শেষ বিকেলের আলো পর্ব ১১

শেষ বিকালের আলো
তানিশা আহমেদ
পর্ব ১১

পরের কয়েকটা দিন কেটে গেল রুমাইসার স্বাভাবিক হতে সবার সাথে। শ্বশুর -শ্বাশুড়ি, ননদ মেনে নিলেও বাকী তিনটা প্রাণীর কেউ ই যে ও কে বাসায় চায় না সেটা রুমাইসা জানে। সাহস করে পাঁচটা দিনের একদিন ও তৃষার সাথে কথা বলে নি।দেখা হয়েছে আর দুজন দুজন কে এড়িয়ে গেছে। অভি কেও দেখে নি ঠিকমতো । আজ কাল দেখতে ইচ্ছা করে না লোকটা কে। লোকটা চেহারা দেখলেই নিজের প্রতি হওয়া প্রতিটা অন্যায়ের কথা মনে পড়ে। ঘা গুলো যেন তাজা হয়ে যায় মুহুর্তেই। তবে একি ছাদের নিচে যখন থাকতে হবে তখন আর ঘা এর উপর ব্যান্ডেজ লাগিয়েই চলতে হবে।

আর দিন শেষ এ যখন রাতের বেলায় রুমে ইহান কে দেখে নতুন করে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এই লোকটা নিতান্তই একজন স্বার্থপর ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজের স্বার্থের জন্য জেনেশুনে রুমাইসা কে মানসিক অশান্তি দিচ্ছে। তবে অন্য কোন পুরুষ হলে বোধ হয় নিজের শারীরিক কামনা মিটিয়ে নিত এতদিনে। তবে লোকটার ব্যবহার এ এমন কিছুই এখন পর্যন্ত রুমাইসার মনে হয় নি।তবুও নিজেকে যথেষ্ট বাচিয়ে বাচিয়ে চলে ইহানের কাছ থেকে। ইহান রুমে আসে। মোবাইল টিপবে, কিছুক্ষন টিভি দেখবে, রাতে গোসল করে বিছানায় এক কোনায় ঘুমিয়ে পড়বে। মেয়ের জন্য রুমাইসা কেও বিছানায় এক কোনায় ঘুমাতে হয় ইহিতার জন্য।

প্রায় রাতেই রুমাইসার চোখ টা হা করে অন্ধকার গিলে। সেই চোখ দিয়ে আবার ফোটা ফোটা পানি এসে বালিশ ভিজে যায়। রাতে ঘুমাতেই পারে না একদম। ইহানের ভয়ে, আর লজ্জায় জোরে জোরে কান্না করতে পারে না। অন্য সব মায়েদের যেমন বাচ্চারা সারা রাত জাগিয়ে রাখে রুমাইসার বেলায় একদম উল্টো। জানে না ওর এইটুকুন দুধের বাচ্চা টা কি বুঝে। সারা রাত দিন ঘুমায় বেশিরভাগ সময়। একটু জাগলে, মুখে খাবার দিলেই ঘুমিয়ে যায়।

তৃষার ছয় মাস চলছে। হাটাহাটি করতে কষ্ট হয় খুব। ডক্টর ও কে বেশ সচেতন থাকতে বলেছে। শ্বাশুড়ির এক কথা, রুম থেকে বের হবে না। যা লাগবে ডাক দিবে বা বেল চাপ দিবে আমরা চলে আসব কেউ। সেদিন বেশ কয়েকবার ডাকার পর ও কেউ আসে নি। মিলির মা ছাদে গিয়েছে কাপড় রোদ দিতে। শাশুড়ি নিচে গেছে ভাড়াটিয়া কে রুম দেখাতে। সাইয়ারা ভার্সিটি তে চলে গেছে। বাসায় কেবল এই দুটো প্রাণী আর ইহিতা।

রুমাইসা রান্নাঘরে বসে বসে পেয়াজ কাটছিল। ডাক ওর কানে ঠিক ই গিয়েছে কিন্তু ভাবল ও গিয়ে কি করবে ওখানে। বেল বাজানোর আওয়াজে ওর মনে আসল বাসায় কেউ নেই ও বাদে৷ এক রকম না চাইতেও তৃষার রুমের দিকে এগিয়ে গেল রুমাইসা। দরজার বাহির থেকে জিজ্ঞেস করল “কিছু লাগবে আপনার? ”

তৃষা ও কে দেখে মুখ কালো করে ফেলল। ও কোন জবাব দিল না। রুমাইসার খুব বিরক্ত লাগল তৃষার এমন নীরবতা দেখে। তাও ফর্মালিটির খাতিরে জিজ্ঞেস করল “কিছু কি লাগবে আপনার? বাসায় এখন কেউ নেই। লাগলে আমাকে জানাবেন আমি দিচ্ছি? ”

“প্রয়োজন নেই। যেতে পার। ” তৃষা প্রচন্ডভাবে রেগে কথাটা বলল।

রুমাইসাও কথা না বাড়িয়ে চলে গেল। তৃষা ভাবল একা একাই উঠে পানি আনবে। খুব পানি পিপাসা পেয়েছে। পেট এত বড় হয়েছে যে একবার বসলে উঠতে পারে না । উঠলে দাড়াতে পারে না। প্রেগন্যান্সির সময় যে কত কিছু সহ্য করতে হয়। তবে সব কষ্টের পরেই তো মা হতে পারবে। এরচেয়ে সুখ আর কি। ভাবতে ভাবতেই তৃষা রুম থেকে বের হয়ে টেবিল এ রাখা জগ থেকে বোতল ভরতে লাগল। কিন্তু আচমকা হাত ফসকে বোতল পড়ে পানি সব ছড়িয়ে পরল মেঝে তে। রুমাইসা এক পা বাড়িয়ে নিচু হয়ে বোতল টা নিতে যাবে ঠিক তখনি রুমাইসা এসে ও কে পেছন থেকে ধরে ফেলল। ঝুকে নিচে বসার আগেই দাড় করিয়ে দিল রুমাইসা।

তৃষা রেগে রুমাইসার গালে চড় মারল। ব্যপার টা একদম অকল্পনীয় ছিল রুমাইসার কাছে। শ্বাশুড়ি সবেমাত্র গেট খুলে ভেতরে পা দিতেই দেখল তৃষা থাপ্পড় মেরেছে রুমাইসা কে। শ্বাশুড়ি দূর থেকে চেচিয়ে উঠল “কি হয়েছে তৃষা ? ”

রুমাইসা দাত মুখ চেপে নিচে পড়ে থাকা বোতল টা তুলে টেবিলে রাখল। তৃষা সেই রাগের গলায় বলল “মা কিছু বল এই মেয়েকে।এই মেয়ে আমাকে সহ্য ই করতে পারে না। ”

রুমাইসা আর নাসিমা বেগম দুজনেই অবাক হয়ে গেল। নাসিমা বেগম ভ্রু কুচকে বলল “কি হয়েছে? কি করেছে ও?”

“আমি বোতল তুলতে নিচু হয়েছি আর মেয়ে আমাকে টেনে দাড় করিয়ে দিল। দেখেন তো ওর সমস্যা কি? আমার সব জিনিসে ও কেন হাত দিবে? লজ্জা করে না ওর, এখনো পড়ে আছে এখনো?”

রুমাইসার বুক ফেটে কান্না আছে কি এমন করল যে এত কথা শুনতে হচ্ছে। নাসিমা বেগম তৃষার কথা শুনে রুমাইসার দিকে তাকাল। মুখ দেখে মনে হচ্ছে এখন ই কেঁদে দিবে। “তোকে না বলেছি আমি বেল বাজাতে বা কাউকে ডাকতে? তুই কেন বের হয়েছিস? আর এই অবস্থায় এভাবে নিচু হয়ে বসলে উঠতে কত কষ্ট হবে জানিস? ”

তৃষার মুখ আবার কালো হয়ে গেল। শ্বাশুড়ি রুমাইসা কে কিছু না বলে ও কেই বকা দিচ্ছে। ওর মনে হচ্ছে ও অকারনে রুমাইসার জন্য কথা শুনছে। তাই ফোসফাস করতে কর‍তে বলল “বেশ হয়েছে না! এখন তুমি খুশি হয়েছে তো আম্মার কাছে আমাকে বকা খাইয়ে। তোমার জন্য যত অশান্তি । এখন আম্মা আমাকে বকা দেয় তোমার জন্য। জাস্ট গেট লস্ট। ”

এটা বলেই রুমাইসা কে ধাক্কা মেরে ভারী শরীর নিয়ে দ্রুত পায়ে হেটে চলে গেল তৃষা। রুমাইসা চেয়ারের সাথে ধাক্কা খেয়ে কোমড়ে একটু ব্যথা পেয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যথা মনে পেয়েছে। নিঃশব্দে রান্নাঘরের দিকে চলে গেল আবার। নাসিমা বেগম এর মনে হচ্ছে এইবার তার সাজানো সংসার এ অশান্তি নামতে যাচ্ছে। বুক টা ভার হয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ । নাসিমা বেগম ও চলে গেল নিজের রুমে।

একা একাই সব রান্না করেছে আজ ও। শ্বাশুড়ি আসেও নি আবার মিলির মা ঘরের সব কাজ করেছে তাই এইদিক টায় আর ডাকে নি ও। দুপুরের খাবারে সবাই একসাথে হল। অভিকেও আজ টেবিলে দেখা গেল। পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করছে কিন্তু রুমাইসা বসে নি। ইহিতার বাহানায় রুমে চলে গেছে। যেখানে অভি আছে সেখানে ও এক মুহুর্ত থাকতে চায় না। খেতে খেতে তালুকদার সাহেব হঠাৎ করে বলল “খাবার টা আজ খুব মজা হয়েছে। আজ কতদিন বাদে সবাইকে নিয়ে একসাথে খাবার খেতে বসলাম। পরিপূর্ণ লাগছে সবকিছু। ”

নাসিমা বেগম সকালের ঘটনায় খুব চিন্তিত । সে চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে আজেবাজে চিন্তার মাঝে। তৃষার বেলায় আজ ব্যতিক্রম ঘটলা। গত কয়েক মাসে কিছু খেতেই পারে নি। প্রেগন্যান্ট হওয়াএ পর কোন দিন দুপুরে যে খেতে পেরেছে ওর মনে পড়ে না।আজ খাবার খুব ভালো লাগছে। খেতে খেতে ৩ প্লেট ভাত খেয়ে এখন চতুর্থ প্লেট খাচ্ছে। অভি জানে এ হাতের রান্না কার। ভেতরে কেমন অনুভূতি হচ্ছে ও বলতে পারছে না কাউকে। পুরনো রুমাইসা কে খুব মনে পড়ছে। আর বর্তমান তৃষা কে খুব মিস করছে। রান্না ভালো হলে রুমাইসা কে খুব আদর করত অভি। আর যেদিন বাসায় রান্না ভালো হত, সেদিন তৃষা আর অভি প্রতিযোগিতা দিয়ে খেত।অভি ওর জীবনের দুই অংশ কে খুব মিস করছে। দুটা জিনিসের কঠিন অভ্যাস ছিল ওর। অথচ আজ একটা জিনিস ছেড়ে আরেকটা তে মন দিতে গিয়ে সেটাও হাত ছাড়া হচ্ছে। খেতে খেতে হঠাৎ ইহানের দিকে চোখ গেল। দেখে কেমন যেন জ্বলন হচ্ছে। রুমাইসা কে ওর দখলে নিয়ে গেছে শুধু অভিকে কষ্ট দিতে। ইচ্ছে করছে কাচের প্লেট ভেঙে কাচটা দিয়ে ইহানের চোখ তুলে গলা কেটে দিতে। নিজেকে খুব হিংস্র মনে হচ্ছে অভির। পরক্ষণেই কি যেন ভাবল আর বাকা হাসি দিতে লাগল। কিছু একটা করার রাস্তা বোধ হয় পেয়ে গেল।

ইহানের বরাবরই খাবার নিয়ে কোন অবজেকশন হয় না।ছাত্রজীবনে হোস্টেলে খেয়ে গায়ে সয়ে গেছে সব রকম রান্না। কিন্তু রুমাইসার রান্নার হাত ভালো সেটা না চাইলেও মানতে প্রস্তুত ওর মন। মেয়েটার উপর রাগ ও হয় দয়াও হয়। কিন্তু এই দুটা জিনিস কে প্রশ্রয় দিলে বরং অনুভূতি প্রখর হবে। যেটার কাছেও ও যেতে চায় না।

খাওয়া শেষ এ রুমে এসে দেখল রুমাইসা নেই রুমে। ইহিতা হাত পা ছুড়ে খেলনা দিয়ে খেলছে। বিছানায় শুয়ে ইহান ইহিতা কে দুই হাতে ওর বুকের উপর শুইয়ে দিল।

“বাবা কি খেলছে আমার। আমাকে নিবে খেলতে বাবা!”

“ওরেহ আমার বাবা টা, আবার হাত পা নাড়ে বাবার সাথে। খুব মজা করব কিন্তু আমরা। ঠিক না আম্মু। ”

এমন সময় ওয়াশরুমের দরজা খুলে রুমাইসা বের হল। ইহান কে বিছানায় ইহিতার সাথে দেখে একটু ঘাবড়ে গেল। সবেমাত্র গোসল সেরে এসেছে। ইহান ও তাকিয়ে দেখল রুমাইসার দিকে। গোসল করে আসলে বুঝি প্রতিটা মানুষের আলাদা এক সৌন্দর্য ফুটে উঠে। ব্যতিক্রম ঘটে নি রুমাইসার বেলায় ও।

বারান্দায় কাপড় রোদ দিয়ে, মাথায় বেধে রাখা তোয়ালে খুলে ফেলল। ভেজা চুলে এলোমেলো হয়ে পিঠের উপর ছড়িয়ে পড়েছে। ইহান দূর থেকে দেখছে রুমাইসা কে। কিন্তু দেখাচ্ছে ইহিতার সাথে খেলছে শুয়ে শুয়ে।রুমাইসার সেদিকে খেয়াল নেই। দূর থেকে ইহান কে অভির মত লাগছে। অভি কে খুব মিস করে মাঝে মাঝে । ভালোবাসা টা বড্ড বেঈমানী করল ওর সাথে।আজ ইহানের জায়গায় অভি থাকতে পারত। ইচ্ছে করে অভির কলার ধরে বলতে “আমি তোমার রুমাইসা, তোমার ভালোবাসায় আমার অধিকার আছে আর কারো না।” কিন্তু পরক্ষনেই মনে হয় ও আরেকজন এর নাম মাত্র স্ত্রী ঠিক ই।তবে অভি একজনের স্বামী আর তার অনাগত সন্তানের বাবা। এ জীবনে বুঝি ইহিতা আর রুমাইসা ই এতিম হয়ে পড়ল।

কি মনে করে পেছনে ফিরে ইহান কে ডাকল রুমাইসা। ইহান সবেমাত্র ইহিতা কে শুইয়ে দিয়েছে। রুমাইসার দিকে তাকিয়ে বলল “হুম বল। ”

“আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট করব।”

“হ্যা কর!। ” খুব অবাক হল ইহান।

“আমি জানি আপনি সম্পত্তি পেলে আমাদের ছেড়ে দিবেন। আমারো আপনার সাথে থাকার ইচ্ছে নেই। কেবলমাত্র উপায় না পেয়ে থাকছি মাত্র। কিন্তু একটা রিকোয়েস্ট প্লিজ। ”

এইটুক বলে রুমাইসা দম নিল জোরে জোরে। ইহান এক ভ্রু চোখের উপর তুলে আগ্রহভরে তাকিয়ে রইল রুমাইসার দিকে। রুমাইসা লজ্জায় মাটির দিকে চেয়ে বলল “আমার কবে কি হয় আমি জানি না। মরে গেলে তো অনেকে বেচে যাবে। সাথে আমার মেয়েটাও যদি যায় তবে সব ঝামেলা মিটল। কিন্তু যদি আমাকে একাই ওপারে যেতে হয় ইহিতা কে ছাড়া আপনি কি ওর দায়িত্ব টা নিবেন প্লিজ? ”

শেষ কথাটা এত করুন গলায় আবদারের স্বরে ইহান কে বলল যে কথাটা বুকের মাঝে যেন ছেদ করে দিল। ইহান কোন জবাব খুজে পেল না।রুমাইসা মারা যাবে এইটুক শুনেই মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর শেষ টুক শুনে রাগ করবে কি, বলার মত ভাষা নেই মুখে। মাঝে মাঝে কিছু আবদারের কিংবা অনুরোধের উত্তর বুঝি কঠিন হয়ে যায়। অনুরোধ কিংবা আবদার টা রাখবে কিনা সামনের পক্ষ ঠিক সময় মত বুঝে উঠতে পারে না। ঠিক সেম জিনিসটা ই ঘটল ইহানের বেলায়।

ইহান বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়াল। রুমাইসা এখনো সেই ড্রেসিং টেবিলের পাশে দাড়িয়ে আছে। ইহান কে বিছানা ছাড়তে দেখে বুকের মাঝে ধুকপুক করছে। লোকটা কি ও কে আবার থাপ্পড় দিবে!

ইহান রুমাইসার একদম বরাবর সামনাসামনি দাড়ালো। রুমাইসা এক পা পিছিয়ে গেল। কিন্তু ইহান সরে গেল না একটুও। ইহান খুব কোমল গলায় বলল “আপনার মেয়েকে আমার ভরসায় ছেড়ে যাবেন। এত ভরসা আপনার আমার উপর!! ”

রুমাইসা থমকে গেল। প্রশ্ন টা একটুও ভুল না। আসলেই কি ইহান কে ভরসা করে ও? এই লোকটাই তো সম্পত্তি পেলে ওদের ছেড়ে দিবে। তবে ওর মেয়েকে কার ভরসায় রেখে যাবে?

“উত্তর টা জেনে আমাকে জানাবেন। সময় দিলাম। কোথাও হারিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে উত্তর টা জানিয়ে যাবেন। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন তবে কোথাও হারানোর কথা ভাববেন না।মনে রাখবেন ইহান তালুকদার এত সহজ কিছু না। মাত্র কয়েকদির সংসার তো, আসতে আসতে আমার ভেতর আর বাহির টা জানার সুযোগ দিব।কিন্তু ভুলেও যেন এসব জেনে ভেতরে কব্জা করে বসে যেয়েন না। ”

একটা মুচকি হাসি দিয়ে মিলিয়ে গেল রুমের বাইরে ইহান। আর রুমাইসা কাঠ হয়ে দাড়িয়ে রইল এসব শুনে। আজকাল সব কথা এত কঠিন লাগে কেন ওর কাছে। কিন্তু শেষ লাইনটা ই বারবার মাথায় ঘুরপাকা খাচ্ছে। ভেতরে কব্জা বলতে কি বুঝাল ইহান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here