❤ বসন্তের ছোঁয়া ❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ৬/৭
,
,
সারা হুরমুড় করে রুমে ঢুকে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার টা ছেড়ে নিচে বসে হাউমাউ করে কাঁদছে! রাজ দেখেও কিছু বলল না! তবে কেন যেন খারাপ লাগছে সারা স্পষ্ট আহাজারি শুনতে পারছে।
,
রাজের ফুপিঃ ( রুমে এসে) কি হয়েছে রাজ সারার এভাবে কাঁদছে কেন? কি করেছিস তুই? ( রাগী গলায়)
,
রাজঃ ফুপি আমি কিছু করিনি! বিশ্বাস করো।
,
রাজের ফুপিঃ বিশ্বাস তাও আবার তোকে ! তুই আসলেই মানুষ না! তোর মতো একটি ছেলেকে নিজের ভাইয়ের ছেলে ভাবতেও আমার লজ্জা লাগে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলো এখনো কিছু খায়নি মেয়েটা।
,
রাজঃ ফুপি তুমি একটা রাস্তার মেয়ের জন্য আমায় কথা শুনাচ্ছ কেন? কোথা থেকে ধরে এনেছো এই মেয়ে টাকে আর আমি কি করব না খেলে? এই মেয়ে যা খুশি করুক তাতে আমার কি হুম।
,
রাজের ফুপি আর কিছু বলল না সারা ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে ভেজা জামা কাপড় নিয়েই! রাজ একবার তাকাল কোমর থেকে রক্ত পড়ছে সকালে এমনটা না করলেও পারতো! কি দরকার ছিল এই ভাবে কষ্ট দেয়ার সারার মুখের দিকে তাকাল চোখ দুটো ফোলে গেছে! সারা একটা থ্রি পিছ পড়ে বের হল ওয়াশরুম থেকে চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে! রাজ না চাইতে ও বার বার চোখ যাচ্ছে! কিছু না ভেবে এক পা দু পা করে এগুতে লাগল! সারা চুল গুলো সামনে এনে টাওয়েল দিয়ে মুছছে বুঝতে পারল কেউ একজন পেছনে দাড়িয়ে আছে!
,
সারাঃ ( এক ভ্রু উঁচু করে) এভাবে নেশাখোরের মতো তাকিয়ে আছো কেন? বললাম তো অন্য কিছু করার চেষ্টা করলে ভালো হবে না।
,
রাজ কিছু না বলে এক টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেই! সারা ভয়ে কাচুমাচু যতই বুদ্ধি খাটাক না কেন? যদি এখন উল্টো পাল্টা কিছু করে বসে পুরুষ মানুষ তো সারকে অবাক করে দিয়ে রাজ কোমরের কাপড় টা তুলে ঔষধ লাগিয়ে দিল! তারপর এমন একটা ভাব করল যেন ওনি কিছুই করেনি চুপচাপ সোফায় বসে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে।
,
সারাঃ এটা কি হলো লোকটা আমায় বোকা বানাল! জুতা মেরে গরু দান করে হুম।
,
রাজঃ এই যে ফুপি তোমার জন্য আমায় অনেক গুলো কথা শুনিয়ে গেছে! চুপচাপ গিয়ে খেয়ে নাও তোমার জন্য আমি কোনো কথা শুনতে চাই না স্যরি( ল্যাপটপের দিকে মনোযোগ রেখে)
,
সারাঃ আমি তো শুনেছি রাজ চৌধুরী কাউকে ভয় পাই না কিন্ত এখন তো দেখছি! তার উল্টো তুমি আমায় খাইয়ে দিবে রাজ।
,
রাজঃ হোয়াট! আমি ভাবলে কি করে আর তোমার কি হাত নেই যে আমি খাইয়ে দিব?আবার বলো না খাইয়ে দিতে আমারও হাত কাটা( হাত দেখিয়ে)
সারার বুঝতে বাকি রইলো না রাজ নিজের হাতে নিজেই আঘাত করেছে
,
সারাঃ আছে তো হাত আছে পা আছে সব আছে কিন্ত তুমি তো নেই রাজ শুধু স্বপ্ন দেখালে পূরণ করলে না! খুব তো বলতে খাইয়ে দিবে সাজিয়ে দিবে শাড়ি পড়িয়ে দিবে কিন্ত যাক গে বাদ দাও।
,
সারা চুপচাপ খেয়ে ছাঁদে বসে আছে এমন সময় রাজের ফুপি আর রেহেনা গিয়ে পাশে বসলো।
,
রাজের ফুপিঃ বোকা মেয়ে এভাবে কেউ কাঁদে! আমরা আছি তো তোর সাথে কাঁদিস না! আমার দিকে তাকা সারা চৌধুরী জিতবে হারবে না( চোখের পানি মুছে দিয়ে)
,
রেহেনাঃ সারা তুমি আসলেই বোকা কাঁদলে চলবে না! এগিয়ে যেতে হবে রাজকে ভালোবাসো না।
,
সারাঃ হুম( নিচু স্বরে)
,
রেহেনাঃ তাহলে কাঁদছো কেন? বোকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,,,,,
” জীবন টাকে কাঁদিয়ে ভাসিয়ে দেয়ার চেয়ে,
হেসে উড়িয়ে দেয়া ভালো”
,
সারাঃ জানি আপু! জানো আমার একটাই কষ্ট ছোট বেলা থেকেই বাবাকে পায়নি! জানতে পারি বাবাকে তার আপন ভাই মেরে ফেলেছে! খুব রাগ হতো মন চাইতো তখন ঐ লোকটাকে আমিই খুন করে ফেলি মা বুঝাত তোর চাচা মাদকাসক্ত ছিল! সেন্সে ছিল না মেনে নিলাম ভার্সিটি তে পা রাখতে না রাখতেই রাজের উৎপাত তাকেও এক সময় মেনে নিলাম পেলাম কি আমি আমি ধর্ষিতা হ্যা আমি ধর্ষিতা ( ডুকরে কেঁদে)
,
এখন তো কেউ পারছে না সারকে সান্ত্বনা দিতে কিভাবে দিবে মেয়েটা ছোট বেলা থেকেই কষ্টে কষ্টে বড় হয়েছে! না টাকা পয়সা খাওয়া দাওয়ার কষ্ট না! সারার মামারা অনেক বড় লোক কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় ব্যবসা এবং ধনী বলদ হয় তাদেরকে সারাকে কোনো কষ্ট দেয়নি যখন যা চেয়েছে তখনই সেটা দিয়েছে ওর চার মামা তিন ব্যবসা করে আর এক মামা লন্ডন বলেছিল নিয়ে যেতে সারা রাজি হয়নি।
,
রাজের ফুপিঃ আমার দিকে তাকা তোকে বাঁচতেই হবে পারতেই হবে একদম কাদবি না কিসের জন্য কাঁদিস তুই তোর সব কিছু এই বাড়ি প্রপারটি সব কিছু তোর রাজের না, যদি আর একবার কাঁদিস তাহলে আমার মরা মুখ দেখবি।
,
সারাঃ( জরিয়ে ধরে) ফুপি আমি বাবাকে হারিয়েছি তোমাকে হারাতে চাই না কাদব না আমি একদম কাদব না এবার খুশি।
,
রেহেনাঃ সারা আমি জানি তোমার অনেক কষ্ট কিন্ত একবার ইতিহাসের দিকে তাকাও দেখবে যত বড় বড় কবি সাহিত্যেক তাদের মনের মধ্যে ও কিছু না কিছু কষ্ট ছিল! কেউ সুখী না এই দুনিয়াতে ধৈর্য ধারণ কর তোমারই জয় হবে রাজ ভালো হবে দেখ আমি বললাম।
,
,
রাজঃ মেহের তুমি জুয়েলারি শপে আসো আমি আসছি।
,
মেহেরিমাঃ ওকে জান।
,
সারা শুনেছে কিন্ত কিছু বলেনি সত্যি বলতে বলার কিছু নাই তাই তবে শুধু মুচকি মুচকি হাসছে রাজ সব কিছু উপেক্ষা করে গেল একটা নেকলেস কিনলো মেহেরিমার এটা খুব পছন্দ হয়েছে।
,
মেহেরিমাঃ দেখো রাজ এটা অনেক সুন্দর না! আমার অনেক পছন্দ হয়েছে এটাই নিবো( খুশি হয়ে)
,
রাজঃ ওকে সুইট হার্ট।
,
সেলসম্যানঃ স্যার কার্ড নাকি ক্যাশ?
,
রাজঃ কার্ড।
,
রাজ পকেট থেকে ক্রেডিট কার্ড টা দিল বাট সেলসম্যানঃ স্যরি স্যার আপনার একাউন্ট লকড করা আপনাকে সরাসরি ক্যাশে পেমেন্ট করতে হবে।
,
রাজঃ What! What are you saying dame it! Are you mad or what?
,
সেলসম্যানঃ স্যরি স্যার আপনার একাউন্ট যা দেখাচ্ছে আমিও তাই বললাম।
,
রাজঃ আপনি আবার চেক করুন।
,
সেলসম্যানঃ( চেক করে) স্যরি স্যার আপনাকে ক্যাশে পেমেন্ট করতে হবে! নয়তো নেকলেস টা দিতে পারবো না।
,
মেনেজার এসেও চেক করলো বাট একাউন্ট লকড করা রাজের এক মিনিট ও বুঝতে বাকি রইলো না! এটা কার কাজ দ্রুত মেহেরিমাকে নিয়ে বাড়িতে আসে রাজের ফুপি আর রেহেনা রাগে ফুসছে শুধু মেহেরিমা কে দেখে কিন্ত কিছু বলছে না।
,
রাজ রুমে ঢুকে দেখে সারা কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনছে আর হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে গান গাইছে রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে রাজের।
,
রাজঃ স্টপ স্টপ প্লিজ সারা( চিল্লিয়ে)
,
সারাঃ( ভ্যাবাচেকা খেয়ে) কি হয়েছে রাজ তুমি তো মাত্র ই গেলে এখনই ফিরে এলে যে।
,
রাজঃ আমার একাউন্ট কেন? লকড করেছো হ্যা এত সাহস পাও কোথায় তুমি?
,
সারাঃ( কান থেকে ইয়ারফোন খুলে) তোমার বুঝি আমার কথা খুব মনে পড়ছিল! তাই তো এই ভাবে ছুটে এলে আগে বলতে আমি নিজেই,,,
,
রাজঃ( কথা থামিয়ে দিয়ে দুই বাহু চেপে ধরে) তোমার সাহস কি করে হয় আমার একাউন্ট লকড করার এত সাহস কোথায় পেলে? রাস্তার মেয়ে।
,
সারাঃ( ঠাসসসসস ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে) তোমার সাহস কি করে হয় আমায় রাস্তার মেয়ে বলা এত সাহস আমি রাস্তার মেয়ে নাকি তুমি রাস্তার ছেলে।
,
রাজঃ( গালে হাত দিয়ে) ইউ।
,
সারা রাজের চুল টেনে ধরে ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে রাজ ছাড়াতে চাইছে বাট পারছে না! পেছন থেকে
,
মেহেরিমাঃ রা,,,জ।
,
রাজঃ( সারাকে সরিয়ে) মেহের তুমি যেটা ভাবছো সে রকম কিছুই না! আমার কথাটা শোন প্লিজ।
,
মেহেরিমাঃ থাক কিছু বলতে হবে না! যা দেখার আমি নিজের চোখেই দেখেছি! থাকো তুমি।
,
মেহেরিমা দৌড়ে বেরিয়ে এলো বাড়ি থেকে রাজও পেছন পেছন ছুটছে সারা হাসতে হাসতে শেষ আসলে মেহেরিমাকে পেছনে দেখেই সারা এমনটা করেছে! রাজের ফুপি আর রেহেনার যেন খুশির অন্ত নেই সারা উপর থেকে দেখছে রাজ বুঝাচ্ছে বাট মেহেরিমা বুঝছে না!
,
সারাঃ তুমি যাই করো না কেন? রাজ আমি তো তোমায় ভালোবাসি আমি সিওর তুৃমিও আমায় ভালোবাসো নয়তো বিয়ের পরেরদিন ই এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারতে কিন্ত দাওনি যখন তোমায় জোর করে অধিকার খাটায় তখনও কিছু বলো না কেন? আমি জানি তুমি আমায় এখনো ভালোবাসো আমি তো তোমার মুখ দিয়ে ভালোবাসি কথাটা বের করবো এমনকি সবার সামনে বোন নই নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দিবে! এমন এমন কাজ করবো না দেখি কি করে সহ্য করো! কিন্ত কেন? সেদিন ওমনটা করলে আমার সাথে।ভালোবেসে তোমায় আমি ভুল করিনি তোমার মতো এত ভালো মানুষ খুব কমই আছে কিন্ত কেন? সেদিন ওমনটা করলে আমার না করলেও পারতে! কিন্ত আমি তো ভালোবাসি হ্যা ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি।
চলবে……….. ❤❤❤❤❤
❤ বসন্তের ছোঁয়া ❤
লিখাঃ Ayesha Ariya Afiya
পর্বঃ ৭
,
,
মেহেরিমাকে অনেক বুঝালো কিন্ত কিছুতেই বুঝলো না আরো উল্টো বকাবকি করলো রাজকে।
,
রাজঃ মেহের তুমি আমার কথাটা শোন প্লিজ! তুমি যেটা ভাবছো সে রকম কিছুই না।
,
মেহেরিমাঃ তুমি আসলেই লুচু কি বলেছিলে আমায় সারাকে নাকি দেখতেই পারো না? আর এখন চুমু দিচ্ছিলে ছি ছি রাজ ছি।
,
রাজঃ মেহের আমি কিছুই করিনি বিশ্বাস করো প্লিজ! সারা তোমাকে পেছনে দেখেই এমনটা করেছে আচ্ছা বাদ দাও তোমার বার্থডে তে তাহলে আর আমি যাবো না।
,
মেহেরিমাঃ না মানে ডারলিং যা হয়েছে বাদ আমি কিছু মনে করিনি তুমি আমায় নেকলেস দিবে তো নাকি( জরিয়ে ধরে)
,
রাজঃ সত্যি সত্যি তুমি কিছু মনে করোনি( খুশি হয়ে)
,
মেহেরিমাঃ হুম।
,
রাজঃ উম্মাহ আচ্ছা তোমায় আমি বাড়ি পৌঁছে দেয় কেমন।
,
মেহেরিমাঃ চলো ডারলিং।
,
সারা সব দেখছে বেলকনি থেকে আর বাট চোখ দিয়ে এক টুও পানি পড়ছে না! কারণ এখন এসব ওকে সহ্য করতেই হবে।
,
সারাঃ আমার জীবনে কোনো দিন বসন্ত আসবে না সেটা আমি জানি কিন্ত তোমার এত এত পাগলামো ভালোবাসা সব কি মিথ্যা না মিথ্যা না সব সত্যি হ্যা সব সত্যি তুমি তো বলেছিলে এই বসন্তে আমায় নতুন ভাবে প্রপোজ করবে কিন্ত করলে না! বরং তাড়িয়ে দিলে কলঙ্কিত করলে খুব সুন্দর অনেক ভালো চলে যাবো একদিন অনেক দূরে আমায় খুঁজবে কিন্ত পাবে তুমি তো বলেছিলে বসন্তের ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় আমার জীবন টা ভরে যাবে রঙিন হবে সব কি মিথ্যা না মিথ্যা না।
,
রেহেনাঃ কেঁদে কি হবে সারা বোন আমার একদম কাদবি না তুই তো জেনে শুনে আগুনে পা দিয়েছিস একটু তো কষ্ট করতেই হবে নাকি! আমি বলছি জয় তোরই হবে আচ্ছা রাজ যদি তোমাকে ভালো নাই বাসে তাহলে পারতো তো ঘুমের মধ্য গলা টিপে মেরে ফেলতে আর যে ভাবেই হোক সব প্রপারটি তোমার কাছ থেকে সি নিয়ে নিজের করে নিতে কিন্ত এমনটা তো করেনি সারা বিষয় টা একবার খেয়াল করো তো।
,
সারাঃ( চোখ মুছে) এই টা তো ভেবে দেখিনি সত্যি ই তো রাজ যদি আমায় ভালো নাই বাসে তাহলে তো জোর করে আবারও রেপ করতে পারতো সেদিন যখন ভয় দেখালাম থেমে গেছে অথচ রাজের সাথে আমি পেরে উঠতাম না! একটু আগে ও থাপ্পড় দিলাম কিছুই বলেনি শুধু রাগ দেখিয়েছে তার মানে ও আমায় এখনো ভালোবাসে কিন্ত দুই বছর আগে রেপ কেন করলো? কি সত্য লুকিয়ে আছে এর পেছনে।
,
রেহেনাঃ হয়তো বা এমন কিছু আছে যা আমরা ভাবতে ও পারছি না এমন কি ধারণার বাহিরে সারা একটা কথা বলছি তুমি যেদিন থেকে প্রপোজ একসেপ্ট করেছো সেদিন থেকেই রাজের জীবন পাল্টে গেছে পতিতালয়ে আর যেত না! সারাক্ষণ তোমার সাথে ফোনে কথা বলতো তবে নেশা করতো এটা ঠিক তারপর একদিন কি যেন হলো তারপর থেকেই ও আবার পতিতালয়ে যাওয়া শুরু করে! ড্রিংক করে রাত করে বাড়ি ফিরে জানতে পারি তোমার সাথে ওমনটা করার পর থেকে।
,
সারাঃ আপু এসব কথা পরে হবে রাজ আসছে। দাদা ভাই আসে না।
,
রেহেনাঃ আসে খুব কম সারা বেস্ট অফ লাক।
,
রাজঃ সারা( চিৎকার দিয়ে)
,
সারাঃ শুনছি তো কলিজার টুকরা বলো।
,
রাজঃ এই নাম ধরে আমায় ডাকবে না! বলে দিলাম( রাগী গলায়)
,
সারাঃ একশত বার বলবো হাজার বার বলবো তুমি স্বামী না।
,
রাজঃ আমার একাউন্ট কেন? লকড করলে?
,
সারাঃ আমার ইচ্ছা।
,
রাজঃ তুমি কিন্ত।
,
সারাঃ( শার্টের কলার ধরে) আমি কি শুনি।
,
রাজঃ আমার টাকা লাগব( আগে ভালোই ভালোই টাকা টা নেই তারপর তোমায় দেখে নিবো)( মনে মনে)
,
সারাঃ কত?
,
রাজঃ পাঁচ লাখ।
,
সারাঃ কিহহ পাঁচ লাখ এত টাকা বেশি হলে মাত্র বিশ হাজার দিতে পারি এর বেশি এক টাকাও না।
,
রাজঃ তোমার যেমন মেন্টালিটি তেমনই বলেছো আমার পাঁচ লাখ লাগবে কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ দিয়ে দাও।
,
সারাঃ ওকে দিতে পারি তবে একটা শর্তে।
,
রাজঃ( অবাক হয়ে) শর্ত কিসের শর্ত?
,
সারাঃ আমায়( ঠোঁট দেখিয়ে) এখানে চুমু দিতে হবে।
,
রাজঃ হোয়াট?! রাজ চৌধুরী এক জিনিস দ্বিতীয় বার ব্যবহার করে না! জানো না তুমি।
,
সারাঃ জানি তো সব জানি ফাইনাল এক্সামের পর তো বই ধরতে মন চাই না তাই না! কিন্ত তোমায় আমাকেই ছুঁতে হবে।
,
রাজঃ সারা( দাঁতে দাঁত চেপে)
,
সারাঃ জানি পারবে না! তো তোমার টাকা ও আমি দিবো না।
,
রাজঃ(একটান দিয়ে ঠোঁটে গভীর ভাবে কিস করে) এবার দাও।
,
সারাঃ( শকড হয়ে) একটু আগে কেউ একজন বলেছিল! ব্যবহৃত জিনিস দ্বিতীয় বার ব্যবহার করে না! এটা কি ভূতে বলেছিল( ঠোঁটে হাত দিয়ে)
,
রাজঃ তুমি দিবে না কি দিবে না( কপালের রগ খাড়া করে)
,
সারাঃ তুমি যাও আমি ব্যাংকে বলে দিচ্ছি।
,
,
পরের দিন রাজ রেডি হচ্ছে মেহেরিমার বার্থডে পার্টিতপ যাবে বলে সারা দূর থেকে নখ কামড়াচ্ছে আর দেখছে।
কালো প্যান্ট, ভেতরে কালো শার্ট, উপরে রেড কালারের ব্লেজার, চুলগুলো জেল দিয়ে পাইক করা, ওয়ালেট টা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে গ্লাসে নিজেকে আরেক বার দেখে নিলো পুরো হিরো রাজ ও দেখছে সারা পেছন থেকে দেখে!
সারা হঠাৎ করে এসে রাজের কেনী আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে
রাজঃ তুমি কি পাগল কামড় দিলে কেন?
,
সারাঃ( মুচকি হেসে) কোনো পেত্মীর নজর যাতে না লাগে।
,
রাজঃ হুহহ( নাক ছিটকে)
,
সারাঃ রাজ তোমায় না খুব সুন্দর লাগছে।
,
রাজঃ সেটা আমি জানি রাজ চৌধুরীর সবাই ক্রাস বুঝলে যেমন তুমি বেহায়য়ার মতো পড়ে আছো আমার পেছনে।
,
রাজ তাকিয়ে দেখলো সারা কোথাও নেই হঠাৎ করে কোথা থেকে এসে শার্টের বোতাম খুলে তেলাপোকা ঢুকিয়ে দিল! রাজ এক চিৎকার ও তেলাপোকায় হালকা ভয় পায়।
,
রাজ লাফাচ্ছে ব্লেজার টা খুলে ছুড়ে ফেলে দিলো! শার্ট টা তাড়াতাড়ি করে খুললো সারা শরীর লাল হয়ে গেছে।
,
রাজঃ( চুলকাতে চুলকাতে) Oh God! Please Save me, This dangerous girl.
,
সারাঃ( হাসতে হাসতে) খুব শখ না মেহেরিমার বার্থডে পার্টিতে যাওয়া যা এবার ব্যাটা আমি ও দেখবো কি ভাবে যাস! আর এত সেজেগুজে হুম আমার নামও সারা আমি ও দেখে নিবো কিন্ত খারাপ লাগছে সো স্যরি জান এটা ছাড়া তোমায় আটকানোর কোনো উপায় ছিল না! আই লাভ ইউ।
চলবে……………❤❤❤❤❤