তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-১৪
______________
পুরো বাসা জুড়ে হৈচৈ, শোরগোল। বিয়ের আমেজ বিরাজ করছে।বিয়ে উপলক্ষ্যে সব আত্মীয়-স্বজনরা এসে গেছে।অরূণী’দের গাড়ি এসে থামে বাসার গেটের সামনে। দীর্ঘ দেড় বছর পর এসেছে মামার বাড়ি। অরূণীর মন ছেয়ে আছে বিমর্ষতায়।কেমন এক ঘোরের মাঝে আছে।মনে হচ্ছে রুদ্রের সাথে দেখা হওয়া, কথা বলা ওসব স্বপ্ন।ঘোর থেকে বের হতে পারছে না অরূণী। রুদ্র সাহেদ আহমেদের পরিচিত! ভাবতেই অরূণী খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে।আবার ভীতিও হয়ে যাচ্ছে। রুদ্র যদি বলে দেয় সব?অরূণী’কে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সেলিনা আহমেদ চেঁচিয়ে ওঠে বলে, “হয়েছে কী তোর আজ?সেই ট্রেন থেকে খেয়াল করছি।বাসার ভিতর ঢুকবি না না-কি?”
সাহেদ আহমেদ ব্যাগ হাতে কিছু’টা আগে হাঁটছে। সেলিনা আহমেদের হাতে লাগেজ।সাহেদ আহমেদ পিছনে ফিরে সেলিনা আহমেদ আর অরূণী কাউকে না দেখে চারপাশে চোখ বুলায়। তাঁরা এখনো গাড়ির কাছেই দাঁড়িয়ে আছে।সাহেদ আহমেদ মহা বিরক্তি নিয়ে উঁচু গলায় বলল, “হয়েছে কী তোমাদের?”
সাহেদ আহমেদের গলার আওয়াজ পেয়ে অরূণী আর সেলিনা আহমেদ হাঁটতে লাগলো দ্রুত পায়ে। অরূণী হাঁটতে হাঁটতে নিচু স্বরে বলল, “আম্মা আমার মুখের দাগ গুলো বিশ্রী দেখাচ্ছে।”
সেলিনা আহমেদ অরূণীর দিকে তাকিয়ে বলল, “সেরে যাবে।”
অরূণী গম্ভীর মুখে বলল, “সারবে তো। কিন্তু এতসব মানুষের ভিতর আমি এই ভয়ংকর চেহারা নিয়ে থাকবো।”
সেলিনা আহমেদ আরেকবার তাকায় অরূণীর দিকে। গভীর মনোযোগে অরূণীর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে নিরুদ্বেগ ভাবে বলল, “দাগ দেখা যায় না বেশি।”
– “এই আবছা আলোতে বেশি দাগ তুমি দেখবে কীভাবে?”
বাসার ভিতর ঢুকে পড়ার সাথে সাথে এই প্রসঙ্গ মিইয়ে গেল।বাসার সবাই ছুটে আসলো।বাড়ির একমাত্র আদরের মেয়ে সেলিনা আহমেদ।বয়স হলে গেলেও বাবার বাড়িতে তাঁর সমাদর কমে নি। চার ভাইয়ের এক বোন সেলিনা আহমেদ।ভাইয়েরা,ভাইয়ের বউয়েরা ঘিরে ধরলো তাঁকে। বয়সের ভারে শরীর নুয়ে পড়েছে সেলিনা আহমেদের বাবা-মায়ের।অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারে না। সেলিনা আহমেদ এসেছে শুনে ছুটে আসার জন্য দিশেহারা হয়ে গেল। হাত ধরে তাঁদের নিয়ে আসা হলো সেলিনা আহমেদের কাছে। সেলিনা আহমেদ কে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো। সেলিনা আহমেদের চোখও জলে টলমল।এই কান্না কষ্ট কিংবা সুখের নয়।মেয়েরা দীর্ঘ দিন পর শ্বশুড় বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসলে নিতান্তই স্বাভাবিক নিয়মানুসারে কাঁদে বাবা-মা।
অরূণী ওখানে না দাঁড়িয়ে চলে গেল নিম্মির রুমে। নিম্মির কানের কাছে ফোন। অরূণীকে দেখে ফোনে কথা বলা অবস্থায়ই হাসলো। ফোনের ওপাশের মানুষ’টা কে বলল, “পরে ফোন দিচ্ছি।”
লাইন কেটে নিম্মি আমুদে চিত্তে জড়িয়ে ধরলো অরূণী’কে।বলল, “কখন এসেছিস?ফুফু আম্মা কোথায়?”
– “এই তো এসেই তোমার রুমে আসলাম।তোমার ফুফু আম্মা ড্রয়িং রুমে।”
নিম্মি অরূণী’কে আলিঙ্গন থেকে মুক্ত করে ওঁর দিকে তাকিয়ে ভুত দেখার মত চমকে চেঁচিয়ে ওঠে বলল, “এ্যারে অরূ তোর মুখের কী অবস্থা?আরে আরে কী হয়েছে?”
– “এক্সিডেন্ট করেছি।”
– “ইস রে! কী অবস্থা।”
অরূণীর মুখের দুরাবস্থা নিয়ে কিছুক্ষণ দুঃখ প্রকাশ করলো নিম্মি।অরূণী খাটে বসে পা দুটো দোলাতে দোলাতে বলল, “আপা কী অদ্ভুত ব্যাপার!সায়মা,সুষ্মিতা, শুভ্রা কাউকেই দেখছি না।আমি এসেছি অথচ আমার কাছে একবার আসলো না।”
– “আরে ওঁরা সবাই ছাদে। ওঁরা কী জানে তোরা এসেছিস? ওঁরা তো সারা বিকাল তোর নাম জপলো।অরূ আপা কখন আসবে?অরূ আপা আসলে আরো মজা হবে…।”
– “হয়েছে থামো,থামো।”
নিম্মি থেমে অরূণীর গালের দাগে আলতো স্পর্শ করে বলল, “কি বাজে অবস্থা।”
অরূণী মনে মনে বিরক্ত হয়ে বলল, “আফা একটা কাজ করা উচিত আমার।খুব জরুরি কাজ।”
নিম্মি প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালো।অরূণী বলল, “আমার উচিত একটা কাগজে ‘এক্সিডেন্টে আমার মুখের এই অবস্থা হয়েছে।এ নিয়ে আমার কোনো শোক নেই। আপনারাও দয়া করে কোনো শোক প্রকাশ করবেন না।’ এসব লিখে গাম দিয়ে আমার গায়ে লাগিয়ে রাখা উচিত।যার সাথে দেখা হবে সেই জিজ্ঞেস করবে।”
নিম্মি হেসে দিলো।অরূণীর পাশে বসে বলল, “বুঝলি অরূণী?আমি দেখেছি ফুফু আম্মা এসেছে। কিন্তু আমার লজ্জা লাগছে ফুফু আম্মার সামনে যেতে। বিয়ে সাদির ব্যাপার লজ্জা তো লাগবেই,না?”
অরূণী হেসে ওঠল। হঠাৎ কেন জানি রুদ্রের কথা মনে পড়তেই হাসিটা উবে গেল। নিম্মি আবার বলল, “ওঁরা সবাই ছাদে।যা দেখা করে আয়।”
– “পরে যাই। কথা বলছিলে কার সাথে ফোনে?”
নিম্মি বলল, “তোর ভাইয়ার সাথে।”
অরূণী বুঝেও কৌতুক ভরা গলায় বলল, “সূর্য ভাইয়ের সাথে?”
নিম্মি অরূণীর পিঠে আস্তে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, “ফাজলামি করিস?”
অরূণী হেসে বলল, “আপা তুমি ভাইয়ার সাথে কথা বলো।আমি ছাদে যাচ্ছি। তোমার প্রেমালাপনে ডিস্টার্ব করলাম।”
নিম্মি কপোট রাগ দেখিয়ে বলল, “কে বলল তুই ডিস্টার্ব করছিস?কথা বলতে অস্বস্তিতে গা গুলিয়ে যায় আমার।হুট করে এমন একজন অপরিচিত মানুষের সাথে কথা বলতে কেমন লাগে বল?”
– “এত তাড়াহুড়ো করে বিয়ে শুনে তো আমি অবাক।”
অরূণী একটু থেমে মরিয়া হয়ে ওঠে আবার বলল, “আপা ভাইয়ার ছবি দেখাও।”
– “ছবি নেই তো আমার কাছে।আমি এখন পর্যন্ত দেখিই নি।তোর মামা বলেছে ছেলে রাজপুত্র। পারিবারিক ভাবে হুট করে বিয়ে ঠিক।দেখার সুযোগ হয় নি।”
অরূণীর গলায় ভীষণ বিস্ময়, “বলো কী! দেখোই নি?”
নিম্মি না সূচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়ায়। অরূণী আবার বলল, “ফেসবুক বা ইমু’তেও তো ছবি চাইতে পারো?”
– “উনার ফেসবুক,ইমু কোনো আইডিই জানি না আমি।আমার সাথে কথা হলোই আজকে। কীভাবে চাইবো?লজ্জা সরমের একটা ব্যাপার আছে না?আর উনি আমায় আগে দেখেছে নাকি।তাই আমায়ও দেখতে চাচ্ছে না।আমি আগ বাড়িয়ে দেখতে চাইবো! লজ্জা করে বুঝলি?”
অরূণী নিম্মির রুম থেকে বের হয়ে ছাদে গেল।সব কাজিনরা অরূণীকে দেখে ভুত দেখার মত চমকে লাফিয়ে ওঠল। চমকানোর পালা শেষ হতেই সবার চোখ গেল অরূণীর মুখের দিকে। সবাই জিজ্ঞেস করছে, “একি অবস্থা?”
অরূণী সংক্ষেপে বলল, “এক্সিডেন্ট করে এমন হয়েছে।”
এইটুকু বলে থেমে অরূণী কঠিন স্বরে বলল, “এই ব্যাপার নিয়ে আর কেউ কিছু জিজ্ঞেস করবে না।আমি বিরক্ত হয়ে গেছি।”
অরূণী একটু রগচটা স্বভাবের।অরূণীর কঠিন স্বর উপেক্ষা করে কারো আর কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস হলো না।পুরো ছাদ লাইটের আলোতে ঝলমল।সবাই গোল হয়ে বসলো।এত আমেজের ভিতরে থেকেও অরূণীর মনের এক কোণে ছটফটানি হচ্ছে। রুদ্রের বিষয়’টা বার বার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠছে।সেই অনুভূতি থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারছে না অরূণী। স্বপ্নময় এক জার্নি ছিলো।
ছাদের এক কোণে রেলিং এর সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিফাজ।কানে ইয়ারফোন। মনোযোগ মোবাইলের দিকে। অরূণী’কে দেখে অবাক হলো যেন,সিফাজের চোখ দুটো অন্তত তাই বলছে। এগিয়ে আসলো অরূণীর দিকে। জিজ্ঞেস করল, “আরে অরূ কখন আসলে?”
অরূণী মুখ তুলে তাকালো।সিফাজের উপস্থিতিতে বিরক্ত হলো যেন। সিফাজ অরূণীর বড় মামার ছেলে। অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অরূণী যখন ক্লাস টেনে পড়তো তখন সিফাজ অরূণী’কে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।সিফাজের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো যেন। অরূণী বিরক্ত হয়েছিলো ভীষণ। সেই থেকে সিফাজের উপস্থিতি অরূণীর বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে।সাথে অস্বস্তির! অরূণী নড়েচড়ে বসে বলল, “ঘন্টা দুয়েক হলো।”
– “কেমন আছো?মুখের এই অবস্থা কেন?”
অরূণী নাক-মুখ ঘুচিয়ে ফেলল।সায়মা,সুস্মিতা ওঁদের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমি নিচে যাচ্ছি।ক্লান্ত লাগছে খুব।একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাবো।”
সিফাজ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে অরূণীর চলে যাওয়া। দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে রেখে কয়েক মুহূর্ত পর সায়মার দিকে তাকিয়ে সিফাজ বলল, “দেখলি কি ভাব’টা নিলো?”
__________
অরূণীর ঘুমানোর জায়গা ঠিক হলো নিম্মির রুমে।ঘুমাতে ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে গেল।অরূণীর ঘুম আসছে না। চোখে ঘুম নেই। রুদ্রের সাথে এভাবে দেখা হয়ে যাওয়ার ব্যাপার’টায় বার বার রোমাঞ্চিত হচ্ছে।অরূণীর মস্তিষ্ক রুদ্র নামক অনুভূতি দ্বারা গ্রাসিত হচ্ছে।এসব চিন্তা ভাবনায় রাতে আর ঘুম হলো না ভালো।ভোর রাত থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শুরু। এত চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুমিয়ে থাকার জোঁ নেই। ঘুম না হওয়ার ফলস্বরূপ চোখ লাল হয়ে আছে।জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করলেও ঘুম আসছে না। শেষে বাধ্য হয়ে বিছানা ছাড়তে হলো। দুপুরের দিকে অরূণী দ্বিধা ভরা মনে গেল সাহেদ আহমেদের কাছে।সাহেদ আহমেদ কে কী ফোন দিয়েছে রুদ্র? রুদ্রের সাথে কথা বলতে না পেরে অস্থির লাগছে ভীষণ। সাহেদ আহমেদ কে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে এটা? জিজ্ঞেস করলে সাহেদ আহমেদ কি মনে করবে?অরূণী অনেকক্ষণ সাহেদ আহমেদের আশেপাশে ঘুরঘুর করলো। কিন্তু সংকোচ আর দ্বিধার কারণে বলতে পারলো না।
সারাদিন অনেকবার চেষ্টা করেও সাহেদ আহমেদ’কে জিজ্ঞেস করতে পারলো না অরূণী।সন্ধ্যা বেলায় জমজমাট আড্ডার সাথে ধোঁয়া উড়ানো চা।অরূণীর মামাতো বোন শুভ্রার গানের গলা অসাধারণ।কেউ গান গাইতে বললে তাঁর কোনো আলসেমি নেই। শুভ্রার গানের সুরে বার বার রুদ্রের কথা মনে পড়ছে অরূণীর। এর ভিতর ডিনারের জন্য ডাক আসলো। আড্ডার সমাপ্তি ঘটিয়ে সবার ওঠতে হলো।
খাবার সময় ঘটলো এক অদ্ভুত কাণ্ড। অরূণীর পাশের চেয়ারে বসে ছিলো সায়মা। সিফাজ কোথা থেকে যেন হন্তদন্ত হয়ে এসে সায়মা’কে বলল, “ওঠ,ওঠ এই চেয়ারে আমি বসবো।”
অরূণীর মেজাজ চট করে গরম হয়ে গেল। চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে অরূণী। সায়মা সিফাজের কথা মত চেয়ার ছাড়তেই অরূণী ধাঁ করে টেবিল থেকে উঠে পড়ে। সিফাজের কাছ থেকে এ ধরণের আচরণ অরূণীর অসহ্য লাগে। অরূণী ছুটে যায় সেলিনা আহমেদের কাছে। চোয়াল শক্ত করে বলল, “আম্মা সিফাজ ভাই’কে আমার কাছে এত ঘেঁষতে না করবেন।”
সেলিনা আহমেদের কাছ থেকে কোনো উত্তরের অপেক্ষা না করেই অরূণী চলে গেল। সেলিনা আহমেদ ভ্রু কুঁচকে অরূণীর দিকে তাকিয়ে বলল, “আরে কি হয়েছে?সিফাজ কি করেছে?”
অরূণী ততক্ষণে চলে গেছে। রাতে ঘুমানোর উদ্দেশ্যে অরূণী নিম্মির রুমে গেল। নিম্মি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে।নিম্মি অরূণীর উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনে ফিরে তাকায়। নিম্মিকে ফোনে কথা বলতে দেখে অরূণী রুম থেকে বের হতে উদ্যত হলে নিম্মি অরূণীকে ডাক দিলো। নিম্মি কয়েক পা এগিয়ে অরূণীর কাছে আসলো। অরূণী জিজ্ঞেস করল, “ভাইয়ার সাথে কথা বলছো?”
নিম্মি অরূণীর হাতে মোবাইল’টা ধরিয়ে দিয়ে বলল, “নে কথা বল।”
অরূণী ফোন কানের কাছে নিতেই শুনলো ওপাশ থেকে বলছে, “কি হলো? কথা বলছো না কেন?”
অরূণীর বুকের ভিতর ধ্বক করে ওঠল।খুব পরিচিত গলা।অরূণী ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।বলল, “হ্যালো?”
ওপাশ থেকে বলল, “কে?”
নিম্মি ফোনের কাছে মুখ নিয়ে বলল, “আরে আমার কাজিন কথা বলো।”
হঠাৎ অরূণীর মস্তিষ্ক খুঁজে বের করলো এটা রুদ্রের গলা।অরূণীর চার-পাশটা বিবর্ণ হয়ে যেতে লাগলো। রুদ্রের গলা কেন?ওপাশ থেকে হ্যালো হ্যালো করে যাচ্ছে। অরূণী কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “কে আপনি?কে, কে?”
ওপাশের মানুষ’টা যেন এমন প্রশ্নে অবাক হলো। নিম্মি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো অরূণীর দিকে। অরূণীর কানে বিঁধলো, “আমি রুদ্র।”
(চলবে)
~নাইস,নেক্সট কিংবা স্টিকার কমেন্ট করবেন না প্লীজ।
Ei golpota pray 2bosr age ekbar porsilm…….tkhn e khub valo lagse……edaning golpotar kotha khub mne prtsilo……tai abr prtsi…….