#হিংস্রতার আড়ালে ভালোবাসা
#part:5
#writer:Jeba
কিন্তু রিহান এর একটু ও সেদিকে খেয়াল নেই সে যেন হারিয়ে আছে অন্য এক খেয়ালে।
হিয়া রিহান এর কাঁধে হালকা স্পর্শ করতেই রিহান তার চুলের মুঠি ধরে একদম কাছে নিয়ে আসল।রিহান এর ঠোঁট দুটো হিয়ার ঠোঁটের একদম কাছে নিয়ে আসল।এইভাবে রিহান তাকে কাছে টেনে আনাতে চমকে উঠল হিয়া।ভয়ে তার ঠোঁট দুটো কাঁপতে লাগল।রিহান হিয়ার চোখে নিজের চোখ রেখে হিয়ার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে দিলো।হিয়ার ঠোঁট দুটো আরো শক্ত করে নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরল রিহান।পাঁচ মিনিট পর হিয়ার কাছ থেকে সরে আসল সে।এতক্ষণ কেমন যেনো এক অন্য ঘোরে ডুবে ছিলো সে।নিজেকে হিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে এনে রুম থেকে বের হয়ে ছাদে চলে গেল সে।
।
।
কি করতে যাচ্ছিলি তুই রিহান? কিভাবে ঐ মেয়ে কে আজ নিজের এতো কাছে টেনে নিলি আজ?তুই ভালোবেসে ফেলিস নি তো ঐ মেয়ে কে?ভালোবাসলে কিভাবে ওকে কষ্ট দিবি তুই?
না রিহান এরকম কখনও করিস না।ঐ মেয়ে কে ভালোবাসা যে অসম্ভব।ভুলে যাস না ঐ মেয়ের কারণেই নিজের ভালোবাসা হারিয়ে ছিলি তুই।নিজের বাবা হওয়ার স্বপ্ন নিজের চোখের সামনে শেষ হয়ে যেতে দেখেছিলি তুই।জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে ছিলি তুই।কিভাবে ভুলে যাস এইসব কিছু? (নিজেই নিজের সাথে কথা গুলো বলতে লাগল রিহান )
।
।
অপরদিকে হিয়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ঠোঁটে হাত ভুলাতে লাগল।কেমন যেন হাসির মিষ্টি ভাবে বেসে উঠল তার চোখে মুখে।এই প্রথম রিহান তাকে নিজের এতো কাছে টেনে নিয়েছে।এতো বছরের সম্পর্কে রিহান হিয়ার হাত টা পর্যন্ত ভালোভাবে স্পর্শ করতে চাইতো না।আর আজ হিয়া কে নিজের এতো কাছে টেনে নিল।হিয়া নিজে নিজেই বলতে লাগল,,,,,,,,,
-আজ তোমার স্পর্শে হিংসা ছিল না।আজ তোমার স্পর্শে আমি ভালোবাসা ফিল করেছি আমার জন্য ।আজ তুমি যখন আমাকে কিস করেছো কোনো হিংস্রতা দেখে নি তোমার চোখে।তোমার চোখে আজ আমি নিজের জন্য ভালোবাসা দেখেছি ।তবে কেন এমন হিংস্রতা দেখাও তুমি আমার সাথে?তবে কি হিংস্রতার আড়ালে ভালোবাসা?
।
।
রিহান আর রুমে আসে নি সোজা অফিসে চলে গেছে আর তার মার কাছে বলে গেছে হিয়া যেন সুস্থ হওয়া না পর্যন্ত হসপিটালে না যায়। হিয়া নিচে গিয়ে দেখল তার শাশুড়ি রান্না ঘরে।সে রান্না ঘরে গিয়ে রেহানা বেগম কে বলল,,,,,
-গুড মর্নিং মা।
-গুড মর্নিং । এখন কেমন আছিস?জ্বর কমেছে?
-ভালো আছি।আর জ্বর নেই এখন।
-ওহ,,আচ্ছা। রিহান বলে গিয়েছে তুই সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হসপিটালে না যেতে।
-কিন্তু মা?
-তুই তো জানিস রিহান খুব রেগে থাকে।তুই হসপিটালে গেলে আবার তোর সাথে খারাপ বিহেভ করবে।
-আচ্ছা মা রিহান কি আগে এমন ছিল?
-নারে মা।আমার রিহান খুব শান্তশিষ্ট একজন ছেলে ছিল।
-আমার সাথে কেন এমন করছে রিহান?
-সেইটা তুই রিহান কে জিজ্ঞেস করিস।আমাকে যে রিহান কসম দিয়ে রাখছে আমি যে তোকে কিছু বলতে পারব না রে মা।(হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল রেহানা বেগম)
-আচ্ছা মা আপনি উপরে গিয়ে রেস্ট করুন ।আজ আমি রান্না করব।
-কিন্তু তুই তো অসুস্থ রে মা।তুই গিয়ে রেস্ট কর আমিই রান্না করব।তুই সুস্থ হলে আমাকে হেল্প করিস।
।
।
হিয়া কোমরে হাত দিয়ে মুখ ফুলিয়ে বলতে লাগল,,,
-মা তুমি যাবে কিনা?
-ওমা আমার মেয়ে টা আমাকে দেখি শাসন করছে।(হেসে বলল রেহানা বেগম)
-প্লিজ মা প্লিজ ।(মিনতির স্বরে বলল হিয়া)
-ঠিক আছে।
।
।
হিয়া সবার পছন্দসই খাবার রান্না করল।স্পেশালি তার হিংস্র বর টার জন্য ।আজ খুব খুশি সে।কারণ ভালোবাসার মানুষের প্রথম আদর সে পেয়েছে।আর আজ সে অন্য রকম এক রিহান কে অনুভব করেছে।রান্না শেষে হিয়া ফ্রেশ হয়ে একটা হলুদ শাড়ি পড়ে নিল ।ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক দিলো।নিজের লম্বা চুল গুলো সে পিঠে ছড়িয়ে রাখল।আর চুল গুলো টুপ টুপ পানি ঝরছে।রিহান অফিস থেকে এসে রুমে ঢুকেই হিয়ার চুলের দিকে নজর পড়ল।এক নজর তাকিয়ে থেকে তারপর চোখ সরিয়ে সে ফ্রেশ হতে গেল।ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে হিয়া বুঝতে পারল যে রিহান এসেছে।হিয়ার দৌড়ে নিচে এসে টেবিলে সব খাবার সাজিয়ে দিল।রিহান ও নিচে এসে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ল।রিহান তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,,ওকে বলো এইখানে বসে খেতে।
।
রিহানের কথায় হিয়া খুশিতে তাড়াতাড়ি করে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ল।রিহান খাবার মুখে দিয়ে বলল,,,
-আজ খাবারের স্বাদ টা অন্য রকম লাগছে মা।
-কেনো মজা হয় নি? (রেহানা বেগম)
-অনেক অনেক মজা হয়েছে।তাই তো বললাম আজ স্বাদ টা অন্য রকম লাগছে।
রিহানের কথা শুনে হিয়া খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠল।
-আজ কি অন্য কেউ রেঁধেছে মা? (রিহান )
-হুম,,হিয়া রেঁধেছে।
।
।
কথাটা শোনার সাথে সাথেই,,,,
চলবে,,,,,,
(