আবছায়া পর্ব ৩৭+৩৮

আবছায়া
Writer::প্রিয়া
৩৭
অরিত্রির কথাগুলো আবেগের মনে জায়গা করতে পারেনি আবেগ চলে যায়।
আবেগের মা-বাবা পারেননি ছেলেকে আটকাতে।আবেগের চোখ থেকে অনবরত অশ্রু ঝরছে অরিত্রি যদি এতো বিশ্বাসঘাতকতা না করতো তবে আজ তিনটে জীবন নষ্ট হতো না।
ইনায়া আইজানের মতো চরিত্রহীনের খপ্পরে পা দিতো না।

এয়ারপোর্টে গাড়ি এসে ৪টার সময় থামে ৫টার সময় ফ্লাইট। এক ঘন্টা হাতে সময় আছে গাড়ি থেকে নেমে কিছুদূরে একটা দোকানে গিয়ে সিগারেট কিনে মুখে দিলো।তখনি ওর পাশ দিয়ে আনায়া পাবেল হেটে যায়।
আনায়া আবেগকে দেখে কিছুদূর গিয়ে পাবেলকে রেখে আবার ওর কাছে ফিরে আসে।

-মিঃ আবেগ কেমন আছেন সেদিন আপনি আমার প্রতারণা করায় আমি বরং উপকার হয়েছিলো।

‘তা তো দেখতে পাচ্ছি তোমার বর নাকি।

-হুম নাম শুনেছেন নিশ্চয় এই শহরের বড় বিজনেসম্যান পাবেল তালুকদার।

‘না শুনি আরো বড় হলে শুনবো এখনো হয়তো আমাদের লেভেলে আসতে পারেনি।

কথাটা আনায়ার গাঁয়ে লাগলো।

-পাবেল আপনার চাইতে ও বড় মিঃ আবেগ ওর তিনটা কোম্পানি আছে।

‘দেটস গুড।

-আমরা হানিমুনে যাচ্ছি ইটালি। আপনার ওয়াইফ অরিত্রি দাশ কেমন আছেন।

‘ভালো।

আনায়া আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেলো।পাবেলের বাহুদ্বয় ধরে হেটে হেটে যাচ্ছে।
আবেগ একটা সিগারেট শেষ করে আরেকটা ধরালো।

-এই মেয়েটার সাথে জার্নি মানে পুরো জার্নি হেল করো দেয়া।
ফোনে যোগাযোগ করে সেদিনের ফ্লাইট বাতিল করে হোটেলে গিয়ে উঠে।
শহর পেড়িয়ে অনেকটা দূরে নিরিবিলি হোটেলে থাকতে খুব ভালো লাগছে আবেগের।

**অফিস থেকে ফিরে বিছানায় গাঁ এগিয়ে দেয় ইনায়া। ওর ফুফি ওর মাথার কাছে এসে বসেন।

-তুই যদি আমার ছেলের বউ হতে আমি কত সুখী হতাম তাই না রে মা।

‘ছেলের বউ হলে হয়তো আমিও খারাপ বউ হতাম।

-কখনোই না তোকে তো সেই ছোট থেকেই চিনি।
ভাইজানের কলিজার টুকরো ছিলি তুই।
ভাইজান কি জানেন তোর এই অবস্থার কথা।

‘না ফুফি বাবা জানলে কষ্ট পাবেন।

-তোর জানানো উচিত।

‘না ফুফি।

-তুই ভাইজান ফোন দিয়ে এখানে আসতে বল।
কিচ্ছু শুনতে চাই না তুই ফোন কর ভাইজানকে।

ইনায়া ওর বাবার কাছে ফোন দিয়ে ঠিকানা দিলো ওদেরকে আসার জন্য বলে।
পরেরদিন সকালে উঠেই ওরা চলে আসে।
ইনায়ার কাছে থেকে সবকিছু শুনে সবাই স্তব্ধ। ইসহাক আইজানকে মেরে ফেলতে চাইছে।
ইনায়ার মা-বাবা ইনায়ার মাথায় হাত ভুলিয়ে শান্তনা দিলেন এছাড়া কিচ্ছু বলার নেই।
মায়ের চেইন মায়ের গলার পড়িয়ে দিয়ে শান্তি পায় ইনায়া।

**হুট করেই ইসহাক চিৎকার করে উঠে সবাই ইসহাকের দিকে তাকায়
-ফুফি

ইসহাক কিছু বলতে পারছে না ওর কান্নার জন্য।

-কি হয়েছে ছোট ভাইয়া।

-ব্লাস্ট

-কি হয়েছে।

-প্লেন।আনায়া আর পাবেল দু’জন ছিলো ওই প্লেনে।
কাল বিকেলে আনায়া ফেবুতে ছবি পোস্ট করেছিলো ওরা ইটালি যাচ্ছে হানিমুনে।

-কি??
সবার ভিতরে তখন ভয় আর আতংক ঘিরে ধরে। ফুফি ইনায়ার মা দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। শত হোক মা তো সন্তান খারাপ হলেও মায়েরা সন্তানের অমঙ্গল কিছু চায় না।

-ছোট ভাইয়া ওরা বেঁচে আছে তো।

‘কারা জীবিত কারা মৃত কিছুই জানা যায়নি।
আল্লাহকে ডাকা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।

**এদিকে আবেগের বাড়িতে শোকের মাতম সবাই জানে ওই প্লেনে আবেগ ছিলো।
অরিত্রি শোকে পাথর হয়ে গেছে ওর চোখ থেকে জল আসছে না।
তখনি আবেগ ফোন করলো ওর মায়ের কাছে কাঁপা-কাঁপা হাতে উনি ফোন রিসিভ করে ছেলের কন্ঠ শুনেই কেঁদে ফেলেন।

-বাবা তুই বেঁচে আছিস।

‘হ্যাঁ আম্মু আমি কাল যাইনি তাই বেঁচে আছি।

-তুই চলে আয় বাবা আমরা আর পারছি না তুই চলে আয়।

‘না আম্মু আমি আসতে পারবো না।আমি কালই চলে যাবো দোয়া করো আমার জন্য।

-মেয়েটাকে মাফ করে দে বাবা খুব কান্না করছে কাল থেকে।

-আমার কাছে ওর কোনো ক্ষমা নেই মা।

অরিত্রি তখন মায়ের পাশে বসে বলছে।

-আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো তুমি চলে আসো আবেগ।

আবেগ ফোন কেটে দিলো।

আনায়া আর পাবেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেনা ওরা।ইটালির এয়ারপোর্টে বিমান ব্লাস্ট করেছে প্রায় সকলেই মারা গেছে ভাগ্যক্রমে কেউ কেউ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

কিছুক্ষণ পরের নিউজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে পাবেল,আনায়ার ছবিতে লেখা হানিমুনে আসা কাপলের মর্মান্তিক মৃত্যু।
মূহুর্তের মধ্যেই ওদের উপর জমে থাকা সকল রাগ শেষ করে আফসোস জমা হলো।
আনায়ার মা-বাবা ইনায়া,ইসহাক ওদের ফুফু সকলেই কান্না করছেন।
কে দিবে কাকে স্বান্তনা।

নিউজ দেখে আবেগের ও কষ্ট হলো আনায়ার সাথে খারাপ ব্যবহারের কথা চিন্তা করে আফসোস হলো।মরে গেলে কেউ আর খারাপ থাকেনা সকলেই ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠে।

**দু দিন পর ওদের লাশ দেশে এসে পৌঁছে। ইসহাক লাশবাহী গাড়িতে করে ওদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ নিয়ে আসে।
শেষমূহূর্তেও ওদের দেখতে পারলো না পরিবারের লোকজন।
পারিবারিক কবরস্থানে ওদের দাফন করা হলো।কারো মনে কোনো শান্তি নেই। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাবেলের মা পাগলপারা। যে বাড়ি থেকে আনায়া উনাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো সেই বাড়িতেই সকলে মিলে এসে উঠেছেন।
শোক কাটিয়ে উঠতে ওদের এক সপ্তাহ কেটে গেলো।
ইনায়ার মা-বাবা যেহেতু এতোদিন ভাড়া বাসায় ছিলেন তাই ইনায়ার ফুফু চাইছেন ওরা সবাই এখন থেকে একসাথে এক বাসায় থাকবে।
ইসহাক আর ইনায়া মিলে পাবেলের বিজনেস দেখাশোনা করবে।

**এদিকে রূপসা আইজানের বাসায় এসে উঠেছে। আইজান বলেছে আইজানের দেখাশোনার জন্য রূপসা এখন থেকে এই বাসায় থাকবে।
আবছায়া
writer::প্রিয়া
৩৮
আইজানের মা এভাবে অবিবাহিত ছেলেমেয়ের মেলামেশা মেনে নিতে পারছেন না।
তাই নিয়ে প্রতিদিন রূপসার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
এসব অশান্তি দেখে ও মুখ বুঝে থাকেন আইজানের বাবা।এই পরিবারে উনার কথার কোনো মূল্য নেই তাই চুপ থাকায় শ্রেয়।
রূপসা মুখ ভার করে রুমে গিয়ে বসে আছে।

-কি হলো সোনা মন খারাপ কেনো তোমার।

‘দেখো জান আমি সব ছেড়ে তোমাকে ভালোবেসে তোমার কাছে এসে এসেছি আর তোমার মা প্রতিদিন আমাকে কত কথা শুনান।

– রাগ করো কেনো মায়ের বয়স হয়েছে তাই কথা বলেন।

‘আমি চলে যাবো তাহলে।

-তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।

-তাহলে তোমার মা কে বুঝায় যাতে আমার বিষয়ে কথা না বলেন।

‘আমরা এভাবে লিভ ইন না করে বিয়ে করে নেই তাহলে সব প্রব্লেম শেষ।

-বিয়ে না না আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না।
আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে বিয়ে করলে।

-আরে পাগল বিয়ের সাথে কেরিয়ারের সম্পর্ক কি তোমার কেরিয়ার আমি গড়ে দিবো।

‘না জান প্লিজ বিয়ে টিয়ে না আমরা এভাবেই বেশ আছি।

-তাহলে মাকে বলে দিবো আমরা বিয়ে করেছি।

-সেটা করতে পারো তাহলে বুড়ির মুখ বন্ধ হবে।

আইজান আর কিছু বললো না।রূপসা আইজানের গাঁ ঘেষে বসলো।

-আমি একটু বাইরে যাবো কিছু টাকা লাগবে কয়েকটা নতুন ড্রেস কিনবো।

‘এতো নতুন ড্রেস থাকতে আবার নতুন ড্রেস।

-তুমি তো জানো সোনা আমি এক ড্রেস এক সপ্তাহের বেশি পরতে পারি না।

‘আচ্ছা সমস্যা নেই চেক বই দাও আমি সই করে দিচ্ছি। ক্যাশ টাকা শেষ হয়ে গেছে সব।

রূপসা চেকবই দিতেই আইজান সাইন করে দিলো এমাউন্ট কত জানতে চাইলে রূপসা চেকবই কেড়ে নিলো।

-জান এমাউন্ট আমি বসিয়ে নিবো।

রূপসা বেড়িয়ে যেতেই আইজানের মা ওর সামনে আসলেন।

-কি করতে চাইছিস তুই।

‘কি করেছি মা।

-বিয়ে ছাড়া একটা মেয়েকে নিয়ে এক রুমে রাত খাটাচ্ছিস। আবার কি চেক সাইন করে দিলি এই মেয়ে কে হয় তোর।

-আমি ওকে ভালোবাসি মা ওকে খুব শীগ্রই বিয়ে করবো।

-এমন মেয়ে আমি তোর হিসাবে মেনে নিতে পারবো না।

‘তোমার মানা না মানায় কি এসে যায় আমি ওর সাথে খুশি থাকি ওকে আমি চাই।

-আমার কথা কিচ্ছু যায় আসে না মানে আমি তোর মা আইজান।

-মা যেহেতু চুপ করে থাকো ছেলের সুখ সব মা চায়।

আইজানের মা কোনো কথা না বলে বেড়িয়ে যান।পাশে দাঁড়িয়ে হু হু করে হেসে উঠেন আইজানের বাবা।

-কি হলো বেগম আজ মুখে কথা নেই কেনো।ইনায়ার সাথে কি করেছিলে এবার সব সুদে আসলে ফেরত পাবে।
আইজানের মা কোনো কথা বলতে পারলেন না নীরবে কান্না করছেন।

**বিকেলের নীরব পরিবেশে ছাদের কর্ণারে দাঁড়িয়ে আছে ইনায়া। জীবনের হিসেব মিলাতে চাইছে না তবে ভাবছে রঙ্গিন জীবন কত রঙ জানে।
মারজানকে কোলে নিয়ে ওর কাঁধে হাত রাখলো ইসহাক।

-তোর ছেলে কান্না করছে মা ভক্ত ছেলে না দেখলে কান্না শুরু করে দেয়।
মারজানকে কোলে নিয়ে গল্প জুড়ে ইনায়া।মারজানের হাসির শব্দে সব কষ্ট ভুলে যায় ইনায়া।

-কি ভাবছিস আইজানের বিষয়ে।

‘আর কি ভাববো।

-ডিভোর্স কবে দিচ্ছিস।

-ডিভোর্স।

-ওকে ডিভোর্স দেয়া উচিত ঝুলিয়ে থেকে লাভ নেই সবকিছু নতুন করে শুরু কর।

‘নতুন করে আর কিছু ভাববো না বাকি জীবন মারজানকে নিয়ে কাটিয়ে দিবো।
তবে ডিভোর্স দিয়ে দিবো ওকে।

ইসহাক আর কথা বাড়ায়নি নিচে নেমে যায়।
পরেরদিন পাবেলের অফিসে যায় ইসহাক সব স্টাফদের সাথে পরিচিত হয়।
দু দিন পর থেকে ইনায়া জয়েন করে ভাই বোন মিলে ব্যবসা সামলাচ্ছে।
শত কষ্টের ভীড়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুখেই দিন যাচ্ছে ইনায়ার।

**আবেগ ইতালি চলে গেছে নিয়ম করে মা-বাবার সাথে ফোনে কথা বলে।দরজায় আড়ালে দাঁড়িয়ে সবকিছু শুনে অরিত্রি।
আবেগের মা-বাবা অরিত্রির সাথে ভালো আচরণ করেন।অরিত্রি অনেক পাল্টে গেছে।
আবেগের সাথে যোগাযোগ করেনি অপেক্ষায় আছে আবেগ ওকে হয়তো ক্ষমা করে দিবে।

*অরিত্রি সেদিন শপিং করতে বাইরে যায় গাড়িতে উঠতে গিয়ে চোখ যায় ইনায়ার গাড়ির দিকে।
ইসহাক আর ইনায়াকে দেখে অরিত্রি ওদের গাড়ির পিছু নেয়।
বাসা চিনে যায় সেদিন আর অরিত্রি ইনায়ার সামনে যায়নি।

কিছুদিন পর অরিত্রি আসে ইনায়ার কাছে। অরিত্রিকে দেখে ইনায়ার মা-বাবা অনেক খুশি হোন।
ইনায়া অফিসে থাকায় মারজানকে কোলে নিয়ে খেলা করছে অরিত্রি।
বিকেলে বাসায় ফিরে অরিত্রিকে দেখে চমকে যায় ইনায়া।

রুমের একপাশে ইনায়া অন্যপাশে অরিত্রি দাঁড়ানো কারো মুখে কোনো কথা নেই।খাটের পাশে বসে অরিত্রি কথা বলে।

-তুই ঠিক বলেছিলি রে সত্যিটা জানার পর আবেগ আমায় ভালোবাসবে না।

‘কি সত্যি।

-তোর সাথে প্রতারণা করার সত্যি আবেগ সব জেনে গেছে।আমাকে ক্ষমা করেনি চলে গেছে আমায় রেখে।

-আবেগ কোথায় গেছে।

-ইতালি চলে গেছে।জানিয় ইনায়া পাপের শাস্তি খুব ভয়ানক আমার সন্তানকে ও কেড়ে নিয়েছেন আল্লাহ। যেদিন তোকে বের করে দিয়েছিলাম সেদিনই আমার শাস্তি পেয়ে গেছিলাম।

-এখানে কেনো এসেছিস অরিত্রি।

-তুই আমায় অরিত্রি বলছিস ইনায়া তুই না আমায় আরু বলে ডাকতি।

-তোকে না আমি আমার কলিজার টুকরো বান্ধবী কে আরু বলতাম।যে নিজের প্রাণের চাইতে আমায় ভালোবাসতো।তুই তো স্বার্থপর একটা মেয়ে।

অরিত্রি ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো।

-এখান থেকে যেতে পারিস অরিত্রি।

অরিত্রি ইনায়ার পায়ের কাছে গিয়ে বসে পড়লো।

-আমায় ক্ষমা করে দে ইনায়া প্লিজ তুই মুখ ফিরিয়ে নিস না।ক্ষমা করে দে আমায় তুই ক্ষমা না করলে আমি মরেও শান্তি পাবো না।

-তোর প্রতি আমার কোনো রাগ নেই তাই ক্ষমা করার কথা আসছে কেনো।

‘ইনায়া প্লিজ আমায় শাস্তি দে তা ও আমায় ক্ষমা করে দে।
আমি শান্তি পাচ্ছিনা রে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

-অরিত্রি তুই আবেগকে কেড়ে নিয়েছিস বলে আমার কষ্ট নেই তুই ওকে যতোটুকু ভালোবাসি ওকে পাওয়ার অধিকার তোর।
কিন্তু আমার আফসোস হয় যে আইজানের মতো খারাপ ছেলের দিকে তুই আমাকে টেলে দিয়েছিস।তুই মাঝেমধ্যে আইজানের খারাপ দোষ দেখাতি আমায় কিন্তু আমি তখন অন্ধ ছিলাম।

-বিশ্বাস কর ইনায়া আইজান এতো খারাপ আমি জানতাম না।তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে আমি এটাই জানতাম।

‘বাদ দে সে সব কথা খারাপ সময় পার করে এসেছি। এবার আমার সন্তানকে নিয়েই আমার দুনিয়া।
তুই যা অরিত্রি বিশ্বাস কর তোর প্রতি আমার কোনো রাগ নেই।আবেগ ফিরে আসবে দেখিস সব ভুলে তোরা নতুন জীবন শুরু কর।

-তুই এতো ভালো কেনো ইনায়া সব মানুষ কেনো তোর মতো হয় না।

ইনায়া তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে মারজানকে কোলে নিয়ে ছাদে চলে গেলো।অরিত্রির সামনে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না হয়তো সব ভুলে অরিত্রিকে জড়িয়ে ধরবে সেই ভয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

চলবে
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here