#ওঁ_ফিরে_এসেছে ( পর্বঃ ৭) LAST
#Writer_Mubarak_Hossain (Dp)
#অন্তিম_পর্ব
পিকনিকে এসে রাস্তা হারিয়ে ফেলে মাইশা,রুহি ও মিলি। জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে আসার রাস্তা হারিয়ে ফেলে কারও ব্যাপারটা মাথায় আসে না।
উপায় না পেয়ে অজানা রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগল সবাই।
নিজেদের মধ্যে একজন আরেক জন কে দোষারোপ করতে লাগল.. কেনো স্যারের কথা না শুনে এই জঙ্গলের দিকে আসল?
সরু পথ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ সামনে চোঁখ যেতেই দেখে একটা পুরনো হাবেলি।
তিন জনেই হাবেলির দিকে যেতে লাগল.. সেখানে যদি মানুষের দেখা পায় তাহলে এই জঙ্গল থেকে বেরনোর রাস্তা নিশ্চয় পেয়ে যাবে! এমনটা রুহি মনে করে।
“ঐদিকে কোথায় যাচ্ছো তোমরা”
হঠাৎ করে পেছনে এমন কথা শুনে চমকে উঠে সবাই। একটু আগেই তো কোনো মানুষের অস্তিত্ব ছিলনা! তাহলে কে কথা বলছে? এমনটা মনে করতেই ভয়ে আতঙ্কে পেছনে তাকাতেই দেখে ১৫-১৬ বয়সে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।
ছেলেটাকে দেখে ভয়টা কেটে গেল। রুহি ছেলেটা কে জিঙ্গেস করে ”’ এই জঙ্গল থেকে বেরনোর রাস্তাটা কোন দিকে! একটু বলে দিবে? “‘ কথাটা শুনে ছেলেটা রাগে গজগজ করতে লাগল। এমনটা রুহি দেখে মনে কিছুটা ভয় চেপে ধরলো।
হঠাৎ করে তাদের চোখের সামনে ছেলেটা অদৃশ্য হয়ে গেল। তা দেখে তিন জনেই ভয়ে শরীর কাঁপতে লাগল। চারদিকে ঐ ছেলেটার অট্ট হাসির আওয়াজ ভেসে আসতে লাগল।
হঠাৎ করে ছেলেটা উদয় হয়ে মাইশার গলা চেপে ধরে। রুহি ও মিলি আকস্মিক ভাবে এমন আক্রমন করাই ভয়ে আঁতকে উঠে। পিশাচ ছেলেটা মাইশাকে জড়িয়ে ধরে কোমড়ে হাত দিতেই মাইশার জন্ম দাগে স্পর্শ লাগতেই ছেলেটার গায়ে আগুন ধরে যায়। তা দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। মাইশাও বুঝতে পারছে না কি থেকে কি হয়ে গেল। ভয়ে ভয়ে রুহি আর মিলি মাইশাকে স্পর্শ করলো! না তাদের শরীরে আগুন লাগেনি। ব্যাপারটা কেউ বুঝতে পারছে না মাইশার শরীরে কি এমন আছে যার কারণে পিশাচ টা স্পর্শ করতেই তার শরীরে আগুন ধরে গেলো?
((মাইশার জন্মের পর এক তান্ত্রিকের চোঁখে পরে মাইশার শরীরে চাঁদ চিহ্ন। তান্ত্রিক মাইশার বাবা মাকে বলেন,, তার মেয়েকে কোনো অশুভ শক্তি স্পর্শ করতে পারবে না! যার কারণে মাইশাকে পিশাচটা কিছুই করতে পারেনি। সে চিহ্নের দাগের রহস্য মাইশার বাবা মা ছাড়া আর কেউ জানে না))
এদিকে পিশাচটা আগুনে পুড়ে যন্ত্রণায় চিৎকার চেচামিছি করছে। ভয়ে আতঙ্কে এক মুহূর্ত দাঁড়ালো না দৌড়ে ছুটে পালাতে লাগল তিন জনেই।
কোনো মতে জঙ্গল বেরোতে পেরেছে তারা।
এতক্ষণ দৌড়ে আসায় তিনজনেই হাঁপাতে লাগল।
– কি হয়েছে! এভাবে হাঁপাছেন কেনো.. ভয় পেয়েছেন?
হঠাৎ কেউ পেছনে এমন কথা শুনে তিনজনেই ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠে পেছনে তাকালো তারা। এবার দেখতে পেল একটা বয়স্ক লোক! কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মিলি বলে ”’ আমরা দ্বীপের দিকে যাবো, বলে দিবেন রাস্তাটা কোন দিকে “”
কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে লোকটা বলে,, সোজা গিয়ে ডান পাশের রাস্তাটা দিয়ে যেতে হবে।
লোকেশন জেনে তারা এক মুহূর্তে ও দেরি করেনি দ্রুত হাটতে লাগল কিন্তু রুহি থেমে গেল,, নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলো লোকটা কোনো ভুল দিকে যেতে বলেনি তো? আবার জিঙ্গাস করার জন্য পেছনে তাকাতেই লোকটা তাদের দেখে হাসতে হাসতে অদৃশ্য হয়ে গেল। এ দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়,,ভয়ে দৌড়াতে লাগে তিনজনেই। সোজা রাস্তায় কিছুক্ষণ যেতেই দেখতে পাই তাদের পিকনিক স্পট। খুশিতে আত্মহারা তিনজনেই। স্পটের দিকে এগুতেই একটা গর্তে পরে যায় মাইশা। পরে যাওয়ার শুনে রুহি ও মিলি পেছনে তাকিয়ে দেখে মাইশা নেই। গর্তে পড়ে যাওয়াই ব্যাথায় কুঁকাতে লাগল মাইশা। মাইশার কন্ঠ শুনে রুহি আর মিলি পেছনে সামনে এগিয়ে যেতেই দেখে মাইশা গর্তে পরে আছে কিন্তু ভয় আঁতকে উঠে মাইশাকে একটা কঙ্কাল জড়িয়ে ধরেছে, তা দেখে রুহি আর মিলি জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে।
চিৎকারের শব্দ পেয়ে পিকনিক স্পটের সবাই তাদের দিকে ছুটে আসে। মাইশাকে গর্ত থেকে তুলে স্পটে নিয়ে যায়। ভয়ে এখনো রুহি ও মিলির শরীর কাঁপছে।
তাবুতে ঢুকে মাইশা ড্রেস পাল্টানোর সময় তার ড্রেস থেকে একটা আংটি গড়িয়ে পরে। মাটি থেকে আংটিটা দেখে অবাক হয় মাইশা এটা একটা হিরার আংটি।
কিন্তু কি করে তার এখানে এলো আংটি টা বুঝতে পারছে না মাইশা??
আংটিটা বা হাতে পড়তেই মাইশার সমস্ত শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠে। মাথাটা ঝিমঝিম করতে লাগল।
হঠাৎ করে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায় মাইশার,, কি হচ্ছে তার সাথে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় মাইশা চিৎকার দিয়ে উঠে।
মাইশার চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে এসে তাবুতে ঢুকে দেখে মাইশার এলোমেলো চুলে হাটু গেরে বসে আছে আর অদ্ভুত স্বরে গোঙ্গাচ্ছে।
সবার মনে একটু একটু ভয় বিরাজ করছে কারণ জঙ্গল থেকে ফিরে আসার পর থেকেই অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে মাইশার সাথে।
মাইশার কাঁধে রুহি হাত রাখতে গেলে হঠাৎ করে মাইশা মাথা তুলে তাকাতেই সবাই ভয়ে ঘাবড়ে উঠে দেখে মণিহীন কুচকচে কালো চোঁখে এক অদ্ভুত চেহারাই মাইশা তাকিয়ে আছে তাদের দিকে!!
ভয়ে ভয়ে মাইশার কাঁধে হাত রাখতেই রুহি চমকে উঠে,, মাইশার শরীর প্রচন্ড ঠান্ডা যেনো একটা বরফের স্তোপে হাত রেখেছে। রুহির হাতের স্পর্শে মুহূর্তে মাইশা অজ্ঞান হয়ে যায়।
রুহি আঁকড়ে জড়িয়ে ধরে মাইশাকে! এখন অনুভব করে মাইশার শরীর প্রচন্ড গরম হয়ে আছে। কিছুই বুঝতে পারছে না মাইশার কি হয়েছে? কেনো অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে মাইশার সাথে?
Picnic Cancel করে বাসায় ফিরে সবাই। মাইশা এখন স্বাভাবিক তাই রুহি ও মিলিকে মানা করে দেয় সে একাই বাসায় যেতে পারবে। এনিয়ে রুহি মিলি কিছু বলেনি শুধু বলেছে সাবধানে যেতে আর বাসায় পৌঁছে তাকে ফোন দিতে?
মাইশা বাসায় আসে রাত এগারোটাই। রুহিকে ফোন করে বলে দেয় সে বাসায় পৌঁছে গেছে,,ফোন রেখে ফ্রেশ হয়ে বাবা মার সাথে ডিনার করে শুতে চলে যায় মাইশা তার রুমে।
রাত ১২ টা বাজতেই কারো গোঙ্গানোর শব্দে মাইশার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বিছানায় বসে চারদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পারছে না মাইশা। মনের ভুল ভেবে আবার শুয়ে পরে।
ঘুমে চোঁখ লেগে আসতেই হঠাৎ করে জোরে কান্নার আওয়াজ ভয়ে ঘাবড়ে উঠে মাইশা! বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে চারপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পারছে না অথচ তার রুমেই কোনো মেয়ের কান্নার অস্তিত্ব টের পারছে সে ।
হঠাৎ করে মাইশার চোঁখের সামনে কালো ধোঁয়ার আবিরভাব ঘটে! ধোঁয়াটা আস্তে আস্তে একটা মানুষের আকৃতি ধরে। তা দেখে মাইশা ভয়ে হাত পা কাঁপছে। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে, খুব পানি পিপাশা পাচ্ছে তার।
হঠাৎ করে সে কালো ধোঁয়াটা মাইশার মুখে ঢুকে পরে। মাইশা বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে! মনে হচ্ছে কোনো আগুনের গোলা তার পেটে সবকিছু জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে… যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগে মাইশা……(( পরে কি হয়েছিল তা প্রথম পর্বে আপনারা জেনেছেন))
.
.
এতোক্ষণ মাইশা তার কাহিনিটা বলছিল রুহানকে। মাইশার বাবা মা এবার ব্যাপারটা বেশ পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
কিন্তু একটা ব্যাপারে মাইশার বাবা বেশ ভাবাচ্ছে! তান্ত্রিকের কথা ছিল মাইশার শরীরে কোনো অশুভ প্রেতাত্মা প্রবেশ করতে পারবে না,, তাহলে আলিশা কিভাবে তার মেয়ের শরীরে প্রবেশ করল?
আলিশা দূরে থেকে তাকিয়ে দেখে মাইশার বাবা বেশ চিন্তিত, উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে- মাইশার শরীরে যেমনটা চিহ্ন আছে ঠিক সেমন টাই আমার শরীরে আছে, তাই আমি মাইশার শরীরে ঢুকতে পেরেছি, ভয় নেই মাইশার কিছুই হবে না।
মাইশার বাবা আলিশার কথা শুনে চিন্তা দূর হয়।
.
.
.
এমন নির্মম নিসংশয় আলিশার মৃত্যুর কাহিনী শুনে সবাই চুপ করে আছে। কেউ কোনো কথা বলছে না সবার চোঁখের পানি টলমল করছে।
হঠাৎ করে নিরবতা ভেঙ্গে উচ্চ স্বরে বলে উঠে…
– আমি কাউকে ছাড়বো না আলিশা! যারা তোমাকে নিসংশয় ভাবে মেরেছে তাদের কাউকে ছাড়বো না আমি..প্রতিশোধ নিবো। (রুহান রেগে বলে আলিশার দিকে তাকিয়ে)
– তা আর কোনো প্রয়োজন নেই রুহান,,একে একে সবাইকে মেরে ফেলেছি আমি! শুধু আবির এখনো বেচে আছে কিন্তু আজ রাতেই তার শেষ রাত। (আলিশা)
ছলছল চোঁখে রুহান তাকিয়ে আছে আলিশার দিকে। একটি বার তাকে জড়িয়ে ধরতে পারছে না রুহান। না পাওয়ার কষ্ট যন্ত্রণায় ডুঁকরে কেঁদে উঠে রুহান। কান্না করে আলিশাও, একে একে সবাই কান্না করছে।
হঠাৎ রুহানের চোঁখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যায় আলিশার অস্তিত্ব। তা দেখে রুহান চিৎকার করে কেঁদে উঠে বলে “”আমি আলিশার কাছে যাবো,আমি আলিশার কাছে যাবো “” কেউ তাকে শান্ত করতে পারছে না। ভালোবাসা মানুষটি হারানোর কষ্ট মেনে নিতে পারছে না রুহান। কষ্টের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠে তার বুকে।
.
.
.
রাত ১২ টা,
কারো চিৎকারে আত্মনাদ শুনে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে আবির। প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে কারণ আলিশা যে অতৃপ্ত আত্মা হয়ে ফিরে এসেছে, একে একে তার বন্ধু গুলোকে যে মেরে ফেলেছে আলিশা। ভয়ে ডোগ গিলে আবির আঁমতা আঁমতা করে বলে “” কে এভাবে কান্না করছো? ”
কান্নার আওয়াজ ধীরে ধীরে বারতে লাগল। কান্নার শব্দে আবিরের প্রচন্ড মাথা ধরে গেছে, চিনচিন করে মাথা ব্যাথা করছে।
আবির দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে ড্ররিংরুমে যায়। লাইট গুলো জ্বালিয়ে দিয়ে হাতে ধাঁরালো ছুরি নিয়ে জোরে জোরে আলিশাকে ডাকতে লাগল।
হঠাৎ করে আবিরের মুখের এক ফুট দুরত্বে আলিশার ভয়ঙ্কর চেহারা দেখে আবির ভয়ে আঁতকে উঠে। ঠাসসস করে চড় বসিয়ে দেয় তার গালে।
উঠে দাঁড়াতেই দেখে আলিশা নেই,, প্রচন্ড রেগে চিৎকার করে আবির বলে উঠে………..
– কোথায় পালিয়ে গেছিস, সাহস থাকলে সামনে আই? (আবির)
– পেছনে ঘুরে দেখতো!
আকস্মিক ভাবে পিছনে এমন কথা বলাই আঁতকে উঠে আবির। শরীর ঘামতে শুরু করে প্রচন্ড ভয়ে পেছনে তাকাতেই আলিশার দেহ থেকে মাথা আলাদা দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে…মুহূর্তে ই গলা চেপে ধরে শূন্যে তুলে আনে আবির কে। শ্বাস নিতে পারছেনা ছটফট করছে আলিশার হাত থেকে ছুটতে…দেওয়ালে ছুরে মারে আবির কে… মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।
– আলিশা প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও? আমি ভুল করেছি… এতো গুলো টাকা দেখে লোভ সামলাতে পারেনি! প্লিজ আমাকে মেরো না.. ছেড়ে দাও? (আবির)
– ছেড়ে দিবো! (উচ্চ স্বরে হেসে উঠে) মনে আছে তোর… ঠিক এমন করে হাত জোর করে অনুরোধ করে ছিলাম আমাকে মেরো না কিন্তু তুই শুধুমাএ টাকার লোভে আমাকে মেরে ফেলেছিস। কেঁরে নিয়েছিস আমার সত্বীত… তুই না আমাকে ভালোবাসতি… এই ছিল তোর মনে আমার প্রতি ভালোবাসা? মিথ্যা কলঙ্কের দাগ সমাজে ছড়িয়ে আমাকে নষ্টা মেয়ে সাঁজিয়েছিস… আমার প্রতি ঘৃণা আর সমাজের মানুষের লাঞ্ছনায় সহ্য করতে না পেরে আমার বাবা মা আত্মহত্যা করেছে… শুধু তোর জন্যে!!
ছাড়বো তোকে… আজ আমার হাতে তোকে মরতে হবে…… রক্তাক্ত চেহারা অগ্নিচোঁখে তাকিয়ে আলিশা বলছিল।
কথা শুনে আবির পালানো চেষ্টা করে কিন্তু পারেনি… আলিশা তাকে মূর্তির মতো দাঁড় করিয়ে রাখে।
আবিরের খুব কাছে গিয়ে ঘাড়ে কামুড় দিয়ে মাংস তুলে নেই আলিশা… চিঁবিয়ে খাচ্ছে তার মাংস…যন্ত্রণায় আবির চিৎকার করছে… সোসাইটির পুরো মানুষ ভির করছে আবিরের ফ্ল্যাটের দরজার কাছে… দরজা ভাঙ্গার জন্য জোরে জোরে দরজা ধাক্কাছে।
আবিরের আত্মনাদ দেখে আলিশা অট্ট হাসিতে মেতে উঠে। শরীরটাকে নড়াচড়া করতে পারছে না.. পারছেনা হাত পা নড়াচড়া করতে, একদম স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে আর ঘাড় থেকে টগবগ করে রক্ত গড়িয়ে পরছে।
হঠাৎ করে….
আবিরের গোপন অঙ্গে হাত ঢুকিয়ে জোরে মুঠি চেপে ধরে টেনে ছিড়ে আনে আলিশা! আবিরের পুরুষত্ব।
আত্মচিৎকার করে উঠে আবির… রক্তের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে দেহ থেকে।
আলিশার চোঁখের ইশারায় ফ্লোর থেকে ছুরিটা আসে… শক্ত করে ছুরিটা মুঠি চেপে ধরে আবির…বার বার না না করেছে আবির। আলিশার ইশারায় ধীরেধীরে ছুরিটা গলার দিকে যাচ্ছে! আবিরের দিকে.. অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আলিশা…জোরে নিজের হাতে গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় আবির। দেহ থেকে মাথাটা আলাদা হতেই ধপাস করে ফ্লোরে আবিরের দেহটা পরে ছটফট করতে লাগল… কাটা মাথাটা থরথর করে কাঁপছে… রক্তে পুরো ফ্লোর জ্যাবজ্যাব করছে…ছটফট করতে করতে মারা যায় আবির। নিজের খুনি কে নিসংশয় ভাবে মারতে পেরে খুশিতে অট্ট হাসিতে মেতে উঠে আলিশা……….
দরজা ভেঙ্গে সোসাইটির লোকেরা ঢুকে চোঁখের সামনে আবিরে নির্মম নিসংশয় ভাবে মৃত্যু দেখে সবাই ভয়ে আঁতকে উঠে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন কে মেরেছে এমন নিসংশয় ভাবে……??
.
.
রাত ২.৪৫ মি.
রুহান ছাঁদে বসে আলিশার ছবি বুকে নিয়ে কাঁদছে।
হঠাৎ করে ঘাড়ে শীতল হাতের স্পর্শে পেছনে ঘুরে দাঁড়ায় রুহান। আলিশাকে দেখে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। প্রিয় মানুষটা কে হারানোর যন্ত্রণায় রুহানের হৃদয়টা কে খুঁরে খুঁরে খাচ্ছে…….
– কেঁদো না রুহান…তোমার কান্না যে আমি সহ্য করতে পারচ্ছি না। তোমার কান্না দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে (আলিশা)
– প্লিজ আলিশা.. তুমি ফিরে এসো? তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না! প্লিজ তুমি ফিরে এসো… (রুহান)
– এ হয় না রুহান,, আমি যে অতৃপ্ত আত্মা। আমার প্রতিশোধ নেওয়া শেষ… আমার যে ফিরে যেতে হবে রুহান। (আলিশা)
– আমি তোমাকে যেতে দিবো না! যেতে হলে দুজনে এক সাথে যাবো। (রুহান)
– রুহান….ছলছল চোঁখে তাকিয়ে আছে আলিশা।
রুহান শক্ত করে আলিশার হাত দুটো ধরে.. চোঁখে চোঁখ রেখে বলে””আমাকে নিবে না তোমার সাথে..? “”
– হ্যাঁ.. নিবো তোমাকে! রুহান আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর.. আর কেউ যেনো আমাদের আলাদা করতে না পারে……..
রুহান দু হাতে বাহুডোরে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আলিশা কে….চলে যায় দূর আজানায়… পূর্ণতাপ্রাপ্তি পাই সত্যিকারে….
ভালোবাসায়……♥♥♥
((সমাপ্তি))
#রুহান ছাঁদ থেকে পড়ে মারা যায়। আংটি টি অদৃশ্য হয়ে যায় মাইশার হাত থেকে,,, শত চেষ্টা খুঁজাখুঁজির পরও আংটির হঠাৎ গায়েব হবার রহস্য আজও খুঁজে পাইনি মাইশা।
ক্ষণিকের জন্য জন্ম নেওয়া রুহানের প্রতি মাইশার ভালোবাসা অপ্রাপ্তি রয়ে যায় তবুও এটা ভেবে খুশি হয় অবশেষে রুহান আলিশার ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে।।
#গল্পটি – জানিনা গল্পটি আপনাদের কেমন ভালো লেগেছে? চেষ্টা করেছি ভালো ভাবে আপনাদের সামনে গল্পটি তুলে ধরতে। জানিনা কতোটুকু ভালো হয়েছে! তবুও চেষ্টা করবো……!
(( গল্পে -নাম স্থান কাল পাএ সম্পুর্ণ কাল্পনিক))
((ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন))