হিংস্রতার আড়ালে ভালোবাসা বোনাস পার্ট

#হিংস্রতার আড়ালে ভালোবাসা
#বোনাস পার্ট
সবার জন্য এইটা আমার পক্ষ থেকে নিউ ইয়ার এর বোনাস 😊😊
#writer:jeba

🌼🌼
হিয়া তাকিয়ে দেখল রিহান তার জন্য নাস্তার প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কাল পর্যন্ত যেই ছেলে তাকে ফ্লোরে ঘুমাতে দিচ্ছিল আজ বিছানায় ঘুমোতে দিয়েছে।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো যেই ছেলে বলেছিল তাকে নাস্তা বানিয়ে খেতে সেই আজকে নাস্তার প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এইসব তো স্বপ্নের চেয়ে কম নয়।

হিয়া তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে আসো।নাস্তা খেয়ে ওষুধ খেতে হবে।(মুচকি হেসে বলল রিহান)
রিহান এর কথায় হিয়ার চোখ দুটো মনে হচ্ছে যেন কপালে উঠে গেছে।
কি বলছে রিহান? আমি কি ভুল কিছু শুনছি? (ভাবতে লাগল হিয়া)
-তুমি ভুল কিছু শুনো নি?
-আল্লাহ এই ছেলে আমার মনের কথা কিভাবে বুঝল?
-তোমার মনের কথা বুঝা আমার কাছে একদম পানির মতো সোজা।
-না না আর কিছু মনে মনে ও বলা যাবে না।(ভাবতে লাগল হিয়া)


-আচ্ছা রিহান? (হিয়া)
-বলো,,, (অন্য দিকে ফিরে জবাব দিল রিহান )
-আজ কি আমার নিজের নাস্তা নিজে বানিয়ে খেতে হবে না?(আমতা আমতা করে বলল হিয়া)
-না।তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো।
-ওকে।
🌼🌼

আচ্ছা রিহান কি নিজের ভুল বুঝতে পারছে?ও কি এখন আমার আগের রিহান হয়ে গেছে?ও কি আবার আগের মতো ভালোবাসবে আমায়?হয়তো।(ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে হতে ভাবতে লাগল হিয়া )
ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরুনোর সময় হিয়া আবার ভাবতে লাগল,,,,
রিহান হঠাৎ আজ এতো পরিবর্তন? কোনো মতলব আটে নি তো?এতো আদর করে আমাকে নাস্তা খাওয়ানোর জন্য বসে আছে কেমন যেনো সন্দেহ হচ্ছে ।খাবারে বিষ মেশায় নি তো আমাকে মারার জন্য? (কথাগুলো ভেবে কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়ে গেল হিয়া)


কি হলো বেরুতে এতো সময় লাগছে কেন?আমার অফিসের সময় হয়ে যাচ্ছে? আমি কি আসবো তোমাকে বের করে আনার জন্য? (চেঁচিয়ে বলল রিহান )
রিহান ভালো করে জানে এমন কথা বললে হিয়া দৌড়ে চলে আসবে।ঠিকি এক দৌড়ে সে হাজির হলো রিহান এর সামনে।রিহান হিয়ার দিকে খাবার এগিয়ে দিতেই বলল,,,,

-আমি নিজের হাতেই খেতে পারবো রিহান।তোমার না অফিসের দেরি হচ্ছে যাও তুমি ।আমি ভালো মেয়ের মতো খেয়ে নিব।(তোতলাতে তোতলাতে বলল হিয়া)
-ভয় পাচ্ছ? ভয় পেয়ো না আমার হাতেই খেতে হবে তোমাকে।আর এর আগে তো বিয়ের আগে কতো খেয়েছো আমার হাতে।কই তোমার চেহারায় তো তখন এতো ভয় দেখি নি।
-তখন তো কারো হিংস্র চেহারা দেখি নি।(বিড়বিড় করে বলল হিয়া)
-কিছু বললে?
কালকে রাতের থাপ্পড় এর কথা মনে হতেই হিয়া জোরে বলল,,,,
-কিছু বলি নি আমি।দাও খাইয়ে দাও।
-হুম,,,ভয় পেয়ো না খাবারে বিষ নেই।(হিয়ার মুখে খাবার তুলে দিয়ে বলল রিহান )

বিষের কথা শুনতেই হিয়া মুখের খাবার টা ঢুক গিলে রিহান দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকালো।
রিহান হিয়ার দিকে তাকিয়ে আবার বলতে শুরু করল,,,,
-তোমাকে এতো তাড়াতাড়ি মেরে ফেলার ইচ্ছে নেই গো বউ।তোমাকে খাইয়ে যত্ন করে সুস্থ করছি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হও আর আমি তোমাকে তিলে তিলে,,,,,
-হয়েছে জানি তুমি আমাকে তিলে তিলে শেষ করতে চাও।তোমার এরকম যত্নের আর কোনো দরকার নেই।প্লিজ আমাকে এখুনি গলা টিপে মেরে ফেলো নাহলে এমন ভাবে মুক্ত করো যেনো তোমার ছায়া ও আমার লাইফে না পড়ে।(কেঁদে কেঁদে বলল হিয়া)


হিয়ার কথায় রাগে পাশে টেবিলে থাকা ছুরি টা নিজের হাতে চেপে ধরল রিহান ।রাগে অগ্নি দৃষ্টি ধারণ করেছে তার চোখ দুটো।আর ছুরি চেপে ধরে থাকার কারণে তার হাত থেকে অঝোর ধারায় রক্ত ঝরছে তার।হিয়া রক্ত দেখে তাড়াতাড়ি করে রিহান এর হাত টা ধরল।ড্রয়ার থেকে ফাস্ট এইড বক্স বের করে রিহানের হাতে এন্টিসেপটিক লাগিয়ে বেন্ডেজ করে দিল হিয়া।কিন্তু রিহানের একটু ও সেদিকে খেয়াল নেই সে যেন হারিয়ে আছে অন্য এক খেয়ালে,,,,,


🌼🌼🌼
চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here