হৃদমাঝারে শুধুই তুই পর্ব -০৫

#হৃদমাঝারে_শুধুই_তুই
#লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা
পর্ব-৫

টাওয়েল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে ঠোটে মুচকি হাসি ঝুলিয়ে টেন্ট থেকে বেরোলো আরমান।পরনে অফ হোয়াইট থ্রি কোয়াটার প্যান্ট,হোয়াই গেন্জি।আদিব বাইরেই ঘাসের উপর বাবু হয়ে বসে ছিলো।চোখেমুখে একরাশ চিন্তা ওর।আরমানকে বেরোতে দেখেই হন্তদন্ত হয়ে উঠে দাড়িয়ে বললো,

-এই তোর ধান্দাটা কি বলতো?

আরমান ওর দিকে না তাকিয়ে ওভাবে হাসতে হাসতেই বললো,

-কিসের ধান্দা?

-তুই এখন কি করতে চাচ্ছিস?

একপলক তাকালো আদিবের দিকে।তারপর তোয়ালেটা বাধা দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়ে চুলগুলো হাতে উল্টাতে উল্টাতে বললো,

-আর্টিকেল কমপ্লিট করবো এখন।

বলেই ল্যাপটপ নিয়ে নিচে বিছানো মাদুরে বসে গেলো।ওখানে কিছু কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে,সেগুলো গোছাতে লাগলো।আদিবের মাথায় কিচ্ছু ঢুকছে না।সকাল অবদি যে ছেলেটা ওই ক্যামেরাধারী মেয়ের জন্য সাইকো টাইপ বিহেভ করছিলো,এতোটা শান্ত হয়ে গেলো কি করে?ঝর্নার ধারে ওই‌ মেয়েটার সাথেও বেশ অনেকক্ষন কথা বলেছে।আরমানের এসব কাজের সাথে তো ও অপিরিচিত।এমন তো নয় ও!তাহলে?

-ওই‌ মেয়েটার কি হবে তাহলে?যে যামিনী তোর ঘুম কেড়েছে!

ভাবলেশহীন ভাবে আরমান উত্তর দিলো,

-সেই এসে আমার নিশ্চিন্ত ঘুুমের কারন হবে।

-মানে?

আরমান খুব স্বাভাবিকভাবে বললো,

-মানে যদি উপরওয়ালা চায় তবে আমাদের দেখা হবে।

আদিব এবার এগিয়ে গিয়ে আরমানের পাশে বসে কাধে হাত রাখলো।বললো,

-তাহলে কি বুঝে নিবো তুই মেনে নিয়েছিস ওই মেয়েটাকে আমরা খুজে পাবো না?

আরমান জোরে শ্বাস নিলো একটা।তারপর আদিবের দিকে ঘুরে বসে বললো,

-কি দিয়ে খুজতাম ওকে?

আদিব ভ্রুকুচকে তাকালো।আরমান আবারো বললো,

-বল না!কি দিয়ে খুজবো ওকে?

-কেনো?ক্যামেরাটা আছে তো!

-এটা তারই ক্যামেরা রাইট?

-হুম!তার হাত থেকেই তো পরেছে।তুই নিজেই তো বললি দেখেছিলি।

-তাহলে সেও অবশ্যই চাইবে এটা খুজে পেতে?

-হ্যাঁ।সেটাইতো স্বাভাবিক।

-তো আমরা কেনো ভুতের বেগার খাটবো ইয়ার!যার জিনিস,সে অবশ্যই খোজ করবে।

-তা বলে তুই,,,

আরমান বাকা হেসে বললো,

-ডোন্ট প্যানিক মেরে ব্রো!আগে আগে দেখো হোতাহে কেয়া!

-আরমান!না খুজলে তো,,,

আরমান বিরক্তি নিয়ে বললো,

-বেশিই ভাবিস তুই!যা সর!কাজ করতে দে আমাকে।ডিস্টার্ব করিস না তো।লান্চ করতে বেরোবো।কি জানি‌ কপালে কি খাবার আছে!

খাবারের কথা শুনে আদিবেরও মনে পরলো দুপুরের খাওয়া হয়নি এখনো।সকালে আগেরদিন রাস্তায় কেনা কাপ নুডুলস্ খেয়েছে।এবার তো একটা বন্দোবস্ত করতে হবে।আরমান চেয়েছিলো নিজেরাই রান্না করে খাবে।কিন্তু সেক্ষেত্রে বাজারটা তো করতে হবে।তাই এ বেলাটায় আর নিজেদের রান্না করা খাবার জুটছে না।এলাকায় বেরিয়ে দোকানের খাবারই খেতে হবে।কিছুটা কাজ সেরে দুজনে বেরিয়ে পরলো দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।

-বাহ্ পাখি!বেশ তো!ভুলে গেছো আমাকে!

-আগে বলো কেমন আছো?

-আলহামদুলিল্লাহ শরীর ভালো আছে।

-মন খারাপের কারনটা বুঝি আমি?

-বুঝো তুমি?

-এ্যাঁআআআ!আপি প্লিজ!কেদে দিবো কিন্তু!

-আরে আরে!এই পাখি!কাদবা না একদম।জাস্ট লেগপুল করছিলাম তো!আমি জানি তুমি এক্সাম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে,তাই কল করোনি।

রিয়াপি!!!এমনটাই ও।জানতাম,কাদার কথা বললেই আর কোনো অভিমান থাকবে না ওর।ন্যাকিস্বরে বললাম,

-ও আপি!তুমি কেনো কল করোনি আমাকে?

-ভেবেছিলাম পড়া থেকে ডিস্ট্রাক হবা।জানোই তো কথা বলা শুরু হলে শেষ হয়না আমাদের।

নাক টেনে বললাম,

-তাই বলে এমন?

-হুম।তবে আর হবে না।কষ্ট হচ্ছিলো।

-আমারো।

-আচ্ছা বাদ দাও এসব।কেমন হলো এক্সাম?

-মোটামুটি।

-আর ওখানে কেমন লাগছে?

মনটা খারাপ হয়ে গেলো সবটা মনে পরে।ওকে বলতে পারলে ভালোলাগতো।কিন্তু নাগরশাল নিয়ে ওকে এখন কিছু বললে ওউ টেনশন করবে ভেবে আর কিছু বললাম না।

-ভালোই।এখানে শিমুল নামের একটা মেয়ের সাথে খুব ভাব হয়েছে আপি।

-বেশ তো।তা আসছো কবে?

-ঠিক নাই!

-কেনো?এভাবে বলছো যে?

-ন্ না মানে,মামা বলেছে এখানে ঘুরাবে কিছুদিন।

-ওহ্!ভালো তবে।এন্জয় করো।

-হুম।আপি তোমার অফিসে জয়েনিং ডেট কবে?

-বলেছে পনেরো তারিখে।তুমি থাকবা না সেদিন পাখি?

-আমি তার আগেই চলে আসবো।পাক্কা!

আপি খুশি হয়েছে তা বুঝতে পারছি।আরো কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে ব্যালকনিতে চলে আসলাম।স্তব্ধ দুপুর!বাসার মধ্যে মামী,রাহাত ঘুম!আর আমি আছি সামনের সবুজের ঢিবি দেখতে।দুরের পাহাড়টা ছোট দেখাচ্ছে।সামনের রাস্তাটায় লোকজনের যাতায়াত কম।বসে থাকতে বেশ মজা পাই।হঠাৎই মনে পরে গেলো ঝর্নায় পরে যাওয়ার ঘটনাটা।কি আজব লাগছিলো তখন।মুহুর্তটাকে থামিয়ে দিতে ইচ্ছা করছিলো তখন।কিন্তু কেনো?ওই লোকটা আমাকে খুজে পাওার জন্য এতোটা উতলা কেনো?আবার আমানত নিয়ে কি কি যেনো বলছিলেন!এসবের মানে কি?আমারই বা তার কথা ভাবতে ভালোলাগছে কেনো?যেখানে তার জন্য তিন তিনটে উপায়ে অপদস্ত হতে হয়েছে আমাকে।তবে কি শিমুল যা বললো,,,

নাহ্!ধুউউউর!কিসব ভেবে চলেছি?এখন তো আমার ভাবার কথা ক্যামেরাটা কিভাবে নিবো!হুম।তাই ভাববো।এজন্য তো আগে আমাকে ওনারা কোথায় থাকেন সেটা জানতে হবে।ওই লোকটা যেভাবে কথা বলে!ধরা পরার মতো অবস্থা হয়ে যায় আমার।ওই আদিব ভাইয়াটা একটু সাদামাটা আছে।ওনাকে দিয়ে কাজ হাসিল করানো যেতে পারে।বাকা হেসে জামাটা ছেড়ে আবারো কাপড় পরে নিলাম।নিজেকে ঠিকটাক করে ছাদ দিয়ে দড়ি বেয়ে বাসার পিছন দিক দিয়ে বেরোলাম।সামনের দিকে দাড়োয়ান মামা থাকেন।তাই পিছনের দেওয়াল ইটের তাক সাজিয়ে টপকিয়ে বাসার বাইরে চলে আসলাম।

এলোমেলোভাবে পা ফেলতে ফেলতে ক্যামেরার ফিতাটা আঙুলে জড়িয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে হাটছে আরমান।মাত্রই বেরিয়েছে একটা ছোটখাটো দোকান থেকে এখানকার বাঁশ কোড়ল খেয়ে।গুনগুনিয়ে গান গাচ্ছে-প্যায়ার তুনে কেয়া কিয়া!
আদিবের খাবারটা ভালো লাগেনি,বুকপেট ধরে হাটছে আর আরমানের কাজকর্মে অবাক হচ্ছে।একসময় বলেই উঠলো,

-এই‌ ক্যামেরাধারী মেয়েকে তুই জীবনেও পাবি না।

আরমান থেমে গিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বললো,

-কিভাবে বুঝলি?

-না খুজলে পাবি কি করে?

-ও খুজবে আমাদের।ওর জিনিস আছে না আমাদের কাছে।

-এতোটা নিশ্চিত কি করে তুই?

আরমান রহস্যজনক হাসি দিলো আবারো।কথা না বলে হাটতে শুরু করলো।আদিব আর কিছু বললো না।যেটার মধ্যে আরমান এমন সাসপেন্স রাখছে,তাতে অবশ্যই ওর হোমওয়ার্ক করা আছে এটা জানে ও।তাই মনে মনে ঠিক করলো এ বিষয়ে ওকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করবে না ও।আদিবকে চুপচাপ দেখে আরমান বললো,

-এতো তাড়াতাড়ি চুপ করে গেলি যে?রাগ হলো নাকি আবার?

-রাগ হবেনা কোনোদিন তোর উপর তা তুই ভালো করেই জানিস।এইটা মাথায় ঢুকছে না আজ জীবনে প্রথমবার মনে হচ্ছে তুই লুকিয়ে গেলি কিছু আমার কাছে।ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না।এই আর কি!

আরমান আদিবের কাধে হাত রেখে বললো,

-আদিব,আমি চাই আমার জীবনে আমার যামিনী এরকম রহস্যময়ী বেশেই আসুক।ওর প্রতিটা চাঞ্চল্যে ডুবতে চাই আমি।তাই না নিজেকে বুঝতে দিতে চাইছি,না তোকে বোঝাতে চাইছি।

আদিব জোরে শ্বাস ফেললো।কিছুই মাথায় ঢোকেনি ওর।তবুও,আরমান খুশি,ওউ খুশি।সবটা তেমনভাবেই হোক যেমনটা আরমান চেয়েছে।

আবারো পা বারিয়েছি সেই জঙ্গলের দিকে।ওই‌ মানুষটা এদিকেই কোথাও থাকে আমি নিশ্চিত।নইলে দু দুবার এখানের ধারেকাছেই দেখা হলো কিভাবে?খুজতে খুজতেই হঠাৎ কেউ হাত ধরে ফেললো আমার।এইরে!এবারো লুকিয়ে চুরিয়ে দেখার কপাল হলো না।এই লোকটার হাতে ধরা পরবোই।যাক!পাওয়া তো গেলো!কোথায় থাকে সেটা দেখেই নেবো একভাবে।মুচকি হাসলাম এই ভেবে।তারপর সিরিয়াস হয়ে পিছন ফিরতেই কপাল ভাজ হয়ে আসলো আমার।তিনটে আদিবাসি ছেলে।যে আমার হাত ধরে রয়েছে সে বাদে বাকি দুটোই দাত বের করে বিশ্রিভাবে হাসছে।আর হাতের মালিক হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।তবে চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে এরা নেশাগ্রস্ত।ভয়টার লেভেল একদম জিরো আমার।হাত ঝারা মেরে বললাম,

-অসভ্যের মতো অচেনা একটা মেয়ের হাত ধরেছেন কেনো?

এবার বাকি দুটো চুপ আর সামনের জন দাত বের করে হেসে বললো,

-ই দেখেন্ছিস?মু বুলেছিলাম লা?ইটা ইখানকার লয় রে!ইটা তো বিদেসী আছেক!

-হু রে শমু ভাই!ইটা তো সত্যিই দেকছিক ইখানকার লয়!তুয়ার ভালোই আন্দাজটো আছেক বুলতে হবেক!

আমি হাত মুচড়াতে মুচড়াতেই বললাম,

-হ্যাঁ এলাকার নই‌ আমি!অতিথি এখানকার।সো সম্মান দাও আমাকে।হাত ছাড়ো।

তিনজনই হোহো করে হেসে উঠলো।একজন বললো,

-ই জঙ্গলটোর রানী বানাবুক তুয়াকে।চল।সুম্মানটো দিবোক।চল ক্যানে!

বলেই হাত টানতে লাগলো আমার।রাগ সপ্তম আসমানে আমার।হাত ছাড়া না পেয়ে পা তুলে হাটু দিয়ে একটা গুতো লাগালাম ওর পেটে।ও হাত ছেড়ে দিয়ে মাগো বলে পেট চেপে ধরলো।আরেকজন আসতে গেলেই নাক বরাবর ঘুষি লাগিয়ে দিয়ে দৌড় লাগালাম।পিছনে তিনজনই ছুটছে আমার।কাপড়টা বাদে নর্মাল ড্রেসে থাকলে হাড়গোড় ভেঙে ওই জঙ্গলেই ঝুলিয়ে দিতাম।কিন্তু এগুলো পরে আমি কিছুটা দুর্বল।তাই পালানোই ভালো মনে করে দৌড়াচ্ছি।

ছুটতে ছুটতে পিছনে তাকিয়ে দেখছিলাম ওরা কতোদুর।জঙ্গলটাও শেষ হয়নি।সামনে তাকানোর আগেই কারো বুকের সাথে লেগে একদম মাটিতে পরে গেলাম।আহ্!বলে হাত চেপে ধরলাম।কব্জিতে লেগেছে।

বাঘের সামনে হরিণীর মতো দৌড়াতে থাকা মেয়েটাকে দেখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরমান।মেয়েটা বর্তমানে হাতের কব্জি সামলাতে ব্যস্ত।ওর পিছনে তাহলে নজন লোলুপ ব্যাক্তি ছুটছে,সামনের ব্যাক্তির জন্য রাস্তা কেটেছে এসবে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নাই তার।আদিব শুধু ভাবছে এই মেয়ে বারবার এরকম অদ্ভুত কাজ কেনো করছে আর ওদের সামনেই কেনো আসছে।

-ইসসস্!লেগেছে হাতটোতে?

সেই ছেলেটার গলা।হাতটা ঝেরে বসা অবস্থাতেই মাথা তুলে সবে বলেছি,

-আবে,তোকে তো,,,!!!

আরেহ!এটাতো ওই লোকটা।আরমান!পিছনে আদিব ভাইয়াও আছে।কি হলো কি এখানে?আরমান তার হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

-হুম?কিছু বলছিলে তুমি?খাটি বাংলায়!

এই সেরেছে!আবারো ধরা পরার মতোই অবস্থা!লোকটা বেশ চালাক।নাহ্!নিজেকে অবলা প্রমান করতে হবে এর কাছে।হাত না ধরেই উঠে দাড়ালাম।পিছনে তাকিয়ে ছেলেগুলোকে দেখলাম।একটার নাক ফাটিয়েছি,রক্ত পরছে।আরমানের পিছনে দাড়িয়ে বললাম,

-মুকে বাচান!ই ইরা মুকে,,,

-আহা!ই পাখিটো ইখন ইভাবে কুথাটো বুলছেক?আর ই শহুরে বাবুরা,ভাগো তো তুমরা।ই মেয়টোকে লাগবেক মুদের।

ওদের বাজে কথার চেয়ে পাখি বলে ডাকাটা বেশি গায়ে লাগলো।ওটা আমার রিয়াপি ডাকে আমাকে।ইচ্ছা তো করছে মেরে তক্তা বানিয়ে দেই।তবে এই লোকদুটোর সামনে অমন বিহেভ করা যাবে না।দাতে দাত চেপে চুপ করে রইলাম।এরা নিশ্চয়ই ফিল্মের হিরোদের মতো মারপিট করবে।আমি খামোখা প্যারা নিবো কেনো?আরমান গেন্জির উপর পরে থাকা সবগুলো বোতাম খোলা কালো শার্টটার গলা ধরে ঝাড়ি মারলো।আমি একটা বিশ্বজয়ের হাসি দিলাম।আহা!আমার জন্য এখানে মারপিট হবে!হাউ এক্সাইটিং!আমার এক্সাইটমেন্টের গায়ে কাদা ছুড়ে আরমান ওই‌ ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে বললেন,

-ওকে।এন্জয়!

বিস্ফোরিতো চোখে তাকালাম তার দিকে।এটা কি মানুষ?নাকি অন্যকিছু?আদিব ভাইয়া বললেন,

-কি বলছিস তুই আরমান?মেয়েটা,,,

উনি আদিব ভাইয়ার হাত টেনে নিয়ে যেতে যেতে বললেন,

-ওকে এখানে আসতে বলেছিলো কে?এবার বুঝুক!

ওনারা একটু সরে গেছে।আমি ঠায় হয়ে দাড়িয়েই আছি।এমনটা আশা করিনি একদম।যদিও ফিল্মি কিছুই ভালোলাগে না আমার,তবে ভেবেছিলাম আজ বাস্তবে ঘটলে এক্সপেরিয়েন্সটা হয়ে যাবে।এ লোক তাতেও পানি ঢেলে দিলো?আমি কিন্তু চাইলেই নিজেকে সেইফ করতে পারবো।এজন্য এদের চলে যাওয়াও জরুরি।কিন্তু কেমন লোক এ?এভাবে একটা মেয়েকে বিপদে ফেলে চলে গেলো?শিমুলের উপর রাগ হচ্ছে আমার।ওকে এখন পেলে কাচাই খেয়ে নিতাম।ও এই লোকটাকে নিয়ে অতপসব লেকচার দিয়েছিলো!আর আমিও,,,
এরমধ্যে ওই‌ ছেলেগুলোর একজন খপ করে আমার হাত ধরলো আবারো।টানছে কোনো এক দিক।আমি আরমানদের চলে যাওয়াই দেখছি আর টলতে টলতে ওই ছেলেগুলো যেদিকে টানছে সেদিকেই যাচ্ছি।আরমানেরা একটু আড়াল হতেই হুশ ফিরলো আমার।আজ যাই ঘটে যাক!সবটার জন্য ওই লোকটাকে ক্ষমা করবো না আমি!কোনোদিনও না!!!

#চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here