তুমি আমার প্রেম পর্ব ৫+৬

#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:05 + 06 💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
-“Le Le Le number mara
badma message muja karda na
kud ko samaj ma lakha mujsa hookup tu karlana….’!!

—“Students of the year 2 movier গান ছেড়ে উড়াধুরা ড্যান্স দিচ্ছি আমি’!!তবে একা নই সাথে আছে আমার প্রান প্রিয় “আফামনি”!!সে কিছুই করছে না শুধু আমার দিকে হাবলা কান্তের মতো তাকিয়ে আছে’!!অবশ্য এটাই স্বাভাবিক কারন বাসায় এসেই কোনো কারন ছাড়াই মিউজিক বাজিয়ে উড়াধুরা নাচতে থাকলে এমন ভাবে তো তাকিয়ে থাকবেই তাই না’!!এক পর্যায়ে কান্ত হয়ে বসে পরলাম সোফায় আমি’!!আপুর দিকে তাকিয়ে বললামঃ

——-“আপু পানি নিয়ে আসো জলদি’!!!

“আপুও আমার কথা মতো গিয়ে পানি নিয়ে আসল’!!পানি নিয়ে আসতেই ঢক ঢক করে সব পানি খেয়ে ফেললাম আমি’!!

“পানির গ্লাস আপুর হাতে দিতেই আপু বলে উঠলঃ

——-“এখন বল এতক্ষণ নাচতে ছিলি কেন??কি হয়েছে’!!

——“কি হয় নি তাই বলো’!!

——-“মানে’!!

——–“মানে হলো’!!

“তারপর আপুকে সব বলে দিলাম আমি’!!!”ভাঙা টেপ রেকর্ডারের” সাথে যা যা ঘটেছে এ দুদিনে সব বললাম আমি’!!আমার কথা শুনে আপু শুধু হা হয়ে তাকিয়ে রইল’!!কিছু বললো না’!!

“আমিও একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলে আসলাম রুমে’!!জানি এখন ওখানে বসে থাকলেই শুরু হবে আপুর বকবকানি’!!তাই ওখান থেকে সরে আসাই উওম’!!

“রুমে এসে আবার কিছুক্ষন ড্যান্স দিয়ে চললাম আমি ওয়াশরুমে’!!

__________________________________________


“বাসায় আসতেই আরিয়ান আকাশকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ কথা বলে চললো ওয়াশরুমে’!!রাগে তার শরীর জ্বলে যাচ্ছে এই মুহুর্তে না পারছে কিছু করতে আর না পারছে সহ্য করতে’!!

“ওয়াশরুমে……

” ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান’!!চোখ অসম্ভবভাবে লাল হয়ে আছে তার’!!কতো বড় সাহস এত বড় একটা বেয়াদবি করার’!!মনে মনে কয়েকশো গালাগালি দিয়ে ফেলেছে সে’!!যেমন ইউ ইস্টুপিট ডাফার মেয়ে কোথাকার,তোমার জন্য আমার বাইকটা নোংরা হলো’!!তোমায় তো আমি ছাড়বো না’!!একবার দেখা হোক তারপর বুঝাবো এই আরিয়ানের সাথে বেয়াদবি করলে এর শাস্তি কতোটা ভয়ংকর হতে পারে’!!ইউ ‘মিস ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ’!!এই বলে লম্বা শাওয়ার নিচ্ছে আরিয়ান’!!

__________________________________________


“বিকাল ৪:০০টা____
নিজের রুমের টেবিলের কাছে চেয়ারে বসে আছে আরুশ”!!কেমন অদ্ভুত লাগছে তার’!!বার বার শুরু পঁচা পান্তা ভাতের কথা মাথায় এসে হাসছে সে’!!সকালে হর্ঠাৎ রিতুকে দেখে চোখ আঁটকে যায় আরুশের’!!হর্ঠাৎ এমন হওয়ার মানে খুঁজে পায় না আরুশ’!!জীবনে হয়তো প্রথমই কোনো মেয়ে হর্ঠাৎ করেই তার এতটা কাছে চলে আসে’!!হর্ঠাৎ জড়িয়ে ধরা’!হর্ঠাৎ মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া’!!হর্ঠাৎ ধাক্কা লাগা”!!আর হর্ঠাৎ করে এতটা জগড়া হওয়া সবই আরুশকে খুব হাসাচ্ছে’!!এত কেন ভাবছে আরুশ রিতুকে নিয়ে জানা নেই তার’!!তবে ভাবতে ভালো লাগছে তাঁর’!!হর্ঠাৎই ডায়রির পাতা উল্টে কিছু একটা লিখতে বসলো আরুশ”‌!!

“প্রথম লাইনেই ভুল করেই আনমনে লিখে ফেলেছে “পঁচা পান্তা ভাত”!!হর্ঠাৎ ফোন বাজল আরুশের ফোনটা তুলতেই ওপাশ,থেকে বলে উঠল আরিয়ানঃ

——-“তাড়াতাড়ি বাসায় আয় শপিং যাবো!!

——-“কেন??

——“চানাচুর বিক্রি করতে??

——“কী

—–“শপিং এ মানুষ কেন যায়

——-“শপিং করতে যায়

——-“তাইলে প্যাক প্যাক না করে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আয় আমি ওয়েট করছি’!

——-“ওকে বলে ফোনটা কেটে ডাইরির পাতায় তাকাতেই অবাক আরুশ এটা কি লেখলো সে’!!এটা লেখার জন্য তো ডাইরির পাতা খুলে নি সে তবে’!!মস্তিষ্কে প্রশ্নগুলো এসেও আবার আঁটকে গেল তার’!!তারপর তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরল সে’…….!!!

“আরিয়ানদের বাসায় গিয়ে আরিয়ান আর আরুশ রওনা হলো শপিংয়ের উদ্দেশ্যে….’!!

__________________________________________


“বিছানায় বসে আম্মাজানের বানানো আচার খাচ্ছি আর সামনে আমার আফামনি মানে মেঘলা আপু সাজুগুজু করছে’!কারন হচ্ছে সে এখন কোথাও ঘুরতে যাবে’!!তবে কার সাথে দেখা করতে যাবে তা আমি জানি’!!কারন আপু আকাশ ভাইয়ার সাথে বলা মেসেজ আমি দেখছি’! হিঃ হিঃ

“আচার খেতে খেতে আপুকে বললামঃ

——“আপু এত সাজুগুজু করছো কেন দুলাভাইয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছো নাকি’!!??

——“বেশি পেকে গেছিস না তুই’!!

——“হুম আমি জানি তুমি এখন আকাশ ভাইয়ার সাথে রেস্টুরেন্টে বসে রোমেন্স করতে যাচ্ছো’!!

——-“কী বললি তুই’ এই বলে আপু ছুট লাগালো আমার দিকে আর আমি দৌড়ে আমার আম্মাজানের পিছনে’!!!

“আম্মু বললঃ

——–“কি হলো তোরা দৌড়াচ্ছিস কেন??

——-“আমি বলছি আম্মু আপু আসলে……

——“ছুটকি,খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু’!!

——-“কি খারাপ হবে শুনি আমরা কি জানি না ভেবেছো আম্মুও জানে তুমি যে আকাশ ভাইয়াকে ভালোবাসো’!!এই রে মুখ ফোসকে সত্যি কথা বলে দিলাম’!!

“মেঘলা আপুর দিকে তাকাতেই দেখলাম চোখ মুখ গরম হয়ে গেছে তার এই রে খাইছে’!!এখন যদি হাতে পায় আমারে তো শেষ করে দিবে’!!এই ভেবে দিলাম দৌড়’!!আপুও পিছন পিছন দৌড়াতে লেগেছিল কিন্তু তার আগেই আম্মু ধরে ফেললো তাকে’!!আর এই সুযোগে রুমে গিয়ে হালকা তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরলাম আমি’!!কারন আজকে রিতুর সাথে শপিং এ যাওয়ার কথা আমার’!!আম্মুকে আগেই বলে রেখেছি তাই আসার সময় দুই লাইন বলে চলে এসেছি আমি’!!আর আপু হয়তো মনে মনে হাজারটা গালাগাল দিয়েছে কিন্তু আমি একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলে আসলাম’!!এখন বোঝো ঠেলা আপু’!!
.
.
.
“আম্মু বললোঃ

——“আমি জানি মেঘলা তুই আকাশকে পছন্দ করিস’!!কিন্তু এই কথাটা তো আকাশকেও বলতে হবে নাকি’!!

——-“কিন্তু আম্মু আকাশের দিকটা তো জানি না ও যদি না বাসে তাহলে’!!

——–“শোন আমি বলি আকাশ ছেলে হিসেবে খুব ভালো’!!ও যতবার আমাদের বাসায় এসেছে তাতে সব ঠিক থেকে ওকে ভালো লেগেছে আমার তাই বলি এই ভাবে দেরি না করে এখনই বলে দে আকাশকে!! বাকিটা ও নিজেই বুঝে নিবে’!!

——–“কিন্তু আম্মু’!!

——-“আর কোনো কিন্তু নয় আমি আর তোর বাবাকে বলতে পারবো না যে তুই এখন বিয়ে করতে পারবি না’!!তোর পড়াশোনা শেষ এখন জবও করছিস আর এখনই তোকে একজন জীবন সঙ্গী বেছে নিতে হবে’!!তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি আকাশকে বল’!!না হলে খুব দেরি হয়ে যাবে’!”এতটুকু বলে চলে গেলেন উনি’!!

“মেঘলাও কথাগুলো মাথায় রেখে চলে আসল বাহিরে’!!কারন এখন তাকে যেতে হবে আকাশের সাথে দেখা করতে”!!

__________________________________________


“রেস্টুরেন্টে বসে আছে আকাশ’!!একরাশ অস্থিরতা নিয়ে’!!কারন প্রায় ৫ বছর পর দেখা হবে মেঘলার সাথে’!!তবে ভিডিও কলে অনেকবারই দেখা হয়েছে তার’!!তারপরও একটু অস্থিরতা কারন আজকে মেঘলাকে ভালোবাসার কথা বলতে চায় আকাশ’!!কিন্তু আদো বলতে পারবে কি’??

——–“এমন সময় কালো রঙের চুড়িদার পড়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকলো মেঘলা’!!চুলগুলো খোলা,চোখে গাড়ো কাজল’!!সব মিলিয়ে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!আকাশের তো চোখ আঁটকে গেছে তাকে দেখে’!!মেঘলাও সামনে টেবিলের আকাশকে দেখে মুচকি হেসে বসে পরল সামনে’!!

“মেঘলা বসতেই আকাশের ধ্যান ভাঙল’!!হেসে বললোঃ

——“কেমন আছিস তুই আগে চেয়ে মোটা হয়ে গেছিস’!!

——-,”কি আমি মোটা হয়ে গেছি তোর চোখ ঠিক আছে আরো চিকন হয়ে গেছি’!!

——–দেখে তো মনে হচ্ছে বলে হেঁসে দিল আকাশ'””!!! তারপর ওয়েটার কে বলে খাবার অর্ডার দিল আকাশ’!!ওয়েটার এ খাবার দিয়ে চলে যায়”!! এমন সময় দু’জনেই একসাথে বলে উঠলঃ

—–আমার কিছু বলার আছে আকাশ’??

——-আমিও কিছু বলে চাই তোকে’!!

——আচ্ছা তুই আগে বল

——–না তুই বল’!!

——-না তুই বল লেডিস ফাস্ট’!!

আকাশের কথা শুনে মেঘলা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলতে নিবে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে’!!

__________________________________________


“শপিং মলে জামা দেখছি আমি আর রিতু”!! অনেকক্ষণ যাবৎই দেখে যাচ্ছি তবে একটাও পছন্দ হচ্ছে না অনেকগুলোই ট্রাই করেছি কিন্তু কোনোটাই ভালো লাগছে না আমার’!!

“হর্ঠাৎ রিতু বললোঃ

——–“এগুলো ট্রাই কর গিয়ে’!!ওর কথা মতো জামাগুলো নিয়ে চলে চেঞ্জিং রুমে’!!একটা পরতে দেখলাম মোটামুটি ভালো লাগছে’!!কিন্তু সমস্যা ঘটলো আরেটা জামার চেন আঁটকে গেছে খুলতে পারছি না’!!এই রে এখন কি করব’!!
.
.
.
“শপিংমল ঘুরে ঘুরে অনেক কিছু দেখছে আরিয়ান আর আরুশ’!!হর্ঠাৎ তারা লেডিস চেঞ্জিং রুম থেকে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলো এমন সময় আরিয়ানের হাত ধরে টান দিয়ে কেউ রুমের ভিতরে নিয়ে গেল’!!হর্ঠাৎই এমন হওয়াতে আরিয়ান কিছুই বুঝতে পারলো না’!!

__________________________________________


“আরুশ কিছুটা দূরে যেতেই হর্ঠাৎই পাশে আরিয়ানকে দেখতে না পেয়ে অবাক হয়ে বললোঃ

——-“যা বাবা ও আবার কোথায় চলে গেল’!!এই বলে খুজতে লাগল আরুশ আরিয়ানকে’!!হর্ঠাৎ কেউ তার মাথার উপর একটা জামা ছুড়ে মারল’!!আরুশ তো অবাক’!!আরো কয়েকটা জামা ছুড়ে মারল তার দিকে’!!আরুশ অবাকের ওপর অবাক হচ্ছে’!

“এদিকে রিতু একের পর এক জামা কাপড় ছুড়ে বললোঃ

——–“তুই এগুলো সব ট্রাই করে আয়’!!

“এদিকে আরুশের কাছে কন্ঠটা চেনা চেনা লাগছে ‘ মুহুর্তেই কার কন্ঠ মনে পরতেই হালকা কাপড় সরিয়ে রিতুকে দেখে চেচিয়ে বললঃ

——-“ইউ পাগল “পঁচা পান্তা ভাত” এগুলো কি করছ,আর আমি মেয়েদের কাপড় পরবো কেন??

“এদিকে রিতু পুরুষের কন্ঠ শুনে ঘুরে তাকিয়ে আরুশকে দেখে বললঃ

——-“আপনি “ফাটা ডিসপ্লে”!!এখানে কি করছেন??

__________________________________________


“দেয়ালের সাথে মুখ চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আর আমার চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে আছে……….
!
!
!
!
#চলবে…………….

#তুমি_প্রেম_আমার❤️
#part:06💘
#Writer: #TanjiL_Mim❤️
.
.
🍁
“চোখ লাল করে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে তাকিয়ে আছে আরিয়ান আমার দিকে’!!তবে এই মুহুর্তে দোষটা আমারি ছিল’!বাহিরে কে ছিল তাকে না দেখেই টান মেরে ভিতরে নিয়ে আসলাম আমি’!!কিছুক্ষণ আগে রিতুকে ভেবে “ভাঙা টেপ রেকর্ডারকে” টেনে ভিতরে নিয়ে এসেছিলাম আমি’!!আর হর্ঠাৎ করে তাকেই দেখেই একপ্রকার চিৎকার দিতে যাবো তার আগেই আরিয়ান মুখ চেপে ধরল আমার’!!

“এদিকে আরিয়ান চেঁচিয়ে বলছেঃ

——-“ইউ ইডিয়েট এটা কি করলে তুমি তবে একদিক থেকে ভালো হয়েছে সকালের বেয়াদবির শাস্তিটা এখনই সুদ সমেত ফেরত দিবো আমি মিস “ঝাঁঝ বতী লবঙ্গ”!!বলে শয়তানি হাসি দিল আরিয়ান”……..

-“আরিয়ানের কথা শুনে পুরো ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!হায় রে এখন কি করবে কে জানে’!!??এদিকে মুখ চেপে ধরে আছে শ্বাস তো প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম’!!

“হর্ঠাৎই আরিয়ান মুখ থেকে হাত সরিয়ে ফেললেন’!!আরিয়ান হাত সরাতে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে বললাম আমিঃ

——“আপনি কি পাগল এতক্ষণ কেউ মুখ চেপে ধরে ও বাবা আর দু’মিনিট হলেও তো পগার পার হয়ে যেতাম আমি’!!

“আমি আমার মতো কথা বলে যাচ্ছি আর আরিয়ান শুধু আমার দিকে তাকিয়ে আছে’!!কেমন যেন লাগছে তাকে’!!কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ

——-“দেখুন ভাইয়া সকালে যা হয়েছে তা শোধবোধ, আপনি আমাকে পুরো ভার্সিটির সামনে অপমান করেছেন তাই আমিও একটু মজা করেছি আর কিছু না’!!

——-“তার মানে ওই বেয়াদবি তুমি করেছিলে’!!

“আরিয়ানের এই কথাটা শুনে এখন নিজের মাথার চুল নিজেরই ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে আমার’!!

———“না মানে…….

——–“কি মানে মানে করছো ভুল যখন করছো শাস্তি তো পেতেই হবে’!!

“আরিয়ানের শাস্তির কথা শুনেই হালকা চেঁচিয়ে পড়ে গেলাম আরিয়ানের বুকে’!!মানে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছি’!!আসলে হয়নি এক্টিন করলাম আরকি’!!

“আরিয়ানের বুকে পরতেই আরিয়ান ধরে ফেললো’!!কিছু টা ঘাবড়ে গেল সে’!!আরিয়ানের অস্থির হয়ে গেছে বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি উঠে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!আমার এমন কাজে আরিয়ান পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!আমিও আরিয়ানকে একটা চোখ টিপ মেরে দিলাম দৌড়’!!
.
.
.
“এদিকে আরিয়ান আমার এমন কাজে পুরো বোকা বনে গিয়ে হা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো’!!পরক্ষণেই কিছু একটা মনে করে মুচকি হাসলো আরিয়ান’!!তারপর রুম থেকে বেরিয়ে খুজতে লাগল আরুশকে’……….

__________________________________________


—–“ইউ “পঁচা পান্তা ভাত” তোমার জন্য আশেপাশের মানুষেরা আমাকে দেখে হাসছে তোমাকে তো আমি এই বলে সামনে এগোতে নিলো আরুশ আর সাথে সাথে গায়ের উপর থেকে একটা জামা পরে যায় নিচে আর তাতে পা পিছলে পড়ে যায় আরুশ’!!সাথে সাথে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রিতু দেখে হেসে দেয়’!!

“এতক্ষণ রিতু আর আরুশ মিলে একে অপরের সাথে ঝগড়া করতে ছিল’!!আর আরুশের অবস্থা দেখে আশেপাশের সবাই হাসছিল’!!আর যা দেখে আরুশ রেগে গিয়ে রিতুকে কিছু করতে যাবে তার আগেই পড়ে যায়’!!

“হর্ঠাৎ রিতু তার হাসি থামিয়ে দিয়ে আরুশের দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে বললোঃ

——সরি “ফাটা ডিসপ্লে” ভাইয়া আসলে আমি ভেবেছিলাম আমার বেস্টু “মীম”!!তাই ওর দিকে জামাকাপড়গুলো ছুড়ে মেরেছিলাম বুঝতে পারি নি আপনার গায়ে পরছিল তাই সরি’!!

“এতক্ষণ রিতু কথাগুলো মনোযোগ সহ কারে শুনছিল আরুশ’!!কারন এই প্রথমবার এত সুন্দর করে কথা বললো রিতু তার সাথে’!!আরুশ কিছু না ভেবেই রিতুর হাত ধরে উপরে উঠে দাঁড়ালো’!!!
এমন সময় হর্ঠাৎ করে রিতু গিয়ে পরল আরুশের বুকে আরুশ হর্ঠাৎ এমনটা হওয়াতে কিছু বুঝতে না পেরে সেও পরে যায় নিচে’!!এইবার আরুশের কোমড় মনে হয় শেষ’!!আরুশ নিচে আর রিতু তার উপরে……
.
.
.
.
“এদিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছি আমি রিতু আর আরুশের দিকে’!!কারন আমার জন্যই তারা পড়ে গেছে নিচে’!!আরিয়ানের থেকে পালাতে এত দ্রুত গতিতে দৌড়ে আসছিলাম যে নিজের স্পীডই কমাতে না পেরে এসে ধাক্কা লাগল আমার সাথে রিতুর’!!আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারলেও রিতু পারল না হর্ঠাৎ এমনটা হওয়াতে বুঝতে না পেরেই পড়ে যায়”!!আমার সাথে ধাক্কা লেগে রিতু আর রিতুর সাথে ধাক্কা লেগে আরুশ’!!ওদের কাহিনি দেখে জিহ্বায় কামড় দিলাম আমি’!!তারপর শুধু হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম ওদের দিকে’!!

__________________________________________


“একরাশ নীরবতা কাটিয়ে মেঘলা আপু বলে উঠলঃ

——-“তুই বল আগে’!!

“এতক্ষণ পর মেঘলার মুখে এমন কথা শুনে পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল আকাশ’!!তারপর সে নিজেই একবুক সাহস নিয়ে পকেট থেকে একটা রিং বের করে বললোঃ

—-“Will you marry me “Meghla”?’!!❤️

“আকাশের কথা শুনে মেঘলা পুরো শকড’!!সেও তো এতক্ষণ এই কথাটাই বলতে চেয়েছিল’!!

——-“সত্যি কথা বলছি তোকে আমি সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসি কিন্তু কখনো সাহস করে বলতে পারি নি’!!অনেকবার ভেবেছি বলবো বলবো কিন্তু বলতে পারি নি’!!তাই আজকে বলে দিলাম’!!তুই কি রাজি আমার লাইফপাটনার হতে’!!??

“এতক্ষণ মেঘলা আকাশের কথাগুলো শুনে বলে উঠলঃ

——–“আমিও তো তোকে ভালোবাসি আকাশ’!!

“মেঘলার কথা শুনে আকাশের চোখ পুরো খুশিতে জ্বল জ্বল করে উঠলঃ

“তারপর মেঘলার হাতে আন্টি পরিয়ে দিল আকাশ’!!!তারপর আরো কিছুক্ষন কথা বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসল তারা’!!দুজনেই খুশি’!”
.
.
.

“রিকশা করে বাড়ি ফিরছে আকাশ আর মেঘলা’!!আকাশ এটা ওটা বলছে আর মেঘলা চুপটি করে সব শুনছে’!!এই মুহূর্তে তাড়া একে অপরের হাত ধরে আছে’!!মেঘলা আকাশের কাঁধে মাথা দিয়ে আছে’!!চারিদিকে ফুড়ফুড়ে বাতাস’!!সূর্য এখনি ডুবে যাবে আকাশের বুকে এমন একটা সময়’!!হর্ঠাৎই আকাশ বললঃ

——“খুব তাড়াতাড়ি তোর বাসায় গিয়ে কথা বলবো আমার বাবা মাকে নিয়ে’!!

“বিনিময়ে মেঘলা কিছু বললো না শুধু মুচকি হাসল’!!এই রকম নানা কথার মাঝেই চলছে তারা তাদের গন্তব্যে………

__________________________________________


“বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রিকশায় বসে আছি আমি আর রিতু’!!রিতু পুরো ঘোমরা হয়ে বসে আছে আমার সাথে কথা বলছে না’!!অনেকবার সরি বলেছি তাকে তারপরও তার রাগ কমছে না’!!ভাগ্য ভালো ছিল “ভাঙা টেপ রেকর্ডার” আসার আগেই আমরা চলে এসেছি না জানি আরুশ ভাইয়ার কোমড় ভেঙে গেছে দেখলে কি করতো আমাদের'”!তখন রিতুকে আরুশ ভাইয়ার উপর থেকে উঠিয়ে তার গায়ের উপর থেকে জামা কাপড় সরিয়ে তাকে সরি বলে চলে আসি আমি আর রিতু’!!আজকের শপিং টাও হলো না হুহ’!!এসব ভেবে চলছি বাড়ি……..
.
.
.
.
“এদিকে আরিয়ান আর আরুশ গাড়ি করে বাড়ি ফিরছে’!!আরিয়ানের তো মাথা পুরো গরম হয়ে আছে’!!এই মুহূর্তে মীমের উপর প্রচন্ড বেগে রেগে আছে সে এর প্রথম কারন ঠিকভাবে শপিং করতে পারলো না’!!তারওপর আবার আরুশের কোমড় ভাঙা’!!সব মিলিয়ে খিচুড়ি তৈরি হয়ে গেছে’!!আর আরুশ ব্যাথায় চুপ করে বসে আছে গাড়িতে কিছু বলছে না’!!

__________________________________________


“দেখতে দেখতে দু’দিন কেটে গেল’!!এই দু’দিনে ভার্সিটি যাওয়া হয় নি আমার’!!আর আমার সাথে রিতুও যায় নি’!!ভার্সিটি না যাওয়ার দুটি কারন ছিল এক বাড়িতে কিছু কাজ ছিল আর দুই “ভাঙা টেপ রেকর্ডারের ভয়ে”!!সে যাই হোক’!!

“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো আজকে আকাশ ভাইয়ারা আসবে আমাদের বাড়িতে’!!আপুকে দেখতে’!!অবশ্য দেখতে আসবে বললে ভুল হবে আসবে তো বিয়ের তারিখ ঠিক করতে’!!শুনিছি আকাশ ভাইয়ার ছোট ভাই আর তার এক বন্ধু আসবে তাই মনে মনে কিছু শয়তানি বুদ্ধি বানিয়ে রেখেছি আমি’!!তবে একা নই সাথে আছে মাই বেস্টু রিতু’!!ও একটু পরই এসে পরবে’!!!এই ভেবে চললাম ওয়াশরুমে’!!

“ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই…….

“ময়দা সুন্দরীকে দেখতে পেলাম!! প্রচুর সেজেগুজে এসেছে তবে এই সাজ এ তোমাকে উঠাতে হবে ময়দা সুন্দরী”!!!এক শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বললাম আমি……..

“রিতু অবাক চোখে তাকিয়ে বললোঃ

——“মানে’!!

——-“মানে তো একটা আছে ময়দা সুন্দরী শুধু ওয়েট এন্ড ওয়াচ”!!! বলে হেসে উঠলাম আমি’!!

__________________________________________


“সকাল ৯ঃ০০টা____
আকাশের বাড়ির সবাই সেজেগুজে তৈরি হয়ে যাবে মেঘলাদের বাড়িতে’!!এই আকাশ আর মেঘলার ব্যাপার সবাই মেনে নিয়েছে’!!কারন তারাও মেঘলাকে পছন্দ করতো’!!এখন মেঘলা তাদের বাড়ির বউ হবে এতে তাদের কোনো আপওি নেই’!!তাই সবাই খুশি মনে চলছে তারা’!!আরিয়ান,আরুশ,আকাশ আর আকাশের বাবা, মা সবাই তৈরি হয়ে গাড়ি করে চলছে’!!আকাশ তো অনেক খুশি’!!অনেকদিনের পূর্ণ বাসনা পূর্ণ হবে তার……..

“বেশকিছুক্ষন পর…………

–“গাড়ি এসে থামলো মেঘলাদের বাড়ির সামনে’!!গেটের সামনে মেঘলার আব্বুকে দেখে সালাম দিলো আকাশ আর তার বাবা তারপর সবাই খুশি মনে চললো বাড়ির ভিতর’!!

“রুমে ঢুকে সবাই গিয়ে বসে পরল সোফায়’!!তারপর একে একে করে সব খাবার এনে সামনে রাখলেন আম্মু’!!এর ভিতরই মেঘলা আপুকে সেজেগুজে নিয়ে আসা হলো তাদের সামনে’!!সবাই মেঘলা আপুকে দেখে খুশি হয়ে গেল”!!আকাশের আব্বু বললঃ

——“আমাদের কোনো আপওি নেই মেঘলাকে আমাদের বাড়ির বউ বানাতে’!!

“এমন সময় একটা রুমের ভিতর থেকে এক বুড়ো আর বুড়ি বলে উঠলেন আমাদের আপওি আছে’!!
সাথে সাথে সামনে বসে থাকা সবাই তাকালো পিছনে……..
!
!
!
!
#চলবে………….

❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!আর পার্ট ছোট হয়ে গেলে সরি গাইস’!!][আজকে একটু বিজি আছি তাই ছোট হয়ে গেছে তাই কালকে বড় করে দিবো!!]❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here