The_Terrible_LoverLover lover 32

#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__৩২

একটু একটু করে আরিহান কাশফিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর একটু একটু করে ওর মনের ভেতর নিভে থাকা আশার আলোটা জ্বলে উঠছে ৷ যখন আরিহান কাশফিয়াকে ডাক দিবে তখনি ওর হাতের ফোনটা বেজে উঠলো ৷ ও কেটে দিয়ে আবার ডাক দিতে যাবে তখন আবারও বেজে উঠলো ৷ ও কেটে দিল কলটা ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওর ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো ৷ আরিহানের মায়ের ম্যাসেজ যেখানে লিখা,,,,”আরিহান বাবা তোর বাবা হার্ট এট্যাক করেছে হাসপাতালে চলে আয় বাবা ৷”

ম্যাসেজটা দেখে ও থমকে গেল ৷ কি হলো এইটা? দৌঁড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি ঘুরিয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে লাগল ৷ ছোটবেলায় যখন ওর মা ওর পাশে ছিল না তখন প্রত্যেকটা মূহুর্তে ওর বাবা-ই তো ওর সাথে ছিল ৷ সেই বাবার এই অবস্থা ও কি করে সহ্য করবে ৷ মা বাবা যতই ভুল করুক সন্তান তার মা বাবার অসুস্থতা কখনোই মেনে নিতে পারে না ৷

এদিকে কাশফিয়ার কথা বলা শেষ হলে ও পেছনে তাকায় ৷ তাকিয়ে দেখে কেয়া আর আরিয়া ওর থেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আর সামনের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ কাশফিয়া ওদের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে ওর দিকে ঘুরিয়ে ওদেরকে বলতে লাগল,,,,,,,,,

কাশফিয়া : এতো দূরে কেন দাঁড়িয়ে আছো? আমার সাথে থাকতে বলেছিলাম না?

ওরা দুজনে চুপ করে রইল ৷

কাশফিয়া : আচ্ছা চলো বাসায় যেতে হবে তো নাকি?

কেয়া : কার সাথে কথা বলছিলে মাম্মা?

কাশফিয়া : তোমাদের মামার সাথে কিছু দরকারি বিষয়ে ৷ এখন চলো ৷

বলেই কাশফিয়া ওদের হাত ধরে হাঁটতে লাগলো ৷ তখন কেয়া আবার বললো,,,,,

কেয়া : মাম্মা?

কাশফিয়া : হুম সোনা??

কেয়া : ওইই আঙ্কেলটা না এসেছিল ৷

কাশফিয়া : কোন আঙ্কেলটা? (ভ্রু কুচকে)

কেয়া : ওইইই যে যেই আঙ্কেলটা চকলেট দিয়েছিল আমাদের সে ৷

কাশফিয়া : উনি? তোমাদের কাছে এসেছিল? কথা বলেছো?

কেয়া : হুম অল্প অল্প বলেছি আমরা ৷ তোমার সঙ্গেও কথা বলতো কিন্তু হঠাৎ করেই চলে গেল ৷

কাশফিয়া : তোমরা আবার একা একা কথা বলেছো?

কেয়া : অল্প…একটুউউ!!

কাশফিয়া : একটুও না ৷

তখন আরিয়া পিছন থেকে বললো,,,,,

আরিয়া : মাম্মা আঙ্কেলটা ভালো ছিল সত্যি ৷ যদি আমাদের ধরে নিয়ে যেতে চাই তো তাহলে আগেই তো নিয়ে যেতে পারতো ৷ কিন্তু আঙ্কেল তো করে নি সেটা ৷ প্লিজ মাম্মা রাগ করো না ৷

কাশফিয়া হাসলো ওর মেয়েদের কথা শুনে ৷ এটুকু বয়সেই কত বোঝে ৷ ও আর দেরি না করে হাঁটতে লাগলো বাড়ির উদ্দেশ্যে ৷

__________________

তাড়াহুরা করে গাড়ি ড্রাইভ করে হসপিটালে এসে পৌঁছালো আরিহান ৷ গাড়ি থেকে নেমে এক প্রকার দৌঁড়ে ভিতরে চলে গেল ৷ ভিতরে গিয়ে দেখে চেয়ারে আরিহানের মা আর আখি বসে আছে ৷ আর পাশে আবির দাঁড়িয়ে আছে ৷ ও আবিরের কাছে গিয়ে বলতে লাগল,,,,,

আরিহান : ড্যাড কোথায়? ড্যাড ঠিক আছে তো?

আবির : ভাইয়া শান্ত হন ৷ উনি ঠিক আছেন ৷

আরিহান : হঠাৎ করে এসব কিভাবে হলো?

— এই সব কিছুর জন্য তুই দায়ি ৷

পিছন থেকে আরিহানের মা বলে উঠলো ৷ আরিহান পিছনে ঘুরে ভ্রু কুচকে বললো,,,,,

আরিহান : আমি দায়ি মানে?

— হ্যাঁ তুই দায়ি ৷ তোর জন্য আজ তোর বাবার এই অবস্থা ৷ শুধু মাত্র তোর জন্য ৷

আরিহান : কিন্তু আমি করেছি টা কি?

— তোর বাবা তোর জন্য চিন্তা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পরেছে ৷ আর তোর সে সব কিছুর কোনো গুরুত্বই নেই ৷ কতবার বলেছি একটা বিয়ে করে নে ৷ কিন্তু না ওই মেয়েটার জন্য তুই বিয়ে করবি না ৷ ওই মেয়েটার জন্য তুই কষ্ট পাবি সঙ্গে সবাইকে কষ্ট দিবি না?

আরিহান : বলেছি না আমি আর বিয়ে করবো না ৷ সেখানে আবার এসব কথা কেন উঠছে?

— উঠার দরকার তাই উঠেছে ৷ তোর কথা ভেবেই তো আজ তোর বাবার এই অবস্থা ৷ তুই কি বুঝতে পারছিস না?

আরিহান : না পারছি না ৷ তুমি ড্যাডকে আমার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছো না? তাই তো আজ ড্যাড এখানে ৷ আবার আমাকে দোষারোপ করছো? আমি বিয়ে করবো না ৷ কখনোই না ৷

পাশে থেকে আখি বলে উঠল,,,,,,

আখি : ভাইয়া রাজি হয়ে যা না প্লিজ ৷

আরিহান : আখি তুইও? (অবাক হয়ে)

আখি : হ্যাঁ আমিও ৷ জানি তুই কাশফিয়া ভাবির জায়গা কাউকে দিতে পারবি না ৷ লাগবেও না ৷ ভাবি ভাবির জায়গায়ই থাকবে ৷ কিন্তু তুই বিয়েটা করে নে ভাইয়া ৷ দেখ তোর জন্য সবাই কষ্ট পাচ্ছে ৷ আজ বাবা অসুস্থ হয়ে পরেছে আবার কাল অন্য কেউ অসুস্থ হয়ে পরবে ৷ তুই নিজের কথা না সবার কথা ভেবে বিয়েটা করে নে প্লিজ ৷

আরিহান : এসব কি বলছিস তুই? তুই বলছিস এসব? আমার দ্বারা যে সম্ভব না এটা ৷ তুইও বুঝতে পারছিস না?

আখি : ভাইয়া আমি বুঝি কিন্তু তুই সবার কথা ভেবে রাজি হতে পারবি না? অন্তত বাবার কথা ভেবে ৷

আরিহান স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আখির দিকে ৷ তারপর পিছনে ঘুরে হাঁটা শুরু করলো ৷ কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,,,,,,

আরিহান : বিয়ের আয়োজন শুরু করো দেও ৷

বলেই গটগট করে হেঁটে হাসপাতালের বাহিরে চলে এলো ৷ গাড়িতে উঠে বসে গাড়ির জানালার কাচের মধ্যে একটা ঘুষি মারলো ৷ কাচটা ভেঙ্গে আরিহানের হাতে ঢুকে হাতে বিধে গেল ৷ রাগে, কষ্টে ওর নিজেকে পাগল পাগল লাগছে ৷ ভাঙ্গা কাচের মধ্যে কাটা হাত দিয়ে আরো একটা ঘুষি মারলো ৷ ইচ্ছা করছে ওর নিজেকে নিজেই শেষ করে দিতে ৷ আজ শুধু মাত্র ওর বাবার এই অবস্থার জন্য ও বিয়েতে রাজি হলো ৷ সবাই বলছে সবার কথা ভাবতে কিন্তু কেউ বলছে না নিজের কথা ভাবতে ৷

★★★
কয়েকদিন পর,,,,,,
এই কয়েকদিনে আরিহানের বাবা অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৷ আর আরিহান যে বিয়েতে রাজি হয়েছে সেটা শুনেও খুশি হয়েছেন ৷ বাড়িতে ছোট করে একটা পার্টি অ্যারেন্জ্ঞ করেছে তারা ৷

তার একটা বন্ধুর মেয়ের সঙ্গেই মূলত বিয়েটা ঠিক হয়েছে ৷ আজ ছোট করে ওদের রিং সেরেমনি অ্যারেন্জ্ঞ করা হয়েছে ৷ কিন্তু আরিহান বাড়ির বাহিরে ৷ আরিহানকে ফোন করছে তারা কিন্তু ও ফোন তুলছে না ৷ চিন্তায় আছে তারা যে আরিহান আদো আসবে কি না!!

__________

বিকাল ০৪ টা বাজে ৷ রাস্তা দিয়ে অন্য মনস্ক হয়ে হেঁটে চলেছে আরিহান ৷ এই বিয়েতে ওর কোনো ইন্টারেস্ট নেই ৷ বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে ওকে ৷ কাশফিয়ার সঙ্গে কাটানো মূহুর্ত গুলো মনে করছে আর অনুভব করছে ও ৷ হঠাৎ আরিহানের ধাক্কা লাগলো জয়ের সাথে ৷ কিন্তু ও একটাও কথা বললো না ৷ চুপচাপ সামনের দিকে এগিয়ে গেল ৷ জয়কে ও দেখেই নি ৷ জয় ওকে এই সময় এখানে দেখে অবাক হলো অনেকটাই ৷ তাও এরকম অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটতে দেখে ৷

ও আরিহানের কাছে গিয়ে ওকে ঝাকিয়ে ডাক দিলে ৷ ধ্যান ভাঙ্গে আরিহানের ৷ জয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,

আরিহান : তুই এখানে কেন?

জয় : আমার কথা ছাড় ৷ আগে বল তুই কেন এখানে? তোর অ্যাঙ্গেজমেন্ট আজ ৷ দেরি হলে সবাই চিন্তা করবে ৷

আরিহান : আরে ইয়ার ০৭ টা বাজে শুরু হবে ৷ এতো আগে গিয়ে কি করব বল? টাইমলি পৌঁছিয়ে যাবো নি ৷ এখন চল ৷ তোর সাথে কত দিন পর দেখা হলো বল? একটু কথা বলে দ্যান বাড়ি যাই ৷

জয় : কিন্তু…

আরিহান : কোনো কিন্তু নাহ ৷ চল তো ৷

আরিহান জয়কে নিয়ে হাঁটতে লাগলো ৷ মাঝেমাঝে ওদের মাঝে টুকটাক কথা হচ্ছে আর হেঁটে যাচ্ছে ৷

★★★
দুই হাতে কেয়া আর আরিয়াকে নিয়ে কাশফিয়া হাঁটছে ৷ আজ ওরা হাঁটতে যাওয়ার জন্য জেদ করছিল ৷ ওর কানের কাছে বারবার এই এক কথাই বলছিল তাই ও বাধ্য হয়ে ওদেরকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে আজ ৷

চুপচাপ হাঁটছে ওরা ৷ এর মধ্যেই আরিয়া কাশফিয়ার হাত ঝাকাতে ঝাকাতে বললো,,,,,

আরিয়া : মাম্মা?

কাশফিয়া : হুম সোনা??

আরিয়া : আইসক্রিম খাবো প্লিজ ৷

কাশফিয়া : না ঠান্ডা লেগে যাবে মা ৷

আরিয়া : অল্প মাম্মা প্লিজ প্লিজ প্লিজ ৷ একটুখানি!!

কাশফিয়া : একটুও না ৷

কেয়া : মাম্মা আমিও খাবো ৷ প্লিজ দাও..দাও না ৷

কাশফিয়া : তোমাদের কাউকেই দিবো না আমি ৷ অন্য কিছু বলো বাট আইসক্রিম নয় ৷

কেয়া : অন্য কিছু না ৷ শুধু আইসক্রিম প্লিজ প্লিজ মাম্মা!!

দুজনেই আবার শুরু করলো আবার এক কথা ৷ ও না পেরে বললো,,,,,

কাশফিয়া : আরে থামো হয়েছে ৷ চলো এবার ৷ শুধু একটা এর বেশি না একদম ৷

দুজনেই মাথা দুলালো ৷ কাশফিয়া ওদের হাত ধরে একটা আইসক্রিম স্টলের দিকে নিয়ে গেল ৷ দুটো আইসক্রিম কিনে দুজনের হাতে দিলো ৷ ওরা দুজন হাতে নিয়ে খেতে লাগলো ৷ কাশফিয়া ওদেরকে দেখে হেসে সামনের দিকে তাকালো ৷ সামনের দিকে তাকাতেই দেখতে পেল একটা ৭/৮ বছর বয়সের ছেলে রাস্তা পাড় হচ্ছে কিন্তু ওর দিকে একটা গাড়ি ধেয়ে আসছে ৷

ও কিছুক্ষন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দৌঁড়ে গেল ছেলেটার কাছে ৷ ধাক্কা দিয়ে গাড়ির সামনে থেকে ছেলেটাকে সরিয়ে দিল কাশফিয়া ৷ কিন্তু ও সরতে পারলো না ৷ গাড়িটা ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল ৷ ও ছিটকে পরলো রাস্তায় ৷ গাড়িটার সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে ওর মাথা ৷ গলগল করে রক্ত পরছে ৷ মানুষজন সব দৌঁড়ে আসছে ওর দিকে ৷

কেয়া আর আরিয়ার সামনে এরকমটা হওয়ায় ওরা অনেকটা ভয়ও পেয়ে গেল ৷
হাতের থেকে আইসক্রিম পরে গেল ওদের ৷ কাঁপাকাঁপা পায়ে দুজনেই একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেল ৷ চুপচাপ কাঁদছে ওরা ৷ ছোট থেকে তো ওদের মা-ই ওদের সব সেখানে নিজের চোখে ওদের মায়ের এই অবস্থা দেখবে কি করে ওরা? ওরা তো ছোট হঠাৎ এরকম হওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছে অনেক ৷ আর সবাই যেভাবে কাশফিয়াকে ঘিরে রয়েছে ওরা তো ওদের মায়ের কাছে এভাবে যেতেও পারবে না ৷ তাই চুপচাপ কান্না করে যাচ্ছে ৷

______________

জয়ের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ আরিহানের চোখ যায় মাঝ রাস্তার দিকে ৷ কেয়া আর আরিয়া দাঁড়িয়ে আছে ৷ আরিহান দৌঁড়ে গেল ওদের কাছে ৷ ওদের সামনে বসে বলতে লাগলো,,,,,,

আরিহান : কেয়া, আরিয়া কি হয়েছে তোমাদের? কাঁদছো কেন তোমরা? মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছো কেন এভাবে?

ওরা চুপচাপ হেচকি তুলে কাঁদছে ৷ কিছুই বলতে পারছে না ৷ আরিহান ওদের চোখ মুছে দিয়ে আবার বললো,,,,,,

আরিহান : কাঁদে না ৷ দেখো কি হয়েছে বলো আমায়? তোমরা একা একা কি করছো এখানে? বলো সবটা বলো আমায়!!

কেয়া : ম…মাম্মা…মাম্মা…মাম্মা!!

বলেই হাত দিয়ে কাশফিয়ার দিকে ইশারা করলো ওরা ৷ আরিহান পিছনে ঘুরে তাকালো ৷ এখান থেকে স্পষ্ট কাশফিয়াকে দেখা যাচ্ছে ৷ একদম পরিস্কারভাবে ৷ আরিহান কাশফিয়াকে দেখে আৎকে উঠলো ৷ জয়ও তাকালো আর অবাক হয়ে গেল ও ৷

আরিহান দৌঁড়ে চলে গেলো কাশফিয়ার কাছে ৷ রাস্তার সবাইকে ওর কাছ থেকে ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিল ৷ ওর পিছে পিছে জয় কেয়া আর আরিয়াকে নিয়ে গেল কাশফিয়ার কাছে ৷ আরিহান কাশফিয়ার মাথা ওর বুকে চেপে ধরলো ৷ রক্ত পরছে প্রচুর ৷ পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে কাশফিয়ার মাথায় বেঁধে দিল ও ৷ নিজের বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,,,,,

আরিহান : জজজয়? গাড়ি নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি ৷ হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে ৷ তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে আয় ৷ আর দূরে যেতে দিব না আমি ওকে ৷ কখনোই না ৷ কাশফুল চোখ খুলো কিছু হবে না তোমার ৷ তোমাকে আমি আর হারিয়ে যেতে দিব না ৷ তুমি এখন থেকে আমার কাছেই থাকবে ৷ আর ছাড়বো না ৷ জীবনেও না ৷

জয় গাড়ি ডাকতে চলে গেল ৷আরিয়া আর কেয়া চুপচাপ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে ৷ আর আরিহান রাস্তায় বসে কাশফিয়াকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে পাগলের মতো কথা বলে যাচ্ছে ৷ ওর গায়ের সাদা রঙের পুরো শার্টটা কাশফিয়ার রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছে ৷

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

(সবাই বলেছেন এই পর্বটা তাড়াতাড়ি দিতে তাই দিলাম বাট এক্সট্রা পর্ব দেয়ার মতো সময় নেই আমার কাছে তাই দিতে পারি নি আমি ৷ আর গল্পটা কিন্তু শেষের দিকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here