কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৩৫ এবং শেষ
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
জান্নাত আর তাঁর বাবাকে পুলিশ জেলে পুরে দেয়।
।
সাতদিন পরে রেজনের আর ডানার ইসলাম মোতাবেক ৬০ লক্ষ্য ১ টাকা দেনমহর ধাহ্য করিয়া বিয়ে হয়। আজ তাঁদের বাসর রাত।
রেজন আজকে একটু সামান্য ব্যস্ত ছিল। ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে উঠতে প্রায় রাত ১ টা পার হয়ে যায়। ডানা বাসর ঘরে একা একা রেজনের আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। রেজনের কেন জানি আজকে ঘরে যেতে ভয় করছে। চেনা ঘর, চেনা বাড়ি তাও যেন রেজন অন্যরকম ফিল হচ্ছে।
।
– কি রে মামা ভাবি রুমে একাএকা বসে আসে রাত অনেক হয়ে গিয়েছে যাবি না ভিতরে ( রেজনের ফ্রেন্ড )
– মামা তুই যদি না যাস তাহলে আমরা যায়। ( অন্যফ্রেন্ড)
– আমার না ভয় করছে। চেনা ঘর চেনা মানুষ তাও ভয় করছে।
– আরে মামা আজকের রাতে ভয় ডর করতে নেই।
– দেখ তুই যদি না যাস তাহলে কিন্তুক আমরা যাবো।
– হালারা বউ আমার আর ভিতরে যাবি তোরা।
– হালায় তুই তো যাস না তাই বললাম।
– এই রেজন আমার একটা কথা রাখবি?
– কি রে দোস্ত।
– তুই যখন রুমে যাস তখন আমি ফোন দিব তুই প্লিজ ফোনটা ধরে বালিশের তলায় রেখে দিবি তার তোরা যা কথাবার্তা বলবি সেগুলো আমরা শুনব।
– বাদ দে তো এসব। এখন একটু সাহস দে যে কিভাবে ভিতরে যাবো।
– মাথা আগা দে ফুঁ দিয়ে দেয় সাহস চলে আসবে।
– হুমম।
– দরজার সামনে গিয়ে।
– দোস্ত যাইতে ভয় করছে খুব।
কথা বলতে না বলতেই ফ্রেন্ডগুলো ধাক্কা দিয়ে ভিতরে পাঠিয়ে দেয়।
আমি ভয়ে ভয়ে আগাতে থাকি বিছানার দিকে। আর গিয়েই টাস্কি ডানা রুমে নেই।
ভাবলাম শিওর বেলকনিতে আছে। যাহ ভাবছি তাই ডানা বেলকনিতে জানালার রেলিং সাথে হাত রেখে বাহিরের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
– পাশে গিয়ে কাশি দিলাম।
– পিছন ফিরে পাঞ্জাবীর কলার চেপে ধরে বলতে লাগল।
– কি রে কোথায় গিয়েছিলি এতোটাইম?
– আরে বাবা ছাড়ো না। বাসর রাতে কেউ এভাবে স্বামীর কলার চেপে ধরে।
– কেউ না ধরলে আমি ধরব। তুই কেথায় গিয়েছিলি তাই বলেক?
– আরে বাবা বাড়ির সমস্ত কাজ যে আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হলো।
– তাই বলে তোর আসতে এতো লেট হবে।
– স্যরি বাবা।
– স্যরি তে হবে না!!!!!
– তাইলে?
– আজ আমাকে মন ভরে আদর দিতে হবে?
– ওকে দিবো সোনা।
– এখন জড়িয়ে ধরো একটু।
– হুমম ধরলাম।
– চলো রুমে যায়
– কোলে করে নিয়ে চলো।
– ওকে ।
।
রেজন ডানাকে কোলে করে গোলাপের সুগন্ধি বিছানায় শুয়ায়ে দেয়।
রেজন ঝাঁপিয়ে পড়ে ডানার ঠোঁটের উপর। নিজের ঠোঁট দিয়ে ডানার ঠোঁটের সাথে খেলা করতে চাই। হারিয়ে যায় ডানার ঠোঁটের প্রেমে।
।
ওই আরো শুনবেন নাকি। লজ্জা করে না অন্যজনের বাসর রাতের গল্প শুনতে চান। তাঁদের এখন কোন ডিস্টার্ব না করে বাসর করতে দেন। আর মানুষের বাসর রাতের গল্প না শুনে নিজেই বিয়া করিয়া লন।
আর সবাই দোয়া করবেন ডানা রেজনের জন্যে যেন তাঁরা সারাজীবন একসাথে থাকতি পারে। তাঁদের ঘরে যেন টুকটুকে একটি টুনির জন্ম হয়।
।
সমাপ্তি