কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ পর্ব ৩৩+৩৪

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 33 +34
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
রাত ১২ টা।
আবার ফোন আসল সেই অপরিচিত নাম্বার থেকে।
– কে বলছেন প্লিজ বলেন?
– আবারও কান্নার আওয়াজ।
– প্লিজ বলবেন কে?
– জাস্ট কান্না করেই চলছে।
আবার হঠাৎই ফোন কেটে গেল
রেজন আবার ফোন ব্যাক করল কিন্তুক সেই আগের ইতিহাস ই সুইচ অফ।
বিষয়টা নিয়ে ভাবতে ভাবতে রেজনের চোখের পাতা লেগে আসে।

কিছুদিন এভাবেই কেটে যায়। রেজন ডানাকে অনেক অনেক খুঁজতে থাকে কিন্তুক রেজন ব্যর্থ সৈনিক পরাজয় মেনে নিতে হয়। এর মাঝে আর ওর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসেনি। কিন্তুক রেজন হাজার বার সেই নাম্বারে ডায়াল করলেও ফোনটা বরাবরই সুইচ অফ দেখায়।
অন্যদিকে বিয়ের আয়োজন পুরো দমে চলছে। বিয়ের যাবতীয় বাজার করা প্রায় শেষ। সামান্য কিছু কেনাকাটা বাদ আছে।
রেজন যেন এখন ঘর বন্দী হয়ে থাকে। কোন কিছুই তাঁর ভালো লাগে না। সবসময় ঘরের মধ্যে নিজেকে নিজেই বন্দী করে রাখে। যে ছেলেটা রাতে একটু ঘুমানো বাদে রুমে থাকত না , সেই ছেলেটি আজ ঘর বন্দী।
রাতে রেজন একটু ছাদে গিয়েছে অমনি জান্নাতের ফোন।
রেজন ফোনটা বের করে ডিসপ্লে তে তাকিয়ে দেখল বস নামটা ভাসতেছে।
বিরক্ত মনোভাব নিয়ে ফোনটা রিসিভ করল রেজন।
– তুমি ছাদে কেন? ( অস্থির প্রবনতা)
– মানে?
– তুমি হঠাৎই ছাদে কারণটা কি?
– তো কি হয়েছে ছাদে এসেছি তাতে।
– না তুমি তো সাধারণত কিছুদিন ঘর ছেড়ে বাহিরে বের হউ না হঠাৎই ছাদে তাই বললাম।
– ভাবতেছি আজ কবিতাটা লেখে শেষ করে দিবো।
– কোন কবিতা?
– ওই যে ডানা হারিয়ে যাওয়ার পরে থেকে যে কবিতাটি লেখা শুরু করেছি।
– দুঃস্বপ্ন?
– হুমম।
– তুমি হঠাৎই এই কবিতা লেখা শুরু করলে কেন?
– কি আর করব ডানাকে নিয়ে যাহ স্বপ্ন দেখছিলাম সেটা এখন দুঃস্বপপ্নে পরিণত হয়েছে। তাই এই কবিতা লেখা।
– কেন আমি আছি তো সারাজীবন থাকব তোমার সাথে তাহলে একজনের জন্যে এভাবে জীবন নষ্ট করছ কেন?
– আমাকে আমার মতো থাকতে দাও প্লিজ।
– কালকে গাঁয়ে হলুদ মনে আছে?
– সেটার জন্যেই তো কবিতাটা শেষ করে দিতে চাচ্ছি।
– তোমার যেমনটা ইচ্ছা।
– একটা পাপ্পু দাও? ( জান্নাত)
– স্যরি সম্ভব না।
– কেন?
– পাপ্পু শুধু আমার ডানার জন্যে তুলে রেখেছি।
– তাহলে আমি একটা দেয় পাপ্পু?
– সেটা দেয়ার অধিকার একমাত্র ডানা রাখে অন্যকেউ না।
– শুধু ডানা ডানা করছো কোথায় থেকে আসল ডানা। মরা মানুষ কি বেঁচে ফিরতে পারে। শুধু ডানা ডানা করো। ( উচ্চ স্বরে)
– আচ্ছা তুমি এতো শিওর হয়ে বারবার কিভাবে বলো যে ডানা মারা গেছে।
– আসলে।
– কি আসলে?
– আমি আসলে মিডিয়ার বক্তব্য মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিয়েছি।
– বাজে কথা বাদ দিবে প্লিজ।
– আর বাই কবিতাটা শেষ করতে হবে।
– এই শুনো শু…… ( কেটে গেল ফোন)

আজকে রেজনের বাড়িতে গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনেক লোকের সমাগন ঘটেছে বাড়িতে। জান্নাতের ফ্যামেলিতে থেকে সবাই এসেছে অনুষ্ঠানে।
এক পর্যায়ে অনেক আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
,
পরবর্তী দিনে জান্নাতের বাড়িতে হলুদ সন্ধ্যা অনুষ্ঠান। জান্নাতের বন্ধুবান্ধব সবাই উপস্থিত অনুষ্ঠানে। জান্নাতের যাবতীয় আত্মীয়স্বজন উপস্থিত অনুষ্ঠানে। রেজনের ফ্যামেলির সবাই মাত্র আগমন করল অনুষ্ঠানে।
রেজনের ফ্যামেলির সবাই এক এক করে জান্নাতের জন্যে আনা গিফট গুলো হাতে উঠিয়ে দিচ্ছে।
রেজনের মা জান্নাতের কাছে গিয়ে।
– অভিনন্দন।
– ধন্যবাদ আম্মু।
– কেমন ফিল হচ্ছে তোমার রেজনের বউ হতে যাচ্ছো? ( কানের কাছে মুখ নিয়ে)
– আমি লাইফের বেস্ট ডিসিশন নিতে ভুল করেনি শ্বাশুড়ি আম্মা। আপনার ছেলেকে জীবন সাথী হিসেবে বেঁছে নেওয়া আমার লাইফের বেস্ট ডিসিশন। এটার জন্যে আমি অনেক হ্যাপি। (
– কিন্তুক সেই হ্যাপি থাকাটা হবে না হয়তো তোমার কপালে।
– মানে?
– মানে খুব সিম্পল আমি বেঁচে থাকতে তুমি যেটা চাচ্ছো সেটা হবে না।
– আমি কি এমন করলাম যেটার জন্যে আপনি আমার সাথে রেজনকে মেনে নিতে পারেন না।
– তুই একটা কাল সাপ তোকে কিভাবে মেনে নিবো।
– মানে?
– কিছু না। ভালো থাকিস। ( কানের কাছে থেকে মুখটা সরিয়ে নিয়ে)

সবাই আমার ছেলে রেজনের জন্যে দোয়া করবেন যেন ওর বিয়ের পরে বিবাহিত জীবন খুব সুখে কাটে। ( সবাইকে উদ্দেশ্যে করে)
সবার থেকে দোয়া নিয়ে বাসায় ফিরিল রেজনের ফ্যামিলি।

আজকে সন্ধ্যায় রেজন আর জান্নাতের বিয়ে। খুব সুন্দর করে জান্নাত ও রেজনের বাড়ি সাজানো হয়েছে। খুব ভালো লাইটিং করা হয়েছে। সারা বাড়িতে যেন আজ আনন্দের রোল বয়ে যাচ্ছে ।
আজ জান্নাত লাল টুকটুকে একটি শাড়ি পরিধান করেছে। এতে মনে হচ্ছে একটা লাল পরী বসে আছে।
কতক্ষণ পড়ে রেজনদের আগমন ঘটে জান্নাতদের বাড়িতে। বাড়িতে যেন রোল পড়ে যায় জামাই দেখার। সবাই ঘিরে ধরেছে রেজন কে।

রেজনকে জামাই আপ্যায়ন করে জান্নাত আর রেজনকে পাশাপাশি বসিয়ে দেওয়া হয়।
রেজন যেন আজকের কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না যে তাঁকে জান্নাত কে বিয়ে করতে হচ্ছে।
রেজন আজকে বর বসে আসতে না চাইলেও বাবার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁকে আজ সব বরন করে নিতে হচ্ছে।

কতক্ষণ পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা দেনমহর ধাহ্য করিয়ে বিয়ের আংশিক কাজ শুরু করে দেয় কাজি সাহেব।
হঠাৎই একটা মেয়ে কণ্ঠে বলে উঠলো।
– কাজি সাহেব একটি ছেলে যদি একবার বিয়ে করে তাঁর ওই আগের বউ কে ডিভোর্স না দিয়ে কি অন্য একটি বিয়ে করতে পারবে ?


চলবে

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 34
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
কতক্ষণ পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা দেনমহর ধাহ্য করিয়ে বিয়ের আংশিক কাজ শুরু করে দেয় কাজি সাহেব।
হঠাৎই একটা মেয়ে কণ্ঠে বলে উঠলো।
– কাজি সাহেব একটি ছেলে যদি একবার বিয়ে করে তাঁর ওই আগের বউ কে ডিভোর্স না দিয়ে কি অন্য একটি বিয়ে করতে পারবে ?
– ডানা তুমি ?
সবাই ডানার দিকে তাকিয়ে আছে। বিস্মিত ভঙ্গিতে তাকিয়ে রয়েছে সবাই জান্নাতের দিকে। সবার চোখ কপালে। কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না যে মরা মানুষ কিভাবে বেঁচে ফিরতে পারে।
– হ আমি।
– আর তোর লজ্জা শরম নেই আমার সাথে দুই দুইবার বিয়ে করে আমার ওই ডাইনির সাথে বিয়ের পিরিতে বসেছিস।
– তুমি সত্যিই আমার ডানা তো? ( ডানার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে)
– তো তোর কি মনে হচ্ছে।
– রেজন সবাই সম্মুখে ডানাকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
– ছাড় আমায়। বাহানা করিস আমাকে ছেড়ে ওই ডাইনিকে বিয়ে করছিস আবার ভালোবাসা দেখাচ্ছিস।
– তুমি কিছুই জানো না তোমাকে ছেড়ে আমি কতটা কষ্টে ছিলাম।
– সেটা তো দেখতেই পারছি। আমাকে ছেড়ে অন্যএকজনের সাথে বিয়েতে বসে গেছিস আবার ঢং করিছিস।
– আরে আমি চাপে পড়ে বিয়েতে বসেছি।
– ছাড়ো বাড়ি ভরা দর্শক বিনা টিকটে সিনেমা দেখছে তো ( কানের সাথে কান লাগিয়ে)
– স্যরি। ( ছেড়ে দিয়ে)

জান্নাত যেন শক খেয়েছে। পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বাস করতে পারছে না নিজের চোখকে। অন্যদিকে জান্নাতের বাবা ও শক খেয়েছে বিষয়টাই।
ডানা জান্নাতের সামনে গিয়ে।
– কি রে কেমন দিলাম?
– ডানা তুই?
– হ আমি আল্লাহ কুদরতে বেঁচে ফিরেছি। ( জান্নাতের সামনে গিয়ে)
– কি হয়েছিল ডানা সেদিন সবার সামনে বলো। ( পিছন থেকে ডানার কাঁধে হাত রেখে)
– সেদিন আম্মু আব্বু সাদিয়াকে প্রায় এক প্রকার জোড় করে লাঞ্চে পাঠায় জান্নাতের বাবা। আব্বু আম্মু ডাকলেও তোমার সাথে লাঞ্চ করব জন্যে গেলাম না আব্বু আম্মুর সাথে লাঞ্চ করতে। তুমি তখন ভিতরে ছিলে জান্নাতের অপারেশন থিয়েটারে। আর আমার একটু মাথা ব্যাথা করছিল তাই আমি একটু সবার থেকে আলাদা একটি জায়গায় বসে রইলাম তোমার অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হবার অপেক্ষায়।
একটু পরে আমার একটু চোখ লেগে যায়। হঠাৎই কিছুক্ষন পড়ে চোখ খুঁলে দেখি জান্নাতের বাবা আমার সামনে। আমি জান্নাতের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম।
– আচ্ছা আঙ্কেল রেজন কি বের হয়েছে অপারেশন থিয়েটার থেকে?
– হ্যাঁ আম্মু বের হয়েছে। আর রেজন বাহিরে লাঞ্চ করতে যাবে তাই হাসপাতালের সামনে একটি গাড়ি রাখা আছে তোমাকে গিয়ে উঠতে বলছে।
– ওকে আঙ্কেল।
তারপর আমি সাদা মনে উঠে গেলাম গাড়িতে। গাড়িতে উঠে কিছু অদ্ভুত মানুষ দেখতে পেলাম। মানুষ গুলোকে মোটেও সুবিধার মনে হলো না আমার তাই গাড়ি থেকে নেমে যেতে চাইলাম। কিন্তুক জান্নাতের বাবা বলল।
– কি হলো মা কোথায় যাও?
– আসলে আঙ্কেল গাড়ির ভিতরে মানুষ গুলো অদ্ভুত। কেমন জানি তাকিয়ে আছে।
– আরে মা এগুলো হলো রেজনের বন্ধু। তোমার সবাই একসাথে লাঞ্চে যাচ্ছো।
– কিন্তুক আঙ্কেল রেজন কোথায়?
– রেজন পানি আনতে গেছে তোমার জন্যে ।
– আমার কাছে জান্নাতের বাবার কথা গুলো কেমন জানি ঘোলাটে ঘোলাটে লাগছিল। তাই আমি জোর করে নেমে যেতে চাইলাম গাড়ি থেকে হঠাৎই কেউ একজন আমার মুখে রুমাল চেপে ধরে তারপর থেকে কি হলো আমার সেটা মনে নেই।

– তারপর কি হলো ডানা?
– আমি চোখ খোলার পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম আমি একটি রুমে বন্দী। আমার হাত বাঁধা আছে।
আমি রুমে পায়চারি করতে লাগলাম হঠাৎই তোমার আর জান্নাতের ছবি দেয়ালে দেখতে পেলাম। আমি ততোক্ষণে সামান্য বুঝে গেছি আমাকে আসলে জান্নাতদের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে।
পরে রুমে ভালো করে পায়চারি করতে করতে সম্পূর্ন ভাবে বুঝে গেলাম এটা আসলে জান্নাতের বেড রুম।
– তারপর কি হলো ডানা? ( রেজন)
– তারপর মধ্যরাতে জান্নাতের বাবার পরামর্শে আমাকে হাত, পা, মুখ, বেঁধে একটি বস্তার মধ্যে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় শেষ রাত্রি আমাকে পাহাড়ের উপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
– তারপর? ( রেজন)
– তারপর চোখ খুঁলে দেখি আমি একটি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে।
– কুঁড়ে ঘরে?
– হুমম।
– কিভাবে আসলে কুঁড়ে ঘরে?
– জানিনা তবে শুনলাম আমাকে নাকি একটা জেলে উদ্ধার করেছে
– কিভাবে?
– জেলে ভাইয়া নাকি প্রতিদিন শেষ রাতে মাছ মেরে সকালে বাজারে সেই মাছ বিক্রি করে নিজের সংসার চালায়। তো সেইদিনও জেলে ভাইয়া মাছ মারার জন্যে শেষ রাত্রে বের হয়। তারপর মাছ মারতে মারতে একসময় দেখা যায় জেলে ভাইয়ার খেঁয়া জালে সাথে আমাকে রেখে দেওয়া বস্তা আটকিয়ে যায় তারপর জেলে ভাইয়া খুব কষ্ট করে জাল টা উপরে উঠিয়ে নিয়ে আসে। ভাইয়া আশা করেছিল হয়তো বা বড় কোন মাছ কিন্তুক বস্তা দেখার পরে কিছুটা জেলে ভাইয়ের মুখ ফেকাশে হয়ে যায় । মনে হয় যেন পরিষ্কার আকাশ হঠাৎই মেঘাচ্ছন্ন হয়ে দিয়েছে ।
তারপর জেলে ভাইয়া বস্তার মুখটা খুলে চমকে যায়।তারপর আমার নাকের কাছে হাত দিয়ে আমার নিশ্বাস অনুভব করে।
তারপর কিছু মানুষকে ডাকাডাকি করে আমাকে ধরে গ্রামের হাসপাতালে ভর্তি দেয়। তারপর দুইদিন পরে জ্ঞান ফিরলেও আমার সুস্থ হতে প্রায় ২ মাস লেগে যায়।
– এতো সময় লাগল কেন?
– গ্রামের হাসপাতাল। না আছে ডাক্তার, না আছে ভালো পরিবেশ, না আছে কোন উন্নত মানের চিকিৎসা।
– এসব মোটেও সত্যি কথা নয়। আমাদের ফাঁসানোর জন্যে এটা একটি এই মেয়ের চরম চক্রান্ত ( জান্নাতের বাবা)
– আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
– কি প্রমান আছে ওই ফাজিল মেয়ে?
– আমাকে যে জেলে ভাইয়া উদ্ধার করেছিল সে আছে প্রমান ।
– তুমি তো কাউকে ভাড়া করেও আনতে পারো।
– আর ডাক্তার ?
– কোন ডাক্তার?
– ওই যে যেদিন জান্নাতের মিথ্যা অপারেশনের নাটক করেছিল।
– কে অপারেশনের নাটক করেছিল?
– ওসি সাহেব নিয়ে আসুন সেই ডাক্তার কে?
– ওসি সাহেব একজনকে সামনে নিয়ে আসে।
– জান্নাত এবার তুই কিছু বলবি নাকি আমিই বলব ।
– জান্নাত কান্নায় জড়িয়ে পড়ে। আর বলতে থাকে।
– কি করতাম আমি রেজনকে পাওয়ার জন্যে এমন কোন জিনিস নেই যেটা আমি করিনি। দিনের পর দিন রাতের পর রাত রেজনের পিছে পড়ে থেকেছি কিন্তুক রেজন আমার ভালোবাসা না বুঝে ভালোবাসতো ওই কাজের মেয়ে ডানাকে। শেষমেশ কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না পরে মাথায় একটা চিন্তা আসল অপারেশনের মিথ্যা নাটক। এই নাটক পরিচালনা করেছেন আমার বাবা। আর এই নাটক লেখা আমার। আর অভিনয় করেছেন আমি, ডাক্তার, আব্বু আর নার্স। তবে এসবের কিছুই আমার আম্মু জানেন না।আমার আম্মু সম্পূর্ণ নির্দোষ।
আর প্রথমে এই নাটকে ডাক্তার অভিনয় করতে চাইনি পরে ৩০ লক্ষ্য টাকার বিনিময়ে অভিনয় করতে রাজি হয়।
,

জান্নাত আর তাঁর বাবাকে পুলিশ জেলে পুরে দেয়।

সাতদিন পরে রেজনের আর ডানার ইসলাম মোতাবেক ৬০ লক্ষ্য ১ টাকা দেনমহর ধাহ্য করিয়া বিয়ে হয়। আজ তাঁদের বাসর রাত।
আর বাসর রাতের গল্প না হয় শেষ পর্বেই শুনব।


চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here