Marriage_With_Benefits part End

#Marriage_With_Benefits
#Last_Part
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
পাঁচ বছর পর
দাদু মনি!পাপা এখনও আসলো না কেনো?(আরাভি মুখ গোমড়া করে)

আরু।পাপা ব্যাস্ত।যখন আসার তখন আসবে আর এখন পর্যন্ত তো অনেক সময় আছে। এতো পাগল হচ্ছিস কেনো?(আরাভ খুব কড়া করে)

এই দেখ তুই আমার সাথে কড়া করে কথা বলবি না।ভুলে যাস না আমি তোর আগে হয়েছি।(আরাভি সুমুর কোল থেকে নেমে আরাভের কাছে নিয়ে কোমরে হাত দিয়ে)

ওই মাত্র পাঁচ মিনিটের বড়ো ছিলি তুই!আর শুন দুনিয়াতে তুই ফার্স্ট হলেও বুদ্ধিতে কিন্তু আমি ফার্স্ট।(আরাভ ভাব নিয়ে)

দেখ বেশি বুদ্ধি আছে বলেই তো কোবরার মতো ফুস ফুস করিস!(আরাভি মুখ ভেংচিয়ে)

কি আমি কোবরা? দাড়া আমি এখুনি বড় দাদুকে বলছি।(বলেই কোবরার মতো ফুসফুস করতে করতে আরাভ গেলো আরমান চৌধূরীর কাছে)

আর সবাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে আরাভ আর আরভির ঝগড়া দেখছে।যেনো ছোটো ছোটো আস্থা আর আভি।হা ওরাই আভি আর আস্থার ছেলে আরাভ আর মেয়ে আরাভি।

কি হলো?আমার ছোটো দাদুভাইকে কে বকেছে?(দাদু লাঠি ভর দিয়ে নিচে নামছে আর সাথেই আছে আরিফ। উনি আর দাদুর কাছ থেকে সরলো না।আরিফও যেনো দাদুর আরেক নাতি)

আমি বলেছি।কি হয়েছে তাতে? বড়ো বোন হয়ে ছোটো ভাইকে শাসন করেছি।(আরভী দাদুর কাছে গিয়ে কোমরে হাত দিয়ে ভ্রু কুঁচকে)

দাদু যেনো ওর মধ্যে আস্থাকেই দেখছে।আস্থাও এমন করে সবাইকে শাসন করতো।
আস্থা।(দাদু আস্তে করে)

আস্থা? কে আস্থা?আমি তো আরাভি।(আরাভি কৌতূহল নিয়ে)

ঠিক এক সময়ই আরাভ এসে আরাভির সাথে দাড়ালো ওর চোখেও প্রশ্ন আস্থা কে?

আরে আস্থা ছিলো একটা রানী।তোরা শুনবি সেই রানীর গল্প?
বলেই আরশি আরাভকে কোলে নিয়ে আরাভির হাত ধরে সোফাতে নিয়ে গেলো।

আরাভ আরু যতক্ষণ না পর্যন্ত পাপা,,চাচু,,দাদু,,ছোটো দাদু আসছে ততক্ষণ বরং আমি তোদের আস্থা রানীর গল্প শুনাই।কি বল শুনবি?(আরশি,, আরাভ আর আরুকে সোফাতে বসিয়ে)

হুম।হুম।(দুজনে এক সাথে)

আচ্ছা।তাহলে তোমরা সবাই ওদের জন্মদিনের কাজ শেষ করো আমি ওদের গল্প শুনাই।(আরশি)

আচ্ছা।(সুমু,,দাদু,,আরিফ আর মিস সাবিনা)

ভালোই হয়েছে ওদের মনোযোগ অন্যদিকে রাখার কারণে না হলে যে কি করতো কে জানে? আরাভির বকা খেয়ে বেকা হয়ে যেত সবাই(সুমু)

তা যা ঠিক বলেছেন সুমাইয়া। ও আস্থা থেকে কম না।আর আরাভ সেই রেগে যেতো,,,ও তো আভি থেকে কম না।সব কিছু পারফেক্ট লাগবে ওর একদম আভির মত(মিস সাবিনা)

তা যা বলেছো(সুমু)
পরেই সবাই যে যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।


ফুপি ও ফুপি।আস্থা রানী খুব চমৎকার মানুষ ছিলো তাই না?(আরাভি)

হুম।লক্ষী সোনা।আর তুইও আস্থা রানীর মতো।(আরশি আরাভির গালে চুমু দিয়ে)

হুম।সত্যিই এই শাকচুন্নি উনার মতই(আরাভ অরুকে ক্ষেপানোর জন্য)

ওই।তুই আবার আমাকে শাকচুন্নি বললি?আমি না তোর বড় বোন।
বলেই আরাভি আরাভএর কানে ধরলো।

আহ্। ছাড়।শাকচুন্নি।(আরাভ)

এই কি হয়েছে আমার এঞ্জেলদের?
বলেই আয়ুশ অনেক গুলো বেলুন নিয়ে বাসায় ঢুকলো।

চাচু। ইয়ে ইয়ে।
বলেই আরাভি আর আরাভ এক দৌড়ে গিয়ে আয়ুশ এর কোলে উঠে গেলো।

আয়ুশও ওদের দুজনকে এক সাথে কোলে নিয়ে হাসাহাসি করছে।

চাচ্চু।পাপা আসে নাই কেনো এখনও?সন্ধ্যা তো হতে চললো।আমরা কেক কাটবো না?(আরাভি ঠোঁট উল্টে)

ও আমার মা টার কষ্ট হচ্ছে। এইতো এসে পড়বে খুব শীঘ্রই।(আয়ুশ)

হটাৎ বাহিরে থেকে আওয়াজ আসলো।
আরু। পাপা এসে পড়েছে।(মিস সাবিনা)

পাপা।পাপা।
বলেই দুজন গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো আভির কোলে।

সব আদর শুধু পাপার জন্য।এই দাদু গুলো কোথায় যাবে আজ বুড়ো বলে কেউ ভালোবাসে না।(আদি নেকামি করে)

ঠিক বলছো ভাই।এখন আমাদের কি হবে?(রোহানও নেকামি করে)

আমাদের আদর পাওয়ার জন্য লাইনে থাকো।বুঝলে দাদু?(আরাভি)

ওরে বাবা তাই নাকি?আচ্ছা দাড়িয়ে আছি বলে দিলাম।(আদি)

আমাদেরও একটু আদর দিও(রোহান)

আরাভ আর আরাভি খিল খিল করে হাসছে।

আভি দুটোকেই কোলে নিয়ে বললো
সরি পাপার আসতে একটু লেট হলো।(আভি আরাভ আর আরাভির গালে চুমু দিয়ে)

It’s okay পাপা।তোমাকে আমরা ক্ষমা করতে পারি কিন্তু এক শর্তে।(আরাভি কোমরে হাত দিয়ে)

তাই নাকি? তা কি শর্ত শুনি?(আভি গালে হাত দিয়ে)

আমাদের জন্য গান গাইতে হবে।আর আয়ুশ চাচু গিটার বাজাবে।(আরাভ)

আর আমি কি করবো?(নিহাল বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে)

নিহাল চাচু আর ডালিয়া ফুপি।
বলেই দুটো আবার ওকে জড়িয়ে ধরলো।

আভি দেখ তো তোর বাচ্চা গুলো আমাকে আর আমার বউকে ভাই বোন বানিয়ে ফেললো।আমি হলাম চাচু আর আমার বউ হলো ফুপি?(নিহাল এক বুক হতাশা নিয়ে)

আগে থেকেই তো ওদের কনফিউজ করে দিয়েছিস।বলেছিলি এক সাথে ফুপা আর চাচু হবি এখন নে ঠেলা সামলা।আর শুন এই নিয়ে বাচ্চাদের দোষ দিবি না বলে দিলাম।(আভি)

আচ্ছা আচ্ছা।গাছ যেমন ফলতো তেমনি হবে।(নিহাল নিরাশ হয়ে)

আহা। ছাড়ো না।আচ্ছা আরু আমরা কি করবো?(ডালিয়া)

তোমরা নাচবে।আর বাকি সবাই নাচবে।(আরাভ)

হুম।ভাই এক দম ঠিক বলেছে।(আরাভী)
পরেই আভি গান শুরু করলো

(তোকে নিয়ে বাঁচবো আমি
সোনা রে সারাজীবন
কতো আশা তোকে ঘিরে
করে যায় আমারই মন)

আভি গাইতে গাইতে মাইক নিয়ে আরাভ আর আরাভীর কাছে গেলো।ওরাও বাবার সাথে গলা মিলিয়ে গাইতে শুরু করলো

O Daddy you are my love
O Daddy you are my love(আরাভি আভির হাত ধরে নাচতে নাচতে)

O Daddy you are my love
O Daddy you are my love (আরাভও আভির আরেক হাত ধরে নাচতে নাচতে)

(তোকে নিয়ে বাঁচবো আমি
সোনা রে সারাজীবন
কতো আশা তোকে ঘিরে
করে যায় আমারই মন)

আভি আরাভী আর আরাভকে জড়িয়ে ধরে একদম বুকে মিশিয়ে নিলো।

(তোর হাসিতে যায়রে মুছে
জীবনের সব বেদনা
মায়ের আদর বাবার স্নেহ সবই
তোকে দিবো সোনা)

আভি আস্থার কথা মনে পড়তেই কাদতে কাদতে ওদের কপালে চুমু দিলো।

Daddy তুমি বন্ধু আমার দুজনে মিলে মিশে
কতো মজা কতো খেলায় দিন কাটাই ভালোবেসে(আরাভ আর আরাভী আভিকে নিয়ে ঘুরতে থাকে)

আভির চোখের জল মুছে দিয়ে ওর গালে দুজনে চুমু দিয়ে দিলো।

(O সোনা you are My love
O সোনা you are my love
O সোনা you are my love)

আভিও ওদের জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো।আজ আস্থাকে যেনো খুব মনে পড়ছে।

যখন আমি বড়ো হবো
আমি হবো তোমার মতো।(আরাভ হাসি মুখ দেখিয়ে)

সত্যিই হবে আমায় নিয়ে
তোমার আছে স্বপ্ন যতো(আরাভী দুষ্টামি করে)

(সোনারে তোর মনের কথা
শুনে প্রাণ ভরে যায়
বুকে ধরে আদর করি
আয়রে তুই কাছে আয়)

পরেই ওরা হাত ধরে ঘুরতে ঘুরতে নাচতে শুরু করলো।

(O Daddy you are my love
O Daddy you are my love)

(তোকে নিয়ে বাঁচবো আমি
সোনা রে সারাজীবন
কতো আশা তোকে ঘিরে
করে যায় আমারই মন)

O Daddy you are my love(আরাভী আর আরাভ বলেই আভির গালে এক সাথে চুমু দিলো)
O সোনা you are my love(আভি মুচকি হেসে জড়িয়ে ধরলো ওদের কিন্তু চোখে থেকে যেই জল গড়িয়ে পড়ছে)

সবার ওদের দেখে কান্না করছে।কি সুন্দর হতো যদি এখানে আস্থা থাকতো।পুরো হয়ে যেতো পরিবারটা।

আচ্ছা।আমরা এতো সুন্দর গান গাইছি তোমরা যাতে কান্না করো তার জন্য?(আরাভ রেগে)

আরে ভাই এরা হচ্ছে অদ্ভুত।কিছু হলেই কান্না করে করে।আজ আমাদের জন্মদিন কোথায় হাসবে তা না কান্না করছে।(আরাভী মুখ ফুলিয়ে)

তুই কি বুঝবি মা আজকের দিনে আমি আর তোর মা আলাদা হয়েছি।তোর মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।এই বাড়ির সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে।শুধু সবাই তোদের মুখের দিকে তাকিয়ে এইদিন মুখে হাসি রেখে পালন করে।(আভিও চোখের জল ফেলে)

ওই দেখো এখন পাপাও কান্না করছে।এখন যদি কেউ কান্না করলে আমি কিন্তু কেক কাটবো না বলে দিলাম(আরাভ রেগে)

এই সবাই হাসো।দেখো ছোটো আভির রাগ হয়েছে(আদি)

দাদু সবাইকে বলো না কান্না থামাতে।(আরাভ মনমরা হয়ে)

সবাই কান্না থামালো। কেক কাটার পর খেয়ে দিয়ে মুখে হাসি নিয়ে যে যার মতো ঘুমাতে চলে গেলো।নিহাল আর ডালিয়া গেলো না এখানেই থেকে গেলো। আরাভী আর আরাভ এখন আভির সাথেই ঘুমায়।আভি প্রতিদিন ওদের ঘুম পাড়িয়ে দেয় একদম মায়ের মত করে।বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে আভি বেলকনিতে দাড়ালো।আজ অতীতের কথা গুলো মনে পড়তে শুরু করলো



পাঁচ বছর আগে আস্থা সবাইকে ছেড়ে চলে গেছে।শুধু দিয়ে গেছে আরাভ আর আরভির মত ছোটো দুটো পুচকো।আভি আস্থাকে শেষ দেখাও দেখি নি।কারণ আস্থাই বলেছিলো আভি যেনো ও মরলেও শেষ দেখা না দেখে।সেদিন জিসান আর কলি আভির হাতে আরাভ আর আরাভিকে তুলে দিয়ে আস্থার মৃত্যুর সংবাদ দেয়।


অতীত
আঙ্কেল আস্থা কোথায়?(আভি চিন্তিত হয়ে)

আভি!এই নাও।তোমার দুই সন্তান।
বলেই আভির কাছে আরাভিকে আর আয়ুশ এর কাছে আরাভকে তুলে দিলো।

আভি আরাভীকে কোলে নিয়ে বললো
আস্থা।আস্থা কেমন আছে আঙ্কেল?ওকে আগে দেখতে দিন!(আভি চোখ থেকে জল পড়ছে)

আস্থা আর বেচেঁ নেই।
পাশে থেকেই কলি বলে উঠলো।

কি বলছো আণ্টি? ও আমাকে প্রমিজ করেছে ও আমাকে ছেড়ে যাবে না।আমি বিশ্বাস করি না।তুমি মিথ্যা কথা বলছো!আমি জানি আস্থা বেচেঁ আছে।(আভি আরাভীকে আরিফের কোলে দিয়ে কলির কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো)

কলি আন্টি প্লীজ বলো।তুমি মিথ্যা কথা বলছো।(আভি)

কলি চুপ করে আছে।

ঠিক আছে।আমিই গিয়ে দেখছি ও বেচেঁ আছে না মরে গেছে।
বলেই আভি উঠে যেতে লাগলো।

আস্থা বলেছিলো তুমি যেনো মরার পর ওর চেহারাও না দেখো।(কলি)

আভি পা থামিয়ে দেয়।

আস্থাকে ঠিক মতো বাঁচতে দিলে না।ওকে অন্তত ঠিক মত মরতে দাও।ওকে তো কখনো সম্মান করলে না ওর ইচ্ছেগুলোকে তো সম্মান করতে পারো।আমি জানি তুমি যা করেছো তা সব কিছুই রাইসার হাত থেকে আস্থাকে বাঁচাতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো বাঁচাতে পারলে না আমার মেয়েকে।এখন অন্তত ওর কদর করো।
বলেই কলি কাদতে কাদতে বসে পড়লো।

জিসান আঙ্কেল আপনিও কি এইটাই বলবেন?(আভি শান্ত)

জিসান চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।

আভি শুকনো হাসি দিয়ে উপরে তাকিয়ে বললো
আপনারা যা চান তাই হবে।আমি দেখবনা আস্থাকে।আমার পরিবারের কেউ দেখবে না ওকে!আজকের পর থেকে আপনাদের সাথেও আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বলেই আভি আর ওর পরিবার আরাভী আর আরাভকে নিয়ে চলে আসলো।তারপর কেটে গেল পাঁচটা বছর।কলি আর জিসান তাদের সব কিছু বিক্রি করে বিদেশে চলে গেছে।ডক্টর জয়ও চলে গেছে।কিন্তু আভি আস্থার স্মৃতি ঘিরে এখনও বেচেঁ আছে।আর সাথে তো পুচকি গুলো আছেই।ওরা এখন চৌধূরী বাড়ীর জান।আস্থা যেমন চৌধুরী বাড়ি চেয়ে ছিলো এখন এইটা ঠিক তেমনই।সবার মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো।সুমু কিছু দিন পরেই ফিরে আসে। কিন্তু ততক্ষণে আস্থা চলে যায়।এই নিয়ে সুমু নিজে অনেক আফসোস করে।তাই সুমু আদিকে সুস্থ করে তোলে।আস্থা মারা যাওয়ার এক বছর পর আদিও সুস্থ হয়ে উঠে।এখন আদি,,আভি,,রোহান মিলে ব্যবসার দেখা শুনা করে।দাদু এখন বয়স হওয়ার কারণে বাসায়ই থাকে।আয়ুশ এখন মস্ত বড় রাজনীতবিদ,,কিছু দিন পরেই ওর পার্টি আবার ভোটে দাড়াবে।আর নিশ্চিত জিতবে।পরপর দুবার জিতেছে।
নিহাল আর ডালিয়ার বিয়েও হয়েছে।আর ডালিয়ার একটা দুবছরের ছেলেও আছে তার নিহাভ আহমেদ।এখন ওরা সুখেই আছে।
ঈশানি এখনও জেলে ওর কৃতকর্ম সব নিজের মুখে স্বীকার করেছে।আর এতে ও অনেক অনুতপ্ত।তুলি মেন্টাল হসপিটাল থেকে এখনও ছাড়া পায় নি।এখন ও একজন মানুষিক রুগী।আভি,,নিহাল আর আয়ুশ ছাড়া কেউই রাইসার মার্ডারের খবর জানে না। ইশানিও কাউকে কিছু বলেনি।পুলিশ রাইসাকে খুঁজছে।এখন সবার জীবনই সম্পূর্ন,,সব সম্পর্ক ভালো,,কিন্তু যে এইসব কিছু করলো আজ সেই আকাশের তারা।আস্থার কথা মত ওর সন্তানদেরও ওর কথা কেউ বলেনি।আস্থার সব স্মৃতি ওরা মুছে দিয়েছে এই বাড়ি থেকে।তবে আস্থার কর্মের জন্য ও এই বাড়ির সবার মনের মধ্যে গেঁথে গেছে।


বর্তমান
আস্থা।তুমি দেখছো?আমাদের ছেলেমেয়ে দুটোকে।তোমার আর আমার ইচ্ছে অনুযায়ী ওরা।আমাদের বড়ো মেয়ে আরাভি একদম তোমার মত সবাইকে শাসন করে,,সবাইকে সম্পর্কে বেধে রাখতে চায় কোনো বেনিফিটস্ দিয়ে না ভালোবাসা দিয়ে একদম তোমার মত।আর আমাদের ছোটো ছেলে আরাভ ও একদম আমার মত হয়েছে।নাকের ডগার রাগ থাকেই।সব কিছু প্রাকটিক্যাল ভাবে নেয়।আস্থা,,,তোমার কথা মত ওদের আমি তোমার কথা বলি নি।আচ্ছা আমি ঠিক করছি আস্থা?তুমি কি রাগ করবে?তোমাকে খুব মিস করি আস্থা।ওদের একা মানুষ করতে খুব কষ্ট হয়।মাঝে মধ্যে হাপিয়ে যাই।তুমি থাকলে তো তোমার কাধে মাথা দিয়ে নিজের ক্লান্ত দূর করতে পারতাম।আস্থা I love you।

হটাৎ আরাভী ঘুমে বলে উঠলো
আস্থা রানী।আমি আস্থা রানীর মতো হবো।

আভি শুনে মুচকি হাসি দিলো
যতই মা দূরে থাকুন বা মা সম্পর্কে না জানুক।সন্তান ঠিকই তার মার স্পর্শ খুঁজে পায়।

…………………………….THE_END……………………………
Season 2 আসবে,,,,,on the way আছে।ততক্ষণ ভালো থাকবে।খোদা হাফেজ।bye bye। টাটা ☺️☺️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here