#তাহারেই_পড়ে_মনে
পর্ব তিন
‘শালা তুই করবি, প্রেম? এইভাবে? গরু,বলদ, ষাঁড়ের মাথায়ও এর চেয়ে বেশি বুদ্ধি ধরে।’ রাজু গলার স্বর নীচে নামিয়ে মুখ ভেংচিয়ে ভেংচিয়ে বকলো প্রিন্সকে।
প্রিন্সকে বোকা বোকা দেখালো, এরকম করে আসলেই ও বলতে চায়নি কিন্তু রাজুর সাথে মিষ্টিকে এতো কথা বলতে দেখে আর একইসময়ে ওর দিকে মিষ্টি এমনভাবে তাকাচ্ছিলো যেন ও অচ্ছুৎ কেউ, তাতেই এতোটা জ্বলে যাচ্ছিলো যে দুর্দমনীয় জিভকে কিছুতেই সংযত করে রাখতে পারেনি। যে হাসিকে বিদ্রুপ করে এতোগুলো বাজে কথা শোনালো সেই হাসির দেওয়ানা ও আজ অনেকদিন!
মিষ্টির বড়মামার মেয়ের বিয়েতে ওকে দেখেছিলো প্রিন্স। গাঁয়েহলুদের দিন দুপুরবেলা, সূর্য একদম মাঝ আকাশে তখন। হলুদ অনুষ্ঠানেই মনে হয় বর-কণের ভাইবোন গ্রুপের সবচেয়ে আনন্দের দিন। এ ওর গায়ে, মাথায়, মুখে হলুদ লেপে দিলে ও আবার আরেকজনের পাঞ্জাবি হলুদে গোসল করিয়ে দিচ্ছে। দৌঁড়োদৌঁড়ি, হুড়োহুড়ি, লাফঝাঁপ, এ একে ধরছে ও ওকে পাকড়াও করছে। অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে কে যেন কলসিভরা পানি এনে ঢেলে দিলো উঠোনের মধ্যিখানে। মূহুর্তে কর্দমাক্ত উঠানে হুঁটোপাটি খেয়ে পিছলে পড়তে লাগলো একেকজন। যে বা যারা নিরাপদ দূরত্বে ছিলো তাদেরকেও টেনে সেই কাদাপানির মাঝে আছাড় দেওয়া শুরু হলো। সবাই যখন একমাথা কাদা মেখে ভিজে ভুত সেজেছে, সবগুলো মুখের আক্রোশ গিয়ে জড়ো হলো একজায়গায় – মিষ্টির দিকে। হালকা হলুদ লংস্কার্ট আর কুসুম রঙের ফুলস্লিভ শার্ট পরা মিষ্টি নিজেকে আড়াল করেছে সর্দারবাড়ির বড়ছেলে নিয়াজ সর্দার ওরফে বাঘাসর্দারের আড়ালে – মিষ্টির বড়মামা, অর্থে কম হলেও ব্যক্তিত্বে দারুণ ভয়ানক মানুষ! আর ওইখান থেকে ওকে টেনে আনা যমেরও অসাধ্য। নিশ্চিন্ত ছত্রছায়ায় থেকে ও অন্যদের দুর্দশায় হেসে কুটিকুটি হচ্ছিলো আর সেইসময় প্রিন্সের মনে সেই হাসির কিরণে যেন নতুন সূর্যোদয় ঘটলো! ও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলো নতুন করে দেখা মিষ্টিকে।
সব পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো একাই মাতিয়ে রাখা প্রিন্সকে বিয়ের দিন একেবারেই খুঁজে পাওয়া গেলো না কারণ ওর চোখে তখন ঘোর লেগেছে, দৃষ্টি আটকে রয়েছে চশমার আড়ালে শান্ত দীঘির মতো টলটলে চোখদুটিতে।
হালকা গোলাপি আর সাদায় মেলানো মেশানো জামা ওড়নার নিক্কন তোলা টার্সেলে বাঁধা পড়ে প্রিন্সের মন তখন বাজছিলো টুং টুং টুং! মুগ্ধতার ঘোরে হোক বা ওই অতটুকু মেয়ের মুখে আঁকানো ব্যক্তিত্বের ছাপের কারণে হোক, নিমতলির প্রতাপশালী খাঁ-বাড়ির উড়নচণ্ডী ছেলেটা কিছুতেই মিষ্টির মুখোমুখি হতে পারে নি সেইসময়।
আবার হিসাবনিকাশেও মন দুলছিলো টিকটিক করে, একবার এদিক তো আরেকবার ওদিক! এই মুগ্ধতা, ভালো লাগা, ভালোবাসা নিয়ে ওর বোধে কোনোরকম সূক্ষ্মতা নেই বরং প্রচন্ডরকম মোটাদোষেই দুষ্ট! বছরে পাঁচবার বাইকের মডেল চেঞ্জ করাই ওর প্রেম, আড্ডায় বসে বা রেস্টুরেন্টে, কিংবা পিকনিকের নামে অথবা ট্যুরে নিজের পকেটের মতান্তরে বাপের টাকা হাতখুলে খরচ করাই ওর মুগ্ধতা, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার কাছে দিলদরিয়া, হাতিম তাই ‘প্রিন্স ভাই’ হওয়াটাই ওর ভালো লাগা! এহেনও রঙিন প্রিন্সের মনে কোনো এক প্রিন্সেসের বদলে এই একদম সাদামাটা চশমাওয়ালির দোলা দিয়ে যাওয়া দুলুনিটা ঠিক হজম করতে পারছিলো না, একদল সাঙ্গপাঙ্গের তোল্লাই দেওয়া ‘প্রিন্স ভাই।’ নিজের মনের এই হঠাৎ বদলে ও নিজেই তখন নাজেহাল, মিষ্টিকে কী বলবে?
হাইওয়ের পাশ দিয়ে বিরাট পাঁচিলঘেরা দুধসাদা রঙের বিশাল বাড়িটার ছাদে সারারাত তারা গুণে কাটালো ও। কয়টা ও নিজে গুণলো বলা যায় না, ভাইর কতগুলো ভাই আছে, সুখে কিংবা দুঃখে ভাইর পিছু তারা ছাড়ে না, তারাও গুণে দিলো বেশ কতকগুলো তারকারাজি! তারপর তিনরাত না ঘুমিয়ে, চার দুপুরে বেঘোরে ঘুমিয়ে কতকটা ওর হুঁশ হলো, কতকটা সাঙ্গপাঙ্গ দলেরা তেল্লাই দিলে ও বুঝলো মিষ্টিকেই ওর চাই!
বাইক নিয়ে ছুটলো তখনই, মিষ্টির নানাবাড়ি। ততক্ষণে পাখি উড়ে গেছে। সন্তানসম্ভবা মাকে রেখে মামার মেয়ের বিয়েতে এসেছিলো মিষ্টি, তাই বিয়ে শেষ হতেই ফিরে গেছে! কিছু চাইলেই যে পাওয়া যায় না এই অনুভূতিরও অভিজ্ঞতা মনে হয় সেদিন প্রথমবারের মতো পেলো প্রিন্স! তারপর কয়েকদিন মিষ্টির নানির পেছন পেছন ফিঙের মতো লেগে থাকলো, পান খাওয়ালো, গোপালের ছানার জিলিপি আনলো, মকবুলের কালাভুনা বা রশিদের দোকানের সিঙারা! বুড়ির মন তাতে গললো না – সে সাফ জানিয়ে দিলো মিষ্টির বাবা মেয়েকে অনেক পড়াশোনা করাবে, বিয়েতো এখন দেবেই না আরও ইন্টারপাশ করে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া ছেলের কাছে তো একেবারেই না। বুড়িটাকে মনখুলে কয়েকহাত গালাগালি দিলো প্রিন্স আর তাতে মিষ্টির কাছে পৌঁছানোর ঠিকানা জানার রাস্তাও গেলো বন্ধ হয়ে। মিষ্টির নানি ওর মুখের উপরেই দোর দিলো! তারপর এই চারমাস ধরে ও মিষ্টিতেই আচ্ছন্ন ছিলো, অনেক সিস্টেমে প্যাঁচ খাইয়ে ও মিষ্টির ঠিকানা যোগাড় করেছে আর ঠিকানা পেয়েই পৌঁছে গেছে লতায় পাতায় এই জাফরিন খালার বাড়ি। এতোদিন ধরে এতোটা জ্বালানো-পোড়ানোর পরেও ওই মেয়েটা একবার নিজের এতোখানি স্নিগ্ধতা থেকে একটুখানি ছড়িয়ে দিয়ে ওর অশান্ত মনটাকে শান্তির ছোঁয়া তো দিলোই না বরং মনের চিড়বিড়ানিটা আরও খানিকটা বাড়িয়েই দিলো! ওর দিকে তাকায় না, তাকিয়ে হাসে না, মিষ্টি হেসে কথা বলে না – প্রিন্সের কী তাতে রাগ হবে না? হবেই তো!
রাত নটার দিকে সবাই মিলে চাঁদ দেখতে ছাদে যাচ্ছে, সাথে প্রিন্স আর রাজুকেও ডাকলো – আজ নাকি খুব স্পেশাল কোনো রাত, চাঁদ আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, অনেক বড় হয়ে দেখা যাবে পৃথিবীর আকাশে। প্রিন্স আর রাজু একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো, মেয়েবউ সবাই মিলে চাঁদ দেখতে ছাদে উঠবে এমন অদ্ভুত কথা ওরা জীবনেও শোনেনি! নিজের সারাউন্ডিংসে এইরকম পারিবারিক সম্পর্ক ওরা দেখেওনি কোনোদিন। ওদের পরিবারে জোরে কথা বলা, কথায় কথায় গালি দেওয়া, চেঁচামেচি করা, রাগ হলেই ঘরের জিনিস ভাঙচুর করাটা খুব স্বাভাবিক আচরণ। জাফরিন খালা যেভাবে মিষ্টির বাবার সাথে কথা বলছে, কতটা অনুরোধ করে, কিছুটা আদেশের ভঙ্গিতে এ যেন ওরা ভাবতেই পারে না। প্রিন্স নিজের মাকেই দেখে এসেছে, গয়না আর দামি শাড়ি শরীরে জড়িয়ে এপাড়া, ওপাড়া এর বাড়ি ওর বাড়ি শালিসি করে, নিজের গাড়ি-বাড়ির গুণগান করে, আর সবাইকে নীচু দেখিয়ে এসে বাবার হাতে পড়ে পড়ে অকারণ মার খেতে, তাও তরকারিতে লবণ না হওয়ার মতো তুচ্ছতম অভিযোগে। একইরকম খাঁ বাড়ির বাকি বউদেরকেও দেখে এসেছে!
ওদের বাড়িতে ছেলে মানুষ করা মানে শুধুই পেট ঠেসে খাইয়ে ছেঁড়ে দেওয়া, পড়াশোনার জন্য মাস্টার রাখা আছে মোটা টাকা দিয়ে- সে পিটিয়ে হোক আর যেমন করেই হোক কিছু একটা পাশ ঠিকই করিয়ে দেবে। আর মেয়েরাও ঘরের কাজ আর রান্না শেখার সাথে সাথে পরচর্চা আর অহমিকাও শিখে নেয় বয়সের সাথে সমানুপাতিক হারে। খাঁ বাড়ির অন্দরমহলে শিক্ষার সুবাতাস বা সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সবটাই বাহুল্য মাত্র। ভদ্রতা ওদের কাছে নিছকই চরিত্রের দুর্বলতা!
রেলিঙ ছাড়া ছাদটা একদম ফাঁকা, এককোণে হাজার লিটার ক্যাপাসিটির ওয়াটার ট্যাংক। কয়েকটা বেতের মোড়া ফেলে রাখা, আজকের চাঁদ দেখা আয়োজনের জন্যই সম্ভবত আনা হয়েছে। মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা চাঁদটার সাথে অন্যদিনের চাঁদের আলোর কোনো পার্থক্য আছে কীনা প্রিন্স একেবারেই বুঝতে পারলো না কিন্তু অদূরে মোটা চশমার কাচে চাঁদের যে ছায়া পড়েছে তাতে ওর বুকের ধুকপুকানি ঠিকই সমান তালে বেড়ে যাচ্ছে। এতোক্ষণ ঘরে ইলেক্ট্রিক আলোয় মনে হচ্ছিলো মিষ্টি কেন তাকায় না ওর দিকে, এখন এই পূর্ণচন্দ্রের আলোতে ওর বিভ্রম তৈরী হয়েছে, এলোমেলো হাতখোপা থেকে পিছলে আসা কয়েকগাছি চুল মুখের পাশে ঝুলে থাকা মিষ্টিকে ওর অমানবী মনে হতে থাকে, রহস্যময়ী – রূপকথার সেই যাদুকরনী, যে চোখ তুলে তাকালেই ভস্ম হয়ে যাবে সবাই। ও নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকে সেদিকে!
রাজু ধাক্কা দিয়ে ওর ধ্যান ভাঙায়। ‘এভাবে তাকিয়ে থাকলে খারাপ দেখায় বুঝিস না। এমনিতেই ওর মনে তোকে নিয়ে যে ধারণা বানিয়ে ফেলেছিস তা খুব একটা ভালো না। বাদ দে ভাই। এরা আর আমরা আলাদা। এরা অন্যরকম, আমাদের সাথে এদের মেলে না।’ রাজুর বুদ্ধিতে আসে না এই অতিসাদামাটা সাধারণ মেয়েটার মাঝে কী দেখেছে প্রিন্স – যে আসলেই রাজার কুমার, অনেক মেয়ের স্বপ্নে আসা সত্যিকারের যুবরাজ!
প্রিন্স খানিকক্ষণ ছাদে এলোমেলো হাঁটলো, ছাদের একপাশে পাশের বাড়ির জলপাই গাছের ডাল এসে মেলেছে, সেই পাতা ছিঁড়ে দাঁতের তলায় পিষলো, ছাদের কিনারঘেষে বসে ছেলেমানুষী বীরত্ব জাহিরের চেষ্টা করলো! কী কী যে করলো আরও, ও নিজেই জানেনা। তারপর এসে মোড়ায় বসলো সবার সাথে – কি সুন্দর গল্পে মেতেছে সবাই। পিচ্চি মিঠি কেঁউকেঁউ করে কেঁদে অস্থির হতেই প্রিন্স হাত বাড়িয়ে কোলে নিলো ওকে আর বাচ্চাটা ওর কোলে এসে একেবারে চুপ হয়ে গেলো। নতুন একজন মানুষকে চেনার কৌতুহলে মিঠি ওর ছোট ছোট আঙুল ছুঁইয়ে দিতে থাকলো প্রিন্সের চোখমুখে। আলো-আঁধারিতে মিষ্টির চোখ রাগে জ্বলতে শুরু লাগলো আর প্রিন্সের মুখজুড়ে বিজয়ীর হাসি!
ভোরে ঘুম ভেঙে বিছানায় উশখুশ করতে করতে ছাদে উঠে গেলো প্রিন্স আর রাজু। এবাড়ির সবারই মনে হয় একটু দেরীতেই ঘুম ভাঙে! সিঁড়ি ভেঙে ছাদে যেতেই প্রিন্সের মনটাও ভোরের আলোয় ভরে গেলো – ছাদের যে জায়গাটাই সিঁড়িঘরের দেওয়াল রোদ আড়াল করে চমৎকার ছায়ার আয়োজন করেছে সেখানে মোড়া পেতে বসে বইয়ের ভেতর মুখ গুঁজে বসে মিষ্টি। ওদের আওয়াজ পেয়ে বই থেকে মুখ বের করে আস্তে করে বললো ‘শুভ সকাল।’ এবার আর দাঁত বের করে না বরং ঠোঁটে ঠোঁট চেপেই মৃদু হাসলো মিষ্টি!
প্রিন্স একেবারেই রমণীমোহন ছেলে নয়, হেঁড়ে গলায় চিৎকার করাই অভ্যাস – মধুর সুরে কীভাবে প্রেমালাপ করতে হয় তা কোনোদিনই রপ্ত করেনি, ইচ্ছাও হয়নি। এখন মিষ্টির সামনে এসে ও একেবারেই নাস্তানাবুদ হয়ে যাচ্ছে, যা বলতে চাইছে তাতো বলতেই পারছে না – মুখ দিয়ে যা বেরোচ্ছে তা কোনোভাবেই ওর মনের কথা নয়। এখনো ওর মুখে কোনো কথা যখন যোগালো না। চুপ করে পেয়ারাগাছের কচি পাতা চিবুতে লাগলো। গাছে দুটো পেয়ারা পেকেছিলো, সেই পাকা পেয়ারা ছিড়ে খেতে লাগলো। দুইবন্ধু কতক্ষণ আবোল তাবোল খুনসুঁটি করলো, অকারণ হাসাহাসি করলো কিন্তু মেয়েটা ফিরেও দেখলো না। অস্থির হতে হতে একসময় প্রিন্স বলেই ফেললো ‘কি শ্যাম্পু মাথায় দিসরে মিষ্টি, আর এমন চুল খুলে রেখেছিসই বা কেন – নাক জ্বলে গেলো।’
‘প্রিন্স ভাইয়া, আমি কিন্তু এভাবে আমার আগেপিছে ঘোরার অনুরোধ আপনাকে একবারও করিনি। আপনি ছাদের ওইপাশে যেতে পারেন অথবা আমাকে বলেন আমিই নিচে নেমে যাচ্ছি!’ আবার মুখটিপে হাসলো মিষ্টি।
‘তুই নিজেরে কী মনে করিস- তোর পেছনে আমি কোন দুঃখে ঘুরতে যাবো? আমি তো দেখছি আশেপাশের ছাদে কোনো সুন্দরী মেয়ে আছে কীনা! শুনেছিলাম কুমিল্লার মেয়েরা নাকি অনেক সুন্দর হয়!’
‘তাতো হয়ই। ওয়েট আমিই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।’ বলেই উঁঠে দাঁড়িয়ে ওইপাশের ছাদের দিকে তাকালো ও। গাছগাছালি ঘেরা ওই ছাদেও যে দুটো মেয়ে ঘুরছে তা একেবারেই খেয়াল করেনি প্রিন্স আর রাজু। মিষ্টি চিৎকার করে তাঁদের একজনকে ডাকলো ‘পলি আপু, এইদিকে দেখো, তোমাদের পেয়ারাগাছের এই ডালে পেয়ারা পেকে ছিলো দুটো। আমার এই ভাইয়ারা না জেনে, না বুঝেই খেয়ে ফেলেছে।’
পলি নামের মেয়েটা আসলেই সুন্দর। কলাপাতা রঙের স্কার্ট, শার্ট আর স্কার্ফে মাথা ঢাকা মেয়েটাকে ইরানি সিনেমার নায়িকাদের মতই লাগছে। মিষ্টির কাণ্ডে অপ্রস্তুত হলেও রাজু বিব্রতকর পরিস্থিতি বেশ সামলে নিয়ে পলির সাথে গল্পে মেতে উঠলো আর ওদিকে প্রিন্সকে আরও রাগিয়ে দিয়ে মিষ্টি নেমে গেছে ছাদ থেকে।
চলবে…
(শুক্কুরবার আইতে এখনো অনেক দেরি!😁)