#হৃদপূর্ণিমা
লাবিবা_ওয়াহিদ
| পর্ব ১২ |
রথি দ্রুত সরে গেলেও তার বুকের ভেতরের ধড়ফড়ানি কিছুতেই কমছে না। এরকম ভয় রথি তার এ জন্মেও পায়নি। সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে এই পুলিশম্যানের ভাব-ভঙ্গি! নাশিদ আঁখিপল্লবে রক্তিম ভাব এনে বলে,
-‘এতো ছেলেদের সঙ্গে কী তোমার? ওরা তোমায় দুই পয়সাও আয় করে দেয় না যার জন্য এর ওর সাথে পথেঘাটে ঘুরাঘুরি করবা। সময় থাকতে শুধরে যাও। নিজের হোল লাইফে ফোকাস করো!’
বলেই আবারও উলটোপথে হেঁটে চলে গেলো। রথি তখনো বেক্কলের মতো হা করে দাঁড়িয়ে আছে। নাশিদের বলা কথাগুলো তার মাথার উপর দিয়ে গেলো। এগুলো কী বলে গেলেন উনি? সে কখন কোন ছেলের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করলো? সে তো জাস্ট আবির… এক সেকেন্ড! উনি কী আবিরকে উদ্দেশ্য করেই বললো? কিন্তু নাশিদ ওদের কোথায় দেখলো আর এরকম বিহেভ করার মানেই বা কী? কিছুই রথির এই ছোট মাথায় ঢুকছে না।
রথির ভাবনাতে ছেদ ঘটালো ফাহাদ।
-‘কী ব্যাপার রথি এভাবে দাঁড়িয়ে আছো যে?’
রথি থতমত খেয়ে পাশ ফিরে তাকালো। ফাহাদ আবারও প্রশ্ন করলো,
-‘ঠিক আছো?’
রথি কিছু ভেবে মাথা নাড়িয়ে হাসার চেষ্টা করলো। ফাহাদ ভ্রু কুচকে আবারও বললো,
-‘লোকটা কে ছিলো রথি?’
-‘কো..নটা?’
-‘এইযে সবে যার সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলে। দূর থেকে তো তাই দেখলাম!’
রথি আবারও চুপ মেরে গেলো। কিছুক্ষণ নিজের মধ্যে তুফান সৃষ্টি করে বললো,
-‘কেউ না!’
বলেই রথি হাঁটা ধরলো। ফাহাদ তখনো সেখানে দু’পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে। রথিকে তার আজীবনই রহস্যময়ী নারী মনে হয়। এই মেয়েটা তার
নিজের সম্পর্কে কখনো কিছু বলেনি৷ আজও তাকে এড়িয়ে গেলো।
মার্জান রান্না করছিলো তখনই রথি মার্জানের সামনে একটি বাজারের ব্যাগ এনে রাখলো। মার্জান রান্না ছেড়ে চোখ বড়ো বড়ো করে বাজারের ব্যাগটির দিকে তাকালো। রথি হাত ঝেড়ে বললো,
-‘তোমার দয়ায় চলার মতো মেয়ে আমি নই আর আমার মাকেও তোমার দয়ায় চলতে দিবো না। বাজারটা এতদিনে আনিনি কারণ আমাদের ওই বাসায় বেশ তরকারি আর মাংস ছিলো। সেগুলো তোমার অগোচরে এনে আমি নিজেই রেঁধে মা সহ খেয়েছি। এখন এগুলো আনলাম। তোমার রান্না শেষ হলে আমায় বলিও!’
বলেই রথি আসতে নিলো ভাবী আমায় বাজখাঁই গলায় প্রশ্ন করলো,
-‘টাকার গরম দেখাস আমাকে? নিজেকে নিয়ে এতো অহংকার তোর? ভুলে যাচ্ছিস আমি তোদের আমার বাসায় থাকতে দিচ্ছি?’
রথি সাময়িক হাসি দিয়ে বললো,
-‘ওই কাগজ দিয়ে আমার মাকে বোকা বানাতে পারো তবে আমাকে নয়। আমি কিন্তু পড়ালেখা জানি ভাবী, ক্ষেত থেকে উঠে আসিনি। তাই আমার বাবার বাড়িতে আমার এবং মায়ের তোমার চেয়ে বেশি অধিকার আছে। একবার যেহেতু এই বাড়িতে ঢুকিয়েছো আমার আর কী করার? এখন দেখো তোমায় কীভাবে নক্তের ন্যায় পুড়িয়ে যাই। আমি মায়ের মতো এতো সাদা-সিধে নই যে তোমার দুই একটা নরম বুলিতে পুরানো কথা ভুলে যাবো।’
বলেই হনহন করে নিজের ঘরে চলে যায় রথি। মার্জান বুঝতে পারে সে কতো বড় ভুল করেছে। এই মেয়ে এখন অনেক চালাক হয়ে গেছে। এখন কী হবে? ওদের সঙ্গে থাকা যে মার্জানের পক্ষে অসম্ভব! ভাবতেই একটা শুকনো ঢোক গিললো সে।
সেদিন বিকালে রথি এবং আবির আবারও এক সঙ্গে বের হলো। রথির বের হওয়ার একদম ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু ওই চাচীর জ্বালায় বের হতে বাধ্য হয়। সে বুঝে না বারংবার আবিরের গলায় রথিকে ঝুলানোর মানে কী? আবির কী তার আপন কেউ? আর আবিরটাই বা কেমন বলদ যে কিনা মায়ের এসব কাজ নিরবে সহ্য করছে। এই মা-ছেলের ভাব-গতিক কিছুই সন্তুষ্ট করছে না রথিকে।
————————
-‘চাচী আপনি যেটা চাইছেন সেটা কিন্তু ঠিক না!’
-‘অবশ্যই ঠিক। তুমি মানো আর না মানো, আবিরের জন্য রথিকে আমার ভিষণ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু তোমার জন্যই বেয়াইয়ের কাছে আবদারটা করতে পারছি না!’
-‘কিন্তু চাচী…!’
চাচী চোখ গরম করে তাকালো, মার্জানের দিকে। মার্জান কিছু বলার সাহস পেলো না। নিজের অজান্তেই চুপ করে রইলো।
—
আবির রথিকে নিয়ে একটা ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটছে। আর রথি তিক্ততায় ভ্রু খানিকটা কুচকে রেখেছে। আবির নিরবতা ভেঙ্গে রথির উদ্দেশ্যে বলে,
-‘আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো!’
রথি থেমে যায়। বিরক্তিটা ভেতরে চেপে রেখেই বললো,
-‘বলুন!’
আবির যখনই কিছু বলতে নিবে ওমনি রথির পেছন থেকে কেউ ওকে টেনে নিলো। রথি পিছে তাকিয়ে দেখে নাফিসা মুচকি হেসে রথির পানেই তাকিয়ে। রথি তো নাফিসাকে দেখে বেশ খুশি হয়ে যায়!
-‘তুই এখানে? হঠাৎ?’
-‘এইতো শপিং এ যাচ্ছি। তোকে এখানে দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসলাম। তা উনি কে?’ আবিরকে উদ্দেশ্য করে বললো নাফিসা।
আবিরের মাথা তো ততক্ষণে হ্যাং আউট হয়ে গেছে। সে নিষ্পলক দৃষ্টিতে নাফিসার দিকে তাকিয়ে রয়। নাফিসার সাথে ওর চোখাচোখি হতেই আবিরের ধ্যান ভাঙলো। রথি হেসে বলে, ‘ও আবির!’
আবির রথির কথা কানে না নিয়ে নিজেই নিজের ইন্ট্রোডাকশন দেয় নাফিসার দিকে হাত বাড়িয়ে।
-‘হাই, আমি আবির মাহমুদ! ঢাকাতেই একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত। আপনার নাম?’
আবিরের হুট করে বলা কথাগুলো নাফিসার মাথার উপর দিয়ে গেলো। আর রথি, সে তো হা করে আবিরকে দেখছে। আবিরের হুট করে গিরগিটির ন্যায় রূপ বদলানোটা রথি কেন যেন হজম করতে পারছে না। নাফিসা নিজেকে সামলে আবিরের সাথে হাত মিলিয়ে বলে,
-‘আমি নাফিসা। এবার অনার্স লাস্ট ইয়ারে আছি। আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো।’ মুচকি হেসে বলে নাফিসা। নাফিসার এই হাসিটা আবিরের বুকে সুঁইয়ের ন্যায় বিঁধে গেলো। নাফিসা হাত ছাড়িয়ে রথিকে তাড়া দিয়ে বলে,
-‘ভালো কথা। আমি তোকে আমার সঙ্গে নিতে এসেছি। তোর চয়েজ ভালো, শপিংয়ের ক্ষেত্রে। তাই তুই আমার সাথে যাবি। আর মিঃ আবির, ভালো থাকবেন, আপনার বোনকে নিয়ে যাচ্ছি!’
শেষোক্ত কথাটি নাফিসা ইচ্ছে করেই বললো। কিন্তু আবিরের এতে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখায় নাফিসা কিছুটা অবাক হলো। আবির যেভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে যেন ওই দৃষ্টি দিয়ে নাফিসাকে আস্ত গিলে ফেলবে। নাফিসা বিষম খেলো। অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে আবিরকে বিদায় দিয়ে রথিকে নিয়ে চলে গেলো। আর আবির? সে এখনো নাফিসার পথে তাকিয়ে আছে। আবির আনমনে বলে উঠলো,
-‘এটাই কী তবে, লাভ এট ফাস্ট সাইট?’
———————
-‘এটা কে রে ভাই, যেভাবে তাকিয়েছিলো যেন আমায় আস্ত গিলে ফেলবে?’
-‘ভাবীর কাজিন। সেটা বাদ দে, তুই আমায় এভাবে মাঝরাস্তা থেকে টেনে আনলি কেন?’
নাফিসা মুখে কিছু বললো না, ইশারায় সামনে তাকাতে বললো। রথি সামনে তাকিয়ে আরেকদফা বিষম খেলো। পুলিশম্যান! গাড়ির সঙ্গে হেলান দিয়ে একদম ফিল্মি হিরোর মতো দাঁড়িয়ে আছে। তবে আজ তার লুকটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্ল্যাক শার্ট যার হাতা কনুই অবধি ফোল্ড করা, ব্ল্যাক জিন্স আর ব্ল্যাক শু, হালকা বাতাসে অবাধ্য কয়েকগাছা চুল অসমান্তরাল ভাবে উড়ছে। আপাদমস্তক মানুষটাকে দেখে রথির জ্ঞান হারানোর উপক্রম। হা করে সে তাকিয়ে আছে নাশিদের পানে। নাশিদ তখনো রথির দৃষ্টি খেয়াল করেনি। নাফিসা পাশ থেকে রথিকে আলতোভাবে ধাক্কা দিয়ে বলে,
-‘মুখ বন্ধ করে ভাইকে দেখ, মশা ঢুকে যাবে তো!’
নাফিসার এরূপ কথায় রথি লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললো। নাফিসা মুচকি হেসে বললো,
-‘খুব তো বলতি আমার ভাই গম্ভীর টাইপ পুলিশ, তার প্রেমে পরলে গর্তে পরবি টাইপ কথাও বলেছিস। এখন তলে তলে এসব করে বেড়াচ্ছিস?’
রথি নাফিসার কাঁধে এক চড় মেরে বললো,
-‘মুখে লাগাম দিয়ে কথা বল!’
-‘সত্য বললেই এই বান্দা দোষী? বাহ!’
এসব বলতে বলতেই ওরা নাশিদের গাড়ির সামনে আসলো। নাশিদ রথিকে দেখেও না দেখার ভান করলো। রথির প্রতি নাশিদের এই ইগনোরেন্সটা তার মনে বেশ আঘাত করলো তবে রথি মুখ ফুঁটে কিছু বলেনি। রথি পেছন সিটের দরজা খুলতেই নাশিদ বাজখাঁই গলায় বলে উঠলো,
-‘নাফিসা! ওকে বলে দে আমি কারো পার্সোনাল ড্রাইভার না!’
রথি চোখ গরম করে নাশিদের দিকে তাকালো। কিন্তু নাশিদ রথির দিকে না তাকিয়েই গাড়িতে উঠে বসলো। এই প্রথম নাশিদের প্রতি রথির চরম রাগ লাগলো। নাফিসা মুখ টিপে হেসে বললো,
-‘যা গিয়ে সামনের সিটে বস!’
রথিও কম নয়। সেও বলে উঠলো,
-‘আমি কেন বসতে যাবো? তোর ভাই তুই তার পাশে গিয়ে বস। আমি খামোখা বসে কী করবো? আর এইযে পুলিশ এসব ভাব আপনি আপনার পকেটেই রাখুন। নাফিসা আমি গেলাম, তোর এই হিটলার ভাইয়ের সঙ্গে কোথাও যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই!’
বলেই সামনে এগোতে নিলো তখনই নাশিদ দরজা খুলে রথির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। নাশিদও চোখে ক্রোধ এনে বললো,
-‘আমি হিটলার? আমি হিটলার হলে এতদিনে তোমায় হিটারের মাঝে পোড়াতাম! তা না করে তোমায় হেল্প করেছি। সামান্য সম্মানবোধ তোমার মধ্যে নেই নাকি?’
-‘না নেই। যে আমার সঙ্গে যেরূপ ব্যবহার করবে আমি ঠিক সেরূপ ব্যবহারই উপহার দিবো।’
-‘রথি, মাথা গরম করিও না। গাড়িতে ওঠো!’ চিবিয়ে চিবিয়ে বললো নাশিদ।
রথি এবার পুরোপুরিভাবে নাশিদের দিকে তাকাতেই রথি আঁতকে উঠলো। চরম রেগে আছে সে, যা দেখে রথি তার হুঁশে ফেরে। আয়হায়! কী বলতে কী বলে ফেলেছে সে? নাশিদের সঙ্গে তো সে কখনোই এমন ব্যবহার করেনি, তাহলে আজ কোন ভূত তার মস্তিষ্কে ভর করলো? রথি কিছুটা বিব্রতবোধ নিয়ে দৃষ্টিনত করে ফেললো এবং চুপচাপ ভদ্র মেয়ের মতো সিটে গিয়ে বসলো। নাফিসা এবং নাশিদ দুজনেই চমকে গেলো রথির হঠাৎ চুপ হওয়া দেখে। তবে যাই হোক, নাফিসা নিরব দর্শকের মতো ওদের ঝগড়াটা বেশ উপভোগ করেছে। কে জানতো, কোনো এক সময় ওদের ঝগড়াও সে নিজ চোখে দেখতে পারবে?
নাশিদ এবার নাফিসার উদ্দেশ্যে বললো,
-‘এখন তোর কান ধরে গাড়িতে উঠাতে হবে?’
ভাইয়ের মেজাজ দেখে নাফিসাও বাধ্য মেয়ের মতো গাড়িতে উঠে বসলো। ও উঠতেই নাশিদও উঠে বসলো। নাশিদ এবং নাফিসা ঘুরতে বেরিয়েছিলো কিন্তু ব্রিজে ওদের একসঙ্গে দেখে নাশিদই নাফিসাকে বলে রথিকে আনিয়েছে। নাফিসা ভাইয়ের ভাব-গতিক বুঝলেও মুখে কিছু বলে না। থাকুক না আড়ালে নাশিদের এই স্বচ্ছ অনুভূতিগুলো!!
গাড়িতে উঠতেই যখন গাড়ি স্টার্ট দিবে তখনই আবারও নাশিদ ঠ্যাস মেরে রথিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-‘তোর বান্ধুবিকে বল যেন সিটবেল্টটা বেঁধে নেয়। নয়তো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাকে দিয়েই উপরমহল ওনার পোস্টমর্টেম করাবে!’
রথি এবার তীর্যক দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো নাশিদের দিকে। কিন্তু আফসোস রথির দৃষ্টি দেখলো না নাশিদ। পেছন থেকে নাফিসার হাসির শব্দ কানে ভেসে আসছে। রথি চিবিয়ে চিবিয়ে বললো,
-‘আমার সিটবেল্ট বাঁধলে দম আটকে আসে। তাই আমি সিটবেল্ট বাঁধবো না। আর দুর্ঘটনা ঘটলে তো আপনারই লাভ! আপনার ওই আগুনে গোলার ন্যায় রাগটা আমায় পোস্টমর্টেম করে কমাবেন!’
রথির কথাগুলোতে নাশিদের ভেতরটা ধক করে উঠলো। তীব্র একটি যন্ত্রণা অনুভব করছে সে। নিজেকে খানিক সামলে সে গাড়ি স্টার্ট দেয়। রথি আর কিছু বলে না। জানালার বাইরে তাকিয়ে আজ সারাদিনে নাশিদের করা ব্যবহারগুলো এক এক করে মনে করতে লাগলো। নাশিদের ব্যবহার হঠাৎ পাল্টে যাওয়া, বিষয়টি তাকে ভীষণরকম ভাবাচ্ছে।
নাশিদ ইয়া বড় শপিংমলের সামনে গাড়ি দাঁড় করালো। এতক্ষণে মাগরিবের আযান দিয়েছে। রথি তড়িঘড়ি করে মাথায় ওড়না দেয় যেটা নাশিদের চোখ এড়াইনি। এই দৃশ্যটি সে তার নজর বন্দি করে রাখলো। নাশিদ ওদের সঙ্গে শপিংমলে ঢুকলো না। নাফিসা রথিকে নিয়ে নিজের মনমতো শপিং করে তবেই ফিরলো। পরশু প্রোগ্রাম, সেই নিয়েই শপিং।
নাফিসা অবশ্য রথিকে একজোড়া ঝুমকা আর নীল চুড়ি উপহার দিয়েছে। রথি কোনক্রমেই নিতেই চায়নি কিন্তু নাফিসার জেদের কাছে হার মেনে নিতে বাধ্য হয়। তবে রথিও নাফিসাকে এক জোড়া দুল উপহার দিয়েছে। নাফিসা এবং রথি আসলে নাশিদ গাড়ি স্টার্ট দেয় এবং রথিকে তার বাসায় ড্রপ করে দিয়ে চলে যায়। রথি ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
কোনো ছেলের গাড়ি থেকে রথিকে নামতে দেখে ফেলে শামুন। সে হাত দুটি মুঠ করে রাগে সাপের ন্যায় ফোঁসফোঁস কররে লাগে।
~চলবে।