তুমি আমার প্রেম পর্ব ৪

#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:04💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“ভার্সিটির ক্যান্টিনে বসে বসে হাসছি আমি’!! আর আমার ঠিক উল্টো দিকে মুখ গোমড়া করে বসে আছে রিতু’!!এদিকে হাসি যেন থামছেই না আমার’!!আমাকে হাসতে দেখে রিতু বললঃ

——“তুই থামবি নাকি’???

——“না থামমু না করবি কি তুই’??

——“কিছু করুম না,,যা হয়েছে তোর জন্য’!

——-“আমি কি করলাম,আমি তোকে বলছিলাম গিয়ে “ফাটা ডিসপ্লের” গায়ে উপর পরতে,,

——“তুই তো দৌড়াতে বাধ্য করলি তাই তো’!!

——“আর তোর জন্য যে ভরা ভার্সিটির সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেটা কি হলো’!!

——“আমি তোকে বলছিলাম কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে…৷

——-“তুই বলবি কি বললো তো ওই শালার “ভাঙা টেপ রেকর্ডার”!

——-“কি “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আবার কে’??

“তারপর রিতুকে কালকে থেকে আজকে পর্যন্ত আরিয়ানের সাথে হয়ে যাওয়া সব ঘটনা বললাম সব শুনে তার হাসি থামছেই না!!!

“একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে বললামঃ

——-“এখন তুই থাম’!

“কিন্তু এমন বদমাশ মাইয়া হাসি থামালোই না তাই আমি ওর সাথে দাঁত কেলানি দিলাম’!

__________________________________________


“ভার্সিটির ক্লাসরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান!!এমন সময় সিঁড়ি বেয়ে আরিয়ানের সামনে আসল আরুশ’!!তাকে দেখে আরিয়ান হেঁসে উঠল’!!

“এই মুহুর্তে আরুশের মাথায় ময়লায় ভরে আছে’!!কালো টিশার্ট পুরো নষ্ট হয়ে গেছে’!!এগুলো হয়েছে আরুশ মাটিতে পরে যাওয়ার ফলে’!!আরিয়ান ভার্সিটির দু-তলার উপর থেকেই আরুশের সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনা দেখতে পেয়েছে’!!তাই এমন কাহিনি দেখে সেও হাসছে’!!

“একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে আরুশ বললোঃ

—–“এতো হাসার কি হলো ওটা জাস্ট এক্সিডেন্ট ‘!!

——“তাহলে আমি কখন বললাম যে মেয়েটা ইচ্ছে করে পরেছে’!!এখন বলো মামা ফিল হলো কেমন’!!(দাঁত কেলানি দিয়ে)

——-“কচুর ফিল হইছে,,ওই “পঁচা পান্তা ভাত” বার বার আমার গায়ের উপর এসেই পরে কেন হুহ’!!

“আরুশের কথা শুনে আরিয়ান অবাক হয়ে বললোঃ

——-“তার মানে কালকের মেয়েটাই ওই মেয়েটা’!!

——“হুম’!!মাইয়াডায় কি রে বাবা কিছুক্ষন আগে ওর কোমড় ভাঙলাম আর এখন ও আমার’!!

“এ কথা শুনে আরিয়ান হেসে বললঃ

——“কেন তুই কিভাবে ভাঙলি’!!

“তারপর আরুশ কিছুক্ষন আগে রিতুর সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনার কথা বললো আরিয়ানকে’!!

“আরিয়ান শুধু হাসতে লাগল আরুশের কথা শুনে, হাসি যেন থামছেই না’!!এমন সময় আরিয়ানের ফোন বাজল ফোনটা তুলে বললঃ

—–“হুম আব্বু বলো’!!

“ওপাশ থেকে আরিয়ানের আব্বু বললঃ

—–“তাড়াতাড়ি বাসায় আয় তোর ভাইয়া এসেছে’!!

“আরিয়ান অবাক হয়ে বললোঃ

——-“কি,, সত্যি কিন্তু ভাইয়ার তো আরো দুদিন পর আসার কথা ছিল’!!

“এমন সময় আব্বুর কাছ থেকে আকাশ ফোনটা নিয়ে বললোঃ

——“তোদের সারপ্রাইজ দিতে আগেই চলে এসেছি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয়’!!

“আরিয়ান খুশি হয়ে বললোঃ

——“আসছি আমি,, ১ ঘন্টার ভিতর চলে আসছি ভাইয়া’!!

——“হুম তাড়াতাড়ি আয়’!!এই বলে ফোনটা কাটল “আকাশ’!!

“তারপর ফোনটা রেখে আকাশ চলে গেল ফ্রেশ হতে’!!
.
.
.

“এদিকে আরিয়ানের খুশি দেখে কে??কতোদিন পর তার ভাইয়াকে দেখতে পাবে সে’!!ভাবতেই খুশি লাগছে তার’!!

——-“কি হয়েছে’ এত খুশি কেন’!

——–“ভাইয়া এসেছে’!!

——‘কী’!

—–‘হুম’!!তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে’!!

—–“হুম যাবি তার আগে বলতো কালকে প্লেনে বসে কাকে ইডিয়েট বলছিলি,তারপর সকালেও তো কাকে যেন কানা বললি ব্যাপারটা কী’!!

——“আর বলিস ওটা কানা,ইডিয়েট সাথে “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ”

——-“মানে’!!

——“মানে হলো’!!

“তারপর আরিয়ানও আরুশকে কালকে থেকে সকাল পর্যন্ত যা যা হয়েছে তার সাথে ঝাঁঝ বতী লবঙ্গের সব বলতে লাগল আরুশকে…….’!!!

__________________________________________


“একরাশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে এখনো বসে আছি ক্যান্টিনে’!!কিছুতেই ভালো লাগছে না’!!শুধুই আরিয়ানের দেওয়া অপমানটা মাথায় ঘুরছে আমার’!!কি করব, কিছু তো করতেই হবে’!!না হলে আজকে রাতে ঘুম হবে না’!!আজকে আর ক্লাস না করেই বাসায় যাবো এমন মনোভাব নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম’!!আমাকে দাঁড়াতে দেখে রিতু বললঃ

——“কি হলো দাঁড়ালি কেন???

——“বাসায় যাবো চল…..

——-“কিন্তু কেন???

—–“ভালো লাগছে না চল’!

“আমার জোরাজোরিতে রিতু চলতে বাধ্য হলো’!!!হর্ঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি আসল’!!মুচকি হেঁসে দোকান থেকে কতোগুলো চুইংগাম কিনে খেতে লাগলাম আমি’!!আর রহস্যময়ী হাসি দিতে লাগলাম’!!

“আজকে বুঝতে পারবা মিস্টার “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আমার পিছনে লাগলে কি হতে পারে’!!এই ভেবে কিছুটা জোরে হাসতে লাগলাম আমি’!!

——-“কি হলো হাসছিস কেন’!!

——-“কিছু না ময়দা সুন্দরী’!!আগে আগে দেখো হোতায়ে কে’??

——-“মানে’!!

——–“এত মানে মানে না চল আমার সাথে’!!

“এই বলে রিতুর হাত ধরে চললাম বাহিরে’!!!

__________________________________________

——“এগুলো কি করছিস’!!এক প্রকার চেঁচিয়ে কথাগুলো বললো রিতু’!!!

——-“তোর মাথা করছি,দেখতে পারছিস না’!!

——-“কেউ দেখলে কি হবে বুঝতে পারছিস’!!

——“কিছু হবে না,আর কেউ দেখলে তো হবে কেউ থোড়াই দেখেছে যে আমরা ভাঙা টেপ রেকর্ডারের বাইকে চুইংগাম লাগিয়ে দিচ্ছে’!!!তাই চুপ করে থাক আর যেটা করছি চুপ করে দেখতে থাক’!!বাইকের ব্রেকে চুইংগাম লাগিয়ে দিয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চললাম আড়ালে’!! কারন দেখতে হবে না মিস্টার “ভাঙা টেপ রেকর্ডারের” অবস্থাটা কেমন হয়’!!এই বলে একটা শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে চললাম আমি আর রিতু গাছের আড়ালে’!!

__________________________________________


“নিজেদের কাজ শেষ করে আরিয়ান আর আরুশ চললো বাহিরে’!!এখন দুজন একসাথেই বাসায় ফিরবে তারা’!!কারন আরিয়ানের মতো আরুশও অনেক খুশি’!!তারপর আরকি যা হওয়ার তাই হলো আরিয়ান গিয়ে বাইকের ব্রেক ধরতেই চুইংগাম আটকে হাতে চলে এল’!!হাত যত উপরে উঠাচ্ছে চুইংগাম ততই লম্বা হয়ে যাচ্ছে’!!

“এদিকে আরুশ আরিয়ানের এমন অবস্থা দেখে কি করবে বুঝতে পারছে না’!!হাসি পাচ্ছে তার তবুও হাসি দমিয়ে রেখেছে সে’!!

“এদিকে আরিয়ানের মাথা গরম হয়ে গেল’!!এই রকম একটা কাজ কে করল এসব ভাবতে ভাবতে”!!!

“এদিকে আমি আর রিতু আরিয়ান আর আরুশের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ’!!হর্ঠাৎ আমি আর রিতু বেরিয়ে আসলাম গাছের আড়াল থেকে’!!রিতু ভয়ে আধ মরা হয়ে গেছে তারপরও এক প্রকার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম ওকে’!!!

“তারপর একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ওনাদের বললামঃ

——-“ছিঃ ছিঃ ভাইয়া চুইংগাম না খেয়ে হাতে লাগিয়ে বসে আছেন’!!আমি জানতাম চুইংগাম মুখে দিয়ে খেতে হয় আপনি তো দেখি হাতে লাগিয়ে বসে আছেন খুব ভালো’!!এতটুকু কাটা গায়ে নুনের ছিটে দিয়ে একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি আর রিতু’!!!

—“বাহিরে এসে ওরে হাস আমার আর রিতুর আমাদের হাসি দেখে কে’!!হাসতে হাসতে চললাম আমরা বাড়িতে…….’!!!
.
.
.
.
.
এদিকে আরিয়ান রাগে বোম হয়ে গেছে’!!কারন তার বুঝতে বাকি রইলো না এই রকম বদমাশি “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গই” করেছে”!!রাগে তার আগুন পুরো জ্বলে যাচ্ছে’!!মনে মনে নিজেকেই বলছে সে…..
এর শাস্তি আমিও সুদে আসলে ফেরত নিবো মিস “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ”!!!

“এদিকে আরুশ ভিতরে ভিতরে প্রচুর হাসি পাচ্ছে তার কিন্তু বাহিরে বের করতে পারছে না সে’!!আরুশ বললঃ

——-“দোস্ত যাবি নাকি দাঁড়িয়ে থাকবি’!!

——-“কি করে যাবো ওই “কানায়” না “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ” কি করে চলে গেল দেখোস না তুই’!!!

“আরুশ অবাকের সাথে তাকিয়ে বললঃ

——“তার মানে’!!

——-“এটাই সেটা…….

——–“কী????

——-“হুম’!!

__________________________________________


“বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে কলিং বেল টিপ দিতে দিতেই আপু এসে দরজা খুললো’!!আপুকে দেখে আপুকে ধরেই লুঙ্গি ড্যান্স দিতে লাগলাম আমি’!!খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে আমার আর তাই করছি’!!

“এদিকে আমার কান্ড দেখে অবাক হয়ে বললো মেঘলা আপুঃ

——–“কি হয়েছে বান্দরের মতো নাচছিস কেন’???
!
!
!
!
#চলবে……..।

❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর অনেকেই প্রশ্ন করছেন গল্পের কয়জন নায়ক নায়িকা তাদের বলছি মোট তিনজন এখন কার সাথে কার জুটি সেটা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন]❤️
#TanjiL_Mim❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here