হৃদপূর্ণিমা পর্ব -১১

#হৃদপূর্ণিমা
লাবিবা_ওয়াহিদ
| পর্ব ১১ |

জনমানবপূর্ণ স্টেশন। প্রতিদিনের চেয়ে আজ যেন বেশি মানুষ মৌমাছির ন্যায় গিজগিজ করছে। মাছের বাজারের চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি। আগামীকাল ছুটির দিন বিধায় মানুষরা হয়তো তাদের সেই পরিচিত মাতৃ-কোলে নয়তো-বা এদিক সেদিক ঘুরতে যাচ্ছে। এতো এতো ভীড়ে আমি নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের একটি বেঞ্চে বসে সঠিক ট্রেন আসার অপেক্ষা করছি। গরমে আমার সব গুলিয়ে আসছে। কিছুক্ষণ পরপরই ওড়না দিয়ে ঘাম মুছছি। ভেবেছি দেরী করে পৌঁছাবো কিন্তু এখানে এসে শুনি ট্রেন আসতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে৷ এসব ভালো লাগে? বারংবার হাতঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি এবং বোতল হতে দুই এক ঢোক পানি খাচ্ছি। গরমের সময় আমার পিপাসা বেশি পায় তাই ব্যাগে হাফ লিটারের একটা বোতল থাকবেই। এসব কথা চিন্তা করতে করতে আমার অপেক্ষার অবসান হলো। ট্রেন তার দ্রুতগামী বেগ কমিয়ে ধীরে ধীরে এসে স্টেশনে থামলো।
ট্রেন থামতেই আস্তে আস্তে যাত্রীরা নামতে লাগলো। লালমনিরহাটের থেকে ট্রেনটি এসেছে। খুব বেশি ভীড় নেই। আমি আবিরকে কল করলাম আমার সঠিক অবস্থান জানানোর জন্য। আসার পূর্বে ভাবীর থেকে আবিরের নাম্বারটা নিয়ে এসেছি এবং ওর সাথে অল্প খানিক কথা বলেও জানিয়েছি আমি ওদের রিসিভ করবো। তাই আবির জানে আমি এসেছি। কয়েকবার রিং হতেই আবির রিসিভ করলো। আমি ওকে আমার অবস্থান জানিয়ে সেই বেঞ্চিতে বসেই ওদের অপেক্ষা করতে লাগলাম। ১০ মিনিট বাদেই আবির চাচীকে নিয়ে চলে আসে৷ চাচীকে দেখে আমি তাকে সালাম দিলাম। উনি মুচকি হেসে সালামের উত্তর নিয়ে বলে,

-‘কেমন আছো রথি? কতো বড় হয়ে গেছো মাহশাল্লাহ!’

আমি প্রতিত্তরে মুচকি হাসলাম। অতঃপর বললাম,

-‘জ্বী চাচী আলহামদুলিল্লাহ আপনি?’

-‘আমিও ভালো। এখন জলদি বাসায় চলো তো আমার তো এই ভীড়ে বমি বমি পাচ্ছে।’

-‘হ্যাঁ। আবির ওনাকে আমি ধরছি আপনি লাগেজ গুলো ধরুন!’

আবির মাথা নাড়ায়। অতঃপর তিনজন কথা বলতে বলতেই স্টেশনের বাইরে যাচ্ছিলো। তৎক্ষনাৎ নাশিদ ওদের দেখতে পায়। কিন্তু সে রথির পাশে থাকা মহিলাকে খেয়াল করেনি।
আমরা একটি সিএনজি করে ডিরেক্ট বাসায় চলে আসলাম। আসার আগে একটা মিষ্টির দোকান থেকে আবির দই, মিষ্টি, রসমালাই ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়েছে। আমি কিছু বলিনি কারণ ওরা আমার নয় ভাবীর মেহমান। বাসায় গিয়ে আমি কলিংবেল চাপতেই বেশ কিছুক্ষণ বাদে মা এসে দরজা খুলে দেয়। মাকে দেখে আমি খানিক চমকে গেলাম। মা এই বাড়িতে কেন? মা আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে আমার পাশে থাকা চাচীকে সালাম করে আলতো কোলাকুলি করলেন। চাচী সালামের উত্তর নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন আর পেছন থেকে আবির সব ব্যাগ একসঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। আবিরকে এতো ব্যাগ আলগাতে দেখে আমি বললাম,

-‘চাচীর ব্যাগটি আমায় দিন। এতো ব্যাগ বহন করা তো সহজ নয়!’

আবির দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে একটি ব্যাগ দিলেন। অতঃপর বললেন,

-‘যাক, এতক্ষণে এই অধমের উপর মায়া হলো!’

আমি হালকা হাসলাম আবিরের বলা কথায়। অতঃপর ব্যাগ নিয়ে ওনার পিছে পিছেই চলে গেলাম। ব্যাগ রেখে আমি কৌশলে রান্নাঘরে চলে গেলাম। সেখানে ভাবী আর আমেনা ছিলো। আমি আমেনা বানুকে চোখের ইশারায় চলে যেতে বললে সে নিঃশব্দে চলে গেলো। ভাবী তার রান্নার দিকে মনোযোগ দিয়েই বলে উঠলো,

-‘কী বলতে এসেছিস?’

-‘মা এখানে কেন? আবার কোন নাটক শুরু করলে?’

ভাবী শব্দ করে খুন্তিটা ছেড়ে দিলো রান্নার পাতিলে। অতঃপর আমার পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে বললেন,

-‘ওরা আমার আত্নীয়। আমি চাই না আমার সমস্যা বাইরের মানুষ জানুক। বাহিরের সবার কাছে আমরা সুখী পরিবার। ইভেন এখনো আমরা সুখী! আর কোনো প্রশ্ন? না থাকলে নিজের ঘরটাকে গুছিয়ে নাও, এখন থেকে কিছুদিন আমাদের সঙ্গেই থাকবে!’

আমি তার দিকে ঘৃণিত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে রইলাম। একটা মানুষ যে স্বার্থের জন্য আর কী কী করবে আল্লাহ ভালো জানে! আমি কিছু না বলেই রান্নাঘর ত্যাগ করলাম। এই মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে গেলেও আমার গা গুলিয়ে আসে। নিজের আগের রুমের দিকে যাওয়ার আগেই তাতানের সঙ্গে দেখা। আমি হাঁটু গেড়ে বসে তাতানকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে রাখলাম। চোখের কোণ আবারও ভিঁজে যায়। তাতান ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললো,

-‘তোমায় অনেক মিস করেছি ফুপ্পি। কিন্তু আম্মু আমায় তোমার কাছে যেতে দেয় না। আম্মু পঁচা!’

আমি চোখ বুজে চোখের জল ফেলে হালকা হেসে বলে,

-‘এভাবে বলতে নেই সোনা। তোমার মা ভালো। মায়েরা সবসময় ভালো হয়। যাইহোক বাদ দেও, এখন যে ক’টাদিন আমি আমার তাতান বাবার সঙ্গে আছি তা আমার তাতান বাবা জানে?’

তাতানকে নিজের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে শেষোক্ত কথাটি বললাম। তাতান এতে অনেকটা খুশি হলো! সে আবারও আমায় ঝাপটে ধরলো! ওকে নিয়ে আমার রুমটাতে চলে আসলাম। এতদিন পর নিজস্ব রুমের ঘ্রাণ নিতে পেরে কেমন অসাধারণ ভালো লাগা কাজ করছে। আমি আর তাতান মিলে ধুলো-বালি পরিষ্কার করলাম, নতুন চাদর বিছালাম। আলমারির পাশেই দেখলাম একটি ব্যাগ। বুঝতে বাকি রইলো না, মা তৈরি হয়েই এসেছে। এখন মা চাচীর সাথে কথা বলছে। ভাবী হয়তো এখন এমন ভাব দেখাবে সে অনেক সাংসারিক। শ্বাশুড়ি, সংসার ছাড়া যেন সে কিছুই বুঝে না। আমি এসবে পাত্তা না দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হতে হতেই মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই ভাবী আমায় ডেকে পাঠালো। আমি ওড়না জড়িয়ে চলে গেলাম। মা আমার উদ্দেশ্যে বললেন,

-‘আবিরকে তাতানের ঘরে নিয়ে যা রথি। যাও বাবা ওর সাথে যাও! ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম করিও!’

আমি মাথা নাড়িয়ে আবিরকে তাতানের ঘরে নিয়ে গেলাম। এমন তো না আবির এই প্রথম এসেছে বাড়িতে। তাহলে মা এমন করে বললো কেন? ভালো লাগছে না কিছু! ধুর।

-‘আপনি কী কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত?’

আমি থতমত খেয়ে আবিরের দিকে তাকালাম। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিপাত আমার দিকেই নিক্ষেপ করে আছেন। আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললাম,

-‘না তেমন কিছু না আপনি ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম করুন!’

বলেই চলে আসতে নিবো তখনই আবির পিছু ডাকলো।

-‘এড়িয়ে চলছেন?’

আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। কিন্তু ওনার দিকে ফিরলাম না। মৃদু সুরে বললাম,

-‘তেমন কিছু না। আপনি জার্নি করে এসেছেন, রেস্ট করুন এখন। আমি আপাতত যাই, পরে নাহয় কথা হবে!’

আমার কথায় আবির যেন সন্তুষ্ট হলো। সে হেসে বললো,”ঠিক আছে!”

-‘আচ্ছা নাফিসা, রথির কী রিলেশন আছে?’

নাফিসা চোখ বড়ো বড়ো করে তার ভাইয়ের দিকে তাকালো। নাশিদের দৃষ্টি দূর আকাশের দিকেই সীমাবদ্ধ। নাফিসা বুঝলো না হঠাৎ এমন প্রসঙ্গের কারণ কী? নাফিসা থতমত খেয়ে কিছুটা অস্ফুট স্বরেই বললো, ‘না ভাই!’

নাফিসার এই একটি বাক্যে নাশিদ কোথায় যেন কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলো। সে আগের ন্যায় আকাশের দিকেই তাকিয়ে রয়। নাফিসা বললো,

-‘হঠাৎ এ প্রসঙ্গ কেন?’

-‘না, তেমন কিছু না। গতকাল স্টেশনে দেখলাম একটা ছেলের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছে!’

নাফিসা নিজেও কিছুটা ভাবনায় পরে গেলো। পরমুহূর্তে নাফিসা হাসার চেষ্টা করে বললো,

-‘হয়তো ওর ভাবীর কোনো আত্নীয়। ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তো ওর আত্নীয়রা প্রায় বিচ্ছিন্ন।’

নাশিদ চুপচাপ-ই দাঁড়িয়ে রইলো। এখন যেন সে হুটহাট ভাবনায় হারিয়ে যায়। নাফিসাও একইভাবে দাঁড়িয়ে আকাশের পানে চোখ দিলো। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হতেই হুট করে নাফিসা প্রশ্ন করলো,

-‘ভালোবাসিস, রথিকে?’

নাশিদ বিস্মিত দৃষ্টিপাত নাফিসার দিকে নিক্ষেপ করলো। নাফিসা তখনো আশা নিয়ে নাশিদের পানে তাকিয়ে রয়। কিন্তু নাশিদ কোনপ্রকার উত্তর দিতে পারে না। এই ‘ভালোবাসা’ শব্দটি তাকে কঠোরভাবে নাড়িয়ে তুলেছে। “ভালোবাসি না!” এইটুকু যেন তার গলা দিয়ে বের হচ্ছে না। এমন কেন হচ্ছে? নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ লড়াই করে শেষ অবধি বলেই ফেললো,

-‘নাহ!’

নাফিসা তপ্তশ্বাস ফেলে আগের ন্যায় দাঁড়িয়ে রয় কিন্তু নাশিদ দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না। সে ধপাধপ পা ফেলে নিচে চলে গেলো। কেন যেন রথির চেহারাটা তার মাথায় গোল গোল করে ঘুরছে যা নাশিদকে বিরক্ত করে তুলছে। সে না পেরে ইউনিফর্ম করে বাড়ি থেকেই বেরিয়ে গেলো। নাফিসা ছাদ থেকে নাশিদকে দেখলো সে গাড়ি নিয়ে চলে যাচ্ছে। নাফিসা এবার ফোন বের করে নাশিদের ওই অবস্থার একটা ছবি তুলে নেয়। মাথায় তার দুষ্টু বুদ্ধি চেপেছে।

-‘ফুপ্পি, মামা চলো না ফুচকা খেতে যাই। কতদিন হলো খাই না!’

আমি কোণা চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে ফের তাতানের দিকে তাকালাম৷ আমি কিছু বলার আগেই আবির বলে উঠে,

-‘তো চলো যাই। এই একদিন বাসায় বসে থেকে থেকে আমি ক্লান্ত।’

ভাবী আড়চোখে একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলে,

-‘তো বেশ! তাতান তোমার মামার সাথে যাও!’

তখনই চাচী ভাবীর উদ্দেশ্যে বলে,

-‘রথি কী তাহলে বাসায় বসে থাকবে নাকি? আবির, রথিকেও সাথে করে নিয়ে যা। তিনজন একসাথে থাকলে ভালো লাগবে!’

আমি বিস্মিত হয়ে আবিরের দিকে তাকালাম। আবিরের ঠোঁটে হাসি। এই হাসিটা আমার ভালো লাগলো না। তাও চাচীর মুখের উপর কিছু বলতে পারলাম না। মা আমায় সাবধান করেছে যেন ওনার মুখে মুখে তর্ক না করি। এই মানুষটা এই ভালো আবার দারুণ রাগী! ওনার সাথে অনেকটাই ব্যবহার মেইনটেইন করে চলতে হয়। আমি মাথা নাড়িয়ে নিজের ঘরে চলে গেলাম রেডি হতে। আর আবির তাতানকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলো। ওরা চলে যেতেই চাচী মুচকি হেসে রথির মায়ের উদ্দেশ্যে বললো,

-‘আপনার মেয়ে বেশ শান্ত-শিষ্ট, ঠিক আগের মতোই। এমন লক্ষী মেয়ের যেন কারো নজর না লাগে!’

মার্জান তার চাচীর প্রসংশা চুপচাপ শুনলো তবে মুখে কিছু বললো না। তার ভেতরে কখন কী চলে কেউ-ই বলতে পারে না। তাই আপাতত মার্জান তার চাচীকে ঘাটতে চাইলো না।

নাশিদ গাড়ির স্টেয়ারিং এ আঙুল চালাতে চালাতে জ্যাম ছাড়ার অপেক্ষা করছে। তার ভেতরে এখনো নাফিসার বলা কথাগুলো অনবরত ঘুরঘুর করছে। কিছুতেই সে এই চঞ্চল চিন্তামহলকে নিজের থেকে দূরে রাখতে পারছে না। একটার পর একটা চিন্তা যেন তার মাথায় ছিদ্র করে করে ঢুকছে।

চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলার জন্য আশেপাশে তাকাতেই সে আবারও রথিকে এবং আবিরকে একসাথে দেখে ফেললো যা দেখে নাশিদ কিছুটা রেগে গেলো তবে সে নিশ্চুপ! আহ কী সুন্দর কথা বলছে আর ফুচকা মুখে পুরছে। দৃশ্যটা নাশিদের একদমই ভালো লাগছে না। তাই সে চোখ সরিয়ে নেয়। দুইদিনে এই ছেলেটা কোন আহামরি হয়ে গেলো সেটাই নাশিদের মগজে ঢুকছে না! জ্যাম ছাড়তেই সে আরেক পলক ওদের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো। অসহ্য লাগছে তার সবকিছু।

.

-‘স্যার আপনাকে কিছুদিন ধরে অন্যমনস্ক লাগছে যে?’

-‘কিছু না নয়ন! এমনি!’

-‘আপনি কী ওই মেয়েটিকে নিয়ে চিন্তিত?’

নাশিদ কলম ঘুরানো বন্ধ করে ঘাড় উঁচু করে নয়নের দিকে তাকালো। নয়নের দৃষ্টিতে কৌতুহল স্পষ্ট! নাশিদ মৃদু স্বরে বলে,

-‘নিজের কাজে যাও। কাজ না থাকলে বাড়ি যাও, এসব মেয়ে-টেয়ের কথা থানায় তুলবে না!’

নয়নের দাঁত কেলানো ফুঁস। সে ঘাড় কাত করে চলে গেলো। নাশিদ এবার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে চোখ বুজে রইলো। সেই দৃশ্যটা এখনো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। একটু প্রশান্তি চাচ্ছে নাশিদ। নয়তো তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসবে।

.

এভাবেই কিছুদিন অতিবাহিত হয়। আমি সবে কোচিং থেকে বেরিয়ে রিকশার জন্য দাঁড়ালাম। এখন বাসায় তাড়াতাড়ি যেতে হয় তাই হেঁটে যাওয়া সম্ভব না। আবার রিক্সায় চড়লে রিক্সাওয়ালা অন্য রাস্তা দিয়ে যায় বলে সে আর নাশিদকে দেখতে পায় না। কারণ রাস্তাটি থানার উল্টোপথে। আমি আনমনে এসবই ভাবছিলাম তৎক্ষণাৎ রাস্তার অপরপাশে পুলিশম্যানকে দেখে আমি খানিক চমকে উঠলাম। একি উনি তো রাস্তা পার হয়ে আমার দিকেই আসছে। কিন্তু ওনার মুখ এমন লাল হয়ে আছে কেন? শুকনো ঢোক গিললাম, এখন নাশিদ কী আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাবে? কিন্তু আমি তো অপরাধী নই।
উনি ঠিক আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে আমার দিকে ঝুঁকে গেলো আর আমি সঙ্গে সঙ্গে সরে গেলাম।

~চলবে।

বিঃদ্রঃ গল্পটি কী ভালো লাগছে না?😥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here