#হিয়ার_মাঝে
#পর্বঃ২২(বোনাসপর্ব)
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি
৪৭,
” এমনিই মনে হলো নাতাশা। সবসময় আমায় এড়িয়ে যাও, এটাই তো দেখে আসলাম।”
“এড়িয়ে যাওয়ার কারণগুলোও তোমার অজানা নয়। তবুও আমার মায়ের তোমায় নিয়ে এতো আশা কিসের! আমি বুঝিনা তাইবা আপু।”
তাইবা নাতাশার কথায় দমে যায়। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বুঝতে পারে নিজের করা একটা ভুল সম্পর্ক গুলোকে তিক্ত করেছে। তবুও যে মিসেস কল্পনা আর বাকি বড়োরা তার পাশে আছে এটাই সৌভাগ্য। তাইবা নাতাশাকে আর ঘাটলো না। নিজের মনে কাপড় বের গুছিয়ে নিলো হাতে। হিয়া বেরুতেই সে ফ্রেশ হতে ঢুকবে। নাতাশাও নিজের কাপড় বের করে হিয়ার বের হওয়ার অপেক্ষা করছে৷ তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে হিয়া বের হলো। তাইবা কি ঢুকবে! তার আগেই নাতাশা চট করে ঢুকে পরেছে। হিয়া বের হয়েই নিজের ভেজা কাপড় রিসোর্টের রুমের সাথে থাকা ব্যালকনিতে ছড়িয়ে দিয়ে আসলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে কোনো রকম চুল সেট করে গলায় স্কার্ফ পেচিয়ে হনহনিয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। তাইবা নিজের ফোনে এতোটাই ব্যস্ত ছিলো যে, কেউ রুম থেকে বেরিয়ে গেছে! অথচ সে সেটা খেয়ালই করেনি। কিছু মানুষ থাকেই এমন, যারা ফোনে একবার চোখ দিলে দিন-দুনিয়া ভুলে যায়। নাতাশা কিছুক্ষণ পর ওয়ারুম থেকে বের হয়। বের হয় পুরো রুম জুড়ে নজর বুলিয়ে হিয়াকে না দেখে তাইবাকে জিগাসা করে,
“তাইবা আপু? হিয়া কোথায়?”
তাইবা নাতাশার প্রশ্নে মাথা তুলে তাকায়। সে বলে,
“কিছু বললে?”
“হ্যাঁ, বললাম যে হিয়া কোথায়?”
“এই তো রুমেই ছিলো!”
বলেই তাইবা ড্রেসিং টেবিল বরাবর তাকালো। হিয়াকে কোথাও না দেখে বললো,
“এই তো রুমে ছিলো, গেলো কোথায়?”
নাতাশা বললো,
“রুমে তুমি ছিলে, অথচ জানোনা কই গেলো?”
“আসলে আমি ফোনে ব্যস্ত ছিলাম। খেয়াল করিনি।”
“তুমি শুধরালে না। সারাজীবন একই রয়ে যাবে।”
কথাটা বলেই নাতাশা তাইবাকে পাশ কাটিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে কাপড় ছড়িয়ে দেয়। তাইবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তার বদ অভ্যাস কবে ভালো হবে! সে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। নাতাশা রুমে এসে চুল আচরেই ফোন নিয়ে বেরিয়ে পরে নাতাশা। রিসোর্ট থেকে বেরিয়েই বামে একটা সুন্দর লেক আছে। হিয়া লেকের ধারে দাড়িয়ে লেকের স্বচ্ছ জলে দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে। নাতাশা হিয়াকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পানি দেখতে দেখে হিয়ার দিকে এগিয়ে আসে। হিয়ার পাশে দাড়িয়ে বলে,
“সামান্য ফ্রেশ হওয়ার সময় টুকু দিলে না৷ না বলেই চলে আসলে!”
নাতাশার কন্ঠস্বর শুনে চমকে পাশ ফিরে তাকায় হিয়া। নাতাশাকে দেখে মুচকি হাসে। নাতাশা অপলক মেয়েটার হাসি দেখে। পরিচিত হওয়ার পর থেকে মেয়েটার মুখে হাসি ব্যতিত কখনও বিষণ্ণতা দেখেনি নাতাশা। যারা বেশি কষ্টে থাকে, তারাই নাকি কারণে অকারণে হাসে! তবে হিয়ার মনেও তেমন কোনো কষ্ট আছে! নাতাশা হিয়ার ডানগালে হাত রাখে। হিয়া হাসিমুখে ভ্রু নাচিয়ে জিগাসা করে,
“তোমার কি হলো আপু!”
“তোমায় খুব সুন্দর লাগছে হিয়া। হাসিমুখে তোমায় বড্ড মানায়।”
হিয়া অবাক হয় নাতাশার কথায়। সে পুলকিত নয়নে নাতাশাকে বলে,
“তোমার হঠাৎ কি হলো আপু! এমন করে আমার প্রশংসা করঢ়ে যে?”
“প্রশংসা নয়, সত্য কথা বলেছে।”
নাতাশা আর হিয়া পিছন থেকে ইহসাসের কন্ঠস্বর শুনে তার দিকে তাকায়। ইহসাস তাদের থেকে খানিকটা দূরে প্যান্টের পকেটে হাত গুজে দাড়িয়ে আছে। হিয়া মুগ্ধতার দৃষ্টিতে তাকায় ইহসাসের দিকে। ভাগ্যবশত তাদের ড্রেস কালার মিলে গেছে। দুজনেই ব্লু আর সাদা রঙের কাপড় পড়েছে। ইহসাস ব্লু জিন্স প্যান্ট আর সাদা শার্ট, হিয়া সাদা হাফহাতা টপস আর ব্লু স্কার্ট পরে গলায় ব্লু স্কার্ফ জড়িয়ে রেখে। ইহসাস বোধ হয় গোসল দিয়েই বের হয়েছে। কপাল জুড়ে ছোটো ছোটো ভেজা চুল লেপ্টে আছে। পায়ে সাদা রঙের ‘শু’। শার্টের হাতা ফোল্ড করা।
৪৮,
হিয়া ইহসাসকে কখনও এতোটা মুগ্ধতা নিয়ে দেখেনি। ইহসাসও হিয়ার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। হিয়ার ভেজা চুল থেকে টপটপিয়ে এখনও পানি পরছে৷ মেয়েটা চুল মুছতে পারেনা নাকি! ইহসাস নিজের কাছে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ হলো। কিন্তু উত্তর তো শূণ্য। নাতাশা ওদের দুজনকে একেঅপরের দিকে এতোটা মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে থাকা দেখে হিয়ার চোখের সামনে হাত নিয়ে চুটকি বাজায়৷ এরপর বলে,
“এখানে কোনো মুভির শুটিং এ আসিনি আমরা। তোমাদের প্রেম করতে হয়, বিয়ে করে প্রেম করো। বিয়ের আগে প্রেম করলেই তোমাদের বয়কট করবো আমি।”
নাতাশার এমন কথায় হিয়া শুকনো বিষম খায়। ইহসাসও কেশে উঠে৷ রাদ আর রায়া তখন ওদের দিকে এগিয়ে আসে। রায়া হিয়ার পাশে দাড়িয়ে বলে,
“এখানে কি শুকনোতেই বিষম খাওয়ার প্রতিযোগীতা চলছে?”
হিয়া বোনকে দেখে একদম স্ট্যাচুর মতো দাড়িয়ে যায়। রাদ গিয়ে ইহসাসের পাশে দাড়িয়ে বলে,
“সবাই তো একসাথেই বের হওয়ার কথা। রুমও তিনটা এক সিরিয়ালে। তাহলে রেখে চলে আসছো কেনো তোমরা?”
রাদের কথায় নাতাশা পরিস্থিতি সামাল দিতে বললো,
“কথা আর বাড়াই, আমরা ঘুরা শুরু করি?”
রায়া তখন কিছু একটা খেয়াল করে বললো,
“কিন্তু তাইবা কোথায়?”
“হ্যাঁ, তাই তো। তাইবা কোথায়?”
রাদ রায়ার কথার সাথে তাল মিলায়। তখনই তাইবা হাঁটতে হাঁটতে ওদের দিকে এগিয়ে আসে। এসে বলে,
“এই তো আমি।”
“এবার ঘোরাফেরা শুরু করা যাক। আমি গুগল আর ইউটিউবে ভিডিও দেখে আইডিয়া পেয়েছি মোটামুটি। আমি গাইড করি, তোমরা আসো।”
ইহসাস কথাটা বলে। সে রুমে গিয়ে আগে এগুলোই আগে ঘাটাঘাটি করেছে। এরপর গোসল দিয়ে ব্যালজনিতে কাপড় মেলতে গিয়ে হিয়া আর নাতাশাকে নিচে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কোনোরকম জুতাটা পায়ে দিয়েই দৌড় দিয়ে নিচে এসে দাড়িয়েছে৷ রাদ, রায়া, ইহসাস, নাতাশা, হিয়া আর তাইবা প্রথমে লেকের জলে ভাড়ায় চালিত সাম্পানে চড়ে পুরো লেকটিই ঘুরে নেয়। পুরো লেকের মাঝে কিছু কিছু স্থানে ডলফিন আকৃতির কৃত্রিম ফোয়ারা। যেটা দিয়ে জল ঝরে পরছে লেকে। ওরা সবাই যে স্থান থেকে লেকের জলে নেমেছিলো, সেখানে এসেই থামে। সবাই সাম্পান থেকে নামতেই লেকের ঘাটের একটু সামনে পাথরের তৈরি জিরাফ দেখতে পায়, তার পায়েই কৃত্রিম বক দেখতে পায়। হিয়া বাচ্চাদের মতো লাফিয়ে ছবি তোলার বায়না ধরে। ওরা সবাই একসাথে দাড়ায়, রাদ ছবি তোলে। এরপর রাদ আর রায়া ছবি তুলতে একসাথে দাড়ায়। দুজনের মাঝে ভালোভাবেই চোখাচোখি হয়। রায়া বরাবরের মতোই চোখ নামিয়ে নেয়। ছবি তোলার পর্ব শেষে সবাই মিলে পার্কের ভেতরের দিকে হাটা ধরে। মাঝখানে কংক্রিটের রাস্তা, দুইপাশে নানান রকমের বিহারি ফুলের বাগান। তাতে উড়ছে কিছু জীবনৃত প্রজাপতি। বাটারফ্লাই রিসোর্ট টা ৬একর জমির উপর বিস্তৃত, যেটার ডানদিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত এয়ারপোর্ট আর বা দিকে পতেঙ্গা সী-বীচ আর অগ্রসরে নেভাল একাডেমি। একসাথে ঘোরাঘুরির অনেক জায়গা। রাদ-রা একটু এগিয়েই দেখতে পায় বাটারফ্লাই মিউজিয়াম, যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে দেশ বিদেশের নানান রকম মৃ’ত প্রজাপতি। কাচের বাক্সে বিভিন্ন মেডিসিনের মাধ্যমে এগুলে সংরক্ষিত করা হয়েছে। সেই সাথে তুলে ধরা হয়েছে প্রজাপতির বিভিন্ন জীবনচক্রের ব্যাপারে। হিয়া অবাক নয়নে কাচঘেরা বাক্সে হাত ছুইয়ে দেখছে। নাতাশা একের পর এক ফটাফট ছবি তুলছে৷ তাইবাও একই কাজ করছে। রায়াও ঘুরেফিরে এসব দেখছে, আর রাদ তার পাশে পাশে সে যেখানে যাচ্ছে রাদও সেখানে যাচ্ছে। ওরা মিউজিয়াম দেখা শেষ করে বেরিয়ে পরে। বেরুতেই হিয়ার নজরে পরে একটা সাইনবোর্ড। যেখানে লেখা, ‘সেভ দ্য বাটারফ্লাই, সেভ দ্য আর্থ। হিয়া লেখাটায় হাত বোলায়। ওরা সবাই আর একটু আগায়।
৪৯
ইহসাস দেখা পায় তাদের কাঙ্ক্ষিত জিনিসের, প্রজাপতি বাগান। যেখানে প্রজাপতি চাষ করা হয়। সেই বাগানের ঢোকার আগে বেঁধে পরে বড়ো বড়ো ঝুলন্ত শেকল। সেগুলো আদৎ এ কীসের তৈরি, বুঝা গেলো না। রঙটা লোহার মতো, কিন্তু ওগুলো লোহা নয়৷ ওরা সবাই শেকল পেরিয়ে বাগানে প্রবেশ করে। সবুজ নেটে ঘেরাও পুরো বাগান। তার ভেতরে কোথাও উড়ছে প্রজাপতি। কোথাও গাছে গাছে জন্ম নিচ্ছে প্রজাপতি। হিয়া হাত বারিয়ে প্রজাপতি ধরার চেষ্টা করে। ইহসাস হিয়ার পেছনেই ছিলো। সে হিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে,
“প্রবেশ পথেই লেখা ছিলো, প্রজাপতি ধরা নিষেধ।”
তখনই একসাথে জোড়া বাধা দুটো প্রজাপতি এসে হিয়ার হাতে বসে। হিয়া তাদের দিকে তাকিয়ে ইহসাসের কথার উত্তর দেয়, বলে,
“ধরতে হলো না। ওরাই এসে বসলো। দেখলেন!”
ইহসাস মাথা চুলকিয়ে হাসে৷ হিয়া সেদিকে নজর দেয় না। এই লোকের দিকে তাকানো যায়না। কি রকম একটা মায়া কাজ করে। হিয়া একটু জোড়ে হেটে রায়ার পাশাপাশি হয়। সবর সাথে তাল মিলিয়ে হাটে। বাগানের ভেতর হাজারও প্রজাপতি উড়ছে তাদের বাহারি রঙের পাখনা মেলে। কোনোটা গিয়ে বসছে ফুলে, আবার কোনোটা গাছের ডগায়। সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখছে সেসব দৃশ্য। কোনো কোনো গাছে দেখা যাচ্ছে শুককিট। যেটা থেকেই মূলত প্রজাপতির জন্ম। সবুজে ঘেরা বাগানটির মাঝে দশনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে গাছের ছায়ায় ছায়া বসার জন্য বিশাল প্রজাপতি আকাড়ের চেয়ার। প্রজাপতি বাগানটি দেখা শেষ করে বেরুনোর পথের আগে রয়েছে নার্সারির মতো বিভিন্ন গাছের চারা, কোনোটি বড়ো আবার কোনোটি ছোটো। সবাই সেগুলো দেখে বাগান থেকে বের হয়। বের হতেই দেখা যায় বিশাল এক গড়িলা, যেটা নড়েচড়ে বসে। সবাই একটু ভয়ে চমকে উঠে। আসলেই প্রথম বার যারা যাবে, গরিলাটির সম্পর্কে অবগত না থাকলে সহজেই ভয় পাবে। গরিলাটি রোবেটিক গড়িলা, যেটা হালকা নড়াচড়া করে। ইহসাস যখন বুঝতে পারলো এটা বানানো গড়িলা, সবাই আশস্ত করলো। সবার ভয় কিছু টা কমে আসে। হিয়া তো মনে মনে বকা দিয়ে গরিলার ১৪গুস্টির তুষ্টি করে দিচ্ছে। বিরক্তিতে তার চোখমুখ কুঁচকে যাচ্ছে, সেটা তাকালেই বোঝা যায়। ইহসাস সেটা খেয়াল করেছে। আর তাদের দুজনকে খেয়াল করছে তাইবা। মনে তার প্রশ্ন জাগছে, সে কি হিয়া আর ইহসাসের মাঝখানে এসে পরলো! নাকি হিয়া তাইবা আর ইহসাসের মাঝে চলে আসলো! বুঝতে পারলো না তাইবা। জীবনটা কি তবে অপূর্ণতাতেই পরিপূর্ণ হয়ে থাকবে! তাই হয়তো! তাইবার এসব ভাবনা চিন্তার মাঝেই সবার হইচই এ তাদের ধ্যান ভাঙে। যেহেতু তারা বছরের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে এসেছে, সেহেতু এখানে জনসংখ্যা খুবই সামান্য। বছরের শুরুর দিকে আর পিকনিকের সময়ে মানুষের অভাব হয়না। ইহসাসের ডিরেকশন অনুযায়ী ওরা হাঁটতে থাকে৷ হাঁটতে হাটতে নজরে পরে পাথরের তৈরি হাতি, জিরাফ, হরিণ, ডানাওয়ালা ঘোড়া। একপাশ দিয়ে বয়ে চলছে লেক৷ লেকের মাঝে জোড়া ডলফিনের ফোয়ারা, উড়ন্ত সারস পাখির মূর্তি। কিছু টা এগিয়ে দেখা যায় কৃত্রিম ঝর্ণা। কিন্তু তার আগে দেখা যায় একটা লাভশেপ ওয়ালা ওয়াল। তার সাথে লাগানো বাহারী রঙের ছোট্ট ফুলের গাছ। হিয়া গিয়ে লাভশেপ টায় বসে পরে। ইহসাস নিজের ফোনের ক্যামেরা ওন করে লুকিয়ে লুকিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নেয়। অন্যদিকে নাতাশা ইতিমধ্যে গ্যালারি ভরিয়ে ফেলেছে হিয়ার ছবি তুলে। ওদের ছবি তোলা পর্ব শেষ হলে চারপাশ টা ঘোরাঘুরি করে। এরপর ওরা রিসোর্টের দিকে ফিরে যেতে হাটা ধরে৷ যাওয়ার পথে দেখা যায় কিডস জোন। যেখানে বাচ্চারা খেলছে, দোলনায় দোল খাচ্ছে। হিয়া ওদের দোল খাওয়া দেখে লাফিয়ে বলে,
“আমিও দোল খাবো৷”
“কি বাচ্চাদের মতো করছিস হিয়া? প্রবেশ পথে দেখছিস না লেখা আছে, বড়োদের উঠা নিষেধ।”
রায়া একটু ধ’মকে কথাটা বলে। রাদ তা শুনে বলে,
“তুমি কথায় কথায় এতো হিয়াকে ধ’মক দাও কেনো?”
“আমার বোন, আমি বুঝবো। আপনি চুপ থাকুন।
রায়া গম্ভীর স্বরে উত্তর দেয়। রাদ দমে যায়। নাতাশা আর তাইবা তাকিয়ে তাকিয়ে ওদের দেখছে। হিয়া মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। ইহসাস সবাইকে নরমাল করতে বলে,
“অলরেডি বিকাল পেরিয়ে গেছে এতো ঘোরাঘুরি করতে করতে৷ সী-বীচে যেতে হবে তো। সানসেট হওয়ার সময় হয়ে আসলো। চলো সবাই, ফিরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে ঘুরতে বেরুবো৷”
ইহসাসের কথা শুনে সবাই হাটা ধরে রিসোর্টের দিকে।
চলবে?
ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিবেন আশা করি, কারণ সব তথ্য আজ নেট থেকেই সংগ্রহ করা। জানিনা কতটুকু সঠিক। আসসালামু আলাইকুম