হৃদয়_জুড়ে_শুধু_তুমি পর্ব ১৩+১৪

#হৃদয়_জুড়ে_শুধু_তুমি
#পর্ব_১৩
#জান্নাতুল_বিথী

এক ঘন্টা যাবত অয়নের পেছনে পেছনে ঘুরতেছি একটু তার নাম্বারটা নিতে কিন্তু সে শুধু বলতেছে তার নাম্বার কোনো মেয়েকে নাকি দিতে পারবেনা সে।তাকে নাকি ডিস্টার্ব করবে।এই কথা শুনে আমার অনেক রাগ লাগে।কিন্তু কিছু বলি নাই।দেখতে দেখতে সিমির বিয়ের দিন চলে আসে।এর মধ্যে দুইদিন আমি অয়নের সাথে কথাও বলি নাই আর না করেছি দেখা।বাড়ি ভর্তি মানুুষ গিজগিজ করছে।আমার বেশি মানুষের মধ্যে থাকতে বিরক্ত লাগে তাই রুমে বসে আছি।সব রুম জুড়েই মানুষের আনাগোনা শুধু সিমির রুম ছাড়া।কারন অয়ন নিষেধ করছে এই রুমে কারো ডুকতে।তাই কেউ সাহস করে ঢুকে না।আর আমিও শান্তিতে আছি।যাইহোক সিমিকে রেডি করানো হচ্ছে।পার্লারের মেয়েরা আসছে।সিমিকে লাল বেনারসি পরানো হইছে।চোখে গাড় করে কাজল দেওয়া গাড় লিপস্টিক মুখে অনেক সুন্দর করে মেকাপ করা।চুলগুলো বেলি ফুল দিয়ে মোড়া।সিমিকে সাজানোর পর আমি ওর দিকে মুগ্ধ নয়নে ছেয়ে আছি।কারন সিমিকে অনেক সুন্দর লাগছে।..

“উপপপপ আজকে তো তুমি শিহাব ভাইয়াকে পাগল করে দিবে।”.(ইমা)

“একদম ঠিক কইছো দোস্ত।এতোটুকুই যথেষ্ট ভাইয়াকে পাগল করার জন্য।..”(আমি)

আমাদের কথোপকথনে সিমি অনেক লজ্জা পায়।..

“উপপ আপু তোমরা এবার একটু রেডি হয়ে নাও প্লিজজ।..”(সিমি)

আমি আর ইমা দুজনেই জোরে হেসে দেই।

_______________________________

অয়ন বেচারির আজ দুদিন অবস্থা বেহাল।আজ দুদিন যাবত নিজের প্রেয়সী কে দেখছে না।কতো চেষ্টা করছে অথচ দেখাই মিললো না।অয়ন নিজের বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলো।..

“দুর এর থেকেও নিজেদের বাড়ি থাকলেই আরও বেটার হতো।”(বিরবির করে বলে অয়ন)

“কিরে অয়ন কি বিরবির করচ।.??”(রিহান)

“হ্যা হ্যা জানি অয়ন।এটা কিন্তু প্রেমে পড়ার পূর্ব লক্ষন।..”(টিটকারি করে বলে নিলা)

“প্রেমে তো পড়ছি সেই কতো আগেই।নতুন করে আবার পড়তে হবে নাকি.???”(অয়ন)

কথাটা শুনামাত্রই অয়নের সব বন্ধুরা ওওও বলে চিৎকার করে উঠে।একজন একদিক থেকে প্রশ্ন ছৃড়ে দিতেছে।অয়ন কিছু বলার আগেই একজন বলে উঠে.

“দেখ অয়ন তোর বোন আসতেছে।.???”(নিলা)

অয়ন ওইদিকে তাকাতে তার দুচোখ আটকে যায়।সিমির সাথে তার পরীও যে নামছে।আজ দুদিন পর তার পরীকে সে দেখছে।তাও আবার শাড়ি পরায়।দিয়া আজ মেরুন কালারের একটা শাড়ি পরেছে।সাথে হাত ভর্তি লাল চুড়ি। ঠোটে হালকা লিপস্টিক।চোখে গাড় করে কাজল দেওয়া।মুখে আর কোনো প্রসাদনি ইউজ করে নাই।এই টুকুতেই অয়ন ফিদা হয়ে গেছে।চোখের পলক পড়ছেনা।

________

আমি আর ইমা পাশাপাশি হাটতেছি।আমি বেহায়া দুচোখ কেনো জানি অয়নকে খুজতেছে।হঠাৎ পিচ্ছি মেয়ে এসে আমার হাত হ্যাচকা টাক দিয়ে বলে..

“আপুই আমাকে একটু ওই রুমটায় নিয়ে চলো না প্লিজজ।”

আমি পিচ্ছিটার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলি।.

“আচ্ছা ঠিক আছে চলো।তুই(ইমার দিকে তাকিয়ে) দাড়া আমি এখনই আসছি।”

বলেই আমি পিচ্ছির হাত ধরে এগিয়ে যাই।পিচ্ছি মেয়েটা আমাকে রুমের মধ্যে ডুকিয়ে বলে..

“আপুই ওই দেখো কি এটা…”(পিচ্ছি)

আমি ওই দিকে তাকাই।দেখি ওইখানে একগুচ্ছ গোলাপ রাখা।আমি ওই দিকে যেতে নিলে দরজা বন্ধ করার শব্দে চমকে উঠে পেছনে ফিরে তাকাই।দেখি দরজা বন্ধ করা আর সাথে সাথে পুরো ঘর অন্ধকারে ডেকে যায়।কেপে উঠি আমি।দরের দিকে যেতে নিলেই হাতে টান অনুভব করি।ওই দিকে ফেরার আগেই একজন আমাকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।আমি ভয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলি।একটু পিটপিট করে চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে আরও ভয় পেয়ে যাই।চারদাকে ঘুটঘুটে অন্ধকার।অচেনা লোকটি আমাকে পেচন দিকে ফিরিয়ে আমার চুলে কি যেনো করছে।এর মধ্যে আমার বকবক তো আছেই..

“আরেহ কে আপনি।আর কি করছেন এটা।ছাড়ুন আমাকে লাগছে আমার।”(আমি)

কিন্তু কে শুনে কার কথা। সে তার কাজ করে আমার হাতে কিছু একটা ধরিয়ে দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়।আর সাথে সাথে দার খুলে যায়।আমি এক দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি।হাতে তাকিয়েদেখি আমার হাতে একটা চিরকূট।যাতে লেখা..

“আজ তোমার থেকে চোখ তোলা দায় হয়ে পড়ছে প্রিয়।তারপরও তোমার সাজটা কেমন জানি সম্পুর্ন হলো না।তাই সম্পুর্ন করে দিলাম।..”

আমি আমার মাথায় হাত দিয়ে দেখি কতোগুলো বেলি ফুলের মালা দিয়ে মোড়া আমার চুল।আমার মুখে স্নিগ্ধময় হাসি ফুটে উঠে।হঠাৎ আমার সামনে একটা ছেলে এসে দাড়ায়।কিছু বলতে যাবে তার আগেই অয়ন ছেলেটাকে নীল বলে ডাক দেয়।ছেলেটা চলে যায়।আমি অয়নের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। আকাশি রঙের পাঞ্জাবি তে অয়নকে একদম হিরোর মতো লাগছে। অয়ন আমার দিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

_________________________________

দেখতে দেখতে বিয়ে শেষ হয়ে বিদায়ের সময় চলে আসে।সিমি তার বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করছে।উনারাও নিজেদের চোখের পানি আটকাতে পারে নাই।আমি অয়নকে আজ প্রথমবার দেখলাম কাদতে।একটা বোনকে ছেড়ে যাওয়ার পিলিংসটা একজন ভাই ছাড়া হয়তো আর কেউই বুঝে না।আজ আমি আমার ভাইয়ের অভাব বোধ করছি।আজ যদি আমার একটা ভাই থাকতো তাহলে কি হতো।এসব ভাবতে ভাবতেই বাড়ি এসে পৌছাই।বাবা আমাদের জন্য গাড়ি পাঠিয়েছে তাই আমরা চলে আসছি।আজ প্রায় ;;;তিনদিন অয়নের সাথে কথা বলি না আমি।ভালো লাগছে না কিছু তাই।


অন্ধকার রুমের মেঝেতে বসে আছে অয়ন।হাটুতে মুখ গুজে দিয়ার একটা ছবির দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তার মনটা অনেক খারাপ।

“দিয়ুপাখি ভেবেছিলাম তোমাকে পড়ালেখা কমপ্লিট করা পর্যন্ত টাইম দেবো।কিন্তু এখন দেখছি তোমাকে ছাড়া আমার একটা মুহূর্ত ও হাজার বছরের মতো লাগে।আমি আর পারছি না পাখি তোমাকে ছাড়া থাকতে।প্লিজজ করবে কি আমায় বিয়ে।খুব শীগ্রই তোমাকে আমার করে নেবো দিয়ুপাখি। তৈরি থেকো।..”(বলতে বলতে অয়নের চোখ থেকে একফোটা জল গড়িয়ে পড়ে)
#হৃদয়_জুড়ে_শুধু_তুমি
#পর্ব_১৪
#জান্নাতুল_বিথী

পাথরের ন্যায় বসে আছি আমি.চোখ দিয়ে পানি পড়াও বন্ধ হয়ে গেছে।আমি কি করবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।বাবা আমাকে এমন একজনের সাথে বিয়ে দিলো যে কিনা আমাকে ভালোইবাসে না।হ্যা হয়তো এটা ঠিক যে আমি অয়নকে নিয়ে চিন্তা করি।হয়তোবা পছন্দও করি।কিন্তু অয়ন তো আরেক টা মেয়েকে ভালোবাসে।হ্যা অয়নের সাথেই আমার বিয়ে হইছে।সম্পুর্ন ঘরোয়া ভাবে।মা শুধু আমাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলো অয়নকে তোর কেমন লাগে।আমি ভালো বলতেই তারা বিয়ে অব্দি চলে গেলো।আমি এমনটা কখনোই ভাবি নাই।এখন অয়ন আমাকে কি ভাববে সেটাই ভাবছি।আমি অয়নের দিকে একবার আড়চোখে তাকাই।অয়ন আমার পাশেই বসে আছে গাড়িতে।কিন্তু অয়নকে দেখে সত্যিই আমি অবাক হলাম।অয়ন এমন ভাবে বসে আছে মনে হচ্ছে এটাই হবার কথা।এই নিয়ে তার কোনো ভাবান্তর নেই।গাড়ি এসে অয়নদের বাড়ির সামনে দাড়াতেই অয়ন আমাকে পেলেই চলে যায়।আমার কোনো ভাবান্তর হলো না।কারন আমি জানি এটাই হবার ছিলো।অয়ন কোনোদিনও হয়তো আমাকে মেনে নিবে না।যাই হোক সিমি আর আরও কিছু মেয়ে মিলে আমাকে অয়নের রুমে নিয়ে আসে।আমি যেনো যন্ত্রচালিত বোরট হয়ে গেছি এমন মনে হচ্ছে।অয়নের রুম টা অনেক সুন্দর করে সাজানো হইছে।সারা রুম জুড়ে ফুলের গন্ধ মো মো করছে।আমার মনে হচ্ছে আমি কোনো ফুল বাগানে বসে আছি।

রাত ১১.৪৫

হঠাৎ দার বন্ধের আওয়াজে আমার তন্দ্রা ভাব দুর হয়।তাকিয়ে দেখি অয়ন দুইহাত ভাজ করে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি উঠে গিয়ে অয়নকে সালাম দেই।সালামের জবাব নিয়ে অয়ন এখনও আগের ন্যায় দাড়িয়ে আছে।..

“সরি আসলে আমি সত্যিই বুঝতে পারি নাই কি থেকে কি হয়ে গেলো।আপনি যখন অন্য একজন কে ভালোবাসেন তাহলে আমাকে বিয়ে করতে গেলেন কেনো।আপনার বাবাকে তো বলতে পারতেন।..”(আমি)

অয়ন একটা দীর্যশ্বাস ফেলে বলে..

“বাদ দাও তো এসব এখন। আমার ভাগ্যে তো তুমিই ছিলে।তাইতো তোমাকে বিয়ে করলাম।.”(অয়ন)

“সম্পুর্ন নিজের মতামতের বিরুদ্ধে।তাই তো.????”(আমি)

“দিয়া আমি যা করেছি নিজের মতামতের ভিত্তিতেই করেছি।এখন তুমি গিয়ে চেঞ্জ করে ঘুমিয়ে পড়ো।.!!”(অয়ন)

“মিথ্যে কথা কেনো বলেন আপনি।আমি…..”

আমাকে কথা শেষ করতে না দিয়ে অয়ন চিৎকার করে উঠে..

“দিয়া একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবে না।তোমাকে যা করতে বলছি তুমি তাই করো।”

বলেই অয়ন বেলকনিতে চলে যায়।আমি অয়নের চিৎকার শুনে ভয় পেয়ে যাই। অয়নের এমন রিয়েকশনে আমি অবাক হয়ে যাই।যাই হোক আমি গেলাম আমাকে ঘুম আপা ডাকতেছে।.


রাত ৩ টা বাজে,

“সরি দিয়ুপাখি তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। তুমি এমন ভাবে বলছো মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ঘৃনা করি।আরে বাবা ভালোবাসার মানুষকে কখনো বুঝি ঘৃনা করা যায়।খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমার ভুল ধারনা গুলোকে ভেঙ্গে দেবো।হঠাৎ বিয়ে হয়ে যাবে এটা আমার ধারনারও বাহিরে ছিলো দিয়ুপাখি। ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবাসি বলবো তারপর বিয়ে করবো।কিন্তু আমার বাবা কেনো যে এমন করলেন সেটাই জানি না।যাই হোক তবুও তুমি শুধুই আমার।অনেক কষ্ট ত্যাগের পর তোমাকে পেয়েছি আমি।আর কোনো দিনও তোমাকে একা হতে দেবো না।তোমার ছোট ছোট আবদার গুলো পুরন করার দায়িত্ব আজ থেকে আমার।”

তারপর অয়ন দিয়ার হাতে একটা আন্টি পরিয়ে দিয়ে হাতে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বলে…

“নতুন জীবনের শুভেচ্ছা তোমাকে দিয়ুপাখি।”

বলে অয়ন দিয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমায়।


“এই যে মিসেস অয়ন চৌধুরি এবার তো উঠেন।আর কতো ঘুমাবেন।.”

কারো এই ধরনের কথা শুনে আমি চোখ পিটপিট করে তাকাই।দেখি সিমি হাসি মুখে আমার মাথার কিনারায় বসে আছে।ওকে দেখতেই আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসি।চারদিকে তাকিয়ে সব কিছু বুঝার চেষ্টা করতেছি।তারর আগেই সিমি বলে উঠে..

“নিজের হবু বরের রুমে আছো তুমি ভাবি।..”(সিমি)

“ভাবি.?????”(আমি অবাক দৃষ্টিতে সিমির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করি।)

“কেনো কেনো নিজের ভাইয়ের বউকে তাহলে কি বলে ডাকবো আমি।.???”(সিমি)

সিমির কথা শুনে আমি চারপাশে একবার তাকিয়ে নেই।মূল উদ্দেশ্য অয়নকে খোজা।..

“তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেস হয়ে নাও ভাবি ভাইয়া সহ সবাই নিচে আছে তুমিও চলো।”(সিমি)

কথা শেষ করেই সিমি চলে যায়।আমি ফ্রেস হয়ে এসে দেখি চারদিকে মেঘে মেঘাচ্ছন্ন। এখনই হয়তো বৃষ্টি নামবে।এমন আবহাওয়া আমার খুব ভালো লাগে। তাই তা অনুভব করার জন্য আমি ছাদে চলে যাই।অয়নের উপরে হালকা রাগ অনুভব করি।কিন্তু পরক্ষনেই ভাবি নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারে নাই তাই হয়তো মন খারাপ।অবশ্যই খারাপ লাগারই কথা।হঠাৎ আকাশ গর্জন করে উঠে আর সাথে সাথে বৃষ্টি নামে।অনেকদিন পর এমন বৃষ্টি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ভিজতে থাকি।

বৃষ্টি নামতে দেখে অয়ন তাড়াতাড়ি রুমে আসে।যা ভেবেছিলো ঠিক তাই।দিয়া রুমেও নেই বেলকনিতেই নেই তাহলে থাকতে পারে ছাদে।অয়ন খুব ভালো করেই জানে দিয়া এখন বৃষ্টিতে ভিজবে তাই আর দেরি না করে অয়ন ছাদে চলে যায়।যা ভেবেছিলো তাই।দিয়া বৃষ্টিতে ভিজতেছে।অয়ন অনেক বার দিয়া বলে ডাকছে কিন্তু দিয়ার কোনো সাড়া শব্দ নেই।দিয়া দুই হাত মেলে বৃষ্টিতে ভিজতেছে।অয়ন তাড়াতাড়ি গিয়ে দিয়াকে ঝাকিয়ে বলে..

“আর ইউ মেড দিয়া।কি করচো চলো এখান থেকে।..”(অয়ন)

দিয়া অয়নের দিকে একবার তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে ফেলে বলে..

“ওহহ আপনি তাহলে এসে গেছেন।তাহলে চলুন না প্লিজ আমরা দুজনে বৃষ্টিতে ভিজি।”(দিয়া এমন ভাবে কথা বলছে মনে হচ্ছে সে নিজের মধ্যে নেই।)

“তুমি চলো এখন এখান থেকে।বেশি ভিজলে জ্বর চলে আসবে।”(অয়ন)

দিয়া অয়নের হাত ঝাকিয়ে ফেলে দিয়ে বলে..

“আপনি খুব পচা এখন আর আমাকে দিয়ুপাখি বলেও ডাকেন না।জানেন আপনার মুখে দিয়ুপাখি নামটা শুনলে মনটা জুড়ে যায়।আপনি আমাকে ভালো না বাসলে কি হইছে আমি তো আপনাকে ভালোবাসি।তাইতো আমি আপনাকে আপনার lover girl এর কাছে পাঠিয়ে দেবো।আপনাদের দুজনের মিল করে দেবো।..”(দিয়া)

অয়ন এতক্ষন দিয়ার বলা কথা গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো।কথা গুলো শুনে অয়নের মুখে হালকা হাসি ফুটে উঠে।পরক্ষনেই গম্ভীর মুখে বলে..

“হয়েছে তোমাকে এতো স্টার জলসার শ্রীময়ি হতে হবে না।যেভাবে আছো তাই ঠিক আছে।..”

বলেই অয়ন দিয়াকে কোলে তুলে নেয়।বড্ড কেয়ারলেস যে এই মেয়ে তা অয়নের খুব ভালো করেই জানা আছে।..

#চলবে_কি..??????????

[ অবশেষে অয়ন আর দিয়ার বিয়েটা হয়েই গেলে সম্পুর্ন আনরোমান্টিক ভাবে।কেমন হলো জানাবেন কিন্তু।বাই দা টেম্পু কেউ আমাকে কিপ্টা বলবেন না।বিয়ের দাওয়াত আমি একাই খেয়েছি।করোনায় আপনাদের আসতে প্রবলেম হবে তাই দাওয়াত দেই নাই।😜😜 ]
#;চলবে_কি.?????

[ ভালো লাগলে like comment করে জানাবেন।আজ অনেক বড় দিলাম তাই কেউ দয়া করে ছোট বলবেন না ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here