#Marriage_With_Benefits
#Part_12(#Benefits_Special_1)
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
.
.
রিকশা চালক কিছুই বলছে না।উনি শুধু তার রিকশা নিয়ে কান্না করছে। আশে পাশে অনেক ভির জমেছে কিন্তু তারাও কিছুই বলছে না।তামসা দেখছে বড়োলোক আর গরীবের।আসলে এতে উনাদের দোষ নেই মানুষ সব জায়গাতেই বিনোদন খুঁজে।কিন্তু আমি তো আর এদের সবার মত না।আমি এই দৃশ্য দেখে বিনোদন নিতে পারছি না।
এইযে দাদু।অনেক ক্ষণ দূরে আপনার কটু কথা শুনতে শুনতে আমার কান ব্যাথা করছে।প্রথমত আপনি wrong সাইড দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। দ্বিতীয় তো আপনি আমাদের ধাক্কা দিয়েছেন। তৃতীয় আপনি উনাকে ছোটো করে কথা বলছেন!এখন প্লিজ আপনি উনাকে সরি বলুন আর উনার যা ক্ষতি হয়েছে আর ক্ষতি পূরণ দিন(আমি)
তুমি কে আমার ভুল ধরার?তুমি জানো আমি কে?(আরমান)
আমার কোনো শখ নেই আপনার মত কোনো মানুষকে জানার।আর আমি ধন্য আমি আপনাকে চিনি না।যদি চিনতাম তাহলে মানুষের সাথে কি করে ব্যবহার করতে হয় তা আপনাকে ভালো করে শিখিয়ে দিতাম।(আমি)
তুমি আরমান চৌধুরীকে শিখাবে?(আরমান)
মানুষকে কি করে মানুষ বলে গন্য করতে হয়। তা যদি আপনি না জানেন তাহলে আমার আপনাকে শিখাতে কোনো সমস্যা নেই।(আমি)
তোমাকে বড় দের সম্মান দিতে হয় কি করে তা কি শিখানো হয় নি?(আরমান রাগে)
হুম। হয়েছে।আমাকে শিখানো হয়েছে যে সম্মানের যোগ্য তাকেই সম্মান করা উচিত।আর আমি তো আপনাকে কোনো কুটুক্তি মূলুক কথা বলি নি।আমি শুধু আপনাকে বলছি আমি যা করছেন তার জন্য সরি বলুন আর উনার ক্ষতিপূরণ দিতে।(আমি)
তোমার সাহস কি করে হয়?আমাকে সরি বলার জন্য।(আরমান রেগে)
কথাগুলো চেনা চেনা লাগছে কোথায় যেনো শুনেছি?(আমি মনে মনে)
এই নাও।
বলেই লোকটা রিকশা চালক কে কয়েকটা টাকার বান্ডিল দিলো।
এইখানে দশ লাখ টাকা তোমার ক্ষতি পূরণ।
বলেই লোকটা গাড়ির দিকে এগোলো কিন্তু যাওয়ার আগে আমার দিকে তাকালো।ওর চাওনিতে আমি মি: কোবরার ঝলক দেখতে পেলাম।
আচ্ছা উনি কি কোনো ভাবে মি:কোবরার কিছু হয়?দুইজনের কথার ধরন এক রকম।আবার দুইজন সরি বলতে চায়না। সরির বদলে টাকা দিয়ে চলে যায়।একদম মি:কোবরার মতো স্বভাব।
স্যার আপনি ডিলের টাকাটা ওই রিকশা চালক কে দিয়ে দিলেন?(ড্রাইভার)
ওই টাকার চেয়ে আমার সম্মান বড়।আমি সরি বলে নিজের সম্মানহানি করতে পারবো না।আর ওই বাচ্চা মেয়ের সামনে তো কখনই না।যে কথা বলার ধরন জানে না। অসভ্য একটা মেয়ে।আরিফকে ফোন করে এর ডিটেইলস নিতে বলো।আমি দেখতে চাই এই মেয়ে আরমান চৌধুরীকে অপমান করার সাহস আসে কথা থেকে।(আরমান)
আমি রিকশা চালক কে হসপিটালে ভর্তি করালাম।ভদ্র লোকটা টাকা দেওয়া তে উনার আর কোনো সমস্যা হবে না।কি জিনিস টাকা তাই না? সরি কিনা যায়।
।
।
অন্যদিকে এই ঝগড়া দূর থেকে আভি আর নিহাল দেখছিলো।
আজ আভি আর নিহাল একটা দরকারে এইদিকে এসেছিলো তখনই হটাৎ নিহাল দেখতে পেলো আস্থাকে
আভি এই আভি। ও আস্থা না?(নিহাল গাড়িতে হেলান দিয়ে ইশারা করে)
হুম।মিস:পেঁচাল ই তো মনে হচ্ছে।কিন্তু এখানে কি করছে?(আভি গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে)
অনেক দিন পরে ওর সাথে দেখা হলো।ভাবতেই পারি নি ওর সাথে আবার দেখা হবে।(নিহাল)
তুই এত এক্সসাইটেড কেনো?(আভি পানি খেতে খেতে)
ওইটা তোর দাদু না?(নিহাল)
আভি এই কথা শুনে ফুস করে সব পানি ফেলে দিলো।
কি বলিস? মিস:পেঁচাল আর মি:আরমান চৌধূরী এক সাথে কি করছে?(আভি মনোযোগ দিয়ে)
মনে হচ্ছে ঝগড়া করছে?(নিহাল)
এই মেয়ের মরার শখ হয়েছে যে আরমান চৌধুরীর সাথে লাগছে।(আভি)
এই মেয়ের সাহস আছে বলতে হবে।তোর আর তোর দাদার সাথে টক্কর দেওয়া চারটি খানি কথা না(নিহাল)
ভেবে ছিলাম।এই মেয়ের শুধু আমার সাথেই টক্কর নিতে পারে কিন্তু আরমান চৌধুরীর সাথে টক্কর,,,impressive।(আভি মুচকি হাসি দিয়ে)
টক্কর,টক্কর,!!!ইয়েস টক্কর।আভি টক্কর।(নিহাল এক্সসাইটেড হয়ে)
কি টক্কর টক্কর করছিস?(আভি)
আরে আমাদের এমন একটা মেয়েই তো দরকার যে তোর দাদুর সাথে টক্কর নিতে পারবে।(নিহাল)
আরে রাস্তা ঘাটে ঝগড়া করলেই কেউ টক্কর দিতে পারে না।(আভি)
তুই ভেবে দেখ।আমাদের যেমন মেয়ে দরকার আস্থা তেমনই।তুই তো বলেছিলি তোর এমন একটা মেয়ে দরকার যে তোর অ্যাডভান্টেজ নিবে না,এই ক্ষেত্রে আস্থা একদম পারফক্ট। ও মরে যাবে কিন্তু তোর অ্যাডভান্টেজ নিবে না।ভেবে দেখ?(নিহাল)
আভি কিছুক্ষন ভাবলো।
এখন আমাকে দাদুর বিয়ের থেকে বাঁচতে একটা মেয়ে দরকার যাকে দিয়ে আমি দাদুকে আমার মায়ের জায়গাটা বোঝাবে? দাদুর করা ভুল গুলো তুলে ধরবে।কিন্তু এর জন্য আমার যেমন মেয়ে দরকার আস্থা ঠিক তেমন এইটা সন্দেহ নেই।(আভি মনে মনে)
কি ভাবছিস?(নিহাল)
ও রাজি হবে?(আভি)
রাজি করাতে হবে।(নিহাল)
ওর ব্যাপারে সব খবর নে।আর ওকে আবার তুলে আন।
বলেই আভি গাড়িতে উঠে বসলো।
তুলে আনবো?(নিহাল গাড়িতে বসে)
ও এমনি এমনি কখনও আসবে না।তুলে আন।(আভি)
।
।
বর্তমান
কি ব্যাপারে খুলে বলবেন?(আমি)
আস্থা।আমাদের এমন একটা মেয়ে দরকার।যে খুব চালু,,কাউকে ছাড় দেয় না,,মুখের উপর কথা বলে দেয়,,যে নির্ভয়ে বলতে পারে যে কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক,, অন্যায়কে যে কখনও প্রশ্রয় দেয় না।(নিহাল)
তার জন্য আমাকে কেনো দরকার?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
কারণ তোমার মধ্যে এই সব গুণ আছে।এইজন্যই তোমাকে আমাদের দরকার।(নিহাল)
বাজারে এমন গুণের অনেক মানুষ আছে এখন আমাকে মাফ করেন।(আমি)
আস্থা আমরা জানি এমন গুণের মানুষ আছে কিন্তু আমাদের তোমাকেই দরকার।(নিহাল)
কেনো?আমিই কেনো?(আমি অবাক হয়ে)
আচ্ছা তুমি আমাকে একটা প্রশ্নর উত্তর দাও তো?(নিহাল)
কি?(আমি)
যদি আভির অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার কোনো সুযোগ পেলে তুমি কি করবে?(নিহাল)
আমি ওই সুযোগ কমোডে ফ্ল্যাশ করে দিবো।কারণ উনার অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই।(আমি)
আভি আস্থার কথা শুনে মুষ্ঠি বদ্ধ করে ফেললো।রাগে ওর মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে।
শুধু নিহাল বলছে বলে নাহলে আজ তোমার একদিন কি আমার একদিন ছিলো(আভি মনে মনে)
কিডন্যাপ করার আগে
দেখ তুই আমাকে প্রমিজ কর আস্থা যাই বলুক তুই রাগ করবি না।(নিহাল)
কিন্তু,,(আভি)
কোনো কিন্তু না।দেখ আস্থাকে আমাদের দরকার। বিশেষ করে তোর দরকার।আর এই কাজ আস্থাই করতে পারে।তাই আস্থার সাথে আমি কথা বলবো তুই চুপ করে থাকবি।কোনো রাগ না!(নিহাল)
ওকে।(আভি)
।
।
বর্তমান
এই জন্যই তো তোমাকে বেশি দরকার।আমরা যাকেই আনবো তারাই চাইবে আভির অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার।কিন্তু তুমি তা চাইবে না।(নিহাল)
উনার অ্যাডভান্টেজ কেনো নিতে চাইবে?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
আসলে,,,(নিহাল বলতে গিয়েও থেমে গেলো)
আসলে কি নিহাল? সত্যি করে বলো আমাকে দিয়ে কি করাতে চাও?(আমি সন্দেহর দৃষ্টিতে)
আসলে আমি চাই তুমি আভি কে বিয়ে করো?(নিহাল এক নিঃশ্বাসে সব বলে নিলো)
কিহ!(চোখ বড় করে)আমি বিয়ে করব এই মি:কোবরা কে?যে কিনা আমাকে ছোবল দিয়ার চিন্তায় থাকে সব সময়।দুনিয়াতে উনি একা ছেলে হলেও তো আমি ওকে বিয়ে করবো না।(আমি চিৎকার করে)
তুমি দেখি আভির কথা বলো!
বলেই নিহাল আমার নিজের মুখে হাত দিলো।
এইরে মুখ ফসকে কি বলে ফেললাম(নিহাল মনে মনে)
আমি উনার মত কথা বলি মানে?উনি কি বলছে?(আমি নিহালের দিকে সন্দেহর দৃষ্টিতে তাকালাম)
চুপ হয়ে নিহাল অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।
নিহাল।বলুন উনি কি বলছে?যদি আপনি না বলেন তাহলে আমি কিন্তু এখান থেকে এক্ষুনি বেরিয়ে যাবো।(আমি বের হওয়ার চেষ্টা করে)
নাহ নাহ।আস্থা এমন করো না।আসলে আভি বলছিলো যে তুমি যদি দুনিয়াতে একটা মেয়েও থাকো তবুও ও তোমার জন্য ফিল করবে না।(নিহাল কাচুমাচু হয়ে)
কিহ!তাহলে এখন কেনো আমাকে দরকার?(আমি রেগে)
আস্থা প্লিজ।বুঝার চেষ্টা করো।এই বিয়েটা অনেক জরুরী(নিহাল আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে)
আপনাদের জন্য জরুরি হলেও আমার জন্য জরুরী না।
বলেই আমি উঠে যেতে লাগলাম।
এতো ভাব কিসের তোমার?
এতক্ষন আভি বসা থেকে উঠে বললো।
আমি দাড়িয়ে পিছন ফিরে তার দিকে তাকালাম।
আভি আমি বলছি না আমি সামলে নিতে পারবো।(নিহাল আভিকে আটকানোর চেষ্টা করে)
নিহাল।অনেক ক্ষন ধরে তো তুই চেষ্টা করছিস।কিন্তু এই মেয়ে তো ভালো কথা শুনার মানুষ না।এখন আমাকে বিষয়টা দেখতে দে।(আভি নিহালকে উদ্দেশ্য করে কথা গুলো বললো)
Just because আমাদের একটা অসভ্য,বেয়াদপ, বেপরোয়া,একজন লাগবে এই জন্যই তোমাকে ডাকা।(আভি আমার সামনে এসে দাড়িয়ে কথা গুলো বললো)
ওহ।তারমানে আমি আপনার চোখে অসভ্য, বেয়াদপ, বেপরোয়া একজন মেয়ে?(আমি)
আর কি কিছু মনে হয় তোমার?(আভি)
এই ছেলে আবার ঝগড়া করতে নেমে গেলো।এখন বিয়ে না বিশ্ব যুদ্ধ হবে।(নিহাল মনে মনে)
তাহলে একটা কাজ করুন।আপনার জন্য একটা সভ্য,আদব,আর পরোয়া টাইপ মেয়ে খুঁজে বের করুন।আমাকে মাফ করবেন।
বলেই আমি আবার যেতে লাগলাম।
বাবার অপরশনের জন্য 20 লাখ টাকা কথা থেকে জোগাড় করবে?(আভি পিছন থেকে আমাকে এই কথা গুলো বললো)
আমি আবার পিছন ফিরে উনার কাছে গিয়ে উনার চোখের দিকে চোখ রেখে বললাম
আপনি আমাকে সরির বদলে যেই টাকা দিয়েছেন। তা এখনও আমার কাছেই আছে।আর বাকি 15 লাখ টাকা আমি নিজেই জোগাড় করতে পারবো।তার জন্য আমার আপনার মত মানুষকে বিয়ে করতে হবে না।
তাই নাকি?পালিত বাবার টাকা তো জোগাড় করতে পারবে।কিন্তু আপন মা বাবার খবর কথা থেকে পাবে?(আভি শয়তানী হাসি দিয়ে)
আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম
আমার পালিত বাবা?আর আসল মা বাবা সম্পর্কে কি জানেন?
আভি আমার কথায় মুচকি হাসি দিয়ে আবার ওর চেয়ারে গিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো
বসো।বসে কথা বলা ভালো।
আমি আর কোনো উপায়ন্ত না দেখে ওর সামনে বসলাম
পরেই উনি বলতে হবে করলো
আস্থা ইয়াসমিন।আসল মা বাবা অজানা।হসপিটালের একজন কর্মীর বাড়িতে বড়ো হয়েছো। যেকিনা ওই হসপিটালে কর্মরত ছিলেন যেখানে থেকে তোমাকে এনেছে।পালিত মা একটুও দেখতে পারে না।বড়ো বোন বিয়ের পর শশুর বাড়ী ছেড়ে বাপের বাড়ি পরে আছে।দুলাভাইয়ের কুনজর ছিলো তোমার উপর।কিন্তু তোমার স্বভাবের কারণে উনি তোমাকে কিছু করতে পারে নি।স্কুল কলেজে টপার থাকার কারণে স্কলারশিপ নিয়ে লেখা পড়া করছো।এক্সট্রা কারিকুলামে বেশ ভালো।নিজেকে একটা জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেই দম নিতে চাও।যেই দিন তোমাকে কিডন্যাপ করি সেইদিন তুমি তোমার বাড়ি থেকে সারাজীবনের জন্য চলে আসো।এখন একটা হোস্টেলে থাকো।খান গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজে পার্ট টাইম জব করো। নেশনাল ভার্সিটিতে পড়ছো।
আরেকটা মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট কথা নিজের বেনিফিটস্ ছাড়া একপাও দাও না।তোমার কাছে সব কিছুই বেনিফিটস্।এইবার বলো কিছু ভুল বলছি।
আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।উনি আমার কথা এতোটা জানে যতটা আমিও আমার ব্যাপারে জানি না।(আমি মনে মনে)
আপনি জানেন কি করে এই সব?(আমি)
I have my way,,(আভি ভাব নিয়ে)
হুহ!😒।(আমি)
এইবার বলো তুমি কি চাও?(আভি)
আমি জানতে চাই।আপনি কি করে আমার আসল বাবা মাকে খুঁজে বের করবেন?(আমি)
দেখো আমি জানি তুমি তোমার আসল মা বাবাকে খুঁজে বের করতে চাও।কিন্তু এই জন্য তুমি কি করতে পারবে?পুলিশে রিপোর্ট করবে?দিনে হাজারটা কেস আসে পুলিশের কাছে।উনারা কি তোমার সেই বিশ বছর আগের ঘটনা খুঁজে বের করবে?করবে না।তাহলে তুমি কি করে বের করবে নিজের বাবা মাকে?তোমার হাতে তো পাওয়ার নেই যে তুমি নিজেকে থেকে কিছু করবে?কিন্তু আমার আছে।আমি খুঁজে বের করতে পারি তোমার বাবা মাকে।কিন্তু এই জন্য তোমার আমাকে বিয়ে করতে হবে।আর বিয়েটা তুমি এমনি এমনি করবে না।এই বিয়েতেও তোমার বেনিফিটস্ আছে,,তোমার লেখাপড়ার সব খরচ আমি বহন করবো,,তুমি নাকি বিদেশে যেতে চাও পড়ার জন্য আমি তোমাকে সেই ব্যবস্থা করে দিতে পারি,,তোমার বাবার অপারেশনের টাকা আমি দিবো আর তোমার আসল মা বাবাকে আমিই খুঁজে বের করবো।এই সব তোমার বেনিফিটস্।আর মিসেস:আভি চৌধূরী হলে তো তোমার কাছে বেনিফিটস্ এর অভাব থাকবে না।
এই তো গেলো আমার বেনিফিটস্।আপনার বেনিফিটস্ গুলো কি?আপনি তো এমনি এমনি যাকে সহ্য করতে পারেন না তাকে বিয়ে করবেন না! তাও আবার এতো কিছু দিয়ে!আপনি কি চান?(আমি)
দেখো আমি কি চাই তোমার জানা দরকার নেই?তুমি শুধু কিছু সময়ের জন্য আমার স্ত্রী হবে।(আভি)
কিছু সময়ের জন্য?(আমি অবাক হয়ে)
হুম।আমরা নিজেদের বেনিফিটস্ এর জন্য বিয়েটা করবো।আমাদের বেনিফিটস্ কমপ্লিট হয়ে গেলে।তুমি তোমার রাস্তায় আমি আমার রাস্তায়।আমরা আবার অপরিচিত হয়ে যাবো।ঠিক আমরা আগে যেমন ছিলাম।তুমি রাজি?(আভি)
আমি চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি তোমাকে ভাবার জন্য দুই ঘণ্টা সময় দিলাম।এর বেশি সময় আমি তোমাকে দিতে পারবো না।কারণ আমার হাতে সময় কম।ভেবে দেখো।তুমি যদি রাজি থাকো আমরা আজই বিয়ে করবো।
বলেই আভি আর নিহাল কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো
।
।
চলবে…..
আস্থা কি সত্যি Marriage with Beniefits এ রাজি হবে..??