#দায়িত্ব
#পর্ব_৬
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
শায়েরি চোখের ইশারায় জিঙ্গেস করলো “কি হয়েছে…??
শ্রেয়ান মুচকি হেসে মাথা নেড়ে না করে..যার মানে কিছুই হয়নি…।
শায়েরি বিন্দুকে বলে..
” আচ্ছা তুমি ফ্রেস হয়ে এসো..
” হুমম
শায়েরি আর বিন্দু বেড থেকে গেল… শ্রেয়ান সেখানেই বসে আছে… শায়েরি ওয়াস রুমে ঢুকবে তখন শ্রেয়ান..
” আচ্ছা আমি কি করবো সেটা বললে না তো…?
” এহহহ ঢং কতো… আপনি বসে থাকেন শুয়ে থাকেন যা মন চাই তাই করেন…।
” যা মন চাই তাই আর করতে দিলে কখন…
” সকাল সকাল শুরু হয়ে গেলো না..?
।
।
শায়েরি ফ্রেস হয়ে… বিন্দুকে স্টাডি রুমে পড়তে বসিয়ে কিচেনে চলে গেলো…. সবাইকে চা দিয়ে শ্রেয়ান এর জন্য চা নিয়ে গেলো.. একটা ট্রে তে করে শ্রেয়ান এর জন্য চা আর বিন্দুর জন্য ইগ অমলেট নিয়ে গেলো.. ট্রে টা সেন্টার টেবিলে রাখতেই শ্রেয়ান বলে…
” চা এনেছো সেটা নাহয় ঠিক আছে… কিন্তু ইগ অমলেট কেনো এনেছো আমি কি বাচ্চা নাকি…?
” এহহহ শখ কতো হুহহহ..? আপনার জন্য আনতে যাবো কেনো… এটা বিন্দুর জন্য…।
” ওহহহ তাই বলো…
” হ্যাঁ আমার তো অমলেটের উপর নাম লিখে নিয়ে আসা উচিত ছিল তাই না…?
” আচ্ছা তোমার চা কোথায়…?
” আমি চা খাই না… লাইফে দু তিনবার খেয়েছি…
।
।
শায়েরি বিন্দুকে খাইয়ে দিচ্ছে… তখন শ্রেয়ান হাতে একটা মগ নিয়ে রুমে প্রবেশ করে..মগটা শায়েরির দিকে এগিয়ে দিয়ে..
” ধরো…
” কি…?
” কি… কি..? চাইলে তুমি আমার মেয়েকে ধরতে ধরতে পারো আমাকেও ধরতে পারো… না হলে এই মগটাও ধরতে পারো….
” আমি জানি যে আপনি মগটা ধরতে বলছেন.. কিন্তু মগ এ কি সেটা জিঙ্গেস করেছি…??
” ওহহহ তাই বলো… তোমার জন্য জুস এনেছি তুমি তো আবার চা খাওনা তাই…
” তাই বলে জুস… তাও আবার এই সাত সকালে….
” কেনো জুস খেতে হলে ভর দুপুর লাগে নাকি..?
” এতো কিছু জানিনা… আমি জুস খাবো না ব্যাসসস…।
শ্রেয়ান শায়েরির হাতে মগ ধরিয়ে দিয়ে….
” না খাও ফেলে দাও…
বলে রুম থেকে চলে যাই… শায়েরি মগ এর দিকে তাকিয়ে দেখে জুস নয় কফি আছে মগ এ…
মুচকি হেসে কফিতে চুমুক দেই শায়েরি…!
।
।
শায়েরি বিন্দুকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে..তাও আবার মাছ দিয়ে… যেটা বিন্দুর একদম অসহ্য লাগে… প্রথমে বিন্দু খেতে রাজি হয়নি… শায়েরি অনেক বাহানা দিয়ে কাজটা হাছিল করেছে….
রেহানা বেগম মানে শায়েরির শাশুড়ি তো খুব খুশি শায়েরির প্রতি…. তিনি এই দু তিন দিনেই শায়েরিকে ভরসা করতে শুরু করেছে…. তিনি একজন পারফেক্ট মা পেয়েছে বিন্দুর জন্য… যার হাতে চোখ বন্ধ করে বিন্দুর দায়িত্ব দেয়া যাই…. তিনি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি যে সত্যিই শায়েরি শ্রেয়ানকে বিয়ে করবে… কারন অবিবাহিত একটা মেয়ে বিবাহিত ছেলেকে সচারআচর বিয়ে করতে রাজি হয়না… তার মধ্যে যদি কোনো বাচ্চা থাকে তো বিয়ে করার প্রশ্নই উঠেনা… সেখানে শায়েরি নিজে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে এভেন পরিবারের সবাইকে রাজি করিয়েছে…
।
।
শায়েরি বিন্দুর বই খাতা ব্যাগে তুলে দিয়ে বিন্দুকে রেডি করিয়ে দিচ্ছে…. শ্রেয়ান গা এলিয়ে সোফায় বসে আছে… বিন্দুকে রেডি করানোর মাঝে মাঝে আড় চোখে শ্রেয়ান এর দিকে তাকাচ্ছে… হয়তো শ্রেয়ান এর মনের কথাটা বুঝতে পেরেছে… শায়েরিও কিছু কম যায়না… না দেখে না বুঝার ভান করে সে বিন্দুকেই রেডি করিয়ে দিচ্ছে… শ্রেয়ানকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে দেখে বিন্দু…
” পাপা কি করছো..বসে আছো কেনো..? আমার লেট হয়ে যাবে… রেডি হও তাড়াতাড়ি…
” হুমম হবো তো..কিন্তু আমাকে কে রেডি করিয়ে… না মানে আমার অফিস ড্রেস গুলো খুজে পাচ্ছি না…
” পাপা তুমি কি ভুলো মনের হয়ে গেছো… তুমি তো এখানেই বসে আছো ড্রেস খুজলে কখন.. আর পাবেই বা কি করে…?
” ওহহ হ্যাঁ খুজিনি না..? তাহলে খুজে নিচ্ছি…
” হুমম তাড়াতাড়ি রেডি হও…
শ্রেয়ান বেচারা মুখটা কালো করে উঠে কাবার্ড এর কাছে গিয়ে দাড়ালো… শায়েরির দিকে তাকাতেই শায়েরি মুচকি হাসি দিয়ে বিন্দুকে জুটি বেধে দিতে ব্যস্ত হয়ে পরলো…
বিন্দুর জুটি বাধা শেষে বিন্দু নিচে চলে গেলো.. শায়েরি এদিক ওদিক এটা সেটা গুছাতে লাগলো… না বেচারা শ্রেয়ানের দিকে কোনো পাত্তায় দিলো না…
শ্রেয়ান ও হেলে দুলে রেডি হচ্ছে..যেনো কোনো তাড়ায় নেই..আর নিচ থেকে বিন্দু বার বার ডাকছে লেট হয়ে যাচ্ছে বলে…
শ্রেয়ান টাই বাধার সময় উল্টা পাল্টা করছে…আর বলছে….
” আচ্ছা বিন্দুর মনে হয় লেট হয়ে যাচ্ছে তাই না…?
” আপনি মনে হয় জানেন না..ঢং না করে তাড়াতাড়ি যান তো…
“যেতেই তো চাই.. টাই টা বাধতেই পারছি না তো..
” তো আমার কি করতে হবে..?
” বেধে দিতে পারো আর কি…
” হেয়ালি না করে আগে বললেই তো হতো..
শায়েরি শ্রেয়ানকে টাই বেধে দিয়ে হাতে অফিস ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে ঠেলে পাঠিয়ে দেই… শায়েরি পিছনে ঘুরতে না ঘুরতেই হাওয়ার বেগে শ্রেয়ান এসে শায়েরির কপালে কিস করে চলে গেলো….।
চলবে…..
[ প্লিজ কিছু বইলেন না পর্বটা মে বি ছোট হয়ে গেছে ]