#এখানে_আকাশটা_ভালবাসার
#লেখিকাঃ নয়নতারা নাতাশা
#পর্বঃ ১৮
.
“ভাবি, ও ভাবি…..”
“জ্বি, বলো”
“ভাবি আমি রায়ানের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি, ভাইয়া তো আজ বাসায় আছে, আমার কথা জিজ্ঞাসা করলে একটু ম্যানেজ করে নিও, প্লিজ…”
“ঠিক আছে মিস সানজানা সানহা, তবে ভার্সিটিতে দেখে দেখে কি হচ্ছে না আমার ননদিনীর? তাই আবার নতুন করে দেখা করার আয়োজন?”
“মিসেস ইভানা ইতু… আমি নোটস্ আনতে যাচ্ছি, প্রেম করতে না বুঝলে?”
“তাহলে নোটস্ টা আমি এনে দেই ম্যাম?” হাসতে হাসতে প্রশ্ন করে ইতু
“ইস!”
“এখন ইস কেন! ধরে পড়ে গেলে তো”
“ভাবি তুমিও না…”
“আচ্ছা যাও, তবে তোমার জন্য আজ একটা সারপ্রাইজ আছে আপু” বয়সে বড় হওয়ায় সানজানাকে আপু বলে ডাকে ইতু। তবে সানজানা ভাবি বলেই ডাকে।
“কি সারপ্রাইজ ভাবি?”
“বললে কি আর সারপ্রাইজ থাকে! যাও যাও নোটস্ আনো…!”
“না যাবো না, বলো না প্লিজ…”
“তোমার ভাইয়াকে ডাকব?”
“বলো না…”
“রাহাত……”
“এই নায়ায়ায়ায়ায়া…”
“যাও তাহলে…”
“ওকে ওকে যাচ্ছি”
রাগ রাগ করে বলে সানজানা।
“ইতু ডাকছ?” ঘর থেকে উত্তর দেয় রাহাত।
ইতুর খুব ভাল লাগে সানজানাকে। এমন একটা ননদ পেয়ে খুব খুশি সে। এই সানজানার জন্যই সে রাহাতকে পেয়েছে। একটা খাঁটি মানুষকে পাশে পেয়েছে।
প্রায় দুইমাস আগে তার আর রাহাতের বিয়ে হয়েছে পারিবারিক ভাবে। প্রায় সব কৃতিত্বই সানজানার।
এসব ভাবতে ভাবতে নিজের রুমের দিকে যায় ইতু।
রাহাত বিছানায় বসে ল্যাপটপে ইমেইল গুলো চেক করছিল। ব্যাবসা পছন্দ না হওয়ার একটা বিদেশী কোম্পানীতে কাজ করছে রাহাত।
“কি শুধু কাজ নিয়েই থাকবে নাকি বোনের দিকে একটু তাকাবে?”
“কেন কি হয়েছে সানজানার?” ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই উত্তর দেয় রাহাত।
“নিজের ভালবাসার মানুষকে তো পেয়ে গেছ… বোনের দিকে নজর দাও একটু”
“মানে কি বলোতো?”
এখনো মুখ তোলেনি রাহাত।
“মানে রায়ান ভাইয়া…”
“মানে…!” এবার মুখ তুলে রাহাত।
“কি তখন থেকে মানে মানে করছ! রায়ান ভাইয়াকে তো তুমি দেখেছ, আপু নিজেও তোমাকে বলেছে।”
“মানে সেদিনের রায়ান সত্যি ছিল? আমি তো ভেবেছি আমাকে বোঝানোর জন্য সানজানার ওটাও প্ল্যান ছিল”
“তোমার মতো ভাই থাকলে দেখছি সব বোনদের কপাল পুড়বে”
“ওরেব্বাস তাই নাকি? তাহলে উপায় কি মহারানী?”
“এই জন্য তো সেইসব বোনদের জন্য আমার মতো ভাবি দরকার”
“হাহাহা তাই না? তা বেশ তো… তাহলে তো সানজানার কপাল পুড়বে না” রাহাতের কথা শুনে হাসতে থাকে ইতু।
“কি করে রায়ান?” প্রশ্ন করে রাহাত
“আপুদের সাথে একসাথে পড়ে একই ভার্সিটিতেই”
“ও আচ্ছা ভাল তো, সানজানার পছন্দে আমার বিশ্বাস আছে, আর বাবা মার ও। কিন্তু কোথায় তোমার ননদিনী? ডাকো তাকে, আচ্ছা করে কান মলে দিই”
“নোটস্ আনতে গেছে, চলো না ওদের সাথে একসাথে হঠাৎ দেখা করে একটা সারপ্রাইজ দিই”
“বলছ?”
“হুম, চলো”
“তুমি যখন বলছ তখন চলো”…
“ইশ”
.
প্রেগন্যান্সি স্টিকটা হাতে নিয়ে বসে আছে রিদিমা। পজেটিভ রেজাল্ট দেখে রাগে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত জ্বলে যাচ্ছে। কেবল মাত্র সফলভাবে বিজনেস শুরু করেছে সে! এরই মাঝে!!! ধুর! রাগে সামনে থাকা চেয়ারটাকেই লাথি মারে রিদিমা।
ইচ্ছে করছে কাউকে না জানিয়ে এবরশন করতে, কিন্তু হসপিটালে ঝামেলা হবে অনেক। আর রিদিমাকে সবাই মোটামুটি চেনে। সায়ানকে বলা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
আর সবচেয়ে বড় কথা অনিকের পরেও একটা বাচ্চা এবরশন করেছিল কাউকে না জানিয়ে। এবার ঝুঁকি থাকতেও পারে, সেটা জানতে হসপিটালে যেতে হবে কিন্তু সায়ানকে ছাড়া সেটাও সম্ভব না।অনিকের বাবা ছাড়তে চায়নি তাকে তাই হয়তো দ্বিতীয় বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনতে চেয়েছিল। যাতে রিদিমা একটু বুঝে কিন্তু রিদিমা নিজের ইচ্ছেই চলে। তার কাছে তার ক্যারিয়ার আগে।
এসব বাচ্চাকাচ্চা আবার পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আরো সম্মান চাই, টাকা চাই নিজের মর্যাদা আরো বাড়ানো চাই। আর তাই বাচ্চাকাচ্চা এখন ঝামেলা ছাড়া কিছুই না।
এজন্যই এই বাচ্চাকেও চাই না রিদিমা।
কিন্ত সায়ানও অনিকের বাবার মতোই ভালমানুষ৷ সমস্যা এখানেই…
বাচ্চাটা হয়তো এবরশন করতেই চাইবে না।
সায়ান শুনলেই আনন্দে লাফাবে থাকবে। এবরশন করতে দেবে কিনা কে জানে। কিন্তু এখন বাচ্চা নিয়ে বিজনেস এগোনো তার জন্য একেবারেই অসম্ভব।
ধুর!
সায়ান তখনো ঘুমাচ্ছে।
“সায়ান…”
“হুম” ঘুমের মাঝেই উত্তর দেয় সায়ান।
“সায়ান উঠো একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে”
“বলো”
“আরে ধুর, উঠছো না কেন?” ঝাড়ি দিয়ে ওঠে রিদিমা।
তড়িঘড়ি করে উঠে সায়ান বলে
“বলো কি হয়েছে?”
“আমি প্রেগন্যান্ট”
“কিহ! সত্যি রিদিমা?”
“হুম”
“আমি বাবা হবো” আনন্দে চোখে পানি এসে যায় সায়ানের। আনন্দে আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই রিদিমা বলে,
“এত খুশি হয়ো না সায়ান, এই বাচ্চা আমি রাখব না।”
“কি বললে তুমি?”
“বলেছি এখন বাচ্চা আমার চাই না, আমি এখন মাত্র বিজনেস হ্যান্ডেল করছি। বাচ্চা সামলাব নাকি বিজনেস!!!”
“এসব কি বলছ তুমি!”
“আমি এই বাচ্চাটা চাইনা, শুনেছ তুমি?”
“তবে কি করতে চাও তুমি?”
“এবরশন” নির্লিপ্তভাবে জবাব দেয় রিদিমা।
রিদিমার কথা শুনে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না সায়ান।
বলার সাথে সাথে এক চড় মারে রিদিমার গালে।
.
রেস্টুরেন্টের বিল দিতে গেলে বিল না নিয়ে ওয়েটার একটা কাগজ ধরিয়ে দেয় রায়ানের হাতে।
রায়ান সেটা পড়ে সানজানার দিকে এগিয়ে দেয়।
“কি লেখা? কিসের কাগজ ওটা?”
“পড়েই দেখ না?”
“মিস সানজানা সানহা, আপনি অদ্য আমাদের সহিত দেখা করিবেন। পাশের জনকে আনিতে ভুলিবেন না।
দেখা করিবার স্থানটি আমার অর্ধাঙ্গী ইভানা ইতু আপনার মুঠোফোনে বার্তাযোগে ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে।
আপনাদের জন্য আমরা বড়ই উন্মুখ হয়ে আছি, আপনাদের দর্শন পাইলে অত্যন্ত প্রীত হইব
ইতি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী রাহাত আহমেদ, ইভানা ইতু”
চিঠি পড়ে হাসি হাসি মুখ করে সানজানা তাকায় রায়ানের দিকে।
“বাব্বাহ এত জরুরি তলব”
“চল তাহলে… গিয়েই দেখি, এটাই মনে হয় ইতুর সারপ্রাইজ ছিল” রায়ানের উত্তরে বলে সানজানা।
রায়ান আর সানজানা দেখা করতে গেল রাহাত আর ইতুর সাথে।
রাহাত খুব সহজভাবেই মেনে নিয়েছে রায়ান কে।
বেশ ভদ্র আর গোছালো ভাবে কথা বলছে রায়ান। সানজানা বেশ লজ্জা পাচ্ছে। ইতু বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরবার তাড়া দিল রাহাতকে।
সানজানারা চলে গেলে রায়ান বাসার দিকে পা বাড়ায়। আজ সে ভীষণ খুশি। তাদের ভালবাসার একটা পরিনতি হবে এটা ভাবতেই তার ভালো লাগছে।
এমন সময় ফোন দেয় নওশি,
“ভাইয়া রুশুকে কোচিং থেকে নিয়ে বাসায় ফিরবি, ও আমাকে যেতে বলেছিল কিন্তু আমি ভার্সিটি যাইনি”
“ওকে, যাসনি কেন ভার্সিটিতে?”
“বাসায় আয়, বুঝতে পারবি”
“কেন? কি হয়েছে?”
“আরে আসলে বলব, আল্লাহ হাফেজ”
রায়ান এবার রোশনিকে নিয়ে আসার জন্য কোচিং সেন্টারের দিকে যেতে থাকে।
.
“এইপর্যন্ত তোমার কোনো কথাতে আমি না করেছি রিদিমা? যা চেয়েছ দিয়েছি, কখনো না করিনি তোমার কথাতে। তার আজ এই প্রতিদান! আজ নিজের সন্তানের প্রাণ নিতে চাইছ নিজের বিজনেস এর জন্য!!”
“হ্যাঁ একশবার করব, তো?” চড় খেয়ে রিদিমার রাগ আরো বেড়ে যায়।
“মুখ সামলে কথা বলো রিদিমা”
“কিসের মুখ সামলাবো? বাচ্চা আর পাওয়া যাবে না?”
“কি কথা এসব রিদিমা? আচ্ছা তুমি কি চাও বলো তো, এই পর্যন্ত সবার বিরুদ্ধে গিয়েও আমি তোমার কথা রেখেছি তোমার যা চাহিদা আমি পূরণ করেছি। আর আজ!!!”
“আমি আমার বিজনেসের সাথে কোনোকিছুর আপস করতে চাই না” ভদ্রতার মুখোশ আজ আর পরে থাকতে পারে না রিদিমা।
“কি বললে তুমি! তুমি জানো তোমার এই বিজনেস আমি আজই ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি? এই বিজনেস বিজনেস করে আমার বাচ্চাকে পৃথিবীর আলো দেখতে দেবে না! কি পেয়েছ কি তুমি! সব তোমার ইচ্ছে মতো হবে! কি এক বিজনেস পেয়েছ! কি কম আছে তোমার, তবুও আমি তো তোমার কাজে বাঁধা দেয়নি, কিন্তু আমার বাচ্চার যদি কিছু হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না তোমাকে!” বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায় সায়ান।
চমকে উঠে রিদিমা। আসলেই তো৷ সায়ান কোনো কিছু অপপ্রচার করলে, কোনো খারাপ কমেন্ট করলেই তার কোম্পানী শেষ। সায়ানের কোম্পানী থেকেই তো সুবিধা গুলো নিচ্ছে রিদিমা। আর “সাহরাফ-জাহরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি” র জন্য সে অল্পসময়ে আর অবিশ্বাস্যভাবে টপ কোম্পানী গুলোর পাশাপাশি দাঁড়াতে পেরেছে।
চেঁচামেচিতে সবাই চলে এসেছে।
জাহরা ছেলে আর বউমার ঝগড়ার কারণ বুঝতে পেরে সেখানে আর দাঁড়াতে পারেননি।
সাহরাফ সাহেব ধীরে ধীরে বারান্দায় রকিং চেয়ারে গিয়ে বসে পড়েন। কিছু ভাববার শক্তি তার আসছে না।
এসব কি হচ্ছে!
নওশি কি করবে বুঝতে না পেরে ভাবির দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,
“ভাবি তুমি অফিসে যাও”
রুমে এসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহরা। তার এত কষ্টের গড়া সংসার, এত স্বপ্ন আজ এভাবে মাটিতে মিশে যাচ্ছে!
আজ সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদটা এভাবে পেতে হচ্ছে!
যে বাচ্চাটা তার জন্মের আগেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে অথচ তার প্রাপ্য হলো একরাশ আনন্দ আর ভালবাসা।
এসব আর ভাবতে পারেননা জাহরা।
“নওশি এসব কি হচ্ছে রে মা?”
“সব ঠিক হয়ে যাবে মা” যদিও মুখে বলল নওশি ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আদৌ ঠিক হবে কি না সে বিষয়ে তার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
“রিদিমাকে তো এমন মেয়ে মনে হয় নি তখন, কিন্তু প্রদীপের নিচেই যে অন্ধকার সে কথা একেবারেই আমি ভুললাম কি করে নওশি!”
“আম্মু চুপ করো। এখন একটু ঘুমাতো, নইলে তুমি অসুস্থ হয়ে যাবে। রান্না আমি সামলে নেব।”
আর কিছু বললেন না জাহরা। পাশ ফিরে শুয়ে পড়লেন।
মায়ের মাথায় হাত বুলাতে থাকে নওশি। আজকের ঘটনা গুলো ভাবতে ভাবতে রিদিমার বুকের ভিতরটা দর্পণের মতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে নওশির কাছে।
রায়ান বাসায় এসে সব শুনতেই অবাক হয়ে যায়।
কিছু না বলে নিজের ঘরে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়ে রায়ান। আজ দুপুরে আর কেউ এলো না খেতে। নওশি অনেকবার ডেকে ডেকে বকে সবাইকে খেতে বসাল। কিন্তু আজ আর কারোর মুখে কোনো কথা নেই। এই পরিবেশের সাথে তারা কেউই অভ্যস্ত নয়।
.
রিদিমা আর সায়ান দুজনেই অফিসে। আজ প্রথম তারা আলাদা আলাদা অফিসে গেছে।
সায়ানের আজ কিছুই ভালো লাগছে না।
সব কাজও উলটাপালটা করছে।
রাগ পড়ে গেলে তার মনে হতে থাকে সে ভুল করেছে রিদিমার সাথে। এখন যদি রিদিমার আরো রাগ করে বাচ্চাটাই এবরশন করে দেয়!!!
চমকে উঠে সায়ান। এ হতেই পারে না।
রিদিমাকে বোঝাতে হবে! রিদিমার সাথে ভালো ব্যবহার করতেই হবে। তার বাচ্চাটাকে বাঁচাতেই হবে।
তার প্রথম সন্তান আসবে পৃথিবীতে৷ তাদের ভালবাসার সন্তান।
তার বাঁচার অধিকার আছে।
বিকালে একটা টেক্সট আসে সায়ানের মোবাইলে,
“সরি” রিদিমা পাঠিয়েছে।
সায়ান কল করে রিদিমার কাছে।
কল রিসিভ করতেই রিদিমা বলে,
“সরি সায়ান, প্লিজ রাগ করে থেক না প্লিজ, আমি এবরশন করব না, আমার ভুল হয়েছে” একটানা নরম সুরে কথা গুলো বলে রিদিমা।
সায়ান কি বলবে কিছু বুঝতে না পেরে শুধুই বলে “ঠিক আছে”
“চলো না এখন একটু ঘুরি? অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয়না”
সায়ান অবাক হয়ে যায়। সে ঘুরতে চাইলেও রিদিমা রাজি হয় না৷ আর আজ নিজেই!
“ওকে চলো”
সায়ান আর রিদিমা বসে আছে ঘাসের উপর। রিদিমা সায়ানের হাতের উপর হাত রেখে বলে
“এখনো রেগে আছো?”
“না”
“সরি সায়ান, আমার এমন করা উচিত হয়নি” বলেই সায়ানকে জড়িয়ে ধরে রিদিমা।
সায়ান ভাবে রিদিমা নিজের ভুল বুঝেছে যখন তাহলে আর তাকে কষ্ট দেওয়া কেন!
“আর কখনো এমন পাগলামো করো না প্লিজ!”
“ঠিক আছে”
“বাসার সবাই আজ অবাক হয়ে গেছে, কি ভাবলো সবাই বলো তো রিদিমা!”
“আচ্ছা আমি সবার কাছেই ক্ষমা চেয়ে নেব.. কেমন?”
“ঠিক আছে”
বাসায় এসে সবার কাছে ক্ষমা চাইল রিদিমা।
সবাই আশ্বস্ত হলো বাচ্চাটার জন্য। এটা ভেবেই সবার মনে একটা স্বচ্ছ সুন্দর আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।
ক্ষমা চাওয়ার পর সাহরাফ রহমানের পরিবারের মানুষগুলো রিদিমা সম্পর্কে কি ভাবছে জানিনা।
তবে আজ সাহরাফ রহমানের বড় ছেলে সায়ান আর বড় বউমা রিদিমা প্রচন্ড খুশি,
সায়ানের খুশির কারণ টা রিদিমার জানা থাকলেও রিদিমার খুশির কারণটা সায়ানের ধারণাতীত।
সায়ান খুশি তার বাচ্চাকে বাঁচাতে পেরে আর রিদিমা খুশি তার ব্যবসা কে বাঁচাতে পেরে!
.
.
(চলবে)