলো,
-পরিবেশ টা শান্ত না মা?কোনো হৈচৈ আছে?
রাফিয়া আহসান একটু হেসে বললেন,
-না কারন প্রীতি চুপ আছে।
তখনি প্রীতি ফুসে উঠে বলল,
-স্নেহার বাচ্চা একদম আমার পিছনে লাগবি না।লাত্থি মেরে উড়ায় দিবো।
স্নেহা আবারও ঠোঁট টিপে ফোনে চোখ রেখে ন্যাকামো করে বলে উঠে,
-আমি কি কাউকে গালি দিয়েছি?তাও একদল সকালে এসে বলবে স্নেহা ভালা না।আমি তো কই আমি ভালা না ভালা লইয়েই থাইকো।
স্নেহার কথা শুনে এবার প্রীতি ফিক করে হেসে দিয়ে হাতের কুশন টা দিয়ে বারি দিলো আর বলল,
-আমাদের বাসায়ও যে এক পিস তাহেরি আংকেল ছিলো জানতাম না তো।
স্নেহা -আজকে থেকে জেনে রাখ।
রাফিয়া আহসান হাসতে হাসতেই বললেন,
-থাক আর মারামারি করিস না।স্নেহা মা চল আমরা চলে যাই।রাত তো অনেক হলো।
স্নেহা -চলো।আর প্রীতি শোন,লিনা অনেকবার ফোন দিয়েছে তোকে পায়নি।পরে আমাকে ফোন দিয়ে বলছে তোর ফোন বন্ধ।কল দিস ওকে।
প্রীতি -ওহ..মনেই তো নাই।আমার ফোন তো চার্জে। আচ্ছা আমি দেখতেছি।
(প্রীতি স্নেহা লিনা এরা তিনজন একসাথে পড়াশোনা করে পরানের দোস্ত)
প্রীতি ফোন খুলে লিনার নাম্বারে ডায়াল করে দেখলো তার ফোনে ব্যালেন্স নেই।এতো রাত হয়ে গেছে এখন কোনো ফেক্সিলোডের দোকান খুলাও পাওয়া যাবে না।
-থাক কাল ফেক্সি করবো নি দোকান থেকে।
এই বলেই প্রীতি কম্বলের নিচে ঢুকে গেলো।
,
,
চারিদিকে ঠান্ডা রোদ মিশ্রিত সুন্দর বাতাস।সেই বাতাসের মাঝে হেটে চলেছে প্রীতি আর স্নেহা।
-আজ ওয়েদার টা কত্ত সুন্দর তাই না রে স্নেহা?
স্নেহা -হম।
প্রীতি মাথায় হাত দিয়ে আপসুসের সুরে বলল,
-ইশশস আমি তো ভুলে গেছি আমার ফেক্সি করতে হবে। তুই দাড়া ফেক্সি করে আসি।
স্নেহা -তাড়াতাড়ি কর লিনা অনেকক্ষন থেকে একা একা দাঁড়িয়ে আছে।
,
ফেক্সির দোকানে গিয়ে প্রীতি বলে,
-মামা এই নাম্বারে (০১৭১২******) ৬০ টাকা ফেক্সি করে দেন তো।
দোকানদার-দিচ্ছি মামা।
কিছুক্ষণপর দোকানদার বলে,
-দিছি মামা দেখেন।
প্রীতি হাতের ফোন চেক করতে করতে বলল,
-কই মামা আসে নাই তো।
দোকানদার -কিন্তু আমি তো দিলাম।এই যে এই নাম্বারে।
প্রীতি নাম্বার টা দেখে বলল,
-ওহ হো মামা আপনি তো নাম্বার ভুল করছেন।২ এর জায়গায় ১ দিছেন।
দোকানদার অনুনয়ের সুরে বলে উঠলো,
-ভুল হয়ে গেছে মামা, মাফ করে দেন।
প্রীতি অস্থির সুরে বলল,
-আপনি কেনো মাফ চাচ্ছেন মামা।আপনার তো দোষ নেই।আপনি বরং আমার এই নাম্বারে এখন একশো টাকা আবার ফেক্সি করে দেন।
,
ফেক্সি করে দোকান থেকে বেরিয়েই প্রীতি কাকে যেনো ফোন দিলো।স্নেহা এগিয়ে এসে বলল,
– কাকে ফোন দেস?
প্রীতি ফোন দিতে দিতেই বলল,
-ফোন না মিসকল দেই।
স্মেহা-কাকে?আর মিসকল না দিয়ে ফোন দিলেই তো হয়।
প্রীতি -আরে এক লোকের কাছে আমার ৬০ টাকা চলে গেছে।সেটার জন্য।আর ফোন দিলে তো আবার আমার টাকা খরচ হবো।
স্নেহা-তো?বাবার কি টাকার অভাব? তুই চাইলে এখনি ৬০ লক্ষ টাকা হাজির করে দিবো।
প্রীতি -বাপের টাকায় ফুটানি দেখাই না আমি।এটা আমার টিউশনির টাকা।আর প্রীতির টাকা হজম করা এতো সহজ না।চুম্বক দিয়ে টেনে পেটের ভেতর থেকে টাকা বের করে আনবো।আর তাও বেডার ৬৩ টাকা দেওয়ার লাগবো আমাকে।
স্নেহা আশ্চর্য হয়ে বলল,
-৬৩ টাকা?৬৩ টাকা কেনো দিবে?৬৩ টাকা কি ফেক্সি হয় না কি হাদারাম।
প্রীতি -সেটা তো আমি জানি না।এটা তার পানিশমেন্ট।
স্নেহা -কিসের পানিশমেন্ট? আর তুই পাঠাইছিস ৬০ টাকা ওই লোক তোরে ৬৩ টাকা কেন দিবো?
প্রীতি -কারন তার জন্য আমার দুইবার ফেক্সি করতে হইছে।দুইবার আমার টাকা খরচ হইছে তাই।এখন পকপক বন্ধ কর।
প্রীতি আবার ফোন কানে ধরে ব্যর্থ হয়ে কান থেকে সরালো স্নেহার উদ্দেশ্যে ফুসে বলে উঠলো,
-দেখ কত বড় শয়তান বেডা এতোগুলো মিসকল দিলাম একটাও বেক করলো না।
স্নেহা প্রীতির মুখের দিকে কিছুক্ষণ ভেবলাকান্তের মতো তাকিয়ে থেকে ভাবলো,
-মানুষকে কীভাবে হেনস্তা করতে হয় এটা এই মেয়ের কাছ থেকেই শিখা উচিত।কে না কে?২ মিনিটের মধ্যেই তার জীবন এভাবে ফালুদা বানিয়ে দিচ্ছে এই মেয়ে।৬৩ টাকা?সিরিয়াসলি? আল্লাহই জানে কোন লোকের কপালে এই শনি পড়লো।আল্লাহ বাচায়ো তারে।
,
,
একটা পার্কের সামনে এসে দাড়াতেই ওদের উপর ঝাপিয়ে পড়লো লিনা।ফুসে উঠে বলল,
-এতোক্ষন লাগে বেয়াদ্দপ গুলা?
প্রীতি এখনো সেই নাম্বারে ফোন দিয়েই যাচ্ছে।সেদিকে ভ্রু কুচকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে স্নেহার উদ্দেশ্যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লিনা বলে উঠলো,
-কি রে প্রীতি কারে এমন ফোন দেয়?
স্নেহা -ফোন না মিসকল দেয়।
লিনা -মানে।
স্নেহা একে একে সব বলল।সব শুনে লিনা মাথায় হাত দিয়ে বেঞ্চের উপর বসে পড়লো।হায়হুতাশ করার মতো করে বলল,
-এটা মেয়ে না কি আরো কিছু?
স্নেহা -শুধু কি তাই?আরো বলেছে, সেই লোকটার না কি ৬৩ টাকা ফেক্সি করে দিতে হবে।তা না হলে লোকটার খবর আছে।ভাব তুই,৬৩ টাকা কি ফেক্সি হয় কখনো?
লিনা হা করে বলল,
-৬৩ টাকা?ভাই এই ডাইনির লগে তুই কেমনে ঘর করস।
স্নেহা কাদো কাদো ফেস নিয়ে বলল,
-তাইলেই ভাব।কত প্যারায় থাকি আমি।
চলবে🙂