মুক্ত_পিঞ্জিরার_পাখি পর্ব ১০

#মুক্ত_পিঞ্জিরার_পাখি
#Ipshita_Shikdar
#পর্বঃ১০
৩১।
অতিত,
“ভাবি, আপনার মেয়েটার তো ভালো বয়স হইসে, কিন্তু আর বাড়ে না যে!”

ডাইনিংয়ে বসে খাবার খাচ্ছিল চৌদ্দ বছরের পক্ষী, প্রতিবেশি মায়ের বয়সী নারীটির কথা শুনে একটু মন্দই লাগে তার। তবুও সেদিকে মন না দিয়ে নিজের মতো খেতে লাগলো।

পুনরায় নারীটি রসিকতার সুরে বলে উঠে,

“তা মেয়েরে কি ঠিক মতোন খাওয়ান না নাকি, ভাবি! বুঝলাম, আপনার বাবা সামান্য এক দারোয়ান ছিল তাই বলে মেয়ের সাথে এত কিপটেমি…!”

কথাটি শুনে লায়লা দেওয়ানের মুখশ্রী লজ্জা, রাগে লাল হয়ে যায়। তিনি তীব্র বিব্রতবোধ নিয়ে বলেন,

“না! না, আপা! তেমন কিছু নয়, আসলে ও এমনিতেই… একেক জনের গ্রোথ তো একেক রকম।”

“তা আপনি যাই বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে অপুষ্টিতেই…”

পক্ষী স্বভাবগতই শান্ত ও স্থির স্বভাবের। কিন্তু সেদিন কেন যেন প্রতিবাদ না করে পারেই না। নিজের খাবারের থালাটা সেই কুৎসিত মানসিকতা সম্পন্না মানুষটির কাছে নিয়ে বলেন,

“এই দেখেন, এক প্লেট ভাত, দুইটা বড়ো বড়ো টুকরো মাছ, আর ডাল ভুনা সবই খাচ্ছি। আমায় খাবারের কমতি দেয় না মা, আসলে যে যেমন সে অন্যকে তেমনই ভাবে।”

কথাটি শেষ করার আগেই কপোলে তীব্র ব্যথা অনুভব হয় তার। কিছু বুঝে উঠার আগেই তার মা বলে উঠেন,

“মুখটা আজকাল বেশিই বোধহয় চলে তোর! আমার জীবনটা হারাম করে দিয়েছিস! যা, ঘরে যা! তোর মতো মেয়ে না খেয়ে মরলেও কিছু না।”

কথাটি শুনে কিশোরচিত্তে তীব্র আঘাতের সৃষ্টি হয়। টলমলে চোখে একপলক মায়ের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে নিজের ঘরের দিকে দৌড়ে চলে যায়। কোথায় না কোথাও এটাও বুঝে যায়, বাবা-মায়ের নিরব হৃদয়ভার সে। তবে মায়ের একটু বেশিই বটে।

ঘরের ভিতর থেকে সে শুনতে পায় শ্যামাঙ্গিনী কিশোরী শুনতে পায় মাকে সেই মহিলাটি বলছেন,

“আপনার মেয়ে তো দেখি একদম ঠোঁটকাটা! এজন্যই মানুষ খাটো মেয়েলোক পছন্দ করে না, এরা স্বভাবতই কুটনামি করে, বেয়াদব হয়! অবশ্য মেয়ে তো মায়ের স্বভাবই পায়!”

নায়লা দেওয়ানের চোখজোড়া রক্তিম হয়ে উঠেছে ঘৃণায়, লজ্জায় ফর্সা গালে লাল আভা ফুটে উঠেছে, হাতজোড়া মুষ্টিবদ্ধ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করছেন। কিন্তু চেয়েও পারছেন না প্রতিবাদ করতে। কিছু বললেই যে আরও মন্দ বাক্য বংশপরিচয় নিয়ে শুনতে হবে।

তার নিরবতাকেই হয়তো দুর্বলতা হিসেবে ধরে নেন বিষাক্ত নারীটি। তাই পুনরায় তাচ্ছিল্যের সুরে বলতে লাগে,

” আপনি তো ছোট ঘরের মেয়ে, তাই আপনার মানসম্মান নিয়ে তেমন মাথাব্যথা না থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে আসলাম ভাইয়ের তো একটা বংশমর্যাদা আছে। তাই যা সম্মান আছে তা হারাতে না চাইলে মেয়েটাকে একটু ভালোভাবে বড় করুন। আর হ্যাঁ, আপনার মেয়ের চুলগুলো কিন্তু অতিরিক্তই বড়ো, একদম হাটুতে পড়ে। এগুলো কেটে ফেলুন, শুনেছি চুলের জন্যও মানুষ বাড়ে না।”

বলে তিনি তো মুখ ঝামটা মেরে বের হয়ে গেলেন। আর পিছনে একজন নারীর অহংকারকে ক্ষত-বিক্ষত করে চলে গেলেন। যেই নারীটির মাঝে রাগের অনল দাউদাউ করে জ্বলছে।

নারীর অহংকারে আঘাত পড়লে সে হিংস্র বাঘিনী থেকে কম হয় না।

নায়লা দেওয়ান নিজের রাগ, ক্ষোভ প্রকাশ করার ও প্রতিক্রিয়া দেখানোর পথ হয়ে উঠে পক্ষী। শ্যামাঙ্গিনীর গায়ে বেতের বড়সড় দাগ পড়লেও সে প্রশান্তি পায় না। শুধু তা-ই নয় সেদিন পক্ষীর প্রিয় চুলগুলোও হারায় সে মায়ের রাগ বর্ষণে। সেদিনের পর কখনো নিজের পছন্দমতো লম্বা চুল রাখতে পারেনি সে।

মানুষ যখন রাগ-ক্ষোভ যখন সঠিক স্থানে ও সঠিক মানুষ তথা দোষীর কাছে প্রকাশ করতে অসক্ষম, তখন তারা নিজের কাছাকাছি দুর্বল কোনো মাধ্যম তথা মানুষকে খুঁজে তাকে বিনাদোষে দোষী বানিয়ে নেয় রাগ প্রকাশের জন্য।

পক্ষীর মায়ের ক্ষেত্রেও এর ভিন্ন কিছু হয় না। তিনি পক্ষীর থেকে সবসময়ই অসন্তুষ্টই ছিলেন, তবে এরপর থেকে মেয়েটিকে গর্ভের কলঙ্কই ভাবতে শুরু করেন। যার কুপ্রভাব শ্যামাঙ্গিনীর জীবনের প্রতিটি ধাপে স্পষ্ট।

বর্তমানে,
ফজরের প্রায় ঘণ্টা খাণেক আগেই ঘুম ভেঙে যায় পক্ষীর। তাই সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য নিজের লাগেজ থেকে কাপড়চোপড় বের করে আলমারিতে তুলে রাখছিল, কারণ প্রতিবার লাগেজ থেকে জিনিসপত্র বের করা কিংবা ধুয়ে-মুছে আবার লাগেজে রাখা বেশ ঝামেলাময় কাজ। এগুলো করতে করতেই তার হাতে পড়ে ছোট্ট এক গোলাপি রংয়ের ডায়েরি, আর তা খুলতেই চোখ আটকে যায় নিজের পুরনো এক ছবিতে। যেখানে তার হাটু অবধি চুল সমেত সে।

নিজেকে দেখতেই মনে পড়ে স্মৃতির পাতায় গচ্ছিত সেই বিষাদময় দিনটির কথা, কোনো এক ঘোরেই চলে যায় শ্যামাঙ্গিনী। ঘোর ভাঙতেই কিছু একটা ভেবে ঠোঁটের একমুঠো হাসি চলে আসে তার।

বিড়বিড় করে বলে,

“আর যাই হোক, এই বিয়ের কারণে একটা জিনিস ভালো হয়েছে যে, এখন কমসে কম নিজের মনমতো থাকতে পারবো। কেউ আর প্রতি দু’মাসে চুল কাটিয়ে দিবে না, কেউ আর শাড়ি পড়তে কিংবা প্লাজু পড়তে বাধা দিবে না। কী শান্তি!”

ভেবেই সে মনের আনন্দে গুণগুণ করে গান গাইতে গাইতে নিজের কাজ করতে লাগে। পৃথিবী এমন কন্যাসন্তানের সংখ্যা খুব ক্ষুদ্রই হয় যারা পরিবারের থেকে পৃথক হয়ে আনন্দিত হয়, সেই ক্ষুদ্রাংশের মাঝেই পক্ষীর বাস।

৩২।
অতিত,
“শোন, মেয়ে হয়ে যেহেতু জন্মেছিস বিয়ে তো করাই লাগবে। তোর ভাবিই কাল বলছিল তার খালাতো ভাইয়ের কথা, তোর ভাইও সায় দিয়েছে। তাই বলি, কোনো ঝামেলা না করে হয়ে যেতে দে সব।”

প্রিয়ার মাথায় খুব যতন করে তেল দিতে দিতে নরম গলায় আঞ্জুমান শেখ কথাগুলো বলে ফেললেন। অপরদিকে মায়ের কথা শুনে খুব বিব্রতবোধ করছে যুবতী। তখন তার ও আরিজের সম্পর্কের একবছর দুই মাস।

সেও কিছুটা আমতাআমতা করে বলে,

“মা, আমি এখন বিয়ে করতে চাই না। আগে মাস্টার্সটা শেষ করি।”

ভার্সিটির ছুটিতে বাসায় এসেছিল, দুর্ভাগ্যবশত তার ভাবির মাও সেখানে তথা ড্রইং রুমে উপস্থিত ছিল। তিনি কথাটা শুনতেই চট করে প্রিয়াকে উত্তর দিয়ে বসেন,

“আরে মেয়েলোকের এত পড়ালেখা করে কী হবে! তাছাড়া মাশা আল্লাহ সুন্দরী মেয়ে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, কারণ সুন্দর ফুলেই তো মৌমাছির উপদ্রব বেশি হয়।”

আমাদের সমাজটা বড় অদ্ভুত, তাদের মতো নারীর জন্মই রান্নাঘরের সাথে জুড়ে। তা সে অপরূপা রাজকন্যা হোক কিংবা সমাজের ভাষ্যমতে অসুন্দরী ঘুঁটেকুড়ুনি, তাদের পায়ে দায়িত্ব তথা রান্নাঘর নামক শিকল না লাগানোই মূল কাজ।

মধ্যবয়স্ক নারীটির এমন কথায় মেজাজ খারাপ হলেও কিছু বলে না তথাকথিত সুন্দরী যুবতী। তাকে থেমে থাকতে দেখেই হয়তো নারীটি পুনরায় আঞ্জুমান শেখকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন,

“এসব ভার্সিটি-টার্সিটি ভালা জায়গা নাকি, তাও আবার দেশদেশান্তর পাড় হয়ে যায়। এত সুন্দর মাইয়া, আপনার তো উচিত ছিল, স্কুলে পড়তেই বিয়া দিয়ে দেওয়ার,। দেখেন এখন কেমন আপনারে চটাং চটাং উত্তর দেয়! এগুলো সব এই ভার্সিটির জন্যই। তয় ফুল নষ্ট হইলেও গন্ধ হয় নাই, তাই বিয়াটা দিয়াই দেন এবার। বলা তো যায় না এবার সোজা গন্ধই বের হোক।”

প্রিয়া প্রতিবাদি, জেদি, ঠোঁটকাটা স্বভাবের মেয়ে। তাই আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে কাঠকাঠ গলায় বলেই ফেলে,

“আপনার তো দেখি ভালোই অভিজ্ঞতা, তা যৌবনকালে আপনার ফুল পচেছিল নিশ্চিত। আর হ্যাঁ, এটার আপনার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি আপনার না। এসেছেন যেহেতু মেহমান হয়ে খানদান, ঘুমান। আমার বিষয়ে নাক গলাবেন না।”

শুরু হয় তার ভাইয়ের শাশুড়ি মমতাজের মিথ্যে কান্না ও আজহারি। তার ভাবিও এসে যুক্ত হয়েছে সাথে বারবার বলতে লাগেন,

“আমি এখানে আসছি বলে আমাকে এমন অপমান করলো এই এট্টুনি মেয়ে!”

দুপুর পেড়িয়ে বিকেল হলে সেই চেঁচামেচি তো থামে কিন্তু বৈঠক বসে আঞ্জুমান শেখের শোয়ার ঘরে। প্রিয়ার ভাই পালক প্রিয়া ও নিজের মায়ের থেকে কিছু না শুনেই বলে,

“তোমার মেয়ে এই বাড়িতে অনেক অশান্তি করছে, ওর যতদ্রুত সম্ভব বিয়ের ব্যবস্থা করো। আমি আর কিছু শুনতে চাই না।”

শেতাঙ্গ যুবতীর মুখশ্রী রাগে লাল হয়ে উঠে এমন বেফাঁস কথা শুনে। ঝাঁঝালো গলায় বলে,

“তোমার শ্বাশুড়ি এতকিছু বললো তাতে কিছু না আর আমি উত্তর দিলেই অশান্তি করছি। করবো না আমি বিয়ে। এটা আমার বিষয়, তুমি বলার কে?”

পালকে রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে বলে উঠে,

” বাপের বাড়িতে থাকতে পারো, কিন্তু যে টাকায় ভার্সিটিতে পড়ছো, মেয়েদের সাথে ভালো হোস্টেলে থাকছো, তার পুরোটাই আমার।”

অবস্থা বেগতিক দেখে আঞ্জুমান শেখ বলে উঠেন,

“দেখ মা, তোর বাবাও এখন কাজকর্ম ছাড়া মানুষ। তোর পড়ালেখার এত খরচ… তোর ভাই-ভাবিরও তো একটা কথা আছে। তুই আর কথা বাড়াস না।”

কথাগুলো বেশ আত্মসম্মানেই যেয়ে লাগে প্রিয়ার। সে চোখমুখ লাল করে বলে,

“এত কিছু না বলে, বললেই পারো তোমার ছেলের আমার জন্য টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অথচ, দেবরের টিউশনের ফি অবধি তোমার ছেলে দেয়। বউয়ের গোলাম বলে কথা!”

পালক কথাটা শুনে তেড়ে আসে যেন মারবে বোনকে। তাচ্ছিল্যের হাসি দেয় শক্ত হৃদয়ের অধিকারী যুবতী।

“মারবে আমাকে? চললাম না তোমার টাকায়, প্রিয়া কাউকে ছাড়াই বেশ ভালো পারে।”

বলে মুখ ঝামটা মেরে সেখান থেকে চলে যায়। তা দেখে পালকের শ্বাশুরি বলে,

“এখন ছুটবে একদম তেজ!”

কিন্তু তার রৌদ্রতেজ তো কমেনি, বরং সে তার বক্তব্যকে সফল করে দেখিয়েছে। ভালো ফ্লাট ছেড়ে উঠেছে ভার্সিটির ফ্রি হোস্টেলে, আগে যেখানে একটা টিউশন পড়াতো সেখানে পড়াতে শুরু করে তিনজন। ভালো ভার্সিটির ভালো ছাত্রী হওয়ায় মাসে অনায়াসে পনেরো হাজার টাকা উঠে যেতো তার। কিপ্টেমি করে অনেকটাই জমাতো, সেটা দিয়েই অবশ্য পাড় করেছিল চাকরির যুদ্ধের সময়টুকু।

প্রিয়া কর্মক্ষেত্রে সফল হলেও সেদিনের পর মা ছাড়া বাড়ির কারো সাথে কথা বলতো না সে, বাড়িতে যেতোও না। শুধুমাত্র পক্ষীর বিয়ে উপলক্ষে গিয়েছিল। তাও পালক যেদিকে পা দিতে সেখানে পাও ফেলতো না সে। এতোটাই তিক্ততা এসে পড়েছিল সম্পর্কে।

বর্তমানে,
ফজরের আযানের আগেই ঘুম ভেঙ যায় পালকের, উঠে বসে আনমনেই ফেসবুকে ঢুকে সে। ফেসবুকে বোনের নব পোস্ট করা একটি ছবি দেখে অতিতে ডুব দিয়েছিল পালক। সেদিন বউ-শাশুড়ির কথায় ভুলই বুঝেছিল সে বোনকে। পরবর্তীতে অবশ্য মায়ের থেকে সবটা শুনে বোনকে হাজার খাণেক কল, ম্যাসেজ করেও লাভ হয়নি। বরং, প্রিয়ার ইগনোর লিস্টেই হয়তো নাম লিখিয়েছে নিজের।

আনমনেই কথাগুলো ভাবতে থাকা অবস্থায় কাঁধে হাত রাখে একজন। ঘোর ভেঙে পিছনে তাকিয়ে দেখে স্ত্রী দাঁড়িয়ে। কিছুটা রাগ থেকেই বলে,

“কী হয়েছে! কাজকাম নেই, ডিস্টার্ব করছো কেন?”

তার স্ত্রী নিপু প্রথমে স্বামীর এমন ব্যবহারের কারণ বুঝতে না পারলেও ফোনে ননদের ছবি দেখে সবটাই বুঝতে পারে সে। মুখ ভেঙিয়ে বলে,

“বুঝেছি, তোমার বোনের কথা মনে করে এমন করছো? তা যার জন্য এমন করছো সে যদি এতোই ভালো হতো, তোমার সাথে কথা বলে না কেন?”

“আমার বোন তো তোমার মার মতো বেহায়া না, তোমার মায়ের আসা আমি পছন্দ করি না বুঝেও তো বারবার আসে। আমার বোনের আত্মসম্মান প্রবল, তাই যেখান থেকে আঘাত পেয়েছে সেখানে চেয়েও আসতে পারে না।”

তাচ্ছিল্যের গলায় কথাগুলো বলেই সে শোয়ার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়, একটুপরই আজান দিবে। আর পিছনে রেখে যায় কালনাগিনীর মতো রাগের ফণা তুলতে থাকা নারী।

৩৩।
“কী করছো তুমি এই সময়ে?”

আরিজের চড়া গলায় আচঅকা প্রশ্নে চমকে উঠে পক্ষী। সেই সাথে বেশ ভয়ও পায় যে এই ঘরেত আলমারিতে তার কাপড় রাখতে দেখে যুবক কিনা বলে উঠে…

আনমনেই ভাবে সে,

“এখন কী আরিজ সিরিয়ালের স্বামীদের মতো আমায় অপমান করবে? বলবে আমি লোভী তার উপর অধিকার জমানোর পঁয়তারা করছি? নাকি আমাকে….”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here